Category Archives: বিশ্ব

Israel-Gaza War: প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যে দেশগুলি, ভারত কবে দিয়েছে?

এই দিনকাল: (Israel-Gaza War) প্যালেস্টাইনকে রবিবার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। এরপর একই পথে হেঁটেছে পর্তুগালও। এই আবহে চর্চায় রয়েছে ফ্রান্স। খুব শীঘ্রই দেশটি প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। তার আগে গত ২০ মার্চ মেক্সিকো প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫১টি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

২০২৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পর্তুগাল, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো।

২০২৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, জ্যামাইকা, বার্বাডোজ।

২০১৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস।

২০১৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কলম্বিয়া।

২০১৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট লুসিয়া, হলি সি।

২০১৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সুইডেন।

২০১৩ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

হাইতি, গুয়াতেমালা।

২০১২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

থাইল্যান্ড।

২০১১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইসল্যান্ড, ব্রাজিল, গ্রেনাডা, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ডমিনিকা, বেলিজ, সেন্ট ভিনসেন্ট, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া, লেসোথো, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম, পেরু, গায়ানা, চিলি।

২০১০ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইকুয়েডর, বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা।

২০০৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ভেনেজুয়েলা।

২০০৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইভরি কোস্ট, লেবানন, কোস্টারিকা।

২০০৬ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মন্টেনেগ্রো।

২০০৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পূর্ব তিমুর।

১৯৯৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মালাউয়ি।

১৯৯৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কিরগিজস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাপুয়া নিউগিনি।

১৯৯৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান।

১৯৯২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান।

১৯৯১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইসওয়াতিনি

১৯৮৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ফিলিপাইন, ভানুয়াতু, বেনিন, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা।

১৯৮৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বাংলাদেশ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ভুটান, বুরুন্ডি, বতসোয়ানা, নেপাল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, পোল্যান্ড, ওমান, গ্যাবন, সাও তোমে অ্যান্ড প্রিন্সেপ, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা, লাওস, চাদ, ঘানা, টোগো, জিম্বাবুয়ে, মালদ্বীপ, বুলগেরিয়া, কেপ ভার্দে, উত্তর কোরিয়া, নাইজার, রোমানিয়া, তানজানিয়া, হাঙ্গেরি, মঙ্গোলিয়া, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কমোরোস, গিনি, মালি, গিনি বিসাউ, চীন, বেলারুশ, নামিবিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম।

একই বছর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, গাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, সিশেলস, স্লোভাকিয়া, শ্রীলঙ্কা, আলবেনিয়া, ব্রুনেই, জিবুতি, মরিশাস, সুদান, আফগানিস্তান, কিউবা, জর্ডান, মাদাগাস্কার, নিকারাগুয়া, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সার্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাম্বিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, ইয়েমেন, মরক্কো, ইরান।

উল্লেখ্য, জি-৭-গোষ্ঠীর সদস্যভুক্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন ও কানাডা।

প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

১৯৮৮ সালে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেওয়ার পর প্রথম যে দেশগুলি স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালেই নয়াদিল্লি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে, ১৯৭৪ সালে, ভারত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে প্যালেস্টাইনবাসীর একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

প্যালেস্টাইন সমস্যার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের উপর জাতিসঙ্ঘে উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলন হতে চলেছে। ভারত সেই সম্মেলনে অংশ নিতে চলেছে বলে খবর। সোমবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই সম্মেলনে এখনও পর্যন্ত ১২৩টি দেশ এবং সংস্থা স্বাক্ষর করেছে। এই অনুষ্ঠানে যৌথ ভাবে সভাপতিত্ব করবে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইজরায়েল। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। প্যালেস্টাইনে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

Extra Marital Affairs: বিবাহিত কর্মীর প্রেমে হাবুডুবু মালকিন, স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ করার জন্য উপহার দেন ৩,৭১,৮০,৪৪০ টাকা

এই দিনকাল: প্রেমের জাল বিছানো এ ভুবনে কে কখন কাকে মন দিয়ে ফেলেন তা বোঝা দুষ্কর। চিনের এক মহিলা ব্যবসায়ী তাঁর অধস্তন কর্মীর প্রেমে পড়ে বিবাহ বিচ্ছেদ করার জন্য উপহার দেন তিন মিলিয়ন ইউয়ান, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৩ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার বেশি (৩,৭১,৮০,৪৪০)। এই বিপুল অর্থ দেওয়ার উদ্দেশ্য ওই কর্মী যাতে তাঁর স্ত্রীর ভরণপোষণ দিতে পারেন এবং বিবাহ বিচ্ছেদ সহজে সম্পন্ন করতে পারেন।

যদিও এই বিপুল পরিমাণ অর্থ খসিয়ে প্রেমের যাত্রা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। কারণ এক বছর ধরে একসঙ্গে থাকার পর ওই মালকিন তাঁর প্রেমিক ও তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীর কাছ থেকে টাকা ফেরত চান। এমনকি বিষয়টি গড়ায় আদালত পর্যন্ত। দক্ষিণ-পশ্চিম চিনের চংকিং-এর একটি আদালতে প্রথম বিচারে প্রেমিক এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রীকে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেয়। যদিও দ্বিতীয় বিচারে এই মূল রায়কে বাতিল করে দেওয়া হয়।

ঝু নামে পরিচিত ওই মহিলা ব্যবসায়ী চংকিং-এ একটি সংস্থা পরিচালনা করেন। যদিও তিনি কীসের ব্যবসা করেন তা প্রকাশ্যে আনা হয়নি। ঝু-এর চেয়ে বয়সে ছোট হি নামে এক পুরুষ তাঁর সংস্থায় কাজে যোগ দেন।  নতুন জায়গায় কাজে আসার পর থেকে তাঁর প্রতি বিশেষ মনোযোগী হয়ে ওঠেন ঝু। দুজনেই তখন বিবাহিত ছিলেন। কিন্তু উভয়ের মধ্যে শীঘ্রই প্রেমালাপ শুরু হয় এবং তা চলতে থাকে। একদা দুজনেই নিজেদের বিবাহিত স্বামী স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন। যাতে সহজে বিচ্ছেদ হয় সে কারণে ঝু তিন মিলিয়ন ইউয়ান চেন নামের এক মহিলাকে দেন। চেনই হির স্ত্রী। এই অর্থ চেনের ভরণপোষণ এবং সন্তান লালন পালনের উদ্দেশ্যে দেওয়া হয়েছিল। যাইহোক, এক বছর একত্রবাসের পর, ঝু এবং হি আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। তাঁদের উপলব্ধি হয়, একে অপরের জন্য দুজনে উপযুক্ত নন।

পরবর্তীতে, ঝু তিন মিলিয়ন ইউয়ান ফেরত দাবি করে হি এবং তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী চেনকে আদালতে নিয়ে যান। প্রথম বিচারের সময়, আদালত ঝুর পক্ষে রায় দিয়েছিল। হি এবং চেনকে অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারক। এই নির্দেশের বিরোধিতা করে চেন এবং হি উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের করেন। সেখানে বিচারক জানান, ঝু চেনকে যে অর্থ উপহার দিয়েছিলেন তা প্রমাণ করা যায়নি। এই বিপুল অর্থ বিবাহবিচ্ছেদের ক্ষতিপূরণ এবং সন্তান লালন-পালনের খরচের জন্য হির তরফ থেকে চেনকে দেওয়া হয়েছিল বলে পর্যবেক্ষণ আদালতের। আর সে কারণে আদালত জানায় হিকে অর্থ ফেরত দিতে হবে না।

Brazil: ডেঙ্গু রুখতে মশার চাষ করছে ব্রাজিল, সুরক্ষিত থাকবেন ১৪ কোটি মানুষ

এই দিনকাল: ডেঙ্গু (Dengue) রুখতে অভিনব পদক্ষেপ ব্রাজিলের (Brazil)। দেশটির স্বাস্থ্য মন্ত্রকের উদ্যোগে চাষ করা হচ্ছে কোটি কোটি মশা (Mosquitoes)। বিশ্বের সবচেয়ে বড় জৈব কারখানা গড়ে বিশেষ ধরণের মশার চাষ করা হচ্ছে। এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া সংক্রমিত এই মশা আগামী কয়েক বছরে ব্রাজিলে ডেঙ্গুর হাত থেকে প্রায় ১৪ কোটি মানুষকে রক্ষা করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ব্রাজিলের বিশেষ মশা উৎপাদনকারী কারখানার নাম দেওয়া হয়েছে ‘ওলবিতো দো ব্রাজিল’ (Wolbito do Brasil)। দেশটির কুরিতিবা (Curitiba) শহরে গত ১৯ জুলাই আনুষ্ঠানিকভাবে এটি পথচলা শুরু করেছে। বিশ্ব মশা কর্মসূচি, ওসওয়াল্দো ক্রুজ ফাউন্ডেশন (Oswaldo Cruz Foundation) এবং পারানার মলিকুলার বায়োলজি ইনস্টিটিউটের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত হওয়া এই কারখানায় প্রতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১০ কোটি সংক্রমিত মশার ডিম উৎপাদন করা সম্ভব। বিষয়টি নিয়ে কারখানার লুসিয়ানো মোরেইরা নামের এক আধিকারিক বলেন, আমরা প্রতি ছয় মাসে প্রায় ৭০ লক্ষ মানুষকে সুরক্ষা দিতে পারব।

উল্লেখ্য, ডেঙ্গু ভাইরাস ছড়ানোর পিছনে যে মশা দায়ী, সেটি হল এডিস ইজিপ্টাই (Aedes aegypti)। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা হু-এর তথ্য অনুযায়ী, প্রতিবছর কয়েকশো কোটি মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন। শুধু ব্রাজিলে ২০২৪ সালে ডেঙ্গুতে মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ২৯৭ জনের। 

ডেঙ্গু প্রতিরোধে কী ভাবে কাজ করবে এই মশা?

ওলবিতো দো ব্রাজিল কারখানায় যে মশা উৎপাদন করা  হচ্ছে, সেগুলির দেহে ওলবাকিয়া (Wolbachia) নামের এক ধরনের বিশেষ ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ ঘটানো হয়।এই ব্যাকটেরিয়া মশার দেহের মধ্যে থেকে গিয়ে ডেঙ্গুর ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করে। শুধু তাই নয়, জিকা ও চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের সংক্রমণও প্রতিরোধ করে এই ব্যাকটেরিয়া। যখন বিশেষ এই মশাগুলো খোলা পরিবেশে ছেড়ে দেওয়া হয়, তখন তারা স্থানীয় মশাদের সঙ্গে প্রজননে অংশ নেয়। বিশেষ ব্যাকটেরিয়া সমন্বিত মশার সঙ্গে প্রজননের ফলে পতঙ্গের পরবর্তী প্রজন্মও ওলবাকিয়া সংক্রমিত হয়। ফলে ভাইরাসের সংক্রমণ বন্ধ হয়ে যায়। ওলবিতো দো ব্রাজিলের আরেক আধিকারিক আন্তোনিও ব্রান্ডাও বলেন, প্রকৃতিতে ৬০ শতাংশের বেশি পোকামাকড়ের দেহে ইতিমধ্যে এই ব্যাকটেরিয়া রয়েছে। মানবদেহের সঙ্গে এর কোনো খারাপ প্রতিক্রিয়া নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালে ব্রাজিলে প্রথম এই মশার চাষ শুরু করা হয়। প্রথমে আটটি শহরে পরীক্ষামূলকভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হয়েছিল। যার ফলে ৫০ লক্ষের বেশি মানুষ ডেঙ্গুর হাত থেকে রক্ষা পেয়েছেন।

Sushila Karki: বলেন্দ্র নয়, নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি

এই দিনকাল: নেপালের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হিসেবে শপথ নিলেন সে দেশের প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কি (Sushila Karki)। শুক্রবার নেপালের রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের তরফে সুশীলার নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই ঘোষণা মত এদিন রাত ৯ টায় রাষ্ট্রপতি ভবনে শপথ নেন তিনি। তবে বিদ্রোহীদের অনেকে যেমন সুশীলা কার্কিকে চেয়েছিলেন, তেমন একাংশ দেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চেয়েছিলেন জনপ্রিয় গায়ক বলেন্দ্র শাহকে। তবে শেষমেশ সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশটির প্রধানমন্ত্রী হলেন সুশীলা। তাৎপর্যপূর্ণ হল বলেন্দ্র নিজেই সরকার প্রধান হিসেবে সুশীলার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, নেপালের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন কার্কি। এদিন তাঁর অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে একটি ছোট মন্ত্রিসভা গঠন করা হবে। শুক্রবার রাতেই সেই মন্ত্রিসভার প্রথম বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে বলে খবর। সূত্রের খবর, মন্ত্রিসভা ফেডারেল পার্লামেন্ট এবং সাতটি প্রাদেশিক পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়ার সুপারিশ করতে পারে।

উল্লেখ্য, সমাজ মাধ্যমের উপর নিষেধাজ্ঞা এবং দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে কেপি শর্মা ওলির সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভে উত্তাল হয় নেপাল। সেদেশের ছাত্র ও তরুণদের দ্বারা পরিচালিত তিন দিনের বিক্ষোভের পর, বুধবার বিক্ষোভকারীরা পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান হিসেবে কার্কি এবং বলেন্দ্র শাহের নাম সামনে আনেন। বিক্ষোভকারীদের মধ্যে নাম নিয়ে সংঘাত তৈরি হয়। শুক্রবার ভোটাভুটির ভিত্তিতে সুশীলার নাম চূড়ান্ত করেন তারা। প্রসঙ্গত, সুশীলা কার্কি ২০১৬ সালে প্রধান বিচারপতি হিসাবে দায়িত্ব নেন। তিনি ছিলেন নেপালের প্রথম মহিলা প্রধান বিচারপতি। তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বিদ্যাদেবী ভাণ্ডারী তাঁকে নিয়োগ করেছিলেন। আবার বিদ্যাদেবী ছিলেন নেপালের ইতিহাসে প্রথম মহিলা রাষ্ট্রপতি।

Nepal: গণবিদ্রোহের মুখে পদত্যাগ নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির, পরবর্তী মুখ কি বলেন্দ্র?

এই দিনকাল: নেপালের (Nepal) বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চরম আকার নিয়েছে। সোমবার থেকে শুরু হওয়া সেই বিক্ষোভ মঙ্গলবারও জারি রয়েছে। ইতিমধ্যে অন্তত ১৯ জন বিক্ষোভকারীর মৃত্যু হয়েছে। নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বাসভবনে হামলা ও অগ্নি সংযোগের ঘটনাও ঘটেছে। ছাত্র যুবদের বিক্ষোভ থেকে প্রধানমন্ত্রী ওলির পদত্যাগের দাবি জানানো হয়েছিল। বিক্ষোভকারীদের সেই দাবি মেনে মঙ্গলবার পদত্যাগ করেন কেপি শর্মা ওলি। কিন্তু তাতেও বিক্ষোভ থামেনি। একাধিক মন্ত্রীর বাসভবনে হামলা ও অগ্নি সংযোগ করা হয়েছে। নেপালের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ঝালানাথ খানালের বাসভবনে বিক্ষুব্ধ জনতা আগুন ধরিয়ে দেওয়ায় বাড়ির মধ্যে জীবন্ত পুড়ে মৃত্যু হয়েছে তাঁর স্ত্রী রাজ্যলক্ষ্মী চিত্রকরের।

অন্য দিকে, ওলি ইস্তফা দেওয়ায় নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী কে হবেন তা নিয়ে চলছে চর্চা। এ ক্ষেত্রে সামনে আসছে বলেন্দ্র শাহের নাম। ৩৫ বছর বয়সী বলেন্দ্র বর্তমানে কাঠমান্ডুর মেয়র। বিক্ষোভকারীদের একাংশ চাইছেন নেপালের প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারে বসুন বলেন্দ্র। উল্লেখ্য, ২০২২ সালে কাঠমান্ডুর মেয়র নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ৬১ হাজার ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ১৯৯০ সালে নেপালের কাঠমান্ডুতে জন্মগ্রহণ করেন বলেন্দ্র। সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে পড়াশোনা করেন তিনি। এমনকি শিক্ষা লাভের জনক্স ভারতেও আসেন। নেপালে সুরকার হিসাবেও যথেষ্ট জনপ্রিয় বলেন্দ্র। দুর্নীতি এবং আর্থিক বৈষম্য নিয়ে গানে সুরারোপ করেছেন তিনি।

ঠিক কী নিয়ে বিক্ষোভের সূত্রপাত?

সমাজমাধ্যমের উপর চাপানো নিষেধাজ্ঞা ঘিরে বিক্ষোভের সূচনা হলেও এটিই একমাত্র কারণ নয়। বিক্ষোভের পিছনে রয়েছে একাধিক কারণ। দেশে বেকারত্ব, জলবায়ু সংক্রান্ত সমস্যা, প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলার ব্যবস্থাপনা নিয়ে ক্ষুব্ধ নেপালবাসী। তরুণদের অনেকেই নেতাদের দুর্নীতি নিয়ে  অসন্তুষ্ট। এই সমস্ত কারণে পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ হয়েছে চলমান বিদ্রোহে। যদিও সমাজ মাধ্যম নিয়ে যে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছিল তা প্রত্যাহার করে নিয়েছে কেপি শর্মা ওলির সরকার। মূলত সাইবার অপরাধ, ভুয়ো এবং বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো বন্ধ করতে গত এক বছরেরও বেশি সময় ধরে বিভিন্ন সমাজ মাধ্যমের উপর নিয়ন্ত্রণ আনার চেষ্টা করেছে নেপালের সরকার। দেশটির সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে গত আগস্ট মাসেই নেপাল সরকার বিভিন্ন সমাজমাধ্যম সংস্থার রেজিস্ট্রেশন-এর জন্য উদ্যোগী হয়। সরকারের নির্দেশ মেনে টিকটক, ভাইবার, উইটক, নিমবাজ এবং পপ্পো লাইভ এর মতো সমাজ মাধ্যম গুলি রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে নেয়। তবে কোপ পড়ে ফেসবুক, এক্স, ইউটিউব এর মতো সমাজ মাধ্যমগুলির উপর।

Earthquake: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে নিহত বেড়ে ৮০০, জখম ২৫০০, পাশে থাকার আশ্বাস মোদীর

এই দিনকাল: আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে (Earthquake) মৃতের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। মর্মান্তিক এই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের ফলে সোমবার বিকেল পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা ৮০০ ছাড়িয়েছে। রিখটার স্কেলে ৬.৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পে জখম হয়েছেন অন্তত ২৫০০ জন। ভয়াবহ এই বিপর্যয়ের পর শোকপ্রকাশ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।তালিবান শাসিত দেশটির পাশে থাকার আশাস দিয়েছেন মোদী।

রবিবার রাতে বিধ্বংসী ভূমিকম্পে কেঁপে ওঠে আফগানিস্তানের কুনার প্রদেশ। রিখটার স্কেলে এই কম্পনের মাত্রা ছিল ৬.৩। ভূমিকম্পের পরে একাধিক আফটার শকে কেঁপে ওঠে পার্শ্ববর্তী দেশ তাজিকিস্তান, উজবেকিস্তান, ভারত ও পাকিস্তানের একাধিক অঞ্চল। ভারতের রাজধানী শহর দিল্লিতে কম্পন অনুভূত হয়। জানা গিয়েছে, ভূপৃষ্ঠ থেকে মাত্র আট কিলোমিটার গভীরে ছিল এই ভূমিকম্পের উৎস। ভূপৃষ্ঠের কাছাকাছি কম্পনের উৎস হওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

প্রতিবেশী দেশের এমন বিপর্যয়ের সময় পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।এসসিও সম্মেলনে যোগ দিতে বর্তমানে চিনে রয়েছেন তিনি। সেখান থেকে শোকপ্রকাশ করেছেন মোদী। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে ভারতের প্রধানমন্ত্রী লিখেছেন, ‘আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে এত প্রাণহানি দেখে আমি গভীরভাবে ব্যথিত। এই কঠিন সময়ে স্বজনহারাদের পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি। আহতদের দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। আফগানিস্তানের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত রকম সাহায্য করতে তৈরি আছে ভারত।’ প্রসঙ্গত, ভূমিকম্প বিধ্বস্ত আফগানিস্তানের জন্য ইতিমধ্যেই সাহায্য ঘোষণা করেছে রাষ্ট্রসংঘ। নিরলস ভাবে উদ্ধারকাজ চালানো হচ্ছে। ভারতের পাশাপাশি একাধিক দেশের তরফে সহায়তার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৩ সালের অক্টোবরেও আফগানিস্তানে ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা চলেছিল ভূমিকম্পের কারণে। সে বারেও ৬.৩ মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হানে পশ্চিম আফগানিস্তানে। সেই ঘটনায় প্রায় ২০০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। সেই দুঃস্বপ্নের স্মৃতি আবার ফিরে এল রবিবার। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইউরেশিয়ান এবং ভারতীয় টেকটনিক প্লেটের সংযোগস্থলের কাছে, হিন্দুকুশ অঞ্চলে অবস্থানের কারণে আফগানিস্তানে বারবার ভূমিকম্প হয়।

ChatGPT: চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মাকে খুন করে আত্মঘাতী ইয়াহুর প্রাক্তন কর্মী

এই দিনকাল: ওপেনএআই এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির (ChatGPT) ‘পরামর্শে’ নিজের মাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ইয়াহুর প্রাক্তন ম্যানেজার। চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বিভ্রান্ত হয়ে এই কাজ করেছেন ওই ব্যক্তি। স্টেইন-এরিক সোয়েলবার্গ নামে ওই ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মানসিক সমস্যার ইতিহাস ছিল। ওই ব্যক্তি সন্দেহ করতেন, তাঁর মা তার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছেন।

সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ব্যক্তি সম্পদশালী ছিলেন। ২.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়িতে থাকতেন মায়ের সঙ্গে। গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে অ্যাডামস এবং সোয়েলবার্গের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যাডামসকে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি তাঁর গলা চেপে ধরে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি সোয়েলবার্গের ঘাড় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকের দাবি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

মা-ছেলের মৃত্যুর পর সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে ওপেন এআই-এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলেছেন সোয়েলবার্গ। যেখানে চ্যাটবটকে ‘ববি’ নামে অভিহিত করেছিলেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই চ্যাটবটটির সঙ্গে যা কথা হত সেই কথোপকথনের ভিডিও সমাজ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে ভিডিও আকারে পোস্ট করতেন সোয়েলবার্গ। তাঁর জীবনের শেষের দিকে চ্যাটজিপিটিকে যে সমস্ত বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেগুলির একটিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা অন্য জীবনে এবং অন্য জায়গায় একসঙ্গে থাকব এবং আমরা পুনরায় মিলিত হওয়ার একটি পথ খুঁজে বের করব কারণ তুমি আবার চিরকালের জন্য আমার সেরা বন্ধু হবে।’ জবাবে চ্যাট বটটিও লেখে, ‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এবং তার পরেও তোমার সঙ্গে থাকব।’

পর্যবেক্ষকদের মতে, চ্যাটবটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত থাকা মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির এটিই প্রথম হত্যাকাণ্ড। যদিও অনেকে আত্মহত্যা করেছেন, যারা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতেন। তবে এটিই প্রথম নথিভুক্ত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে ওপেনএআই। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের হৃদয় পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’

India-Pakistan conflict: ভারত-পাক সংঘাত থামাতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন, ফের দাবি ওয়াশিংটনের

এই দিনকাল: তাঁর মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan conflict) বন্ধ হয়েছিল বলে আগে একাধিক বার দাবি করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই একই দাবি করলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও। তাঁর দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং সংঘাত থামাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ভূমিকা নিয়েছিল। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই পারমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ থামিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুবিও। সেখানে তিনি বলেন, শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ট্রাম্প অঙ্গীকারবদ্ধ। আর ‘সে কারণে আমরা দেখেছি যখন ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে সামিল হল, আমরা সরাসরি সংঘাত বন্ধ করতে সামিল হয়েছি এবং প্রেসিডেন্ট সেই শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন’, তিনি বলেন। তবে নয়াদিল্লির তরফে ওয়াশিংটনের এই দাবিকে আগেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বলে ভারতের দাবি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত-পাক সংঘাত বন্ধ হয়নি বলে সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলে। জঙ্গিরা বেছে বেছে পর্যটকদের খুন করে। যে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে দায় স্বীকার করেছিল লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। যদিও পরে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী দায় অস্বীকার করে। ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই গোটা ঘটনায় পাকিস্তানের হাত ছিল। সে কারণে গত ৭ মে ভারতের সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। তার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। চার দিনের মাথায় ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি হয়।

AI: চাকরি খাচ্ছে এআই, ১২০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে টাটা 

এই দিনকাল: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) এর দৌলতে এবার চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ১২২০০ কর্মী। ভারতের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ২০২৬ আর্থিকবর্ষে (এপ্রিল ২০২৫ থেকে মার্চ ২০২৬) কর্মী সংখ্যা দুই শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করছে। এর ফলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাঝারি এবং উচ্চপদস্থ কর্মীরা বেকার হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।

টিসিএস এআই এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে সংস্থার কর্মী ছাঁটাই এক প্রকার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেই কারণে সংস্থাটির প্রায় ১২২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর সিইও কে কৃত্তিবাসন এই পদক্ষেপকে ‘সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এবং অপারেটিং মডেলের পরিবর্তনের কথা বলে আসছি। কাজের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত এবং চটপটে হতে হবে। আমরা এআই ব্যবহার করছি এবং ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা মূল্যায়ন করছি। সহযোগীদের ক্যারিয়ারের সমৃদ্ধি এবং সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেক কিছু করেছি।’

কে কৃত্তিবাসন আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, আমরা দেখতে পাচ্ছি এখানে অনেক ভূমিকা রয়েছে যেখানে পুনর্মোতায়েন কার্যকর হয়নি। এটি আমাদের বিশ্বব্যাপী কর্মীবাহিনীর প্রায় দুই শতাংশকে প্রভাবিত করবে, প্রাথমিকভাবে মাঝারি এবং সিনিয়র স্তরে। এটি একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না এবং সিইও হিসেবে আমার নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি ছিল।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর কর্মী সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৩ হাজার।

Nimisha Priya: ১৬ জুলাই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে ইয়েমেন

এই দিনকাল: ইয়েমেনি এক নাগরিককে হত্যার দায়ে আগেই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়াকে (Nimisha Priya) দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে ইয়েমেনের আদালত। আগামী ১৬ জুলাই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড গত বছর অনুমোদন করেছেন ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নিমিশার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পাশাপাশি নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছে মন্ত্রক। 

নিমিশা প্রিয়াকে কেন মৃত্যুদণ্ড?

পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান। সে দেশে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। এক সময় নিজে ক্লিনিক খোলেন এবং ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদির সংস্পর্শে আসেন। ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে সে দেশে ব্যবসা করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে তা শুরু করা বাধ্যতামূলক। মূলত সেই কারণে মাহদির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কেরলের ওই নার্সের সঙ্গে মাহদির ঝগড়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন নিমিশা। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কারামুক্তি ঘটলেও মাহদি নিমিশাকে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল। সেই পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির উপর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করেছিলেন ওই নার্স। তবে, তার ওভারডোজের কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। এক সময় ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিমিশা। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে তাঁকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে সে দেশের ট্রায়াল কোর্ট নিমিশাকে দোষী সাব্যস্ত করে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল রাখে।

ইয়েমেনি আইনে সেদেশের স্বাধীনতা, ঐক্য বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা, সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য কোনও কাজ করা, খুন, মাদক পাচার, ব্যভিচার, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামী যৌন কার্যকলাপ, ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা নিন্দা করা এবং পতিতাবৃত্তিতে সহায়তা করা-সহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে ‘ব্লাড মানি’

ভুক্তভোগীর পরিবারকে ‘ব্লাড মানি’ দেওয়ার মাধ্যমে নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচানোর পথ খোলা ছিল। যদিও সেই অর্থের পরিমাণ সর্বদা নিহতের পরিবার ঠিক করে। মেয়ের জন্য মামলা লড়তে নিমিশা প্রিয়ার মা নিজের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দেন। কোচিতে তিনি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লাহ আমির আলোচনা ফি হিসেবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেন, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৬.৬ লক্ষ টাকা। মাহদির পরিবারের সঙ্গে ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে আলোচনা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে।

গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আমিরকে ১৯৮৭১ মার্কিন ডলার দিয়েছিল। কিন্তু তিনি আলোচনা শুরু করার আগে দুটি কিস্তিতে মোট ৪০০০০ মার্কিন ডলার দাবি করেন। সেভ নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমিরের প্রথম কিস্তির অর্থ সংগ্রহ করতে সফল হয়। তবে, পরে তারা তহবিলের স্বচ্ছতা সংক্রান্ত কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

ভারত সরকার জানুয়ারিতে বলেছিল গোটা বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সাহায্য প্রদান করার কথাও জানিয়েছিল কেন্দ্র। নিমিশার মা মেয়ের জীবন বাঁচাতে আকুল আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেরল সরকারের কাছে।