এই দিনকাল: গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় গো হত্যাকারী সন্দেহে সাত মুসলিম (Muslim) ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জালনা জেলায়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের একটি দল কাঠ দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে ওই ব্যক্তিদের। আক্রান্তদের দাবি, ৬ অক্টোবর, সোমবার, ২১টি ষাঁড় নিয়ে তাঁরা লাতুরে যাচ্ছিলেন, তখন এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।
আক্রান্তদের নাম নিসার প্যাটেল, আসিফ শেখ, রিয়াজ কুরেশি, সাজিদ পাশা, আসিফ সাদিক, জাভেদ কুরেশি এবং সৈয়দ পারভেজ। নিসার প্যাটেলের দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, তাঁরা ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলার ওয়াদোদ বাজার থেকে বৈধ ভাবে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলত কৃষিকাজের জন্য তাঁরা প্রাণীগুলিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন।
অভিযোগ, জালনা তহসিলের লোন্ডেওয়াড়ি গ্রামের কাছে তাঁদের দুটি গাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০ জন অচেনা হামলাকারী তাঁদের উপর আক্রমণ করে।প্যাটেল বলেন, ‘আমরা তাঁদের সমস্ত নথি দেখিয়েছিলাম, ষাঁড়গুলি কৃষিকাজের জন্য আনা হচ্ছিল, কিন্তু হামলাকারীরা আমাদের গো হত্যার অভিযোগ এনে নির্মমভাবে মারধর শুরু করে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ আসার পরেও হামলাকারীরা তাঁদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। সংবাদ মাধ্যমকে প্যাটেল বলেন, ‘পুলিশ কীভাবে ‘অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করতে পারে যখন তাঁদের সামনেই আমাদেরকে আক্রমণ করা হয়েছিল?’ তিনি আরও বলেন, পুলিশ আধিকারিকরা প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রিপোর্ট দায়ের করার আগে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে আক্রান্তদের আটকে রেখেছিল পুলিশ। অন্য দিকে প্যাটেলের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ঘটনাটি ‘অভ্যন্তরীণ দলীয় বিরোধ’। এক ঊর্ধ্বতন কর্তা এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’