Gang Rape: রক্ষকই ভক্ষক! গণধর্ষণের অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত দুই পুলিশ কর্মী

এই দিনকাল: যাদের হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার, সেই পুলিশের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে উঠল গণধর্ষণের (Gang Rape) মতো গুরুতর অভিযোগ। ইতিমধ্যে তামিলনাড়ু পুলিশের সদস্য অভিযুক্ত দুই উর্দিধারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের এক তরুণীকে তাঁর মায়ের সামনে গণধর্ষণ করে দুই পুলিশ কনস্টেবল।তিরুভান্নামালাই জেলা পুলিশের বিবৃতি অনুসারে, অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলের নাম ডি সুরেশরাজ এবং পি সুন্দর। দুজনকেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বর তিরুভান্নামালাই জেলায় এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দু’জন পুলিশ কর্মীকে আজ ভারতের সংবিধানের ৩১১ ধারার অধীনে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’ তদন্তকারীদের মতে, নির্যাতিতা এবং তাঁর মা ফল বিক্রেতা। ঘটনার দিন তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তিরুভান্নামালাইতে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে টহল দেওয়ার সময় সুরেশরাজ এবং সুন্দর মা ও মেয়েকে আটক করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তরুণী এবং তাঁর মাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় দুই উর্দিধারী। এর পর মায়ের সামনে মেয়েকে গণধর্ষণ করে।

অন্য দিকে, এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ুতে। সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামী তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন ডিএমকে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডিএমকে সরকারকে লজ্জায় মাথা নত করতে হবে। আমি স্ট্যালিন মডেল সরকারের নিন্দা জানাই, কারণ পুলিশের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মহিলাদেরকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’ সে রাজ্যে যৌন অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধির আবহে এই ঘটনা ঘটল। তামিলনাড়ুতে প্রায়শই পুলিশ কর্মী এবং শিক্ষকদের মতো ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ডিএমকে বলেছে, এই ধরনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ন্যায়বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করার জন্য দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

Congress: মোদীর রাজ্যে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগান নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে কংগ্রেস

এই দিনকাল: ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে নির্বাচনী অস্ত্র করে এ বার বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে গুজরাট কংগ্রেস (Congress)। সেই সঙ্গে এই প্রচারণার সমর্থনে পাঁচ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে হাত শিবির। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী দেশব্যাপী নির্বাচনী জালিয়াতির বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের পর গুজরাট কংগ্রেস ৩ অক্টোবর থেকে রাজ্যব্যাপী ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচারণা শুরু করতে চলেছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে বড় ঝড় বইতে চলেছে। কংগ্রেস এই অভিযোগকে একটি গণ রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। লোকসভা, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন রাহুল গান্ধী। এ বার, গুজরাট কংগ্রেস এই বিষয়টিকে সরাসরি সুরাটের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, কংগ্রেস সুরাট থেকে রাজকোট, আহমেদাবাদ থেকে ভদোদরা, এবং সমগ্র গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানে ভর করে রাজ্যব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবে। ভোট চুরি বন্ধ করতে এবং ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করার দাবিতে মানুষের স্বাক্ষর চাইবেন তাঁরা। 

বুধবার আহমেদাবাদে এক সাংবাদিক বৈঠকে গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাভড়া বলেন, ‘গণতন্ত্রে, প্রতিটি নাগরিকের ভোটের সমান মূল্য, সে প্রধানমন্ত্রী হোন, রাষ্ট্রপতি হোন বা সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিজেপির শাসনকালে, একসময়ের স্বশাসিত নির্বাচন কমিশন, পুতুলে পরিণত হয়েছে। গুজরাট কংগ্রেস ইতিমধ্যেই মাত্র একটি নির্বাচনী এলাকায় ৩০,০০০ ভুয়ো এবং নকল নাম প্রকাশ করেছে।’ তাঁর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে রাহুল গান্ধীর সতর্কীকরণ বাগাড়ম্বর নয়, বাস্তবতা। অমিতের আরও সংযোজন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে, আমরা গুজরাটে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ প্রচারণা শুরু করছি। ৩ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে, আমরা সারা দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করব। ভোট চোরদের প্রকাশ্যে আনতে এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে আমরা প্রতিটি নাগরিককে এই লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

এই আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে সুরাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে বরাছা বেল্ট, যেখানে একসময় বিজেপির আধিপত্য ছিল, বর্তমানে আপের শক্ত ঘাঁটি। এখানে আক্রমণাত্মক প্রচার চালিয়ে কংগ্রেস কেবল বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে না, শহরাঞ্চলীয় সুরাটে আপের ক্রমবর্ধমান ভিত্তিকেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর, ভোটার জালিয়াতির উপর চারটি প্রশ্ন সম্বলিত বিশেষ পুস্তিকা তৈরি করেছে হাত শিবির। ভোটারদের সেগুলির উত্তরে টিক দিতে হবে এবং তারপর প্রচারণার সমর্থনে স্বাক্ষর করতে হবে।

RSS: ছোটদের মনে ‘হিন্দুত্ববাদী’ চেতনার চাষ? দিল্লির স্কুলে পড়ানো হবে আরএসএস-এর ইতিহাস

এই দিনকাল: ছোট ছোট পড়ুয়াদের মনে এ বার গেরুয়া ইতিহাসের থাবা! দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ানো হবে আরএসএস (RSS) এর কাজকর্ম ও ইতিহাস। ‘হিন্দু বীর’ হিসেবে পরিচিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং বীর সাভারকরদের সম্পর্কে পাঠদান করা হবে। শেখানো হবে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জীবনীও।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী আশীষ সুদ জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাগরিক ও সামাজিক চেতনা জাগ্রত করার জন্য এবং মৌলিক কর্তব্যগুলিকে কেন্দ্রবিন্দুতে আনার জন্য ‘রাষ্ট্রনীতি’ কর্মসূচির আওতায় আরএসএস-এর অধ্যায় যুক্ত করা হচ্ছে।’ কোর্সের অংশ হিসেবে, পড়ুয়াদের শিখতে হবে আরএসএসের উৎপত্তি ও ইতিহাস; এর মতাদর্শ। যদিও ইতিমধ্যে বিরোধীরা সরব হয়েছে, শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে বলে। যদিও প্রশাসনের দাবি, প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা, নীতিশাস্ত্র পরিচালনা এবং জাতীয় গর্ব প্রচারের জন্য অধ্যায়টি তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার আরএসএসের প্রতিষ্ঠা করেন। সঙ্ঘের সেই ইতিহাস তুলে ধরা হবে। বিজেপির ‘মেন্টর’ আরএসএস এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীও। তাঁদের কথাও থাকবে পাঠ্যসূচিতে। এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, সঙ্ঘের সম্পর্কে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তা দূর করতে এই পদক্ষেপ।

Child Death: রাজস্থানে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওষুধ খেয়ে মৃত্যু শিশুর

এই দিনকাল: রাজস্থানে (Rajasthan) মর্মান্তিক ঘটনা! সে রাজ্যের সরকারের সরবরাহ করা বিনামূল্যের কাশির সিরাপ খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল পাঁচ বছরের এক শিশু (Child Death)। ঘটনাটি ঘটেছে সিকার জেলার খোরি ব্রাহ্মণন গ্রামে। 

জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম নিতীশ। বেশ কিছু দিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিল সে। ছেলে যাতে সুস্থ হয়ে ওঠে সেই উদ্দেশে তার মা স্থানীয় চিরানা সিএইচসিতে গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসেন। সরকারের তরফে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয় এই কেন্দ্র থেকে। অভিযোগ, কাশির ওষুধ খাওয়ার পর নিতীশের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।স্থানীয়দের দাবি, কাশির সিরাপ খেয়ে এই প্রথম বিপদ নয়, এর আগে ওই সিরাপ খেয়ে অজিতগড় এলাকায় দুই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এএসআই রোহিতাস কুমার জাঙ্গিদ জানান, মুকেশ শর্মার ছেলে নিতীশকে চিরানা সিএইচসি থেকে কাশির ওষুধ দেওয়া হয়েছিল রবিবার সন্ধ্যায়। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক রঞ্জিত বেন্দা শিশুটির মৃত্যু নিয়ে বলেন, পরিবার শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। নিয়ে আসার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এই একই সিরাপের কারণে সম্প্রতি ভরতপুর জেলার বায়ানায় তিন বছর বয়সী এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে সরকারি ওষুধ খেয়ে ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পর সিএইচসি-র দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করার জন্য নিজে ওই সিরাপ খান এবং দুই অ্যাম্বুলেন্স চালকও ওই ওষুধ গ্রহণ করে। তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কাশির সিরাপ খেয়ে এমন অঘটনের পর, ভরতপুর জেলা জুড়ে একই ব্যাচের ওষুধ বিতরণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

Rahul Gandhi: ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’: বিজেপি নেতার হুমকির পর শাহকে চিঠি লিখল কংগ্রেস

এই দিনকাল: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) খুনের হুমকি দেওয়ার পর সোমবার বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। সম্প্রতি কেরল বিজেপির মুখপাত্র প্রিন্টু মহাদেব (Printu Mahadev) রাহুলকে নিশানা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এক টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’। এই মন্তব্যের পর ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Home Minister Amit Shah) চিঠি দিল হাত শিবির।

কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। এটি কোনও অযৌক্তিক মন্তব্য বা অতিরঞ্জন নয়। ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর পাশে দাঁড়ানো একজন নেতার জন্য এটি একটি ঠান্ডা এবং পরিকল্পিত খুনের হুমকি।’ এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এটি কি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর, ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের’ অংশ? পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘বিজেপি কি অপরাধমূলক ভয় দেখানো, হিংসা এমনকি মৃত্যুর হুমকির রাজনীতি সমর্থন করে?’

নিউজ ১৮ মালায়ালম চ্যানেলের বিতর্ক সভায়, বিজেপির প্রিন্টু মহাদেব মালায়ালম ভাষায় বক্তব্য রাখেন। যার একটি ক্লিপ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল শেয়ার করেছেন। যেখানে প্রিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের (সরকারের) সঙ্গে ছিল না। এখানে, ভারতে, জনগণ নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে আছে। অতএব, যদি রাহুল গান্ধী এমন ইচ্ছা বা স্বপ্ন নিয়ে বের হন, তাহলে রাহুল গান্ধীর বুকেও একটি গুলি লাগবে।’ 

ভেনুগোপাল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মতবিরোধ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব সরাসরি টিভিতে তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের খুনের হুমকি দিচ্ছেন। অবশ্যই, আরএসএস-বিজেপির মতাদর্শের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীজির তীব্র লড়াই তাদের বিচলিত করেছে।’

এই হুমকিকে ‘শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার’ বলে অভিহিত করে হাত শিবির জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ‘এটি ‘স্লিপ অফ টাং’ নয়, বা অসাবধানতামূলক অতিরঞ্জনও নয়। এটি বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে একটি শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার খুনের হুমকি।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে এর আগে রাহুল গান্ধীকে সমাজ মাধ্যমে যে সমস্ত হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সে সব বিষয়ে। যার মধ্যে কিছু হুমকির সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। এ ছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে রাজীব গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার কথা।

চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে এবং দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়েছে, যদি অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে হিংসায় বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।

অন্য দিকে, রাহুলকে খুনের হুমকি দেওয়ায় সোমবার পুলিশ প্রিন্টু মহাদেবনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক শ্রীকুমার সিসি-এর অভিযোগের ভিত্তিতে পেরামঙ্গলম পুলিশ এই এফআইআর দায়ের করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার – ধারা ১৯২, ধারা ৩৫৩ এবং ধারা ৩৫১(২) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Bhagat Singh: ‘তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস শহিদ ভগৎ সিং’: ‘মন কি বাতে’ স্মরণ মোদীর

এই দিনকাল: বিপ্লবী ভগৎ সিং (Bhagat Singh) এর জন্মদিন পরবর্তী সময়ে তাঁকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রবিবার মোদীর ১২৬ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানের সম্প্রচার ছিল। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামীকে স্মরণ করেন। তিনি জানান, শহিদ ভগৎ সিং দেশের তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবআর বলেন, ‘অমর শহীদ ভগৎ সিং প্রত্যেক ভারতবাসী বিশেষ করে দেশের তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ভরা ছিল নির্ভীকতায়। দেশের জন্য ফাঁসির দড়ি পরার আগে ভগৎ সিং ইংরেজদের একটি চিঠিও লেখেন। উনি বলেন, আমি চাই যে আমি এবং আমার বন্ধুদের সঙ্গে আপনারা যুদ্ধবন্দীদের মত ব্যববহার করুন। এই কারণে ফাঁসিতে নয়, আমাদের গুলি করে হত্যা করা হোক। এটা তাঁর অদম্য সাহসের নিদর্শন। ভগৎ সিংজী মানুষের কষ্টের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন এবং তাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে থাকতেন। আমি শহিদ ভগৎ সিংজীকে সম্মানের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

উল্লেখ্য, ১৯০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর লায়ালপুর জেলার (বর্তমানে পাকিস্তানে) বঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ভগৎ সিং। তিনি কিষাণ সিং এবং বিদ্যাবতীর দ্বিতীয় পুত্র। ভগৎ সিং শৈশব থেকেই পরিবারের দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন। তিনি যখন জন্ম গ্রহণ করেন, তখন তাঁর বাবা জেলে ছিলেন। মূলত, খাল উপনিবেশ বিল আন্দোলনের (Canal Colonization Bill agitation) সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কারাগারে ছিলেন কিষাণ সিং। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ভগৎ সিং-এর কাকা অজিত সিং। ১৯৩১ সালে ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং শুকদেবকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। লাহোর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় তিন যুবকের মধ্যে কোনও অনুশোচনা বা ভয় ছিল না, বরং তারা আনন্দের সঙ্গে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। তাঁদের কন্ঠে ছিল, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান।

Muslim: যোগীরাজ্যে ৭ বছরের মুসলিম শিশুকে নৃশংস খুন, গ্রেফতার দুই প্রতিবেশী

এই দিনকাল: এক মুসলিম (Muslim) শিশুকে নৃশংস ভাবে খুন করার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের সিধারি শহরে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দু জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোন উদ্দেশে নাবালককে খুন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত শিশুর নাম শাহজেব। ৭ বছর বয়সী শিশুটি বুধবার টিউশন ক্লাসে পড়তে যায়। তার পর থেকে নিখোঁজ সে। শেষ বার তাকে দেখা গিয়েছে শৈলেন্দ্র কুমার নিগম ওরফে মান্টু নামের এক অভিযুক্তের সঙ্গে। পুলিশ জানতে পেরেছে, শিশুটিকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মান্টু। সে যখন খেলছিল তখন তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার হদিশ না মেলায় বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবার সিধারি থানায় একটি নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২) ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পাঠানি টোলায় প্রতিবেশীর বাড়ির গেটের সামনে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেটির ভেতরে ছেলেটির বিকৃত দেহ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার সিদ্ধার্থ ও মুবারকপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে ইটোরার ডেন্টাল কলেজের কাছ থেকে শৈলেন্দ্র কুমার নিগম এবং রাজা নিগম নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পালানোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুজন। অভিযোগ, তারা দুজনেই পুলিশ আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি চাল্য। তার জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই অভিযুক্তই জখম হয়েছে বলে খবর।

শৈলেন্দ্র কুমার নিগমের কাছ থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, দুটি তাজা কার্তুজ এবং দুটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি আরেক অভিযুক্ত রাজা নিগমের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি তাজা কার্তুজ এবং একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, শৈলেন্দ্র কুমার নিগমের সঙ্গে হার্ডওয়্যারের দোকান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরনো শত্রুতা ছিল। তার জেরে ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে, পুলিশ এই নৃশংস হত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে। নিহত শিশুটির বাবার দাবি, নিগমের পরিবারের সঙ্গে তারা সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল।

I Love Muhammad: ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে জমায়েত থেকে উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশে, লাঠিচার্জ পুলিশের

এই দিনকাল: ‘আই লাভ মহম্মদ’ (I Love Muhammad) স্লোগানের সমর্থনে জমায়েত ঘিরে উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে। শুক্রবার নামাজের পর এই স্লোগানের সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, সেই জমায়েত থেকে পাথর ছোঁড়া হয়। এর পর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল, এদিনের ঘটনা সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।

স্থানীয় ধর্মগুরু ও ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান মাওলানা তৌকির রাজা ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার নামাজের পর বেরিলির ইসলামিয়া মাঠে বিশাল জনতা জড়ো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরে ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানো একটি তাঁবু সরিয়ে ফেলার পর ৯ জনের নামে এবং ১৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সেই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও ব্যক্তি।

জুম্মার নামাজের পর, বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়। সেই বিক্ষোভ থেকে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। যারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে, সেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বরেলির স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। বরেলির ইন্সপেক্টর জেনারেল অজয় ​​সাহনি বিষয়টি নিয়ে জানান, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ ফ্ল্যাগ মার্চ করছিল এবং লোকজনকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছিল। পরে, জনতার মধ্যে থেকে কেউ কেউ পাথর ছোঁড়ে এবং গুলি চালায়। কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।’ 

অন্য দিকে পুলিশের লাঠিচার্জকে নিন্দা জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, লাঠিচার্জ সরকারের দুর্বলতার লক্ষণ। তাঁর কথায়, ‘সরকার লাঠিচার্জ নয়, সম্প্রীতি ও সদিচ্ছার সঙ্গে কাজ করে। অত্যন্ত নিন্দনীয়!’

কেন ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগান ঘিরে বিতর্ক? শুরুটা কী ভাবে হল?

গত ৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ঈদ-এ-মিলাদ-উন-নবী মিছিলের সময় পথের ধারে একটি তাঁবুতে ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানো নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠীগুলির তরফে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মিশ্র সংস্কৃতির পাড়ায় লাগানো হয়েছে, যেখানে কিনা ঐতিহ্যগতভাবে রাম নবমীর মতো হিন্দু উৎসব পালন করা হয়।

গোটা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন উভয় সম্প্রদায় একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ করে। হিন্দু পক্ষের অভিযোগ, তাদের পোস্টার নষ্ট করা হয়েছে। অন্য দিকে, মুসলিম পক্ষ দাবি করে শুধুমাত্র নবী মহম্মদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এই ঘটনার পর শীঘ্রই, সমাজ মাধ্যমে #ILoveMuhammad হ্যাশট্যাগটি ব্যাপকভাবে ট্রেন্ডিং হয়।

ঐতিহ্যবাহী তাঁবুটি সরিয়ে নতুন জায়গায় বসানোর কথা উল্লেখ করে কানপুর পুলিশ গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাস্তায় তাঁবু বসানোর কারণে এফআইআরটি করা হয়েছে, পোস্টারের বিরুদ্ধে নয়।হায়দরাবাদের সাংসদ এবং আইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কেউ বলে, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’, তাহলে সমস্যা কী? ‘ভালবাসা’ লেখায় সমস্যা কোথায়? এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিকে কী বার্তা দিতে চান? ‘আমি মহাদেবকে ভালোবাসি’ লিখলে সমস্যা কোথায়? এটা করা উচিত, এটা তাদের বিশ্বাস।’ প্রসঙ্গত, ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মিছিল ও জমায়েত হচ্ছে, সেই আবহে বারাণসীতে একটি পাল্টা প্রচারণা শুরু হয়। যেখানে হিন্দু পক্ষের ধর্মীয় নেতারা ‘আই লাভ মহাদেব’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামেন।

Interfaith Relationship: ভিন ধর্মে প্রেম, যোগীরাজ্যে মুসলিম যুবককে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন

এই দিনকাল: ভিন ধর্মের তরুণীর সঙ্গে প্রেম (Interfaith Relationship)। আর তার জেরে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের সাদাতগঞ্জে খুন হতে হল এক যুবককে। অভিযোগ, সোমবার রাতে ‘বিয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা’র জন্য ওই যুবককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তরুণীর ভাই। তার পর তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম আলি আব্বাস। তিনি যে তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি ভিন্ন সম্প্রদায়ের। ফলে তরুণীর পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। অভিযোগ, ওই তরুণী আলি আব্বাসকে তাঁর বাড়িতে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর ভাই এবং ভাইয়ের বন্ধুরা মিলে আলিকে মারধর করে।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (লখনউ) বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ধৃতরা হলেন মহিলার ভাই হিমালয় প্রজাপতি (২৭) এবং তাঁর দুই প্রতিবেশী ও বন্ধু সৌরভ (২৪) এবং সোনু কুমার (৩০)। সাদাতগঞ্জ থানার অফিসার সন্তোষ কুমার আর্য বিষয়টি নিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন। অন্য দিকে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। 

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, আলি ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার গভীর রাতে পুলিশ খবর পায়, সাদাতগঞ্জের লাকরমান্ডি হাটা এলাকায় এক যুবককে লাঠি দিয়ে আক্রমণ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি দল। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।

AIMIM: ‘বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৬টি আসনে লড়ার সুযোগ দিলে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেব’: ওয়েইসি

এই দিনকাল: বিহারে ‘বিজেপিকে সাহায্য করার’ অভিযোগ ওঠে তাঁর দলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে এ বার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন আইমিম (AIMIM) -এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বুধবার তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলে মিম ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেবে।

প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মুসলিম জনসংখ্যার উত্তর বিহারের কিষাণগঞ্জে তিন দিনের ‘সীমাঞ্চল ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওয়েইসি বলেন, ‘আমার দলের বিহার ইউনিটের প্রধান বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবকে একাধিক চিঠি লিখেছেন। শেষ চিঠিতে, ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার নির্বাচনে আইমিমকে ছয়টি আসন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বল এখন ইন্ডিয়া জোটের কোর্টে। বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে যাতে না আসে, সেকারণে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে যাবে কে আসলে পদ্ম শিবিরকে সাহায্য করছে।’

উল্লেখ্য, বিহারে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আইমিম ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। যার মধ্যে পাঁচটিতে জয়লাভ করেছিল। যদিও, বিহার ইউনিটের সভাপতি আখতারুল ইমান ছাড়া, আইমিম-এর টিকিটে নির্বাচিত সকল বিধায়ক নির্বাচনের দুই বছর পর আরজেডি-তে যোগ দিয়েছিলেন।