Author Archives: Ei Dinkal

Kasba Rape Case: ধর্ষণ কাণ্ডের পর অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কসবার ল কলেজ!

এই দিনকাল: গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক‍্যালকাটা ল কলেজে ধর্ষণের (Kasba Rape Case) ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের এই ঘটনা। এই আবহে এবার কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন‍্য বন্ধ করে দিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। রবিবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। 

সাউথ ক‍্যালকাটা ল কলেজের তরফে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে আপাতত কলেজ বন্ধ থাকবে। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমস্ত বিএ.এলএলবি ও এলএল.এম ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজ চত্বরে পড়ুয়াদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, নিরাপত্তার দাবি নিয়ে সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে এসেছিল পড়ুয়াদের একাংশ। উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চেয়েছিল তারা। কিন্তু অভিযোগ, উপাচার্য তাদের সঙ্গে দেখা করেনি। এদিনই শহর কলকাতার একাধিক ল কলেজের পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরা কসবায় জমায়েত করেছিল। তারা দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কসবা থানা থেকে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ পর্যন্ত মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা।

Kasba Rape Case: ‘মহুয়াকে ঘৃণা করি’, সুর চড়ালেন কল্যাণ, কসবা ধর্ষণকাণ্ড ক্রমশ কোন্দল বাড়াচ্ছে তৃণমূলে

এই দিনকাল: কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Kasba Rape Case) ঘটনায় সরব হচ্ছে বিরোধীরা। এই আবহে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ক্রমশ বেআব্রু হয়ে পড়ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mohua Moitra) ‘ঘৃণা করি’ বলে মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা।

কী নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলের দুই সাংসদের মধ্যে?

গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যারা ধরা পড়েছে সেই তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এননকি নির্যাতিতা তরুণীও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী। ২৬ জুন নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগ জানানোর পর ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। বিরোধীরা শাসকদলকে নিশানা করতে শুরু করে। সেই আবহে ২৮ জুন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, তবে নিরাপত্তা কী ভাবে দেবে।’ কল্যাণের এই মন্তব্যের পর দল দূরত্ব বাড়ায়। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি যদি ওখানে না যেত তাহলে এরকম ঘটনা ঘটত না। গেছিল যখন অন্তত কয়েকজন বন্ধুকে বলে বা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারত। তাহলে এমন হত না। অভিযুক্তরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।’

কল্যাণ এবং মদনের বক্তব্য জোড়াফুল শিবির সমর্থন করে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বিবৃতি দিয়ে। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—মহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’

দলের এই বিবৃতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘ভারতে নারীবিদ্বেষ দলের গণ্ডিতে আটকে নেই। কিন্তু তৃণমূলকে অন্যদের থেকে আলাদা করে একটাই বিষয়, আমরা এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করি, তা সে যে-ই করুন না কেন।’ আর এর পরেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে কল্যাণ জানান তিনি মহুয়াকে ঘৃণা করেন তবে তিনি নারী বিদ্বেষী নন।

Shefali Jariwala: ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যু

এই দিনকাল: জনপ্রিয় ‘কাঁটা লাগা’ গানের মুখ অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা (Shefali Jariwala) প্রয়াত। শুক্রবার গভীর রাতে মুম্বইয়ে প্রয়াত হন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে অভিনেত্রীর মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শেফালির স্বামী তাঁকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান এদিন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা এখনও মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক ভাবে অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে কি না তা জানতে পুলিশ শেফালির বাড়িতে রাঁধুনি এবং গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ‘কাঁটা লাগা’ গান বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। সেই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের পর শেফালি জারিওয়ালা খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে বিগ বস ১৩-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০৪ সালে সলমন খান, অক্ষয় কুমার এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত ‘মুঝসে শাদি কারোগি’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন শেফালি।

স্বামী পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে শেফালি ‘নাচ বালিয়ে’ সিজন ৫ এবং ৭-এও অংশ নিয়েছিলেন। পরাগের সঙ্গে ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন শেফালি। অভিনেত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শেফালির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মিকা সিং। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত এবং ভারাক্রান্ত… আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তুমি সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ওম শান্তি।’

Rape: ‘আইনের ছাত্রী হয়ে আজ আমি নিজেই নির্যাতিতা’, অভিযোগপত্রে লিখলেন কসবা কাণ্ডের তরুণী

এই দিনকাল: কসবার ল কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এবং অপরাধের সময় তার সহযোগীরা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবারই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ জুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে তরুণীর উপর নৃশংস ভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৬ জুন গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। সেই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আইনের ছাত্রী হয়ে আজ আমি নিজেই নির্যাতিতা। আমি নিজের জন্য বিচার চাইছি। দয়া করে তিন জনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।’

উল্লেখ্য গত বছর আগস্ট মাসে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। যে ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল৷ কসবা কাণ্ডের পর অনেকে এই ঘটনাকে আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করছেন। ইতিমধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই ঘটনায় সরব হয়েছে।

Panchayat Season 4: ‘পঞ্চায়েত’, একটি সাবালকত্ব অর্জনের নাম

আকাশ রায়

কয়েকদিন ফেসবুক স্ক্রোল করতে ভয় পাচ্ছি,খুব ভুল করেও যদি স্পয়লারে চোখ পড়ে যায়! তাই আগের রাতের ঘুম কে অনেকটা অগ্রাহ্য করে দেখলাম পঞ্চায়েত সিজন ৪ (Panchayat Season 4)। জিতু ভাইয়া ওরফে সচিবজী ওরফে জিতেন্দ্র কুমার কে বরাবরই ভালো লাগে তার সাবলীল অভিনয়ের জন্য। তাই বাড়তি উৎসাহ সেখান থেকেই পাওয়া।

বাকি সিজনগুলোর মতো এবারেও সিরিজটার একটা স্থিতধী ভঙ্গিমা রয়েছে। তবে সবচেয়ে আকর্ষণ হলো এই সিরিজের চরিত্রেরা, বিশেষত নেগেটিভ চরিত্ররা। আপনি তাদের সেই মাথায় রক্ত ওঠা অভিনয় দেখে রেগে যেতে পারেন, প্রয়োজনে মনে মনে (একা থাকলে,অথবা কমফোর্ট জোনে থাকলে) দুটো অশ্রাব্য গালিগালাজও করতে পারেন কিন্তু ঘৃণা করতে পারবেন না। এরা হয়তো কিছুটা সরল, কিছুটা নিজের স্বার্থের প্রতি অপ্রতিরোধ্য কিন্তু সেই অর্থে ক্ষতিকারক নয়। ভূষণ অথবা মাধবের কথা আলাদা না বললেও বিনোদ চরিত্রটি এই সিজনে টুপি খুলে রাখতে বাধ্য করায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে চোখের খেলায় ডুবতে ভালোবাসি, তাই মুখের কথার চেয়ে চোখ আমাকে বেশি টানে সবদিন। বিনোদ যখন ‘গদ্দার’ হতে আপত্তি জানায় তার চোখে আশ্চর্য উদাসীনতা ছিল আর ছিল সাবলীলতা। 

সচিব আর রিঙ্কির কেমিষ্ট্রি এই সিরিজে সবচেয়ে ওয়েটেড অংশ। সেখানে তারা রীতিমতো প্রশংসার দাবি রাখে। একটা গ্রাম্য প্রেমের জেনুইন দৃশ্যতে যেটুকু প্রয়োজন তার একচুলও বেশি হয়নি। পরিচালক এখানে মুন্সিয়ানার পাশাপাশি ভীষণরকমের প্রোফেশনাল, কারণ দর্শকদের প্রতীক্ষিত দৃশ্যের ক্ষেত্রেও তিনি কোনোভাবেই আবেগপ্রবণ নন। এটি আসলেই একটা স্লো এবং গভীর প্রেমের পরিণতি।

আমরা নিজেদের জীবনযুদ্ধে কখনও জিতি,বেশিরভাগ হারি। এখানের চরিত্ররা কেউ Larger than Life নয়। জীবনের পাশাপাশি এই সিরিজেও সেই বার্তা খুব স্পষ্ট। রিয়েলিস্টিক মানে অবশ্যই জিতে যাওয়া নয়, এই কনসেপ্ট চিরদিন মনে থেকে যাবে। দিনযাপনের পাশাপাশি পঞ্চায়েতও সাবালক হচ্ছে ধীরে ধীরে। সচিবের গ্রামে এসে স্ট্রাগল থেকে শুরু হওয়া এই সিরিজ এখন বিভিন্ন সামাজিকতার নিদর্শন হয়ে উঠছে।

আসলে ফুলেরা একটি গোলকধাঁধা, চক্রবূহ্য। আর সচিব এখানে অভিমণ্যু, যে এসে তো পড়েছে আর দিনের পর দিন জড়িয়ে যাচ্ছে এর মায়ায়। এই মায়ার বাঁধনের প্রেমে যে পড়েছে সে জানে, এর থেকে বেরোনোর পথ তার নেই, অথবা চায়ও না। আবার অপেক্ষা, পঞ্চায়েত ফিরুক আবার, আমরাও জীবন যুদ্ধে ছুটে বেড়াই। মাঝে ক্লান্ত হতে পারি, কিন্তু আবার ফিরব, সেই পরিচিত লিপ্সায়, সেই ফুলেরা তে, সেখানে সচিব আর রিঙ্কির প্রেম, প্রল্লাদের অভিমান, প্রধানের বুক ভাঙা কষ্ট আর বিকাশের সারল্য- সবটা রাখা আছে।

Spying for ISI: অপারেশন সিঁদুরের সময় পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার নৌসেনা কর্মী

এই দিনকাল: নৌসেনার (Navy) এক কর্মীকে পাকিস্তানের হয়ে গুপ্তচরবৃত্তি (Spying for ISI) করার অভিযোগে গ্রেফতার করল পুলিশ। দিল্লিতে নৌবাহিনীর সদর দফতর থেকে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর হয়ে বছরের পর বছর ধরে গুপ্তচরবৃত্তি করার অভিযোগ তাঁর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয় অপারেশন সিঁদুরের সময়ও সংবেদনশীল তথ্য পাচার করেছে বলে অভিযোগ। 

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম বিশাল যাদব।তার মোবাইল থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছেন গোয়েন্দারা। জানা গেছে টাকার বিনিময়ে নৌবাহিনী এবং অন্যান্য প্রতিরক্ষা ইউনিট সম্পর্কিত গোপনীয় তথ্য পাকিস্তানি এক মহিলা হ্যান্ডলারকে সরবরাহ করেছিলেন বিশাল যাদব। হরিয়ানার বাসিন্দা বিশাল যাদব নৌ সদর দফতরে একজন কেরানি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তাকে রাজস্থান পুলিশের গোয়েন্দা শাখা গ্রেফতার করেছে। পুলিশের এক ঊর্ধ্বতন আধিকারিক বিষ্ণুকান্ত গুপ্ত এ বিষয়ে বলেন, পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলি যে গুপ্তচরবৃত্তির কার্যকলাপ চালাচ্ছে রাজস্থানের সিআইডি তা নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে। নজরদারি চালানোর সময় গোয়েন্দারা লক্ষ্য করেন, বিশাল যাদব সমাজ মাধ্যমে পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থার একজন মহিলা হ্যান্ডলারের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছেন।

পুলিশ আধিকারিক আরও জানান, যে মহিলার সঙ্গে যাদব যোগাযোগ রাখতেন তিনি নিজেকে প্রিয়া শর্মা বলে পরিচয় দিতেন। গুরুত্বপূর্ণ গোপন তথ্য যাদবের কাছ থেকে পেতেন ওই মহিলা। আর এ জন্য যাদবকে টাকা দিতেন তিনি। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে বিশাল যাদব অনলাইন গেম খেলায় আসক্ত ছিলেন। এই গেম খেলায় তার আর্থিক ক্ষতি মেটাতে অর্থের প্রয়োজন ছিল। বিশাল যাদব গ্রেফতার হওয়ার পর এই চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা জড়িত রয়েছে তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Kaliganj Tamanna News: তামান্না খুনের প্রতিবাদে ২৮ জুন সিপিএমের বিক্ষোভ সমাবেশ, থাকবেন সেলিম, মীনাক্ষীরা

এই দিনকাল: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোঁড়া বোমায় খুন হয়েছে নাবালিকা তামান্না খাতুন (Kaliganj Tamanna News)। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল সিপিএম (CPIM)। আগামী ২৮ জুন কালীগঞ্জে এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম দলটি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে সিপিএম। ঘটনার দিন নিহত তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএমের যুব শাখা ডিওয়াইএফআই এর নেতা কর্মীরা। এবার ২৮ জুন বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলেন মহম্মদ সেলিমরা। উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সেই জয় উদযাপনে বিজয় মিছিল বের করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকে মেলেন্দি এলাকায় বোমা ছোঁড়া হয়। সেই বোমায় গুরুতর জখম হয় তামান্না। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।  

অন্য দিকে বুধবার দুপুরে তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মোলান্দি গ্রামে যান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি নাবালিকার মা-বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বললে তা প্রত্যাখ্যান করে তামান্নার পরিবার।

Migrant Labour: বিজেপি শাসিত রাজস্থানে টার্গেট বাঙালি শ্রমিকরা, বাংলাদেশি সন্দেহে আটক ৩০০ এর বেশি, ক্ষুব্ধ মমতা

এই দিনকাল: বাংলা ভাষায় কথা বলার জেরে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে রাজস্থানে আটকে রাখা হল এ রাজ্যের ৩০০ এর বেশি বাঙালি শ্রমিককে (Migrant Labour)। বাংলাদেশি সন্দেহে যাদেরকে রাজস্থানে আটক করা হয়েছে, আদতে তারা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার তিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজস্থানের ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা যদি বন্ধ না হয়, বাংলার মানুষের প্রতি এই অন্যায় যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা কড়া আন্দোলনে নামব। বাংলাকে হেয় করার কোনও চেষ্টাই বরদাস্ত করব না।’রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলা ভাষায় কথা বললেই কি অপরাধ? তাহলে বলে দেওয়া হোক, বাংলা ভাষা নিষিদ্ধ। রাজস্থানে যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁরা কারও বাবা, কারও ভাই, কারও সন্তান। তাঁরা কেউ বাংলাদেশি নন- তাঁরা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার এলাকার বাসিন্দা, ভারতের নাগরিক।’

ভিন রাজ্যে আটকে রাখা শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেন আটকে থাকা শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য। পাশাপাশি এদিন হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা যদি বন্ধ না হয়, বাংলার মানুষের প্রতি এই অন্যায় যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা কড়া আন্দোলনে নামব। বাংলাকে হেয় করার কোনও চেষ্টাই বরদাস্ত করব না।’

Kaliganj By-election: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ, কালীগঞ্জে মৃত্যু নাবালিকার

এই দিনকাল: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিজয় উল্লাসের বলি হলেন এক নাবালিকা। সোমবার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Kaliganj By-election) ফল ঘোষণা হয়েছে। এদিন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। অভিযোগ, সেই জয় উপলক্ষে জোড়াফুল শিবিরের বিজয়োল্লাস থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। আর যার জেরে মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণীর এক পড়ুয়ার।

স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত ছাত্রীর নাম তামান্না খাতুন। ১০ বছর বয়স তার। এদিন উপনির্বাচনে জয় এক প্রকার নিশ্চিত হতেই বিজয়মিছিল বের করেন কালীগঞ্জের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, কালীগঞ্জের মেলেন্দি এলাকায় সেই মিছিল থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। সেই বোমায় গুরুতর জখম হয় তামান্না। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। মৃত নাবালিকার মা সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বোমা ছুঁড়েছে।

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনায় সরব হয়েছে সিপিআইএম। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী গোটা বিষয়টি নিয়ে জোড়াফুল শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চা মেয়েটা খুন হয়ে গেল। ৯ বছর বয়স। কুৎসিত, বীভৎসতার জয় হয়েছে। জয় হয়ে লাফাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতী এবং বীভৎসতা মিলিয়ে মিশিয়ে তৃণমূল। তৃণমূলের জয় মানে দুষ্কৃতীদের পিছনে পুলিশ, প্রশাসন; তার পিছনে পুলিশমন্ত্রী। পুলিশমন্ত্রী জানেন না তৃণমূলের বিজয় মিছিলে কী হয়?’

অন্য দিকে এই ঘটনায় পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার বারোচাঁদগরে বিস্ফোরণে এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের মুহূর্তে আমার প্রার্থনা এবং ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূল ৫৫.১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ২৮.২৯ শতাংশ ভোট আর বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ১৫.২১ শতাংশ ভোট।

Islamic State: দামেস্কে গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা আইএস জঙ্গির, নিহত ১৫

এই দিনকাল: প্রার্থনা চলাকালীন ভরা গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাল আইএস (Islamic State) জঙ্গি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেন্ট ইলিয়াস চার্চে রবিবার এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে খবর।

সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গির্জায় হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একজন সদস্য জড়িত। এই হামলায় কম করে ১৫ জন নিহত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর সিরিয়ার রাজধানীতে এটিই প্রথম আক্রমণ। দেশের নতুন কর্তৃপক্ষের জন্য নিরাপত্তা এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।

বিস্ফোরণের পর তড়িঘড়ি মানুষজনকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। গির্জা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এক বিবৃতিতে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাজধানী দামেস্কের ডোয়েলা এলাকায় সেন্ট ইলিয়াস গির্জায় আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত একজন আত্মঘাতী হামলাকারী প্রবেশ করে গুলি চালায় এবং তারপর একটি বিস্ফোরক বেল্ট দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।’

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই হামলায় ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাইরে থেকে কেউ একজন অস্ত্র নিয়ে গির্জার ভেতরে প্রবেশ করে গুলি চালাতে শুরু করে। লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।