Author Archives: Ei Dinkal

Kolkata Rain: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৯ জনের

এই দিনকাল: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি। সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে মহানগর কলকাতা কার্যত জলের তলায়। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সড়ক পথ থেকে রেলপথ—- যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। জলমগ্ন কলকাতায় স্তব্ধ জনজীবন। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে কম করে ৯ জনের।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, গত তিন সপ্তাহে অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ১৭৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ ২৪৭.৪ মিলিমিটার। গত ৩৯ বছর পর এক দিনে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হল কলকাতা শহরে। প্রসঙ্গত, যখন ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হয় তখন সেই অবস্থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা হয়। কলকাতায় রাত ৩টে থেকে ভোর ৪টের মধ্যে, এক ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আর ২ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টি হলে একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যেত।

অন্য দিকে, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে কলকাতার নেতাজিনগরে। এই এলাকায় ভোরে সাইকেলে নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন ফল বিক্রেতা বাবু কুণ্ডু। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই প্রাণ হারান। কালিকাপুর মোড়ে মৃত্যু হয় একই ভাবে এক ব্যক্তির। বালিগঞ্জ প্লেস, ইকবালপুরের হোসেন শাহ রোড, বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। আর এই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঠগড়ায় তুলেছেন বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে। মৃত্যুর দায় তাদের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকি বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা যাতে নিহতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেয়, তার দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সিইএসসি-র বক্তব্য, ‘রাস্তার আলোর খুঁটি এবং ট্র্যাফিক লাইটগুলি আমাদের মালিকানাধীন, রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিচালনার বিষয় নয়। এগুলি নিয়ে আমরা কাজ করি না।’ 

উল্লেখ্য, সোমবারের পর মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

Israel-Gaza War: প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যে দেশগুলি, ভারত কবে দিয়েছে?

এই দিনকাল: (Israel-Gaza War) প্যালেস্টাইনকে রবিবার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। এরপর একই পথে হেঁটেছে পর্তুগালও। এই আবহে চর্চায় রয়েছে ফ্রান্স। খুব শীঘ্রই দেশটি প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। তার আগে গত ২০ মার্চ মেক্সিকো প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫১টি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

২০২৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পর্তুগাল, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো।

২০২৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, জ্যামাইকা, বার্বাডোজ।

২০১৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস।

২০১৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কলম্বিয়া।

২০১৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট লুসিয়া, হলি সি।

২০১৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সুইডেন।

২০১৩ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

হাইতি, গুয়াতেমালা।

২০১২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

থাইল্যান্ড।

২০১১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইসল্যান্ড, ব্রাজিল, গ্রেনাডা, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ডমিনিকা, বেলিজ, সেন্ট ভিনসেন্ট, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া, লেসোথো, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম, পেরু, গায়ানা, চিলি।

২০১০ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইকুয়েডর, বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা।

২০০৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ভেনেজুয়েলা।

২০০৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইভরি কোস্ট, লেবানন, কোস্টারিকা।

২০০৬ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মন্টেনেগ্রো।

২০০৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পূর্ব তিমুর।

১৯৯৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মালাউয়ি।

১৯৯৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কিরগিজস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাপুয়া নিউগিনি।

১৯৯৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান।

১৯৯২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান।

১৯৯১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইসওয়াতিনি

১৯৮৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ফিলিপাইন, ভানুয়াতু, বেনিন, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা।

১৯৮৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বাংলাদেশ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ভুটান, বুরুন্ডি, বতসোয়ানা, নেপাল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, পোল্যান্ড, ওমান, গ্যাবন, সাও তোমে অ্যান্ড প্রিন্সেপ, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা, লাওস, চাদ, ঘানা, টোগো, জিম্বাবুয়ে, মালদ্বীপ, বুলগেরিয়া, কেপ ভার্দে, উত্তর কোরিয়া, নাইজার, রোমানিয়া, তানজানিয়া, হাঙ্গেরি, মঙ্গোলিয়া, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কমোরোস, গিনি, মালি, গিনি বিসাউ, চীন, বেলারুশ, নামিবিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম।

একই বছর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, গাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, সিশেলস, স্লোভাকিয়া, শ্রীলঙ্কা, আলবেনিয়া, ব্রুনেই, জিবুতি, মরিশাস, সুদান, আফগানিস্তান, কিউবা, জর্ডান, মাদাগাস্কার, নিকারাগুয়া, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সার্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাম্বিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, ইয়েমেন, মরক্কো, ইরান।

উল্লেখ্য, জি-৭-গোষ্ঠীর সদস্যভুক্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন ও কানাডা।

প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

১৯৮৮ সালে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেওয়ার পর প্রথম যে দেশগুলি স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালেই নয়াদিল্লি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে, ১৯৭৪ সালে, ভারত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে প্যালেস্টাইনবাসীর একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

প্যালেস্টাইন সমস্যার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের উপর জাতিসঙ্ঘে উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলন হতে চলেছে। ভারত সেই সম্মেলনে অংশ নিতে চলেছে বলে খবর। সোমবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই সম্মেলনে এখনও পর্যন্ত ১২৩টি দেশ এবং সংস্থা স্বাক্ষর করেছে। এই অনুষ্ঠানে যৌথ ভাবে সভাপতিত্ব করবে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইজরায়েল। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। প্যালেস্টাইনে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

Extra Marital Affairs: বিবাহিত কর্মীর প্রেমে হাবুডুবু মালকিন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করার জন্য উপহার দেন ৩,৭১,৮০,৪৪০ টাকা

এই দিনকাল: প্রেমের জাল বিছানো এ ভুবনে কে কখন কাকে মন দিয়ে ফেলেন তা বোঝা দুষ্কর। চিনের এক মহিলা ব্যবসায়ী তাঁর অধস্তন কর্মীর প্রেমে পড়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য উপহার দেন তিন মিলিয়ন ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার বেশি (৩,৭১,৮০,৪৪০)। এই বিপুল অর্থ দেওয়ার উদ্দেশ্য ওই কর্মী যাতে তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে পারেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদ সহজে সম্পন্ন করতে পারেন।

যদিও এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খসিয়ে প্রেমের যাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ এক বছর ধরে একসঙ্গে থাকার পর ওই মালকিন তাঁর প্রেমিক ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা ফেরত চান। এমনকি বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের চংকিং-এর একটি আদালতে প্রথম বিচারে প্রেমিক এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। যদিও দ্বিতীয় বিচারে এই মূল রায়কে বাতিল করে দেওয়া হয়।

ঝু নামে পরিচিত ওই মহিলা ব্যবসায়ী চংকিং-এ একটি সংস্থা পরিচালনা করেন। যদিও তিনি কীসের ব্যবসা করেন তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ঝু-এর চেয়ে বয়সে ছোট হি নামে এক পুরুষ তাঁর সংস্থায় কাজে যোগ দেন।  নতুন জায়গায় কাজে আসার পর থেকে তাঁর প্রতি বিশেষ মনোযোগী হয়ে ওঠেন ঝু। দুজনেই তখন বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু উভয়ের মধ্যে শীঘ্রই প্রেমালাপ শুরু হয় এবং তা চলতে থাকে। একদা দুজনেই নিজেদের বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। যাতে সহজে বিচ্ছেদ হয় সে কারণে ঝু তিন মিলিয়ন ইউয়ান চেন নামের এক মহিলাকে দেন। চেনই হির স্ত্রী। এই অর্থ চেনের ভরণপোষণ এবং সন্তান লালন পালনের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, এক বছর একত্রবাসের পর, ঝু এবং হি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের উপলব্ধি হয়, একে অপরের জন্য দুজনে উপযুক্ত নন।

পরবর্তীতে, ঝু তিন মিলিয়ন ইউয়ান ফেরত দাবি করে হি এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী চেনকে আদালতে নিয়ে যান। প্রথম বিচারের সময়, আদালত ঝুর পক্ষে রায় দিয়েছিল। হি এবং চেনকে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে চেন এবং হি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেখানে বিচারক জানান, ঝু চেনকে যে অর্থ উপহার দিয়েছিলেন তা প্রমাণ করা যায়নি। এই বিপুল অর্থ বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ এবং সন্তান লালন-পালনের খরচের জন্য হির তরফ থেকে চেনকে দেওয়া হয়েছিল বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। আর সে কারণে আদালত জানায় হিকে অর্থ ফেরত দিতে হবে না।

Brazil: ডেঙ্গু রুখতে মশার চাষ করছে ব্রাজিল, সুরক্ষিত থাকবেন ১৪ কোটি মানুষ

এই দিনকাল: ডেঙ্গু (Dengue) রুখতে অভিনব পদক্ষেপ ব্রাজিলের (Brazil)। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উদ্যোগে চাষ করা হচ্ছে কোটি কোটি মশা (Mosquitoes)। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জৈব কারখানা গড়ে বিশেষ ধরণের মশার চাষ করা হচ্ছে। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত এই মশা আগামী কয়েক বছরে ব্রাজিলে ডেঙ্গুর হাত থেকে প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে রক্ষা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রাজিলের বিশেষ মশা উৎপাদনকারী কারখানার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওলবিতো দো ব্রাজিল’ (Wolbito do Brasil)। দেশটির কুরিতিবা (Curitiba) শহরে গত ১৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি পথচলা শুরু করেছে। বিশ্ব মশা কর্মসূচি, ওসওয়াল্দো ক্রুজ ফাউন্ডেশন (Oswaldo Cruz Foundation) এবং পারানার মলিকুলার বায়োলজি ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হওয়া এই কারখানায় প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১০ কোটি সংক্রমিত মশার ডিম উৎপাদন করা সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে কারখানার লুসিয়ানো মোরেইরা নামের এক আধিকারিক বলেন, আমরা প্রতি ছয় মাসে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারব।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ানোর পিছনে যে মশা দায়ী, সেটি হল এডিস ইজিপ্টাই (Aedes aegypti)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর কয়েকশো কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। শুধু ব্রাজিলে ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ২৯৭ জনের। 

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ভাবে কাজ করবে এই মশা?

ওলবিতো দো ব্রাজিল কারখানায় যে মশা উৎপাদন করা  হচ্ছে, সেগুলির দেহে ওলবাকিয়া (Wolbachia) নামের এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটানো হয়।এই ব্যাকটেরিয়া মশার দেহের মধ্যে থেকে গিয়ে ডেঙ্গুর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শুধু তাই নয়, জিকা ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এই ব্যাকটেরিয়া। যখন বিশেষ এই মশাগুলো খোলা পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন তারা স্থানীয় মশাদের সঙ্গে প্রজননে অংশ নেয়। বিশেষ ব্যাকটেরিয়া সমন্বিত মশার সঙ্গে প্রজননের ফলে পতঙ্গের পরবর্তী প্রজন্মও ওলবাকিয়া সংক্রমিত হয়। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। ওলবিতো দো ব্রাজিলের আরেক আধিকারিক আন্তোনিও ব্রান্ডাও বলেন, প্রকৃতিতে ৬০ শতাংশের বেশি পোকামাকড়ের দেহে ইতিমধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। মানবদেহের সঙ্গে এর কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ব্রাজিলে প্রথম এই মশার চাষ শুরু করা হয়। প্রথমে আটটি শহরে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। যার ফলে ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

Rahul Gandhi: রাহুলকে ‘শহুরে মাওবাদী’ বলে আক্রমণ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের

এই দিনকাল: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) তীব্র আক্রমণ মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের (Maharashtra CM Devendra Fadnavis)। শুক্রবার তিনি বলেন, কংগ্রেস নেতা ‘শহুরে মাওবাদী’র মত কথা বলছেন। শুধু তাই নয়, ফড়নবিশের দাবি, গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে রাহুল দেশের তরুণ প্রজন্ম অর্থাৎ জেন জিকে উসকানি দেওয়ার চেষ্টা করছেন।

বৃহস্পতিবার রাহুল গান্ধী নিজের সমাজ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করেছিলেন। যেখানে বিরোধী দলনেতা দেশের যুব ও ছাত্রদের ‘সংবিধান রক্ষা, গণতন্ত্র রক্ষা এবং ভোট চুরি বন্ধ’ করার আর্জি জানিয়েছেন।সেটির প্রতিক্রিয়ায় ফড়নবিশ এমন মন্তব্য করেছেন। সাংবাদিকদের ফড়নবিশ বলেন, ‘রাহুল গান্ধী তরুণ প্রজন্মকে গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করতে বলেছেন। এটি ‘ভোট চুরি’ নয়, বরং তাঁর মস্তিষ্ক চুরি করা হয়েছে। তিনি শহুরে মাওবাদীদের ভাষা বলেন যাঁরা সংবিধান বা গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিতে বিশ্বাস করেন না।’

মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর আরও অভিযোগ, রাহুল গান্ধীকে যাঁরা পরামর্শ দেন, তাঁরাও একই রকম ভাবে ‘শহুরে মাওবাদী মানসিকতা’র। ফড়নবিশ বলেন, ‘ভারতের জেন জি সংবিধানে বিশ্বাস করেন, গণতন্ত্রকে মূল্য দেন এবং স্টার্ট-আপ এবং প্রযুক্তি বিপ্লবের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।রাহুল গান্ধী না তাঁদের বোঝেন, না এই দেশের তরুণদের, না সিনিয়রদের।’

Rahul Gandhi: কর্নাটকের অলন্দে ৬০০০ এর বেশি ভোট চুরি হয়েছে!’ ‘তথ্য প্রমাণ’ দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাহুলের

এই দিনকাল: ভোট চুরির (Vote Chori) অভিযোগে দেশের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা। সেই মঞ্চ থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ আনেন তিনি। রাহুল বলেন কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা এলাকায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬,০০০ এরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে।

রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, অনেক বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে, কিন্তু শুধুমাত্র ৬,০১৮টি ভোট চুরির ঘটনা ধরা পড়েছে। কংগ্রেস নেতা নির্বাচন কমিশন, বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, গণতন্ত্রকে যারা হরণ করছে, তাদেরকে রক্ষা করছে নির্বাচন কমিশন। একটি নিরপেক্ষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হওয়ার পরিবর্তে কমিশন ‘গণতন্ত্রের ধ্বংসকারী’ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল।

লোকসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, কংগ্রেস দলের শক্তি বেশি সেই রকম একাধিক জায়গায় হাত শিবিরকে দুর্বল করার জন্য ভোটার তালিকা থেকে হাজার হাজার ভোটারের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি এই অভিযানকে ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিহিত করেছেন। রাহুল গান্ধীর মতে, এই ভোটার মুছে ফেলার অভিযান প্রযুক্তির সাহায্যে করা হয়েছে। অভিযোগ, ভোটারদের কোনও কিছু না জানিয়ে তাদের অজান্তেই আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে অন্য ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য।

যদিও রাহুলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সমাজ মাধ্যমে কমিশনের তরফে লেখা হয়েছে, ‘রাহুল গান্ধীর করা অভিযোগগুলি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন৷ অনলাইনে কোনও সাধারণ নাগরিক ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া যায় না৷’

Muslim: ‘মুসলিম-মুক্ত ভারত স্বপ্ন’: অসম বিজেপির এআই ভিডিও প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া ওয়েইসির

এই দিনকাল: সমাজ মাধ্যমে অসম বিজেপির (BJP) তরফে মুসলিম (Muslim) বিদ্বেষে পূর্ণ এআই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, পদ্ম শিবির মুসলিমদের অপমান করতে এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণা উস্কে দিতে এ কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আইমিম প্রধান তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

ঠিক কী অভিযোগ? নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রকাশ করেছে অসম বিজেপি। ‘বিজেপি ছাড়া অসম’ শিরোনামের ভিডিওটিতে রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মুসলমানদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখানো হয়েছে। যারা কিনা সরকারি জমি দখল করছে বলে দাবি বিজেপির। ভিডিওটিতে একটি ক্লিপ রয়েছে যেখানে কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ এবং রাহুল গান্ধীকে দেখানো হয়েছে কংগ্রেস দলের পাকিস্তান যোগ রয়েছে দাবি করে।

এই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নেটাগরিকরা। তাঁদের প্রশ্ন অসমে মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে কি এটা করা হয়েছে? কংগ্রেস নেতা মনসুর খান এটিকে ‘সামাজিক সম্প্রীতির উপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ এবং অংশীদারি মূল্যবোধের অপমান’ বলে অভিহিত করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক ঘৃণা উস্কে দেওয়ার জন্য অসমকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে দেখিয়ে একটি ভুয়ো, এআই-ভিত্তিক ভিডিও ছড়িয়ে রাজনৈতিক প্রচারণার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে অসম বিজেপি। এটি সামাজিক সম্প্রীতির উপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ, আমাদের অংশীদারি মূল্যবোধের অপমান। অসমের মানুষ এই বিষাক্ত প্রচারণার সঠিক জবাব দেবে।’

আইমিম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ভিডিওটির নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বিজেপির স্বপ্ন মুসলিম মুক্ত ভারত।’ তাঁর কথায়, ‘বিজেপি না থাকলে অসম মুসলিম প্রধান হবে এমন একটি জঘন্য এআই ভিডিও পোস্ট করেছে অসম বিজেপি। তারা কেবল ভোটের জন্য ভয় দেখাচ্ছে না, এটিই প্রকৃত রূপে ঘৃণ্য হিন্দুত্ববাদী আদর্শ। ভারতে মুসলমানদের অস্তিত্বই তাদের কাছে একটি সমস্যা, তাদের স্বপ্ন মুসলিম-মুক্ত ভারত। এই ক্রমাগত ঘ্যানঘ্যানানি ছাড়া, ভারতের জন্য তাদের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি নেই।’

Stray Dog: বেনজির নির্দেশিকা! মানুষকে দ্বিতীয়বার কামড়ালে পথকুকুরের ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ উত্তরপ্রদেশে

এই দিনকাল: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) দুর্বিষহ জীবন হতে চলেছে পথকুকুরদের (Stray Dog)। একটি বেনজির নির্দেশিকা জারি করেছে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। রাজ্য সরকারের তরফে বলা হয়েছে, যদি কোনও পথকুকুর প্রথম বার কোনও উস্কানি ছাড়াই মানুষকে কামড়ায়, তাহলে প্রাণীটিকে ১০ দিনের জন্য পশু কেন্দ্রে রাখা হবে। দ্বিতীয় বার যদি সেই কুকুর প্ররোচনা ছাড়া কামড়ায় তাহলে জীবনের বাকি দিনগুলি সেখানেই থাকতে হবে। কার্যত প্রাণীগুলিকে ‘যাবজ্জীবন কারাদণ্ড’ দেওয়া হবে। তবে কেউ যদি দত্তক নিতে রাজি হয় এবং রাস্তায় না ছাড়ার শর্তে রাজি হয়ে একটি হলফনামা জমা দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির হাতে পথকুকুরকে তুলে দেওয়া হবে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, যে সমস্ত পথকুকুর আক্রমণাত্মক, সেগুলি নিয়ন্ত্রণের জন্য গত ১০ সেপ্টেম্বর সমস্ত গ্রামীণ ও শহুরে নাগরিক সংস্থাগুলিকে নির্দেশিকা পাঠিয়েছেন প্রধান সচিব অমৃত অভিজাত। তাতে বলা হয়েছে, যদি কোনও ব্যক্তি পথকুকুর কামড়ানোর পরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা নেন, তাহলে গোটা ঘটনার তদন্ত করা হবে এবং কুকুরটিকে স্থানীয় পশু জন্ম নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

প্রয়াগরাজ মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের পশুচিকিৎসা আধিকারিক বিজয় অমৃত রাজ এ বিষয়ে বলেন, ‘সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর যদি ইতিমধ্যে না করা হয়ে থাকে, তাহলে পথকুকুরটিকে নির্বীজকরণ করা হবে। ১০ দিনের জন্য পর্যবেক্ষণে রেখে প্রাণীটির আচরণে নজর রাখা হবে। কুকুরটির দেহে মাইক্রোচিপ লাগানো হবে ছেড়ে দেওয়ার আগে, যাতে তার সমস্ত তথ্য থাকবে এবং আমরা তার অবস্থান চিহ্নিত করতে পারব।’ তবে যদি একই কুকুর কোনও মানুষকে – উসকানি ছাড়া দ্বিতীয়বার কামড়ায়, তবে প্রাণীটিকে আজীবন পশুকেন্দ্রে রেখে দেওয়া হবে।

কিন্তু কোনও উস্কানিমূলক আচরণ হয়েছে কিনা তা কীভাবে নির্ধারণ করা হবে? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তিন জনের একটি কমিটি গঠন করা হবে, যার মধ্যে থাকবেন এলাকার এক জন পশুচিকিৎসক, পশুদের বিষয়ে অভিজ্ঞতা রয়েছে এবং তাদের আচরণ বোঝেন এমন এক জন এবং মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের এক জন। তাঁরা যাচাই করবেন যে আক্রমণটি বিনা উস্কানিতে হয়েছে কিনা- যদি কেউ পাথর ছুঁড়ে মারার পরে প্রাণীটি কামড়ায়, তবে তা বিনা উস্কানিতে আক্রমণ হিসাবে বিবেচিত হবে না।’

নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, এই ধরণের কুকুর দত্তক নেওয়া যেতে পারে, তবে যে ব্যক্তি দত্তক নেবেন নাম, ঠিকানা-সহ তাঁকে সমস্ত বিবরণ জানাতে হবে। পাশাপাশি কুকুরটিকে রাস্তায় ছেড়ে দেওয়া হবে না এই মর্মে একটি হলফনামা জমা দিতে হবে। নথিভুক্ত করা হবে কুকুরের মাইক্রোচিপের বিবরণও। যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, তবে প্রাণীটিকে দত্তক গ্রহণকারীর বিরুদ্ধেও আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Waqf Act: ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ: যা জানা দরকার 

এই দিনকাল: ওয়াকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫-এর কিছু অংশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি এজি মসিহের একটি বেঞ্চ পুরো আইনটি স্থগিত করতে রাজি হয়নি। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, সংসদে পাস হওয়া আইনের সাংবিধানিক বৈধতার পক্ষে সর্বদা একটি সম্ভাবনা থাকে এবং কেবলমাত্র বিরলতম ক্ষেত্রেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এদিন অন্তর্বর্তী রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি জানান, আইনটি সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করার জন্য কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি ৷

সংশোধিত নয়া ওয়াকফ আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিকে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করতে হবে। আইনের এই অংশের উপর এদিন সর্বোচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম পালন করছেন কি না, তা বিচার করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে একটি নিয়ম তৈরি করতে হবে ৷ যত দিন না সেই নিয়ম তৈরি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই শর্তটিও স্থগিত করা হয়েছে৷ আদালত মনে করে, নিয়ম না-থাকলে এই শর্তের কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে৷

ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য রাখা নিয়েও পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডে সর্বোচ্চ ৪ জন অমুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন। তবে রাজ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ জন৷ সেই সঙ্গে, রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার যে নিয়ম করা হয়েছে, তাতে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

এ ছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তি নির্ধারণ করা প্রসঙ্গে জেলাশাসককে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেলাশাসক সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

RSS: ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগরাচ্ছে আরএসএস’, অভিযোগ কংগ্রেসের

এই দিনকাল: সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগরাচ্ছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘ (RSS), এমনটাই অভিযোগ কংগ্রেসের (Congress)। রবিবার দলটি আরএসএস-এর নিন্দা জানিয়েছে। হাত শিবিরের অভিযোগ, সংগঠনটি তাদের মালায়ালাম ভাষায় প্রকাশিত ম্যাগাজিন ‘কেশরী’তে সংখ্যালঘু খ্রিস্টান (Christian) সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে লেখা প্রকাশ করেছে।

কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কেসি ভেনুগোপালের অভিযোগ, ‘কেশরী’ পত্রিকায় প্রকাশিত সাম্প্রতিক নিবন্ধের পিছনে আরএসএসের গোপন উদ্দেশ্য রয়েছে। সেটি হল সমাজে ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া এবং ধর্মান্তরের নামে খ্রিস্টানদের দেশের শত্রু হিসাবে তুলে ধরা। কড়া ভাষায় একটি বিবৃতি দিয়ে কংগ্রেস নেতা জানতে চেয়েছেন, আরএসএস সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে নিবন্ধে যে অবস্থান নিয়েছে, বিজেপি কি তা প্রত্যাখ্যান করতে প্রস্তুত?

হিন্দুত্ববাদী সংগঠনটির সমালোচনা করে ভেনুগোপাল বলেন, ‘সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বিষ ওগরানোয় অভ্যস্ত আরএসএস (এই নিবন্ধের মাধ্যমে) ঘোষণা করছে যে তারা শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাবে।’ তাঁর অভিযোগ, এই নিবন্ধটি ডানপন্থী সংগঠনের ‘খ্রিস্টান-বিরোধী অবস্থান’ আরও খোলাখুলি ভাবে প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে। ছত্তিশগড় থেকে দুই ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনীকে সম্প্রতি গ্রেফতার এবং মুক্তি দেওয়ার কথা উল্লেখ করে ভেনুগোপাল বলেন, রাজ্য বিজেপি প্রধান-সহ যারা তাঁদের সঙ্গে ছবি তুলেছিলেন, তাদের আসল চেহারা এই নিবন্ধের মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। তিনি রাজ্যের মানুষকে সঙ্ঘ পরিবারের সংগঠনগুলির অন্ধ ‘সংখ্যালঘু-বিরোধী’ মনোভাবের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকার আবেদন জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য ‘কেশরী’ পত্রিকায় ডানপন্থী সংগঠন হিন্দু ঐক্যবেদীর রাজ্য সহ-সভাপতি ই এস বিজু বিতর্কিত নিবন্ধটি লিখেছিলেন। তা প্রকাশ হওয়ার তিন দিনের মধ্যে আরএসএসের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হল কংগ্রেস। নিবন্ধটির শিরোনাম ছিল, ‘বিশ্বজুড়ে ধর্মান্তরের সময়রেখা’। এই প্রবন্ধে গত কয়েক বছর ধরে দেশে ঘটে যাওয়া ধর্মান্তরের জন্য খ্রিস্টান সম্প্রদায়কে নিশানা করেছেন লেখক। 

ধর্মান্তর এবং মানব পাচারের অভিযোগে ছত্তিশগড়ে কেরলের দুই ক্যাথলিক সন্ন্যাসিনীকে গ্রেফতারের সাম্প্রতিক ঘটনার কথা উল্লেখ করে প্রবন্ধে অভিযোগ করা হয়, রাজ্যের রাজনৈতিক ও ধর্মীয় নেতৃত্ব এই ঘটনায় ‘একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডার সঙ্গে ধর্মীয় ও মানসিক দ্বন্দ্ব’ উসকে দেওয়ার চেষ্টা করেছে। দেশের আইন সকলের জন্য সমান উল্লেখ করে নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘এটি ভারতীয় সংবিধানের সারাংশকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি হল সংখ্যালঘু ধর্মের জন্য এক বিচার এবং সংখ্যাগরিষ্ঠদের জন্য অন্য বিচার।’ এতে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, ধর্মান্তর যদি ধর্মীয় শক্তির অধিকার হয়, তবে এর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ করা হিন্দুদের অধিকার এবং কর্তব্য। প্রবন্ধে সংবিধান সংশোধনের পক্ষেও সওয়াল করা হয়েছে।