Category Archives: দেশ

Stampede: অন্ধ্রের কাশিবুগ্গায় মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ৯ জনের, তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: মর্মান্তিক বিপর্যয় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার কাশিবুগ্গায় শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে (Sri Venkateswara Swamy Temple)। শনিবার ধর্মস্থানে পদপিষ্ট (Stampede) হয়ে কম করে নয় জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chief Minister N. Chandrababu Naidu)।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কার্তিক মাসের ‘একাদশী’ উপলক্ষে মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয় এদিন। রিপোর্ট অনুসারে ওই মন্দিরের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০০০ লোকের। কিন্তু হঠাৎ করে প্রায় ২৫,০০০ ভক্ত জড়ো হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেখানে হুড়োহুড়ি শুরু হয়, তার জেরে এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু এই দুর্ঘটনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে কিছুই জানায়নি। শ্রী সত্য সাই জেলায় এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এ বিষয়ে নাইডু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আয়োজকরা পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানায়নি। যদি তারা আমাদের জানাত, তাহলে আমরা পুলিশি নিরাপত্তা  দিতাম এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতাম। এই সমন্বয়হীনতার কারণে নয় জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং পাঁচ জন আহত হয়েছেন।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘সরকার নিশ্চিত করতে চায় একটিও প্রাণহানি যাতে না হয়, তবে বেসরকারি অনুষ্ঠানের সময় এই ধরণের ঘটনা ঘটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এই ঘটনায় নাইডু শোক প্রকাশ করেছেন। রাজভবন থেকে পোস্ট করা এক বার্তায় রাজ্যপাল এস আব্দুল নাজির এই দুর্ঘটনায় ‘গভীর শোক’ প্রকাশ করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসনকে উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

Bizarre Incident: মেয়ের বাগদানের আগে হবু জামাইয়ের মায়ের সঙ্গে পালালেন কনের বাবা!

এই দিনকাল: কথা ছিল মেয়ের বাগদান হবে। সেই মতো প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু তার আগে অদ্ভূত কাণ্ড (Bizarre Incident) ঘটালেন কনের বাবা। মেয়ের হবু শাশুড়ির সঙ্গে পালালেন মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি! ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীতে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি আট দিন আগে ঘটলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীতে এই অদ্ভূত কাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পুলিশ নিখোঁজ মহিলার সন্ধান পেয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, উন্তভাসা গ্রামের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী ওই মহিলা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান তাঁর ছেলে। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এর পর তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার অবশেষে পুলিশ তাঁর খোঁজ পায়। চিকলি গ্রামে ওই মহিলার হদিশ মেলে। পুলিশ জানায়, ওই মহিলা ৫০ বছর বয়সী এক কৃষকের সঙ্গে থাকছিলেন। যিনি কিনা তাঁর ছেলের বাগদত্তার বাবা!

তদন্তে নেমে জানা যায়, চিকলির ওই কৃষকের স্ত্রী সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। দুই সন্তানের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। কৃষকের এক মেয়ের সঙ্গে ‘নিখোঁজ’ হওয়া মহিলার ছেলের বাগদান হওয়ার কথা ছিল। জানা যায়, সেই বাগদানের প্রস্তুতি চলাকালীন, দুই হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে কথাবার্তার ভিত্তিতে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই ফল স্বরূপ একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে বিস্মিত হয়েছে উভয় পরিবার। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাউন ইন্সপেক্টর অশোক পাতিদার। তিনি বলেন, ‘আট দিন আগে ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ আসে। আমাদের তদন্তে জানা গেছে যে তিনি তাঁর স্বামী এবং ১৮ এবং ২০ বছর বয়সী দুই সন্তানকে রেখে ৫০ বছর বয়সী এক কৃষকের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। যার মেয়ের সঙ্গে তাঁর ছেলের বাগদান হওয়ার কথা ছিল। যদিও বাগদান এখনও হয়নি। দুজনেই একসঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।’

পরিবারের তরফে ওই মহিলাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি যেতে অস্বীকার করেন। তাঁর সাফ কথা, প্রেমিককে কোনও ভাবেই ছেড়ে যেতে পারবেন না তিনি। ওই কৃষকের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহিলা।

Prashant Kishor: প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মন্দিরে মুসলিম প্রার্থী, গঙ্গাজল ছিটিয়ে ধর্মস্থান ‘শুদ্ধিকরণ’ পুরোহিতের

Temple ‘Cleansed’ After Prashant Kishor, Muslim Candidate Offer Prayers

এই দিনকাল: ভোটমুখী বিহারে নির্বাচনী প্রচার জোর কদমে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) জন সুরজ পার্টিও। বিহারের মধুবনীতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁরই দলের এক মুসলিম প্রার্থী মন্দিরে প্রবেশ করায়, ধর্মস্থানকে পঞ্চগব্য এবং গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করলেন পুরোহিতরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটলেও, এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের মুসলিম প্রার্থী পারভেজ আলম মঙ্গলবার মধুবনীর কপিলেশ্বর নাথ মহাদেব মন্দিরে যান। বেনীপট্টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার আগে মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিদর্শন করে ভগবান শিব এবং অন্যান্য দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করেন জন সুরজ পার্টির দুই নেতা। তাঁদের চলে যাওয়ার পরেই, মন্দিরের পুরোহিতরা পঞ্চগব্য (দুধ, দই, ঘি, গোমূত্র এবং গোবরের মিশ্রণ) এবং গঙ্গাজল ব্যবহার করে ধর্মস্থান ‘শুদ্ধিকরণ’ করেন।

শ্রাবণ কুমার নামের এক পুরোহিত বলেন, তাঁকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল প্রশান্ত কিশোর মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসবেন। তাঁর কথায়, ‘আমি সম্মতি জানিয়েছিলাম এবং পুজোর জন্য সমস্ত উপকরণ প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এখানে এসে পৌঁছাননি। আমাদের ঐতিহ্য অনুসারে, মন্দিরটি রাত ৮ টায় দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে, প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের প্রার্থী এসে গর্ভগৃহে প্রার্থনা করেন।’

ওই পুরোহিত আরও বলেন, পরে তিনি বুঝতে পারেন যে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে এক জন মুসলিম প্রার্থী ছিলেন। শ্রাবণ বলেন, ‘আমরা প্রথমে তাঁকে চিনতে পারিনি কারণ তিনি ঐতিহ্যবাহী মিথিলা পোশাক পরেছিলেন।’ অন্য দিকে, মুসলিম হয়ে মন্দিরে প্রবেশের বিরোধিতা করেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। এটি মন্দিরের রীতিনীতির পরিপন্থী বলে দাবি তাঁদের। যদিও এই ঘটনার পর মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি জন সুরজ পার্টির নেতৃত্বও।

SIR: এসআইআর-এ কোন নথি প্রয়োজন? দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

এই দিনকাল: বঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR)। ভোটার তালিকা স্বচ্ছ ও ত্রুটিমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে ধাপে ধাপে এই বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা শুরু করেছে বলে দাবি। যদিও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ গেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার। কোন কোন নথি এসআইআর এর জন্য প্রয়োজন সে বিষয়ে কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের আলাদা করে নথি জমা দিতে হবে না। নথি দিতে হবে না যাঁদের বাবা, মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে তাঁদেরকেও। পাশাপাশি যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই বা যাঁদের বাবা, মায়ের নাম ওই তালিকায় নেই তাঁদের জন্য ১১টি নথির একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। এই তালিকায় থাকা যে কোনও একটি নথি দিলে এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম তোলা যাবে।

এক নজরে ১১ নথি

১) কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন বা পেনশন পান এমন নথি।

২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দেওয়া আপনার নামে থাকা যে কোনও নথি। 

৩) জন্ম শংসাপত্র। 

৪) পাসপোর্ট। 

৫) মাধ্যমিক বা তার উর্ধ্বে কোনও শ্রেণীর শিক্ষাগত শংসাপত্র।

৬) রাজ্য সরকারের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র। 

৭) বন অধিকার শংসাপত্র। 

৮) এসসি, এসটি, ওবিসি বা অন্য কোনও জাতিগত শংসাপত্র।

৯) জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি।

১০) রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া ফ্যামিলি রেজিস্ট্রার।

১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।

কমিশন জানিয়েছে, আধার কার্ড যেহেতু নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, তাই আধারের সঙ্গে উপরের যে কোনও একটা নথি দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালুর কথা সোমবার ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাট, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই দিন থেকে এই রাজ্যগুলিতে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ চালু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। 

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে। চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। সেই তালিকা নিয়ে যদি কারোর অভিযোগ থাকে তাহলে তা জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ৮ জানুয়ারির মধ্যে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবশেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

SIR: এসআইআর চালু হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে, ৪ নভেম্বর থেকে দেওয়া হবে ফর্ম

এই দিনকাল: পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেল। সোমবার মধ্যরাতে এই ১২ রাজ্যের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করা হবে। এর পর ২৮ অক্টোবর থেকে এই রাজ্যগুলিতে শুরু হবে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। 

সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তিনি ঘোষণা করেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে। এই ফর্ম বিতরণ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। সেই তালিকা নিয়ে যদি কারোর অভিযোগ থাকে তাহলে তা জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ৮ জানুয়ারির মধ্যে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবশেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। 

কোন ১২ রাজ্যে এসআইআর? নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাট, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ হবে। এই ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ৫১ কোটি। 

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গোয়া, গুজরাট এবং পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হবে ২০২৭ সালে। তবে অসমে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন থাকলেও সে রাজ্যে এখনই এসআইআর করা হচ্ছে না। কারণ হিসাবে কমিশন জানিয়েছে, অসমে নাগরিকত্বের বিধি দেশের বাকি রাজ্যের থেকে আলাদা। 

Supreme Court: ২৭ অক্টোবর শারজিল-উমরদের জামিনের আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

এই দিনকাল: দিল্লি দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলায় গুলফিশা ফাতিমা, শারজিল ইমাম, মীরান হায়দার, উমর খালিদ, শিফা-উর-রহমান এবং মোহাম্মদ সেলিম খানের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)।

বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হতে পারে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলাটিতে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এর আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে, দিল্লি হাইকোর্ট উমর খালিদদের জামিনের আর্জি নাকচ করে দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা শীর্ষ আদালতে যায়। গত ২ সেপ্টেম্বর, হাইকোর্ট শারজিল ইমাম, উমর খালিদ এবং আরও সাত জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে। পাশাপাশি আরেকটি পৃথক বেঞ্চ অপর অভিযুক্ত তসলিম আহমেদের জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।

দিল্লি পুলিশের তরফে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে দাবি করা হয়, দাঙ্গা স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না বরং ‘অশুভ উদ্দেশ্য এবং সুচিন্তিত ষড়যন্ত্রের সঙ্গে পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল। হাইকোর্ট জামিনের আর্জি নাকচ করার সময় পর্যবেক্ষণে জানায় শারজিল ইমাম এবং উমর খালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘গুরুতর’ এবং তাঁরা ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের গণসংহতিকে উস্কে দিতে’ ভাষণ দিয়েছিলেন।

সকল অভিযুক্তই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে জামিনের আর্জি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শারজিল ইমামকে ২০২০ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং দিল্লি পুলিশ তাঁকে সহিংসতার পিছনে অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল।

Rape: ওড়িশায় ২ আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ, আটক ৩ অভিযুক্ত

এই দিনকাল: দুই আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগ উঠল ওড়িশায়। সে রাজ্যের ময়ূরভঞ্জ জেলায় পাঁচ জন পুরুষ মিলে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার। দুই নির্যাতিতার বাবা-মা রাসগোবিন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন ছেলের সঙ্গে ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোরী যাত্রা দেখতে গিয়েছিল পাশের গ্রামে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন যুবক তাদের বাইক আটকায়। অভিযোগ, দুই কিশোরীর সঙ্গে থাকা ছেলে দুজনকে মারধর করে তারা। এর পর দুই নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। দুই কিশোরী যথাক্রমে অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযোগ, পাঁচ জন পুরুষ মিলে তাদেরকে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু জনের খোঁজ চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিএনএস এবং পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

অন্য দিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ওড়িশার বিরোধী দল বিজেডি। তাদের দাবি, গত ১৬ মাসে ওড়িশায় ৫,০০০ এরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।বিজেডি মুখপাত্র লেনিন মোহান্তি বলেন, ‘ভয়াবহ এই পরিসংখ্যান রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকারের অধীনে নারীদের অধোগামী অবস্থার প্রতিফলন।’

Rape: পুলিশের বিরুদ্ধে ৪ বার ধর্ষণের অভিযোগ, হাতে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী মহিলা চিকিৎসক

এই দিনকাল: পুলিশ আধিকারিক তাঁকে চার বার ধর্ষণ (Rape) করেছিলেন। বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষ মহলে। কিন্তু কোনও সুরাহা না হওয়ায় নিজেই নিজেকে শেষ করে দিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের। বৃহস্পতিবার রাতে সাতারার এক হোটেলে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।

নির্যাতিতা মহিলা ডাক্তার পুলিশের বিরুদ্ধে চার বার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। বাম হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত পাঁচ মাস ধরে তাঁকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যার ফলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের নির্দেশে অভিযুক্ত বাদনেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সুইসাইড নোটে নির্যাতিতা প্রশান্ত বাঙ্কার নামের এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।

সুইসাইড নোটে নির্যাতিতা লিখেছেন, ‘পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তিনি আমাকে চার বার ধর্ষণ করেছিলেন। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমাকে ধর্ষণ, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন তিনি।’ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসক ফালতান উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৯ জুন ফালতানের ডেপুটি সুপার অফ পুলিশকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তিনি চিঠি লিখেছিলেন। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে ডিএসপিকে লেখা সেই চিঠিতে তিনি দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। চিঠিতে ওই মহিলা চিকিৎসক বাদনে, মহকুমা পুলিশ ইনস্পেক্টর পাতিল এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর লাডপুত্রের নাম উল্লেখ করেছিলেন।

Special Intensive Revision: পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আর কোন কোন রাজ্যে হবে এসআইআর? চলতি মাসেই প্রকাশ হবে নির্ঘন্ট

এই দিনকাল: একাধিক দফায় গোটা দেশজুড়ে হবে স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) বা এসআইআর। ভারতের নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকায় এই সমীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমনটাই খবর সূত্রের। রিপোর্ট অনুসারে, কমিশন চলতি অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে এসআইআরের প্রথম পর্যায়ের নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে পারে। সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে, অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ প্রায় ১০টি রাজ্যে স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন হবে।

দেশজুড়ে এসআইআর প্রস্তুতি পর্যালোচনায় চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার বা সিইওদেরকে নিয়ে দুই দিনের সম্মেলন হচ্ছে। সেই সম্মেলনের পর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার ডঃ সুখবীর সিং সান্ধু এবং ডঃ বিবেক যোশী নির্ঘন্ট চূড়ান্ত করবেন। এর পর আগামী সোমবার তা ঘোষণা করা হতে পারে। নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল ম্যানেজমেন্ট (আইআইআইডিইএম) এই সম্মেলন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সিইওরা এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আসন্ন এসআইআরের জন্য তাদের প্রস্তুতি সেরে রাখতে। সেই সঙ্গে পূর্ববর্তী সংশোধিত ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকা মেলানো সংক্রান্ত আগে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিহারে, এসআইআর প্রক্রিয়াটি ২৪ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় চার মাস ধরে হয়েছিল। তবে, কমিশন এখন এই সময়সীমা কমানোর পরিকল্পনা করছে।’ প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য, নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পূর্ববর্তী এবং বর্তমান ভোটার তালিকা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশি সময় না লাগে।

বিহার থেকে শিক্ষা নিয়ে, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড এবং কেরালার মতো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ইতিমধ্যেই পুরনো এসআইআর এর নথি ব্যবহার করে ভোটারদের ম্যাপিং শুরু করা হয়েছে। গত সম্মেলনে বিহারের সিইও এর তরফে উপস্থাপন করা এই কার্যকর ম্যাপিং প্রক্রিয়াটি দেশের অন্যান্য রাজ্য এখন গ্রহণ করেছে। বহু রাজ্যের নির্বাচন কমিশন দফতর ইতিমধ্যে শেষ এসআইআর হওয়া ভোটার তালিকা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। কমিশন সূত্রের দাবি, প্রথম পর্যায়ে, অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ প্রায় ১০টি রাজ্যে এসআইআর করা হবে। কমিশন এই রাজ্যগুলির সিইওদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে তাদের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করার জন্য।

Mehul Choksi: আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক মেহুল চোকসিকে ফেরানো যাবে ভারতে, বড় সিদ্ধান্ত বেলজিয়াম আদালতের

এই দিনকাল: পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ঋণ জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত তথা হীরে ব্যবসায়ী পলাতক মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) ভারতে প্রত্যর্পণে আর বাধা রইল না। দেশ ছেড়ে পালানো আর্থিক অপরাধে অভিযুক্তকে ভারতে ফেরানোর অনুমতি দিয়েছে বেলজিয়ামের আদালত। ভারতে আসা ঠেকাতে আদালতে নানান যুক্তি দিয়েছিলেন চোকসি। অবশেষে তাঁর আর্জি নাকচ করে বিচারক জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে ভারতের বিচার ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। শুধু তাই নয় মেহুল যে বেলজিয়ামে এক জন বিদেশি, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত।

মেহুল সংক্রান্ত মামলায় বেলজিয়াম আদালতের এই সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। ভারতের তরফে ২০১৮ সাল থেকে চোকসিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৩,৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ রয়েছে তাঁর এবং নীরব মোদীর বিরুদ্ধে। বেলজিয়ামের আদালতে চোকসি দাবি করেন, তিনি ভারতে সুবিচার পাবেন না এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদিও বুধবার চোকসির যুক্তি খারিজ করেছেন বিচারক। বেলজিয়ামের আদালতে তাঁর যুক্তি, রাজনৈতিক কারণে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁকে ‘অন্যায়ভাবে লক্ষ্যবস্তু’ করছে। যদি তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয় তবে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। তিনি আরও দাবি করেন, তদন্ত ‘মিডিয়ার চাপে’ প্রভাবিত হয়েছে। ভারতীয় কারাগারগুলি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মান পূরণ করে না বলে অভিযোগ করেন চোকসি। চোকসির আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন, অ্যান্টিগুয়ান নাগরিক হিসেবে (দ্বৈত নাগরিকত্ব) এবং তাঁর চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রত্যর্পণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। আদালতে বলা হয়, হেফাজতে তাঁর চিকিৎসা সম্পর্কে ‘বিশ্বাসযোগ্য আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে’ ভারত।

তবে আদালত এই যুক্তিগুলিকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছে। বিচারক উল্লেখ করেছেন, ভারত যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া, চিকিৎসা সেবা এবং আটকের শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কূটনৈতিক আশ্বাস জমা দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, চোকসি ভারতে ফিরে আসার পর রাজনৈতিক নির্যাতন বা অন্যায় আচরণের মুখোমুখি হবেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই।

উল্লেখ্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অর্থ কেলেঙ্কারি প্রকাশের ঠিক আগে ভারত থেকে পালিয়ে যান মেহুল চোকসি। কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বিদেশে বসবাসকারী চোকসিকে খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই সংস্থার ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন চোকসি।