Category Archives: দেশ

Rape: ওড়িশায় দুই ভাই মিলে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ! কুকর্ম ঢাকতে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা

এই দিনকাল: দুই ভাই মিলে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ (Rape)। আর তার জেরে নির্যাতিতা কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তাকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলায়। ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের নাম ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস। বনশবারা গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় টুলু নামের তৃতীয় আরেক সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগ, দুই ভাই ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস দীর্ঘ দিন ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছে। নির্যাতিতা কিশোরী এক সময় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। যখন সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী তখন নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে নির্যাতিতাকে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয় সে জন্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগানোরও কথা বলে তারা। ওই নাবালিকাকে অভিযুক্তরা ডেকে পাঠায় একটি জায়গায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পর দেখা যায় অভিযুক্তরা একটি খাদ খনন করে রেখেছে। গর্ভপাত না করালে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুই ভাই।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বুঝতে পেরে এর পর নির্যাতিতা কোনও রকমে অভিযুক্তের হাত থেকে পালিয়ে আসে। গোটা ঘটনার কথা তার বাবাকে জানায়। মেয়ের মুখে পাশবিক অত্যাচারের কথা শুনে নির্যাতিতার বাবা কুজং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জেলা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়। পাশাপাশি দু জনকে গ্রেফতারও করেন তদন্তকারীরা। 

School Building Collapse: রাজস্থানের ঝালাওয়ারে ভেঙে পড়ল স্কুলের ছাদ, মৃত্যু ৪ শিশুর, আহত ১৭

এই দিনকাল: স্কুলের ভবন ভেঙে (school building collapse) পড়ে মর্মান্তিক বিপর্যয় রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলায়। শুক্রবার সকালে একটি সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল চার শিশুর, এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্তবার সকালে ঝালাওয়ার জেলার মনোহরথানা ব্লকের পিপলোদি সরকারি স্কুলে শিশুরা সকালে প্রার্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই সময় আচমকা ভবনটি ভেঙে পড়ে। ঝালাওয়ারের পুলিশ সুপার অমিত কুমার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ জন আহত হয়েছে। দশ শিশুকে ঝালাওয়ারে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষক এবং স্থানীয়দের সহায়তায় ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলওয়ার জানিয়েছেন, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মদন দিলওয়ার বলেন, ‘ঝালাওয়ারের পিপলোদি গ্রামে একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে যেখানে একটি স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়েছে। আমি জেলাশাসক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি চিকিৎসার জন্য সকল ধরণের ব্যবস্থা করার। জেলাশাসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা কেন ঘটল তা জানতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত করা হবে।’ ঝালাওয়ারের মানহোরেথানা থানার আধিকারিক নন্দকিশোর বলেন, গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে এমন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ছয় জনকে এসআরজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Mohan Bhagwat: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ঘোচাতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভাগবত

এই দিনকাল: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে এবং পরস্পরকে জানার চেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বৃহস্পতিবার দিল্লির হরিয়ানা ভবনে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান-সহ বর্ষীয়ান মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ভাগবত।

ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন এর তরফে সংগঠনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অন্য দিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘও অক্টোবরে ১০০ বছর পূর্ণ করেছে। ইমাম সংগঠনের প্রধান এদিন আরও বলেন, উভয় পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে আরও এই ধরনের বৈঠক আয়োজন করা হবে। তাঁর কথায়, ‘বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে মন্দির ও মসজিদ, ইমাম ও পূজারী, গুরুকুল ও মাদ্রাসার মধ্যে আলোচনা শুরু করা উচিত। আমরা এখন এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বৈঠকে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা, ঘৃণার অবসান ঘটানো এবং খোলা আলোচনার মাধ্যমে আস্থা বৃদ্ধির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। সংলাপই প্রতিটি সমস্যার সমাধান। উপাসনা বা বর্ণের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, আমাদের জাতি সর্বোচ্চ।’ এ ছাড়া তিনি এটিকে একটি ‘যুগান্তকারী বৈঠক’ বলে অভিহিত করেন।

৬০ জনেরও বেশি মুসলিম ধর্মীয় নেতা, বুদ্ধিজীবী, মাওলানা এবং পণ্ডিতরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আরএসএসের জাতীয় প্রচার ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘এটি সমাজের সকল শ্রেণীর সঙ্গে বিস্তৃত সংলাপের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। মূল উদ্দেশ্য হল কী ভাবে দেশের স্বার্থে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারে। আজকের আলোচনাও ইতিবাচক ছিল।’

sexual assault: উত্তর প্রদেশে ১৫ বছরের নাবালককে যৌন নির্যাতন, চাটানো হল থুতু

এই দিনকাল: জঘন্য ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। ১৫ বছর বয়সী এক নাবালক ছেলেকে যৌন নির্যাতন (sexual assault) করে থুতু চাটতে বাধ্য করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে আমেঠির বাজার শুকুল থানা এলাকায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত নাবালকের বাবা। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের নাম নীতিন (২৩) এবং রোহিত (২৪)। নির্যাতিত যে গ্রামে থাকত, অভিযুক্ত দুজনেই সেই একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় নীতিন এবং রোহিত ১৫ বছর বয়সী ওই ছেলেটিকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামের ওই নাবালককে ডেকে নিয়ে গিয়ে দুই জন মিলে যৌন নির্যাতন করে, সেই সঙ্গে চলে বেদম মারধর। এ ছাড়া ওই কিশোরকে থুতু চাটতে বাধ্য করে অভিযুক্তরা।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নাবালককে বারসান্ডা গ্রামে নিয়ে যায়। এর পর তারা তাকে সিংনামাউ গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে যায় ওই কিশোরকে। সেখানে নিয়ে তাকে অপকর্ম করতে বাধ্য করা হয়। বাজার শুকুল থানার আধিকারিক অভিনেশ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Illegal Migrants: অবৈধ ভাবে থাকা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ধরতে টাস্ক ফোর্স গঠন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়

এই দিনকাল: দেশে নতুন করে মাথাচড়া দিচ্ছে (Illegal Migrants) অনুপ্রবেশ ইস্যু। এমনিতে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে বিগত কয়েক দিন ধরে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যতম বিরোধী দল সিপিএম। বাংলা ভাষায় কথা বলা মানে যে বাংলাদেশি নয়, তা নিয়ে আওয়াজ তুলেছে জোড়াফুল শিবির ও বামেরা। এই আবহে শুক্রবার রাজ্যে এসে দুর্গাপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। বাংলায় এসে মোদী বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে এবার সামনে এল বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা সরকার  কর্তৃক অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের খবর।

সূত্রের খবর, ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় পুলিশের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। যাদের কাজ হবে মূলত বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে যারা এসে ভারতে রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করা। শুধু তাই নয় ভারত থেকে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে ওই দল কাজ করবে। এই টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার। ত্রিপুরার ওই জেলার ১৫টি থানার ওসিকে নিয়ে এই বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই টিমের মাথায় রয়েছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি সুপার দেবাশিস সাহা।

কী ভাবে কাজ করবে এই বিশেষ দল?

সূত্রের খবর, অবৈধ ভাবে কোনও বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা ভারতে রয়েছে, প্রথমে তাদেরকে শনাক্ত করবে এই দল। এর পর তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তী ধাপে সেই তথ্য ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদেশি শনাক্তকরণ পোর্টালে তুলে দেওয়া হবে। সব শেষে তাঁরা যে দেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে, সেই দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে কলকাতায় পদযাত্রা করেছেন। বাঙালিদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বছর ঘুরলেই যেহেতু রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তাই বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতির ময়দানে ঝাঁপাতে চাইছে। অন্যদিকে বিজেপিও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরব হলেও বাঙালি অস্মিতাকে দূরে ঠেলতে চাইছে না। তা শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ থেকেও স্পষ্ট। কারণ তিনি বক্তৃতা শুরু করেছিলেন ‘জয় মা কালী’ ‘জয় মা দুর্গা’ বলে। শুধু তাই নয় বাঙালি অস্মিতার প্রশ্নে বিজেপি যে কোনও আপোস করবে না তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী।

Rape: তিন বছর ধরে নিজের নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ করেছে বাবা! তিন বার যাবজ্জীবন দিল আদালত

এই দিনকাল: মেয়েকে ধর্ষণ করে শ্রীঘরে বাবা। টানা তিন বছর ধরে নাবালিকা মেয়েকে ধর্ষণ (Rape) করার অভিযোগ বাবার বিরুদ্ধে। নৃশংস এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই ব্যক্তিকে যতদিন না মৃত্যু হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত কারাগারে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তাকে তিন বার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। ঘটনাটি ঘটেছে কেরলে।

জানা গিয়েছে, কেরলের করিমানুরের কাছে এক ভাড়া বাড়িতে থাকত ওই পরিবার। সেখানে শিশুটিকে তিন বছর ধরে ধর্ষণ করে তার বাবা। শিশুকন্যার পাঁচ বছর বয়স থেকে আট বছর পর্যন্ত টানা ৩৬ মাস ধরে তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ। আইনজীবী শিজোমন জোসেফ জানিয়েছেন, ইডুক্কি ফাস্ট ট্র্যাক স্পেশাল কোর্টের বিচারক মঞ্জু ভি ওই ব্যক্তির সাজা ঘোষণা করেছেন। তাকে পকসো আইনের অধীনে বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যু পর্যন্ত যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক। নির্যাতিতা নাবালিকাকে দেওয়ার জন্য আদালত দোষী ব্যক্তির তিন লক্ষ টাকা জরিমানাও করেছে। বিচারক নির্দেশ দিয়েছেন, দোষী ব্যক্তি জরিমানা যদি না দিতে পারে তবে সেক্ষেত্রে তাকে আরও অতিরিক্ত ছয় বছর কারাগারে থাকতে হবে। এছাড়াও আদালত জেলা আইনি পরিষেবা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে, শিশুটিকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য। 

ঠিক কী ভাবে প্রকাশ্যে আসল গোটা ঘটনা? আইনজীবী জানিয়েছেন, ২০২০ সালে শিশুটির তখন আট বছর বয়স, সেই সময় ক্রমাগত পেট ব্যথায় ভুগছিল সে। চিকিৎসাও করা হচ্ছিল তার। ঘটনাক্রমে একদিন তার মায়ের কাছে জানতে চায় তার বাবা তার সঙ্গে যে অপকর্ম করে সে কারণে তার পেটে ব্যথা হচ্ছে কিনা। এর পর শিশুটির মা মেয়ের সঙ্গে কথা বলে গোটা ঘটনার কথা জানতে পারেন।

Nimisha Priya: ইয়েমেনে কেরলের নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত

এই দিনকাল: আগামী ১৬ জুলাই ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার (Nimisha Priya) মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা ছিল। তার ২৪ ঘন্টা আগে সাময়িক স্বস্তি পেলেন ওই নার্স। ইয়েমেনে ওই ভারতীয় নার্সের মৃত্যুদণ্ড স্থগিত করা হল।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইয়েমেনের স্থানীয় কর্তৃপক্ষ মৃত্যুদণ্ড সাময়িক ভাবে স্থগিত করতে রাজি হয়েছেন। বিভিন্ন মহল থেকে লাগাতার কূটনৈতিক চেষ্টার পর এটি সম্ভব হয়েছে বলে খবর। নিমিশার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত হওয়ার পিছনে কেরলের এক মুসলিম ধর্মীয় নেতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। যাকে খুন করার অভিযোগ নিমিশার বিরুদ্ধে, ইয়েমেনের সেই ভুক্তভোগীর পরিবারকে তিনি ব্লাড মানি গ্রহণে রাজি করাতে সাহায্য করেছেন। সূত্র জানিয়েছে, ‘ঘটনার শুরু থেকেই ভারত সরকার সম্ভাব্য সকল সহায়তা করছে। সম্প্রতি ইয়েমেনে ভুক্তভোগীর পরিবারের সঙ্গে নিমিশা প্রিয়ার পরিবার যাতে পারস্পরিক সম্মতিতে একটি সমাধানে পৌঁছয়, সেই উদ্দেশ্যে আরও সময় চাওয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়েছে।’

ইনস্টাগ্রাম পোস্টে এক বার্তায়, সুন্নি মুসলিম ধর্মীয় নেতা কাঁথাপুরম এপি আবুবকর মুসলিয়ার জানিয়েছেন, প্রার্থনা শোনা হয়েছে। তিনি উল্লেখ করেছেন, নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড স্থগিত রাখার নির্দেশের একটি কপি সরকারি ভাবে গৃহীত হয়েছে। তিনি বলেন, যারা নিমিশার মৃত্যুদণ্ড রোধ করতে কাজ করেছেন এবং প্রার্থনা করেছেন তাঁদের সকলের উপর আল্লাহর আশীর্বাদ বর্ষিত হোক।

নিমিশা প্রিয়াকে কেন মৃত্যুদণ্ড?

পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান। সে দেশে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। এক সময় নিজে ক্লিনিক খোলেন এবং ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদি নামে এক ব্যক্তির সংস্পর্শে আসেন। ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে সে দেশে ব্যবসা করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে তা শুরু করা বাধ্যতামূলক। মূলত সেই কারণে মাহদির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কেরলের ওই নার্সের সঙ্গে মাহদির ঝগড়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন নিমিশা। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কারামুক্তি ঘটলেও মাহদি নিমিশাকে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল। সেই পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির উপর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করেছিলেন ওই নার্স। তবে, তার ওভারডোজের কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। এক সময় ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিমিশা। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে তাঁকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে সে দেশের ট্রায়াল কোর্ট নিমিশাকে দোষী সাব্যস্ত করে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল রাখে।

ইয়েমেনি আইনে সেদেশের স্বাধীনতা, ঐক্য বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা, সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য কোনও কাজ করা, খুন, মাদক পাচার, ব্যভিচার, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামী যৌন কার্যকলাপ, ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা নিন্দা করা এবং পতিতাবৃত্তিতে সহায়তা করা-সহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

Rs 50 coin: বাজারে কি ৫০ টাকার কয়েন আসছে? কী জানাল মোদী সরকার?

এই দিনকাল: ১০ টাকা এবং ২০ টাকার কয়েন ইতিমধ্যে বাজারে ছেড়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ১০, ২০ টাকার পরে এবার কি তবে ৫০ টাকার কয়েন (Rs 50 coin) মানুষের কাছে পৌঁছে দেবে দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক? এমন প্রশ্ন অনেকের মনে রয়েছে। তবে আপাতত সেই সম্ভাবনা নেই বলে জানাল কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক। 

মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক দিল্লি হাইকোর্টকে জানিয়েছে যে বর্তমানে ৫০ টাকার কয়েন চালু করার কোনও পরিকল্পনা তাদের নেই। কারণ ১০ এবং ২০ টাকার মতো ভারী কয়েনের তুলনায় সাধারণ মানুষ নোটকে বেশি পছন্দ করেন। আর সে জন্যই ৫০ টাকার কয়েন চালুর কোনও ভাবনা নেই। কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক মঙ্গলবার হলফনামা দিয়েছে আদালতে। সেখানে ২০২২ সালের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সমীক্ষার ফলাফল উদ্ধৃত করে মন্ত্রক বলেছে, মানুষ কয়েন এড়িয়ে চলেন কারণ কয়েনের ওজন, আকার এবং স্বতন্ত্রতার অভাবের জন্য। আর সে জন্য নোটগুলি দৈনন্দিন ব্যবহারে আরও বেশি গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠেছে। মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েন চালু করার আগে একাধিক বিষয় দেখা হয়। জনসাধারণের কাছে গ্রহণযোগ্যতা, ব্যবহারের ধরণ এবং অর্থনৈতিক বিবেচনার উপর নির্ভর করে কয়েন ছাড়া হয়। কিন্তু বর্তমানে ৫০ টাকার কয়েন চালু করার কোনও পরিকল্পনা নেই।

দৃষ্টি শক্তিতে বিশেষ ভাবে সক্ষম নাগরিকদের জন্য ৫০ টাকার কয়েন চালু করার জন্য আর্জি জানিয়েছিলেন আইনজীবী রোহিত দন্ড্রিয়াল। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রক আদালতে এই বিষয়ে স্পষ্ট জানান।

ওই আইনজীবী জানান, ৫০ টাকার নোটের নকশার কারণে দৃষ্টিহীন ব্যক্তিরা দুর্দশার মুখোমুখি হন, তাদের জন্য মূল্যের পার্থক্য করা কঠিন হয়ে পড়েছে।

Nimisha Priya: ১৬ জুলাই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে ইয়েমেন

এই দিনকাল: ইয়েমেনি এক নাগরিককে হত্যার দায়ে আগেই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়াকে (Nimisha Priya) দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে ইয়েমেনের আদালত। আগামী ১৬ জুলাই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড গত বছর অনুমোদন করেছেন ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নিমিশার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পাশাপাশি নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছে মন্ত্রক। 

নিমিশা প্রিয়াকে কেন মৃত্যুদণ্ড?

পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান। সে দেশে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। এক সময় নিজে ক্লিনিক খোলেন এবং ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদির সংস্পর্শে আসেন। ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে সে দেশে ব্যবসা করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে তা শুরু করা বাধ্যতামূলক। মূলত সেই কারণে মাহদির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কেরলের ওই নার্সের সঙ্গে মাহদির ঝগড়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন নিমিশা। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কারামুক্তি ঘটলেও মাহদি নিমিশাকে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল। সেই পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির উপর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করেছিলেন ওই নার্স। তবে, তার ওভারডোজের কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। এক সময় ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিমিশা। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে তাঁকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে সে দেশের ট্রায়াল কোর্ট নিমিশাকে দোষী সাব্যস্ত করে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল রাখে।

ইয়েমেনি আইনে সেদেশের স্বাধীনতা, ঐক্য বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা, সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য কোনও কাজ করা, খুন, মাদক পাচার, ব্যভিচার, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামী যৌন কার্যকলাপ, ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা নিন্দা করা এবং পতিতাবৃত্তিতে সহায়তা করা-সহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে ‘ব্লাড মানি’

ভুক্তভোগীর পরিবারকে ‘ব্লাড মানি’ দেওয়ার মাধ্যমে নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচানোর পথ খোলা ছিল। যদিও সেই অর্থের পরিমাণ সর্বদা নিহতের পরিবার ঠিক করে। মেয়ের জন্য মামলা লড়তে নিমিশা প্রিয়ার মা নিজের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দেন। কোচিতে তিনি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লাহ আমির আলোচনা ফি হিসেবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেন, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৬.৬ লক্ষ টাকা। মাহদির পরিবারের সঙ্গে ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে আলোচনা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে।

গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আমিরকে ১৯৮৭১ মার্কিন ডলার দিয়েছিল। কিন্তু তিনি আলোচনা শুরু করার আগে দুটি কিস্তিতে মোট ৪০০০০ মার্কিন ডলার দাবি করেন। সেভ নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমিরের প্রথম কিস্তির অর্থ সংগ্রহ করতে সফল হয়। তবে, পরে তারা তহবিলের স্বচ্ছতা সংক্রান্ত কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

ভারত সরকার জানুয়ারিতে বলেছিল গোটা বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সাহায্য প্রদান করার কথাও জানিয়েছিল কেন্দ্র। নিমিশার মা মেয়ের জীবন বাঁচাতে আকুল আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেরল সরকারের কাছে।

Car and truck collision: গাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষ, মার্কিন মুলুকে পুড়ে মৃত্যু ৪ ভারতীয়ের

এই দিনকাল: মার্কিন মুলুকে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car and truck collision) পুড়ে মৃত্যু ৪ ভারতীয়ের (Indian Family)। নিহতরা একই পরিবারের বলে জানা গিয়েছে। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের বাসিন্দা তেজস্বিনী এবং শ্রী ভেঙ্কট। ছুটি কাটাতে দুই সন্তানকে নিয়ে পরিবারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে তাঁরা গাড়ি চালিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে আটলান্টায় গিয়েছিল। সেখান থেকে ডালাসে ফিরে আসার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় পরিবারটির গাড়ি যখন গ্রিন কাউন্টিতে আসে, সেই সময় রাস্তার ভুল দিক থেকে একটি মিনি-ট্রাক চলে আসে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। যার ফলে ভিতরে আটক অবস্থায় চার জনেরই মৃত্যু হয়। গাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার পর, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিহতদের দেহাবশেষ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। মৃতদেহ শোকাহত পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ডালাসের কাছে টেক্সাসের আন্নায় একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে চার ভারতীয় নাগরিকের মর্মান্তিকভাবে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরা গাড়ি চালিয়ে যখন যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের গাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। যার ফলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। নিহতদের নাম আরিয়ান রঘুনাথ ওরামপতি, ফারুক শেখ, লোকেশ পালাচারলা এবং দর্শনিনী বাসুদেবন। তার আগে ২০২৪ সালের আগস্টে টেক্সাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি এবং তাদের মেয়ে নিহত হয়েছিলেন। যার মধ্যে তাঁদের কিশোর ছেলেই একমাত্র বেঁচে যায়। অন্য একটি গাড়ির ধাক্কায় তাদের গাড়িতেও আগুন ধরে গিয়েছিল।