Author Archives: Ei Dinkal

SIR: এসআইআর চালু হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে, ৪ নভেম্বর থেকে দেওয়া হবে ফর্ম

এই দিনকাল: পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেল। সোমবার মধ্যরাতে এই ১২ রাজ্যের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করা হবে। এর পর ২৮ অক্টোবর থেকে এই রাজ্যগুলিতে শুরু হবে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। 

সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তিনি ঘোষণা করেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে। এই ফর্ম বিতরণ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। সেই তালিকা নিয়ে যদি কারোর অভিযোগ থাকে তাহলে তা জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ৮ জানুয়ারির মধ্যে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবশেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। 

কোন ১২ রাজ্যে এসআইআর? নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাট, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ হবে। এই ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ৫১ কোটি। 

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গোয়া, গুজরাট এবং পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হবে ২০২৭ সালে। তবে অসমে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন থাকলেও সে রাজ্যে এখনই এসআইআর করা হচ্ছে না। কারণ হিসাবে কমিশন জানিয়েছে, অসমে নাগরিকত্বের বিধি দেশের বাকি রাজ্যের থেকে আলাদা। 

Supreme Court: ২৭ অক্টোবর শারজিল-উমরদের জামিনের আবেদনের শুনানি সুপ্রিম কোর্টে

এই দিনকাল: দিল্লি দাঙ্গার বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলায় গুলফিশা ফাতিমা, শারজিল ইমাম, মীরান হায়দার, উমর খালিদ, শিফা-উর-রহমান এবং মোহাম্মদ সেলিম খানের জামিনের আবেদনের শুনানি হবে আগামী ২৭ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)।

বিচারপতি অরবিন্দ কুমার এবং বিচারপতি এনভি আঞ্জারিয়ার বেঞ্চে এই মামলাটির শুনানি হতে পারে। ২০২০ সালের দিল্লি দাঙ্গার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলাটিতে বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মীকে বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন (ইউএপিএ) এর আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।

এর আগে, দিল্লি হাইকোর্ট উমর খালিদদের জামিনের আর্জি নাকচ করে দেয়। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্তরা শীর্ষ আদালতে যায়। গত ২ সেপ্টেম্বর, হাইকোর্ট শারজিল ইমাম, উমর খালিদ এবং আরও সাত জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে। পাশাপাশি আরেকটি পৃথক বেঞ্চ অপর অভিযুক্ত তসলিম আহমেদের জামিনের আবেদনও খারিজ হয়ে যায়।

দিল্লি পুলিশের তরফে জামিনের আবেদনের বিরোধিতা করে দাবি করা হয়, দাঙ্গা স্বতঃস্ফূর্ত ছিল না বরং ‘অশুভ উদ্দেশ্য এবং সুচিন্তিত ষড়যন্ত্রের সঙ্গে পূর্বপরিকল্পিত’ ছিল। হাইকোর্ট জামিনের আর্জি নাকচ করার সময় পর্যবেক্ষণে জানায় শারজিল ইমাম এবং উমর খালিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ ‘গুরুতর’ এবং তাঁরা ‘মুসলিম সম্প্রদায়ের গণসংহতিকে উস্কে দিতে’ ভাষণ দিয়েছিলেন।

সকল অভিযুক্তই বৃহত্তর ষড়যন্ত্র মামলায় সুপ্রিম কোর্টের কাছে জামিনের আর্জি জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, শারজিল ইমামকে ২০২০ সালে গ্রেফতার করা হয়েছিল এবং দিল্লি পুলিশ তাঁকে সহিংসতার পিছনে অন্যতম প্রধান ষড়যন্ত্রকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছিল।

Rape: ওড়িশায় ২ আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ, আটক ৩ অভিযুক্ত

এই দিনকাল: দুই আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগ উঠল ওড়িশায়। সে রাজ্যের ময়ূরভঞ্জ জেলায় পাঁচ জন পুরুষ মিলে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার। দুই নির্যাতিতার বাবা-মা রাসগোবিন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন ছেলের সঙ্গে ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোরী যাত্রা দেখতে গিয়েছিল পাশের গ্রামে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন যুবক তাদের বাইক আটকায়। অভিযোগ, দুই কিশোরীর সঙ্গে থাকা ছেলে দুজনকে মারধর করে তারা। এর পর দুই নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। দুই কিশোরী যথাক্রমে অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযোগ, পাঁচ জন পুরুষ মিলে তাদেরকে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু জনের খোঁজ চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিএনএস এবং পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

অন্য দিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ওড়িশার বিরোধী দল বিজেডি। তাদের দাবি, গত ১৬ মাসে ওড়িশায় ৫,০০০ এরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।বিজেডি মুখপাত্র লেনিন মোহান্তি বলেন, ‘ভয়াবহ এই পরিসংখ্যান রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকারের অধীনে নারীদের অধোগামী অবস্থার প্রতিফলন।’

Rape: পুলিশের বিরুদ্ধে ৪ বার ধর্ষণের অভিযোগ, হাতে সুইসাইড নোট লিখে আত্মঘাতী মহিলা চিকিৎসক

এই দিনকাল: পুলিশ আধিকারিক তাঁকে চার বার ধর্ষণ (Rape) করেছিলেন। বিষয়টি তিনি জানিয়েছিলেন পুলিশের শীর্ষ মহলে। কিন্তু কোনও সুরাহা না হওয়ায় নিজেই নিজেকে শেষ করে দিলেন এক মহিলা চিকিৎসক। ঘটনাটি মহারাষ্ট্রের। বৃহস্পতিবার রাতে সাতারার এক হোটেলে ওই চিকিৎসক আত্মহত্যা করেছেন।

নির্যাতিতা মহিলা ডাক্তার পুলিশের বিরুদ্ধে চার বার ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছেন। বাম হাতের তালুতে সুইসাইড নোট লিখে এই চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। এসআই গোপাল বাদনের বিরুদ্ধে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন চিকিৎসক। নির্যাতিতার অভিযোগ, গত পাঁচ মাস ধরে তাঁকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। যার ফলে তিনি এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন। ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিসের নির্দেশে অভিযুক্ত বাদনেকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। সুইসাইড নোটে নির্যাতিতা প্রশান্ত বাঙ্কার নামের এক পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেও মানসিক হেনস্থার অভিযোগ করেছেন।

সুইসাইড নোটে নির্যাতিতা লিখেছেন, ‘পুলিশ ইনস্পেক্টর গোপাল বাদনেই আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। তিনি আমাকে চার বার ধর্ষণ করেছিলেন। পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে আমাকে ধর্ষণ, মানসিক ও শারীরিক নির্যাতন করেছেন তিনি।’ সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, মৃত চিকিৎসক ফালতান উপজেলা হাসপাতালে মেডিকেল অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গত ১৯ জুন ফালতানের ডেপুটি সুপার অফ পুলিশকে এই বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে তিনি চিঠি লিখেছিলেন। আত্মহত্যার কয়েক মাস আগে ডিএসপিকে লেখা সেই চিঠিতে তিনি দুই পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে হয়রানির অভিযোগ এনে তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছিলেন। চিঠিতে ওই মহিলা চিকিৎসক বাদনে, মহকুমা পুলিশ ইনস্পেক্টর পাতিল এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ ইনস্পেক্টর লাডপুত্রের নাম উল্লেখ করেছিলেন।

Special Intensive Revision: পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে আর কোন কোন রাজ্যে হবে এসআইআর? চলতি মাসেই প্রকাশ হবে নির্ঘন্ট

এই দিনকাল: একাধিক দফায় গোটা দেশজুড়ে হবে স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন (Special Intensive Revision) বা এসআইআর। ভারতের নির্বাচন কমিশন পর্যায়ক্রমে ভোটার তালিকায় এই সমীক্ষা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে, এমনটাই খবর সূত্রের। রিপোর্ট অনুসারে, কমিশন চলতি অক্টোবর মাসে দেশজুড়ে এসআইআরের প্রথম পর্যায়ের নির্ঘন্ট ঘোষণা করতে পারে। সূত্রের খবর, প্রথম পর্যায়ে, অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ প্রায় ১০টি রাজ্যে স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন হবে।

দেশজুড়ে এসআইআর প্রস্তুতি পর্যালোচনায় চিফ ইলেক্টোরাল অফিসার বা সিইওদেরকে নিয়ে দুই দিনের সম্মেলন হচ্ছে। সেই সম্মেলনের পর, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এবং নির্বাচন কমিশনার ডঃ সুখবীর সিং সান্ধু এবং ডঃ বিবেক যোশী নির্ঘন্ট চূড়ান্ত করবেন। এর পর আগামী সোমবার তা ঘোষণা করা হতে পারে। নয়াদিল্লির ইন্ডিয়া ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড ইলেক্টোরাল ম্যানেজমেন্ট (আইআইআইডিইএম) এই সম্মেলন শুরু হয়েছে বৃহস্পতিবার। সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সিইওরা এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সূত্রের খবর, নির্বাচন কমিশনের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, আসন্ন এসআইআরের জন্য তাদের প্রস্তুতি সেরে রাখতে। সেই সঙ্গে পূর্ববর্তী সংশোধিত ভোটার তালিকার সঙ্গে বর্তমান ভোটার তালিকা মেলানো সংক্রান্ত আগে যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, তার অগ্রগতি পর্যালোচনা করতে বলা হয়েছে। 

নির্বাচন কমিশনের এক আধিকারিক বলেন, ‘বিহারে, এসআইআর প্রক্রিয়াটি ২৪ জুন থেকে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত প্রায় চার মাস ধরে হয়েছিল। তবে, কমিশন এখন এই সময়সীমা কমানোর পরিকল্পনা করছে।’ প্রক্রিয়াটি সহজ করার জন্য, নির্বাচন কমিশন সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পূর্ববর্তী এবং বর্তমান ভোটার তালিকা যাচাই করার নির্দেশ দিয়েছে। যাতে প্রক্রিয়াটি শেষ হতে বেশি সময় না লাগে।

বিহার থেকে শিক্ষা নিয়ে, দিল্লি, পশ্চিমবঙ্গ, উত্তরাখণ্ড এবং কেরালার মতো রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিতে ইতিমধ্যেই পুরনো এসআইআর এর নথি ব্যবহার করে ভোটারদের ম্যাপিং শুরু করা হয়েছে। গত সম্মেলনে বিহারের সিইও এর তরফে উপস্থাপন করা এই কার্যকর ম্যাপিং প্রক্রিয়াটি দেশের অন্যান্য রাজ্য এখন গ্রহণ করেছে। বহু রাজ্যের নির্বাচন কমিশন দফতর ইতিমধ্যে শেষ এসআইআর হওয়া ভোটার তালিকা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে। কমিশন সূত্রের দাবি, প্রথম পর্যায়ে, অসম, তামিলনাড়ু, পুদুচেরি, কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ-সহ প্রায় ১০টি রাজ্যে এসআইআর করা হবে। কমিশন এই রাজ্যগুলির সিইওদের সঙ্গে পৃথক বৈঠক করেছে তাদের প্রস্তুতি পর্যালোচনা করার জন্য।

Mehul Choksi: আর্থিক অপরাধে অভিযুক্ত পলাতক মেহুল চোকসিকে ফেরানো যাবে ভারতে, বড় সিদ্ধান্ত বেলজিয়াম আদালতের

এই দিনকাল: পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের ঋণ জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত তথা হীরে ব্যবসায়ী পলাতক মেহুল চোকসির (Mehul Choksi) ভারতে প্রত্যর্পণে আর বাধা রইল না। দেশ ছেড়ে পালানো আর্থিক অপরাধে অভিযুক্তকে ভারতে ফেরানোর অনুমতি দিয়েছে বেলজিয়ামের আদালত। ভারতে আসা ঠেকাতে আদালতে নানান যুক্তি দিয়েছিলেন চোকসি। অবশেষে তাঁর আর্জি নাকচ করে বিচারক জানিয়ে দিয়েছেন, ভারতে একাধিক গুরুতর অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে। তাই তাঁকে ভারতের বিচার ব্যবস্থার সম্মুখীন হতে হবে। শুধু তাই নয় মেহুল যে বেলজিয়ামে এক জন বিদেশি, তাও মনে করিয়ে দিয়েছে আদালত।

মেহুল সংক্রান্ত মামলায় বেলজিয়াম আদালতের এই সিদ্ধান্ত ভারত সরকারের কাছে একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। ভারতের তরফে ২০১৮ সাল থেকে চোকসিকে ফেরানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৩,৫০০ কোটি টাকা ঋণখেলাপির অভিযোগ রয়েছে তাঁর এবং নীরব মোদীর বিরুদ্ধে। বেলজিয়ামের আদালতে চোকসি দাবি করেন, তিনি ভারতে সুবিচার পাবেন না এবং তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। যদিও বুধবার চোকসির যুক্তি খারিজ করেছেন বিচারক। বেলজিয়ামের আদালতে তাঁর যুক্তি, রাজনৈতিক কারণে ভারতীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি তাঁকে ‘অন্যায়ভাবে লক্ষ্যবস্তু’ করছে। যদি তাঁকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয় তবে তাঁর নিরাপত্তা বিঘ্নিত হবে। তিনি আরও দাবি করেন, তদন্ত ‘মিডিয়ার চাপে’ প্রভাবিত হয়েছে। ভারতীয় কারাগারগুলি আন্তর্জাতিক মানবাধিকারের মান পূরণ করে না বলে অভিযোগ করেন চোকসি। চোকসির আইনজীবী আদালতে যুক্তি দেন, অ্যান্টিগুয়ান নাগরিক হিসেবে (দ্বৈত নাগরিকত্ব) এবং তাঁর চিকিৎসার জন্য তাঁকে প্রত্যর্পণ থেকে অব্যাহতি দেওয়া উচিত। আদালতে বলা হয়, হেফাজতে তাঁর চিকিৎসা সম্পর্কে ‘বিশ্বাসযোগ্য আশ্বাস দিতে ব্যর্থ হয়েছে’ ভারত।

তবে আদালত এই যুক্তিগুলিকে ভিত্তিহীন বলে খারিজ করে দিয়েছে। বিচারক উল্লেখ করেছেন, ভারত যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া, চিকিৎসা সেবা এবং আটকের শর্ত সম্পর্কে বিস্তারিত কূটনৈতিক আশ্বাস জমা দিয়েছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, চোকসি ভারতে ফিরে আসার পর রাজনৈতিক নির্যাতন বা অন্যায় আচরণের মুখোমুখি হবেন, এমন কোনও প্রমাণ নেই।

উল্লেখ্য পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কের অর্থ কেলেঙ্কারি প্রকাশের ঠিক আগে ভারত থেকে পালিয়ে যান মেহুল চোকসি। কেলেঙ্কারি প্রকাশ্যে আসার পর থেকে বিদেশে বসবাসকারী চোকসিকে খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এবং এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং অর্থ পাচারের অভিযোগে দুই সংস্থার ওয়ান্টেড তালিকায় রয়েছেন চোকসি।

Glitterist Magazine: ফ্যাশন ও গ্ল্যামার ম্যাগাজিন গ্লিটারিস্টের ৪১তম সংখ্যা প্রকাশ

এই দিনকাল: ফ্যাশন ম্যাগাজিন গ্লিটারিস্টের (Glitterist Magazine) ৪১ তম সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল ১৫ অক্টোবর। ওই দিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়ার ‘হ্যাঙ্গআউটজ – দ্য বুটিক ক্যাফে’তে এই ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ফ্যাশন এবং সঙ্গীতের মনমোহিনী পরিবেশে ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করার পাশাপাশি ‘গ্লিটারিস্ট – সেট দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাবলেজ’ (Glitterist – Set The World Ablaze) শিরোনামে একটি গানও প্রকাশ করা হয় এদিন। 

এদিনের অনুষ্ঠানে ফ্যাশন এবং বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। গ্লিটারিস্টের ৪১ তম সংখ্যার প্রচ্ছদ মডেল ত্রিপর্ণা গুহ এদিন অংশ নিয়েছিলেন। ছিলেন তেজস গান্ধী, মডেল ঈশান মজুমদার, রূপালী ভট্টাচার্য এবং প্রিয়ঞ্জলি কুণ্ডু। উপস্থিত ছিলেন গ্লিটারিস্ট ম্যাগাজিনের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, সেলিব্রিটি মেক-আপ শিল্পী বন্দনা সাউ রক্ষিত এবং ঝুমেন্দু কয়াল, অভিনেত্রী বর্ণ রাহা ব্যানার্জি, আলোকচিত্রী সৌরভ অধিকারী এবং ম্যাগাজিনের সম্পাদক শুভজিত বর্মন।

কবে থেকে গ্লিটারিস্টের পথচলা শুরু হয়েছে, এই বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাগাজিনের সম্পাদক শুভজিত বর্মন বলেন, ‘২০২২ এর এপ্রিল মাস থেকে আমাদের ম্যাগাজিন শুরু হয়। এটা সর্বপ্রথম আমরা একটি ফটোবুক হিসেবে লঞ্চ করেছিলাম। আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বাড়ার পর থেকে এটাকে আমরা ম্যাগাজিনের আকার দিই। আমাদের ম্যাগাজিনের মাসিক সার্কুলেশন এক লক্ষের বেশি, অ্যামাজন থেকে সার্কুলেশন তিন হাজারের বেশি, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বাকিটা। ৫১ পার্সেন্ট ভারতে সার্কুলেশন, ২৭ পার্সেন্ট জাপানে, ৪ পার্সেন্ট কানাডায়, ৫ পার্সেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ৩ পার্সেন্ট জার্মানিতে সার্কুলেশন হয়।’ 

ম্যাগাজিন প্রকাশের লক্ষ্য কী? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্ল্যামার এবং ফ্যাশনের দুনিয়ায় যারা উচ্চ প্রোফাইল সম্পন্ন যারা প্রতিষ্ঠিত, তাদেরকে লক্ষ্য করে প্রোমোশন করা হয়। কিন্তু আমাদের ম্যাগাজিন প্রকাশের লক্ষ্য হচ্ছে, আমাদের এটি এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে উঠতি তারকাদের আমরা তুলে ধরি।’

Namaz: পুনের দুর্গে নামাজ পড়ায় গোমূত্র দিয়ে ‘শুদ্ধিকরণ’ বিজেপি সাংসদের

এই দিনকাল: পুনের শনিওয়ার ওয়াড়া (Shaniwar Wada) দুর্গে নামাজ (Namaz) পড়েছিলেন কয়েক জন মহিলা। আর তার পর গোমূত্র দিয়ে ঐতিহাসিক ওই স্থানকে ‘শুদ্ধ’ করলেন বিজেপি সাংসদ। রবিবার পদ্ম শিবিরের রাজ্যসভার সাংসদ মেধা কুলকার্নির (Rajya Sabha MP Medha Kulkarni) নেতৃত্বে দলের কর্মীরা ওই দুর্গে ‘শুদ্ধিকরণ’ অভিযান চালান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে ট্যাগ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুলকার্নি লিখেছেন, ‘শনিওয়ারওয়াড়া একটি ঐতিহাসিক জায়গা। এটি আমাদের বিজয়ের প্রতীক, যেখান থেকে মারাঠা সাম্রাজ্য অ্যাটক থেকে কটক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। কেউ যদি এখানে এসে নামাজ পড়ে, আমরা তা সহ্য করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শনিওয়ারওয়াড়া একটি এএসআই (ASI) দ্বারা সুরক্ষিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ। এটি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের প্রতিষ্ঠা করা হিন্দবিশ্বরাজ্যের প্রতীক। আমরা কাউকে এখানে নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে পারি না। এটি কোনও মসজিদ নয়।’

উল্লেখ্য, শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গে কয়েক জন মুসলিম মহিলার নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে শনিবার ভাইরাল হয়। যার পরে বিজেপি এবং বেশ কয়েকটি উগ্র ডানপন্থী সংগঠন এর নিন্দা জানায়। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক শোরগোল তৈরি হয়েছে। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধ সরব হয়েছে অজিত পাওয়ার এনসিপি। দলের মুখপাত্র রূপালি পাতিল থোম্ব্রে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশের কাছে দাবি তুলেছেন। রূপালির অভিযোগ, ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার’ চেষ্টা করছেন মেধা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘যখন উভয় সম্প্রদায় পুনেতে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছেন, মেধা তখন হিন্দু-মুসলিম করছেন। শনিওয়ার ওয়াড়া সমস্ত পুনেবাসীর, কোনও একটি গোষ্ঠী বা ধর্মের সম্পত্তি নয়।’ অন্য দিকে, দুর্গে নামাজ পড়ায় অজ্ঞাত পরিচয় মহিলাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন এএসআই-এর এক আধিকারিক। পাশাপাশি দুর্গে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Dalit: উত্তর প্রদেশে দলিত যুবককে জুতো চাটাল উচ্চবর্ণের পুরুষেরা, মেরে ভেঙে দেওয়া হল হাত

এই দিনকাল: উত্তরপ্রদেশে (Uttar Pradesh) এক দলিত (Dalit) যুবককে বাধ্য করা হল জুতো চাটতে। শুধু তাই নয়, তাঁকে বেধড়ক মারধর করে হাত ভেঙে দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর উচ্চবর্ণের লোকজনের বিরুদ্ধে। ঘটনার ১২ দিন পর পুলিশের শীর্ষ কর্তাদের নির্দেশে দায়ের করা হয়েছে অভিযোগ। উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Chief Minister Yogi Adityanath) একাধিক বার দাবি করেছেন রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি দৃঢ় ভাবে রয়েছে। কিন্তু তার পরেও, হামিরপুর জেলার এই ঘটনা পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হামিরপুরের সুমেরপুর এলাকায় গত ৫ অক্টোবর ঘটনাটি ঘটেছে। অভিযোগ, উচ্চবর্ণের একদল লোক এক দলিত যুবককে জাত তুলে অপমান করে। সেই সঙ্গে মারধরও করে। সংবিধান প্রণেতা ডক্টর বিআর আম্বেদকরের ছবি ছিঁড়ে ফেলা সংক্রান্ত পুরনো বিবাদের জেরে অভিযুক্তরা ওই দলিত যুবককে জুতো চাটতে বাধ্য করে এবং পরে তাঁকে মারধর করে একটি হাত ভেঙে দেয়।

রিপোর্ট অনুসারে, আক্রান্ত যুবক সিমনৌদি গ্রামের বাদিন্দা। তাঁর নাম  উমেশ বাবু ভার্মা। অভিযোগ, তিনি বাজারে গিয়েছিলেন, সেই সময় রাস্তার পাশে বসে ছিলেন অভয় সিং এবং আরও দুই অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি। তাঁরা উমেশকে থামিয়ে জুতো চাটতে বাধ্য করে। উমেশ বলেন, ‘তাঁরা আমাকে জাত তুলে অপমান করতে শুরু করে, জুতো চাটতে বাধ্য করে। তারপর আমার উপর আক্রমণ করে আমার হাত ভেঙে দেয়।’

আক্রান্ত যুবকের দাবি, ঘটনার পর অভিযোগ জানানোর জন্য তিনি একাধিক বার স্থানীয় পুলিশের কাছে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাঁর কথা পুলিশ শুনতে চায়নি বলে অভিযোগ। উমেশ বলেন, ‘আমি বেশ কয়েকবার থানায় গিয়েছিলাম, কিন্তু তাঁরা আমার কথা শোনেনি।’ অবশেষে পুলিশ সুপার ডঃ দীক্ষা শর্মার সঙ্গে দেখা করে গোটা ঘটনার কথা জানান আক্রান্ত। তাঁর নির্দেশে পরে স্থানীয় পুলিশ অভয় সিং এবং আরও দুজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। বিষয়টি নিয়ে সুমেরপুর থানার অফিসার অনুপ সিং বলেন, ‘আক্রান্ত যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’ 

অন্য দিকে অভিযোগ দায়ের করতে দেরি করায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সঞ্চার হয়েছে। তাঁদের দাবি, জাতিগত হিংসার পরেও প্রশাসন কীভাবে তা উপেক্ষা করছে তার দৃষ্টান্ত এই ঘটনা। উমেশের পরিবার অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে। সেই সঙ্গে প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করায় সংশ্লিষ্ট পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে।

Poverty: দেশের ইতিহাসে প্রথম চরম দারিদ্র‍্যসীমা থেকে মুক্ত কেরল

এই দিনকাল: স্বাধীন ভারতবর্ষে এই প্রথম কোনও রাজ্য চরম দারিদ্র্যসীমা (extreme poverty) থেকে মুক্ত হল। বামশাসিত কেরলে চরম দারিদ্র্যসীমার নীচে আর কোনও মানুষ নেই। আগামী ১ নভেম্বর সরকারি ভাবে সে রাজ্যে এই বেনজির অর্জনের কথা ঘোষণা করা হতে চলেছে। 

১ নভেম্বর দিনটি এমনিতে ‘কেরল দিবস’ হিসেবে উদযাপিত হয়। পিনারাই বিজয়ন সরকারের সিদ্ধান্ত, ওই দিনেই রাজ্যকে চরম দারিদ্র‍্যসীমা মুক্ত হিসেবে ঘোষণা করা হবে। অত্যন্ত দারিদ্র‍্যের মধ্যে থাকা ৬৪,০০৬ টিরও বেশি পরিবারের উন্নয়ন ঘটানো হয়েছে। এই পরিবারগুলির জন্য খাদ্য, চিকিৎসা এবং বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে সরকারের তরফে। কেরলের মন্ত্রী এমবি রাজেশ এই অর্জনকে গর্বের মুহূর্ত বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর দাবি, কেরল দেশের মধ্যে শুধু প্রথম চরম দারিদ্র্যদীমার উর্ধ্বে ওঠেনি, বরং আন্তর্জাতিক ভাবে চিনের পরে বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে জায়গা করে নিয়েছে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের ক্ষেত্রে। 

বামশাসিত রাজ্যটি মানুষকে দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করার জন্য একাধিক প্রকল্প হাতে নিয়েছে। বিশেষ করে এক্সট্রিম পোভার্টি ইরাডিকেশন প্রজেক্ট বা ইপিইপি চালু করা হয় সরকারি ভাবে। এই প্রকল্পের লক্ষ্য হল চরম দারিদ্র্যসীমার মধ্যে থাকা ব্যক্তি ও পরিবারকে চিহ্নিত করে সরকারি প্রকল্পের সুফল পৌঁছে দেওয়া। সংবাদ সংস্থাকে রাজেশ বলেন, ‘ইপিইপি ছিল বর্তমান বাম সরকারের প্রথম মন্ত্রিসভার প্রথম সিদ্ধান্ত। এটিকে চরম দারিদ্র্য দূরীকরণের জন্য একটি পাঁচ বছরের পরিকল্পনা হিসেবে ঠিক করা হয়েছিল। বর্তমানে, আমরা আমাদের যা লক্ষ্য ছিল তার ১০০ শতাংশ অর্জন করতে পেরেছি।’ 

উল্লেখ্য, অত্যন্ত দরিদ্র মানুষকে চিহ্নিত করতে কেরলজুড়ে সমীক্ষা চালানো হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় চিহ্নিত করা হয় ৬৪,০০৬ পরিবারকে। এই পরিবারগুলির মোট জনসংখ্যা ১,০৩,০৯৯ জন। খাদ্য, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, আয় এবং আবাসনের ক্ষেত্রে দারিদ্র‍্যসীমা থেকে পরিবারগুলি এখন বেরিয়ে এসেছে বলে মন্ত্রী জানান।

এই প্রকল্পের কথা ভেবেছিলেন স্বয়ং কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। তিনি এই বিষয়ে বিভিন্ন দফতরের মধ্যে সমন্বয় রেখে প্রতিটি পর্যায়ে কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন। রাজেশ বলেন, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্পের একত্রীকরণ এবং বিভিন্ন দফতরের কাজকর্মের সমন্বয় এই প্রকল্পকে সফল করে তুলেছে। মন্ত্রী বলেন, সমাজের সবচেয়ে প্রান্তিক এবং দুর্বল অংশ, যার মধ্যে যাযাবর শ্রেণীও রয়েছে। তারা চালু থাকা সরকারি প্রকল্প সম্পর্কে জানেন না, বা সুবিধা পেতে কীভাবে আবেদন করতে হবে তাও জানেন না, তাদেরকে চিহ্নিত করে এই উদ্যোগের আওতায় আনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘প্রতিটি পরিবারের চাহিদা অনুসারে ছোট ছোট পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। কিছু পরিবারের জন্য, চিকিৎসা, কিছু পরিবারের জন্য খাদ্য গুরুত্ব পেয়েছে। তবে বিপুল সংখ্যকের আবাসন এবং উপার্জনের প্রয়োজন। এমনকি এমন ব্যক্তিরাও ছিলেন যারা হাসপাতালে যাওয়ার জন্য সাহায্য চেয়েছিলেন।’ নীচুতলায় করা সমীক্ষায় দেখা গেছে যে এই ধরণের পরিবারগুলির ৩৫ শতাংশ আয় সংক্রান্ত বঞ্চনার সম্মুখীন, ২৪ শতাংশের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত বিষয়ে সমস্যা, ২১ শতাংশের খাদ্যের প্রয়োজন। এ ছাড়া বাসস্থান সংক্রান্ত সমস্যার সম্মুখীন ১৫ শতাংশ পরিবার।