Tag Archives: BJP

SIR: এসআইআর নিয়ে ডাকা সর্বদল বৈঠকে প্রশ্নের মুখে কমিশন

এই দিনকাল: ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে। সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এসআইআর এর নির্ঘন্ট ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল। কলকাতায় কমিশনের রাজ্য দফতরে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন।

রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। কমিশনকে বিঁধে তিনি বলেন, এসআইআর নিয়ে প্রচুর মানুষ আতঙ্কিত। অনেকে আত্মহত্যা করছেন। এই মৃত্যুর দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এসআইআর এনআরসি-র পূর্বপরিকল্পিত। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বৈঠকে ছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বাংলার এক জন বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ গেলেই প্রতিবাদ করবে তৃণমূল। 

সর্বদল বৈঠকে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, এসআইআর এর ক্ষেত্রে কমিশন থেকে যে নথিগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি নাগরিকত্বের প্রমাণ, এটা কী ভাবে বলা হচ্ছে? নাগরিকত্ব ঠিক করার অধিকার কমিশনকে কে দিয়েছে? এদিনের বৈঠকে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল ও বামেদের তরফে প্রশ্ন তোলা হলেও বিজেপির তরফে কমিশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘এসআইআর আজ থেকে চালু হয়েছে। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএলও প্রশিক্ষণ হবে। প্রত্যেক ভোটারের একটি কিউআর কোড হবে। ওটা নিয়ে ফর্ম প্রিন্টিং হবে। এর পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সোমবার মধ্যরাতে ভোটার তালিকা ফ্রিজ হয়েছে। ওই সময়সীমা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯ জন।

Namaz: পুনের দুর্গে নামাজ পড়ায় গোমূত্র দিয়ে ‘শুদ্ধিকরণ’ বিজেপি সাংসদের

এই দিনকাল: পুনের শনিওয়ার ওয়াড়া (Shaniwar Wada) দুর্গে নামাজ (Namaz) পড়েছিলেন কয়েক জন মহিলা। আর তার পর গোমূত্র দিয়ে ঐতিহাসিক ওই স্থানকে ‘শুদ্ধ’ করলেন বিজেপি সাংসদ। রবিবার পদ্ম শিবিরের রাজ্যসভার সাংসদ মেধা কুলকার্নির (Rajya Sabha MP Medha Kulkarni) নেতৃত্বে দলের কর্মীরা ওই দুর্গে ‘শুদ্ধিকরণ’ অভিযান চালান।

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশ, বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জেপি নাড্ডাকে ট্যাগ করে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কুলকার্নি লিখেছেন, ‘শনিওয়ারওয়াড়া একটি ঐতিহাসিক জায়গা। এটি আমাদের বিজয়ের প্রতীক, যেখান থেকে মারাঠা সাম্রাজ্য অ্যাটক থেকে কটক পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছিল। কেউ যদি এখানে এসে নামাজ পড়ে, আমরা তা সহ্য করব না।’ তিনি আরও বলেন, ‘শনিওয়ারওয়াড়া একটি এএসআই (ASI) দ্বারা সুরক্ষিত ঐতিহাসিক স্মৃতিস্তম্ভ। এটি ছত্রপতি শিবাজি মহারাজের প্রতিষ্ঠা করা হিন্দবিশ্বরাজ্যের প্রতীক। আমরা কাউকে এখানে নামাজ পড়ার অনুমতি দিতে পারি না। এটি কোনও মসজিদ নয়।’

উল্লেখ্য, শনিওয়ার ওয়াড়া দুর্গে কয়েক জন মুসলিম মহিলার নামাজ পড়ার একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে শনিবার ভাইরাল হয়। যার পরে বিজেপি এবং বেশ কয়েকটি উগ্র ডানপন্থী সংগঠন এর নিন্দা জানায়। গোটা ঘটনায় রাজনৈতিক শোরগোল তৈরি হয়েছে। পদ্ম শিবিরের বিরুদ্ধ সরব হয়েছে অজিত পাওয়ার এনসিপি। দলের মুখপাত্র রূপালি পাতিল থোম্ব্রে বিজেপি সাংসদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার জন্য পুলিশের কাছে দাবি তুলেছেন। রূপালির অভিযোগ, ‘সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উস্কে দেওয়ার’ চেষ্টা করছেন মেধা। তাঁর আরও সংযোজন, ‘যখন উভয় সম্প্রদায় পুনেতে সম্প্রীতির সঙ্গে বসবাস করছেন, মেধা তখন হিন্দু-মুসলিম করছেন। শনিওয়ার ওয়াড়া সমস্ত পুনেবাসীর, কোনও একটি গোষ্ঠী বা ধর্মের সম্পত্তি নয়।’ অন্য দিকে, দুর্গে নামাজ পড়ায় অজ্ঞাত পরিচয় মহিলাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ জানিয়েছেন এএসআই-এর এক আধিকারিক। পাশাপাশি দুর্গে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন তদন্তকারীরা।

Bihar Assembly Election: বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল এনডিএ, বিজেপি এবং জেডিইউ লড়বে ১০১টি করে আসনে

এই দিনকাল: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) আর এক মাসও বাকি নেই। গত ৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করার পর রাজনীতির ময়দানে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। এই আবহে রবিবার চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় পৌঁছল ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ কথা জানিয়েছেন। 

এনডিএ এর আসন সমঝোতার মধ্যে সামিল রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। লোক জনশক্তি পার্টি ২৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) আসন্ন নির্বাচনে ছয়টি করে আসনে লড়াই করবে। গত বছর হরিয়ানায় বিজেপিকে টানা তৃতীয় জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রধান। বিহারের নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই রাজনীতিবিদ বলেন, বিহারের এনডিএ জোটের সদস্যরা আসন বণ্টনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘এনডিএ জোটের সদস্যরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে। এনডিএ দলের সকল কর্মী এবং নেতারা এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিহার প্রস্তুত এবং আবারও এনডিএ সরকার তৈরি হবে।’

প্রধানের এই ঘোষণা আপাতত এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছিল তার অবসান ঘটিয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন এইচএএম এবং আরএলএম-এর মধ্যে আসন বণ্টন সংক্রান্ত সংঘাতের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। আরএলএম বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুমকি দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু দফায় হবে নির্বাচন। আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফা এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর।

Mallikarjun Kharge: ‘দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি সংবিধানের জন্য হুমকি’, আরএসএস-বিজেপিকে বিঁধে বললেন খাড়গে

এই দিনকাল: দেশে মহিলা, দলিত, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধির জন্য বিজেপি (BJP) ও সঙ্ঘপরিবারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা বিজেপি এবং দলটির মেন্টর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য উল্লেখ করে খাড়গে লেখেন, দলিতদের বিরুদ্ধে অপরাধ ৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে একই সময়ে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯১%। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, সমাজের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংস ও বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশিত সামন্ততান্ত্রিক ও বর্ণবাদী মানসিকতাকে বিজেপি সক্রিয় করছে এবং বৈধতা দিচ্ছে।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে দলিত ব্যক্তি হরিওম বাল্মীকিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের উপর জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা হয়েছে, হরিয়ানার এক জন দলিত আইপিএস অফিসার মানসিক হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এই সমস্ত ঘটনার কথা খাড়গে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ‘এগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়’। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘এগুলি আরএসএস-বিজেপির সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতার একটি বিপজ্জনক প্রকাশ এবং সংবিধান, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের নীতির উপর সরাসরি আঘাত।’

দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণী, সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে দমন করার লক্ষ্যে ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতিতে শাসক দল লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন খাড়গে। তিনি বলেন, এই ধরনের রাজনীতি ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য মারাত্মক হুমকি। তাঁর কথায়, ‘ভারত সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হবে, কোনও চরমপন্থী মতাদর্শের ডিক্রি দ্বারা নয়।’

Congress: মোদীর রাজ্যে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগান নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে কংগ্রেস

এই দিনকাল: ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে নির্বাচনী অস্ত্র করে এ বার বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে গুজরাট কংগ্রেস (Congress)। সেই সঙ্গে এই প্রচারণার সমর্থনে পাঁচ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে হাত শিবির। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী দেশব্যাপী নির্বাচনী জালিয়াতির বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের পর গুজরাট কংগ্রেস ৩ অক্টোবর থেকে রাজ্যব্যাপী ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচারণা শুরু করতে চলেছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে বড় ঝড় বইতে চলেছে। কংগ্রেস এই অভিযোগকে একটি গণ রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। লোকসভা, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন রাহুল গান্ধী। এ বার, গুজরাট কংগ্রেস এই বিষয়টিকে সরাসরি সুরাটের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, কংগ্রেস সুরাট থেকে রাজকোট, আহমেদাবাদ থেকে ভদোদরা, এবং সমগ্র গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানে ভর করে রাজ্যব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবে। ভোট চুরি বন্ধ করতে এবং ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করার দাবিতে মানুষের স্বাক্ষর চাইবেন তাঁরা। 

বুধবার আহমেদাবাদে এক সাংবাদিক বৈঠকে গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাভড়া বলেন, ‘গণতন্ত্রে, প্রতিটি নাগরিকের ভোটের সমান মূল্য, সে প্রধানমন্ত্রী হোন, রাষ্ট্রপতি হোন বা সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিজেপির শাসনকালে, একসময়ের স্বশাসিত নির্বাচন কমিশন, পুতুলে পরিণত হয়েছে। গুজরাট কংগ্রেস ইতিমধ্যেই মাত্র একটি নির্বাচনী এলাকায় ৩০,০০০ ভুয়ো এবং নকল নাম প্রকাশ করেছে।’ তাঁর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে রাহুল গান্ধীর সতর্কীকরণ বাগাড়ম্বর নয়, বাস্তবতা। অমিতের আরও সংযোজন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে, আমরা গুজরাটে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ প্রচারণা শুরু করছি। ৩ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে, আমরা সারা দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করব। ভোট চোরদের প্রকাশ্যে আনতে এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে আমরা প্রতিটি নাগরিককে এই লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

এই আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে সুরাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে বরাছা বেল্ট, যেখানে একসময় বিজেপির আধিপত্য ছিল, বর্তমানে আপের শক্ত ঘাঁটি। এখানে আক্রমণাত্মক প্রচার চালিয়ে কংগ্রেস কেবল বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে না, শহরাঞ্চলীয় সুরাটে আপের ক্রমবর্ধমান ভিত্তিকেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর, ভোটার জালিয়াতির উপর চারটি প্রশ্ন সম্বলিত বিশেষ পুস্তিকা তৈরি করেছে হাত শিবির। ভোটারদের সেগুলির উত্তরে টিক দিতে হবে এবং তারপর প্রচারণার সমর্থনে স্বাক্ষর করতে হবে।

Rahul Gandhi: ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’: বিজেপি নেতার হুমকির পর শাহকে চিঠি লিখল কংগ্রেস

এই দিনকাল: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) খুনের হুমকি দেওয়ার পর সোমবার বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। সম্প্রতি কেরল বিজেপির মুখপাত্র প্রিন্টু মহাদেব (Printu Mahadev) রাহুলকে নিশানা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এক টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’। এই মন্তব্যের পর ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Home Minister Amit Shah) চিঠি দিল হাত শিবির।

কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। এটি কোনও অযৌক্তিক মন্তব্য বা অতিরঞ্জন নয়। ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর পাশে দাঁড়ানো একজন নেতার জন্য এটি একটি ঠান্ডা এবং পরিকল্পিত খুনের হুমকি।’ এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এটি কি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর, ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের’ অংশ? পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘বিজেপি কি অপরাধমূলক ভয় দেখানো, হিংসা এমনকি মৃত্যুর হুমকির রাজনীতি সমর্থন করে?’

নিউজ ১৮ মালায়ালম চ্যানেলের বিতর্ক সভায়, বিজেপির প্রিন্টু মহাদেব মালায়ালম ভাষায় বক্তব্য রাখেন। যার একটি ক্লিপ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল শেয়ার করেছেন। যেখানে প্রিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের (সরকারের) সঙ্গে ছিল না। এখানে, ভারতে, জনগণ নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে আছে। অতএব, যদি রাহুল গান্ধী এমন ইচ্ছা বা স্বপ্ন নিয়ে বের হন, তাহলে রাহুল গান্ধীর বুকেও একটি গুলি লাগবে।’ 

ভেনুগোপাল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মতবিরোধ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব সরাসরি টিভিতে তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের খুনের হুমকি দিচ্ছেন। অবশ্যই, আরএসএস-বিজেপির মতাদর্শের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীজির তীব্র লড়াই তাদের বিচলিত করেছে।’

এই হুমকিকে ‘শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার’ বলে অভিহিত করে হাত শিবির জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ‘এটি ‘স্লিপ অফ টাং’ নয়, বা অসাবধানতামূলক অতিরঞ্জনও নয়। এটি বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে একটি শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার খুনের হুমকি।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে এর আগে রাহুল গান্ধীকে সমাজ মাধ্যমে যে সমস্ত হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সে সব বিষয়ে। যার মধ্যে কিছু হুমকির সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। এ ছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে রাজীব গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার কথা।

চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে এবং দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়েছে, যদি অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে হিংসায় বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।

অন্য দিকে, রাহুলকে খুনের হুমকি দেওয়ায় সোমবার পুলিশ প্রিন্টু মহাদেবনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক শ্রীকুমার সিসি-এর অভিযোগের ভিত্তিতে পেরামঙ্গলম পুলিশ এই এফআইআর দায়ের করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার – ধারা ১৯২, ধারা ৩৫৩ এবং ধারা ৩৫১(২) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Muslim: ‘মুসলিম-মুক্ত ভারত স্বপ্ন’: অসম বিজেপির এআই ভিডিও প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া ওয়েইসির

এই দিনকাল: সমাজ মাধ্যমে অসম বিজেপির (BJP) তরফে মুসলিম (Muslim) বিদ্বেষে পূর্ণ এআই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, পদ্ম শিবির মুসলিমদের অপমান করতে এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণা উস্কে দিতে এ কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আইমিম প্রধান তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

ঠিক কী অভিযোগ? নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রকাশ করেছে অসম বিজেপি। ‘বিজেপি ছাড়া অসম’ শিরোনামের ভিডিওটিতে রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মুসলমানদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখানো হয়েছে। যারা কিনা সরকারি জমি দখল করছে বলে দাবি বিজেপির। ভিডিওটিতে একটি ক্লিপ রয়েছে যেখানে কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ এবং রাহুল গান্ধীকে দেখানো হয়েছে কংগ্রেস দলের পাকিস্তান যোগ রয়েছে দাবি করে।

এই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নেটাগরিকরা। তাঁদের প্রশ্ন অসমে মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে কি এটা করা হয়েছে? কংগ্রেস নেতা মনসুর খান এটিকে ‘সামাজিক সম্প্রীতির উপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ এবং অংশীদারি মূল্যবোধের অপমান’ বলে অভিহিত করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক ঘৃণা উস্কে দেওয়ার জন্য অসমকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে দেখিয়ে একটি ভুয়ো, এআই-ভিত্তিক ভিডিও ছড়িয়ে রাজনৈতিক প্রচারণার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে অসম বিজেপি। এটি সামাজিক সম্প্রীতির উপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ, আমাদের অংশীদারি মূল্যবোধের অপমান। অসমের মানুষ এই বিষাক্ত প্রচারণার সঠিক জবাব দেবে।’

আইমিম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ভিডিওটির নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বিজেপির স্বপ্ন মুসলিম মুক্ত ভারত।’ তাঁর কথায়, ‘বিজেপি না থাকলে অসম মুসলিম প্রধান হবে এমন একটি জঘন্য এআই ভিডিও পোস্ট করেছে অসম বিজেপি। তারা কেবল ভোটের জন্য ভয় দেখাচ্ছে না, এটিই প্রকৃত রূপে ঘৃণ্য হিন্দুত্ববাদী আদর্শ। ভারতে মুসলমানদের অস্তিত্বই তাদের কাছে একটি সমস্যা, তাদের স্বপ্ন মুসলিম-মুক্ত ভারত। এই ক্রমাগত ঘ্যানঘ্যানানি ছাড়া, ভারতের জন্য তাদের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি নেই।’

Manipur: মোদীর সফরের আগে মণিপুরে ৪০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী-সদস্যের দলত্যাগ

এই দিনকাল: আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মণিপুর (Manipur) সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে সে রাজ্যের উখরুল জেলার ফুঙ্গিয়ারে অন্তত ৪৩ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক দলত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে এই ঘটনা পদ্ম শিবিরের কাছে ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

এক বিবৃতিতে বিজেপি-ত্যাগী কর্মী সমর্থকরা বলেছেন, ‘দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ তাঁরা। সেই সঙ্গে নীচুতলার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব’ তাঁদেরকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দল এবং আদর্শের প্রতি আমাদের আনুগত্য সর্বদা অটল। আমাদের সমাজ এবং মণিপুরের জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ নাগা-অধ্যুষিত জেলার ফুঙ্গিয়ার মণ্ডল থেকে যারা পদত্যাগ করেছেন সেই তালিকায় রয়েছেন মণ্ডল সভাপতি, মহিলা, যুব এবং কিষাণ মোর্চার প্রধান এবং নির্বাচনী এলাকার বুথ সভাপতিরা।

পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায়, বিজেপির মণিপুর প্রদেশের সহ-সভাপতি আউং শিমরে হোপিংসন বলেছেন, এই পদক্ষেপ ‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা।’ তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই ফুঙ্গিয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মণ্ডল এবং বুথ-স্তরের কার্যকর্তারা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ… বিজেপি নীচুতলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে দলের শক্তি জোরদার করছে।’ তিনি আরও বলেন, পদত্যাগের এই ঘটনা কয়েক জন ব্যক্তির ব্যক্তিগত হতাশা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার স্পষ্ট প্রতিফলন। এই পদক্ষেপ ফুঙ্গিয়ার নির্বাচনী এলাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থার প্রকৃত ছবি তুলে ধরে না।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার পর মণিপুরে এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম সফর হতে চলেছে। হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুরে কম করে ২৬০ জনের মৃত্যু এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন। অশান্ত মণিপুর সফরে না যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তীব্র সমালোচনা করেছিল বিরোধীরা।

Mahua Moitra: অমিত শাহর মাথাটা কেটে…’, বেলাগাম মন্তব্য মহুয়ার

এই দিনকাল: বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের সংবাদের শিরোনামে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) নিয়ে বেনজির মন্তব্য করলেন তিনি। সৌজন্য ও শালীনতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। 

ঠিক কী বলেছেন মহুয়া মৈত্র? বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘যেটা ভারতের সীমান্ত আছে, বাহিনী সেটা রক্ষার দায়িত্বে আছে। সরাসরি সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব। সেটা সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্ট, তিনি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে বলছিলেন যে, অনুপ্রবেশকারী, অনুপ্রবেশকারী, ভারতে আমাদের জনবিন্যাস, সেটা নাকি বদলে যাচ্ছে। ডেমোগ্রাফিক একটা চেঞ্জ হচ্ছে। এসব বলছিলেন। তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, প্রথম সারিতে তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে হেঁ হেঁ করে হেসে তিনি হাততালি দিচ্ছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করছি, যদি ভারতের সীমান্ত আমাদের রক্ষা করার কেউ নেই, যদি অন্য দেশের মানুষরা রোজ শয়ে শয়ে, লাখে লাখে, কোটি কোটিতে ঢুকে যাচ্ছে, যে আমাদের মা, বোনদের উপর চোখ দিচ্ছে, আমাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে, তোমার প্রথমেই তো অমিত শাহর মাথাটা কেটে তোমার টেবিলে দেওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অমিত শাহকে বেলাগাম আক্রমণ করেন মহুয়া।

তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় পদ্ম শিবিরের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর হওয়ার কথা। তার আগে রাজনীতির ময়দানে সুর চড়াতে শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে। অন্য দিকে বিজেপির প্রচারে অস্ত্র করা হয়েছে অনুপ্রবেশ ইস্যুকে।

Mohan Bhagwat: ‘একসঙ্গে মিলেমিশে চলাই হিন্দুত্ব’, বার্তা ভাগবতের, শুভেন্দু শুনবেন?

এই দিনকাল: বিভেদ নয়, সম্প্রীতিই হিন্দুত্বের মূল সুর। এমনটাই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন ভাগবত। যখন একাধিক রাজ্যে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ ক্রমশ মাথাচড়া দিচ্ছে, সেই আবহে আরএসএস প্রধানের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই বিভাজনকারীদের দলে নাম লিখিয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিজেকে ‘হিন্দুদের বিধায়ক’ বলে দাবি করেছিলেন। কী ভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এমন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

‘আরএসএসের ১০০ বছরের যাত্রা: নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় মোহন ভাগবত এদিন বলেন, ‘মুসলিমরা আল্লাহ, নবী এবং কোরানে বিশ্বাস করে। হিন্দুরা বিশ্বাস করে ঈশ্বর, বেদ এবং অনেক দেবদেবীর উপর। পৃথিবীতে অসংখ্য পথ রয়েছে – কিছু দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছায়, কিছু ধীরে ধীরে।’ তিনি বলেন, ‘হিন্দু’ নামটি ব্যবহার করলে সেই সঙ্গে দেশের প্রতি দায়িত্বও পালন করতে হবে। ভাগবত বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, সমস্ত পথই বৈধ। নিজের পথে বিশ্বাস রাখো, অন্যের পথকে সম্মান করো, এবং সেগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করো না। একসঙ্গে মিলেমিশে চলো – এটাই হিন্দু পথের মূল বাণী।’ 

অন্য দিকে ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘আমি শুভেন্দু অধিকারী। আমি সবার বিধায়ক নই। আমাকে হিন্দুরা এমএলএ করেছে। আমি হিন্দুদের বিধায়ক। হিন্দুদের হিতে কাজ করি।’ প্রসঙ্গত বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী যে রাজনৈতিক দলের সদস্য, সেই বিজেপি সঙ্ঘ পরিবারের মতাদর্শ অনুসরণ করে, এটি সর্বজনবিদিত। সমালোচকদের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী কি সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের চেয়ে বড় হিন্দু? যেখানে হিন্দু রাষ্ট্র প্রসঙ্গে ভাগবতের উচ্চারণ, ‘একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের বিষয় নয়। এই ‘রাষ্ট্রে’ সকলের সঙ্গে ন্যায়বিচার এবং সমতার সঙ্গে আচরণ করা হয়। ‘রাষ্ট্র’ মানে এই নয় যে আমরা কাউকে বাদ দিচ্ছি, এটি সর্বদা অন্তর্ভুক্তিমূলক।’ কিন্তু শুভেন্দু কি শুনবেন?