Author Archives: Ei Dinkal

Poverty: দেশের ইতিহাসে প্রথম চরম দারিদ্র‍্যসীমা থেকে মুক্ত কেরল

এই দিনকাল: স্বাধীন ভারতবর্ষে এই প্রথম কোনও রাজ্য চরম দারিদ্র্যসীমা (extreme poverty) থেকে মুক্ত হল। বামশাসিত কেরলে চরম দারিদ্র্যসীমার নীচে আর কোনও মানুষ নেই। আগামী ১ নভেম্বর সরকারি ভাবে সে রাজ্যে এই বেনজির অর্জনের কথা ঘোষণা করা হতে চলেছে। 

১ নভেম্বর দিনটি এমনিতে ‘কেরল দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়। পিনারাই বিজয়ন সরকারের সিদ্ধান্ত, ওই দিনেই রাজ্যকে চরম দারিদ্র‍্যসীমা মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে। অত্যন্ত দারিদ্র‍্যের মধ্যে থাকা ৬৪,০০৬ টিরও বেশি পরিবারের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এই পরিবারগুলির জন্য খাদ্য, চিকিৎসা এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের তরফে। কেরলের মন্ত্রী এমবি রাজেশ এই অর্জনকে গর্বের মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, কেরল দেশের মধ্যে শুধু প্রথম চরম দারিদ্র্যদীমার উর্ধ্বে ওঠেনি, বরং আন্তর্জাতিক ভাবে চিনের পরে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে। 

বামশাসিত রাজ্যটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে এক্সট্রিম পোভার্টি ইরাডিকেশন প্রজেক্ট বা ইপিইপি চালু করা হয় সরকারি ভাবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল চরম দারিদ্র্যসীমার মধ্যে থাকা ব্যক্তি ও পরিবারকে চিহ্নিত করে সরকারি প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া। সংবাদ সংস্থাকে রাজেশ বলেন, ‘ইপিইপি ছিল বর্তমান বাম সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার প্রথম সিদ্ধান্ত। এটিকে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য একটি পাঁচ বছরের পরিকল্পনা হিসেবে ঠিক করা হয়েছিল। বর্তমানে, আমরা আমাদের যা লক্ষ্য ছিল তার ১০০ শতাংশ অর্জন করতে পেরেছি।’ 

উল্লেখ্য, অত্যন্ত দরিদ্র মানুষকে চিহ্নিত করতে কেরলজুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় চিহ্নিত করা হয় ৬৪,০০৬ পরিবারকে। এই পরিবারগুলির মোট জনসংখ্যা ১,০৩,০৯৯ জন। খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় এবং আবাসনের ক্ষেত্রে দারিদ্র‍্যসীমা থেকে পরিবারগুলি এখন বেরিয়ে এসেছে বলে মন্ত্রী জানান।

এই প্রকল্পের কথা ভেবেছিলেন স্বয়ং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি এই বিষয়ে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় রেখে প্রতিটি পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। রাজেশ বলেন, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের একত্রীকরণ এবং বিভিন্ন দফতরের কাজকর্মের সমন্বয় এই প্রকল্পকে সফল করে তুলেছে। মন্ত্রী বলেন, সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক এবং দুর্বল অংশ, যার মধ্যে যাযাবর শ্রেণীও রয়েছে। তারা চালু থাকা সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে জানেন না, বা সুবিধা পেতে কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও জানেন না, তাদেরকে চিহ্নিত করে এই উদ্যোগের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পরিবারের চাহিদা অনুসারে ছোট ছোট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিছু পরিবারের জন্য, চিকিৎসা, কিছু পরিবারের জন্য খাদ্য গুরুত্ব পেয়েছে। তবে বিপুল সংখ্যকের আবাসন এবং উপার্জনের প্রয়োজন। এমনকি এমন ব্যক্তিরাও ছিলেন যারা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন।’ নীচুতলায় করা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এই ধরণের পরিবারগুলির ৩৫ শতাংশ আয় সংক্রান্ত বঞ্চনার সম্মুখীন, ২৪ শতাংশের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা, ২১ শতাংশের খাদ্যের প্রয়োজন। এ ছাড়া বাসস্থান সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন ১৫ শতাংশ পরিবার।

RSS: ‘আরএসএস, সঙ্ঘ পরিবার থেকে সতর্ক থাকুন’, জনগণকে বার্তা কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: আরএসএস (RSS) ও সঙ্ঘ পরিবার (Sangh Parivar) থেকে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Karnataka Chief Minister Siddaramaiah)। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষকে ‘সনাতনীদের’ সঙ্গ এড়িয়ে চলার আর্জি জানিয়েছেন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে নিশানা করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার ঐতিহাসিকভাবে বিআর আম্বেদকর এবং তাঁর তৈরি করা সংবিধানের বিরোধিতা করেছেন।

শনিবার মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উদযাপনের সূচনা করেন সিদ্দারামাইয়া। সেই অনুষ্ঠানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে থাকুন। যারা সমাজের পক্ষে দাঁড়ান তাদের সঙ্গে যুক্ত হোন, যারা সমাজ পরিবর্তনের বিরোধিতা করেন তাদের সঙ্গে বা ‘সনাতনীদের’ সঙ্গে নয়।’

সুপ্রিম কোর্টে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এর দিকে জুতো ছোঁড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ‘সনাতনীর’ প্রধান বিচারপতির দিকে জুতো ছোঁড়া প্রমাণ করে যে ‘সনাতনীরা’ এবং গোঁড়া মানুষজন এখনও সমাজে রয়েছে। কেবল দলিতরা নয়, সকলের নিন্দা করা উচিত এই কাজের। তখনই আমরা বলতে পারি যে সমাজ পরিবর্তনের পথে এগিয়ে চলেছে।’

মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার আম্বেদকরের সংবিধানের বিরোধিতা করেছিল এবং এখনও করছে।তিনি আরও বলেন, আম্বেদকর এক জন দূরদর্শী ব্যক্তি ছিলেন, যিনি জ্ঞানকে সামাজিক রূপান্তরের জন্য ব্যবহার করেছিলেন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আম্বেদকর সমাজকে বোঝার জন্য জ্ঞান অর্জন করেছিলেন এবং সারা জীবন সমাজ পরিবর্তনের জন্য তা ব্যবহার করেছিলেন।’

বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারকে বিঁধে তিনি বলেন, আম্বেদকরের নামে তারা মিথ্যা প্রচারণা চালায়। সিদ্দারামাইয়া অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি সঙ্ঘ পরিবার মিথ্যা প্রচার করছে যে কংগ্রেস নির্বাচনে আম্বেদকরকে পরাজিত করেছে। কিন্তু সত্য হল আম্বেদকর নিজেই নিজের হাতে লিখেছিলেন ‘সাভারকর এবং ডাঙ্গে আমাকে পরাজিত করেছেন।’ সঙ্ঘ পরিবারের মিথ্যাচার প্রকাশ করার জন্য এই ধরনের সত্য সমাজের সামনে তুলে ধরতে হবে।’

আম্বেদকর স্কুল অফ ইকোনমিক্স সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘আমি এটি প্রতিষ্ঠা করেছি যাতে যারা আম্বেদকরকে নিয়ে পড়াশোনা করে তারা তাঁর পথে চলতে পারে। আম্বেদকর অতুলনীয়। আর এক জন আম্বেদকর কখনও জন্মগ্রহণ করবেন না, তবে প্রত্যেকেরই তাঁর আদর্শ অনুসরণ করা উচিত এবং তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিত।’ দেশের মানুষের প্রতি আম্বেদকরের অবদানের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বিশ্বের সকল সংবিধান অধ্যয়ন ও আত্মস্থ করেছেন এবং ভারতকে সমাজের জন্য উপযুক্ত সেরা সংবিধান দিয়েছেন।’ বুদ্ধ, বাসব (১২ শতকের সমাজ সংস্কারক) এবং আম্বেদকরের চিন্তাভাবনায় তিনি বিশ্বাসী বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরও সংযোজন, ‘তাই আমি আশা করি যুক্তিবাদ এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞান অধ্যয়ন করেও অন্ধ বিশ্বাস অনুশীলনকারী ব্যক্তি হবেন না।’

Narendra Modi: দিল্লিতে মিশরের বিদেশমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ মোদীর, গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সিসির ভূমিকার প্রশংসা ভারতের প্রধানমন্ত্রীর

এই দিনকাল: ভারত সফরে এসেছেন মিশরের বিদেশমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি (Egypt’s Foreign Minister Dr Badr Abdelatty)। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গাজায় শান্তি চুক্তিতে সহায়তা করার জন্য এদিন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মোদী।

দীর্ঘ দিন ধরে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলেছে ইজরায়েলের। বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এর ফলে। অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইজরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। যদিও এই শান্তিচুক্তিতে উভয় পক্ষকে রাজি করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মিশরের। এদিন তাই প্রধানমন্ত্রী মোদী যুদ্ধবিরতিতে মিশরের ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালনের জন্য প্রেসিডেন্ট সিসিকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তি এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করবে। মিশরের বিদেশমন্ত্রী আবদেলাত্তি তাঁর সফরকালে অনুষ্ঠিত প্রথম ভারত-মিশর কৌশলগত আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানান।

ভারত-মিশর অংশীদারিত্বের মজবুতিকরণকে স্বাগত জানান মোদী। পাশাপাশি বাণিজ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক-সহ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন, ‘মিশরের বিদেশমন্ত্রী ডঃ বদর আবদেলাত্তিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। গাজা শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট সিসির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের জনগণ, আমাদের ভাগ করা অঞ্চল এবং মানবতার কল্যাণে ভারত-মিশর কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’

উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মিশরের শার্ম এল শেখে অনুষ্ঠিত হয় গাজা শান্তি সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগদানের জন্য মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। যদিও মোদী ওই সম্মেলনে অংশ নেননি। তাঁর জায়গায় নয়াদিল্লির তরফে পাঠানো হয়েছিল প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংকে। শান্তি সম্মেলনে আঞ্চলিক ও বিশ্ব নেতারা মিলিত হয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, গাজায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাতের পর ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা।

Maoists: ছত্তিসগড়ে আত্মসমর্পণ ১৭০ মাওবাদীর, দু’দিনে অস্ত্র ছেড়ে মূল স্রোতে ২৫৮ জন, ‘যুগান্তকারী দিন’ বললেন শাহ!

এই দিনকাল: কেন্দ্রীয় সরকারের কঠোর মাওবাদী বিরোধী অভিযানের মধ্যে ছত্তিশগড়ে আত্মসমর্পণ করলেন ১৭০ জন মাওবাদী (Maoists)। অস্ত্র ছেড়ে মূল স্রোতে ফিরে আসাদের মধ্যে রয়েছেন উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় সাব-জোনাল ইনচার্জ এবং মাওবাদী সামরিক শাখার গোয়েন্দা প্রধান রূপেশ। গত দুই দিনে দেশে মোট ২৫৮ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন বলে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ (Home Minister Amit Shah) জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে অমিত শাহ লিখেছেন, ‘নকশালবাদের বিরুদ্ধে আমাদের যুদ্ধে একটি যুগান্তকারী দিন। আজ, ছত্তিসগড়ে ১৭০ জন নকশাল আত্মসমর্পণ করেছেন। গতকাল রাজ্যে ২৭ জন তাঁদের অস্ত্র সমর্পণ করেছেন। মহারাষ্ট্রে, গতকাল, ৬১ জন মূলধারায় ফিরে এসেছেন। গত দুই দিনে মোট ২৫৮ জন চরম বামপন্থী সহিংসতা ত্যাগ করেছেন।’

গোয়েন্দা সূত্রে খবর, রূপেশ এবং তাঁর সহযোগীরা উসপারি ঘাট দিয়ে ইন্দ্রাবতী নদী পার হওয়ার পর ভৈরামগড়ের দিকে গিয়েছেন। তাঁরা বিজাপুরে পৌঁছানোর পর, জগদলপুরে আনুষ্ঠানিক ভাবে আত্মসমর্পণের কথা ঘোষণা করা হয়। এদিন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও লেখেন, ‘আমাদের নীতি স্পষ্ট: যাঁরা আত্মসমর্পণ করতে চান তাঁদের স্বাগত, এবং যাঁরা বন্দুক চালিয়ে যাবে তাঁদেরকে আমাদের বাহিনীর রোষের মুখোমুখি হতে হবে। এখনও যাঁরা নকশালবাদের পথে আছেন তাঁদের কাছে আমি আবারও আর্জি জানাচ্ছি, তাঁরা অস্ত্র ছেড়ে মূলধারায় যোগ দিন। আমরা ২০২৬ সালের ৩১ মার্চের আগে নকশালবাদকে উপড়ে ফেলতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’

এদিন নিরাপত্তা বাহিনী, বিশেষ করে ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) ভৈরামগড়কে একটি ভার্চুয়াল দুর্গে পরিণত করেছিল। উসপারি ঘাট থেকে ভৈরামগড় পর্যন্ত রাস্তাগুলিতে সর্বক্ষণ নজরদারি চালানো হয়। অভিযান তদারকি করার জন্য পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিজাপুরে মোতায়েন ছিলেন। সূত্রের খবর, রূপেশ প্রায় ১৩০ জন শীর্ষ নকশাল ক্যাডারকে নিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন। যাঁদের মধ্যে একজন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য (সিসিএম), দুজন ডিকেএসজেডসি সদস্য এবং ১৫ জন ডিভিসিএম ক্যাডার ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে মাওবাদীদের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত মাদ ডিভিশনের বেশ কয়েকজন সদস্য আত্মসমর্পণকারীদের মধ্যে ছিলেন।আত্মসমর্পণের ফলে প্রচুর পরিমাণে অত্যাধুনিক অস্ত্র উদ্ধার হয়। বহু একে ৪৭, ইনসাস রাইফেল, এসএলআর এবং কার্বাইন উদ্ধার করে পুলিশ। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, দেড় শতাধিক মাওবাদীর আত্মসমর্পণ দক্ষিণ ছত্তিশগড়ে মাওবাদীদের যুদ্ধশক্তিতে বিরাট ক্ষত তৈরি করেছে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরেকটি পোস্টে লিখেছেন, ‘এটা অত্যন্ত আনন্দের বিষয় যে ছত্তিশগড়ের অবুঝমাড় এবং উত্তর বস্তার, যা একদা সন্ত্রাসের শক্ত ঘাঁটি ছিল, আজ নকশাল সহিংসতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এখন, দক্ষিণ বস্তারে কেবল বিক্ষিপ্ত নকশালরাই রয়ে গেছেন, যাঁদেরকে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী শীঘ্রই নির্মূল করবে।’ পলিটব্যুরো সদস্য সোনু ওরফে ভেনুগোপাল আগেই আত্মসমর্পণ করেছিলেন। যা মাওবাদী সংগঠনটির কাছে একটা বড় ধাক্কা ছিল। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় কমিটিতে জায়গা পাওয়া রূপেশ সংঘর্ষ বিরতির পক্ষে ছিলেন। এপ্রিল মাসে, তিনি শান্তি প্রক্রিয়াকে সমর্থন করে একটি প্রেস নোটও জারি করেছিলেন।

ছত্তিসগড়ের উপ-মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বিজয় শর্মা বলেন, ‘আমরা মূল স্রোতে ফিরে আসা নকশালদের লাল গালিচা দিয়ে স্বাগত জানাচ্ছি। বস্তারের মানুষ লাল সন্ত্রাসকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। বিজাপুর বা কাঁকেরে যেকোনো আত্মসমর্পণ শান্তির দিকে এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া, এবং আমরা তাঁদের সকলকে স্বাগত জানাব।’

উল্লেখ্য, বাম চরমপন্থার বিরুদ্ধে ছত্তিসগড়ে কয়েক দশক ধরে লড়াই চালাচ্ছে সরকার। চলতি বছরটি ঐতিহাসিক বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহল। সিপিআই (মাওবাদী) এর আট শীর্ষ নেতা-সহ ৩১২ জন মাওবাদী এনকাউন্টারে নিহত হয়েছেন। ৮৩৬ জন ক্যাডারকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১,৬৩৯ জন মাওবাদী আত্মসমর্পণ করেছেন, যা ছত্তিশগড়ের জন্য একটি রেকর্ড। কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্য অনুসারে, মাওবাদী সহিংসতায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত জেলার সংখ্যা ১২৬ থেকে কমে মাত্র তিনটিতে দাঁড়িয়েছে – বিজাপুর, সুকমা এবং নারায়ণপুর, সব কটিই ছত্তিসগড়ে।

RSS: সরকারি পরিসরে আরএসএস নিষিদ্ধ করার দাবি তোলায় কর্নাটকের মন্ত্রীকে খুনের হুমকি

এই দিনকাল: সরকারি পরিসরে হিন্দুত্ববাদী সংগঠন আরএসএসকে (RSS) নিষিদ্ধ করার দাবি তুলেছিলেন। আর তার জেরে কর্নাটকের গ্রামোন্নয়ন ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গে (Priyank Kharge) এবং তাঁর পরিবারকে খুনের হুমকি দেওয়ার অভিযোগ। বুধবার খাড়গে এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। যেখানে শোনা যাচ্ছে, এক জন ব্যক্তি মন্ত্রীকে কঠোর এবং অবমাননাকর ভাষায় গালিগালাজ করছে।

প্রিয়ঙ্ক খাড়গে বলেন তিনি একাধিক হুমকি ফোন পেয়েছেন, এই ক্লিপটি তারই একটি নমুনা। প্রিয়ঙ্ক লিখেছেন, ‘যে ধরণের নোংরামি আরএসএস তরুণদের মনে ভরে দেওয়ার চেষ্টা করছে তার একটি ছোট উদাহরণ এটি।’ তিনি প্রশ্ন করেন, ‘মা-বোনদের নাম ধরে ডাকা এবং তাদের অপমান করা কি শাখায় শেখানো সবচেয়ে ঘৃণ্য সংস্কৃতি? বিওয়াই বিজয়েন্দ্র, আর অশোক, সিটি রবি, সুনীল কুমার, প্রতাপ সিংহ, চালবাদী নারায়ণস্বামীর মতো বিজেপি নেতারা কি মোদী এবং মোহন ভাগবতের মায়েদের এভাবে নির্যাতন করা অনুমোদন করেন?’ খাড়গে বলেন, বিজেপি নেতাদের সন্তানরা যখন উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছে, তখন দরিদ্র মানুষের সন্তানদের এইভাবে নির্যাতন ও ভয় দেখানোর জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে তিনি এই বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে চান না বলে জানিয়েছেন। কারণ হিসেবে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের পুত্র বলেন, ‘আমি যদি অভিযোগ দায়ের করি, তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনের ক্ষতি হবে, কিন্তু যারা তাকে এমন মানসিক অবস্থার মধ্যে ঠেলে দিয়েছে তাদের কিছু হবে না।’

তাঁর কথায়, ‘আমাদের লড়াই কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে নয়, বরং আরএসএস-এর ছড়িয়ে দেওয়া এই নোংরা মানসিকতার বিরুদ্ধে, সেই অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে যারা নিরীহদের মগজ ধোলাই করছে এবং তাদের চিন্তাভাবনাকে কলুষিত করছে।’ ‘বিভেদমূলক মতাদর্শ’ মোকাবিলা করার জন্য আরএসএসের কর্মীদের বুদ্ধ, বাসব এবং আম্বেদকরের শিক্ষার সঙ্গে পরিচিত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘আমি লড়াই করব এবং নিরীহ শিশু এবং যুবকদের এই কলুষিত ব্যবস্থার শিকার হওয়া থেকে রুখতে দৃঢ় পদক্ষেপ নেব।’

Fire: বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, মৃত্যু ৯ জনের

এই দিনকাল: বাংলাদেশে পোশাক কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড (Fire)। পুড়ে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হল কম করে নয় জনের। মঙ্গলবার বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকার মিরপুরের শিয়ালবাড়িতে একটি পোশাক কারখানায় এই ঘটনা ঘটেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার পোশাক কারখানা ও একটি রাসায়নিকের গুদামে আগুন লাগে। তবে কী ভাবে এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটল তা এখনও স্পষ্ট নয়। ভয়াবহ আগুনের গ্রাসে দগ্ধ হয়ে মৃত্যু হয়েছে নয় জনের। স্থানীয়রা আগুন দেখতে তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ শুরু করেন দমকলে কর্মীরা। কার্যত জতুগৃহে পরিণত হওয়া পোশাক কারখানা থেকে দমকল কর্মীরা ৯টি মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

মঙ্গলবার বিকেলে দমকল বাহিনীর মিডিয়া সেলের আধিকারিক সংবাদ মাধ্যমকে জানান, অগ্নিকাণ্ডে নয় জনের মৃত্যু হয়েছে। নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে। পোশাক কারখানা থেকে মৃতদেহগুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। ওই আধিকারিক বলেন, পোশাক কারখানার পাশেই ছিল রাসায়নিকের গুদাম। ফলে সেখানেও আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, মজুত করে রাখা রাসায়নিক ব্লিচিং পাউডার, হাইড্রোজেন পার–অক্সাইড থেকে ক্ষতিকর গ্যাস তৈরি হয়েছে, মানুষগুলোর মৃত্যুর পিছনে এটিও একটি কারণ হতে পারে। গোটা পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে প্রশাসন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন কাজ করছে বলে জানানো হয়েছে।

Muslim: গো হত্যাকারী সন্দেহে ৭ মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মার মহারাষ্ট্রে

এই দিনকাল: গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় গো হত্যাকারী সন্দেহে সাত মুসলিম (Muslim) ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জালনা জেলায়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের একটি দল কাঠ দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে ওই ব্যক্তিদের। আক্রান্তদের দাবি, ৬ অক্টোবর, সোমবার, ২১টি ষাঁড় নিয়ে তাঁরা লাতুরে যাচ্ছিলেন, তখন এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।

আক্রান্তদের নাম নিসার প্যাটেল, আসিফ শেখ, রিয়াজ কুরেশি, সাজিদ পাশা, আসিফ সাদিক, জাভেদ কুরেশি এবং সৈয়দ পারভেজ। নিসার প্যাটেলের দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, তাঁরা ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলার ওয়াদোদ বাজার থেকে বৈধ ভাবে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলত কৃষিকাজের জন্য তাঁরা প্রাণীগুলিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

অভিযোগ, জালনা তহসিলের লোন্ডেওয়াড়ি গ্রামের কাছে তাঁদের দুটি গাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০ জন অচেনা হামলাকারী তাঁদের উপর আক্রমণ করে।প্যাটেল বলেন, ‘আমরা তাঁদের সমস্ত নথি দেখিয়েছিলাম, ষাঁড়গুলি কৃষিকাজের জন্য আনা হচ্ছিল, কিন্তু হামলাকারীরা আমাদের গো হত্যার অভিযোগ এনে নির্মমভাবে মারধর শুরু করে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ আসার পরেও হামলাকারীরা তাঁদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। সংবাদ মাধ্যমকে প্যাটেল বলেন, ‘পুলিশ কীভাবে ‘অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করতে পারে যখন তাঁদের সামনেই আমাদেরকে আক্রমণ করা হয়েছিল?’ তিনি আরও বলেন, পুলিশ আধিকারিকরা প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রিপোর্ট দায়ের করার আগে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে আক্রান্তদের আটকে রেখেছিল পুলিশ। অন্য দিকে প্যাটেলের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ঘটনাটি ‘অভ্যন্তরীণ দলীয় বিরোধ’। এক ঊর্ধ্বতন কর্তা এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’

Bihar Assembly Election: বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল এনডিএ, বিজেপি এবং জেডিইউ লড়বে ১০১টি করে আসনে

এই দিনকাল: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) আর এক মাসও বাকি নেই। গত ৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করার পর রাজনীতির ময়দানে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। এই আবহে রবিবার চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় পৌঁছল ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ কথা জানিয়েছেন। 

এনডিএ এর আসন সমঝোতার মধ্যে সামিল রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। লোক জনশক্তি পার্টি ২৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) আসন্ন নির্বাচনে ছয়টি করে আসনে লড়াই করবে। গত বছর হরিয়ানায় বিজেপিকে টানা তৃতীয় জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রধান। বিহারের নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই রাজনীতিবিদ বলেন, বিহারের এনডিএ জোটের সদস্যরা আসন বণ্টনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘এনডিএ জোটের সদস্যরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে। এনডিএ দলের সকল কর্মী এবং নেতারা এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিহার প্রস্তুত এবং আবারও এনডিএ সরকার তৈরি হবে।’

প্রধানের এই ঘোষণা আপাতত এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছিল তার অবসান ঘটিয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন এইচএএম এবং আরএলএম-এর মধ্যে আসন বণ্টন সংক্রান্ত সংঘাতের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। আরএলএম বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুমকি দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু দফায় হবে নির্বাচন। আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফা এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর।

Murder: ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে থানায় হাজির শিক্ষক

এই দিনকাল: নিজের স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, জীবনসঙ্গীকে প্রাণে মেরে ফেলে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ধোবি ঘাট এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম দুর্গা দাস। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের স্ত্রীকে মর্মান্তিকভাবে খুন করেন। এর পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাটারি বা ওই জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে অভিযুক্ত। নিহত স্ত্রীর নাম মুকুল কর বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঠিক কী কারণে খুন, সে বিষয়ে ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারীরা। খুনের কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

অন্য দিকে ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তি, নাকি অন্য কোনও কারণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড তা জানতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।

Mallikarjun Kharge: ‘দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি সংবিধানের জন্য হুমকি’, আরএসএস-বিজেপিকে বিঁধে বললেন খাড়গে

এই দিনকাল: দেশে মহিলা, দলিত, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধির জন্য বিজেপি (BJP) ও সঙ্ঘপরিবারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা বিজেপি এবং দলটির মেন্টর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য উল্লেখ করে খাড়গে লেখেন, দলিতদের বিরুদ্ধে অপরাধ ৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে একই সময়ে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯১%। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, সমাজের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংস ও বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশিত সামন্ততান্ত্রিক ও বর্ণবাদী মানসিকতাকে বিজেপি সক্রিয় করছে এবং বৈধতা দিচ্ছে।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে দলিত ব্যক্তি হরিওম বাল্মীকিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের উপর জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা হয়েছে, হরিয়ানার এক জন দলিত আইপিএস অফিসার মানসিক হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এই সমস্ত ঘটনার কথা খাড়গে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ‘এগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়’। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘এগুলি আরএসএস-বিজেপির সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতার একটি বিপজ্জনক প্রকাশ এবং সংবিধান, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের নীতির উপর সরাসরি আঘাত।’

দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণী, সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে দমন করার লক্ষ্যে ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতিতে শাসক দল লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন খাড়গে। তিনি বলেন, এই ধরনের রাজনীতি ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য মারাত্মক হুমকি। তাঁর কথায়, ‘ভারত সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হবে, কোনও চরমপন্থী মতাদর্শের ডিক্রি দ্বারা নয়।’