Author Archives: Ei Dinkal

Bengali People: মারাঠি না জানায় মহারাষ্ট্রে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে মারধর

এই দিনকাল: ফের বাঙালি (Bengali People) পরিযায়ী শ্রমিককে আক্রমণের অভিযোগ। এ বার মহারাষ্ট্রে। অভিযোগ, মারাঠি ভাষা না জানায় ওই বাঙালি শ্রমিককে মারধর করা হয়। এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সদস্যদের দিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম বৈদ্যনাথ পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিকে গাড়ি চালানো শিখছিলেন তিনি। সেই সময় ভুল করে এক প্রতিবেশীর গাড়িতে ধাক্কা মারেন। তার পর গাড়ির মালিকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। অভিযোগ, ঘটনার পরদিনই ওই প্রতিবেশী মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাকে খবর দেয়। এর পর রাজ ঠাকরের দলের সদস্যরা বৈদ্যনাথের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর গায়েও অভিযুক্ত হাত তুলেছে। 

ঘটনার ভিডিওটি ইতিমধ্যে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এই দিনকাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, রাজ ঠাকরের অনুগামীরা এবং ওই অভিযুক্ত একসঙ্গে বৈদ্যনাথ পণ্ডিতকে ঘেরাও করে রেখেছেন। এক জন তাঁকে জিজ্ঞেস করছেন, মারাঠি ভাষা বলতে পারেন কি না। তার পর বলেন, মারাঠি ভাষা না জানলে তাঁকে শিখতে হবে। এর মাঝে অন্য আরেক জন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমকে ওই আক্রান্ত বাঙালি শ্রমিক জানিয়েছেন, আমাদের মহারাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

Band: মুসলিম হয়ে হিন্দু দেবদেবীর নাম ব্যবহার কেন? ব্যান্ড মালিকদের ডেকে পাঠাল যোগী রাজ্যের পুলিশ

এই দিনকাল: মুসলিম ব্যান্ড (Band) মালিকদের একাংশ নিজের সংস্থার নাম রেখেছিল হিন্দু দেবদেবীর নামে। আর তাতেই আপত্তি যোগী রাজ্যের পুলিশের। ব্যান্ড মালিকদের ডেকে পাঠাল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার পুলিশ। তাদেরকে হিন্দু নাম ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শাবি শর্মা নামের একজন আইনজীবী গত ৯ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যেখানে তিনি দাবি করেন জেলার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন মুসলিম ব্যান্ড মালিক নিজেদের ব্যবসার নাম রেখেছেন হিন্দু দেবদেবীর নামে। অভিযোগ পাওয়ার পর, তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। মোরাদাবাদের এসপি (শহর) কুমার রণবিজয় সিং বেশ কয়েকজন ব্যান্ড অপারেটরকে ডেকে পাঠান, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন মুসলিম। এসপি তাদের নির্দেশ দেন, ব্যান্ড হিন্দু দেবদেবীর নামে না রাখার জন্য। পুলিশের নির্দেশ মেনে চলবেন বলে জানিয়েছেন ব্যান্ড মালিকরা।

পুলিশের মতে, অভিযোগকারী দাবি করেছিলেন, এই প্রবণতা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে। সিং বলেন, ‘মঙ্গলবার, তাদের তলব করে এমন নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা সকলেই তা মেনে চলতে রাজি হয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, একজন মুসলিম ব্যান্ড মালিক যদি তার ব্যান্ডের নাম হিন্দু দেবতার নামে রাখে, সেক্ষেত্রে বেআইনি কিছু নেই।

অভিযোগকারীর বক্তব্য, মোরাদাবাদের ব্যান্ড শিল্প মূলত মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির অনেকগুলি হিন্দু নামে পরিচালিত হয়, যার মধ্যে হিন্দু দেব-দেবীর নামও রয়েছে। তাঁর দাবি, ‘এটি পরিচয় বিকৃত করার চেষ্টা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই ধরণের প্রথার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।’ বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম। এখন পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এটি বৈষম্য নয়, এটি আইনি ব্যবস্থা।’

Bill: টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকলে হাতছাড়া হবে মন্ত্রিত্ব, বিল আনল কেন্দ্র, বিরোধিতায় তৃণমূল

এই দিনকাল: প্রধানমন্ত্রী হোন বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনও মন্ত্রী, যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তাহলে হাতছাড়া হবে তাঁর মন্ত্রিত্ব। বুধবার লোকসভায় এই মর্মে বিল (Bill) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী এই বিল পেশ করার পর সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ (TMC) বিরোধীরা। বিরোধীদের দমন করতে এই বিল আনা হয়েছে বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের।

অমিত শাহের পেশ করা বিলে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের অপসারণ করার কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্ত মন্ত্রীরা যদি কোনও গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তাহলে এই নিয়ম তাঁদের উপর প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে। বুধবার লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার পাশাপাশি আরও দুটি বিল পেশ করা হয়। সে দুটির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল। তিন বিলেরই বিরোধিতা করে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বিলের কপি ছিঁড়ে অমিত শাহের দিকে ছোঁড়েন বিরোধী সাংসদরা। সংসদের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান অনেক সাংসদ। 

কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘ওরা বলছে ৩০ দিন, আমি শাহকে বলছি, ৩০ নয়, ১৫ দিন সময় নিন। লোকসভায় আপনাদের আনা বিলকে তৃণমূলও সমর্থন করবে। কিন্তু নতুন বিলে এই নিয়ম রাখতে হবে যে যাকে অপরাধী সন্দেহে জেলে রাখা হবে তার অপরাধ প্রমাণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদেরও দ্বিগুণ সময় জেলে থাকতে হবে।’

Supreme Court: ‘প্রেম অপরাধ?’, মুসলিম নাবালিকার বিয়ে সংক্রান্ত মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

এই দিনকাল: জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন বা এনসিপিসিআর- (NCPCR)এর একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০২২ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ১৬ বছর বয়সী এক মুসলিম মেয়ে এবং তার ৩০ বছর বয়সী স্বামীকে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন।

সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছে, যেখানে বলা হয়েছে, মুসলিম পার্সোনাল আইনের আওতায় বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছালে বা ১৫ বছরের বেশি বয়সী কোনও মেয়ে নিজের পছন্দের সঙ্গীকে বিয়ে করার জন্য ‘যোগ্য’। এ ক্ষেত্রে পকসো আইন প্রযোজ্য হবে না। জাভেদ এবং আশিয়ানা নামের ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানকে – সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এনসিপিসিআর-কে ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য। প্রসঙ্গত, কমিশন দাবি করেছে, এ ক্ষেত্রে পকসো আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ এদিন বলে, ‘আপনার চ্যালেঞ্জ করার কোনও অধিকার নেই… যদি দুটি নাবালক হাইকোর্ট কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে, তাহলে আপনি কীভাবে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন?’ আদালত আরও বলে, ‘আমরা দেখতে পাই না যে একজন নাবালককে সুরক্ষা দেওয়া হলে এনসিপিসিআর কীভাবে ক্ষুব্ধ হতে পারে’। 

এদিন কমিশনের তরফে আদালতে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাট্টি। তিনি বলেন, ‘আদালত সুরক্ষা দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারে, তবে আইনের বিষয়টি উন্মুক্ত রাখতে পারে। অর্থাৎ, একজন ১৫ বছর বয়সী মেয়ের কি ব্যক্তিগত আইনের ভিত্তিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আইনি এবং মানসিক ক্ষমতা থাকতে পারে?’ তবে সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়নি।  আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিশুদের জীবনের সুরক্ষা প্রদানের আদেশের ক্ষেত্রে ‘আইনের প্রশ্ন’ নিয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে না। কমিশনকে সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ, ‘আপনি যদি এই প্রশ্নটি তুলতে চান.. তাহলে উপযুক্ত মামলায় আবেদন করুন।’

সর্বোচ্চ আদালত বলে, ‘এখানে আইনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না… যদি হাইকোর্ট, সংবিধানের ২২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে, লিখিত নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা প্রয়োগ করে, তাহলে আপনি কীভাবে এটিকে চ্যালেঞ্জ করছেন?’ বিচারপতি এনসিপিসিআরকে বলেন, ‘মেয়েটি তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকে! এবং তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। আপনার সমস্যা কী?’ উল্লেখ্য, এদিন আদালত একই ধরণের মামলায় আরও তিনটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কমিশনকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বিভি নাগরত্না বলেছেন, ‘আমরা এই রোমান্টিক মামলাগুলিকে আলাদা রাখতে চাই… এগুলি আমাদের বাদ দিতে হবে।’

Shramshree: পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরলে প্রতি মাসে পাবেন ৫ হাজার টাকা, নয়া ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: দেশের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নয়া প্রকল্প ‘শ্রমশ্রী’ (Shramshree) চালু করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভিন রাজ্য থেকে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। যত দিন না তাঁরা কাজ পাচ্ছেন এক বছর পর্যন্ত সরকারের তরফে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, ভিনরাজ্যের কাজ ছেড়ে বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসার পর পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এটি করলে সমস্ত সরকারি সুবিধা পাবেন তাঁরা। এ ছাড়া যাঁদের প্রশিক্ষণ দরকার তাঁদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের খাদ্যসাথী কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেওয়া হবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনারও সুবিধা করে দেবে রাজ্য সরকার।

‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে.. বিভিন্ন রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। বাংলা ভাষায় কথা বললে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রায় ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগ হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিক যারা ফিরে আসছেন হেনস্থা হয়ে, আমরা এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলার বাইরে যারা পরিযায়ী শ্রমিক তাদের পুনর্বাসনের জন্য একটা পরিকল্পনা করেছি ‘শ্রমশ্রী’।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ফিরে এসেছে। ‘শ্রমশ্রী’ পোর্টাল-এর মাধ্যমে তাঁরা আবেদন করবেন। তাঁদের একটা কার্ড দেওয়া হবে। জেলাশাসক, বিডিও, আইসি-দের বলব তাঁদের চিহ্নিত করতে।’

Two Nation Theory: ‘দ্বি-জাতি তত্ত্ব প্রথম প্রচার করেছিলেন সাভারকর’, আম্বেদকরের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি কর্নাটকের মন্ত্রীর

এই দিনকাল: ধর্মের ভিত্তিতে (Two Nation Theory) ভাগ হয়েছিল ভারতবর্ষ। দেশভাগের জন্য অনেকে মহম্মদ আলি জিন্নাহকে দায়ী করেন। তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-র পুত্র তথা কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গের (Priyank Kharge)। তাঁর দাবি, ভারতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ধারণাটি প্রথম তুলেছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। এমনকি মহম্মদ আলি জিন্নাহ এবং মুসলিম লীগ কর্তৃক তা গৃহীত হওয়ার অনেক আগে সাভারকর ধর্মের ভিত্তিতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রচার করেন।

রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে লেখেন, ‘দ্বি-জাতির ধারণাটি প্রথম ‘বীর’ সাভারকর উত্থাপন করেছিলেন এবং তাঁর ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ সেই তত্ত্বকে সমর্থন করেছিল।’ কর্নাটকের তথ্য প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনলোজি মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে সাভারকরের লেখা এবং বক্তৃতা উল্লেখ করে ঘটনার ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘১৯২২ সালে লেখা ‘এসেন্সিয়াল অফ হিন্দুত্ব’ বইতে, সাভারকর হিন্দুত্বকে ধর্ম দিয়ে নয়, হোমল্যান্ড দ্বারা সংজ্ঞায়িত করেছিলেন, ভারতকে ‘পিতৃভূমি এবং পবিত্রভূমি’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন তিনি।’ খাড়গে উল্লেখ করেন, ১৯৩৭ সালে আহমেদাবাদে হিন্দু মহাসভার ১৯তম অধিবেশনে সাভারকর বলেছিলেন, ‘ভারতে পাশাপাশি দুটি বিরোধী জাতি বসবাস করছে। আজ ভারতকে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং সমজাতীয় জাতি হিসেবে ধরে নেওয়া যায় না। বিপরীতে, ভারতে প্রধানত দুটি জাতি রয়েছে: হিন্দু এবং মুসলিম।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন ১৯৪৩ সালে নাগপুরে সাভারকরের মন্তব্য ছিল: ‘মিস্টার জিন্নাহর দ্বি-জাতি তত্ত্বের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। আমরা, হিন্দুরা, আমরা নিজেরাই একটি জাতি, এবং এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য যে হিন্দু এবং মুসলিম দুটি জাতি।’

এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি কি এই ইতিহাস অস্বীকার করে? পাশাপাশি বি আর আম্বেদকরের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘অদ্ভুত মনে হলেও, এক জাতি বনাম দ্বি-জাতি ইস্যুতে মিস্টার সাভারকর এবং মিস্টার জিন্নাহ একে অপরের বিরোধী হওয়ার পরিবর্তে সম্পূর্ণ একমত। উভয়েই কেবল একমত নন, বরং জোর দিয়ে বলেন যে ভারতে দুটি জাতি রয়েছে – একটি মুসলিম জাতি এবং অন্যটি হিন্দু জাতি। তারা কেবল দুটি জাতি কোন শর্তে জীবন যাপন করবে সেই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।’

CPDRS: অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস-এর

এই দিনকাল: মানবাধিকার ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষার উদ্দেশে কর্মশালার আয়োজন করল মানবাধিকার সংগঠন সেন্টার ফর প্রটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস অ্যান্ড সেকুলারিজম বা সিপিডিআরএস (CPDRS)। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার লক্ষ্মীকান্তপুরের ধনুরহাটে নেতাজি ক্লাব অডিটোরিয়ামে এই কর্মশালা হয়। এদিন কর্মশালা থেকে বক্তারা ধর্মীয় পরিচয় সরিয়ে রেখে অপশক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার ডাক দেন।

সিএএ, এনআরসি-এর পর এসআইআর বা ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা নিয়ে গোটা দেশ উত্তাল। বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের মধ্যে উদ্বেগ ও আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। সিপিডিআরএস এর দাবি, দেশ ও রাজ্যের বর্তমান পরিস্থিতি ভয়াবহ। দেশের প্রতিটি কোণে, প্রতি মুহুর্তে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ-সহ বহু রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। শুধু তাই নয় বাংলাদেশি তমকা দিয়ে পে লোডারে করে ‘পুশ ব্যাক’ করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মানবাধিকার সংগঠন সিপিএসআরএস এই সমস্ত ঘটনার প্রতিবাদে এদিন সরব হয়। প্রসঙ্গত মালদার যুবক আমির শেখকে রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে সে রাজ্যের পুলিশ এবং বিএসএফ তাঁকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিয়েছিল পে লোডারে করে। যদিও চাপে পড়ে এবং সমালোচনার মুখে পড়ে আবার তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনতে বাধ্য হয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।

শনিবার সিপিডিআরএস-এর কর্মশালায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজকুমার বসাক। তিনি বলেন, ‘আইন সব সময় ন্যায় প্রতিষ্ঠা করতে পারে না। আমরা ন্যায়ের পক্ষে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিঘ্নিত হচ্ছে, অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সকল ধর্মের মানুষের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।’ এদিন মানবাধিকার আন্দোলনের ইতিহাস নিয়ে বলেন সিপিএসআরএস এর নেতা জ্ঞানতোষ প্রামাণিক। এ ছাড়া উপস্থিত ছিলেন ডায়মন্ডহারবার মহকুমার সংঠনের সম্পাদক সেরিফ হোসেন পুরকাইত।

Humayun’s Tomb Collapses: মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কাছে দরগার ছাদ ভেঙে মৃত্যু ৬ জনের

এই দিনকাল: দ্বিতীয় মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কাছে (Humayun’s Tomb Collapses) একটি দরগার ছাদ ভেঙে মৃত্যু হল ৬ জনের। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেশ কয়েক জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার ফলে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। যাদের মধ্যে নয় জনকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুক্রবারের নামাজের জন্য মানুষজন দরগায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা ভেঙে পড়ে সেটির একাংশের ছাদ। দরগা শরীফ পাট্টে শাহ নিজামুদ্দিন পূর্বের হুমায়ুনের সমাধির কাছে অবস্থিত। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি খোলা প্রাঙ্গণের চারপাশে একটি ছোট সবুজ ভবন রয়েছে। সেটির এক পাশের ছাদ ভেঙে পড়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দিল্লির দমকল বাহিনী, দিল্লি পুলিশ, এনডিআরএফ এবং দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ একাধিক উদ্ধারকারী সংস্থা। তারা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরনো ছিল ভেঙে পড়া ছাদটি। শুক্রবার যখন সেটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় দরগার ভেতরে ছিল ১৫ থেকে ২০ জন লোক। যাদের মধ্যে ইমামও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থলটি বর্তমানে ঘিরে রাখা হয়েছে।

President Droupadi Murmu: ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের আগে জাতির উদ্দেশে রাষ্ট্রপতির ভাষণে এল ‘অপারেশন সিঁদুর’

এই দিনকাল: স্বাধীনতা দিবসের (Independence Day) প্রাক্কালে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর (President Droupadi Murmu) জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে উঠে এল ‘অপারেশন সিঁদুর’ অভিযান প্রসঙ্গ। দেশের ৭৯ তম স্বাধীনতা দিবসের আগের দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন দেশের সাংবিধানিক প্রধান। সেই ভাষণে সেনাবাহিনীর কাজের প্রশংসা করেন তিনি।

গত ২২ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গিরা হামলা চালিয়ে ২৬ জনকে খুন করেছিল। সেই নারকীয় হত্যাকাণ্ডের পর গত ৭ মে ভারতের সেনাবাহিনী পাকিস্তানের জঙ্গিঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করেছিল। যে অভিযানের নাম দেওয়া হয়েছিল ‘অপারেশন সিঁদুর’। এদিন সেই অভিযানের কথা উঠে আসে রাষ্ট্রপতির ভাষণে। তিনি বলেন, ‘এ বছর আমরা সন্ত্রাসবাদের তীব্র আঘাতের মুখোমুখি হয়েছি। কাশ্মীরে ছুটি কাটাতে যাওয়া নিরীহ নাগরিকদের হত্যা চরম অমানবিক। ভারত প্রত্যুত্তর দিয়েছে সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপে, ইস্পাত-কঠিন প্রত্যয়ে। ‘অপারেশন সিঁদুর’ দেখিয়ে দিয়েছে যে আমাদের সশস্ত্র বাহিনী দেশের সুরক্ষায় যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে প্রস্তুত। কৌশলগত দক্ষতা এবং প্রযুক্তিগত সক্ষমতার মেলবন্ধনে তাঁরা সীমান্তের ওপারে জঙ্গিদের একের পর এক ঘাঁটি ধ্বংস করে দিয়েছেন। আমার বিশ্বাস, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে মানবতার সংগ্রামের ইতিহাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ উদাহরণ হয়ে থাকবে।’

ভাষণে তিনি আরও বলেন, ‘এই প্রত্যুত্তরের ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্য বিশেষভাবে লক্ষ্যণীয়। যারা আমাদের বিভাজিত করতে চায়, তাদের সবচেয়ে জোরালো জবাব এটাই। সাংসদদের বহুদলীয় প্রতিনিধিদল ভারতের বক্তব্য তুলে ধরতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে যেভাবে কাজ করেছেন, তাতেও স্পষ্ট হয়ে উঠেছে এই ঐক্য। সারা বিশ্ব ভারতের অবস্থান প্রত্যক্ষ করেছে। বার্তা পৌঁছে গেছে যে আমরা আগ্রাসনে তৎপর হব না, কিন্তু আমাদের নাগরিকদের রক্ষা করতে প্রতিশোধ গ্রহণেও দ্বিধা করব না।’

প্রতিরক্ষা খাতে ভারত যে আত্মনির্ভর হয়ে উঠছে তা উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন, ”অপারেশন সিঁদুর’ প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রে আত্মনির্ভর ভারত কর্মসূচির সাফল্য প্রমাণিত করেছে। স্পষ্ট হয়েছে যে আমরা ঠিক পথে এগোচ্ছি। আমাদের দেশজ উৎপাদন কর্মসূচি সেই স্তরে পৌঁছেছে যা নিরাপত্তা রক্ষায় প্রয়োজনীয় বহু সরঞ্জাম নির্মাণে সক্ষম। স্বাধীনতার পর ভারতের প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রের ইতিহাসে এই সাফল্য এক অনবদ্য মাইলফলক।’

Amir Shaikh: ভুল হয়েছিল! বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া সেই বাঙালি যুবক আমিরকে দেশে ফেরাল মোদী সরকার 

এই দিনকাল: আদতে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা আমির শেখকে (Amir Shaikh) রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠিয় দিয়েছিল পুলিশ ও বিএসএফ। অবশেষে নিজেদের ভুল মেনে নিয়ে ওই যুবককে ভারতে ফেরত নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার৷ আমিরকে দেশে ফেরানোর খবর মঙ্গলবার জানিয়েছেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী৷

মালদহের কালিয়াচকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির শেখ। ২১ বছর বয়স তাঁর৷ গত ২৫ জুলাই সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়৷ সেখানে আমির শেখ দাবি করেন, তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে। বিএসএফ তাঁকে সে দেশে ঠেলে পাঠিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আমির পরিযায়ী শ্রমিক। মাস দুয়েক আগে তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় কাজে যান৷ এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে তিনি ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে স্থানীয় থানার পুলিশ তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শুধু তাই নয় পরিচয় জানতে চায়। অভিযোগ, সেই সময় আমির শেখ তাঁর কাছে থাকা আধার ও ভোটার কার্ড দেখায়। কিন্তু তাতেও পুলিশ সন্তুষ্ট হয়নি৷ তাঁকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে থানায় দু তিন দিন আটকে রাখা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ অভিযোগ, এর পর তাঁকে বিএসএফ এর হাতে তুলে দেয় রাজস্থান পুলিশ। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে তাঁকে পে লোডারে চাপিয়ে ফেলে দেয়। তার পর থেকেই বাংলাদেশে ছিলেন আমির।

অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্র বাঙালি আমিরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ায় সরব হয় বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠন। বাংলা পক্ষের নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায় আমিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা শুরু করেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী৷ তিনি বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিং চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গোটা বিষয়টি জানান৷ আমিরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য লিখিত ভাবে বিএসএফ-এর শীর্ষকর্তার কাছে আবেদন করেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নজরেও আনেন ইশা। শাহের পরামর্শে ৬ আগস্ট তিনি দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহনের সঙ্গে৷ তিনি সাংসদকে আশ্বস্ত করেন আমিরকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। এদিন ইশা খান বলেন, ‘আমিরকে বাংলাদেশের একটি থানা থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ সম্ভবত আজই তাঁকে বিএসএফ ছেড়ে দেবে৷’