Category Archives: দেশ

Mallikarjun Kharge: ‘দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি সংবিধানের জন্য হুমকি’, আরএসএস-বিজেপিকে বিঁধে বললেন খাড়গে

এই দিনকাল: দেশে মহিলা, দলিত, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধির জন্য বিজেপি (BJP) ও সঙ্ঘপরিবারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা বিজেপি এবং দলটির মেন্টর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য উল্লেখ করে খাড়গে লেখেন, দলিতদের বিরুদ্ধে অপরাধ ৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে একই সময়ে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯১%। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, সমাজের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংস ও বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশিত সামন্ততান্ত্রিক ও বর্ণবাদী মানসিকতাকে বিজেপি সক্রিয় করছে এবং বৈধতা দিচ্ছে।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে দলিত ব্যক্তি হরিওম বাল্মীকিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের উপর জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা হয়েছে, হরিয়ানার এক জন দলিত আইপিএস অফিসার মানসিক হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এই সমস্ত ঘটনার কথা খাড়গে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ‘এগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়’। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘এগুলি আরএসএস-বিজেপির সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতার একটি বিপজ্জনক প্রকাশ এবং সংবিধান, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের নীতির উপর সরাসরি আঘাত।’

দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণী, সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে দমন করার লক্ষ্যে ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতিতে শাসক দল লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন খাড়গে। তিনি বলেন, এই ধরনের রাজনীতি ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য মারাত্মক হুমকি। তাঁর কথায়, ‘ভারত সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হবে, কোনও চরমপন্থী মতাদর্শের ডিক্রি দ্বারা নয়।’

Muslim: হায়দরাবাদে ধর্ম জিজ্ঞেস করে ডেলিভারি বয়কে মার, দায়ের অভিযোগ

এই দিনকাল: ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞেস করে এক ডেলিভারি বয়কে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের পুরাতন শহরে। মঙ্গলবার রাতে মোগলপুরায় একটি পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার সময় তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আক্রান্ত ডেলিভারি বয়ের নাম মহম্মদ নাদিম। তালাব কাট্টার বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, আক্রমণকারীরা তাঁর নাম এবং ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করে, এর পর তাঁকে মারধর করে। তবে যারা এই আক্রমণ করেছে তাদেরকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। মারধরের পর গুরুতর আহত হন ওই ডেলিভারি বয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ওসমানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর তিনি অভিযোগ দায়ের করতে মোগলপুরা থানায় যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর জখম শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি পড়ে যান এবং তাঁকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্য দিকে হায়দরাবাদের মতো শহরে এমন ঘটনায় সরব হয়েছেন মজলিস বাঁচাও তেহরিক। সংঠনের মুখপাত্র আমজাদুল্লাহ খান আক্রান্ত ডেলিভারি বয় নাদিমকে দেখতে যান। সেই সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এই ঘটনায় মোগলপুরা পুলিশ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (বিএনএস) আইনের ১১৭(২) এবং ৩(৫) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে।

Muslim: উত্তর প্রদেশে মুসলিম রোগীর প্রতি ‘বৈষম্য’ প্রকাশ্যে আনা সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর যোগীর পুলিশের

এই দিনকাল: উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে মুসলিম (Muslim) রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করায় চিকিৎসকের সংকীর্ণ ও ঘৃণ্য মানসিকতা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়, কী ভাবে এক জন চিকিৎসক ধর্মীয় কারণে রোগীর পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এ বার সেই খবর প্রকাশ্যে আনায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভিডিওটি প্রচার করার কারণে দুই স্থানীয় সাংবাদিক মায়াঙ্ক শ্রীবাস্তব এবং মহম্মদ উসমানের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। চিফ মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট মহেন্দ্র গুপ্ত কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, সাংবাদিকরা ‘জোর করে’ লেবার রুমে প্রবেশ করে ভিডিও করেছেন এবং হাসপাতালের সম্পত্তির ক্ষতি করেছেন।

উল্লেখ্য, শামা পারভিন (Shama Parveen) নামে এক মুসলিম মহিলা অভিযোগ করেন, জৌনপুরের জেলা হাসপাতালের এক জন ডাক্তার ধর্মীয় কারণে প্রসবকালীন সময়ে তাঁর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেছেন। ১ অক্টোবর, সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে শামা দাবি করেন, ডাক্তার তাঁকে বলেছেন, ‘আমি এক জন মুসলিম মহিলার চিকিৎসা করব না।’ অভিযোগ, শুধু তাই নয়, উপস্থিত নার্সকে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে না নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন ওই চিকিৎসক। শামার পরিবারকে অন্য কোথাও চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যেতে বলেন অভিযুক্ত ডাক্তার।

বিষয়টি নিয়ে চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট মহেন্দ্র গুপ্ত বলেন, তিনি অভিযোগ শুনে বিস্মিত হয়েছেন এবং ডাক্তারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘ডাক্তার ধর্মের ভিত্তিতে এমন কোনও মন্তব্য করার কথা অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

অন্য দিকে, এই ঘটনা তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রাগিনী সোনকার এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ফল। প্রসববেদনায় ভোগা কোনও মহিলা চিকিৎসা না পাওয়ার কথা মিথ্যা বলবেন না।’ ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পরিবর্তে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তিনি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ওই বিধায়ক বলেন, তিনি জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রয়োজনে বিধানসভায় বিষয়টি তুলবেন।

কংগ্রেস নেতা বিকাশ উপাধ্যায় ভিক্কি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে একজন চিকিৎসক, যিনি সমাজের সকল শ্রেণীর সেবা করার শপথ নিয়েছেন, তিনি ধর্মীয় কারণে চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীর কোনও জাতি বা ধর্ম নেই। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ 

তবে বিজেপি মুখপাত্র অবনীশ ত্যাগী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং সমাজে বিভেদ ছড়ানোর জন্য। বিজেপি নেতার কথায়, ‘সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতির আদলে সমাজের সকল শ্রেণীর মধ্যে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারে কোনও বৈষম্য নেই।’

Suicide: চণ্ডীগড়ে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী আইপিএস অফিসার

এই দিনকাল: স্ত্রী আইএএস অফিসার, সরকারি কাজে তিনি গিয়েছেন জাপানে। সেই ফাঁকে নিজেকে গুলি (Suicide) করে শেষ করে দিলেন আইপিএস অফিসার। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১-এর একটি বাড়িতে। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আত্মঘাতী সিনিয়র আইপিএস অফিসারের নাম পূরণ কুমার। কেন তিনি নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে চণ্ডীগড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কণওয়ারদীপ কৌর সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রায় ১.৩০ মিনিটে, আমরা সেক্টর ১১ থানায় খবর পাই। সেক্টর ১১-এর এসএইচও এবং তাঁর দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আত্মহত্যার খবর মিলেছে… মৃতদেহটি আইপিএস অফিসার পূরণ কুমারের বলে শনাক্ত করা হয়েছে।’ কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি বলেন,  ‘সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে এবং তদন্ত চলছে।’

প্রসঙ্গত, ২০০১ ব্যাচের অফিসার পূরণ কুমার। ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসের একটি উচ্চ পদমর্যাদার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল পদে তিনি ছিলেন। ২৯ সেপ্টেম্বর রোহতকের সুনারিয়ায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে নিযুক্ত ছিলেন পূরণ। নিহত পুলিশ কর্তার স্ত্রী, আমান পি কুমার, একজন আইএএস অফিসার। তিনি বর্তমানে জাপানে একটি সরকারি সফরে রয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর ভারতে ফিরে আসার কথা।

Bihar Assembly Election: ৬ এবং ১১ নভেম্বর দু দফায় বিহারে বিধানসভা ভোট, ঘোষণা কমিশনের

এই দিনকাল: বেজে গেল বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) দামামা। আগামী ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর দু দফায় সে রাজ্যে হবে ভোট গ্রহণ, সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হল এমনটাই। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে বিহারের নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেন।

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জ্ঞানেশ কুমার জানান, আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু দফায়। আগামী ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। ২৪৩ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ভোট হবে ১২১টিতে, বাকিগুলিতে ভোট গ্রহণ হবে দ্বিতীয় দফায়। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। প্রথম দফার ভোটের জন্য নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রথম দফায় প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ অক্টোবর। অন্য দিকে, দ্বিতীয় দফার জন্য নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ক্ষেত্রে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ অক্টোবর।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি গত শনিবার দাবি জানিয়েছিল বিহারে বিধানসভা নির্বাচন এক বা দু দফায় সম্পন্ন করার জন্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, পদ্ম শিবিরের সেই দাবি কার্যত মেনে নিল কমিশন। অন্য দিকে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ আগামী ২২ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। কারণ ওই সময়ে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। 

গত বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০২০ সালে বিহারে ভোট হয়েছিল তিন দফায়। যদিও সে সময় করোনা মহামারী চলছিল। বিজেপি-সহ এনডিএ জোট ১২৫ আসন পেয়ে খুব কম ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল সে বার। (২৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৭৪, জেডিইউ জয়ী হয়েছিল ৪৩ এবং অন্যান্যরা পেয়েছিল ৮টি আসন)। অন্য দিকে বিরোধী শিবির পেয়েছিল ১১০ আসন (আরজেডি ৭৫, কংগ্রেস ১৯, অন্যান্যরা ১৬)।

Dalit: ‘দলিত হয়ে মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা কেন?’ গুজরাটে শ্রমিককে বেধড়ক মার

এই দিনকাল: মন্দিরে যাওয়ার কথা বলায় এক দলিত (Dalit) শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের হিমতনগরে। শুধু মারধর নয়, ওই শ্রমিককে জাত তুলে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত শ্রমিক।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আক্রান্ত শ্রমিকের নাম শৈলেশ সোলাঙ্কি। তিনি হিমতনগরের খেদাওয়াড়া লক্ষ্মীপুরা গ্রামের বাসিন্দা। ৩৮ বছর বয়সী সোলাঙ্কি পেশায় দিনমজুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। সোলাঙ্কি বালুচপুরের একটি রাস্তার কাছে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই সময়, একটি স্কুটারে চেপে আসেন ভরত প্যাটেল নামের এক ব্যক্তি। তিনি ধনপুরার বাসিন্দা। ভরত সোলাঙ্কির কাছে গিয়ে জানতে চান তিনি কেন ঘোরাঘুরি করছেন? তাঁর পরিচয় জানতে চান ওই স্কুটার আরোহী। সোলাঙ্কি তাঁকে বলেন, তিনি কাল ভৈরব মন্দিরে যাচ্ছেন। কিন্তু প্যাটেল তাঁর কথা অবিশ্বাস করেন, সেই সঙ্গে প্রমাণ চান। সোলাঙ্কি বলেন, ‘আমি তাঁকে আমার আধার কার্ড দেখাই। আমার পদবি দেখে তিনি জানতে চান, আমি এসসি কি না। আমি যখন তাঁকে বললাম যে আমি দলিত, তখন আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমি দলিত হয়ে রাতে মন্দিরে ঘুরতে এসেছি। তারপর জাত তুলে অপমান করার সময় আমাকে বেশ কয়েক বার চড় মেরেছেন।’

এই পরিস্থিতিতে তিতপুর গ্রামের দুই ব্যক্তি, নরেন্দ্রসিংহ পারমার এবং জগৎসিংহ পারমার, বাইকে করে ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা দুজনে এসে সোলাঙ্কির উপর চলা অত্যাচার বন্ধ করেন। কিন্তু অভিযোগ প্যাটেল সোলাঙ্কিকে জোর করে তাঁর স্কুটারে তুলে নিয়ে যান, তাঁকে ঘোরওয়াড়ার কাছে অন্য একটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দেন। সেই সঙ্গে হুমকি দেন, ফিরে আসলে তাঁর পরিণতি খারাপ হবে। পরে সোলাঙ্কি বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানান। সেই সঙ্গে যারা জুলুম বন্ধ করেছিলেন সেই দুই ব্যক্তির সঙ্গেও দেখা করেন, ওই দু’জন সাক্ষী হতেও রাজি হন। হিমতনগর গ্রামীণ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোলাঙ্কি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ এসসি এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Muslim: যোগীরাজ্যে মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা করতে অস্বীকার ডাক্তারের

এই দিনকাল: পড়াশোনা শেষ করে যখন কেউ চিকিৎসকের পেশায় পা রাখেন তখন ধর্ম, জাত, ভাষা, সমস্ত বৈষম্যকে দূরে রেখে কর্তব্য পালন করতে হয়, এটাই চিকিৎসকের নৈতিক দায়। কিন্তু বর্তমান ভারতবর্ষে যেখানে প্রতিনিয়ত ঘৃণার চাষাবাদ বাড়ছে সেই আবহে এবার মুসলিম (Muslim) রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করলেন এক মহিলা ডাক্তার। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে।

এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলার অভিযোগ, জৌনপুরের জেলা হাসপাতালের এক মহিলা ডাক্তার তাঁর ধর্ম পরিচয়ের কারণে তাঁর সন্তান প্রসব করাতে অস্বীকার করেছেন। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযোগকারী রোগীর নাম শামা পারভিন। তাঁর অভিযোগ, ‘ডাক্তার বলেন তিনি মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা করবেন না। আমাকে সকাল ৯টার দিকে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার প্রসব হয়নি। আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম, কিন্তু ডাক্তার আমার চিকিৎসা করতে রাজি হননি। এমনকি অন্যদেরও বলেন, আমাকে যেন অপারেশন থিয়েটারে না পাঠানো হয়।’ এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবে হতভম্ব হয়ে যান ওই মহিলা। পারভিন জানান, তিনি ডাক্তারকে বলেন যে তিনি হিন্দু-মুসলিম করে রোগীদের মধ্যে বৈষম্য করছেন। কিন্তু গুণবতী চিকিৎসক সে কথায় কর্ণপাত করেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। পারভিন আরও বলেন, ‘তবুও, তিনি আমাকে উপেক্ষা করেছেন।’

পারভিনের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন তাঁর স্বামী আরমান। আরমানের দাবি, ডাক্তার কেবল তাঁর স্ত্রীকে নয়, সেদিন ভর্তি হওয়া অন্য একজন মুসলিম মহিলাকেও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন।আরমান বলেন, ‘তিনি সমস্ত রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলেন, কিন্তু যখন আমার স্ত্রী এবং অন্য একজন মুসলিম মহিলার প্রসঙ্গ আসে, তখন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।’ পরিবারটি হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।

Gang Rape: রক্ষকই ভক্ষক! গণধর্ষণের অভিযোগে চাকরি থেকে বরখাস্ত দুই পুলিশ কর্মী

এই দিনকাল: যাদের হাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষার ভার, সেই পুলিশের দুই কর্মীর বিরুদ্ধে উঠল গণধর্ষণের (Gang Rape) মতো গুরুতর অভিযোগ। ইতিমধ্যে তামিলনাড়ু পুলিশের সদস্য অভিযুক্ত দুই উর্দিধারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অন্ধ্রপ্রদেশের এক তরুণীকে তাঁর মায়ের সামনে গণধর্ষণ করে দুই পুলিশ কনস্টেবল।তিরুভান্নামালাই জেলা পুলিশের বিবৃতি অনুসারে, অভিযুক্ত দুই কনস্টেবলের নাম ডি সুরেশরাজ এবং পি সুন্দর। দুজনকেই এই মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে এক ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘৩০ সেপ্টেম্বর তিরুভান্নামালাই জেলায় এক মহিলাকে ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত দু’জন পুলিশ কর্মীকে আজ ভারতের সংবিধানের ৩১১ ধারার অধীনে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।’ তদন্তকারীদের মতে, নির্যাতিতা এবং তাঁর মা ফল বিক্রেতা। ঘটনার দিন তাঁরা অন্ধ্রপ্রদেশ থেকে তিরুভান্নামালাইতে যাচ্ছিলেন। মঙ্গলবার রাতে টহল দেওয়ার সময় সুরেশরাজ এবং সুন্দর মা ও মেয়েকে আটক করেন। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, তরুণী এবং তাঁর মাকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে যায় দুই উর্দিধারী। এর পর মায়ের সামনে মেয়েকে গণধর্ষণ করে।

অন্য দিকে, এই ঘটনায় তীব্র ক্ষোভ তৈরি হয়েছে তামিলনাড়ুতে। সে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামী তামিলনাড়ুর ক্ষমতাসীন ডিএমকে সরকারের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘ডিএমকে সরকারকে লজ্জায় মাথা নত করতে হবে। আমি স্ট্যালিন মডেল সরকারের নিন্দা জানাই, কারণ পুলিশের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করার জন্য মহিলাদেরকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে।’ সে রাজ্যে যৌন অপরাধের সংখ্যা বৃদ্ধির আবহে এই ঘটনা ঘটল। তামিলনাড়ুতে প্রায়শই পুলিশ কর্মী এবং শিক্ষকদের মতো ব্যক্তিত্বদের বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। যদিও ডিএমকে বলেছে, এই ধরনের প্রতিটি ক্ষেত্রে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে, ন্যায়বিচার এবং দোষী সাব্যস্ত করার জন্য দ্রুত আইনি প্রক্রিয়া চলছে।

Congress: মোদীর রাজ্যে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগান নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে কংগ্রেস

এই দিনকাল: ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে নির্বাচনী অস্ত্র করে এ বার বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে গুজরাট কংগ্রেস (Congress)। সেই সঙ্গে এই প্রচারণার সমর্থনে পাঁচ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে হাত শিবির। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী দেশব্যাপী নির্বাচনী জালিয়াতির বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের পর গুজরাট কংগ্রেস ৩ অক্টোবর থেকে রাজ্যব্যাপী ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচারণা শুরু করতে চলেছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে বড় ঝড় বইতে চলেছে। কংগ্রেস এই অভিযোগকে একটি গণ রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। লোকসভা, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন রাহুল গান্ধী। এ বার, গুজরাট কংগ্রেস এই বিষয়টিকে সরাসরি সুরাটের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, কংগ্রেস সুরাট থেকে রাজকোট, আহমেদাবাদ থেকে ভদোদরা, এবং সমগ্র গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানে ভর করে রাজ্যব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবে। ভোট চুরি বন্ধ করতে এবং ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করার দাবিতে মানুষের স্বাক্ষর চাইবেন তাঁরা। 

বুধবার আহমেদাবাদে এক সাংবাদিক বৈঠকে গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাভড়া বলেন, ‘গণতন্ত্রে, প্রতিটি নাগরিকের ভোটের সমান মূল্য, সে প্রধানমন্ত্রী হোন, রাষ্ট্রপতি হোন বা সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিজেপির শাসনকালে, একসময়ের স্বশাসিত নির্বাচন কমিশন, পুতুলে পরিণত হয়েছে। গুজরাট কংগ্রেস ইতিমধ্যেই মাত্র একটি নির্বাচনী এলাকায় ৩০,০০০ ভুয়ো এবং নকল নাম প্রকাশ করেছে।’ তাঁর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে রাহুল গান্ধীর সতর্কীকরণ বাগাড়ম্বর নয়, বাস্তবতা। অমিতের আরও সংযোজন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে, আমরা গুজরাটে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ প্রচারণা শুরু করছি। ৩ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে, আমরা সারা দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করব। ভোট চোরদের প্রকাশ্যে আনতে এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে আমরা প্রতিটি নাগরিককে এই লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

এই আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে সুরাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে বরাছা বেল্ট, যেখানে একসময় বিজেপির আধিপত্য ছিল, বর্তমানে আপের শক্ত ঘাঁটি। এখানে আক্রমণাত্মক প্রচার চালিয়ে কংগ্রেস কেবল বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে না, শহরাঞ্চলীয় সুরাটে আপের ক্রমবর্ধমান ভিত্তিকেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর, ভোটার জালিয়াতির উপর চারটি প্রশ্ন সম্বলিত বিশেষ পুস্তিকা তৈরি করেছে হাত শিবির। ভোটারদের সেগুলির উত্তরে টিক দিতে হবে এবং তারপর প্রচারণার সমর্থনে স্বাক্ষর করতে হবে।

RSS: ছোটদের মনে ‘হিন্দুত্ববাদী’ চেতনার চাষ? দিল্লির স্কুলে পড়ানো হবে আরএসএস-এর ইতিহাস

এই দিনকাল: ছোট ছোট পড়ুয়াদের মনে এ বার গেরুয়া ইতিহাসের থাবা! দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ানো হবে আরএসএস (RSS) এর কাজকর্ম ও ইতিহাস। ‘হিন্দু বীর’ হিসেবে পরিচিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং বীর সাভারকরদের সম্পর্কে পাঠদান করা হবে। শেখানো হবে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জীবনীও।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী আশীষ সুদ জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাগরিক ও সামাজিক চেতনা জাগ্রত করার জন্য এবং মৌলিক কর্তব্যগুলিকে কেন্দ্রবিন্দুতে আনার জন্য ‘রাষ্ট্রনীতি’ কর্মসূচির আওতায় আরএসএস-এর অধ্যায় যুক্ত করা হচ্ছে।’ কোর্সের অংশ হিসেবে, পড়ুয়াদের শিখতে হবে আরএসএসের উৎপত্তি ও ইতিহাস; এর মতাদর্শ। যদিও ইতিমধ্যে বিরোধীরা সরব হয়েছে, শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে বলে। যদিও প্রশাসনের দাবি, প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা, নীতিশাস্ত্র পরিচালনা এবং জাতীয় গর্ব প্রচারের জন্য অধ্যায়টি তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার আরএসএসের প্রতিষ্ঠা করেন। সঙ্ঘের সেই ইতিহাস তুলে ধরা হবে। বিজেপির ‘মেন্টর’ আরএসএস এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীও। তাঁদের কথাও থাকবে পাঠ্যসূচিতে। এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, সঙ্ঘের সম্পর্কে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তা দূর করতে এই পদক্ষেপ।