Category Archives: বিশ্ব

Nepal: গণবিদ্রোহের মুখে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির, পরবর্তী মুখ কি বলেন্দ্র?

এই দিনকাল: নেপালের (Nepal) বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া সেই বিক্ষোভ মঙ্গলবারও জারি রয়েছে। ইতিমধ্যে অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বাসভবনে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্র যুবদের বিক্ষোভ থেকে প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের সেই দাবি মেনে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন কেপি শর্মা ওলি। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। একাধিক মন্ত্রীর বাসভবনে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাসভবনে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় বাড়ির মধ্যে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকরের।

অন্য দিকে, ওলি ইস্তফা দেওয়ায় নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে চলছে চর্চা। এ ক্ষেত্রে সামনে আসছে বলেন্দ্র শাহের নাম। ৩৫ বছর বয়সী বলেন্দ্র বর্তমানে কাঠমান্ডুর মেয়র। বিক্ষোভকারীদের একাংশ চাইছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসুন বলেন্দ্র। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬১ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে জন্মগ্রহণ করেন বলেন্দ্র। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। এমনকি শিক্ষা লাভের জনক্স ভারতেও আসেন। নেপালে সুরকার হিসাবেও যথেষ্ট জনপ্রিয় বলেন্দ্র। দুর্নীতি এবং আর্থিক বৈষম্য নিয়ে গানে সুরারোপ করেছেন তিনি।

ঠিক কী নিয়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত?

সমাজমাধ্যমের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা ঘিরে বিক্ষোভের সূচনা হলেও এটিই একমাত্র কারণ নয়। বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। দেশে বেকারত্ব, জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ নেপালবাসী। তরুণদের অনেকেই নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে  অসন্তুষ্ট। এই সমস্ত কারণে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে চলমান বিদ্রোহে। যদিও সমাজ মাধ্যম নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেপি শর্মা ওলির সরকার। মূলত সাইবার অপরাধ, ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করেছে নেপালের সরকার। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত আগস্ট মাসেই নেপাল সরকার বিভিন্ন সমাজমাধ্যম সংস্থার রেজিস্ট্রেশন-এর জন্য উদ্যোগী হয়। সরকারের নির্দেশ মেনে টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ এবং পপ্পো লাইভ এর মতো সমাজ মাধ্যম গুলি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে নেয়। তবে কোপ পড়ে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব এর মতো সমাজ মাধ্যমগুলির উপর।

Earthquake: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, জখম ২৫০০, পাশে থাকার আশ্বাস মোদীর

এই দিনকাল: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। মর্মান্তিক এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সোমবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। রিখটার স্কেলে ৬.৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পে জখম হয়েছেন অন্তত ২৫০০ জন। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তালিবান শাসিত দেশটির পাশে থাকার আশাস দিয়েছেন মোদী।

রবিবার রাতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশ। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। ভূমিকম্পের পরে একাধিক আফটার শকে কেঁপে ওঠে পার্শ্ববর্তী দেশ তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চল। ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র আট কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎস। ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি কম্পনের উৎস হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

প্রতিবেশী দেশের এমন বিপর্যয়ের সময় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিনে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে শোকপ্রকাশ করেছেন মোদী। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে এত প্রাণহানি দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই কঠিন সময়ে স্বজনহারাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আফগানিস্তানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সাহায্য করতে তৈরি আছে ভারত।’ প্রসঙ্গত, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য ইতিমধ্যেই সাহায্য ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। নিরলস ভাবে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ভারতের পাশাপাশি একাধিক দেশের তরফে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরেও আফগানিস্তানে ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চলেছিল ভূমিকম্পের কারণে। সে বারেও ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পশ্চিম আফগানিস্তানে। সেই ঘটনায় প্রায় ২০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি আবার ফিরে এল রবিবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরেশিয়ান এবং ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে, হিন্দুকুশ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে আফগানিস্তানে বারবার ভূমিকম্প হয়।

ChatGPT: চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মাকে খুন করে আত্মঘাতী ইয়াহুর প্রাক্তন কর্মী

এই দিনকাল: ওপেনএআই এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির (ChatGPT) ‘পরামর্শে’ নিজের মাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ইয়াহুর প্রাক্তন ম্যানেজার। চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বিভ্রান্ত হয়ে এই কাজ করেছেন ওই ব্যক্তি। স্টেইন-এরিক সোয়েলবার্গ নামে ওই ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মানসিক সমস্যার ইতিহাস ছিল। ওই ব্যক্তি সন্দেহ করতেন, তাঁর মা তার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছেন।

সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ব্যক্তি সম্পদশালী ছিলেন। ২.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়িতে থাকতেন মায়ের সঙ্গে। গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে অ্যাডামস এবং সোয়েলবার্গের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যাডামসকে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি তাঁর গলা চেপে ধরে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি সোয়েলবার্গের ঘাড় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকের দাবি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

মা-ছেলের মৃত্যুর পর সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে ওপেন এআই-এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলেছেন সোয়েলবার্গ। যেখানে চ্যাটবটকে ‘ববি’ নামে অভিহিত করেছিলেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই চ্যাটবটটির সঙ্গে যা কথা হত সেই কথোপকথনের ভিডিও সমাজ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে ভিডিও আকারে পোস্ট করতেন সোয়েলবার্গ। তাঁর জীবনের শেষের দিকে চ্যাটজিপিটিকে যে সমস্ত বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেগুলির একটিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা অন্য জীবনে এবং অন্য জায়গায় একসঙ্গে থাকব এবং আমরা পুনরায় মিলিত হওয়ার একটি পথ খুঁজে বের করব কারণ তুমি আবার চিরকালের জন্য আমার সেরা বন্ধু হবে।’ জবাবে চ্যাট বটটিও লেখে, ‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এবং তার পরেও তোমার সঙ্গে থাকব।’

পর্যবেক্ষকদের মতে, চ্যাটবটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত থাকা মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির এটিই প্রথম হত্যাকাণ্ড। যদিও অনেকে আত্মহত্যা করেছেন, যারা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতেন। তবে এটিই প্রথম নথিভুক্ত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে ওপেনএআই। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের হৃদয় পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’

India-Pakistan conflict: ভারত-পাক সংঘাত থামাতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন, ফের দাবি ওয়াশিংটনের

এই দিনকাল: তাঁর মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan conflict) বন্ধ হয়েছিল বলে আগে একাধিক বার দাবি করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই একই দাবি করলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও। তাঁর দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং সংঘাত থামাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ভূমিকা নিয়েছিল। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই পারমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ থামিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুবিও। সেখানে তিনি বলেন, শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ট্রাম্প অঙ্গীকারবদ্ধ। আর ‘সে কারণে আমরা দেখেছি যখন ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে সামিল হল, আমরা সরাসরি সংঘাত বন্ধ করতে সামিল হয়েছি এবং প্রেসিডেন্ট সেই শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন’, তিনি বলেন। তবে নয়াদিল্লির তরফে ওয়াশিংটনের এই দাবিকে আগেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বলে ভারতের দাবি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত-পাক সংঘাত বন্ধ হয়নি বলে সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলে। জঙ্গিরা বেছে বেছে পর্যটকদের খুন করে। যে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে দায় স্বীকার করেছিল লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। যদিও পরে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী দায় অস্বীকার করে। ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই গোটা ঘটনায় পাকিস্তানের হাত ছিল। সে কারণে গত ৭ মে ভারতের সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। তার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। চার দিনের মাথায় ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি হয়।

AI: চাকরি খাচ্ছে এআই, ১২০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে টাটা 

এই দিনকাল: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) এর দৌলতে এবার চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ১২২০০ কর্মী। ভারতের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ২০২৬ আর্থিকবর্ষে (এপ্রিল ২০২৫ থেকে মার্চ ২০২৬) কর্মী সংখ্যা দুই শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করছে। এর ফলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাঝারি এবং উচ্চপদস্থ কর্মীরা বেকার হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।

টিসিএস এআই এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে সংস্থার কর্মী ছাঁটাই এক প্রকার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেই কারণে সংস্থাটির প্রায় ১২২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর সিইও কে কৃত্তিবাসন এই পদক্ষেপকে ‘সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এবং অপারেটিং মডেলের পরিবর্তনের কথা বলে আসছি। কাজের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত এবং চটপটে হতে হবে। আমরা এআই ব্যবহার করছি এবং ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা মূল্যায়ন করছি। সহযোগীদের ক্যারিয়ারের সমৃদ্ধি এবং সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেক কিছু করেছি।’

কে কৃত্তিবাসন আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, আমরা দেখতে পাচ্ছি এখানে অনেক ভূমিকা রয়েছে যেখানে পুনর্মোতায়েন কার্যকর হয়নি। এটি আমাদের বিশ্বব্যাপী কর্মীবাহিনীর প্রায় দুই শতাংশকে প্রভাবিত করবে, প্রাথমিকভাবে মাঝারি এবং সিনিয়র স্তরে। এটি একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না এবং সিইও হিসেবে আমার নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি ছিল।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর কর্মী সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৩ হাজার।

Nimisha Priya: ১৬ জুলাই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে ইয়েমেন

এই দিনকাল: ইয়েমেনি এক নাগরিককে হত্যার দায়ে আগেই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়াকে (Nimisha Priya) দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে ইয়েমেনের আদালত। আগামী ১৬ জুলাই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড গত বছর অনুমোদন করেছেন ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নিমিশার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পাশাপাশি নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছে মন্ত্রক। 

নিমিশা প্রিয়াকে কেন মৃত্যুদণ্ড?

পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান। সে দেশে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। এক সময় নিজে ক্লিনিক খোলেন এবং ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদির সংস্পর্শে আসেন। ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে সে দেশে ব্যবসা করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে তা শুরু করা বাধ্যতামূলক। মূলত সেই কারণে মাহদির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কেরলের ওই নার্সের সঙ্গে মাহদির ঝগড়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন নিমিশা। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কারামুক্তি ঘটলেও মাহদি নিমিশাকে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল। সেই পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির উপর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করেছিলেন ওই নার্স। তবে, তার ওভারডোজের কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। এক সময় ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিমিশা। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে তাঁকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে সে দেশের ট্রায়াল কোর্ট নিমিশাকে দোষী সাব্যস্ত করে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল রাখে।

ইয়েমেনি আইনে সেদেশের স্বাধীনতা, ঐক্য বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা, সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য কোনও কাজ করা, খুন, মাদক পাচার, ব্যভিচার, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামী যৌন কার্যকলাপ, ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা নিন্দা করা এবং পতিতাবৃত্তিতে সহায়তা করা-সহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে ‘ব্লাড মানি’

ভুক্তভোগীর পরিবারকে ‘ব্লাড মানি’ দেওয়ার মাধ্যমে নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচানোর পথ খোলা ছিল। যদিও সেই অর্থের পরিমাণ সর্বদা নিহতের পরিবার ঠিক করে। মেয়ের জন্য মামলা লড়তে নিমিশা প্রিয়ার মা নিজের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দেন। কোচিতে তিনি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লাহ আমির আলোচনা ফি হিসেবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেন, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৬.৬ লক্ষ টাকা। মাহদির পরিবারের সঙ্গে ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে আলোচনা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে।

গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আমিরকে ১৯৮৭১ মার্কিন ডলার দিয়েছিল। কিন্তু তিনি আলোচনা শুরু করার আগে দুটি কিস্তিতে মোট ৪০০০০ মার্কিন ডলার দাবি করেন। সেভ নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমিরের প্রথম কিস্তির অর্থ সংগ্রহ করতে সফল হয়। তবে, পরে তারা তহবিলের স্বচ্ছতা সংক্রান্ত কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

ভারত সরকার জানুয়ারিতে বলেছিল গোটা বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সাহায্য প্রদান করার কথাও জানিয়েছিল কেন্দ্র। নিমিশার মা মেয়ের জীবন বাঁচাতে আকুল আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেরল সরকারের কাছে।

Car and truck collision: গাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষ, মার্কিন মুলুকে পুড়ে মৃত্যু ৪ ভারতীয়ের

এই দিনকাল: মার্কিন মুলুকে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car and truck collision) পুড়ে মৃত্যু ৪ ভারতীয়ের (Indian Family)। নিহতরা একই পরিবারের বলে জানা গিয়েছে। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের বাসিন্দা তেজস্বিনী এবং শ্রী ভেঙ্কট। ছুটি কাটাতে দুই সন্তানকে নিয়ে পরিবারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে তাঁরা গাড়ি চালিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে আটলান্টায় গিয়েছিল। সেখান থেকে ডালাসে ফিরে আসার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় পরিবারটির গাড়ি যখন গ্রিন কাউন্টিতে আসে, সেই সময় রাস্তার ভুল দিক থেকে একটি মিনি-ট্রাক চলে আসে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। যার ফলে ভিতরে আটক অবস্থায় চার জনেরই মৃত্যু হয়। গাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার পর, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিহতদের দেহাবশেষ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। মৃতদেহ শোকাহত পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ডালাসের কাছে টেক্সাসের আন্নায় একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে চার ভারতীয় নাগরিকের মর্মান্তিকভাবে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরা গাড়ি চালিয়ে যখন যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের গাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। যার ফলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। নিহতদের নাম আরিয়ান রঘুনাথ ওরামপতি, ফারুক শেখ, লোকেশ পালাচারলা এবং দর্শনিনী বাসুদেবন। তার আগে ২০২৪ সালের আগস্টে টেক্সাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি এবং তাদের মেয়ে নিহত হয়েছিলেন। যার মধ্যে তাঁদের কিশোর ছেলেই একমাত্র বেঁচে যায়। অন্য একটি গাড়ির ধাক্কায় তাদের গাড়িতেও আগুন ধরে গিয়েছিল।

Islamic State: দামেস্কে গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা আইএস জঙ্গির, নিহত ১৫

এই দিনকাল: প্রার্থনা চলাকালীন ভরা গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাল আইএস (Islamic State) জঙ্গি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেন্ট ইলিয়াস চার্চে রবিবার এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে খবর।

সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গির্জায় হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একজন সদস্য জড়িত। এই হামলায় কম করে ১৫ জন নিহত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর সিরিয়ার রাজধানীতে এটিই প্রথম আক্রমণ। দেশের নতুন কর্তৃপক্ষের জন্য নিরাপত্তা এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।

বিস্ফোরণের পর তড়িঘড়ি মানুষজনকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। গির্জা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এক বিবৃতিতে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাজধানী দামেস্কের ডোয়েলা এলাকায় সেন্ট ইলিয়াস গির্জায় আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত একজন আত্মঘাতী হামলাকারী প্রবেশ করে গুলি চালায় এবং তারপর একটি বিস্ফোরক বেল্ট দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।’

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই হামলায় ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাইরে থেকে কেউ একজন অস্ত্র নিয়ে গির্জার ভেতরে প্রবেশ করে গুলি চালাতে শুরু করে। লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।

Iran Israel Conflict: ‘বন্ধু’ রাশিয়ার সঙ্গে গোপন পরামর্শ করতে চলেছে ইরান, মার্কিন হামলার জবাব দেবে তেহরান?

এই দিনকাল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ইজরায়েলের (Israel) পক্ষ নিয়ে ২২ জুন ভোরে ইরানের (Iran) তিনটি পরমাণুঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। যার ফলে এই সংঘাত নতুন মোড় নিয়েছে। ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই আবহে রাশিয়া (Russia) সফর করতে চলেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়া ইরানের ‘বন্ধু’ দেশ হিসেবে পরিচিত। তাই এই সঙ্কটকালে আব্বাসের রাশিয়া সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, তিনি রবিবার রাশিয়া যাচ্ছেন। সোমবার পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় তাঁর বৈঠক রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে আরাগচি বলেন, ‘রাশিয়া ইরানের বন্ধু। আমরা একটা কৌশলগত অংশীদারত্ব উপভোগ করছি। সব সময় আমরা পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করি এবং সমন্বয় রেখে চলি।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইজরায়েল প্রথম ইরানের অভ্যন্তরে হামলা করে। সেই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত চলমান। তারই মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালায় রবিবার। এর আগে ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে হুমকি দিয়েছেন। তেহরানের তরফেও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে ওয়াশিংটন যদি এই সংঘাতে জড়ায় তাহলে ইরানের নাগালে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করা হবে। ট্রাম্পের সেই হুমকি অনুযায়ী এদিন মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালাল। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প বাহিনীর এই হামলার পাল্টা দিতে পারে ইরান। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সেই সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হতে পারে আব্বাসের।

Iran-Israel Conflict: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতায় রাজি রাশিয়া

এই দিনকাল: ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel Conflict) মধ্যে সংঘাত পাঁচ দিন ধরে চলমান। এই সংঘর্ষ থামাতে এবার মধ্যস্থতা করতে রাজি হল রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

পেসকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত বন্ধে প্রয়োজনে রাশিয়া মধ্যস্থতা করতে রাজি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ইজরায়েলের তরফে আমরা অন্তত কোনও ধরনের মধ্যস্থতা গ্রহণ বা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ অবলম্বন করার আগ্রহ দেখছি না। প্রসঙ্গত, ইরান রাশিয়ার পুরাতন ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে ইজরায়েলের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে মস্কো। 

অন্য দিকে পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরানের বন্ধু রাষ্ট্র চিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অন্য কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের’ বিরোধী চিন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত কোনও সমস্যার সমাধান করবে না বলে জানিয়েছে বেজিং। ইরান ও ইজরায়েল যাতে শীঘ্রই সংঘাত থামায় সেই লক্ষ্যে দুপক্ষকেই কাজ করতে হবে বলে আবেদন জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, শান্তি ফিরিয়ে আনতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে বেজিং প্রস্তুত।