Category Archives: পশ্চিমবঙ্গ

CPDRS: ক্ষুদিরামকে সামনে রেখে বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস

এই দিনকাল: শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মোৎসর্গ দিবসে বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস (CPDRS)। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর স্টেশন চত্বরে একটি পথসভা করে সেন্টার ফর প্রটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস অ্যান্ড সেকুলারিজম (সিপিডিআরএস)। সংগঠনের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা কমিটির তরফে আয়োজন করা এই অনুষ্ঠানে গান, কবিতা ও বক্তৃতার মাধ্যমে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে স্মরণ করা হয়। এদিন এই পথসভা থেকে বর্তমান সময়ে ঘটে চলা অন্যায় ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হন বক্তারা।

উল্লেখ্য রাজধানী দিল্লি-সহ বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এমন বহু বাঙালিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। সোমবার সিপিডিআরএস-এর ডায়মন্ড হারবার মহকুমা কমিটির সম্পাদক শেরিফ হোসেন পুরকাইত এই দিনকাল এর মুখোমুখি হয়ে এই প্রবণতার তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেক মানুষ যাঁরা এ দেশে জন্মেছেন তাঁদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দিতে হবে। বাঙালি বলে কাউকে কোনও রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া বা অপমান করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। আজকে আমরা যাঁর আত্মোৎসর্গ দিবস পালন করছি, সেই ক্ষুদিরাম বসু-সহ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি শহিদ হয়েছেন বাঙালি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ব্রিটিশ আমলে ভারতীয়রা ভারতীয় হওয়ার কারণে ঘৃণার পাত্র হতেন। এখন বাঙালি হওয়ার কারণে অন্য রাজ্যে অপমানিত হতে হচ্ছে। তাই ক্ষুদিরাম বসুর লড়াই বর্তমান সময়ে ভীষণ প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাশাপাশি কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিয়ে শেরিফ বলেন, ‘বর্তমানে যে অন্যায়, অত্যাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সেগুলি প্রতিহত করার চেষ্টা জারি রাখার জন্য ক্ষুদিরাম বসুর ১১৮ তম আত্মোৎসর্গ দিবসকে স্মরণ করছি আমরা। ক্ষুদিরাম আমাদের কাছে আলোকবর্তিকার মতো, যাঁরা আমাদের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন।’ আরজি কর কাণ্ডে নিহত তরুণীর বিচারের দাবিতেও এদিন আওয়াজ তোলেন সিপিডিআরএস নেতৃত্ব। 

Murder: ভয়াবহ! নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে খুন ডায়মন্ড হারবারের যুবকের

এই দিনকাল: ভয়াবহ ঘটনা ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার শুকদেবপুর গ্রামে। নেশা করার জন্য বৃদ্ধ বাবার কাছে টাকা চেয়েছিল ২৭ বছরের যুবক। কিন্তু বাবা তা না-দেওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বৃদ্ধের নাম হরেন্দ্রনাথ বৈদ্য। ৬৫ বছর বয়স তাঁর। অভিযুক্ত ছেলের নাম সুপ্রিয় বৈদ্য (২৭)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার শুকদেবপুর গ্রামের বাদিন্দা তাঁরা। শনিবার সুপ্রিয় তাঁর বাবা হরেন্দ্রনাথের কাছে টাকা চান। কিন্তু ছেলে নেশা করে টাকা ওড়াবে বলে হরেন্দ্রনাথ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। আর বাবার থেকে টাকা না পেয়ে রেগে যান সুপ্রিয়৷ বাবার সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর। অভিযোগ, তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র এনে বাবাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হরেন্দ্রনাথ। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ হরেন্দ্রনাথকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য হরেন্দ্রনাথের দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত সুপ্রিয় বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হবে সুপ্রিয়কে।’

AIMIM: বিধানসভার আগে বাংলায় মজবুত হচ্ছে মিম, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন দল থেকে ৭০০ জন ওয়েইসির দলে

এই দিনকাল: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। ভোটের ময়দানে জমি প্রস্তুত করতে ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই আবহে পিছিয়ে নেই ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিনের দল মিম (AIMIM)। বাংলায় সংগঠন মজবুত করতে ও জনভিত্তি বাড়াতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে রবিবার প্রকাশ্য জনসভা করল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। আর এই জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রায় ৭০০ জন কর্মী যোগ দিলেন মিম পার্টিতে।

রবিবার জয়নগরের বাংলার মোড়ে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। এছাড়াও ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সুজাউদ্দিন মণ্ডল, দক্ষিণ জোনের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন কাসেমি। অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের রাজ্য সভাপতি এদিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন।  জয়নগরের অনুন্নয়ন নিয়ে তিনি শাসকদলকে নিশানা করেন। এ ছাড়া বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলেন ইমরান সোলাঙ্কি। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে গিয়ে মার খাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি বলে, রোহিঙ্গা বলে বাঙালিদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাঙালিরা দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওড়িশার মতো ভিন রাজ্যে গিয়ে রাজমিস্ত্রী, জরির কাজ করেন। বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন মিমের কর্মী সমর্থকরা সমাবেশে যোগ দেন। বাংলায় এত রাজনৈতিক দল থাকতে কেন মিমের পতাকা কাঁধে তুলে নিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সমাবেশে আসা মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের কোর কমিটির নেতা সাহিদ হোসেন মোল্লা ‘এই দিনকাল’কে বলেন, ‘ভারতবর্ষের নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অবহেলিত, দলিত, আদিবাসী, ওবিসিদের জন্য যিনি সংসদে আওয়াজ তুলছেন সেই আসাদ উদ্দিন ওয়েইসির হাত শক্ত করার জন্য মিমে যোগ দিয়েছি। শুধু তাই নয় ওয়াকফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাও আমরা দেখেছি।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে মিমের উত্থান বিপাকে ফেলতে পারে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোট হাত ছাড়া হতে পারে জোড়াফুল শিবিরের।

Mamata Banerjee: প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মমতার

এই দিনকাল: নতুন সরকারি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata banerjee)। রাস্তা, নলকূপ বা ছোট খাটো উন্নয়ন কাজের জন্য রাজ্যের বুথপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দের ঘোষণা করলেন তিনি। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। নয়া এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’।

সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতে বাংলায় এই প্রথম ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ এর মত কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। রাজ্যজুড়ে আগামী ২ অগাস্ট থেকে এই কর্মসূচির সূচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোটা রাজ্যে মোট ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। তিনটে করে বুথ নিয়ে একটা কেন্দ্র হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে একদিন করে ক্যাম্প হবে। আগামী ২ অগাস্ট থেকে শুরু হবে। এই কর্মসূচি সম্পন্ন করতে ২ মাস সময় লাগবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পুজোর সময় উৎসবের জন্য ১৫দিন কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। বদলে পরবর্তী অন্যদিনগুলিতে কাজ হবে। প্রতি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যকে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ছোট কাজের জন্য আমাদের নতুন প্রকল্প – আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। মানুষের প্রকল্প নিয়ে সরকার এবার পথে নামছে। এটা ছোট্ট প্রোগ্রাম। কিন্তু পরে বিস্তৃত হবে। সারা দেশে এধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। মানুষ নিজেদের বুথ, নিজেদের গ্রামের সমস্যার সমাধান পাবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাম্পগুলিতে সারাদিন থাকবেন সরকারি অফিসাররা। বুথে মানুষজন এসে গ্রামের সমস্যার কথা জানাবেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে অফিসাররা ঠিক করবেন, কতটুকু কাজ করা যাবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে, অনলাইন পোর্টালে কাজ হবে।’ এই কর্মসূচির জন্য রাজ্যস্তরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। জেলাস্তরেও টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুথ স্তরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ তৃণমূল সরকারের। এর ফলে বুথ স্তরে জোড়াফুল শিবিরের জনভিত্তিও মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Vidyasagar University: পাঠ্যসূচিতে বিপ্লবীদের অবদান অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে নাগরিক কনভেনশন মেদিনীপুরে

এই দিনকাল: সম্প্রতি মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) স্নাতক স্তরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় শিক্ষা জগত এবং রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষী অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন মেদিনীপুরের আইনজীবীরা। এ বার নাগরিক কনভেনশন ডেকে বিপ্লবীদের অবদান পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালেন তাঁরা। রবিবার বিকেলে মেদিনীপুরে কলেজ স্কোয়ারে এই গণকনভেনশন আয়োজিত হয়।

রবিবার বিপ্লবী অনাথ বন্ধু পাঁজা, নির্মল জীবন ঘোষ, বিমল দাশগুপ্ত-সহ বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের মূর্তিতে মাল্য দান করা হয়। মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচক ও কলেজ স্কোয়ারে বিপ্লবীদের মূর্তিতে মাল্যদানের পাশাপাশি তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা। শহরের রাজপথে করা হয় পদযাত্রাও। অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জকে খুন করেছিলেন যে বিপ্লবীরা তাঁদের অবদানের কথা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান এদিন কনভেনশনের মূল উদ্যোক্তা আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত। এ ছাড়াও এদিন বিপ্লবীদের লড়াইয়ের কথা উঠে আসে পুরপিতা সৌমেন খান, ইতিহাসবিদ অভিজিৎ গুহ প্রমুখের বক্তৃতায়।

ঠিক কী নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত?  

সম্প্রতি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমেস্টার ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসে। সেখানে লেখা হয়, ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ ইতিহাস অনার্সের ‘মর্ডান ন্যাশনালিজম ইন ইন্ডিয়া’ পেপার থেকে এই প্রশ্নটি করা হয়। আদতে প্রশ্নপত্রে যাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বিপ্লবী। আর যে জেলাশাসকরা নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন, অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জ। বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ, বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন দত্তরা তিন অত্যাচারী জেলাশাসককে খুন করেছিলেন। মেদিনীপুরের মাটি যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে এক উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিল। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়। যার রেশ এখনও চলছে।

Narendra Modi: ‘অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’: মোদী

এই দিনকাল: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার দুর্গাপুরে সভা করে কার্যত ভোট প্রচারের দামামা বাজিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদী এমন সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন ভারতের ওড়িশা-সহ একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিপীড়ন করা হচ্ছে শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য। আদতে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

শুক্রবার দুর্গাপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘যে ভারতের নাগরিক নয়, অনুপ্রবেশ করেছে, তার বিরুদ্ধে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাঙালি অস্মিতার বিরুদ্ধে যে কোনও ষড়যন্ত্রকে বিজেপি সফল হতে দেবে না। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’ উল্লেখ্য, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে গত বুধবার পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শেষ হয়েছে ডোরিনা ক্রসিংয়ে। মিছিল শেষে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বাঙালি অস্মিতায় শান দিতে সচেষ্ট হয়েছে জোড়াফুল শিবির। বিজেপিকে বাঙালি বিরোধী তকমা দিয়ে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল।

যদিও শুক্রবার মোদীর সভা মঞ্চের পটভূমিতে ছিল বাংলা লেখার ছোঁয়া। জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা বলে ভাষণ শুরু করে মোদী বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে গেলেন বাঙালি অস্মিতা বিজেপির কাছে সবার উপরে। ভাষণে তুলেছেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও।

Vidyasagar University: প্রশ্নপত্র কাণ্ড: বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় অধ্যাপকের শাস্তি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি আইনজীবীদের

এই দিনকাল: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) ইতিহাসের (History) প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় বিতর্ক এখনও অব্যাহত।  এই আবহে এবার দোষী অধ্যাপকের শাস্তি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন আইনজীবীরা। মেদিনীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবীরা সম্মিলিতভাবে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা মেদিনীপুর জজ আদালতের সর্বসস্তরের আইনজীবীরা একটি অতি সংবেদনশীল এবং নিজের জীবন উৎসর্গকারী বিপ্লবীদের প্রতি অপমানজনক মন্তব্যের ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দোষী অধ্যাপকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

উল্লেখ্য, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমেস্টার ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার পর বিতর্ক তৈরি হয়। প্রশ্নপত্রে লেখা হয়, ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ ইতিহাস অনার্সের ‘মর্ডান ন্যাশনালিজম ইন ইন্ডিয়া’ পেপার থেকে এই প্রশ্নটি করা হয়। আদতে প্রশ্নপত্রে যাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বিপ্লবী। আর যে জেলাশাসকরা নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন, অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জ।বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ, বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন দত্তরা তিন অত্যাচারী জেলাশাসককে খুন করেছিলেন।

ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর। তিনি বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত, অসাবধানতাবশত এই ভুল হয়েছে।’ প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইউজি বোর্ড অফ স্টাডিজের চেয়ারম্যান এবং মডারেশন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যকে।

Kasba Rape Case: ‘মহুয়াকে ঘৃণা করি’, সুর চড়ালেন কল্যাণ, কসবা ধর্ষণকাণ্ড ক্রমশ কোন্দল বাড়াচ্ছে তৃণমূলে

এই দিনকাল: কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Kasba Rape Case) ঘটনায় সরব হচ্ছে বিরোধীরা। এই আবহে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ক্রমশ বেআব্রু হয়ে পড়ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mohua Moitra) ‘ঘৃণা করি’ বলে মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা।

কী নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলের দুই সাংসদের মধ্যে?

গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যারা ধরা পড়েছে সেই তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এননকি নির্যাতিতা তরুণীও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী। ২৬ জুন নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগ জানানোর পর ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। বিরোধীরা শাসকদলকে নিশানা করতে শুরু করে। সেই আবহে ২৮ জুন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, তবে নিরাপত্তা কী ভাবে দেবে।’ কল্যাণের এই মন্তব্যের পর দল দূরত্ব বাড়ায়। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি যদি ওখানে না যেত তাহলে এরকম ঘটনা ঘটত না। গেছিল যখন অন্তত কয়েকজন বন্ধুকে বলে বা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারত। তাহলে এমন হত না। অভিযুক্তরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।’

কল্যাণ এবং মদনের বক্তব্য জোড়াফুল শিবির সমর্থন করে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বিবৃতি দিয়ে। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—মহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’

দলের এই বিবৃতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘ভারতে নারীবিদ্বেষ দলের গণ্ডিতে আটকে নেই। কিন্তু তৃণমূলকে অন্যদের থেকে আলাদা করে একটাই বিষয়, আমরা এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করি, তা সে যে-ই করুন না কেন।’ আর এর পরেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে কল্যাণ জানান তিনি মহুয়াকে ঘৃণা করেন তবে তিনি নারী বিদ্বেষী নন।

Kaliganj Tamanna News: তামান্না খুনের প্রতিবাদে ২৮ জুন সিপিএমের বিক্ষোভ সমাবেশ, থাকবেন সেলিম, মীনাক্ষীরা

এই দিনকাল: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোঁড়া বোমায় খুন হয়েছে নাবালিকা তামান্না খাতুন (Kaliganj Tamanna News)। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল সিপিএম (CPIM)। আগামী ২৮ জুন কালীগঞ্জে এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম দলটি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে সিপিএম। ঘটনার দিন নিহত তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএমের যুব শাখা ডিওয়াইএফআই এর নেতা কর্মীরা। এবার ২৮ জুন বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলেন মহম্মদ সেলিমরা। উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সেই জয় উদযাপনে বিজয় মিছিল বের করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকে মেলেন্দি এলাকায় বোমা ছোঁড়া হয়। সেই বোমায় গুরুতর জখম হয় তামান্না। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।  

অন্য দিকে বুধবার দুপুরে তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মোলান্দি গ্রামে যান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি নাবালিকার মা-বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বললে তা প্রত্যাখ্যান করে তামান্নার পরিবার।

Migrant Labour: বিজেপি শাসিত রাজস্থানে টার্গেট বাঙালি শ্রমিকরা, বাংলাদেশি সন্দেহে আটক ৩০০ এর বেশি, ক্ষুব্ধ মমতা

এই দিনকাল: বাংলা ভাষায় কথা বলার জেরে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে রাজস্থানে আটকে রাখা হল এ রাজ্যের ৩০০ এর বেশি বাঙালি শ্রমিককে (Migrant Labour)। বাংলাদেশি সন্দেহে যাদেরকে রাজস্থানে আটক করা হয়েছে, আদতে তারা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার তিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজস্থানের ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা যদি বন্ধ না হয়, বাংলার মানুষের প্রতি এই অন্যায় যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা কড়া আন্দোলনে নামব। বাংলাকে হেয় করার কোনও চেষ্টাই বরদাস্ত করব না।’রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলা ভাষায় কথা বললেই কি অপরাধ? তাহলে বলে দেওয়া হোক, বাংলা ভাষা নিষিদ্ধ। রাজস্থানে যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁরা কারও বাবা, কারও ভাই, কারও সন্তান। তাঁরা কেউ বাংলাদেশি নন- তাঁরা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার এলাকার বাসিন্দা, ভারতের নাগরিক।’

ভিন রাজ্যে আটকে রাখা শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেন আটকে থাকা শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য। পাশাপাশি এদিন হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা যদি বন্ধ না হয়, বাংলার মানুষের প্রতি এই অন্যায় যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা কড়া আন্দোলনে নামব। বাংলাকে হেয় করার কোনও চেষ্টাই বরদাস্ত করব না।’