Category Archives: দেশ

Two Nation Theory: ‘দ্বি-জাতি তত্ত্ব প্রথম প্রচার করেছিলেন সাভারকর’, আম্বেদকরের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি কর্নাটকের মন্ত্রীর

এই দিনকাল: ধর্মের ভিত্তিতে (Two Nation Theory) ভাগ হয়েছিল ভারতবর্ষ। দেশভাগের জন্য অনেকে মহম্মদ আলি জিন্নাহকে দায়ী করেন। তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-র পুত্র তথা কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গের (Priyank Kharge)। তাঁর দাবি, ভারতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ধারণাটি প্রথম তুলেছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। এমনকি মহম্মদ আলি জিন্নাহ এবং মুসলিম লীগ কর্তৃক তা গৃহীত হওয়ার অনেক আগে সাভারকর ধর্মের ভিত্তিতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রচার করেন।

রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে লেখেন, ‘দ্বি-জাতির ধারণাটি প্রথম ‘বীর’ সাভারকর উত্থাপন করেছিলেন এবং তাঁর ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ সেই তত্ত্বকে সমর্থন করেছিল।’ কর্নাটকের তথ্য প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনলোজি মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে সাভারকরের লেখা এবং বক্তৃতা উল্লেখ করে ঘটনার ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘১৯২২ সালে লেখা ‘এসেন্সিয়াল অফ হিন্দুত্ব’ বইতে, সাভারকর হিন্দুত্বকে ধর্ম দিয়ে নয়, হোমল্যান্ড দ্বারা সংজ্ঞায়িত করেছিলেন, ভারতকে ‘পিতৃভূমি এবং পবিত্রভূমি’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন তিনি।’ খাড়গে উল্লেখ করেন, ১৯৩৭ সালে আহমেদাবাদে হিন্দু মহাসভার ১৯তম অধিবেশনে সাভারকর বলেছিলেন, ‘ভারতে পাশাপাশি দুটি বিরোধী জাতি বসবাস করছে। আজ ভারতকে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং সমজাতীয় জাতি হিসেবে ধরে নেওয়া যায় না। বিপরীতে, ভারতে প্রধানত দুটি জাতি রয়েছে: হিন্দু এবং মুসলিম।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন ১৯৪৩ সালে নাগপুরে সাভারকরের মন্তব্য ছিল: ‘মিস্টার জিন্নাহর দ্বি-জাতি তত্ত্বের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। আমরা, হিন্দুরা, আমরা নিজেরাই একটি জাতি, এবং এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য যে হিন্দু এবং মুসলিম দুটি জাতি।’

এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি কি এই ইতিহাস অস্বীকার করে? পাশাপাশি বি আর আম্বেদকরের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘অদ্ভুত মনে হলেও, এক জাতি বনাম দ্বি-জাতি ইস্যুতে মিস্টার সাভারকর এবং মিস্টার জিন্নাহ একে অপরের বিরোধী হওয়ার পরিবর্তে সম্পূর্ণ একমত। উভয়েই কেবল একমত নন, বরং জোর দিয়ে বলেন যে ভারতে দুটি জাতি রয়েছে – একটি মুসলিম জাতি এবং অন্যটি হিন্দু জাতি। তারা কেবল দুটি জাতি কোন শর্তে জীবন যাপন করবে সেই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।’

Humayun’s Tomb Collapses: মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কাছে দরগার ছাদ ভেঙে মৃত্যু ৬ জনের

এই দিনকাল: দ্বিতীয় মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কাছে (Humayun’s Tomb Collapses) একটি দরগার ছাদ ভেঙে মৃত্যু হল ৬ জনের। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেশ কয়েক জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার ফলে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। যাদের মধ্যে নয় জনকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুক্রবারের নামাজের জন্য মানুষজন দরগায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা ভেঙে পড়ে সেটির একাংশের ছাদ। দরগা শরীফ পাট্টে শাহ নিজামুদ্দিন পূর্বের হুমায়ুনের সমাধির কাছে অবস্থিত। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি খোলা প্রাঙ্গণের চারপাশে একটি ছোট সবুজ ভবন রয়েছে। সেটির এক পাশের ছাদ ভেঙে পড়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দিল্লির দমকল বাহিনী, দিল্লি পুলিশ, এনডিআরএফ এবং দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ একাধিক উদ্ধারকারী সংস্থা। তারা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরনো ছিল ভেঙে পড়া ছাদটি। শুক্রবার যখন সেটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় দরগার ভেতরে ছিল ১৫ থেকে ২০ জন লোক। যাদের মধ্যে ইমামও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থলটি বর্তমানে ঘিরে রাখা হয়েছে।

President Droupadi Murmu: ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এল ‘অপারেশন সিঁদুর’

এই দিনকাল: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Droupadi Murmu) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উঠে এল ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান প্রসঙ্গ। দেশের ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের সাংবিধানিক প্রধান। সেই ভাষণে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন তিনি।

গত ২২ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে খুন করেছিল। সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর গত ৭ মে ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছিল। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এদিন সেই অভিযানের কথা উঠে আসে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা সন্ত্রাসবাদের তীব্র আঘাতের মুখোমুখি হয়েছি। কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে যাওয়া নিরীহ নাগরিকদের হত্যা চরম অমানবিক। ভারত প্রত্যুত্তর দিয়েছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে, ইস্পাত-কঠিন প্রত্যয়ে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ দেখিয়ে দিয়েছে যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের সুরক্ষায় যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। কৌশলগত দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতার মেলবন্ধনে তাঁরা সীমান্তের ওপারে জঙ্গিদের একের পর এক ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার সংগ্রামের ইতিহাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রত্যুত্তরের ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। যারা আমাদের বিভাজিত করতে চায়, তাদের সবচেয়ে জোরালো জবাব এটাই। সাংসদদের বহুদলীয় প্রতিনিধিদল ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যেভাবে কাজ করেছেন, তাতেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই ঐক্য। সারা বিশ্ব ভারতের অবস্থান প্রত্যক্ষ করেছে। বার্তা পৌঁছে গেছে যে আমরা আগ্রাসনে তৎপর হব না, কিন্তু আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করতে প্রতিশোধ গ্রহণেও দ্বিধা করব না।’

প্রতিরক্ষা খাতে ভারত যে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে তা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ”অপারেশন সিঁদুর’ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির সাফল্য প্রমাণিত করেছে। স্পষ্ট হয়েছে যে আমরা ঠিক পথে এগোচ্ছি। আমাদের দেশজ উৎপাদন কর্মসূচি সেই স্তরে পৌঁছেছে যা নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় বহু সরঞ্জাম নির্মাণে সক্ষম। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ইতিহাসে এই সাফল্য এক অনবদ্য মাইলফলক।’

Triple Talaq: যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন, হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক স্বামীর, দায়ের অভিযোগ

এই দিনকাল: পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। আর শ্বশুরবাড়ি থেকে তা না দেওয়ায় শেষমেশ গুণধর স্বামী তিন তালাক (Triple Talaq) দিলেন স্ত্রীকে। তাও আবার হোয়াটসঅ্যাপে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের উদুপিতে। ইতিমধ্যে ওই মহিলা বিষয়টি জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযোগকারী মহিলা কাউপ তালুকের থেনকা গ্রামের বাসিন্দা। ২৮ বছর বয়স তাঁর।পাদুবিদ্রি পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই মহিলা উল্লেখ করেছেন, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর কাউপ তালুকের কোপ্পালঙ্গাড়ি কমিউনিটি হলে মুবীন শেখের সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় পাত্র পক্ষের পরিবার বিশাল অঙ্কের টাকার পণ দাবি করে। অভিযোগ, সেই দাবির প্রেক্ষিতে ১০০ গ্রাম সোনার গয়না এবং নগদ ২০ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছিল ওই মহিলার পরিবার। মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পর ইয়েরমালে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। মাত্র মাস খানেক তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে ভাল আচরণ করেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন অভিযুক্ত। শুধু তাই নয় অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরাও ওই মহিলাকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। 

বিয়ের পর একদিন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান তাঁর বাবা। অভিযোগ, সেখানে তাঁর ননদ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বাবাকে। এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে, অভিযোগকারিণীকে মারধর করা হয়। অভিযোগ পত্রে ওই মহিলা আরও লিখেছেন, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তাঁর স্বামী বিদেশে চলে যান। এর পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরও সোনা ও টাকা দাবি করতে শুরু করে। এমনকি হুমকি দেওয়া হয়, বাড়িতে থাকতে গেলে তাকে অতিরিক্ত যৌতুক আনতে হবে। অভিযোগ তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তার মাঝে গত ১৫ জুলাই তাঁর স্বামী তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে তিন তালাক দেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পাদুবিদ্রি থানার পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮৫, ১১৫(২), ৩৫২, ৩৫১(৩)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে।

Flood: বন্যায় ভেসে গেছে গ্রাম, যোগী রাজ্যের মন্ত্রী বললেন ‘গঙ্গা মাইয়ার’ আশীর্বাদ!

এই দিনকাল: বন্যা (Flood) কবলিত গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মৎস্য মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। দুর্ভোগে পড়া মানুষজনকে তিনি বলেন, আপনাদের দরজায় ‘গঙ্গা মাইয়া’ পৌঁছে গিয়েছে, এটি আশীর্বাদ! এক জন দায়িত্বশীল মন্ত্রী হয়ে তিনি কী ভাবে এমন অবিবেচকের মত কথা বললেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত এলাকার বন্যা কবলিত একটি গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী এবং নিষাদ দলের প্রধান সঞ্জয় নিশাদ। সেই সময় তিনি গ্রামবাসীদের বলেন, গঙ্গা নদী ‘তাঁদের পা পরিষ্কার করার জন্য’ দুয়ারে পৌঁছেছে। কানপুর দেহাত এলাকায় নিষাদের সফরের একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে, মন্ত্রীকে একদল লোক ঘিরে ধরে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন। সেই সময় এক জন তাঁর বাড়ির ভিতরে কতটা গভীরে জল পৌঁছে গিয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন। তার জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গা মাইয়া আপনার পা পরিষ্কার করার জন্য আপনার দরজায় পৌঁছে গিয়েছে, এটি আপনাকে সরাসরি স্বর্গে নিয়ে যাবে।’ মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর সচেতন গ্রামবাসীরা পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি। দুর্ভোগে পড়া মানুষজন নিষাদকে বলেন, গঙ্গা মায়ের আশীর্বাদ পেতে তিনি তাঁদের বাড়িতে থাকুন!

উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা যখন বন্যার কবলে এবং গঙ্গা ও যমুনা নদীর জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন অংশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সেই সময় নিষাদের মন্তব্যে বিস্মিত অনেকে। এই মন্তব্যকে অসংবেদনশীল হিসেবে দেখছে বিরোধীরা। এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয়, ‘মন্ত্রী নিজে লখনউয়ের একটি অভিজাত এলাকায় থাকেন; গঙ্গা ভুলে যান, তাঁর দরজা দিয়ে একটি ড্রেনও বয়ে যায় না। তাহলে, এর অর্থ কি এটা অনুমান করা উচিত যে মন্ত্রী সোজা… সেখানে যাবেন?’

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে নিষাদের ব্যাখ্যা, ‘আমি একটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম যেখানে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি বলেছিলাম যে, মুক্তির জন্য, দূরদূরান্ত থেকে অনেকে গঙ্গায় পবিত্র স্নান করতে আসে – এবং এখানে, গঙ্গা মাইয়া তাদের দরজায় চলে এসেছেন।’ এখানে না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিষাদরা নদীকে পুজো করি – আমাদের জীবন ও জীবিকার উৎস। তাই এই মন্তব্যের নিজস্ব প্রেক্ষাপট আছে।’

Cloudburst: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়, মৃত্যু ৪ জনের, নিখোঁজ ৫০ জনের বেশি

এই দিনকাল: মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) ফলে ভূমিধস উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায়। যার জেরে মৃত্যু হল চার জনের। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৫০ জনের বেশি। মঙ্গলবার বিকেলের এই ঘটনায় বহু মানুষ কাদায় চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তরকাশী জেলার ধরলি গ্রামের ভয়াবহ দৃশ্য সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে ক্ষীরগঙ্গা নদীর জলাভূমিতে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে চিৎকার করছেন। বহু বাড়ি ও দোকানপাট তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে ভূমিধসের ফলে। ইতিমধ্যে ঘটনা পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন। সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মুখ্যমন্ত্রী ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য অভিযান জারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেছেন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তিনি জানান, প্রশাসন সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সব ধরণের সাহায্য করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ধরালিতে ভূমিধস হয়। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে সেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘হরশীলের কাছে খীরগড় এলাকার ধরালি গ্রামে একটি বিশাল ভূমিধসের ফলে হঠাৎ বাড়িঘর ভেঙে ভেসে যায়।’ এতে আরও বলা হয়েছে, সেনারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেনাবাহিনী সাধারণ নাগরিকদের পাশে আছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে।

Muslim: মুসলিম হেডমাস্টারকে সরাতে পানীয় জলের ট্যাঙ্কে বিষ পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের, গ্রেফতার ৩

এই দিনকাল: সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার মুসলিম (Muslim), তাই তাঁকে সরানোর জন্য উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের প্ররোচনায় স্কুলের পানীয় জলের ট্যাঙ্কে বিষ মেশাল পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। সেই বিষাক্ত জল পান করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ১২ জন পড়ুয়া। ১৪ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বেলগাভি জেলার একটি স্কুলে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শ্রী রাম সেনা নামক একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর  স্থানীয় নেতাও রয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধান শিক্ষক সুলেমান গোরিনায়েক মুসলিম হওয়ায় তাঁর সুনাম নষ্ট করতে এবং তাঁর প্রতি মানুষের আতঙ্ক ও সন্দেহ তৈরি করতে ষড়যন্ত্র করেছিল অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয় তাঁকে বদলি করানোরও উদ্দেশ্য ছিল তাদের। আর সেই লক্ষ্য পূরণে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটায় অভিযুক্তরা। সুলেমান গত ১৩ বছর ধরে বেলগাভি জেলার হুলিকাট্টির সরকারি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। স্কুলের পানীয় জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল পান করার জেরে একে একে অসুস্থ হতে শুরু করে পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারোর মৃত্যু না হলেও এই অসুস্থতার ঘটনা ঘটতে থাকায় উদ্বেগ তৈরি হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের মধ্যে। দ্রুত চিকিৎসার ফলে অসুস্থ পড়ুয়ারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু সব মিলিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পানীয় জলের ট্যাঙ্কে বিষ দিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্র। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেলেটি জানায়, বিষাক্ত পদার্থের একটি বোতল তাকে দেওয়া হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল তা জলের ট্যাঙ্কে ঢেলে দেওয়ার জন্য। যে ব্যক্তি তাকে বোতলটি দিয়েছিল তার নাম কৃষ্ণ মাদার।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে কৃষ্ণকে চাপ দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছিল। কারণ সে ভিন জাতের তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল। আর যা সমাজে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিত সাগর পাতিল এবং নাগনাগৌড়া পাতিল। কৃষ্ণকে ব্ল্যাকমেইল করে এই কাজ করানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা ঘটনা ঘটেছে শ্রী রাম সেনা নামের ডানপন্থী সংগঠনের তালুক-স্তরের সভাপতি সাগর পাতিলের পরিকল্পনায়। পুলিশি জেরায় পাতিল স্বীকার করেছে, সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে একজন মুসলিম বসে রয়েছে, এটা কোনও ভাবেই সে মেনে নিতে পারছিল না। তিন অভিযুক্ত – সাগর পাতিল, নাগনাগৌড়া পাতিল এবং কৃষ্ণ মাদার – কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ‘ধর্মীয় ঘৃণা এবং মৌলবাদীদের দ্বারা পরিচালিত জঘন্য কাজ’ বলে গোটা বিষয়টিকে অভিহিত করেছেন তিনি। এই অপরাধ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেলাগাভি জেলার সাভাদত্তি তালুকের হুলিকট্টি গ্রামের সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁকে অন্যত্র বদলি করার খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে, শ্রীরাম সেনার তালুক সভাপতি সাগর পাতিল এবং আরও দুজন স্কুলের শিশুদের পানীয় জলে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ দিন আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, কিন্তু সৌভাগ্যবশত, কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।’

Malegaon blasts: মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে বেকসুর খালাস সাধ্বী-সহ সাত অভিযুক্ত, ‘কারা মারল ৬ নামাজিকে?’ প্রশ্ন ওয়েইসির

এই দিনকাল: মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে ২০০৮ সালের বিস্ফোরণের (Malegaon blasts) ঘটনায় এনআইএ এর বিশেষ আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে সাধ্বী প্রজ্ঞা ওরফে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর-সহ সাত অভিযুক্তকে। বৃহস্পতিবার আদালতের এই রায়ের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন তথা আইমিম দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর প্রশ্ন, ছয় নামাজিকে কারা মারল?

বৃহস্পতিবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পাঁচটি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় হতাশাজনক। বিস্ফোরণে ছয়জন নামাজি নিহত হন এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। তাদের ধর্মের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল তদন্ত/প্রসিকিউশনের কারণে অভিযুক্তরা খালাস পেয়েছেন।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিস্ফোরণের ১৭ বছর পর, আদালত প্রমাণের অভাবে সকল অভিযুক্তকে খালাস করে দিয়েছে। মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণের মামলায় আসামিদের খালাসের পরেই যেভাবে রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল মোদি ও ফড়ণবিস সরকার, এই রায়ের বিরুদ্ধেও কি তেমন আপিল করা হবে? মহারাষ্ট্রের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাজনৈতিক দলগুলি কি জবাব চাইবে, ৬ জন মানুষকে কে হত্যা করল?’

‘তৃতীয়ত, মনে রাখবেন, ২০১৬ সালে মামলার তৎকালীন প্রসিকিউটর রোহিণী সালিয়ান রেকর্ডে বলেছিলেন যে এনআইএ তাকে অভিযুক্তদের প্রতি ‘নরম’ হতে বলেছিল। ২০১৭ সালে, এনআইএ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে খালাস দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ২০১৯ সালেও একই ব্যক্তি বিজেপির সাংসদ হয়েছিলেন। চতুর্থত, মালেগাঁওয়ের ষড়যন্ত্র উন্মোচন করেছিলেন কারকারে এবং দুর্ভাগ্যবশত ২৬/১১ হামলায় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন যে তিনি তাঁকে অভিশাপ দিয়েছিলেন এবং তাঁর মৃত্যু তাঁর অভিশাপের ফল। পঞ্চমত, ত্রুটিপূর্ণ তদন্তের জন্য কি এনআইএ বা এটিএস আধিকারিকদের জবাবদিহি করা হবে? আমার মনে হয় আমরা এর উত্তর জানি। এটাই ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর’ মোদী সরকার। বিশ্ব মনে রাখবে যে তারা একজন সন্ত্রাসীকে সংসদ সদস্য করেছিল।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাস চলাকালীন উত্তর মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও শহরে একটি মসজিদের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। একটি মোটরসাইকেলে রাখা বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটে সেদিন। এই বিস্ফোরণের ফলে ছয় জন নিহত হন এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ সাত জনের। তদন্তে উঠে আসে যে এই বিস্ফোরণের পিছনে ছিল একটি একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পরে গ্রেফতার হন সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদশ্রীকান্ত পুরোহিত। যদিও পরে দু’জনেই জামিন পান। বৃহস্পতিবার এনআইএ বিশেষ আদালত জানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সন্ত্রাসে অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০২৪ সালে তাঁকে আর প্রার্থী করেনি বিজেপি।

Union Home Minister Amit Shah: ‘কংগ্রেস পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছে, বিজেপি তা ফিরিয়ে আনবে’: অমিত শাহ

এই দিনকাল: রাজ্যসভায় বুধবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশেষ আলোচনার সময় কংগ্রেসকে নিশানা করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি বলেন, কংগ্রেস পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছে, কিন্তু বিজেপি সরকার তা ফিরিয়ে আনবে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এদিন জোরালো বক্তব্য রাখেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাত শিবিরকে নিশানা করে বলেন, ‘কংগ্রেস পাক-অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু বিজেপি সরকার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনবে।’ অপারেশন মহাদেব সম্পর্কেও এদিন শাহ কথা বলেন। এই অভিযানে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর, নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে আমি অনেক ফোন পেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন, এই সন্ত্রাসীদের মাথায় গুলি করে হত্যা করার জন্য। আমাদের কর্মকর্তারা জঙ্গিদের মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে।’ এদিন শাহ আরও বলেন, ‘অপারেশন মহাদেব অভিযানে নিহত ৩ সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রমাণ করে যে পহেলগাঁওয়ে হামলায় লস্কর-ই-তৈবার হাত ছিল।’ প্রসঙ্গত, সোমবার শ্রীনগরের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিরা আসলে পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানান শাহ।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে যে গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে সেগুলি পহেলগাঁও কাণ্ডে ব্যবহৃত গুলির খোলের সঙ্গে ৯৯ শতাংশ মিলে গেছে। এদিন অমিত শাহ কাশ্মীরকে সন্ত্রাস মুক্ত করার বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি একটি জোরালো বার্তা দিতে চাই যে কাশ্মীর সন্ত্রাসবাদমুক্ত হবে।’ শাহ বলেন, ‘আমি পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেছি… তাঁরা সকলেই তাঁদের প্রিয়জন হারানোর জন্য কাঁদছিল… জঙ্গিরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে খুন করেছে।’

Ranitidine: অম্বলের এই বিশেষ ওষুধে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকার আশঙ্কা, তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

এই দিনকাল: অম্বলের জন্য ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ রেনিটিডিনে (Ranitidine) ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান কারসিনোজেন থাকতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও-এর। আর তাই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওষুধ নিয়ামক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেনটিডিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি যেন ওষুধে নাইট্রোসোডাইমিথাইলঅ্যামাইন বা এনডিএমএ লেভেলের উপর নজর রাখে। পাশাপাশি, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে শেলফ লাইফ কমানোর পরামর্শও দিয়েছে সিডিএসসিও।

ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড বা ডিটিএবি- এর ৯২তম বৈঠক হয়েছিল গত ২৮ এপ্রিল। সেই বৈঠকে গৃহীত সুপারিশের পর ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই), ডক্টর রাজীব সিং রঘুবংশী এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। রেনিটিডিনে অশুদ্ধতা সংক্রান্ত আশঙ্কা খতিয়ে দেখতে গত বছরের ডিসেম্বরে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল বোর্ড। সেই কমিটির তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটি পর্যালোচনা করে ডিটিএবি। তার ভিত্তিতে, এনডিএমএ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে এমন স্টোরেজ পরিস্থিতি-সহ বিষয়টির সমস্ত দিক পরীক্ষা করার জন্য একটি বৃহত্তর কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে ডিটিএবি।

এছাড়াও, বোর্ডের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে এনডিএমএ-এর উপস্থিতির ভিত্তিতে রেনিটিডিনের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা মূল্যায়ন করার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ একটি গবেষণা-কর্ম চালাবে। প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এখন ঝুঁকি-ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, যেমন শেলফ লাইফ কমানো, স্টোরেজ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা এবং তাদের সরবরাহ ক্ষেত্রে এনডিএমএ পরীক্ষার প্রোটোকল বাড়ানো। দিল্লি এইমসের অনকোলজিস্ট ডক্টর অভিষেক শঙ্কর এ বিষয়ে বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা আইএআরসি-এর তথ্য অনুসারে, রেনিটিডিন গ্রুপ ২এ কার্সিনোজেন বিভাগে পড়ে, যার অর্থ এটি একটি সম্ভাব্য হিউম্যান কারসিনোজেন। ফ্যামোটিডিন এবং প্যান্টোপ্রাজলের মতো নিরাপদ বিকল্প ওষুধ থাকার পরেও এটি প্রেসক্রাইব করা উচিত নয়।’