Author Archives: Ei Dinkal

Nobel Prize: সাহিত্যে নোবেল পেলেন হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই

এই দিনকাল: ২০২৫ সালের সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার (Nobel Prize) ঘোষিত হল। এ বছরে সাহিত্যে অনবদ্য অবদানের জন্য নোবেল পুরস্কার দেওয়া হল হাঙ্গেরিয়ান লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাইকে (Laszlo Krasznahorkai)। ‘তাঁর সুনিশ্চিত ও দিব‍্যদৃষ্টিপূর্ণ সাহিত্য সম্ভারের কারণে’ এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। ক্রাসনাহোরকাই এর সৃষ্টি ‘এই মহাবিপর্যয়ময় আতঙ্কের কালে শিল্পের শক্তির কথা শোনায়।’

১৯৫৪ সালে রোমানিয়ার সীমান্তের কাছে দক্ষিণ-পূর্ব হাঙ্গেরির ছোট শহর জিউলাতে জন্ম হয় লেখক লাসলো ক্রাসনাহোরকাই এর। তাঁর প্রথম উপন্যাস ১৯৮৫ সালে প্রকাশিত ‘সাতানটাঙ্গো’। যেটি কিনা জিউলার মতোই একটি প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলের প্রেক্ষাপটে রচিত।হাঙ্গেরির একটি গ্রামীণ পরিত্যক্ত সমবায় খামারে বাস করা দরিদ্র কিছু মানুষের জীবন আলেখ্য তাঁর এই উপন্যাসে উঠে এসেছে। সমাজতন্ত্রের পতনের ঠিক প্রাক্কালে যাঁরা অনিশ্চয়তা ও নিরাশার মধ্যে দিন অতিবাহিত করেছেন। প্রসঙ্গত, এই উপন্যাসটি খ্যাতি এনে দিয়েছে ক্রাসনাহোরকাইকে। হাঙ্গেরির সাহিত্য জগতে উপন্যাসটি যথেষ্ট আলোড়ন তৈরি করে।

১৯৮৯ সালে প্রকাশিত ‘দ্য মেলানকোলি অব রেজিসট্যান্স’ উপন্যাসটি লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের দ্বিতীয় উপন্যাস। এটি পড়ে মার্কিন সমালোচক সুসান সোনট্যাগ তাঁকে সমসাময়িক সাহিত্যের ‘অ্যাপোক্যালিপসের মাস্টার’ বলে অভিহিত করেছিলেন। দ্য মেলানকোলি অব রেজিসট্যান্স-এ ভয়াবহ এক দুঃস্বপ্নের ছবি তুলে ধরেছেন ঔপন্যাসিক। ১৯৯৯ সালে প্রকাশিত হয় তৃতীয় উপন্যাস ‘ওয়ার অ্যান্ড ওয়ার’। এর পর ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয় ‘ব্যারন ভেঙ্কহেইম’স হোমকামিং’। সাম্প্রতিক কালে অর্থাৎ ২০২১ সালে প্রকাশিত হয় তাঁর ‘হেরস্ট ০৭৭৬৯’ বইটি। নোবেল কমিটি লাসলো ক্রাসনাহোরকাইয়ের লেখা সম্পর্কে বলেছেন ‘চিন্তাশীল, সূক্ষ্মভাবে পরিমিত স্বর গ্রহণকারী’।

Muslim: হায়দরাবাদে ধর্ম জিজ্ঞেস করে ডেলিভারি বয়কে মার, দায়ের অভিযোগ

এই দিনকাল: ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞেস করে এক ডেলিভারি বয়কে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের পুরাতন শহরে। মঙ্গলবার রাতে মোগলপুরায় একটি পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার সময় তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আক্রান্ত ডেলিভারি বয়ের নাম মহম্মদ নাদিম। তালাব কাট্টার বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, আক্রমণকারীরা তাঁর নাম এবং ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করে, এর পর তাঁকে মারধর করে। তবে যারা এই আক্রমণ করেছে তাদেরকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। মারধরের পর গুরুতর আহত হন ওই ডেলিভারি বয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ওসমানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর তিনি অভিযোগ দায়ের করতে মোগলপুরা থানায় যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর জখম শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি পড়ে যান এবং তাঁকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্য দিকে হায়দরাবাদের মতো শহরে এমন ঘটনায় সরব হয়েছেন মজলিস বাঁচাও তেহরিক। সংঠনের মুখপাত্র আমজাদুল্লাহ খান আক্রান্ত ডেলিভারি বয় নাদিমকে দেখতে যান। সেই সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এই ঘটনায় মোগলপুরা পুলিশ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (বিএনএস) আইনের ১১৭(২) এবং ৩(৫) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে।

Muslim: উত্তর প্রদেশে মুসলিম রোগীর প্রতি ‘বৈষম্য’ প্রকাশ্যে আনা সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর যোগীর পুলিশের

এই দিনকাল: উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে মুসলিম (Muslim) রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করায় চিকিৎসকের সংকীর্ণ ও ঘৃণ্য মানসিকতা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়, কী ভাবে এক জন চিকিৎসক ধর্মীয় কারণে রোগীর পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এ বার সেই খবর প্রকাশ্যে আনায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভিডিওটি প্রচার করার কারণে দুই স্থানীয় সাংবাদিক মায়াঙ্ক শ্রীবাস্তব এবং মহম্মদ উসমানের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। চিফ মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট মহেন্দ্র গুপ্ত কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, সাংবাদিকরা ‘জোর করে’ লেবার রুমে প্রবেশ করে ভিডিও করেছেন এবং হাসপাতালের সম্পত্তির ক্ষতি করেছেন।

উল্লেখ্য, শামা পারভিন (Shama Parveen) নামে এক মুসলিম মহিলা অভিযোগ করেন, জৌনপুরের জেলা হাসপাতালের এক জন ডাক্তার ধর্মীয় কারণে প্রসবকালীন সময়ে তাঁর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেছেন। ১ অক্টোবর, সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে শামা দাবি করেন, ডাক্তার তাঁকে বলেছেন, ‘আমি এক জন মুসলিম মহিলার চিকিৎসা করব না।’ অভিযোগ, শুধু তাই নয়, উপস্থিত নার্সকে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে না নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন ওই চিকিৎসক। শামার পরিবারকে অন্য কোথাও চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যেতে বলেন অভিযুক্ত ডাক্তার।

বিষয়টি নিয়ে চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট মহেন্দ্র গুপ্ত বলেন, তিনি অভিযোগ শুনে বিস্মিত হয়েছেন এবং ডাক্তারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘ডাক্তার ধর্মের ভিত্তিতে এমন কোনও মন্তব্য করার কথা অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

অন্য দিকে, এই ঘটনা তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রাগিনী সোনকার এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ফল। প্রসববেদনায় ভোগা কোনও মহিলা চিকিৎসা না পাওয়ার কথা মিথ্যা বলবেন না।’ ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পরিবর্তে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তিনি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ওই বিধায়ক বলেন, তিনি জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রয়োজনে বিধানসভায় বিষয়টি তুলবেন।

কংগ্রেস নেতা বিকাশ উপাধ্যায় ভিক্কি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে একজন চিকিৎসক, যিনি সমাজের সকল শ্রেণীর সেবা করার শপথ নিয়েছেন, তিনি ধর্মীয় কারণে চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীর কোনও জাতি বা ধর্ম নেই। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ 

তবে বিজেপি মুখপাত্র অবনীশ ত্যাগী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং সমাজে বিভেদ ছড়ানোর জন্য। বিজেপি নেতার কথায়, ‘সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতির আদলে সমাজের সকল শ্রেণীর মধ্যে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারে কোনও বৈষম্য নেই।’

Suicide: চণ্ডীগড়ে নিজেকে গুলি করে আত্মঘাতী আইপিএস অফিসার

এই দিনকাল: স্ত্রী আইএএস অফিসার, সরকারি কাজে তিনি গিয়েছেন জাপানে। সেই ফাঁকে নিজেকে গুলি (Suicide) করে শেষ করে দিলেন আইপিএস অফিসার। ঘটনাটি ঘটেছে হরিয়ানার চণ্ডীগড়ের সেক্টর ১১-এর একটি বাড়িতে। গোটা বিষয়টির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আত্মঘাতী সিনিয়র আইপিএস অফিসারের নাম পূরণ কুমার। কেন তিনি নিজেকে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তা এখনও স্পষ্ট নয়। বিষয়টি নিয়ে চণ্ডীগড়ের সিনিয়র পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট কণওয়ারদীপ কৌর সাংবাদিকদের বলেন, ‘প্রায় ১.৩০ মিনিটে, আমরা সেক্টর ১১ থানায় খবর পাই। সেক্টর ১১-এর এসএইচও এবং তাঁর দল নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। আত্মহত্যার খবর মিলেছে… মৃতদেহটি আইপিএস অফিসার পূরণ কুমারের বলে শনাক্ত করা হয়েছে।’ কোনও সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে এ বিষয়ে তিনি বলেন,  ‘সেন্ট্রাল ফরেনসিক সায়েন্স ল্যাবরেটরি এর একটি দল ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছে এবং তদন্ত চলছে।’

প্রসঙ্গত, ২০০১ ব্যাচের অফিসার পূরণ কুমার। ভারতীয় পুলিশ সার্ভিসের একটি উচ্চ পদমর্যাদার অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর জেনারেল পদে তিনি ছিলেন। ২৯ সেপ্টেম্বর রোহতকের সুনারিয়ায় পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে নিযুক্ত ছিলেন পূরণ। নিহত পুলিশ কর্তার স্ত্রী, আমান পি কুমার, একজন আইএএস অফিসার। তিনি বর্তমানে জাপানে একটি সরকারি সফরে রয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর ভারতে ফিরে আসার কথা।

Bihar Assembly Election: ৬ এবং ১১ নভেম্বর দু দফায় বিহারে বিধানসভা ভোট, ঘোষণা কমিশনের

এই দিনকাল: বেজে গেল বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) দামামা। আগামী ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর দু দফায় সে রাজ্যে হবে ভোট গ্রহণ, সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হল এমনটাই। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে বিহারের নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেন।

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জ্ঞানেশ কুমার জানান, আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু দফায়। আগামী ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। ২৪৩ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ভোট হবে ১২১টিতে, বাকিগুলিতে ভোট গ্রহণ হবে দ্বিতীয় দফায়। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। প্রথম দফার ভোটের জন্য নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রথম দফায় প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ অক্টোবর। অন্য দিকে, দ্বিতীয় দফার জন্য নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ক্ষেত্রে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ অক্টোবর।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি গত শনিবার দাবি জানিয়েছিল বিহারে বিধানসভা নির্বাচন এক বা দু দফায় সম্পন্ন করার জন্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, পদ্ম শিবিরের সেই দাবি কার্যত মেনে নিল কমিশন। অন্য দিকে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ আগামী ২২ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। কারণ ওই সময়ে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। 

গত বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০২০ সালে বিহারে ভোট হয়েছিল তিন দফায়। যদিও সে সময় করোনা মহামারী চলছিল। বিজেপি-সহ এনডিএ জোট ১২৫ আসন পেয়ে খুব কম ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল সে বার। (২৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৭৪, জেডিইউ জয়ী হয়েছিল ৪৩ এবং অন্যান্যরা পেয়েছিল ৮টি আসন)। অন্য দিকে বিরোধী শিবির পেয়েছিল ১১০ আসন (আরজেডি ৭৫, কংগ্রেস ১৯, অন্যান্যরা ১৬)।

North Bengal: ধসবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে রেড ভলান্টিয়ার, হেল্পলাইন চালু করল সিপিএম

এই দিনকাল: টানা বৃষ্টি এবং ধসের ফলে বিপর্যস্ত পাহাড়। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক-সহ পার্বত্য এলাকায় দুর্ভোগে মানুষ ও বন্যপ্রাণী। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। এই আবহে যে কোনও প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ভলান্টিয়ারদের হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করল সিপিআইএম।

রবিবার নিজেদের সমাজ মাধ্যমে রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে বাম দলটি। দার্জিলিং জেলায় যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত সিপিএমের তরফে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই জেলায় রেড ভলান্টিয়াররা হলেন, শচীন খাতি -9907070824, সাগর শর্মা -7908981149, নান্টু কুন্ডু-7001313766, অঙ্কিত দে- 9064551177, তন্ময় অধিকারী- 7679918840, বুলেট সিং- 9641487529, অভিজিৎ চন্দ -7001331214, গৌরব ঘোষ- 7584819639, বাবুসোনা সুত্রধর- 9832322763, সম্রাট সাহা -8918749146, লক্ষণ সাহানি- 9474026640, দীপঙ্কর সরকার -7811071313।

এ ছাড়া জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা কবলিত এলাকায়

যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে

8918540563 এবং 9749612896 নম্বরে।আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন নম্বর 9064234866, 9735221810। কোচবিহার জেলায় রেড ভলান্টিয়ারদের যোগাযোগ নম্বর 7001763075, 8759634005, 6294020076 এবং 7319589085।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের বহু জায়গায় ধস নেমেছে। যার ফলে একাধিক রাস্তা বন্ধ। তিস্তা নদীর জল উঠে এসেছে জাতীয় সড়কের উপরেও। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিধ্বস্ত পার্বত্য এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Dalit: ‘দলিত হয়ে মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা কেন?’ গুজরাটে শ্রমিককে বেধড়ক মার

এই দিনকাল: মন্দিরে যাওয়ার কথা বলায় এক দলিত (Dalit) শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের হিমতনগরে। শুধু মারধর নয়, ওই শ্রমিককে জাত তুলে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত শ্রমিক।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আক্রান্ত শ্রমিকের নাম শৈলেশ সোলাঙ্কি। তিনি হিমতনগরের খেদাওয়াড়া লক্ষ্মীপুরা গ্রামের বাসিন্দা। ৩৮ বছর বয়সী সোলাঙ্কি পেশায় দিনমজুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। সোলাঙ্কি বালুচপুরের একটি রাস্তার কাছে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই সময়, একটি স্কুটারে চেপে আসেন ভরত প্যাটেল নামের এক ব্যক্তি। তিনি ধনপুরার বাসিন্দা। ভরত সোলাঙ্কির কাছে গিয়ে জানতে চান তিনি কেন ঘোরাঘুরি করছেন? তাঁর পরিচয় জানতে চান ওই স্কুটার আরোহী। সোলাঙ্কি তাঁকে বলেন, তিনি কাল ভৈরব মন্দিরে যাচ্ছেন। কিন্তু প্যাটেল তাঁর কথা অবিশ্বাস করেন, সেই সঙ্গে প্রমাণ চান। সোলাঙ্কি বলেন, ‘আমি তাঁকে আমার আধার কার্ড দেখাই। আমার পদবি দেখে তিনি জানতে চান, আমি এসসি কি না। আমি যখন তাঁকে বললাম যে আমি দলিত, তখন আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমি দলিত হয়ে রাতে মন্দিরে ঘুরতে এসেছি। তারপর জাত তুলে অপমান করার সময় আমাকে বেশ কয়েক বার চড় মেরেছেন।’

এই পরিস্থিতিতে তিতপুর গ্রামের দুই ব্যক্তি, নরেন্দ্রসিংহ পারমার এবং জগৎসিংহ পারমার, বাইকে করে ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা দুজনে এসে সোলাঙ্কির উপর চলা অত্যাচার বন্ধ করেন। কিন্তু অভিযোগ প্যাটেল সোলাঙ্কিকে জোর করে তাঁর স্কুটারে তুলে নিয়ে যান, তাঁকে ঘোরওয়াড়ার কাছে অন্য একটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দেন। সেই সঙ্গে হুমকি দেন, ফিরে আসলে তাঁর পরিণতি খারাপ হবে। পরে সোলাঙ্কি বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানান। সেই সঙ্গে যারা জুলুম বন্ধ করেছিলেন সেই দুই ব্যক্তির সঙ্গেও দেখা করেন, ওই দু’জন সাক্ষী হতেও রাজি হন। হিমতনগর গ্রামীণ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোলাঙ্কি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ এসসি এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

ব্যবধান

অনন্যা মান্না

বুকের ভেতর পুরানো হয়ে যাচ্ছে স্থায়ী পরাজয়,

দূর্গম সন্ধিবাসনা খুব সচেতন, লাল হয়ে আছে নিরুদ্দিষ্টের প্রতি।

একটা যথাযথ উত্থান আর উদ্ভ্রান্ত রতির মতো জেগে ওঠে হিংস্র আনন্দ,ভগ্নপ্রায় সুখ!

শুভাশুভ বোলের মাঝে ঘটনার যত ঢং,

মরশুমি গানে চুপ হয়ে যায় প্রচন্ডতা, ভ্রামণিক উপাসনা।

ভক্ত ভগবানের হাওয়াময় ব্যবধানে দাঁড়িয়ে পড়ছি বারবার,

ভিজে প্রার্থনায় রোদেলা হয়ে উঠছে নির্মোক মুক্তি।

Muslim: যোগীরাজ্যে মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা করতে অস্বীকার ডাক্তারের

এই দিনকাল: পড়াশোনা শেষ করে যখন কেউ চিকিৎসকের পেশায় পা রাখেন তখন ধর্ম, জাত, ভাষা, সমস্ত বৈষম্যকে দূরে রেখে কর্তব্য পালন করতে হয়, এটাই চিকিৎসকের নৈতিক দায়। কিন্তু বর্তমান ভারতবর্ষে যেখানে প্রতিনিয়ত ঘৃণার চাষাবাদ বাড়ছে সেই আবহে এবার মুসলিম (Muslim) রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করলেন এক মহিলা ডাক্তার। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে।

এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলার অভিযোগ, জৌনপুরের জেলা হাসপাতালের এক মহিলা ডাক্তার তাঁর ধর্ম পরিচয়ের কারণে তাঁর সন্তান প্রসব করাতে অস্বীকার করেছেন। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযোগকারী রোগীর নাম শামা পারভিন। তাঁর অভিযোগ, ‘ডাক্তার বলেন তিনি মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা করবেন না। আমাকে সকাল ৯টার দিকে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার প্রসব হয়নি। আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম, কিন্তু ডাক্তার আমার চিকিৎসা করতে রাজি হননি। এমনকি অন্যদেরও বলেন, আমাকে যেন অপারেশন থিয়েটারে না পাঠানো হয়।’ এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবে হতভম্ব হয়ে যান ওই মহিলা। পারভিন জানান, তিনি ডাক্তারকে বলেন যে তিনি হিন্দু-মুসলিম করে রোগীদের মধ্যে বৈষম্য করছেন। কিন্তু গুণবতী চিকিৎসক সে কথায় কর্ণপাত করেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। পারভিন আরও বলেন, ‘তবুও, তিনি আমাকে উপেক্ষা করেছেন।’

পারভিনের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন তাঁর স্বামী আরমান। আরমানের দাবি, ডাক্তার কেবল তাঁর স্ত্রীকে নয়, সেদিন ভর্তি হওয়া অন্য একজন মুসলিম মহিলাকেও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন।আরমান বলেন, ‘তিনি সমস্ত রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলেন, কিন্তু যখন আমার স্ত্রী এবং অন্য একজন মুসলিম মহিলার প্রসঙ্গ আসে, তখন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।’ পরিবারটি হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।

CPDRS: কুলতলিতে মহিলাকে গণধর্ষণ, দোষীদের শাস্তির দাবি সিপিডিআরএস-এর 

এই দিনকাল: গোটা রাজ্য যখন উৎসবে সামিল সেই সময় ভয়াবহ গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনা ঘটে গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, অষ্টমীর রাতে ষাটোর্ধ্ব এক মহিলাকে নৃশংস ভাবে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যে ঘটনার পর শুক্রবার নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস (CPDRS) এর অনুসন্ধানী দল। এদিন নির্যাতিতার কাছ থেকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনার পাশাপাশি গোটা ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব।

নির্যাতিতার পরিবার জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে তিন জন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। পরে নির্যাতিতার ছেলে, বৌমা ও প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও অধরা এক অভিযুক্ত। উল্লেখ্য, তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জন আগেই ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছে। আরেক জনের বিরুদ্ধে পকসো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, এলাকায় নারী নিরাপত্তার যে ভয়াবহ সঙ্কট, এই ঘটনা তা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে।

সিপিডিআরএস এর অনুসন্ধানী দলের সদস্য সেরিফ হোসেন পুরকাইত এদিন বলেন, ‘এক জন ষাট বছরের বৃদ্ধা মহিলাকে ধর্ষণের স্বীকার হতে হলো। এ সভ্যতার লজ্জা! সামাজিক  মূল্যবোধ বলে আর কিছু নেই। প্রশাসনের হাল তথৈবচ।’