Author Archives: Ei Dinkal

RSS: ছোটদের মনে ‘হিন্দুত্ববাদী’ চেতনার চাষ? দিল্লির স্কুলে পড়ানো হবে আরএসএস-এর ইতিহাস

এই দিনকাল: ছোট ছোট পড়ুয়াদের মনে এ বার গেরুয়া ইতিহাসের থাবা! দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ানো হবে আরএসএস (RSS) এর কাজকর্ম ও ইতিহাস। ‘হিন্দু বীর’ হিসেবে পরিচিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং বীর সাভারকরদের সম্পর্কে পাঠদান করা হবে। শেখানো হবে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জীবনীও।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী আশীষ সুদ জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাগরিক ও সামাজিক চেতনা জাগ্রত করার জন্য এবং মৌলিক কর্তব্যগুলিকে কেন্দ্রবিন্দুতে আনার জন্য ‘রাষ্ট্রনীতি’ কর্মসূচির আওতায় আরএসএস-এর অধ্যায় যুক্ত করা হচ্ছে।’ কোর্সের অংশ হিসেবে, পড়ুয়াদের শিখতে হবে আরএসএসের উৎপত্তি ও ইতিহাস; এর মতাদর্শ। যদিও ইতিমধ্যে বিরোধীরা সরব হয়েছে, শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে বলে। যদিও প্রশাসনের দাবি, প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা, নীতিশাস্ত্র পরিচালনা এবং জাতীয় গর্ব প্রচারের জন্য অধ্যায়টি তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার আরএসএসের প্রতিষ্ঠা করেন। সঙ্ঘের সেই ইতিহাস তুলে ধরা হবে। বিজেপির ‘মেন্টর’ আরএসএস এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীও। তাঁদের কথাও থাকবে পাঠ্যসূচিতে। এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, সঙ্ঘের সম্পর্কে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তা দূর করতে এই পদক্ষেপ।

Child Death: রাজস্থানে সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ওষুধ খেয়ে মৃত্যু শিশুর

এই দিনকাল: রাজস্থানে (Rajasthan) মর্মান্তিক ঘটনা! সে রাজ্যের সরকারের সরবরাহ করা বিনামূল্যের কাশির সিরাপ খেয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ল পাঁচ বছরের এক শিশু (Child Death)। ঘটনাটি ঘটেছে সিকার জেলার খোরি ব্রাহ্মণন গ্রামে। 

জানা গিয়েছে, মৃত শিশুর নাম নিতীশ। বেশ কিছু দিন ধরে সর্দি-কাশিতে ভুগছিল সে। ছেলে যাতে সুস্থ হয়ে ওঠে সেই উদ্দেশে তার মা স্থানীয় চিরানা সিএইচসিতে গিয়ে ওষুধ নিয়ে আসেন। সরকারের তরফে বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হয় এই কেন্দ্র থেকে। অভিযোগ, কাশির ওষুধ খাওয়ার পর নিতীশের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।স্থানীয়দের দাবি, কাশির সিরাপ খেয়ে এই প্রথম বিপদ নয়, এর আগে ওই সিরাপ খেয়ে অজিতগড় এলাকায় দুই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে এএসআই রোহিতাস কুমার জাঙ্গিদ জানান, মুকেশ শর্মার ছেলে নিতীশকে চিরানা সিএইচসি থেকে কাশির ওষুধ দেওয়া হয়েছিল রবিবার সন্ধ্যায়। রাতে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। সোমবার সকালে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তার মৃত্যু হয়। চিকিৎসক রঞ্জিত বেন্দা শিশুটির মৃত্যু নিয়ে বলেন, পরিবার শিশুটিকে অচৈতন্য অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে এসেছিল। নিয়ে আসার পর তাকে মৃত বলে ঘোষণা করা হয়।

উল্লেখ্য, এই একই সিরাপের কারণে সম্প্রতি ভরতপুর জেলার বায়ানায় তিন বছর বয়সী এক শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। অভিযোগ ওঠে সরকারি ওষুধ খেয়ে ওই শিশু অসুস্থ হয়ে পড়ে। এর পর সিএইচসি-র দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক প্রতিক্রিয়া পরীক্ষা করার জন্য নিজে ওই সিরাপ খান এবং দুই অ্যাম্বুলেন্স চালকও ওই ওষুধ গ্রহণ করে। তাঁরাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কাশির সিরাপ খেয়ে এমন অঘটনের পর, ভরতপুর জেলা জুড়ে একই ব্যাচের ওষুধ বিতরণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

Rahul Gandhi: ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’: বিজেপি নেতার হুমকির পর শাহকে চিঠি লিখল কংগ্রেস

এই দিনকাল: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) খুনের হুমকি দেওয়ার পর সোমবার বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। সম্প্রতি কেরল বিজেপির মুখপাত্র প্রিন্টু মহাদেব (Printu Mahadev) রাহুলকে নিশানা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এক টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’। এই মন্তব্যের পর ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Home Minister Amit Shah) চিঠি দিল হাত শিবির।

কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। এটি কোনও অযৌক্তিক মন্তব্য বা অতিরঞ্জন নয়। ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর পাশে দাঁড়ানো একজন নেতার জন্য এটি একটি ঠান্ডা এবং পরিকল্পিত খুনের হুমকি।’ এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এটি কি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর, ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের’ অংশ? পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘বিজেপি কি অপরাধমূলক ভয় দেখানো, হিংসা এমনকি মৃত্যুর হুমকির রাজনীতি সমর্থন করে?’

নিউজ ১৮ মালায়ালম চ্যানেলের বিতর্ক সভায়, বিজেপির প্রিন্টু মহাদেব মালায়ালম ভাষায় বক্তব্য রাখেন। যার একটি ক্লিপ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল শেয়ার করেছেন। যেখানে প্রিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের (সরকারের) সঙ্গে ছিল না। এখানে, ভারতে, জনগণ নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে আছে। অতএব, যদি রাহুল গান্ধী এমন ইচ্ছা বা স্বপ্ন নিয়ে বের হন, তাহলে রাহুল গান্ধীর বুকেও একটি গুলি লাগবে।’ 

ভেনুগোপাল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মতবিরোধ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব সরাসরি টিভিতে তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের খুনের হুমকি দিচ্ছেন। অবশ্যই, আরএসএস-বিজেপির মতাদর্শের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীজির তীব্র লড়াই তাদের বিচলিত করেছে।’

এই হুমকিকে ‘শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার’ বলে অভিহিত করে হাত শিবির জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ‘এটি ‘স্লিপ অফ টাং’ নয়, বা অসাবধানতামূলক অতিরঞ্জনও নয়। এটি বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে একটি শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার খুনের হুমকি।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে এর আগে রাহুল গান্ধীকে সমাজ মাধ্যমে যে সমস্ত হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সে সব বিষয়ে। যার মধ্যে কিছু হুমকির সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। এ ছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে রাজীব গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার কথা।

চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে এবং দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়েছে, যদি অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে হিংসায় বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।

অন্য দিকে, রাহুলকে খুনের হুমকি দেওয়ায় সোমবার পুলিশ প্রিন্টু মহাদেবনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক শ্রীকুমার সিসি-এর অভিযোগের ভিত্তিতে পেরামঙ্গলম পুলিশ এই এফআইআর দায়ের করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার – ধারা ১৯২, ধারা ৩৫৩ এবং ধারা ৩৫১(২) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Bhagat Singh: ‘তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস শহিদ ভগৎ সিং’: ‘মন কি বাতে’ স্মরণ মোদীর

এই দিনকাল: বিপ্লবী ভগৎ সিং (Bhagat Singh) এর জন্মদিন পরবর্তী সময়ে তাঁকে স্মরণ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। রবিবার মোদীর ১২৬ তম মন কি বাত অনুষ্ঠানের সম্প্রচার ছিল। এদিন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নিজের অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামীকে স্মরণ করেন। তিনি জানান, শহিদ ভগৎ সিং দেশের তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রবিবআর বলেন, ‘অমর শহীদ ভগৎ সিং প্রত্যেক ভারতবাসী বিশেষ করে দেশের তরুণদের জন্য প্রেরণার উৎস। তাঁর চরিত্রের প্রতিটি দিক ভরা ছিল নির্ভীকতায়। দেশের জন্য ফাঁসির দড়ি পরার আগে ভগৎ সিং ইংরেজদের একটি চিঠিও লেখেন। উনি বলেন, আমি চাই যে আমি এবং আমার বন্ধুদের সঙ্গে আপনারা যুদ্ধবন্দীদের মত ব্যববহার করুন। এই কারণে ফাঁসিতে নয়, আমাদের গুলি করে হত্যা করা হোক। এটা তাঁর অদম্য সাহসের নিদর্শন। ভগৎ সিংজী মানুষের কষ্টের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল ছিলেন এবং তাদের সাহায্য করার ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে থাকতেন। আমি শহিদ ভগৎ সিংজীকে সম্মানের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন করছি।’

উল্লেখ্য, ১৯০৭ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর লায়ালপুর জেলার (বর্তমানে পাকিস্তানে) বঙ্গা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ভগৎ সিং। তিনি কিষাণ সিং এবং বিদ্যাবতীর দ্বিতীয় পুত্র। ভগৎ সিং শৈশব থেকেই পরিবারের দেশপ্রেমের চেতনায় উদ্বুদ্ধ ছিলেন। তিনি যখন জন্ম গ্রহণ করেন, তখন তাঁর বাবা জেলে ছিলেন। মূলত, খাল উপনিবেশ বিল আন্দোলনের (Canal Colonization Bill agitation) সঙ্গে জড়িত থাকার জন্য কারাগারে ছিলেন কিষাণ সিং। এই আন্দোলনের নেতৃত্বে ছিলেন ভগৎ সিং-এর কাকা অজিত সিং। ১৯৩১ সালে ২৩ মার্চ ভগৎ সিং, রাজগুরু এবং শুকদেবকে ফাঁসিতে ঝুলিয়েছিল ব্রিটিশ সরকার। লাহোর সেন্ট্রাল জেলে ফাঁসির মঞ্চে নিয়ে যাওয়ার সময় তিন যুবকের মধ্যে কোনও অনুশোচনা বা ভয় ছিল না, বরং তারা আনন্দের সঙ্গে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করেছিলেন। তাঁদের কন্ঠে ছিল, ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ স্লোগান।

Muslim: যোগীরাজ্যে ৭ বছরের মুসলিম শিশুকে নৃশংস খুন, গ্রেফতার দুই প্রতিবেশী

এই দিনকাল: এক মুসলিম (Muslim) শিশুকে নৃশংস ভাবে খুন করার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের সিধারি শহরে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দু জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোন উদ্দেশে নাবালককে খুন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত শিশুর নাম শাহজেব। ৭ বছর বয়সী শিশুটি বুধবার টিউশন ক্লাসে পড়তে যায়। তার পর থেকে নিখোঁজ সে। শেষ বার তাকে দেখা গিয়েছে শৈলেন্দ্র কুমার নিগম ওরফে মান্টু নামের এক অভিযুক্তের সঙ্গে। পুলিশ জানতে পেরেছে, শিশুটিকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মান্টু। সে যখন খেলছিল তখন তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার হদিশ না মেলায় বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবার সিধারি থানায় একটি নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২) ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পাঠানি টোলায় প্রতিবেশীর বাড়ির গেটের সামনে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেটির ভেতরে ছেলেটির বিকৃত দেহ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার সিদ্ধার্থ ও মুবারকপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে ইটোরার ডেন্টাল কলেজের কাছ থেকে শৈলেন্দ্র কুমার নিগম এবং রাজা নিগম নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পালানোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুজন। অভিযোগ, তারা দুজনেই পুলিশ আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি চাল্য। তার জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই অভিযুক্তই জখম হয়েছে বলে খবর।

শৈলেন্দ্র কুমার নিগমের কাছ থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, দুটি তাজা কার্তুজ এবং দুটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি আরেক অভিযুক্ত রাজা নিগমের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি তাজা কার্তুজ এবং একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, শৈলেন্দ্র কুমার নিগমের সঙ্গে হার্ডওয়্যারের দোকান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরনো শত্রুতা ছিল। তার জেরে ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে, পুলিশ এই নৃশংস হত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে। নিহত শিশুটির বাবার দাবি, নিগমের পরিবারের সঙ্গে তারা সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল।

I Love Muhammad: ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে জমায়েত থেকে উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশে, লাঠিচার্জ পুলিশের

এই দিনকাল: ‘আই লাভ মহম্মদ’ (I Love Muhammad) স্লোগানের সমর্থনে জমায়েত ঘিরে উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে। শুক্রবার নামাজের পর এই স্লোগানের সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, সেই জমায়েত থেকে পাথর ছোঁড়া হয়। এর পর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল, এদিনের ঘটনা সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।

স্থানীয় ধর্মগুরু ও ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান মাওলানা তৌকির রাজা ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার নামাজের পর বেরিলির ইসলামিয়া মাঠে বিশাল জনতা জড়ো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরে ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানো একটি তাঁবু সরিয়ে ফেলার পর ৯ জনের নামে এবং ১৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সেই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও ব্যক্তি।

জুম্মার নামাজের পর, বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়। সেই বিক্ষোভ থেকে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। যারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে, সেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বরেলির স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। বরেলির ইন্সপেক্টর জেনারেল অজয় ​​সাহনি বিষয়টি নিয়ে জানান, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ ফ্ল্যাগ মার্চ করছিল এবং লোকজনকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছিল। পরে, জনতার মধ্যে থেকে কেউ কেউ পাথর ছোঁড়ে এবং গুলি চালায়। কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।’ 

অন্য দিকে পুলিশের লাঠিচার্জকে নিন্দা জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, লাঠিচার্জ সরকারের দুর্বলতার লক্ষণ। তাঁর কথায়, ‘সরকার লাঠিচার্জ নয়, সম্প্রীতি ও সদিচ্ছার সঙ্গে কাজ করে। অত্যন্ত নিন্দনীয়!’

কেন ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগান ঘিরে বিতর্ক? শুরুটা কী ভাবে হল?

গত ৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ঈদ-এ-মিলাদ-উন-নবী মিছিলের সময় পথের ধারে একটি তাঁবুতে ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানো নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠীগুলির তরফে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মিশ্র সংস্কৃতির পাড়ায় লাগানো হয়েছে, যেখানে কিনা ঐতিহ্যগতভাবে রাম নবমীর মতো হিন্দু উৎসব পালন করা হয়।

গোটা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন উভয় সম্প্রদায় একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ করে। হিন্দু পক্ষের অভিযোগ, তাদের পোস্টার নষ্ট করা হয়েছে। অন্য দিকে, মুসলিম পক্ষ দাবি করে শুধুমাত্র নবী মহম্মদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এই ঘটনার পর শীঘ্রই, সমাজ মাধ্যমে #ILoveMuhammad হ্যাশট্যাগটি ব্যাপকভাবে ট্রেন্ডিং হয়।

ঐতিহ্যবাহী তাঁবুটি সরিয়ে নতুন জায়গায় বসানোর কথা উল্লেখ করে কানপুর পুলিশ গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাস্তায় তাঁবু বসানোর কারণে এফআইআরটি করা হয়েছে, পোস্টারের বিরুদ্ধে নয়।হায়দরাবাদের সাংসদ এবং আইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কেউ বলে, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’, তাহলে সমস্যা কী? ‘ভালবাসা’ লেখায় সমস্যা কোথায়? এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিকে কী বার্তা দিতে চান? ‘আমি মহাদেবকে ভালোবাসি’ লিখলে সমস্যা কোথায়? এটা করা উচিত, এটা তাদের বিশ্বাস।’ প্রসঙ্গত, ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মিছিল ও জমায়েত হচ্ছে, সেই আবহে বারাণসীতে একটি পাল্টা প্রচারণা শুরু হয়। যেখানে হিন্দু পক্ষের ধর্মীয় নেতারা ‘আই লাভ মহাদেব’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামেন।

Interfaith Relationship: ভিন ধর্মে প্রেম, যোগীরাজ্যে মুসলিম যুবককে ডেকে নিয়ে গিয়ে খুন

এই দিনকাল: ভিন ধর্মের তরুণীর সঙ্গে প্রেম (Interfaith Relationship)। আর তার জেরে উত্তরপ্রদেশের লখনউয়ের সাদাতগঞ্জে খুন হতে হল এক যুবককে। অভিযোগ, সোমবার রাতে ‘বিয়ের বিষয় নিয়ে আলোচনা’র জন্য ওই যুবককে ডেকে পাঠিয়েছিলেন তরুণীর ভাই। তার পর তাঁকে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত যুবকের নাম আলি আব্বাস। তিনি যে তরুণীর সঙ্গে সম্পর্কে ছিলেন তিনি ভিন্ন সম্প্রদায়ের। ফলে তরুণীর পরিবার তাঁদের সম্পর্ক মেনে নেয়নি। অভিযোগ, ওই তরুণী আলি আব্বাসকে তাঁর বাড়িতে ডেকেছিলেন। সেখানে তাঁর ভাই এবং ভাইয়ের বন্ধুরা মিলে আলিকে মারধর করে।

ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (লখনউ) বিশ্বজিৎ শ্রীবাস্তব জানিয়েছেন, খুনের ঘটনায় ইতিমধ্যে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, ধৃতরা হলেন মহিলার ভাই হিমালয় প্রজাপতি (২৭) এবং তাঁর দুই প্রতিবেশী ও বন্ধু সৌরভ (২৪) এবং সোনু কুমার (৩০)। সাদাতগঞ্জ থানার অফিসার সন্তোষ কুমার আর্য বিষয়টি নিয়ে বলেন, অভিযুক্তদের আদালতে তোলা হয়। বিচারক তাঁদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়েছেন। অন্য দিকে উত্তেজনা নিয়ন্ত্রণে আনতে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানিয়েছে নিরাপত্তা বাহিনী। 

পুলিশ আরও জানতে পেরেছে, আলি ডেলিভারি ম্যান হিসেবে কাজ করতেন। সোমবার গভীর রাতে পুলিশ খবর পায়, সাদাতগঞ্জের লাকরমান্ডি হাটা এলাকায় এক যুবককে লাঠি দিয়ে আক্রমণ করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় একটি দল। রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা আলিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে কয়েক মিনিটের মধ্যেই তাঁর মৃত্যু হয়।

AIMIM: ‘বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৬টি আসনে লড়ার সুযোগ দিলে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেব’: ওয়েইসি

এই দিনকাল: বিহারে ‘বিজেপিকে সাহায্য করার’ অভিযোগ ওঠে তাঁর দলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে এ বার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন আইমিম (AIMIM) -এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বুধবার তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলে মিম ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেবে।

প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মুসলিম জনসংখ্যার উত্তর বিহারের কিষাণগঞ্জে তিন দিনের ‘সীমাঞ্চল ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওয়েইসি বলেন, ‘আমার দলের বিহার ইউনিটের প্রধান বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবকে একাধিক চিঠি লিখেছেন। শেষ চিঠিতে, ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার নির্বাচনে আইমিমকে ছয়টি আসন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বল এখন ইন্ডিয়া জোটের কোর্টে। বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে যাতে না আসে, সেকারণে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে যাবে কে আসলে পদ্ম শিবিরকে সাহায্য করছে।’

উল্লেখ্য, বিহারে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আইমিম ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। যার মধ্যে পাঁচটিতে জয়লাভ করেছিল। যদিও, বিহার ইউনিটের সভাপতি আখতারুল ইমান ছাড়া, আইমিম-এর টিকিটে নির্বাচিত সকল বিধায়ক নির্বাচনের দুই বছর পর আরজেডি-তে যোগ দিয়েছিলেন।

Kolkata Rain: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৯ জনের

এই দিনকাল: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি। সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে মহানগর কলকাতা কার্যত জলের তলায়। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সড়ক পথ থেকে রেলপথ—- যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। জলমগ্ন কলকাতায় স্তব্ধ জনজীবন। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে কম করে ৯ জনের।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, গত তিন সপ্তাহে অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ১৭৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ ২৪৭.৪ মিলিমিটার। গত ৩৯ বছর পর এক দিনে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হল কলকাতা শহরে। প্রসঙ্গত, যখন ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হয় তখন সেই অবস্থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা হয়। কলকাতায় রাত ৩টে থেকে ভোর ৪টের মধ্যে, এক ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আর ২ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টি হলে একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যেত।

অন্য দিকে, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে কলকাতার নেতাজিনগরে। এই এলাকায় ভোরে সাইকেলে নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন ফল বিক্রেতা বাবু কুণ্ডু। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই প্রাণ হারান। কালিকাপুর মোড়ে মৃত্যু হয় একই ভাবে এক ব্যক্তির। বালিগঞ্জ প্লেস, ইকবালপুরের হোসেন শাহ রোড, বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। আর এই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঠগড়ায় তুলেছেন বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে। মৃত্যুর দায় তাদের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকি বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা যাতে নিহতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেয়, তার দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সিইএসসি-র বক্তব্য, ‘রাস্তার আলোর খুঁটি এবং ট্র্যাফিক লাইটগুলি আমাদের মালিকানাধীন, রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিচালনার বিষয় নয়। এগুলি নিয়ে আমরা কাজ করি না।’ 

উল্লেখ্য, সোমবারের পর মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

Israel-Gaza War: প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যে দেশগুলি, ভারত কবে দিয়েছে?

এই দিনকাল: (Israel-Gaza War) প্যালেস্টাইনকে রবিবার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। এরপর একই পথে হেঁটেছে পর্তুগালও। এই আবহে চর্চায় রয়েছে ফ্রান্স। খুব শীঘ্রই দেশটি প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। তার আগে গত ২০ মার্চ মেক্সিকো প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫১টি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

২০২৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পর্তুগাল, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো।

২০২৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, জ্যামাইকা, বার্বাডোজ।

২০১৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস।

২০১৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কলম্বিয়া।

২০১৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট লুসিয়া, হলি সি।

২০১৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সুইডেন।

২০১৩ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

হাইতি, গুয়াতেমালা।

২০১২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

থাইল্যান্ড।

২০১১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইসল্যান্ড, ব্রাজিল, গ্রেনাডা, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ডমিনিকা, বেলিজ, সেন্ট ভিনসেন্ট, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া, লেসোথো, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম, পেরু, গায়ানা, চিলি।

২০১০ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইকুয়েডর, বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা।

২০০৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ভেনেজুয়েলা।

২০০৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইভরি কোস্ট, লেবানন, কোস্টারিকা।

২০০৬ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মন্টেনেগ্রো।

২০০৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পূর্ব তিমুর।

১৯৯৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মালাউয়ি।

১৯৯৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কিরগিজস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাপুয়া নিউগিনি।

১৯৯৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান।

১৯৯২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান।

১৯৯১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইসওয়াতিনি

১৯৮৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ফিলিপাইন, ভানুয়াতু, বেনিন, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা।

১৯৮৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বাংলাদেশ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ভুটান, বুরুন্ডি, বতসোয়ানা, নেপাল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, পোল্যান্ড, ওমান, গ্যাবন, সাও তোমে অ্যান্ড প্রিন্সেপ, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা, লাওস, চাদ, ঘানা, টোগো, জিম্বাবুয়ে, মালদ্বীপ, বুলগেরিয়া, কেপ ভার্দে, উত্তর কোরিয়া, নাইজার, রোমানিয়া, তানজানিয়া, হাঙ্গেরি, মঙ্গোলিয়া, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কমোরোস, গিনি, মালি, গিনি বিসাউ, চীন, বেলারুশ, নামিবিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম।

একই বছর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, গাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, সিশেলস, স্লোভাকিয়া, শ্রীলঙ্কা, আলবেনিয়া, ব্রুনেই, জিবুতি, মরিশাস, সুদান, আফগানিস্তান, কিউবা, জর্ডান, মাদাগাস্কার, নিকারাগুয়া, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সার্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাম্বিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, ইয়েমেন, মরক্কো, ইরান।

উল্লেখ্য, জি-৭-গোষ্ঠীর সদস্যভুক্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন ও কানাডা।

প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

১৯৮৮ সালে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেওয়ার পর প্রথম যে দেশগুলি স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালেই নয়াদিল্লি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে, ১৯৭৪ সালে, ভারত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে প্যালেস্টাইনবাসীর একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

প্যালেস্টাইন সমস্যার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের উপর জাতিসঙ্ঘে উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলন হতে চলেছে। ভারত সেই সম্মেলনে অংশ নিতে চলেছে বলে খবর। সোমবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই সম্মেলনে এখনও পর্যন্ত ১২৩টি দেশ এবং সংস্থা স্বাক্ষর করেছে। এই অনুষ্ঠানে যৌথ ভাবে সভাপতিত্ব করবে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইজরায়েল। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। প্যালেস্টাইনে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে।