Author Archives: Ei Dinkal

Bihar Assembly Elections: বিহার বিধানসভা নির্বাচন: প্রথম দফায় ১২১ আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন, ভোটদানের হার ৬৪.৬৬%

এই দিনকাল: বিহার বিধানসভার (Bihar Assembly Elections) প্রথম দফার নির্বাচনে ১২১টি আসনে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হল বৃহস্পতিবার। এদিন ভোটদানের হার ৬৪.৬৬% বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন। দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দফার ভোট গ্রহণ হবে আগামী ১১ নভেম্বর। 

বিহারের নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা অংশ নিয়েছেন। যার মধ্যে রয়েছেন রাঘোপুর কেন্দ্রে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদব এবং তারাপুরে বিজেপির উপ-মুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধুরী। টানা তৃতীয় বারের মতো জয়ের লক্ষ্যে নেমেছেন তেজস্বী যাদব। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন বিজেপির সতীশ কুমার। সতীশ এক বার তেজস্বীর মা অর্থাৎ রাবড়ি দেবীকে ভোটে পরাজিত করেছিলেন। অন্য দিকে লালুপ্রসাদ যাদবের বড় পুত্র তেজ প্রতাপ যাদব নতুন করে তৈরি করা জনশক্তি জনতা দলের হয়ে মহুয়া কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছেন আরজেডির মুকেশ রৌশন।

২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভার নির্বাচনকে মাথায় রেখে প্রচারে ঝড় তুলেছিল এনডিএ এবং ইন্ডিয়া জোট। নির্বাচনী প্রচারে সামিল হয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী এবং প্রিয়ঙ্কা গান্ধীও। টানটান উত্তেজনা ছিল বিহারের নির্বাচন ঘিরে। মোদী-নীতিশের জুটির দিকে নাকি আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের পক্ষে যাবে জনমত তা নিয়ে জারি ছিল চর্চা। তবে এখনই এ বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্তে পৌঁছানোর অবকাশ নেই। দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণের পর আগামী ১৪ নভেম্বর ফল প্রকাশের দিন জানা যাবে শেষ হাসি কে হাসবে।

Zohran Mamdani: নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচিত ভারতীয় বংশোদ্ভূত জোহরান মামদানি, ইতিহাসে এই প্রথম ওই পদে কোনও মুসলিম

এই দিনকাল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক সিটির ১১১তম মেয়র নির্বাচিত হলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রার্থী জোহরান মামদানি (Zohran Mamdani)। আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি শহরটির মেয়র হিসেবে শপথ নেবেন জোহরান। নিউইয়র্কের নব নির্বাচিত মেয়রের ভারতের সঙ্গেও রয়েছে নাড়ির যোগ। জোহরানের মা প্রখ্যাত ভারতীয় ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা মীরা নায়ার। মঙ্গলবার নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর ইতিহাস গড়েছেন জোহরান। কারণ এই প্রথম নিউইয়র্ক সিটির মেয়র হলেন কোনও ভারতীয় বংশোদ্ভূত মুসলিম ব্যক্তি।

নিউইয়র্কের প্রাক্তন গভর্নর ও স্বতন্ত্র প্রার্থী অ্যান্ড্রু কুমো জোহরানের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিলেন। প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন রিপাবলিকান প্রার্থী কার্টিস স্লিওয়াও। কিন্তু দুজনকেই পরাজিত করে ইতিহাস লিখেছেন জোহরান। গত ১০০ বছরের ইতিহাসে নিউইয়র্কের সবচেয়ে কম বয়সী মেয়র মীরা পুত্র। উল্লেখ্য নিউইয়র্ক সিটির বর্তমান মেয়র এরিক অ্যাডামসও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রথমে নির্বাচনী প্রতিযোগিতায় নাম লিখিয়েছিলেন। যদিও গত সেপ্টেম্বরে নিজেকে সরিয়ে নেন তিনি।

নিউইয়র্কের মেয়র নির্বাচনে ভোটদান করেছেন প্রায় ১৭ লক্ষ মানুষ। যা গত ৩০ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ ভোটদান।সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, স্থানীয় সময় মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত (ভারতীয় সময় বুধবার ভোর সাড়ে ৪টে) এই বিপুল সংখ্যক মানুষ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, মামদানির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তিনি মামদানিকে ‘কমিউনিস্ট’ আখ্যা দিয়েছিলেন। হুঁশিয়ারির সুরে বলেছিলেন, যদি মামদানি জেতে, তাহলে তিনি নিউইয়র্কের নিয়ন্ত্রণ নেবেন।

Pakistan: গুরু নানকের জন্মবার্ষিকীতে তীর্থযাত্রায় পাকিস্তানে ২১০০ ভারতীয় শিখ, অপারেশন সিঁদুরের পর প্রথম বড় সফর

এই দিনকাল: গত এপ্রিলে জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর ভারত (India) ও পাকিস্তানের (Pakistan) মধ্যে সম্পর্ক তলানিতে ঠেকে। গত ৭ মে ভারতের তরফে অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয় বলে দাবি। সেই সামরিক উত্তেজনার পর স্থল সীমান্ত বন্ধ হয় দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে। এই আবহে নয়াদিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যে সংযোগের নতুন সেতু তৈরি করে দিলেন ভারতীয় শিখ সম্প্রদায়। গুরু নানকের জন্মদিন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অংশ নিতে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করলেন ২,১০০ ভারতীয় শিখ। মঙ্গলবার তীর্থযাত্রীদের ওই দলটি আত্তারি-ওয়াঘা সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে প্রবেশ করেছে। পর্যবেক্ষকদের মতে, অপারেশন সিঁদুরের পর দুই দেশের মধ্যে প্রথম বড় সফর।

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানে যাওয়ার পর শিখ তীর্থযাত্রীরা বুধবার লাহোর থেকে প্রায় ৮০ কিলোমিটার পশ্চিমে গুরু নানকের জন্মভূমি নানকানা সাহেবে জমায়েত করবেন। এরপর তাঁরা গুরুদুয়ার পাঞ্জা সাহেব হাসান আবদাল, গুরুদুয়ার সাচ্চা সৌদা ফারুকাবাদ এবং গুরুদুয়ার দরবার সাহেব কর্তারপুর দর্শন করবেন। তীর্থযাত্রীদের ওই দলটির ১৩ নভেম্বর ভারতে ফিরে আসার কথা।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, গুরু নানকের ৫৫৬তম জন্মদিন উপলক্ষে ১০ দিনের উৎসব হবে পাকিস্তানে। সেই অনুষ্ঠানে যোগদানের জন্য ২১৫০ জন ভারতীয় শিখকে ভিসা দিয়েছে পাক সরকার। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকার শুধুমাত্র ভারতীয় নাগরিকদের তীর্থযাত্রায় অংশগ্রহণের অনুমতি দিয়েছে। এসজিপিসির যাত্রা বিভাগের দায়িত্বে থাকা পালবিন্দর সিং জানান, অনাবাসী ভারতীয়দের (এনআরআই) এই অনুষ্ঠানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে এর পিছনে কী কারণ, সে বিষয়ে তিনি অবগত নন। অপারেশন সিঁদুরের পর নিরাপত্তা জনিত কারণে ভারত সরকার এর আগে তীর্থযাত্রার অনুমতি বাতিল করেছিল। তবে, দীর্ঘ দিনের ঐতিহ্যের কথা মাথায় রেখে একাধিক শিখ সংগঠন সরকারের কাছে আর্জি জানায়, অন্তত একটি প্রতীকী জাঠার অনুমতি দেওয়ার। তার ভিত্তিতে সিদ্ধান্তটি বাতিল করে কেন্দ্র।

Museum: বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলনা নিয়ে ইরানে গড়ে উঠেছে আস্ত একটি মিউজিয়াম

এই দিনকাল: ছেলেবেলার শখের খেলনা দেখে স্মৃতির সাগরে ডুব দেন অনেকে। প্রিয় সেই বস্তু দেখে মনের আঙিনায় ফিরে আসে ফেলে আসা শৈশবের নানান মুহূর্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের শৈশবের এমন খেলনা জমিয়ে আস্ত একটি জাদুঘর (Museum) গড়ে তুলেছেন ৪৬ বছর বয়সী আজাদেহ বায়াত। ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বাড়ি সংস্কার করে সেটিকে খেলনার জাদুঘরে পরিণত করেছেন তিনি।

সংবাদ মাধ্যমকে আজাদেহ বায়াত জানিয়েছেন, তাঁর নির্মিত জাদুঘরে যেমন রয়েছে প্রাচীন পারস্যের খেলনা, তেমনই জায়গা করে নিয়েছে সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সময়ের শিশুদের খেলনা। মিউজিয়ামটি গড়ে তুলতে ছয় বছর ধরে সংস্কারের কাজ হয়েছে। ২০২৪ সালে জাদুঘরটি সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আজাদেহের কথায়, ‘সর্বদা আমার মনে হত, হয়ত শিশু ও কিশোররা জাদুঘর দেখতে আসবে। কিন্তু বর্তমানে বড়রাও নিয়মিত ঢুঁ মারেন।’

মিউজিয়ামটির প্রতিষ্ঠাতা আজাদেহ শিশুশিক্ষাবিষয়ক গবেষক। এই জাদুঘরের জন্য তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি খেলনা সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের জবাবে আজাদেহ বলেন, ‘নিজেদের মা–বাবা ও ঠাকুমা, ঠাকুরদার খেলনা দেখে শিশুরা প্রবীণদের সম্পর্কে আরও ভাল ভাবে বুঝতে পারবে। পাশাপাশি তাঁদের জগতের সঙ্গে নিজেদের জগৎকে আরও ভাল ভাবে যুক্ত করতে শিখতে পারবে।’

জাদুঘরে ঢুকে দেখা যায় পারস্যের প্রাচীন একটি মাটির খেলনা, যেটা কিনা একটা পশুমূর্তি, সেটি প্রদর্শিত হচ্ছে কাচের বাক্সের মধ্যে রেখে। কাছেই একটি জায়গায় কাঠের ‘ম্যাট্রিওশকা’ পুতুলের একটি দল সাজানো রয়েছে। পুতুলগুলোকে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরানো রয়েছে। মিউজিয়ামে রয়েছে মার্কিন বার্বি ডল, সেই সঙ্গে রাখা হয়েছে ২০০০–এর দশকে ইরানের বাজারে আসা ‘সারা ও দারা’ নামের দুই পুতুলকেও। প্রসঙ্গত, ইরানে বার্বি ডল নিষিদ্ধ ছিল সে সময়। এই পুতুলের বিকল্প হিসেবে ‘সারা ও দারা’কে বাজারে আনা হয়েছিল।

Tejashwi Yadav: বিহারে পরবর্তী সরকার গড়ার দাবি তেজস্বীর, শপথ গ্রহণের তারিখ জানালেন লালুপুত্র

এই দিনকাল: আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফার এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দফার বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। তার আগে আত্মবিশ্বাসী তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) দাবি, পরবর্তী সরকার তাঁরাই গঠন করতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, রবিবার আগামী দিনের সরকারের মন্ত্রীদের শপথের দিনও ঘোষণা করে দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। 

তেজস্বী যাদব বলেন, ‘আগামী ১৪ নভেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে। ১৮ নভেম্বর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টির সমর্থক দুলার চাঁদ যাদবের হত্যার ঘটনায় মোকামার প্রাক্তন বিধায়ক এবং জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই আবহে তেজস্বী এই মন্তব্য করলেন। খুনের ঘটনাটি ‘ঘটতে বাধ্য’ বলে দাবি করে তেজস্বী বলেন ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জাতি এবং ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত অপরাধীকে কারাগারে বন্দি করা হবে। তিনি বলেন, ‘২৬ নভেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তেজস্বী নিশ্চিত করবেন যে সমস্ত অপরাধী, তাদের বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে, কারাগারে থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তেজস্বী লিখেছেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুসারে, অপরাধপ্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিহার। রবিবার এনডিএ জোটের সমর্থনে বিহারে নির্বাচনী জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরজেডি নেতা এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিহারের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

তেজস্বী বলেন, ‘আজ, প্রধানমন্ত্রী বিহার সফর করছেন। তাঁর উচিত রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া যেখানে এমন একটি দিনও যায় না যেখানে কোনও জঘন্য অপরাধ হয় না। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করার সঙ্গে সঙ্গেই এই পরিস্থিতির বদল হবে।’ অন্য দিকে, তেজস্বীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির (আরভি) প্রধান চিরাগ পাসওয়ান। তাঁর দাবি, এনডিএ সরকার কখনও অপরাধীদের রক্ষা করেনি। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি অপরাধীদের রক্ষা করত, তাহলে গত রাতে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হত না। আমাদের সরকার একটি বিষয়ে স্পষ্ট, যেমন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন, আমরা কখনও কাউকে ফাঁসাই না বা রক্ষা করি না।’

Stampede: অন্ধ্রের কাশিবুগ্গায় মন্দিরে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু ৯ জনের, তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: মর্মান্তিক বিপর্যয় অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীকাকুলাম জেলার কাশিবুগ্গায় শ্রী ভেঙ্কটেশ্বর স্বামী মন্দিরে (Sri Venkateswara Swamy Temple)। শনিবার ধর্মস্থানে পদপিষ্ট (Stampede) হয়ে কম করে নয় জন ভক্তের মৃত্যু হয়েছে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েক জন। ইতিমধ্যে গোটা ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু (Chief Minister N. Chandrababu Naidu)।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, কার্তিক মাসের ‘একাদশী’ উপলক্ষে মন্দিরে বিপুল সংখ্যক ভক্তের সমাগম হয় এদিন। রিপোর্ট অনুসারে ওই মন্দিরের ধারণ ক্ষমতা প্রায় ২০০০ লোকের। কিন্তু হঠাৎ করে প্রায় ২৫,০০০ ভক্ত জড়ো হওয়ায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়। সেখানে হুড়োহুড়ি শুরু হয়, তার জেরে এই পদপিষ্টের ঘটনা ঘটে। মুখ্যমন্ত্রী এন চন্দ্রবাবু নাইডু এই দুর্ঘটনার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষকে কাঠগড়ায় তুলেছেন। তিনি অভিযোগ করেন, মন্দির কর্তৃপক্ষ এদিনের অনুষ্ঠান সম্পর্কে পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে কিছুই জানায়নি। শ্রী সত্য সাই জেলায় এক সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এ বিষয়ে নাইডু বলেন, ‘দুর্ভাগ্যবশত, আয়োজকরা পুলিশ বা স্থানীয় প্রশাসনকে অনুষ্ঠান সম্পর্কে জানায়নি। যদি তারা আমাদের জানাত, তাহলে আমরা পুলিশি নিরাপত্তা  দিতাম এবং ভিড় নিয়ন্ত্রণ করতাম। এই সমন্বয়হীনতার কারণে নয় জন প্রাণ হারিয়েছেন এবং পাঁচ জন আহত হয়েছেন।’

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এই ঘটনার তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তাঁর কথায়, ‘সরকার নিশ্চিত করতে চায় একটিও প্রাণহানি যাতে না হয়, তবে বেসরকারি অনুষ্ঠানের সময় এই ধরণের ঘটনা ঘটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক। পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ এই ঘটনায় নাইডু শোক প্রকাশ করেছেন। রাজভবন থেকে পোস্ট করা এক বার্তায় রাজ্যপাল এস আব্দুল নাজির এই দুর্ঘটনায় ‘গভীর শোক’ প্রকাশ করেছেন। তিনি জেলা প্রশাসনকে উদ্ধারকাজ ও চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। মর্মান্তিক এই ঘটনার পর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। তিনি নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০,০০০ টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।

Bizarre Incident: মেয়ের বাগদানের আগে হবু জামাইয়ের মায়ের সঙ্গে পালালেন কনের বাবা!

এই দিনকাল: কথা ছিল মেয়ের বাগদান হবে। সেই মতো প্রস্তুতিও ছিল। কিন্তু তার আগে অদ্ভূত কাণ্ড (Bizarre Incident) ঘটালেন কনের বাবা। মেয়ের হবু শাশুড়ির সঙ্গে পালালেন মধ্যবয়সী ওই ব্যক্তি! ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীতে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ঘটনাটি আট দিন আগে ঘটলেও এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। মধ্যপ্রদেশের উজ্জয়নীতে এই অদ্ভূত কাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পুলিশ নিখোঁজ মহিলার সন্ধান পেয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, উন্তভাসা গ্রামের বাসিন্দা ৪৫ বছর বয়সী ওই মহিলা এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে নিখোঁজ ছিলেন। বিষয়টি নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পড়ে যান তাঁর ছেলে। শেষমেশ পুলিশের দ্বারস্থ হন তিনি। ওই মহিলা নিখোঁজ হয়েছেন বলে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার। এর পর তাঁর খোঁজে তল্লাশি শুরু করেন তদন্তকারীরা। বৃহস্পতিবার অবশেষে পুলিশ তাঁর খোঁজ পায়। চিকলি গ্রামে ওই মহিলার হদিশ মেলে। পুলিশ জানায়, ওই মহিলা ৫০ বছর বয়সী এক কৃষকের সঙ্গে থাকছিলেন। যিনি কিনা তাঁর ছেলের বাগদত্তার বাবা!

তদন্তে নেমে জানা যায়, চিকলির ওই কৃষকের স্ত্রী সম্প্রতি মারা গিয়েছেন। দুই সন্তানের সঙ্গে থাকছিলেন তিনি। কৃষকের এক মেয়ের সঙ্গে ‘নিখোঁজ’ হওয়া মহিলার ছেলের বাগদান হওয়ার কথা ছিল। জানা যায়, সেই বাগদানের প্রস্তুতি চলাকালীন, দুই হবু শ্বশুরবাড়ির লোকজনের মধ্যে কথাবার্তার ভিত্তিতে সম্পর্ক তৈরি হয়। তারই ফল স্বরূপ একসঙ্গে পালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন দুজনে। এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবে বিস্মিত হয়েছে উভয় পরিবার। এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন টাউন ইন্সপেক্টর অশোক পাতিদার। তিনি বলেন, ‘আট দিন আগে ৪৫ বছর বয়সী এক মহিলার নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ আসে। আমাদের তদন্তে জানা গেছে যে তিনি তাঁর স্বামী এবং ১৮ এবং ২০ বছর বয়সী দুই সন্তানকে রেখে ৫০ বছর বয়সী এক কৃষকের সঙ্গে চলে গিয়েছিলেন। যার মেয়ের সঙ্গে তাঁর ছেলের বাগদান হওয়ার কথা ছিল। যদিও বাগদান এখনও হয়নি। দুজনেই একসঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।’

পরিবারের তরফে ওই মহিলাকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করা হলেও তিনি যেতে অস্বীকার করেন। তাঁর সাফ কথা, প্রেমিককে কোনও ভাবেই ছেড়ে যেতে পারবেন না তিনি। ওই কৃষকের সঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মহিলা।

Prashant Kishor: প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে মন্দিরে মুসলিম প্রার্থী, গঙ্গাজল ছিটিয়ে ধর্মস্থান ‘শুদ্ধিকরণ’ পুরোহিতের

Temple ‘Cleansed’ After Prashant Kishor, Muslim Candidate Offer Prayers

এই দিনকাল: ভোটমুখী বিহারে নির্বাচনী প্রচার জোর কদমে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) জন সুরজ পার্টিও। বিহারের মধুবনীতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁরই দলের এক মুসলিম প্রার্থী মন্দিরে প্রবেশ করায়, ধর্মস্থানকে পঞ্চগব্য এবং গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করলেন পুরোহিতরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটলেও, এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের মুসলিম প্রার্থী পারভেজ আলম মঙ্গলবার মধুবনীর কপিলেশ্বর নাথ মহাদেব মন্দিরে যান। বেনীপট্টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার আগে মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিদর্শন করে ভগবান শিব এবং অন্যান্য দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করেন জন সুরজ পার্টির দুই নেতা। তাঁদের চলে যাওয়ার পরেই, মন্দিরের পুরোহিতরা পঞ্চগব্য (দুধ, দই, ঘি, গোমূত্র এবং গোবরের মিশ্রণ) এবং গঙ্গাজল ব্যবহার করে ধর্মস্থান ‘শুদ্ধিকরণ’ করেন।

শ্রাবণ কুমার নামের এক পুরোহিত বলেন, তাঁকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল প্রশান্ত কিশোর মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসবেন। তাঁর কথায়, ‘আমি সম্মতি জানিয়েছিলাম এবং পুজোর জন্য সমস্ত উপকরণ প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এখানে এসে পৌঁছাননি। আমাদের ঐতিহ্য অনুসারে, মন্দিরটি রাত ৮ টায় দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে, প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের প্রার্থী এসে গর্ভগৃহে প্রার্থনা করেন।’

ওই পুরোহিত আরও বলেন, পরে তিনি বুঝতে পারেন যে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে এক জন মুসলিম প্রার্থী ছিলেন। শ্রাবণ বলেন, ‘আমরা প্রথমে তাঁকে চিনতে পারিনি কারণ তিনি ঐতিহ্যবাহী মিথিলা পোশাক পরেছিলেন।’ অন্য দিকে, মুসলিম হয়ে মন্দিরে প্রবেশের বিরোধিতা করেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। এটি মন্দিরের রীতিনীতির পরিপন্থী বলে দাবি তাঁদের। যদিও এই ঘটনার পর মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি জন সুরজ পার্টির নেতৃত্বও।

SIR: এসআইআর-এ কোন নথি প্রয়োজন? দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

এই দিনকাল: বঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR)। ভোটার তালিকা স্বচ্ছ ও ত্রুটিমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে ধাপে ধাপে এই বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা শুরু করেছে বলে দাবি। যদিও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ গেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার। কোন কোন নথি এসআইআর এর জন্য প্রয়োজন সে বিষয়ে কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের আলাদা করে নথি জমা দিতে হবে না। নথি দিতে হবে না যাঁদের বাবা, মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে তাঁদেরকেও। পাশাপাশি যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই বা যাঁদের বাবা, মায়ের নাম ওই তালিকায় নেই তাঁদের জন্য ১১টি নথির একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। এই তালিকায় থাকা যে কোনও একটি নথি দিলে এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম তোলা যাবে।

এক নজরে ১১ নথি

১) কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন বা পেনশন পান এমন নথি।

২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দেওয়া আপনার নামে থাকা যে কোনও নথি। 

৩) জন্ম শংসাপত্র। 

৪) পাসপোর্ট। 

৫) মাধ্যমিক বা তার উর্ধ্বে কোনও শ্রেণীর শিক্ষাগত শংসাপত্র।

৬) রাজ্য সরকারের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র। 

৭) বন অধিকার শংসাপত্র। 

৮) এসসি, এসটি, ওবিসি বা অন্য কোনও জাতিগত শংসাপত্র।

৯) জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি।

১০) রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া ফ্যামিলি রেজিস্ট্রার।

১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।

কমিশন জানিয়েছে, আধার কার্ড যেহেতু নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, তাই আধারের সঙ্গে উপরের যে কোনও একটা নথি দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালুর কথা সোমবার ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাট, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই দিন থেকে এই রাজ্যগুলিতে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ চালু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। 

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে। চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। সেই তালিকা নিয়ে যদি কারোর অভিযোগ থাকে তাহলে তা জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ৮ জানুয়ারির মধ্যে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবশেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

SIR: এসআইআর নিয়ে ডাকা সর্বদল বৈঠকে প্রশ্নের মুখে কমিশন

এই দিনকাল: ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে। সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এসআইআর এর নির্ঘন্ট ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল। কলকাতায় কমিশনের রাজ্য দফতরে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন।

রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। কমিশনকে বিঁধে তিনি বলেন, এসআইআর নিয়ে প্রচুর মানুষ আতঙ্কিত। অনেকে আত্মহত্যা করছেন। এই মৃত্যুর দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এসআইআর এনআরসি-র পূর্বপরিকল্পিত। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বৈঠকে ছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বাংলার এক জন বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ গেলেই প্রতিবাদ করবে তৃণমূল। 

সর্বদল বৈঠকে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, এসআইআর এর ক্ষেত্রে কমিশন থেকে যে নথিগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি নাগরিকত্বের প্রমাণ, এটা কী ভাবে বলা হচ্ছে? নাগরিকত্ব ঠিক করার অধিকার কমিশনকে কে দিয়েছে? এদিনের বৈঠকে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল ও বামেদের তরফে প্রশ্ন তোলা হলেও বিজেপির তরফে কমিশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘এসআইআর আজ থেকে চালু হয়েছে। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএলও প্রশিক্ষণ হবে। প্রত্যেক ভোটারের একটি কিউআর কোড হবে। ওটা নিয়ে ফর্ম প্রিন্টিং হবে। এর পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সোমবার মধ্যরাতে ভোটার তালিকা ফ্রিজ হয়েছে। ওই সময়সীমা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯ জন।