Category Archives: পশ্চিমবঙ্গ

SIR: এসআইআর-এ কোন নথি প্রয়োজন? দেখে নিন সম্পূর্ণ তালিকা

এই দিনকাল: বঙ্গে শুরু হয়ে গিয়েছে স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR)। ভোটার তালিকা স্বচ্ছ ও ত্রুটিমুক্ত করতে নির্বাচন কমিশন দেশজুড়ে ধাপে ধাপে এই বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা শুরু করেছে বলে দাবি। যদিও বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছে, প্রকৃত ভোটারের নাম বাদ গেলে বৃহত্তর আন্দোলনে নামার। কোন কোন নথি এসআইআর এর জন্য প্রয়োজন সে বিষয়ে কমিশনের তরফে স্পষ্ট ভাবে জানানো হয়েছে।

নির্বাচন কমিশন সূত্রের খবর, ২০০২ সালে ভোটার তালিকায় যাঁদের নাম রয়েছে, তাঁদের আলাদা করে নথি জমা দিতে হবে না। নথি দিতে হবে না যাঁদের বাবা, মায়ের নাম ২০০২ সালের ভোটার তালিকায় রয়েছে তাঁদেরকেও। পাশাপাশি যাঁদের নাম ২০০২ সালের তালিকায় নেই বা যাঁদের বাবা, মায়ের নাম ওই তালিকায় নেই তাঁদের জন্য ১১টি নথির একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে কমিশনের তরফে। এই তালিকায় থাকা যে কোনও একটি নথি দিলে এসআইআর প্রক্রিয়ায় নাম তোলা যাবে।

এক নজরে ১১ নথি

১) কেন্দ্রীয় সরকার অথবা রাজ্য সরকারের কর্মী হিসাবে কর্মরত ছিলেন বা পেনশন পান এমন নথি।

২) ১৯৮৭ সালের ১ জুলাইয়ের আগে ব্যাঙ্ক, পোস্ট অফিস, এলআইসি, স্থানীয় প্রশাসনের তরফে দেওয়া আপনার নামে থাকা যে কোনও নথি। 

৩) জন্ম শংসাপত্র। 

৪) পাসপোর্ট। 

৫) মাধ্যমিক বা তার উর্ধ্বে কোনও শ্রেণীর শিক্ষাগত শংসাপত্র।

৬) রাজ্য সরকারের দেওয়া স্থায়ী বাসিন্দা শংসাপত্র। 

৭) বন অধিকার শংসাপত্র। 

৮) এসসি, এসটি, ওবিসি বা অন্য কোনও জাতিগত শংসাপত্র।

৯) জাতীয় নাগরিকপঞ্জী বা এনআরসি।

১০) রাজ্য সরকার বা স্থানীয় প্রশাসনের দেওয়া ফ্যামিলি রেজিস্ট্রার।

১১) জমি অথবা বাড়ির দলিল।

কমিশন জানিয়েছে, আধার কার্ড যেহেতু নাগরিকত্বের প্রমাণ নয়, তাই আধারের সঙ্গে উপরের যে কোনও একটা নথি দিতে হবে। 

উল্লেখ্য, পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালুর কথা সোমবার ঘোষণা করেছেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাট, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হয়ে গিয়েছে। ওই দিন থেকে এই রাজ্যগুলিতে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ চালু হয়েছে। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। 

কমিশনের তরফে জানানো হয়েছে, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে। চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে ৯ ডিসেম্বর। সেই তালিকা নিয়ে যদি কারোর অভিযোগ থাকে তাহলে তা জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ৮ জানুয়ারির মধ্যে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবশেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি।

SIR: এসআইআর চালু হয়ে গেল পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে, ৪ নভেম্বর থেকে দেওয়া হবে ফর্ম

এই দিনকাল: পশ্চিমবঙ্গ-সহ দেশের ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR) প্রক্রিয়া চালু হয়ে গেল। সোমবার মধ্যরাতে এই ১২ রাজ্যের ভোটার তালিকা ফ্রিজ করা হবে। এর পর ২৮ অক্টোবর থেকে এই রাজ্যগুলিতে শুরু হবে এনুমেরেশন ফর্ম ছাপা এবং বিএলওদের প্রশিক্ষণের কাজ। যা চলবে আগামী ৩ নভেম্বর পর্যন্ত। 

সোমবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার। তিনি ঘোষণা করেন, বাড়ি বাড়ি গিয়ে এনুমেরেশন ফর্ম দেওয়া হবে ৪ নভেম্বর থেকে। এই ফর্ম বিতরণ চলবে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর পর খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশিত হবে আগামী ৯ ডিসেম্বর। সেই তালিকা নিয়ে যদি কারোর অভিযোগ থাকে তাহলে তা জানাতে হবে ৯ ডিসেম্বর থেকে আগামী বছর ৮ জানুয়ারির মধ্যে। অভিযোগ খতিয়ে দেখার কাজ চলবে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত। সবশেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ হবে ৭ ফেব্রুয়ারি। 

কোন ১২ রাজ্যে এসআইআর? নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, উত্তরপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তীসগঢ়, গোয়া, গুজরাট, কেরল, লাক্ষাদীপ, মধ্যপ্রদেশ, পুদুচেরি, আন্দামান ও নিকোবরে ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষার কাজ হবে। এই ১২ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মোট ভোটার রয়েছে প্রায় ৫১ কোটি। 

প্রসঙ্গত, পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, গোয়া, গুজরাট এবং পুদুচেরিতে বিধানসভা নির্বাচন রয়েছে আগামী বছর অর্থাৎ ২০২৬ সালে। উত্তরপ্রদেশে বিধানসভা নির্বাচন আয়োজিত হবে ২০২৭ সালে। তবে অসমে আগামী বছর বিধানসভা নির্বাচন থাকলেও সে রাজ্যে এখনই এসআইআর করা হচ্ছে না। কারণ হিসাবে কমিশন জানিয়েছে, অসমে নাগরিকত্বের বিধি দেশের বাকি রাজ্যের থেকে আলাদা। 

Murder: ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করে থানায় হাজির শিক্ষক

এই দিনকাল: নিজের স্ত্রীকে নৃশংস ভাবে খুনের (Murder) অভিযোগ উঠল এক গৃহশিক্ষকের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, জীবনসঙ্গীকে প্রাণে মেরে ফেলে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেছেন অভিযুক্ত। ঘটনাটি ঘটেছে দুর্গাপুরের ধোবি ঘাট এলাকায়। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত শিক্ষকের নাম দুর্গা দাস। শুক্রবার সন্ধ্যায় নিজের স্ত্রীকে মর্মান্তিকভাবে খুন করেন। এর পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন ওই ব্যক্তি। এদিন সন্ধ্যা সাড়ে সাতটা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে। এমন মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকায় শোরগোল পড়ে যায়। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, কাটারি বা ওই জাতীয় ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীকে খুন করেছে অভিযুক্ত। নিহত স্ত্রীর নাম মুকুল কর বলে জানিয়েছে পুলিশ। তবে ঠিক কী কারণে খুন, সে বিষয়ে ধন্দে রয়েছেন তদন্তকারীরা। খুনের কারণ সম্পর্কে এখনও স্পষ্ট কিছু জানা যায়নি।

অন্য দিকে ঘটনার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। দুর্গাপুর মহকুমা হাসপাতালে দেহ পাঠানো হয়েছে। পারিবারিক অশান্তি, নাকি অন্য কোনও কারণে এই নির্মম হত্যাকাণ্ড তা জানতে দুর্গাপুর থানার পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদের পাশাপাশি প্রতিবেশীদের সঙ্গে কথা বলেন তদন্তকারীরা।

North Bengal: ধসবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে রেড ভলান্টিয়ার, হেল্পলাইন চালু করল সিপিএম

এই দিনকাল: টানা বৃষ্টি এবং ধসের ফলে বিপর্যস্ত পাহাড়। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক-সহ পার্বত্য এলাকায় দুর্ভোগে মানুষ ও বন্যপ্রাণী। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। এই আবহে যে কোনও প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ভলান্টিয়ারদের হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করল সিপিআইএম।

রবিবার নিজেদের সমাজ মাধ্যমে রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে বাম দলটি। দার্জিলিং জেলায় যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত সিপিএমের তরফে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই জেলায় রেড ভলান্টিয়াররা হলেন, শচীন খাতি -9907070824, সাগর শর্মা -7908981149, নান্টু কুন্ডু-7001313766, অঙ্কিত দে- 9064551177, তন্ময় অধিকারী- 7679918840, বুলেট সিং- 9641487529, অভিজিৎ চন্দ -7001331214, গৌরব ঘোষ- 7584819639, বাবুসোনা সুত্রধর- 9832322763, সম্রাট সাহা -8918749146, লক্ষণ সাহানি- 9474026640, দীপঙ্কর সরকার -7811071313।

এ ছাড়া জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা কবলিত এলাকায়

যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে

8918540563 এবং 9749612896 নম্বরে।আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন নম্বর 9064234866, 9735221810। কোচবিহার জেলায় রেড ভলান্টিয়ারদের যোগাযোগ নম্বর 7001763075, 8759634005, 6294020076 এবং 7319589085।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের বহু জায়গায় ধস নেমেছে। যার ফলে একাধিক রাস্তা বন্ধ। তিস্তা নদীর জল উঠে এসেছে জাতীয় সড়কের উপরেও। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিধ্বস্ত পার্বত্য এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

CPDRS: কুলতলিতে মহিলাকে গণধর্ষণ, দোষীদের শাস্তির দাবি সিপিডিআরএস-এর 

এই দিনকাল: গোটা রাজ্য যখন উৎসবে সামিল সেই সময় ভয়াবহ গণধর্ষণের (Gang Rape) ঘটনা ঘটে গেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলতলিতে। গত ৩০ সেপ্টেম্বর, অষ্টমীর রাতে ষাটোর্ধ্ব এক মহিলাকে নৃশংস ভাবে গণধর্ষণ করা হয় বলে অভিযোগ। যে ঘটনার পর শুক্রবার নির্যাতিতা মহিলা ও তাঁর পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস (CPDRS) এর অনুসন্ধানী দল। এদিন নির্যাতিতার কাছ থেকে ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শোনার পাশাপাশি গোটা ঘটনায় দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের নেতৃত্ব।

নির্যাতিতার পরিবার জানায়, ৩০ সেপ্টেম্বর গভীর রাতে তিন জন আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে ভয় দেখিয়ে মহিলাকে ধর্ষণ করে। শুধু তাই নয় তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্তরা। পরে নির্যাতিতার ছেলে, বৌমা ও প্রতিবেশীরা তাঁকে উদ্ধার করেন। এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও অধরা এক অভিযুক্ত। উল্লেখ্য, তিন অভিযুক্তের মধ্যে এক জন আগেই ধর্ষণ মামলায় জেল খেটেছে। আরেক জনের বিরুদ্ধে পকসো মামলা বিচারাধীন রয়েছে। মানবাধিকার সংগঠনের দাবি, এলাকায় নারী নিরাপত্তার যে ভয়াবহ সঙ্কট, এই ঘটনা তা প্রকাশ্যে এনে দিয়েছে।

সিপিডিআরএস এর অনুসন্ধানী দলের সদস্য সেরিফ হোসেন পুরকাইত এদিন বলেন, ‘এক জন ষাট বছরের বৃদ্ধা মহিলাকে ধর্ষণের স্বীকার হতে হলো। এ সভ্যতার লজ্জা! সামাজিক  মূল্যবোধ বলে আর কিছু নেই। প্রশাসনের হাল তথৈবচ।’

Canning Murder: ক্যানিংয়ে মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুন: পরিবারের সঙ্গে দেখা করল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস

এই দিনকাল: দক্ষিণ ২৪ পরগনার তালদিতে (Canning Murder) মুসলিম যুবককে পিটিয়ে খুনের ঘটনায় নিহতের পরিবারের সঙ্গে দেখা করল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস। বুধবার সংগঠনের সহ সম্পাদক সুভাষ জানা, ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সেরিফ হোসেন পুরকাইত-সহ চার সদস্যের প্রতিনিধিদল নিহত যুবকের বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সঙ্গে কথা বলে। এদিন সংঠনের নেতৃত্ব দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

উল্লেখ্য, গত ২ সেপ্টেম্বর রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঘুটিয়ারি শরিফের শেখ নাজিম উদ্দিন নামের এক যুবককে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগ, রাতে শেষ ট্রেনে ফেরার সময় ভুল করে তালদিতে নেমে পড়ার পর তাঁকে বেধড়ক মারধর করে স্থানীয় একদল মদ্যপ দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার পর ওই যুবকের মৃত্যু হয়। বুধবার ঘটনার সত্যতা যাচাই করতে এবং অপরাধীদের শাস্তির দাবিতে সিপিডিআরএস-এর রাজ্য সহ-সম্পাদক সুভাষ জানার নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং টিম পরিবারে সঙ্গে দেখা করে। 

নিহত শেখ নাজিম উদ্দিনের ছয় বছরের নাবালক ছেলে রয়েছে। পরিবারের তরফে নাজিমের স্ত্রী অভিযোগ করেন, সিসি টিভিতে দোষীদের চিহ্নিত করা গেলেও, পুলিশ সবাইকে এখনও গ্রেফতার করেনি। তিনি আরও বলেন, অতি দ্রুত তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। সিপিডিআরএস-এর সহ সম্পাদক সুভাষ জানা এদিন বলেন ‘রাজ্যজুড়ে পিটিয়ে মারার একাধিক ঘটনা ঘটছে। তালদি স্টেশনের মতো জায়গায় এরকম ঘটনা প্রমাণ করে, রাজ্যে নাগরিকের নিরাপত্তা কোথায়! অতি দ্রুত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।’ নাজিমের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর ডায়মন্ড হারবার সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক সেরিফ হোসেন পুরকাইত বলেন, ‘অভিযুক্ত দুষ্কৃতীরা মদ্যপ অবস্থায় ছিল। রাজ্যজুড়ে মদের ঢালাও লাইসেন্স প্রদান অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত।’

Mahua Moitra: অমিত শাহর মাথাটা কেটে…’, বেলাগাম মন্তব্য মহুয়ার

এই দিনকাল: বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের সংবাদের শিরোনামে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ মহুয়া মৈত্র (Mahua Moitra)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Amit Shah) নিয়ে বেনজির মন্তব্য করলেন তিনি। সৌজন্য ও শালীনতার সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করায় তৃণমূল সাংসদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। 

ঠিক কী বলেছেন মহুয়া মৈত্র? বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে কৃষ্ণনগরের তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘যেটা ভারতের সীমান্ত আছে, বাহিনী সেটা রক্ষার দায়িত্বে আছে। সরাসরি সেটা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের দায়িত্ব। সেটা সরাসরি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব। প্রধানমন্ত্রী ১৫ অগাস্ট, তিনি লালকেল্লায় দাঁড়িয়ে বলছিলেন যে, অনুপ্রবেশকারী, অনুপ্রবেশকারী, ভারতে আমাদের জনবিন্যাস, সেটা নাকি বদলে যাচ্ছে। ডেমোগ্রাফিক একটা চেঞ্জ হচ্ছে। এসব বলছিলেন। তিনি যখন এসব কথা বলছিলেন, প্রথম সারিতে তাঁর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নির্লজ্জভাবে দাঁড়িয়ে হেঁ হেঁ করে হেসে তিনি হাততালি দিচ্ছিলেন। আমি জিজ্ঞেস করছি, যদি ভারতের সীমান্ত আমাদের রক্ষা করার কেউ নেই, যদি অন্য দেশের মানুষরা রোজ শয়ে শয়ে, লাখে লাখে, কোটি কোটিতে ঢুকে যাচ্ছে, যে আমাদের মা, বোনদের উপর চোখ দিচ্ছে, আমাদের জমি কেড়ে নিচ্ছে, তোমার প্রথমেই তো অমিত শাহর মাথাটা কেটে তোমার টেবিলে দেওয়া উচিত।’ প্রসঙ্গত, গত ১৫ অগাস্ট, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লা থেকে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এদিন সেই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে অমিত শাহকে বেলাগাম আক্রমণ করেন মহুয়া।

তৃণমূল সাংসদের এমন মন্তব্যে স্বাভাবিক ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কৃষ্ণনগরের কোতোয়ালি থানায় পদ্ম শিবিরের তরফে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন আগামী বছর হওয়ার কথা। তার আগে রাজনীতির ময়দানে সুর চড়াতে শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। তৃণমূল কংগ্রেস ক্রমশ বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নিপীড়নের অভিযোগ নিয়ে সরব হতে শুরু করেছে। অন্য দিকে বিজেপির প্রচারে অস্ত্র করা হয়েছে অনুপ্রবেশ ইস্যুকে।

Mohan Bhagwat: ‘একসঙ্গে মিলেমিশে চলাই হিন্দুত্ব’, বার্তা ভাগবতের, শুভেন্দু শুনবেন?

এই দিনকাল: বিভেদ নয়, সম্প্রীতিই হিন্দুত্বের মূল সুর। এমনটাই দাবি করলেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘের প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন ভাগবত। যখন একাধিক রাজ্যে হিন্দু-মুসলমান বিভেদ ক্রমশ মাথাচড়া দিচ্ছে, সেই আবহে আরএসএস প্রধানের এমন মন্তব্য তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। প্রসঙ্গত পশ্চিমবঙ্গের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীও (Suvendu Adhikari) এই বিভাজনকারীদের দলে নাম লিখিয়েছেন। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি নিজেকে ‘হিন্দুদের বিধায়ক’ বলে দাবি করেছিলেন। কী ভাবে একজন জনপ্রতিনিধি এমন মন্তব্য করতে পারেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল।

‘আরএসএসের ১০০ বছরের যাত্রা: নতুন দিগন্ত’ শীর্ষক তিন দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। সেই অনুষ্ঠান মঞ্চে ভাষণ দেওয়ার সময় মোহন ভাগবত এদিন বলেন, ‘মুসলিমরা আল্লাহ, নবী এবং কোরানে বিশ্বাস করে। হিন্দুরা বিশ্বাস করে ঈশ্বর, বেদ এবং অনেক দেবদেবীর উপর। পৃথিবীতে অসংখ্য পথ রয়েছে – কিছু দ্রুত লক্ষ্যে পৌঁছায়, কিছু ধীরে ধীরে।’ তিনি বলেন, ‘হিন্দু’ নামটি ব্যবহার করলে সেই সঙ্গে দেশের প্রতি দায়িত্বও পালন করতে হবে। ভাগবত বলেন, ‘শেষ পর্যন্ত, সমস্ত পথই বৈধ। নিজের পথে বিশ্বাস রাখো, অন্যের পথকে সম্মান করো, এবং সেগুলো পরিবর্তন করার চেষ্টা করো না। একসঙ্গে মিলেমিশে চলো – এটাই হিন্দু পথের মূল বাণী।’ 

অন্য দিকে ঠিক কী বলেছিলেন শুভেন্দু অধিকারী? গত ফেব্রুয়ারি মাসে এক সভায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ভাষণ দেওয়ার সময় বলেছিলেন, ‘আমি শুভেন্দু অধিকারী। আমি সবার বিধায়ক নই। আমাকে হিন্দুরা এমএলএ করেছে। আমি হিন্দুদের বিধায়ক। হিন্দুদের হিতে কাজ করি।’ প্রসঙ্গত বর্তমানে শুভেন্দু অধিকারী যে রাজনৈতিক দলের সদস্য, সেই বিজেপি সঙ্ঘ পরিবারের মতাদর্শ অনুসরণ করে, এটি সর্বজনবিদিত। সমালোচকদের প্রশ্ন, শুভেন্দু অধিকারী কি সঙ্ঘ প্রধান মোহন ভাগবতের চেয়ে বড় হিন্দু? যেখানে হিন্দু রাষ্ট্র প্রসঙ্গে ভাগবতের উচ্চারণ, ‘একটি ‘হিন্দু রাষ্ট্র’ ক্ষমতা বা কর্তৃত্বের বিষয় নয়। এই ‘রাষ্ট্রে’ সকলের সঙ্গে ন্যায়বিচার এবং সমতার সঙ্গে আচরণ করা হয়। ‘রাষ্ট্র’ মানে এই নয় যে আমরা কাউকে বাদ দিচ্ছি, এটি সর্বদা অন্তর্ভুক্তিমূলক।’ কিন্তু শুভেন্দু কি শুনবেন?

Mamata Banerjee: বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের হেনস্থার বিরুদ্ধে ফের সরব মমতা

এই দিনকাল: কর্মসূত্রে ভিনরাজ্যে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নিপীড়নের একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। বিশেষ করে বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে আগেই সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ফের এক বার এই বিষয়ে সুর চড়ালেন তিনি। মঙ্গলবার বর্ধমানে প্রশাসনিক সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফিরে আসার আহ্বান জানান। 

মুখ্যমন্ত্রী (Mamata Banerjee) বলেন, বাংলা থেকে ২২ লক্ষ শ্রমিক ভিন রাজ্যে গিয়ে কাজ করেন। ওঁদেরকে দয়া করে নিয়ে যাওয়া হয়নি। কেউ সোনার কাজ ভাল করেন। কেউ জামা-কাপড় ভাল তৈরি করেন। কেউ নির্মাণকাজে দক্ষ। তাঁদেরকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে জামাই আদর করে। কিন্তু তাঁদের ভাগ্যে আজ জুটছে অত্যাচার। মমতা প্রশ্ন করেন, কেন ওড়িশা, হরিয়ানা, মহারাষ্ট্র, গুজরাটে বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে? অন্যান্য রাজ্য থেকেও অনেকে এই বাংলায় এসে পেটের ভাত জোটাচ্ছেন, এদিন সেই বিষয়টিও মনে করিয়ে দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, অন্য রাজ্যের দেড় কোটি মানুষও এই বাংলায় রয়েছেন। তাঁদের উপর এখানে কোনও অত্যাচার করা হয় না। তাহলে কেন বাঙালি শ্রমিকদের হেনস্থা করা হচ্ছে?

বর্ধমানের মঞ্চ থেকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলায় ফিরে আসার বার্তা দেন। তিনি বলেন, যাঁরা ফিরে আসবেন তাঁদের জন্য শ্রমশ্রী প্রকল্প রয়েছে। রাজ্য সরকার পোর্টালও চালু করেছে। ফিরে এলেই তাঁদের ৫ হাজার টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। যতদিন না শ্রমিকেরা কাজ খুঁজে পাচ্ছেন— একবছর পর্যন্ত প্রতি মাসে তাঁদের পাঁচ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে শ্রমিকের সন্তানদের সরকারি স্কুলে পড়াশোনার ব্যবস্থা থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসাথী, খাদ্যসাথী-সহ সমস্ত সরকারি প্রকল্প আওতায় তাঁদের নিয়ে আসা হবে।

Shramshree: পরিযায়ী শ্রমিকরা রাজ্যে ফিরলে প্রতি মাসে পাবেন ৫ হাজার টাকা, নয়া ‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্পের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: দেশের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালি শ্রমিকদের উপর অত্যাচার ও নিপীড়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই আবহে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের জন্য নয়া প্রকল্প ‘শ্রমশ্রী’ (Shramshree) চালু করার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ভিন রাজ্য থেকে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকরা নিজের রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করবে রাজ্য সরকার। যত দিন না তাঁরা কাজ পাচ্ছেন এক বছর পর্যন্ত সরকারের তরফে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা করে দেওয়া হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর সাংবাদিকদের এ কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী।

মুখ্যমন্ত্রী সোমবার বলেন, ভিনরাজ্যের কাজ ছেড়ে বাংলায় পরিযায়ী শ্রমিকরা ফিরে আসার পর পোর্টালে নাম নথিভুক্ত করতে হবে। এটি করলে সমস্ত সরকারি সুবিধা পাবেন তাঁরা। এ ছাড়া যাঁদের প্রশিক্ষণ দরকার তাঁদেরকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে বলে জানান রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। পরিযায়ী শ্রমিক রাজ্যে ফিরে এলে তাঁদের খাদ্যসাথী কার্ড, স্বাস্থ্য সাথী কার্ড করে দেওয়া হবে বলেও জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁদের ছেলেমেয়েদের পড়াশোনারও সুবিধা করে দেবে রাজ্য সরকার।

‘শ্রমশ্রী’ প্রকল্প নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘মন্ত্রিসভায় একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে.. বিভিন্ন রাজ্যে ডবল ইঞ্জিন সরকার চলছে। বাংলা ভাষায় কথা বললে হেনস্থা করা হচ্ছে। প্রায় ২২ লক্ষ পরিযায়ী শ্রমিকদের মধ্যে বেশিরভাগ হেনস্থার স্বীকার হয়েছেন। পরিযায়ী শ্রমিক যারা ফিরে আসছেন হেনস্থা হয়ে, আমরা এটা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বাংলার বাইরে যারা পরিযায়ী শ্রমিক তাদের পুনর্বাসনের জন্য একটা পরিকল্পনা করেছি ‘শ্রমশ্রী’।’ তিনি আরও বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত ১০ হাজার ফিরে এসেছে। ‘শ্রমশ্রী’ পোর্টাল-এর মাধ্যমে তাঁরা আবেদন করবেন। তাঁদের একটা কার্ড দেওয়া হবে। জেলাশাসক, বিডিও, আইসি-দের বলব তাঁদের চিহ্নিত করতে।’