Author Archives: Ei Dinkal

Union Home Minister Amit Shah: ‘কংগ্রেস পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছে, বিজেপি তা ফিরিয়ে আনবে’: অমিত শাহ

এই দিনকাল: রাজ্যসভায় বুধবার অপারেশন সিঁদুর নিয়ে বিশেষ আলোচনার সময় কংগ্রেসকে নিশানা করে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। এদিন তিনি বলেন, কংগ্রেস পাক অধিকৃত কাশ্মীর দিয়েছে, কিন্তু বিজেপি সরকার তা ফিরিয়ে আনবে। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে এদিন জোরালো বক্তব্য রাখেন ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

বুধবার রাজ্যসভায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হাত শিবিরকে নিশানা করে বলেন, ‘কংগ্রেস পাক-অধিকৃত কাশ্মীর পাকিস্তানকে দিয়ে দিয়েছে, কিন্তু বিজেপি সরকার পাক-অধিকৃত কাশ্মীর ফিরিয়ে আনবে।’ অপারেশন মহাদেব সম্পর্কেও এদিন শাহ কথা বলেন। এই অভিযানে পহেলগাঁও হামলায় জড়িত সন্ত্রাসীদের হত্যা করা হয়েছে বলে জানান তিনি। তাঁর কথায়, ‘পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর, নিহতদের আত্মীয়স্বজনদের কাছ থেকে আমি অনেক ফোন পেয়েছিলাম। তাঁরা আমাকে অনুরোধ করেছিলেন, এই সন্ত্রাসীদের মাথায় গুলি করে হত্যা করার জন্য। আমাদের কর্মকর্তারা জঙ্গিদের মাথায় গুলি করে হত্যা করেছে।’ এদিন শাহ আরও বলেন, ‘অপারেশন মহাদেব অভিযানে নিহত ৩ সন্ত্রাসীর পরিচয় প্রমাণ করে যে পহেলগাঁওয়ে হামলায় লস্কর-ই-তৈবার হাত ছিল।’ প্রসঙ্গত, সোমবার শ্রীনগরের কাছে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত জঙ্গিরা আসলে পহেলগাঁও কাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল বলে জানান শাহ।

সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, ঘটনাস্থল থেকে যে গুলির খোল উদ্ধার হয়েছে সেগুলি পহেলগাঁও কাণ্ডে ব্যবহৃত গুলির খোলের সঙ্গে ৯৯ শতাংশ মিলে গেছে। এদিন অমিত শাহ কাশ্মীরকে সন্ত্রাস মুক্ত করার বার্তা দেন। তিনি বলেন, ‘আমি একটি জোরালো বার্তা দিতে চাই যে কাশ্মীর সন্ত্রাসবাদমুক্ত হবে।’ শাহ বলেন, ‘আমি পহেলগাঁও সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গেও দেখা করেছি… তাঁরা সকলেই তাঁদের প্রিয়জন হারানোর জন্য কাঁদছিল… জঙ্গিরা তাঁদের পরিবারের সদস্যদের ধর্ম জিজ্ঞাসা করে খুন করেছে।’

AIMIM: ‘পশ্চিমবঙ্গের অপমান মানে দেশের অপমান’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার ইমরান

এই দিনকাল: বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)। মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করে দলটির কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্ব। এদিন মিছিলে পা মেলান মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। মিছিল থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ শানান।

মঙ্গলবার মিছিলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঙালিদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে ইমরান সোলাঙ্কি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের দেশ থেকে বের করে দিতে চাইলে আমরা পাশে আছি। কিন্তু মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ পশ্চিমবঙ্গের লোককে বাংলাদেশি দাগিয়ে দিয়ে আপনি বের করে দেবেন, তা হবে না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে মারা হচ্ছে। বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এলে আমাদের সবার উপরে আক্রমণ নামিয়ে আনবে। ওরা বাঙালিকে চায় না। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের অহঙ্কার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অপমান মানে দেশের অপমান, ভারতের অপমান।’

মঙ্গলবার মিছিলে পা মেলান মিমের কলকাতা জেলা সভাপতি নাফিস আনসারি, মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আসাদুল শেখ-সহ রাজ্য স্তরের বহু নেতা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি ইস্যুতে যে ভাবে মিম পথে নেমেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ বিভিন্ন সময়ে ‘বিজেপির বি টিম’ বলে মিমকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শাসকদল যতই এমন তকমা দিক না কেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর নিপীড়ন যে অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সহ্য করবে না, কার্যত পথে নেমে তা বুঝিয়ে দিলেন ইমরান সোলাঙ্কিরা।

History: ইতিহাস রক্ষায় বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের আয়োজন

এই দিনকাল: বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের উদ্যোগে রবিবার কলকাতার আশুতোষ মুখার্জি মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কৃষ্ণকালী মণ্ডল স্মারক বক্তৃতা’। এটি ছিল সংস্থার দ্বিতীয় বর্ষের আলোচনা। বিষয় ছিল, ‘বাংলার ইসলামি স্থাপত্যে সমন্বয়ী ধারা: সুলতানি থেকে ঔপনিবেশিক পর্ব’। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়, রঙ্গনকান্তি জানা লিখিত  ‘পুরাকীর্তির আলোকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানবসংস্কৃতির ধারা’ নামক একটি স্মারক গ্রন্থ। প্রকাশিত হয় তথাগত সেন ও রাজীব বনু সম্পাদিত গবেষণামূলক পুরাতত্ত্ব বিষয়ক পত্রিকা ‘রক্তমৃত্তিকা’র তৃতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যা।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ভাবে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। বাদ যায় না আঞ্চলিক ইতিহাসও। তবে পুরাতত্ত্ববিদ কৃষ্ণকালী মণ্ডল ছিলেন এই বিষয়ে ভীষণ সচেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। তাঁর পথ অনুসরণ করে চলেছে বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র। 

রবিবার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। প্রধান বক্তা ছিলেন ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী। উপস্থিত শ্রোতাদের জন্য ছিল বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্বও। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব প্রেমী বেশ কিছু মানুষ, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী অনুপ মতিলাল, শ্রী গৌতম বসুমল্লিক, শ্রী অমিতাভ কারকুন, শ্রী সুতনু ঘোষ, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক তথাগত সেন ও সম্পাদক রাজীব বনু জানান, বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের এবারের আয়োজন সফল। এবার থেকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুরাতত্ত্বে।

AIMIM: বিধানসভার আগে বাংলায় মজবুত হচ্ছে মিম, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন দল থেকে ৭০০ জন ওয়েইসির দলে

এই দিনকাল: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। ভোটের ময়দানে জমি প্রস্তুত করতে ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই আবহে পিছিয়ে নেই ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিনের দল মিম (AIMIM)। বাংলায় সংগঠন মজবুত করতে ও জনভিত্তি বাড়াতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে রবিবার প্রকাশ্য জনসভা করল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। আর এই জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রায় ৭০০ জন কর্মী যোগ দিলেন মিম পার্টিতে।

রবিবার জয়নগরের বাংলার মোড়ে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। এছাড়াও ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সুজাউদ্দিন মণ্ডল, দক্ষিণ জোনের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন কাসেমি। অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের রাজ্য সভাপতি এদিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন।  জয়নগরের অনুন্নয়ন নিয়ে তিনি শাসকদলকে নিশানা করেন। এ ছাড়া বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলেন ইমরান সোলাঙ্কি। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে গিয়ে মার খাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি বলে, রোহিঙ্গা বলে বাঙালিদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাঙালিরা দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওড়িশার মতো ভিন রাজ্যে গিয়ে রাজমিস্ত্রী, জরির কাজ করেন। বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন মিমের কর্মী সমর্থকরা সমাবেশে যোগ দেন। বাংলায় এত রাজনৈতিক দল থাকতে কেন মিমের পতাকা কাঁধে তুলে নিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সমাবেশে আসা মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের কোর কমিটির নেতা সাহিদ হোসেন মোল্লা ‘এই দিনকাল’কে বলেন, ‘ভারতবর্ষের নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অবহেলিত, দলিত, আদিবাসী, ওবিসিদের জন্য যিনি সংসদে আওয়াজ তুলছেন সেই আসাদ উদ্দিন ওয়েইসির হাত শক্ত করার জন্য মিমে যোগ দিয়েছি। শুধু তাই নয় ওয়াকফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাও আমরা দেখেছি।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে মিমের উত্থান বিপাকে ফেলতে পারে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোট হাত ছাড়া হতে পারে জোড়াফুল শিবিরের।

AI: চাকরি খাচ্ছে এআই, ১২০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে টাটা 

এই দিনকাল: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) এর দৌলতে এবার চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ১২২০০ কর্মী। ভারতের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ২০২৬ আর্থিকবর্ষে (এপ্রিল ২০২৫ থেকে মার্চ ২০২৬) কর্মী সংখ্যা দুই শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করছে। এর ফলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাঝারি এবং উচ্চপদস্থ কর্মীরা বেকার হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।

টিসিএস এআই এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে সংস্থার কর্মী ছাঁটাই এক প্রকার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেই কারণে সংস্থাটির প্রায় ১২২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর সিইও কে কৃত্তিবাসন এই পদক্ষেপকে ‘সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এবং অপারেটিং মডেলের পরিবর্তনের কথা বলে আসছি। কাজের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত এবং চটপটে হতে হবে। আমরা এআই ব্যবহার করছি এবং ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা মূল্যায়ন করছি। সহযোগীদের ক্যারিয়ারের সমৃদ্ধি এবং সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেক কিছু করেছি।’

কে কৃত্তিবাসন আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, আমরা দেখতে পাচ্ছি এখানে অনেক ভূমিকা রয়েছে যেখানে পুনর্মোতায়েন কার্যকর হয়নি। এটি আমাদের বিশ্বব্যাপী কর্মীবাহিনীর প্রায় দুই শতাংশকে প্রভাবিত করবে, প্রাথমিকভাবে মাঝারি এবং সিনিয়র স্তরে। এটি একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না এবং সিইও হিসেবে আমার নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি ছিল।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর কর্মী সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৩ হাজার।

Ranitidine: অম্বলের এই বিশেষ ওষুধে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান থাকার আশঙ্কা, তদন্তের নির্দেশ কেন্দ্রের

এই দিনকাল: অম্বলের জন্য ব্যবহৃত হওয়া ওষুধ রেনিটিডিনে (Ranitidine) ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদান কারসিনোজেন থাকতে পারে, এমনটাই আশঙ্কা সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্যান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গানাইজেশন বা সিডিএসসিও-এর। আর তাই সমস্ত রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের ওষুধ নিয়ামক সংস্থাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে রেনটিডিন প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি যেন ওষুধে নাইট্রোসোডাইমিথাইলঅ্যামাইন বা এনডিএমএ লেভেলের উপর নজর রাখে। পাশাপাশি, সতর্কতামূলক পদক্ষেপ হিসেবে শেলফ লাইফ কমানোর পরামর্শও দিয়েছে সিডিএসসিও।

ড্রাগস টেকনিক্যাল অ্যাডভাইজরি বোর্ড বা ডিটিএবি- এর ৯২তম বৈঠক হয়েছিল গত ২৮ এপ্রিল। সেই বৈঠকে গৃহীত সুপারিশের পর ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই), ডক্টর রাজীব সিং রঘুবংশী এই পদক্ষেপ নিয়েছেন। রেনিটিডিনে অশুদ্ধতা সংক্রান্ত আশঙ্কা খতিয়ে দেখতে গত বছরের ডিসেম্বরে একটি বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠন করেছিল বোর্ড। সেই কমিটির তরফে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়। এর পর সংশ্লিষ্ট রিপোর্টটি পর্যালোচনা করে ডিটিএবি। তার ভিত্তিতে, এনডিএমএ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে এমন স্টোরেজ পরিস্থিতি-সহ বিষয়টির সমস্ত দিক পরীক্ষা করার জন্য একটি বৃহত্তর কমিটি গঠনের পরামর্শ দিয়েছে ডিটিএবি।

এছাড়াও, বোর্ডের তরফে সুপারিশ করা হয়েছে এনডিএমএ-এর উপস্থিতির ভিত্তিতে রেনিটিডিনের দীর্ঘমেয়াদী নিরাপত্তা মূল্যায়ন করার জন্য ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিকেল রিসার্চ একটি গবেষণা-কর্ম চালাবে। প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিকে এখন ঝুঁকি-ভিত্তিক ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে, যেমন শেলফ লাইফ কমানো, স্টোরেজ পদ্ধতিতে পরিবর্তন করা এবং তাদের সরবরাহ ক্ষেত্রে এনডিএমএ পরীক্ষার প্রোটোকল বাড়ানো। দিল্লি এইমসের অনকোলজিস্ট ডক্টর অভিষেক শঙ্কর এ বিষয়ে বলেন, ‘ইন্টারন্যাশনাল এজেন্সি ফর রিসার্চ অন ক্যান্সার বা আইএআরসি-এর তথ্য অনুসারে, রেনিটিডিন গ্রুপ ২এ কার্সিনোজেন বিভাগে পড়ে, যার অর্থ এটি একটি সম্ভাব্য হিউম্যান কারসিনোজেন। ফ্যামোটিডিন এবং প্যান্টোপ্রাজলের মতো নিরাপদ বিকল্প ওষুধ থাকার পরেও এটি প্রেসক্রাইব করা উচিত নয়।’

Mamata Banerjee: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালির উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠলেন মমতা

এই দিনকাল: বাঙালিদের উপর অত্যাচার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বেড়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আর এগুলি ঘটছে মূলত অসম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশার মত বিজেপি-শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে। বাঙালিদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা কিংবা জোর করে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আগেই এই নিপীড়নের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ বার এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী।

শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন এবং নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বহু-দেশীয় এনজিও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এখন বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকার কর্তৃক ভারতের বাংলাভাষী মানুষদের হয়রানি, নিপীড়ন এবং অবৈধভাবে নির্বাসনের বিষয়টি তুলে ধরেছে। মানবাধিকার সংগঠনটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যা আমরা বলে আসছি: বিজেপি সরকার কর্তৃক বাংলাভাষী ভারতীয়দের বিভিন্ন বর্ণ এবং সম্প্রদায় নির্বিশেষে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এশিয়া পরিচালক এলেন পিয়ারসন বলেছেন, বিজেপি নির্বিচারে ভারতীয় নাগরিক-সহ বাঙালিদের দেশ থেকে বের করে দিয়ে বৈষম্যকে উস্কে দিচ্ছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে যে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসম, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা এবং দিল্লিতে এটি ঘটছে। লজ্জার বিষয়!! এখন, এমনকি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিও ভারতে ভাষাগত সন্ত্রাসবাদের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত!!’

Rape: ওড়িশায় দুই ভাই মিলে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ! কুকর্ম ঢাকতে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা

এই দিনকাল: দুই ভাই মিলে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ (Rape)। আর তার জেরে নির্যাতিতা কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তাকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলায়। ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের নাম ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস। বনশবারা গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় টুলু নামের তৃতীয় আরেক সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগ, দুই ভাই ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস দীর্ঘ দিন ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছে। নির্যাতিতা কিশোরী এক সময় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। যখন সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী তখন নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে নির্যাতিতাকে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয় সে জন্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগানোরও কথা বলে তারা। ওই নাবালিকাকে অভিযুক্তরা ডেকে পাঠায় একটি জায়গায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পর দেখা যায় অভিযুক্তরা একটি খাদ খনন করে রেখেছে। গর্ভপাত না করালে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুই ভাই।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বুঝতে পেরে এর পর নির্যাতিতা কোনও রকমে অভিযুক্তের হাত থেকে পালিয়ে আসে। গোটা ঘটনার কথা তার বাবাকে জানায়। মেয়ের মুখে পাশবিক অত্যাচারের কথা শুনে নির্যাতিতার বাবা কুজং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জেলা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়। পাশাপাশি দু জনকে গ্রেফতারও করেন তদন্তকারীরা। 

School Building Collapse: রাজস্থানের ঝালাওয়ারে ভেঙে পড়ল স্কুলের ছাদ, মৃত্যু ৪ শিশুর, আহত ১৭

এই দিনকাল: স্কুলের ভবন ভেঙে (school building collapse) পড়ে মর্মান্তিক বিপর্যয় রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলায়। শুক্রবার সকালে একটি সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল চার শিশুর, এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্তবার সকালে ঝালাওয়ার জেলার মনোহরথানা ব্লকের পিপলোদি সরকারি স্কুলে শিশুরা সকালে প্রার্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই সময় আচমকা ভবনটি ভেঙে পড়ে। ঝালাওয়ারের পুলিশ সুপার অমিত কুমার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ জন আহত হয়েছে। দশ শিশুকে ঝালাওয়ারে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষক এবং স্থানীয়দের সহায়তায় ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলওয়ার জানিয়েছেন, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মদন দিলওয়ার বলেন, ‘ঝালাওয়ারের পিপলোদি গ্রামে একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে যেখানে একটি স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়েছে। আমি জেলাশাসক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি চিকিৎসার জন্য সকল ধরণের ব্যবস্থা করার। জেলাশাসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা কেন ঘটল তা জানতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত করা হবে।’ ঝালাওয়ারের মানহোরেথানা থানার আধিকারিক নন্দকিশোর বলেন, গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে এমন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ছয় জনকে এসআরজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Mohan Bhagwat: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ঘোচাতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভাগবত

এই দিনকাল: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে এবং পরস্পরকে জানার চেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বৃহস্পতিবার দিল্লির হরিয়ানা ভবনে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান-সহ বর্ষীয়ান মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ভাগবত।

ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন এর তরফে সংগঠনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অন্য দিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘও অক্টোবরে ১০০ বছর পূর্ণ করেছে। ইমাম সংগঠনের প্রধান এদিন আরও বলেন, উভয় পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে আরও এই ধরনের বৈঠক আয়োজন করা হবে। তাঁর কথায়, ‘বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে মন্দির ও মসজিদ, ইমাম ও পূজারী, গুরুকুল ও মাদ্রাসার মধ্যে আলোচনা শুরু করা উচিত। আমরা এখন এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বৈঠকে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা, ঘৃণার অবসান ঘটানো এবং খোলা আলোচনার মাধ্যমে আস্থা বৃদ্ধির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। সংলাপই প্রতিটি সমস্যার সমাধান। উপাসনা বা বর্ণের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, আমাদের জাতি সর্বোচ্চ।’ এ ছাড়া তিনি এটিকে একটি ‘যুগান্তকারী বৈঠক’ বলে অভিহিত করেন।

৬০ জনেরও বেশি মুসলিম ধর্মীয় নেতা, বুদ্ধিজীবী, মাওলানা এবং পণ্ডিতরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আরএসএসের জাতীয় প্রচার ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘এটি সমাজের সকল শ্রেণীর সঙ্গে বিস্তৃত সংলাপের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। মূল উদ্দেশ্য হল কী ভাবে দেশের স্বার্থে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারে। আজকের আলোচনাও ইতিবাচক ছিল।’