Manipur: মোদীর সফরের আগে মণিপুরে ৪০ জনের বেশি বিজেপি কর্মী-সদস্যের দলত্যাগ

এই দিনকাল: আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মণিপুর (Manipur) সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। তার আগে সে রাজ্যের উখরুল জেলার ফুঙ্গিয়ারে অন্তত ৪৩ জন বিজেপি কর্মী-সমর্থক দলত্যাগ করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে এই ঘটনা পদ্ম শিবিরের কাছে ধাক্কা বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।

এক বিবৃতিতে বিজেপি-ত্যাগী কর্মী সমর্থকরা বলেছেন, ‘দলের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন’ তাঁরা। সেই সঙ্গে নীচুতলার নেতৃত্বের প্রতি শ্রদ্ধার অভাব’ তাঁদেরকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘দল এবং আদর্শের প্রতি আমাদের আনুগত্য সর্বদা অটল। আমাদের সমাজ এবং মণিপুরের জনগণের কল্যাণে কাজ করার জন্য আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’ নাগা-অধ্যুষিত জেলার ফুঙ্গিয়ার মণ্ডল থেকে যারা পদত্যাগ করেছেন সেই তালিকায় রয়েছেন মণ্ডল সভাপতি, মহিলা, যুব এবং কিষাণ মোর্চার প্রধান এবং নির্বাচনী এলাকার বুথ সভাপতিরা।

পদত্যাগের প্রতিক্রিয়ায়, বিজেপির মণিপুর প্রদেশের সহ-সভাপতি আউং শিমরে হোপিংসন বলেছেন, এই পদক্ষেপ ‘মানুষকে বিভ্রান্ত করার জন্য এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চেষ্টা।’ তিনি এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমি আরও স্পষ্ট করে বলতে চাই ফুঙ্গিয়ার বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি মণ্ডল এবং বুথ-স্তরের কার্যকর্তারা সম্পূর্ণরূপে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ… বিজেপি নীচুতলায় অক্লান্ত পরিশ্রম করে চলেছে, নির্বাচনী এলাকার প্রতিটি গ্রামে দলের শক্তি জোরদার করছে।’ তিনি আরও বলেন, পদত্যাগের এই ঘটনা কয়েক জন ব্যক্তির ব্যক্তিগত হতাশা এবং উচ্চাকাঙ্ক্ষার স্পষ্ট প্রতিফলন। এই পদক্ষেপ ফুঙ্গিয়ার নির্বাচনী এলাকায় দলের সাংগঠনিক অবস্থার প্রকৃত ছবি তুলে ধরে না।

প্রসঙ্গত, ২০২৩ সালের মে মাসে মেইতেই এবং কুকিদের মধ্যে জাতিগত হিংসা শুরু হওয়ার পর মণিপুরে এটি প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম সফর হতে চলেছে। হিংসায় উত্তপ্ত মণিপুরে কম করে ২৬০ জনের মৃত্যু এবং হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়েছিলেন। অশান্ত মণিপুর সফরে না যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রী মোদীকে তীব্র সমালোচনা করেছিল বিরোধীরা।

Tippiri Tirupathi: সিপিআই (মাওবাদী) দলের সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন তেলেঙ্গানার দলিত নেতা টিপ্পিরি তিরুপতি

এই দিনকাল: নিষিদ্ধ ঘোষিত সিপিআই (মাওবাদী) দলের নতুন সাধারণ সম্পাদক হতে পারেন দলিত সমাজ থেকে উঠে আসা তেলেঙ্গানার জাগতিয়াল জেলার টিপ্পিরি তিরুপতি (Tippiri Tirupathi) ওরফে দেবুজী। গত ২১ মে ছত্তিশগড়ে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন নাম্বালা কেশব রাও ওরফে বাসবরাজু। ৬০ ছুঁইছুঁই দেবুজি তাঁর জায়গায় দায়িত্ব নেবেন।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, সিপিআই (মাওবাদী) এর কেন্দ্রীয় কমিটি তাঁদের নতুন প্রধান হিসেবে দেবুজীর নামে সিলমোহর দিয়েছে। দেবুজী পূর্বতন করিমনগর জেলার দ্বিতীয় নেতা যিনি মাওবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক পদে বসতে চলেছেন। প্রথম জন ছিলেন জাগতিয়ালের বীরপুরের বাসিন্দা মুপ্পলা লক্ষ্মণ রাও ওরফে গণপতি, যিনি ২০১৮ সালে বয়স এবং স্বাস্থ্যের কারণে পদত্যাগ করার আগে পর্যন্ত দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন।

দেবুজী জগতিয়াল জেলার কোরুতলা শহরের আম্বেদকর নগরের বাসিন্দা। মাদিগা সমাজের এই নেতা ইন্টারমিডিয়েট স্তর পর্যন্ত পড়াশোনা করে ১৯৮০-এর দশকের গোড়ার দিকে রাজনীতিতে যোগ দেন। কলেজে পড়াকালীন সময়ে সক্রিয় ভাবে ছাত্র রাজনীতি করেন। করিমনগরে এবিভিপি কর্মীদের সঙ্গে সহিংস সংঘর্ষেও জড়িয়ে পড়েন দেবুজী। ১৯৮৩ সালে, তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে সিপিআই-এমএল (পিপলস ওয়ার গ্রুপ)-এ যোগ দেন এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যান এবং মাওবাদী আন্দোলনে চার দশকের দীর্ঘ কর্মজীবন শুরু করেন।

গড়চিরোলিতে একজন দালাম সদস্য হিসেবে যেমন দায়িত্ব পালন করেছেন তিরুপতি ওরফে দেবুজী, তেমনই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এরিয়া এবং বিভাগীয় কমান্ডার হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। পরে দণ্ডকারণ্য জোনে নেতৃত্বের ভূমিকা গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের মধ্যে, সিপিআই (মাওবাদী) এর কেন্দ্রীয় কমিটি এবং সংগঠনের সশস্ত্র শাখার শক্তিশালী কেন্দ্রীয় মিলিটারি কমিশন (সিএমসি) উভয়ের সঙ্গেই যুক্ত হন তিরুপতি। তিনি ২০০৭ সালের ইউনিটি কংগ্রেসেও অংশ নেন। অবদান রাখেন কেন্দ্রীয় টেকনিক্যাল কমিটিতেও।

গেরিলা যুদ্ধে দক্ষ দেবুজী আন্ডারগ্রাউন্ডে থেকে ‘আওয়ামী জং’ নামে প্রকাশনা সম্পাদনা করতেন। এ ছাড়া সিএমসির তরফে নিয়মিতভাবে বিবৃতি জারি করতেন। দেবুজী তেলেগু, হিন্দি এবং গোন্ডি ভাষায় কথা বলতে দক্ষ। তাঁকে শেষবার দেখা গিয়েছিল ছত্তিশগড়ের মাদ অঞ্চলে একে ৪৭-সহ। তাঁর খোঁজে কেউ তথ্য দিতে পারলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে ২৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে নিরাপত্তা সংস্থাগুলি। তিরুপতি ওরফে দেবুজীর পদোন্নতি এমন সময়ে হল যখন কিনা ভারতে মাওবাদী আন্দোলন তীব্র বিপর্যয়ের মুখোমুখি হচ্ছে।

Canning Murder: ক্যানিংয়ে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন: পরিবারের সঙ্গে দেখা করল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস

এই দিনকাল: দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালদিতে (Canning Murder) মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস। বুধবার সংগঠনের সহ সম্পাদক সুভাষ জানা, ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সেরিফ হোসেন পুরকাইত-সহ চার সদস্যের প্রতিনিধিদল নিহত যুবকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। এদিন সংঠনের নেতৃত্ব দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফের শেখ নাজিম উদ্দিন নামের এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, রাতে শেষ ট্রেনে ফেরার সময় ভুল করে তালদিতে নেমে পড়ার পর তাঁকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় একদল মদ্যপ দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই যুবকের মৃত্যু হয়। বুধবার ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সিপিডিআরএস-এর রাজ্য সহ-সম্পাদক সুভাষ জানার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পরিবারে সঙ্গে দেখা করে। 

নিহত শেখ নাজিম উদ্দিনের ছয় বছরের নাবালক ছেলে রয়েছে। পরিবারের তরফে নাজিমের স্ত্রী অভিযোগ করেন, সিসি টিভিতে দোষীদের চিহ্নিত করা গেলেও, পুলিশ সবাইকে এখনও গ্রেফতার করেনি। তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সিপিডিআরএস-এর সহ সম্পাদক সুভাষ জানা এদিন বলেন ‘রাজ্যজুড়ে পিটিয়ে মারার একাধিক ঘটনা ঘটছে। তালদি স্টেশনের মতো জায়গায় এরকম ঘটনা প্রমাণ করে, রাজ্যে নাগরিকের নিরাপত্তা কোথায়! অতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ নাজিমের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সেরিফ হোসেন পুরকাইত বলেন, ‘অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। রাজ্যজুড়ে মদের ঢালাও লাইসেন্স প্রদান অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।’

Nepal: গণবিদ্রোহের মুখে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির, পরবর্তী মুখ কি বলেন্দ্র?

এই দিনকাল: নেপালের (Nepal) বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া সেই বিক্ষোভ মঙ্গলবারও জারি রয়েছে। ইতিমধ্যে অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বাসভবনে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্র যুবদের বিক্ষোভ থেকে প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের সেই দাবি মেনে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন কেপি শর্মা ওলি। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। একাধিক মন্ত্রীর বাসভবনে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাসভবনে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় বাড়ির মধ্যে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকরের।

অন্য দিকে, ওলি ইস্তফা দেওয়ায় নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে চলছে চর্চা। এ ক্ষেত্রে সামনে আসছে বলেন্দ্র শাহের নাম। ৩৫ বছর বয়সী বলেন্দ্র বর্তমানে কাঠমান্ডুর মেয়র। বিক্ষোভকারীদের একাংশ চাইছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসুন বলেন্দ্র। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬১ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে জন্মগ্রহণ করেন বলেন্দ্র। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। এমনকি শিক্ষা লাভের জনক্স ভারতেও আসেন। নেপালে সুরকার হিসাবেও যথেষ্ট জনপ্রিয় বলেন্দ্র। দুর্নীতি এবং আর্থিক বৈষম্য নিয়ে গানে সুরারোপ করেছেন তিনি।

ঠিক কী নিয়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত?

সমাজমাধ্যমের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা ঘিরে বিক্ষোভের সূচনা হলেও এটিই একমাত্র কারণ নয়। বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। দেশে বেকারত্ব, জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ নেপালবাসী। তরুণদের অনেকেই নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে  অসন্তুষ্ট। এই সমস্ত কারণে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে চলমান বিদ্রোহে। যদিও সমাজ মাধ্যম নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেপি শর্মা ওলির সরকার। মূলত সাইবার অপরাধ, ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করেছে নেপালের সরকার। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত আগস্ট মাসেই নেপাল সরকার বিভিন্ন সমাজমাধ্যম সংস্থার রেজিস্ট্রেশন-এর জন্য উদ্যোগী হয়। সরকারের নির্দেশ মেনে টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ এবং পপ্পো লাইভ এর মতো সমাজ মাধ্যম গুলি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে নেয়। তবে কোপ পড়ে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব এর মতো সমাজ মাধ্যমগুলির উপর।

Operation Sindoor:‘অপারেশন সিঁদুরের’ পরেও জম্মুকাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত

এই দিনকাল:গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসী কাঠামো ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তা সত্ত্বেও পাকিস্তান থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। বরং, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে।

গোয়েন্দাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, সন্দেহ করা হচ্ছে গত চার মাসে ৭০ থেকে ৮০ জন জঙ্গি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। উত্তর কাশ্মীরের উরি, কুপওয়ারা, গুরেজ এবং জম্মু বিভাগের সাম্বার হীরানগর এবং সুন্দরবানীতে ঐতিহ্যবাহী রুট দিয়ে এই অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীও এ কথা মেনে নিয়েছেন গত সপ্তাহে। তিনি বলেছিলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্র্ওণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টায় কোনও বিরাম নেই। জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা সত্ত্বেও, অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও অব্যাহত।’ অনুপ্রবেশের এই বৃদ্ধির পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কাজকর্ম জারি রাখার জন্য ইসলামাবাদ জঙ্গিদের ভারতের ভূখণ্ডে ঠেলে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সতর্কতার সঙ্গে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে ভারতের বাহিনী। সে কারণে উপত্যকায় জঙ্গি শিবিরে নিয়োগের হার কমে গিয়েছে।

শীতের মাসগুলিতে ভারী তুষারপাতের ফলে উঁচু পাহাড়ি পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে শীত শুরু হওয়ার আগেই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, এটি জম্মুকাশ্মীরের অভ্যন্তরে জঙ্গিদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য একটি মরসুমি প্রচেষ্টার অংশ। নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহলদারিও বাড়ানো হয়েছে।

Nude Gang: রাস্তায় বেরোলে মহিলাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছে নগ্ন পুরুষেরা, উত্তরপ্রদেশে আতঙ্ক

এই দিনকাল: আতঙ্কের পরিবেশ উত্তরপ্রদেশের মেরঠের দৌরালা গ্রামে। একাকী মহিলারা রাস্তায় বেরোলেই টেনে নিয়ে যাচ্ছে নগ্ন পুরুষের (Nude Gang) দল। এমন ঘটনা এক বার নয়, বার বার ঘটছে। আর তাই ড্রোন উড়িয়ে নগ্ন গ্যাং এর খোঁজ শুরু করেছে পুলিশ।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রাস্তায় মহিলারা যখন একাকী বের হচ্ছেন, সেই সময় সম্পূর্ণ নগ্ন অবস্থায় মহিলার সামনে এসে হাজির হচ্ছে এক বা একাধিক নগ্ন পুরুষ। মুহূর্তের মধ্যে মহিলাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে আশেপাশের কোনও নির্জন জায়গা অথবা ক্ষেতে। বিষয়টি বার বার ঘটায় আতঙ্ক ছড়ায় গ্রামবাসীদের মধ্যে। অবশেষে পুলিশকে গোটা বিষয়টি জানান স্থানীয়রা। অভিযোগ, চার জন মহিলা একই ভাবে হেনস্থার শিকার হয়েছেন।

অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে শুরু করেছে পুলিশ। নগ্ন গ্যাংয়ের খোঁজে গোটা গ্রাম ঘিরে তল্লাশি চালাচ্ছেন তদন্তকারীরা। অভিযুক্তদের খুঁজে বের করতে গ্রামে বসানো হয়েছে সিসিটিভি ক্যামেরাও৷ যদিও এখনও কোনও অভিযুক্তকে পাকড়াও করা সম্ভব হয়নি। নগ্ন গ্যাংয়ের হাতে হেনস্থার শিকার হওয়া এক তরুণী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, তিনি রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন। সেই সময় এক নির্জন জায়গায় তাঁর সামনে আচমকা হাজির হয় দুই নগ্ন পুরুষ। এর তাঁকে  জোর করে টেনে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের ক্ষেতে। কোনওক্রমে তাদের হাত থেকে নিজেকে ছাড়িয়ে পালাতে সক্ষম হন ওই তরুণী। গ্রামের মানুষ সেই ক্ষেত ঘেরাও করে তল্লাশি চালালেও কারও হদিশ মেলেনি। অন্য দিকে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, গোটা বিষয়টি তাঁরা গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে৷

Milad-un-Nabi: নবী দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মোদী, মমতা, রাহুল

এই দিনকাল: গোটা বিশ্বে পালিত হচ্ছে মহানবী হজরত মহম্মদের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে শুক্রবার সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মিলাদ উন নবী উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা। এই পবিত্র দিনটি আমাদের সমাজে শান্তি ও মঙ্গল বয়ে আনুক। করুণা, সেবা এবং ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ সর্বদা আমাদের পথ দেখাক। ঈদ মোবারক!’ 

নবী মহম্মদের জন্মদিন উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘মানবকল্যাণের পথপ্রদর্শক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিবস ‘ঈদ-এ-মিলাদুন-নবী’ উপলক্ষে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ।’

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালনীয় এই বিশেষ দিনে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা সমাজ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,’ঈদ এ মিলাদ উন নবী মুবারক! এই শুভ দিন সকলের জন্য সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’

Oplus_131072

উল্লেখ্য, হিজরি সালের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে এই রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন নবী মহম্মদ। ৬৩ বছর বয়সে ওই মাসের ১২ তারিখেই তিনি আবার প্রয়াত হন। নবী মহম্মদের জন্মদিন ‘ফাতিহায়ে দোয়াজ–দাহম’ বা ঈদ এ মিলাদ উন নবী বা নবী দিবস হিসেবে পরিচিত। ‘ফাতিহায়ে দোয়াজ-দাহম’ শব্দবন্ধটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। ‘ফাতিহা’ অর্থ প্রার্থনা করা আর ‘দোয়াজ-দাহম’ অর্থ বারো। অর্থাৎ ফাতিহায়ে দোয়াজ-দাহম বলতে বারো তারিখের প্রার্থনাকে বোঝায়।

Jadavpur University: স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে দেশের মধ্যে সেরা যাদবপুর, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর


এই দিনকাল:সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বাম রাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত রাজ্যের নামী এই বিশ্ববিদ্যালয় সর্বভারতীয় স্তরে স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে একেবারে শীর্ষ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা র্যা ঙ্কিং তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জনে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব আবারও স্বীকৃতি পেল জেনে আনন্দিত! ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক আজ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যা ঙ্কিং ঘোষণা করেছে, যার নাম ইন্ডিয়া র্যাtঙ্কিং ২০২৫ (এনআইআরএফ)। এই বছর, স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম এবং দেশের সকল বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে। এটিই একমাত্র স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় যা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার শীর্ষ ১০-এ জায়গা পেয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের গর্বিত করার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, পড়ুয়া, গবেষক এবং কর্মচারীদের আমার অভিনন্দন!’ এদিন শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে যে বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে যাদবপুর জায়গা করে নিয়েছে নবম স্থানে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলন ও সমকালীন রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলনে সামিল হন, তেমনই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও রাস্তায় নেমেছে পড়ুয়ারা। আন্দোলনের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও যে এগিয়ে তা দেখিয়ে দিল যাদবপুর।

Modi government: বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিমদের জন্য বড় ঘোষণা মোদী সরকারের

এই দিনকাল: ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বা ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিম ব্যক্তিদের জন্য বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার (Modi government)।এই তিন দেশ থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান যারা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপরোক্ত কারণে ভারতে এসেছেন তাঁদেরকে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়িয়ে দেবে না। বৈধ নথি না থাকলেও তাঁরা শরণার্থীর মর্যাদা পাবেন এ দেশে।

সোমবার অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৪ এপ্রিল কার্যকর হওয়া অভিবাসন এবং বিদেশি আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নিপীড়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। শুধু তাই নয় জোর করে তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। বস্তুত হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে বিজেপি সরকারের নিশানায় পড়েছেন বাঙালিরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী বছর যেহেতু অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উদ্বাস্তু বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে ‘বাঙালি হেনস্থা’ নিয়ে যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা দূর করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। তাঁদেরকে যে ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না সেই আশ্বাস দিতে এই বিজ্ঞপ্তি। ভোটকে সামনে রেখে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও আদতে কার্যক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হয় তা দেখার। 

অন্য দিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেরা শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদার।

Umar Khalid: দিল্লি হিংসা মামলায় জামিন মিলল না উমর, শারজিল-সহ ৯ জনের

এই দিনকাল: রাজধানী দিল্লিতে ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উমর খালিদ (Umar Khalid), শারজিল ইমাম-সহ নয় জনের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। উমর, শারজিল ছাড়াও এই মামলায় যাদের জামিন খারিজ হয়েছে তাঁরা হলেন আতহার খান, খালিদ সাইফি, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রহমান, মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব আহমেদ।

২০২০ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গোটা দেশে প্রতিবাদ হয়েছিল। সে সময় দিল্লিতে বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে। যাতে নাম জড়ায় উমর, শারজিলদের। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন অর্থাৎ ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে দিল্লির করকরডুমা আদালত উমরদের জামিনের আর্জি নাকচ করেছিল এই মামলায়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্তেরা বিচারপতি নবীন চাওলা এবং বিচারপতি শালিন্দর কৌরের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

বস্তুত, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ২০২০ সালে হিংসার ঘটনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০ জনেরও বেশি। ওই বছরেই ১৪ সেপ্টেম্বর উমরকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের দাবি, হিংসার ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন উমর।