Category Archives: বিশ্ব

India-Pakistan conflict: ভারত-পাক সংঘাত থামাতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন, ফের দাবি ওয়াশিংটনের

এই দিনকাল: তাঁর মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan conflict) বন্ধ হয়েছিল বলে আগে একাধিক বার দাবি করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই একই দাবি করলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও। তাঁর দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং সংঘাত থামাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ভূমিকা নিয়েছিল। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই পারমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ থামিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুবিও। সেখানে তিনি বলেন, শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ট্রাম্প অঙ্গীকারবদ্ধ। আর ‘সে কারণে আমরা দেখেছি যখন ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে সামিল হল, আমরা সরাসরি সংঘাত বন্ধ করতে সামিল হয়েছি এবং প্রেসিডেন্ট সেই শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন’, তিনি বলেন। তবে নয়াদিল্লির তরফে ওয়াশিংটনের এই দাবিকে আগেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বলে ভারতের দাবি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত-পাক সংঘাত বন্ধ হয়নি বলে সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলে। জঙ্গিরা বেছে বেছে পর্যটকদের খুন করে। যে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে দায় স্বীকার করেছিল লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। যদিও পরে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী দায় অস্বীকার করে। ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই গোটা ঘটনায় পাকিস্তানের হাত ছিল। সে কারণে গত ৭ মে ভারতের সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। তার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। চার দিনের মাথায় ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি হয়।

AI: চাকরি খাচ্ছে এআই, ১২০০০ কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে টাটা 

এই দিনকাল: কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই (AI) এর দৌলতে এবার চাকরি হারাতে চলেছেন প্রায় ১২২০০ কর্মী। ভারতের বৃহত্তম তথ্য প্রযুক্তি সংস্থা টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস, ২০২৬ আর্থিকবর্ষে (এপ্রিল ২০২৫ থেকে মার্চ ২০২৬) কর্মী সংখ্যা দুই শতাংশ কমানোর পরিকল্পনা করছে। এর ফলে ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মাঝারি এবং উচ্চপদস্থ কর্মীরা বেকার হতে চলেছেন বলে সূত্রের খবর।

টিসিএস এআই এবং অন্যান্য উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছে। যার ফলে বিভিন্ন দেশে সংস্থার কর্মী ছাঁটাই এক প্রকার অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। সেই কারণে সংস্থাটির প্রায় ১২২০০ কর্মীকে ছাঁটাই করা হবে। টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর সিইও কে কৃত্তিবাসন এই পদক্ষেপকে ‘সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা নতুন প্রযুক্তি, বিশেষ করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এবং অপারেটিং মডেলের পরিবর্তনের কথা বলে আসছি। কাজের ধরণ পরিবর্তন হচ্ছে। আমাদের ভবিষ্যতের জন্য প্রস্তুত এবং চটপটে হতে হবে। আমরা এআই ব্যবহার করছি এবং ভবিষ্যতের জন্য আমাদের প্রয়োজনীয় দক্ষতা মূল্যায়ন করছি। সহযোগীদের ক্যারিয়ারের সমৃদ্ধি এবং সুযোগ দেওয়ার ক্ষেত্রে আমরা অনেক কিছু করেছি।’

কে কৃত্তিবাসন আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত, আমরা দেখতে পাচ্ছি এখানে অনেক ভূমিকা রয়েছে যেখানে পুনর্মোতায়েন কার্যকর হয়নি। এটি আমাদের বিশ্বব্যাপী কর্মীবাহিনীর প্রায় দুই শতাংশকে প্রভাবিত করবে, প্রাথমিকভাবে মাঝারি এবং সিনিয়র স্তরে। এটি একটি সহজ সিদ্ধান্ত ছিল না এবং সিইও হিসেবে আমার নেওয়া সবচেয়ে কঠিন সিদ্ধান্তগুলির মধ্যে একটি ছিল।’ উল্লেখ্য, বর্তমানে টাটা কনসালটেন্সি সার্ভিসেস এর কর্মী সংখ্যা ৬ লক্ষ ১৩ হাজার।

Nimisha Priya: ১৬ জুলাই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করবে ইয়েমেন

এই দিনকাল: ইয়েমেনি এক নাগরিককে হত্যার দায়ে আগেই ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়াকে (Nimisha Priya) দোষী সাব্যস্ত করে তাঁকে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে ইয়েমেনের আদালত। আগামী ১৬ জুলাই ওই নার্সের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে বলে জানানো হয়েছে। কেরলের বাসিন্দা নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড গত বছর অনুমোদন করেছেন ইয়েমেনের রাষ্ট্রপতি। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে বিষয়টি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। স্থানীয় প্রশাসন এবং নিমিশার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছে বিদেশ মন্ত্রক। পাশাপাশি নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সহায়তা প্রদান করছে মন্ত্রক। 

নিমিশা প্রিয়াকে কেন মৃত্যুদণ্ড?

পেশায় নার্স নিমিশা প্রিয়া ২০০৮ সালে ইয়েমেনে যান। সে দেশে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে কাজ করেন তিনি। এক সময় নিজে ক্লিনিক খোলেন এবং ২০১৪ সালে তালাল আবদো মাহদির সংস্পর্শে আসেন। ইয়েমেনের নিয়ম অনুসারে সে দেশে ব্যবসা করতে গেলে স্থানীয়দের সঙ্গে অংশীদারিত্ব করে তা শুরু করা বাধ্যতামূলক। মূলত সেই কারণে মাহদির সঙ্গে ব্যবসা শুরু করেন তিনি। কিন্তু কেরলের ওই নার্সের সঙ্গে মাহদির ঝগড়া হয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের করেন নিমিশা। এরপর ২০১৬ সালে মাহদিকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার কারামুক্তি ঘটলেও মাহদি নিমিশাকে হুমকি দিতে থাকে বলে অভিযোগ।

নিমিশার পরিবারের দাবি, মাহদি নিমিশার পাসপোর্ট কেড়ে নিয়েছিল। সেই পাসপোর্ট উদ্ধারের জন্য মাহদির উপর ঘুমের ওষুধ প্রয়োগ করেছিলেন ওই নার্স। তবে, তার ওভারডোজের কারণে মাহদির মৃত্যু হয়। এক সময় ইয়েমেন ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করেন নিমিশা। তখনই তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। ২০১৮ সালে তাঁকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়। ইয়েমেনি নাগরিককে হত্যার দায়ে সে দেশের ট্রায়াল কোর্ট নিমিশাকে দোষী সাব্যস্ত করে, যা ২০২৩ সালের নভেম্বরে দেশটির সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল বহাল রাখে।

ইয়েমেনি আইনে সেদেশের স্বাধীনতা, ঐক্য বা আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘন করা, সশস্ত্র বাহিনীকে দুর্বল করার জন্য কোনও কাজ করা, খুন, মাদক পাচার, ব্যভিচার, প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সম্মতিক্রমে সমকামী যৌন কার্যকলাপ, ইসলাম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেওয়া বা নিন্দা করা এবং পতিতাবৃত্তিতে সহায়তা করা-সহ বিভিন্ন অপরাধের জন্য মৃত্যুদণ্ডের বিধান রয়েছে।

নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচাতে ‘ব্লাড মানি’

ভুক্তভোগীর পরিবারকে ‘ব্লাড মানি’ দেওয়ার মাধ্যমে নিমিশা প্রিয়াকে বাঁচানোর পথ খোলা ছিল। যদিও সেই অর্থের পরিমাণ সর্বদা নিহতের পরিবার ঠিক করে। মেয়ের জন্য মামলা লড়তে নিমিশা প্রিয়ার মা নিজের বাড়ি পর্যন্ত বিক্রি করে দেন। কোচিতে তিনি গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করেন। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় দূতাবাস কর্তৃক নিযুক্ত আইনজীবী আবদুল্লাহ আমির আলোচনা ফি হিসেবে ২০ হাজার মার্কিন ডলার দাবি করেন, ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ১৬.৬ লক্ষ টাকা। মাহদির পরিবারের সঙ্গে ‘ব্লাড মানি’ নিয়ে আলোচনা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে।

গত বছরের জুলাই মাসে ভারতের বিদেশ মন্ত্রক আমিরকে ১৯৮৭১ মার্কিন ডলার দিয়েছিল। কিন্তু তিনি আলোচনা শুরু করার আগে দুটি কিস্তিতে মোট ৪০০০০ মার্কিন ডলার দাবি করেন। সেভ নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল ক্রাউডফান্ডিংয়ের মাধ্যমে আমিরের প্রথম কিস্তির অর্থ সংগ্রহ করতে সফল হয়। তবে, পরে তারা তহবিলের স্বচ্ছতা সংক্রান্ত কারণে চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়।

ভারত সরকার জানুয়ারিতে বলেছিল গোটা বিষয়টি নিবিড় ভাবে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। শুধু তাই নয়, নিমিশার পরিবারকে সম্ভাব্য সকল সাহায্য প্রদান করার কথাও জানিয়েছিল কেন্দ্র। নিমিশার মা মেয়ের জীবন বাঁচাতে আকুল আর্জি জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় সরকার এবং কেরল সরকারের কাছে।

Car and truck collision: গাড়ি ও ট্রাকের সংঘর্ষ, মার্কিন মুলুকে পুড়ে মৃত্যু ৪ ভারতীয়ের

এই দিনকাল: মার্কিন মুলুকে ভয়াবহ গাড়ি দুর্ঘটনায় (Car and truck collision) পুড়ে মৃত্যু ৪ ভারতীয়ের (Indian Family)। নিহতরা একই পরিবারের বলে জানা গিয়েছে। সোমবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ডালাসে একটি ট্রাক তাঁদের গাড়িতে ধাক্কা দেওয়ার ফলে এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। নিহতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, হায়দরাবাদের বাসিন্দা তেজস্বিনী এবং শ্রী ভেঙ্কট। ছুটি কাটাতে দুই সন্তানকে নিয়ে পরিবারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ছুটি কাটাতে গিয়েছিল। গত সপ্তাহে তাঁরা গাড়ি চালিয়ে আত্মীয়দের সঙ্গে দেখা করতে আটলান্টায় গিয়েছিল। সেখান থেকে ডালাসে ফিরে আসার সময় এই ঘটনাটি ঘটে। ভারতীয় পরিবারটির গাড়ি যখন গ্রিন কাউন্টিতে আসে, সেই সময় রাস্তার ভুল দিক থেকে একটি মিনি-ট্রাক চলে আসে। দুটি গাড়ির মুখোমুখি সংঘর্ষের ফলে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। যার ফলে ভিতরে আটক অবস্থায় চার জনেরই মৃত্যু হয়। গাড়িটি ভস্মীভূত হয়ে যাওয়ার পর, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে নিহতদের দেহাবশেষ ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠিয়েছে। মৃতদেহ শোকাহত পরিবারের কাছে হস্তান্তরের আগে নিহতদের ডিএনএ পরীক্ষা করা হবে বলে জানানো হয়েছে। 

উল্লেখ্য, এর আগে ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে, ডালাসের কাছে টেক্সাসের আন্নায় একাধিক যানবাহনের সংঘর্ষে চার ভারতীয় নাগরিকের মর্মান্তিকভাবে পুড়ে মৃত্যু হয়েছিল। তাঁরা গাড়ি চালিয়ে যখন যাচ্ছিলেন, ঠিক তখনই একটি দ্রুতগামী ট্রাক তাদের গাড়িটিকে পিছন থেকে ধাক্কা দেয়। যার ফলে গাড়িতে আগুন ধরে যায়। নিহতদের নাম আরিয়ান রঘুনাথ ওরামপতি, ফারুক শেখ, লোকেশ পালাচারলা এবং দর্শনিনী বাসুদেবন। তার আগে ২০২৪ সালের আগস্টে টেক্সাসে একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় এক ভারতীয় বংশোদ্ভূত দম্পতি এবং তাদের মেয়ে নিহত হয়েছিলেন। যার মধ্যে তাঁদের কিশোর ছেলেই একমাত্র বেঁচে যায়। অন্য একটি গাড়ির ধাক্কায় তাদের গাড়িতেও আগুন ধরে গিয়েছিল।

Islamic State: দামেস্কে গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা আইএস জঙ্গির, নিহত ১৫

এই দিনকাল: প্রার্থনা চলাকালীন ভরা গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাল আইএস (Islamic State) জঙ্গি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেন্ট ইলিয়াস চার্চে রবিবার এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে খবর।

সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গির্জায় হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একজন সদস্য জড়িত। এই হামলায় কম করে ১৫ জন নিহত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর সিরিয়ার রাজধানীতে এটিই প্রথম আক্রমণ। দেশের নতুন কর্তৃপক্ষের জন্য নিরাপত্তা এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।

বিস্ফোরণের পর তড়িঘড়ি মানুষজনকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। গির্জা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এক বিবৃতিতে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাজধানী দামেস্কের ডোয়েলা এলাকায় সেন্ট ইলিয়াস গির্জায় আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত একজন আত্মঘাতী হামলাকারী প্রবেশ করে গুলি চালায় এবং তারপর একটি বিস্ফোরক বেল্ট দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।’

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই হামলায় ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাইরে থেকে কেউ একজন অস্ত্র নিয়ে গির্জার ভেতরে প্রবেশ করে গুলি চালাতে শুরু করে। লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।

Iran Israel Conflict: ‘বন্ধু’ রাশিয়ার সঙ্গে গোপন পরামর্শ করতে চলেছে ইরান, মার্কিন হামলার জবাব দেবে তেহরান?

এই দিনকাল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ইজরায়েলের (Israel) পক্ষ নিয়ে ২২ জুন ভোরে ইরানের (Iran) তিনটি পরমাণুঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। যার ফলে এই সংঘাত নতুন মোড় নিয়েছে। ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই আবহে রাশিয়া (Russia) সফর করতে চলেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়া ইরানের ‘বন্ধু’ দেশ হিসেবে পরিচিত। তাই এই সঙ্কটকালে আব্বাসের রাশিয়া সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, তিনি রবিবার রাশিয়া যাচ্ছেন। সোমবার পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় তাঁর বৈঠক রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে আরাগচি বলেন, ‘রাশিয়া ইরানের বন্ধু। আমরা একটা কৌশলগত অংশীদারত্ব উপভোগ করছি। সব সময় আমরা পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করি এবং সমন্বয় রেখে চলি।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইজরায়েল প্রথম ইরানের অভ্যন্তরে হামলা করে। সেই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত চলমান। তারই মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালায় রবিবার। এর আগে ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে হুমকি দিয়েছেন। তেহরানের তরফেও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে ওয়াশিংটন যদি এই সংঘাতে জড়ায় তাহলে ইরানের নাগালে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করা হবে। ট্রাম্পের সেই হুমকি অনুযায়ী এদিন মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালাল। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প বাহিনীর এই হামলার পাল্টা দিতে পারে ইরান। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সেই সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হতে পারে আব্বাসের।

Iran-Israel Conflict: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতায় রাজি রাশিয়া

এই দিনকাল: ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel Conflict) মধ্যে সংঘাত পাঁচ দিন ধরে চলমান। এই সংঘর্ষ থামাতে এবার মধ্যস্থতা করতে রাজি হল রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

পেসকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত বন্ধে প্রয়োজনে রাশিয়া মধ্যস্থতা করতে রাজি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ইজরায়েলের তরফে আমরা অন্তত কোনও ধরনের মধ্যস্থতা গ্রহণ বা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ অবলম্বন করার আগ্রহ দেখছি না। প্রসঙ্গত, ইরান রাশিয়ার পুরাতন ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে ইজরায়েলের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে মস্কো। 

অন্য দিকে পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরানের বন্ধু রাষ্ট্র চিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অন্য কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের’ বিরোধী চিন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত কোনও সমস্যার সমাধান করবে না বলে জানিয়েছে বেজিং। ইরান ও ইজরায়েল যাতে শীঘ্রই সংঘাত থামায় সেই লক্ষ্যে দুপক্ষকেই কাজ করতে হবে বলে আবেদন জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, শান্তি ফিরিয়ে আনতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে বেজিং প্রস্তুত।

iranian israeli conflict: তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাসের কাছে হামলা তেহরানের, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে মৃত্যু বেড়ে ২৪৪

এই দিনকাল: ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাত (iranian israeli conflict) ক্রমশ চরম আকার নিচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে আঘাত ও পাল্টা প্রত্যাঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৪। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই সংঘাতে ইরানের ২২৪ এবং ইজরায়েলের ৮ জন নিহত হয়েছেন।

ইরানের উপর ইজরায়েলি হামলায় মার্কিন মদত রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল তেহরান। নিজেদের নাগালে থাকা মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এ বার ইজরায়েলের তেল আবিবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল খানেইনির দেশ। ইজরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে হাকাবি লিখেছেন, ইরান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবনের কাছে আঘাত হেনেছে। এতে দূতাবাস ভবনে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মার্কিন কর্মীদের কেউ হতাহত হননি।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন রাতে ইজরায়েলি বাহিনী বিনা উসকানিতে ইরানের ভিতরে হামলা চালায়। একাধিক পরমাণু ঘাঁটিতে হামলায় ইরানের নয় জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। নিহতরা হলেন, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ফেরেদুন আব্বাসি, আহমেদ রেজা জোলফাঘরি দোরিয়ানি, পদার্থবিদ্যার বিশেষজ্ঞ মহম্মদ মেহদি তেহরানচি, আমির হাসান ফাখাহি, মনসুর আসগারি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ আকবর মোতালেবি জাদেহ, মেটেরিয়াল্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ সইদ বর্জি, রিয়্যাক্টর ফিজিক্সের বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলহামিদ মিনৌশেহর এবং মেকানিক্সের বিশেষজ্ঞ বখৌয়েই কাতিরিমি।

অন্য দিকে দেশে ঢুকে নাশকতার ছক কষায় ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইরান পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র সাইদ মনতাজের আল-মাহদি জানান, দুজনের কাছ থেকে ২০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক, ড্রোন চালানোর ২৩টি সরঞ্জাম, লঞ্চার এবং আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তেহরানের রে কাউন্টির ফাশাফুয়েহ এলাকা থেকে দুই মোসাদ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরমাণু কেন্দ্রে হামলা হলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি, ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি ইরানের

এই দিনকাল: ট্রাম্পের দাদাগিরি মানবে না ইরান (Iran)! ফের এক বার ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিল তেহরান। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনও সামরিক পদক্ষেপ নেয় তাহলে ইরান ছেড়ে কথা বলবে না বলে সাফ জানালেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রয়োজনে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা সমস্ত মার্কিন ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র।

বুধবার তেহরানে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে তার মূল্য তারা চড়াভাবে দেবে। মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি আমাদের রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে, প্রয়োজনে একযোগে আঘাত হানতে আমাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের (সেন্টকম)- প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিল্লা জানান, তেহরানের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে গেলে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে ‘বিকল্প সামরিক ব্যবস্থা’। এই আবহে ইরানের তরফে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হল তারাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালাচ্ছে। দেশটি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। যা ৯০ শতাংশ হলে সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী হয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’র তথ্য অনুযায়ী, যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম ইরান সমৃদ্ধকরণ করেছে তা দিয়ে অন্তত ৬টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে।

২৪২ জনকে নিয়ে আহমেদাবাদে ভেঙে পড়ল এয়ার ইন্ডিয়ার লন্ডনগামী বিমান

এই দিনকাল: আহমেদাবাদ থেকে লন্ডনগামী এয়ার ইন্ডিয়ার (Air India flight) বিমান ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল বিমানে থাকা ২৪২ জনেরই! এয়ার ইন্ডিয়ার বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি গুজরাটের আহমেদাবাদ বিমানবন্দর থেকে ওড়ার কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিপত্তি ঘটে। বিমানটি আহমেদাবাদের মেঘানী নগরের সিভিল হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার অতুল্যম ফ্ল্যাটে ভেঙে পড়ে। সেখান থেকে আরও ৭৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমান দুর্ঘটনার ফলে মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১৭।

বিমানে থাকা যে ২৪২ জনের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২৪১ জনের। একজন যাত্রী কেবল বেঁচে গিয়েছেন। বিমানে যে ২৪২ জন ছিলেন তাদের মধ্যে ১৬৯ জন ভারতীয়, ৫৩ জন ব্রিটিশ, ১ জন কানাডিয়ান এবং ৭ জন পর্তুগিজ নাগরিক। যাত্রীদের মধ্যে ১০৪ জন পুরুষ এবং ১১২ জন মহিলা ছিলেন। এ ছাড়া দুই নবজাতক-সহ ১৪ জন শিশু ছিল। গুজরাটের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপানিও অভিশপ্ত ওই বিমানে ছিলেন।

আহমেদাবাদ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, এয়ার ইন্ডিয়ার এআই ১৭১ ফ্লাইটে থাকা ২৪১ জন যাত্রীর মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া আহমেদাবাদের মেঘানী নগরের সিভিল হাসপাতালের স্টাফ কোয়ার্টার অতুল্যম ফ্ল্যাট থেকে আরও ৭৫ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বিমানটিতে যে ২৪২ জন ছিলেন তার মধ্যে ২৩০ জন ছিলেন যাত্রী এবং ১২ জন ক্রু। এটি চালাচ্ছিলেন ক্যাপ্টেন সুমিত সাভারওয়াল, যাঁর ৮,২০০ ঘন্টা ওড়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। এ ছাড়া ছিলেন ফার্স্ট অফিসার ক্লাইভ কুন্ডার, যার ১,১০০ ঘন্টা ফ্লাইং আওয়ার ছিল।

ডাইরেক্টরেট জেনারেল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশন বা ডিজিসিএ জানিয়েছে, বিমানটি ভারতীয় সময় অনুযায়ী বৃহস্পতিবার দুপুর ১:৩৯ মিনিটে যাত্রা শুরু করে এবং যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার আগে ‘মেডে’ কল করে। বিমানটি প্রায় ৮২৫ ফুট উচ্চতায় ওঠার পর সেটি ভেঙে পড়ে। বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রী রাম মোহন নাইডু বলেছেন যে তিনি এই দুর্ঘটনায় ‘মর্মাহত’। গোটা পরিস্থিতি তিনি পর্যবেক্ষণ করছেন বলে জানা গিয়েছে।