Kaliganj Assembly By-election: কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন: বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে মানুষ

এই দিনকাল: চলছে বৃষ্টি। তবুও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে ভোটের লাইনে দাঁড়ালেন কালীগঞ্জ বিধানসভা (Kaliganj Assembly By-election) কেন্দ্রের মানুষজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে এই বিধানসভায় উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ভোট কার্যত ‘পরীক্ষা’ রাজ্যের শাদকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিধায়কের প্রয়াণের পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে প্রয়াত নাসিরউদ্দিনের মেয়ে আলিফা আহমেদকে। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে আশিস ঘোষকে। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস কালীগঞ্জে প্রার্থী করেছে কাবিলউদ্দিন শেখকে। তিন দলের প্রার্থীই এদিন সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ১০.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। উপনির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনও সতর্ক। কোথাও কোনও বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রেখেছে কমিশন। এদিনের ভোটে একাধিক বুথ চত্বর থেকে রাজনৈতিক দলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন সরিয়ে দিয়েছে কমিশনের আধিকারিকরা। প্রতিটি বুথে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। ভোটের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।

অ্যাশ ট্রে

নিসর্গ নির্যাস মাহাতো

ছোটবেলায় বাবার মুখে সিগারেটের গন্ধটা পছন্দ হত না। অগত্যা সময়ে সময়ে দূরে চলে যেতেন বাবা।

কতবার রাগে আছড়ে মেরেছি অ্যাশ ট্রে। ছড়িয়ে পড়ত সিগারেটের শেষ অস্থি গুলি।

সুদূর প্রবাসে নিঝুম রাতে আমার ছাইদানির দিকে তাকালে বুঝতে পারি, বাবা জমাতেন-

স্বপ্ন। দুশ্চিন্তা। হিসাব।

     আমার ভবিষ্যৎ।।

(ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকারক)

বোধের শিকড়

কাজী আজাদ

প্রতিটি স্বার্থপরতা
অন্ধবিশ্বাস
আর গোঁড়ামি
একটি বিন্দুতে গিয়ে শেষ হয়।
যেখানে মুছে যায়
সমস্ত আরোপিত বোধ,
সীমারেখা।
মুছে যায় “তুমি’ ‘আমি’।
জেগে থাকি আমরা
আর আমাদের পৃথিবী।

Iran-Israel Conflict: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতায় রাজি রাশিয়া

এই দিনকাল: ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel Conflict) মধ্যে সংঘাত পাঁচ দিন ধরে চলমান। এই সংঘর্ষ থামাতে এবার মধ্যস্থতা করতে রাজি হল রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

পেসকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত বন্ধে প্রয়োজনে রাশিয়া মধ্যস্থতা করতে রাজি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ইজরায়েলের তরফে আমরা অন্তত কোনও ধরনের মধ্যস্থতা গ্রহণ বা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ অবলম্বন করার আগ্রহ দেখছি না। প্রসঙ্গত, ইরান রাশিয়ার পুরাতন ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে ইজরায়েলের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে মস্কো। 

অন্য দিকে পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরানের বন্ধু রাষ্ট্র চিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অন্য কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের’ বিরোধী চিন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত কোনও সমস্যার সমাধান করবে না বলে জানিয়েছে বেজিং। ইরান ও ইজরায়েল যাতে শীঘ্রই সংঘাত থামায় সেই লক্ষ্যে দুপক্ষকেই কাজ করতে হবে বলে আবেদন জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, শান্তি ফিরিয়ে আনতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে বেজিং প্রস্তুত।

ঊষা লগ্নে আশা

দু’চোখে স্বপ্ন আর নির্ভীকতাকে সম্বল করে যাত্রা শুরু করেছে ‘এই দিনকাল’। এই যাত্রায় পাঠকের ভালবাসাই আমাদের পাথেয়। আপনাদের কাছে বস্তুনিষ্ঠ, তথ্যভিত্তিক, বিশ্লেষণ মূলক সংবাদ তুলে ধরাই স্থির লক্ষ্য আমাদের। কাকদ্বীপ থেকে কাশ্মীর, বাংলাদেশ থেকে প্যালেস্টাইন, নওশাদ সিদ্দিকি থেকে নরেন্দ্র মোদী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে মহম্মদ সেলিম, সব দিকের খবর আর খবরের সবদিকে নজর থাকবে আমাদের। সাহিত্যপ্রেমী পাঠকদের জন্য এই দিনকালে থাকছে কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ সম্বলিত পৃথক বিভাগ। সিনেপ্রেমীদের জন্যও থাকছে বিনোদন বিভাগ।

আপনারা সঙ্গে থাকলে এই চলার পথ মসৃণ হবে, এটুকুই বিশ্বাস।

iranian israeli conflict: তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাসের কাছে হামলা তেহরানের, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে মৃত্যু বেড়ে ২৪৪

এই দিনকাল: ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাত (iranian israeli conflict) ক্রমশ চরম আকার নিচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে আঘাত ও পাল্টা প্রত্যাঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৪। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই সংঘাতে ইরানের ২২৪ এবং ইজরায়েলের ৮ জন নিহত হয়েছেন।

ইরানের উপর ইজরায়েলি হামলায় মার্কিন মদত রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল তেহরান। নিজেদের নাগালে থাকা মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এ বার ইজরায়েলের তেল আবিবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল খানেইনির দেশ। ইজরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে হাকাবি লিখেছেন, ইরান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবনের কাছে আঘাত হেনেছে। এতে দূতাবাস ভবনে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মার্কিন কর্মীদের কেউ হতাহত হননি।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন রাতে ইজরায়েলি বাহিনী বিনা উসকানিতে ইরানের ভিতরে হামলা চালায়। একাধিক পরমাণু ঘাঁটিতে হামলায় ইরানের নয় জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। নিহতরা হলেন, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ফেরেদুন আব্বাসি, আহমেদ রেজা জোলফাঘরি দোরিয়ানি, পদার্থবিদ্যার বিশেষজ্ঞ মহম্মদ মেহদি তেহরানচি, আমির হাসান ফাখাহি, মনসুর আসগারি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ আকবর মোতালেবি জাদেহ, মেটেরিয়াল্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ সইদ বর্জি, রিয়্যাক্টর ফিজিক্সের বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলহামিদ মিনৌশেহর এবং মেকানিক্সের বিশেষজ্ঞ বখৌয়েই কাতিরিমি।

অন্য দিকে দেশে ঢুকে নাশকতার ছক কষায় ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইরান পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র সাইদ মনতাজের আল-মাহদি জানান, দুজনের কাছ থেকে ২০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক, ড্রোন চালানোর ২৩টি সরঞ্জাম, লঞ্চার এবং আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তেহরানের রে কাউন্টির ফাশাফুয়েহ এলাকা থেকে দুই মোসাদ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

Maharashtra Bridge Collapse: মহারাষ্ট্রে সেতু ভেঙে ৪ জনের মৃত্যু, মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী

এই দিনকাল: মহারাষ্ট্রের পুনেতে ইন্দ্রায়ণী নদীর উপর থাকা সেতু ভেঙে বিপর্যয় (Maharashtra Bridge Collapse)। রবিবার এই দুর্ঘটনার ফলে মৃত্যু হয়েছে চার পর্যটকের। বেশ কয়েকজন নদীতে ডুবে গিয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এদিন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ এই তথ্য জানিয়েছেন। দুর্ঘটনার পর এখনও পর্যন্ত ৩৯ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্রের খবর, এই বিপর্যয়ের পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বিদেশ থেকে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(PM Modi)। উদ্ধারকাজ সম্পর্কে খোঁজখবর নিয়েছেন তিনি। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।

পুনের কুন্ডমালা জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। বর্ষাকালে এমনিতেই প্রচুর ভিড় হয়। রবিবার ছুটির দিন হওয়ায় অন্যান্য দিনের থেকে জনসমাগম বেশিই হয়েছিল। এদিন আচমকা সেতুটি ভেঙে পড়ায় এটির উপরে থাকা বেশ কয়েকজন পর্যটক নদীতে পড়ে যান। কয়েক জন নদীর স্রোতে ভেসে গিয়েছেন বলে জানা গেছে।

দুর্ঘটনার পর তড়িঘড়ি উদ্ধারকাজ শুরু করেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ও পুলিশ। সেতু বিপর্যয়ের পর মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ সমাজ মাধ্যমে লিখেছেন, ‘কিছু লোক ভেসে যাওয়ায়, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ঘটনাস্থলে এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে। উদ্ধারকাজে গতি আনা হয়েছে।’ পরে তিনি ঘোষণা করেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের পরিবার পিছু ৫ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। পাশাপাশি আহতদের চিকিৎসার খরচ সরকার বহন করবে বলে জানান ফড়নবিশ।

সেতুটি যে খারাপ অবস্থায় ছিল তা মেনে নিয়েছেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং পুনের বিধায়ক অজিত পাওয়ার। তাঁর দাবি, সেতুতে মানুষ এবং কয়েকটি দু-চাকার গাড়ির কারণে সেটি ভেঙে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘সেখানে ৮ কোটি টাকার একটি সেতু অনুমোদন করা হয়েছে, আমি জেলাশাসকের কাছে এই বিষয়ে তথ্য চেয়েছি।’

Maharashtra Bridge Collapse

NEET UG 2025 Result: নিট ইউজি পরীক্ষায় প্রথম রাজস্থানের মহেশ, পরীক্ষায় বসেছিল ২২ লক্ষের বেশি

এই দিনকাল: প্রকাশিত হল নিট ইউজি পরীক্ষার ফল(NEET UG 2025 Result)। শনিবার ন্যাশনাল টেস্টিং এজেন্সি সর্ব ভারতীয় এই পরীক্ষার ফল প্রকাশ করে। ২০২৫ সালের নিট ইউজি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে রাজস্থানের মহেশ কুমার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৯৯.৯৯ শতাংশ।

চলতি বছরে ৪ মে আয়োজিত হওয়া মেডিকেল এন্ট্রান্স পরীক্ষায় বসেছিল ২২,০৬,০৬৯ জন পরীক্ষার্থী। দেশের ৫৫২ শহরে এবং দেশের বাইরে ১৪টি জায়গায় মোট ৫৪৬৮ পরীক্ষা কেন্দ্রে এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভারতের বাইরে যে শহরগুলিতে নিট ইউজি পরীক্ষা আয়োজিত হয়েছে, সেই তালিকায় রয়েছে দোহা, সিঙ্গাপুর এবং কাঠমান্ডু। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ১৩.১ লক্ষ ছাত্রী ছিল। ছাত্র ছিল ৯.৬৫ লক্ষ। সর্ব ভারতীয় স্তরে প্রথম স্থানাধিকারী রাজস্থানের মহেশ কুমারের পরে রয়েছে মধ্যপ্রদেশের উৎকর্ষ আওয়াধিয়া এবং মহারাষ্ট্রের কৃষাং যোশী। হনুমানগড়ের বাসিন্দা মহেশ কুমার, সিকারে থাকার সময় নিট পরীক্ষার জন্য প্রস্তুতি নেয়। শীর্ষ ১০ জনের মেধাতালিকায় জায়গা করে নিয়েছে দিল্লি, গুজরাট, পাঞ্জাব এবং মহারাষ্ট্রের জেনারেল ক্যাটেগরির পড়ুয়ারা।

নিট ইউজি পরীক্ষার প্রথম দশের মেধা তালিকায় রয়েছে সবচেয়ে বেশি পরীক্ষার্থী দিল্লির। রাজধানী শহর থেকে তিন পড়ুয়া জায়গা করে নিয়েছে মেধা তালিকায়। এ ছাড়া এই তালিকায় রয়েছে মহারাষ্ট্র এবং গুজরাটের দুজন করে পরীক্ষার্থী। রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং পাঞ্জাব থেকে এক জন করে পরীক্ষার্থী প্রথম দশে রয়েছে। মেয়েদের মধ্যে প্রথম হয়েছে দিল্লির আভিকা আগরওয়াল। মেধাতালিকায় পঞ্চম স্থান দখল করেছে সে।

বিভাগ অনুসারে রেজিস্ট্রেশনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি পড়ুয়া রেজিস্ট্রেশন করেছে ওবিসি ক্যাটেগরিতে। এ বছর ওবিসি পরীক্ষার্থী ছিল ৯.৪ লক্ষ। তার পরে অসংরক্ষিত ক্যাটেগরিতে ৬.৮৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী রেজিষ্ট্রেশন করেছিল। এসসি পরীক্ষার্থী ছিল ৩.৩ লক্ষ। ইডব্লিউএস ক্যাটেগরির পরীক্ষার্থী ছিল ১.৫ লক্ষ এবং এসটি ক্যাটেগরির পড়ুয়া ছিল ১.৫ লক্ষ।

এক নজরে নিট ইউজি পরীক্ষায় প্রথম দশের মেধা তালিকা
প্রথম, মহেশ কুমার (রাজস্থান)

দ্বিতীয়, উৎকর্ষ আওয়াধিয়া (মধ্যপ্রদেশ)

তৃতীয়, কৃষাং জোশী (মহারাষ্ট্র)

চতুর্থ, মৃণাল কিশোর ঝা (দিল্লি)

পঞ্চম, আভিকা আগরওয়াল (দিল্লি)

ষষ্ঠ, জেনিল বিনোদভাই ভায়ানি (গুজরাট)

সপ্তম, কেশব মিত্তল (পাঞ্জাব)

অষ্টম, ঝা ভাব্য চিরাগ (গুজরাট)

নবম, হর্ষ কেদাওয়াত (দিল্লি)

দশম, আরভ অগ্রবাল (মহারাষ্ট্র)

লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে কত খরচ হয়েছে রাজ্যের? বিধানসভায় জানালেন মন্ত্রী শশী পাঁজা

এই দিনকাল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের চালু করা সামাজিক সুরক্ষামূলক প্রকল্পের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প লক্ষ্মীর ভাণ্ডার (Lakkhir Bhandar)। তৃতীয় বার রাজ্যে ক্ষমতায় এসে ২০২১ সালে এই প্রকল্প চালু করেন মুখ্যমন্ত্রী। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের আওতায় মহিলাদের মাসে মাসে ১০০০ টাকা করে দেওয়া হয় রাজ্যের তরফে।

কিন্তু এখনও পর্যন্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে কত জন সুবিধা পেয়েছেন? বিধানসভায় (WB Assembly) এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানান, ২০২৪ সালের ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত নথিভুক্ত লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকের সংখ্যা ২ কোটি ১৫ লক্ষ ৮৮ হাজার ৭৭৫ জন। এই প্রকল্পে কত টাকা ব্যয় হয়েছে, সে প্রসঙ্গে মন্ত্রী জানান, এই বিপুল সংখ্যক মানুষের জন্য রাজ্যের অর্থ ব্যয় হয়েছে ৪৮ হাজার ৪৮৯.৭২ কোটি টাকা। 

উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারকে বিরোধীরা নানান সময়ে নিশানা করেন ভাতা দেওয়া নিয়ে। কর্মসংস্থান না করে ভাতা দিয়ে ভোট শাসকদলের অনুকূলে আনার চেষ্টা করা হয় বলে অভিযোগ করেন বিরোধীদের অনেকে। তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের সমালোচনা করলেও বিজেপি রাজ্যে ক্ষমতায় এলে ‘অন্নপূর্ণা যোজনা’য় ৩ হাজার টাকা দেওয়ার কথা বলে। অতীতে রাজ্য সরকারের বহু প্রকল্প আন্তর্জাতিক মঞ্চে স্বীকৃতি পেয়েছে। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী’র মত প্রকল্পগুলি জোড়াফুল শিবিরকে নির্বাচনে অনেকটা মাইলেজ দিয়েছে বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের। আগামী ২০২৬ এর নির্বাচনের আগে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে টাকার পরিমাণ নবান্ন বাড়ায় কি না সেদিকেই নজর গ্রাম বাংলার।

১৭ জুন কলেজে ভর্তির পোর্টালের সূচনা করবেন শিক্ষামন্ত্রী, আবেদন কবে থেকে?

এই দিনকাল: আগামী ১৭ জুন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির (College Admission) জন্য পোর্টালের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হবে। সূচনা করবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। আনুষ্ঠানিক ভাবে পোর্টালের সূচনা হওয়ার পর দিন থেকেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, চলতি জুন মাসের ১৭ তারিখে কেন্দ্রীয়ভাবে অ্যাডমিশন পোর্টালের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর পর ১৮ জুন দুপুর ২টো থেকে রেজিস্ট্রেশন ও আবেদন প্রক্রিয়া করা যাবে। যা চলবে ১ জুলাই পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ জুলাই মেধা তালিকা ও কলেজ ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স-এর তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার পর ৬ থেকে ১২ জুলাই যে আসন গুলি অ্যালার্ট করা হবে তার ওপর নির্ভর করে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। আর নতুন সেমেস্টারে ক্লাস শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে।

তবে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। এই তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে সহযোগিতা পাবে বলে জানানো হয়েছে। এক জন পড়ুয়া সর্বোচ্চ ২৫ টি কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।