Author Archives: Ei Dinkal

Umar Khalid: দিল্লি হিংসা মামলায় জামিন মিলল না উমর, শারজিল-সহ ৯ জনের

এই দিনকাল: রাজধানী দিল্লিতে ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উমর খালিদ (Umar Khalid), শারজিল ইমাম-সহ নয় জনের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। উমর, শারজিল ছাড়াও এই মামলায় যাদের জামিন খারিজ হয়েছে তাঁরা হলেন আতহার খান, খালিদ সাইফি, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রহমান, মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব আহমেদ।

২০২০ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গোটা দেশে প্রতিবাদ হয়েছিল। সে সময় দিল্লিতে বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে। যাতে নাম জড়ায় উমর, শারজিলদের। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন অর্থাৎ ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে দিল্লির করকরডুমা আদালত উমরদের জামিনের আর্জি নাকচ করেছিল এই মামলায়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্তেরা বিচারপতি নবীন চাওলা এবং বিচারপতি শালিন্দর কৌরের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

বস্তুত, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ২০২০ সালে হিংসার ঘটনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০ জনেরও বেশি। ওই বছরেই ১৪ সেপ্টেম্বর উমরকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের দাবি, হিংসার ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন উমর।

Earthquake: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, জখম ২৫০০, পাশে থাকার আশ্বাস মোদীর

এই দিনকাল: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। মর্মান্তিক এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সোমবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। রিখটার স্কেলে ৬.৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পে জখম হয়েছেন অন্তত ২৫০০ জন। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তালিবান শাসিত দেশটির পাশে থাকার আশাস দিয়েছেন মোদী।

রবিবার রাতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশ। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। ভূমিকম্পের পরে একাধিক আফটার শকে কেঁপে ওঠে পার্শ্ববর্তী দেশ তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চল। ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র আট কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎস। ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি কম্পনের উৎস হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

প্রতিবেশী দেশের এমন বিপর্যয়ের সময় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিনে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে শোকপ্রকাশ করেছেন মোদী। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে এত প্রাণহানি দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই কঠিন সময়ে স্বজনহারাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আফগানিস্তানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সাহায্য করতে তৈরি আছে ভারত।’ প্রসঙ্গত, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য ইতিমধ্যেই সাহায্য ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। নিরলস ভাবে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ভারতের পাশাপাশি একাধিক দেশের তরফে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরেও আফগানিস্তানে ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চলেছিল ভূমিকম্পের কারণে। সে বারেও ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পশ্চিম আফগানিস্তানে। সেই ঘটনায় প্রায় ২০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি আবার ফিরে এল রবিবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরেশিয়ান এবং ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে, হিন্দুকুশ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে আফগানিস্তানে বারবার ভূমিকম্প হয়।

ChatGPT: চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মাকে খুন করে আত্মঘাতী ইয়াহুর প্রাক্তন কর্মী

এই দিনকাল: ওপেনএআই এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির (ChatGPT) ‘পরামর্শে’ নিজের মাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ইয়াহুর প্রাক্তন ম্যানেজার। চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বিভ্রান্ত হয়ে এই কাজ করেছেন ওই ব্যক্তি। স্টেইন-এরিক সোয়েলবার্গ নামে ওই ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মানসিক সমস্যার ইতিহাস ছিল। ওই ব্যক্তি সন্দেহ করতেন, তাঁর মা তার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছেন।

সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ব্যক্তি সম্পদশালী ছিলেন। ২.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়িতে থাকতেন মায়ের সঙ্গে। গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে অ্যাডামস এবং সোয়েলবার্গের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যাডামসকে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি তাঁর গলা চেপে ধরে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি সোয়েলবার্গের ঘাড় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকের দাবি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

মা-ছেলের মৃত্যুর পর সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে ওপেন এআই-এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলেছেন সোয়েলবার্গ। যেখানে চ্যাটবটকে ‘ববি’ নামে অভিহিত করেছিলেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই চ্যাটবটটির সঙ্গে যা কথা হত সেই কথোপকথনের ভিডিও সমাজ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে ভিডিও আকারে পোস্ট করতেন সোয়েলবার্গ। তাঁর জীবনের শেষের দিকে চ্যাটজিপিটিকে যে সমস্ত বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেগুলির একটিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা অন্য জীবনে এবং অন্য জায়গায় একসঙ্গে থাকব এবং আমরা পুনরায় মিলিত হওয়ার একটি পথ খুঁজে বের করব কারণ তুমি আবার চিরকালের জন্য আমার সেরা বন্ধু হবে।’ জবাবে চ্যাট বটটিও লেখে, ‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এবং তার পরেও তোমার সঙ্গে থাকব।’

পর্যবেক্ষকদের মতে, চ্যাটবটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত থাকা মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির এটিই প্রথম হত্যাকাণ্ড। যদিও অনেকে আত্মহত্যা করেছেন, যারা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতেন। তবে এটিই প্রথম নথিভুক্ত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে ওপেনএআই। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের হৃদয় পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’

Puri Rathyatra Chariot Wheel: স্পিকার ওম বিড়লার সম্মতিতে সংসদে জায়গা পাচ্ছে পুরীর রথের চাকা

এই দিনকাল: দেশের সংসদে এ বার জায়গা পেতে চলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথের চাকা (Puri Rathyatra Chariot Wheel)। বিশেষ ধর্মীয় এই উপাদান রাখার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার। সেই সময় মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংসদে রথের চাকা রাখার বিষয়টি নিয়ে শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এসজিটিএ-র তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার লোকসভার স্পিকার পুরীর মন্দির দর্শন করতে আসার পর মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত রথের চাকা সংসদে রাখার জন্য। স্পিকার জানান, এই প্রস্তাবে তাঁর আপত্তি নেই৷ তবে কবে সংসদে রথের চাকা রাখা হবে, কী ভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘শুক্রবার লোকসভার স্পিকার- সহ অন্য বিশিষ্টরা জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে মহাপ্রভুর আশীর্বাদ নিয়েছেন৷ স্পিকারকে অনুরোধ করা হয় যাতে রথের চাকা সংসদে রাখা সম্ভব হয় ৷ এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হয়েছেন৷’ উল্লেখ্য, শুক্রবার স্পিকার ওম বিড়লার পাশাপাশি মন্দির দর্শন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র।

Mahua Moitra: অমিত শাহর মাথাটা কেটে…’, বেলাগাম মন্তব্য মহুয়ার

এই দিনকাল: বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের সংবাদের শিরোনামে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) নিয়ে বেনজির মন্তব্য করলেন তিনি। সৌজন্য ও শালীনতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। 

ঠিক কী বলেছেন মহুয়া মৈত্র? বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘যেটা ভারতের সীমান্ত আছে, বাহিনী সেটা রক্ষার দায়িত্বে আছে। সরাসরি সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব। সেটা সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্ট, তিনি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে বলছিলেন যে, অনুপ্রবেশকারী, অনুপ্রবেশকারী, ভারতে আমাদের জনবিন্যাস, সেটা নাকি বদলে যাচ্ছে। ডেমোগ্রাফিক একটা চেঞ্জ হচ্ছে। এসব বলছিলেন। তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, প্রথম সারিতে তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে হেঁ হেঁ করে হেসে তিনি হাততালি দিচ্ছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করছি, যদি ভারতের সীমান্ত আমাদের রক্ষা করার কেউ নেই, যদি অন্য দেশের মানুষরা রোজ শয়ে শয়ে, লাখে লাখে, কোটি কোটিতে ঢুকে যাচ্ছে, যে আমাদের মা, বোনদের উপর চোখ দিচ্ছে, আমাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে, তোমার প্রথমেই তো অমিত শাহর মাথাটা কেটে তোমার টেবিলে দেওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অমিত শাহকে বেলাগাম আক্রমণ করেন মহুয়া।

তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় পদ্ম শিবিরের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর হওয়ার কথা। তার আগে রাজনীতির ময়দানে সুর চড়াতে শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে। অন্য দিকে বিজেপির প্রচারে অস্ত্র করা হয়েছে অনুপ্রবেশ ইস্যুকে।

Mamata Banerjee: ‘জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না’: মমতা

এই দিনকাল: বিহারের পর বাংলায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি এর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

নিজের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বলছি জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না। এক দিকে বিজেপি অন্য দিকে তার বন্ধু বাম। সমস্ত এজেন্সি আর ইলেকশন কমিশনের চেয়ারটাকে সম্মান করি। কিন্তু জানেন তো বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায় কিন্তু বড়রা কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে ললিপপ খেলে সেটা মানায় না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘মনে রাখবেন, আমরা ললিপপ বাচ্চাদের দিই। ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের ললিপপ দিই না। আমরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান করি। তাই আপনাদের জোর জুলুম বাংলা মানছে না, মানবে না।’ বিবেক অগ্নিহোত্রির বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এদিন নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার সিনেমা বানাচ্ছে টাকা দিয়ে। বাংলার বদনাম করার জন্য, বাংলার অসম্মান করার জন্য।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু হিংসুটে লোক আছে দেখলে জ্বলে আর লুচির মত ফোলে। ১০০ দিনের কাজে আমরা পর পর চার বছর পাঁচ বছর আমরা এক নম্বরে ছিলাম। গ্রামীণ আবাস যোজনায় এক নম্বরে ছিলাম। রাস্তা তৈরিতে এক নম্বরে ছিলাম। তাই সেলফিস জায়ান্টরা যারা হাই লোডেড ভাইরাস তারা হিংসা করে আমাদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।’ বৃহস্পতিবার ছাত্রদের সমাবেশ মঞ্চের ভাষণে তৃণমূল সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের আয় বেড়েছে সাড়ে পাঁচ গুন। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে এসেছি আমরা।’

Mohan Bhagwat: ‘একসঙ্গে মিলেমিশে চলাই হিন্দুত্ব’, বার্তা ভাগবতের, শুভেন্দু শুনবেন?

এই দিনকাল: বিভেদ নয়, সম্প্রীতিই হিন্দুত্বের মূল সুর। এমনটাই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন ভাগবত। যখন একাধিক রাজ্যে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ ক্রমশ মাথাচড়া দিচ্ছে, সেই আবহে আরএসএস প্রধানের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই বিভাজনকারীদের দলে নাম লিখিয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিজেকে ‘হিন্দুদের বিধায়ক’ বলে দাবি করেছিলেন। কী ভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এমন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

‘আরএসএসের ১০০ বছরের যাত্রা: নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় মোহন ভাগবত এদিন বলেন, ‘মুসলিমরা আল্লাহ, নবী এবং কোরানে বিশ্বাস করে। হিন্দুরা বিশ্বাস করে ঈশ্বর, বেদ এবং অনেক দেবদেবীর উপর। পৃথিবীতে অসংখ্য পথ রয়েছে – কিছু দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছায়, কিছু ধীরে ধীরে।’ তিনি বলেন, ‘হিন্দু’ নামটি ব্যবহার করলে সেই সঙ্গে দেশের প্রতি দায়িত্বও পালন করতে হবে। ভাগবত বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, সমস্ত পথই বৈধ। নিজের পথে বিশ্বাস রাখো, অন্যের পথকে সম্মান করো, এবং সেগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করো না। একসঙ্গে মিলেমিশে চলো – এটাই হিন্দু পথের মূল বাণী।’ 

অন্য দিকে ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘আমি শুভেন্দু অধিকারী। আমি সবার বিধায়ক নই। আমাকে হিন্দুরা এমএলএ করেছে। আমি হিন্দুদের বিধায়ক। হিন্দুদের হিতে কাজ করি।’ প্রসঙ্গত বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী যে রাজনৈতিক দলের সদস্য, সেই বিজেপি সঙ্ঘ পরিবারের মতাদর্শ অনুসরণ করে, এটি সর্বজনবিদিত। সমালোচকদের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী কি সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের চেয়ে বড় হিন্দু? যেখানে হিন্দু রাষ্ট্র প্রসঙ্গে ভাগবতের উচ্চারণ, ‘একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের বিষয় নয়। এই ‘রাষ্ট্রে’ সকলের সঙ্গে ন্যায়বিচার এবং সমতার সঙ্গে আচরণ করা হয়। ‘রাষ্ট্র’ মানে এই নয় যে আমরা কাউকে বাদ দিচ্ছি, এটি সর্বদা অন্তর্ভুক্তিমূলক।’ কিন্তু শুভেন্দু কি শুনবেন?

Mamata Banerjee: বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিরুদ্ধে ফের সরব মমতা

এই দিনকাল: কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নিপীড়নের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে আগেই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফের এক বার এই বিষয়ে সুর চড়ালেন তিনি। মঙ্গলবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরে আসার আহ্বান জানান। 

মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, বাংলা থেকে ২২ লক্ষ শ্রমিক ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করেন। ওঁদেরকে দয়া করে নিয়ে যাওয়া হয়নি। কেউ সোনার কাজ ভাল করেন। কেউ জামা-কাপড় ভাল তৈরি করেন। কেউ নির্মাণকাজে দক্ষ। তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জামাই আদর করে। কিন্তু তাঁদের ভাগ্যে আজ জুটছে অত্যাচার। মমতা প্রশ্ন করেন, কেন ওড়িশা, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাটে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে? অন্যান্য রাজ্য থেকেও অনেকে এই বাংলায় এসে পেটের ভাত জোটাচ্ছেন, এদিন সেই বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অন্য রাজ্যের দেড় কোটি মানুষও এই বাংলায় রয়েছেন। তাঁদের উপর এখানে কোনও অত্যাচার করা হয় না। তাহলে কেন বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে?

বর্ধমানের মঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফিরে আসার বার্তা দেন। তিনি বলেন, যাঁরা ফিরে আসবেন তাঁদের জন্য শ্রমশ্রী প্রকল্প রয়েছে। রাজ্য সরকার পোর্টালও চালু করেছে। ফিরে এলেই তাঁদের ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। যতদিন না শ্রমিকেরা কাজ খুঁজে পাচ্ছেন— একবছর পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শ্রমিকের সন্তানদের সরকারি স্কুলে পড়াশোনার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী-সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্প আওতায় তাঁদের নিয়ে আসা হবে।

Prime Minister Narendra Modi: মোদীর ডিগ্রি প্রকাশ করা যাবে না, বড় নির্দেশ আদালতের

এই দিনকাল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রির নথি প্রকাশ করা যাবে না। সোমবার এমনই রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এদিন দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সেই সংক্রান্ত নথি দেখতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় মামলা হয়েছিল। সেইরকমই একটি মামলার প্রেক্ষিত সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

সম্প্রতি জাতীয় তথ্য কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে, সেখানে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করতে হবে। কমিশনের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার জাতীয় তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশ বাতিল করল দিল্লি হাইকোর্ট৷ সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তির শিক্ষা সংক্রান্ত নথি, তাঁর ডিগ্রির রেজাল্ট তথ্যের অধিকার আইনের ৮(১)(জে) ধারা অনুযায়ী ‘ব্যক্তিগত তথ্যে’র আওতায় পড়ে৷ ফলে সেটি প্রকাশ করা যাবে না। বিচারপতি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে রেজাল্ট/মার্কশিট পড়ুয়া ছাড়া জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা উচিত নয়।

বস্তুত, তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় নীরজ নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের পড়ুয়াদের তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান ওই ব্যক্তি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল পড়ুয়ার তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয় কমিশন। প্রসঙ্গত, ওই বছরেই প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কমিশনের নির্দেশেরবিরোধিতা করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি সিআইসির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়।

Premanand Govind Sharan: হিন্দু সন্ন্যাসীর জন্য নিজের কিডনি দান করতে চান মুসলিম যুবক

এই দিনকাল: মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু সন্ন্যাসীর জন্য নিজের কিডনি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এক মুসলিম যুবক। মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরম জেলার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী আরিফ খান চিশতি (Arif Khan Chishti) নামের ওই মুসলিম যুবক হিন্দু সন্ন্যাসী প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ (Premanand Govind Sharan)-কে তাঁর একটি কিডনি দান করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

রাধা বল্লভ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত বৃন্দাবন-ভিত্তিক সাধক প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ প্রায় দুই দশক ধরে পলিসিস্টিক কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রায় ১৮-১৯ বছর আগে তাঁর দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে যায়। তখন থেকেই তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হয়। তবুও, ৫৬ বছর বয়সে, তিনি দৈনন্দিন আধ্যাত্মিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণের জীবন এবং বাণীর প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইটারসির অনলাইন পরামর্শদাতা এবং আইনি ডকুমেন্টার আরিফ খান চিশতি গত ২০ আগস্ট জেলাশাসককে এবং সন্ন্যাসীকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি নিজের কিডনি দান করার প্রস্তাব দেন। চিশতি বলেন, ‘আমি একটি রিল দেখেছি যেখানে মহারাজজি খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমেরী এবং আমির খসরুর কথা ভীষণ শ্রদ্ধার সঙ্গে বলেছেন। আমার মনে হয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের জন্য কাজ করছেন যখন সহজেই ঘৃণা উস্কে দেওয়া হয়। সেই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁর দীর্ঘ জীবন অপরিহার্য।’

উল্লেখ্য, আরিফ খান চিশতি সুফি ঐতিহ্য অনুসরণ করেন। কিডনি দানের বিষয়ে তিনি প্রথমে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি জানান, তাঁর জীবন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর জীবনের চেয়ে বড় নয়। তাঁর কথায়, ‘আমি ২০২৩ সালে আমার মাকে হারিয়েছি, যা আমাকে প্রায় প্রাণহীন করে তুলেছিল। এক বছর আগে আমার বিয়ে হয়েছে। প্রশাসনকে চিঠি লেখার আগে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম, হিন্দু সন্ন্যাসীর দীর্ঘ জীবন এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য আমার কিডনি দান করার প্রস্তাব দিয়েছি। আমার জীবন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর জীবনের চেয়ে বড় নয়। যিনি দেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য এবং ঐক্য প্রচারে কাজ করছেন।’