Category Archives: পশ্চিমবঙ্গ

Mamata Banerjee: প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মমতার

এই দিনকাল: নতুন সরকারি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata banerjee)। রাস্তা, নলকূপ বা ছোট খাটো উন্নয়ন কাজের জন্য রাজ্যের বুথপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দের ঘোষণা করলেন তিনি। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। নয়া এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’।

সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতে বাংলায় এই প্রথম ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ এর মত কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। রাজ্যজুড়ে আগামী ২ অগাস্ট থেকে এই কর্মসূচির সূচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোটা রাজ্যে মোট ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। তিনটে করে বুথ নিয়ে একটা কেন্দ্র হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে একদিন করে ক্যাম্প হবে। আগামী ২ অগাস্ট থেকে শুরু হবে। এই কর্মসূচি সম্পন্ন করতে ২ মাস সময় লাগবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পুজোর সময় উৎসবের জন্য ১৫দিন কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। বদলে পরবর্তী অন্যদিনগুলিতে কাজ হবে। প্রতি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যকে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ছোট কাজের জন্য আমাদের নতুন প্রকল্প – আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। মানুষের প্রকল্প নিয়ে সরকার এবার পথে নামছে। এটা ছোট্ট প্রোগ্রাম। কিন্তু পরে বিস্তৃত হবে। সারা দেশে এধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। মানুষ নিজেদের বুথ, নিজেদের গ্রামের সমস্যার সমাধান পাবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাম্পগুলিতে সারাদিন থাকবেন সরকারি অফিসাররা। বুথে মানুষজন এসে গ্রামের সমস্যার কথা জানাবেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে অফিসাররা ঠিক করবেন, কতটুকু কাজ করা যাবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে, অনলাইন পোর্টালে কাজ হবে।’ এই কর্মসূচির জন্য রাজ্যস্তরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। জেলাস্তরেও টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুথ স্তরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ তৃণমূল সরকারের। এর ফলে বুথ স্তরে জোড়াফুল শিবিরের জনভিত্তিও মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Vidyasagar University: পাঠ্যসূচিতে বিপ্লবীদের অবদান অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে নাগরিক কনভেনশন মেদিনীপুরে

এই দিনকাল: সম্প্রতি মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) স্নাতক স্তরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় শিক্ষা জগত এবং রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষী অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন মেদিনীপুরের আইনজীবীরা। এ বার নাগরিক কনভেনশন ডেকে বিপ্লবীদের অবদান পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালেন তাঁরা। রবিবার বিকেলে মেদিনীপুরে কলেজ স্কোয়ারে এই গণকনভেনশন আয়োজিত হয়।

রবিবার বিপ্লবী অনাথ বন্ধু পাঁজা, নির্মল জীবন ঘোষ, বিমল দাশগুপ্ত-সহ বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের মূর্তিতে মাল্য দান করা হয়। মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচক ও কলেজ স্কোয়ারে বিপ্লবীদের মূর্তিতে মাল্যদানের পাশাপাশি তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা। শহরের রাজপথে করা হয় পদযাত্রাও। অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জকে খুন করেছিলেন যে বিপ্লবীরা তাঁদের অবদানের কথা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান এদিন কনভেনশনের মূল উদ্যোক্তা আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত। এ ছাড়াও এদিন বিপ্লবীদের লড়াইয়ের কথা উঠে আসে পুরপিতা সৌমেন খান, ইতিহাসবিদ অভিজিৎ গুহ প্রমুখের বক্তৃতায়।

ঠিক কী নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত?  

সম্প্রতি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমেস্টার ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসে। সেখানে লেখা হয়, ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ ইতিহাস অনার্সের ‘মর্ডান ন্যাশনালিজম ইন ইন্ডিয়া’ পেপার থেকে এই প্রশ্নটি করা হয়। আদতে প্রশ্নপত্রে যাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বিপ্লবী। আর যে জেলাশাসকরা নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন, অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জ। বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ, বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন দত্তরা তিন অত্যাচারী জেলাশাসককে খুন করেছিলেন। মেদিনীপুরের মাটি যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে এক উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিল। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়। যার রেশ এখনও চলছে।

Narendra Modi: ‘অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’: মোদী

এই দিনকাল: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার দুর্গাপুরে সভা করে কার্যত ভোট প্রচারের দামামা বাজিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদী এমন সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন ভারতের ওড়িশা-সহ একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিপীড়ন করা হচ্ছে শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য। আদতে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

শুক্রবার দুর্গাপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘যে ভারতের নাগরিক নয়, অনুপ্রবেশ করেছে, তার বিরুদ্ধে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাঙালি অস্মিতার বিরুদ্ধে যে কোনও ষড়যন্ত্রকে বিজেপি সফল হতে দেবে না। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’ উল্লেখ্য, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে গত বুধবার পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শেষ হয়েছে ডোরিনা ক্রসিংয়ে। মিছিল শেষে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বাঙালি অস্মিতায় শান দিতে সচেষ্ট হয়েছে জোড়াফুল শিবির। বিজেপিকে বাঙালি বিরোধী তকমা দিয়ে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল।

যদিও শুক্রবার মোদীর সভা মঞ্চের পটভূমিতে ছিল বাংলা লেখার ছোঁয়া। জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা বলে ভাষণ শুরু করে মোদী বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে গেলেন বাঙালি অস্মিতা বিজেপির কাছে সবার উপরে। ভাষণে তুলেছেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও।

Vidyasagar University: প্রশ্নপত্র কাণ্ড: বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় অধ্যাপকের শাস্তি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি আইনজীবীদের

এই দিনকাল: পশ্চিম মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) ইতিহাসের (History) প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় বিতর্ক এখনও অব্যাহত।  এই আবহে এবার দোষী অধ্যাপকের শাস্তি চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন আইনজীবীরা। মেদিনীপুর জেলা জজ আদালতের আইনজীবীরা সম্মিলিতভাবে ওই চিঠি পাঠিয়েছেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ‘আমরা মেদিনীপুর জজ আদালতের সর্বসস্তরের আইনজীবীরা একটি অতি সংবেদনশীল এবং নিজের জীবন উৎসর্গকারী বিপ্লবীদের প্রতি অপমানজনক মন্তব্যের ব্যাপারে আপনার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি এবং দোষী অধ্যাপকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছি।’

উল্লেখ্য, বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমেস্টার ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার পর বিতর্ক তৈরি হয়। প্রশ্নপত্রে লেখা হয়, ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ ইতিহাস অনার্সের ‘মর্ডান ন্যাশনালিজম ইন ইন্ডিয়া’ পেপার থেকে এই প্রশ্নটি করা হয়। আদতে প্রশ্নপত্রে যাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বিপ্লবী। আর যে জেলাশাসকরা নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন, অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জ।বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ, বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন দত্তরা তিন অত্যাচারী জেলাশাসককে খুন করেছিলেন।

ইতিমধ্যে বৃহস্পতিবার সাংবাদিক বৈঠক করে এই ঘটনার জন্য ক্ষমা চেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য দীপককুমার কর। তিনি বলেন, ‘অনিচ্ছাকৃত, অসাবধানতাবশত এই ভুল হয়েছে।’ প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসার পর সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইউজি বোর্ড অফ স্টাডিজের চেয়ারম্যান এবং মডারেশন বোর্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত সদস্যকে।

Kasba Rape Case: ‘মহুয়াকে ঘৃণা করি’, সুর চড়ালেন কল্যাণ, কসবা ধর্ষণকাণ্ড ক্রমশ কোন্দল বাড়াচ্ছে তৃণমূলে

এই দিনকাল: কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Kasba Rape Case) ঘটনায় সরব হচ্ছে বিরোধীরা। এই আবহে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ক্রমশ বেআব্রু হয়ে পড়ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mohua Moitra) ‘ঘৃণা করি’ বলে মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা।

কী নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলের দুই সাংসদের মধ্যে?

গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যারা ধরা পড়েছে সেই তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এননকি নির্যাতিতা তরুণীও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী। ২৬ জুন নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগ জানানোর পর ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। বিরোধীরা শাসকদলকে নিশানা করতে শুরু করে। সেই আবহে ২৮ জুন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, তবে নিরাপত্তা কী ভাবে দেবে।’ কল্যাণের এই মন্তব্যের পর দল দূরত্ব বাড়ায়। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি যদি ওখানে না যেত তাহলে এরকম ঘটনা ঘটত না। গেছিল যখন অন্তত কয়েকজন বন্ধুকে বলে বা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারত। তাহলে এমন হত না। অভিযুক্তরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।’

কল্যাণ এবং মদনের বক্তব্য জোড়াফুল শিবির সমর্থন করে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বিবৃতি দিয়ে। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—মহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’

দলের এই বিবৃতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘ভারতে নারীবিদ্বেষ দলের গণ্ডিতে আটকে নেই। কিন্তু তৃণমূলকে অন্যদের থেকে আলাদা করে একটাই বিষয়, আমরা এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করি, তা সে যে-ই করুন না কেন।’ আর এর পরেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে কল্যাণ জানান তিনি মহুয়াকে ঘৃণা করেন তবে তিনি নারী বিদ্বেষী নন।

Kaliganj Tamanna News: তামান্না খুনের প্রতিবাদে ২৮ জুন সিপিএমের বিক্ষোভ সমাবেশ, থাকবেন সেলিম, মীনাক্ষীরা

এই দিনকাল: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোঁড়া বোমায় খুন হয়েছে নাবালিকা তামান্না খাতুন (Kaliganj Tamanna News)। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল সিপিএম (CPIM)। আগামী ২৮ জুন কালীগঞ্জে এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম দলটি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে সিপিএম। ঘটনার দিন নিহত তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএমের যুব শাখা ডিওয়াইএফআই এর নেতা কর্মীরা। এবার ২৮ জুন বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলেন মহম্মদ সেলিমরা। উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সেই জয় উদযাপনে বিজয় মিছিল বের করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকে মেলেন্দি এলাকায় বোমা ছোঁড়া হয়। সেই বোমায় গুরুতর জখম হয় তামান্না। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।  

অন্য দিকে বুধবার দুপুরে তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মোলান্দি গ্রামে যান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি নাবালিকার মা-বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বললে তা প্রত্যাখ্যান করে তামান্নার পরিবার।

Migrant Labour: বিজেপি শাসিত রাজস্থানে টার্গেট বাঙালি শ্রমিকরা, বাংলাদেশি সন্দেহে আটক ৩০০ এর বেশি, ক্ষুব্ধ মমতা

এই দিনকাল: বাংলা ভাষায় কথা বলার জেরে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে রাজস্থানে আটকে রাখা হল এ রাজ্যের ৩০০ এর বেশি বাঙালি শ্রমিককে (Migrant Labour)। বাংলাদেশি সন্দেহে যাদেরকে রাজস্থানে আটক করা হয়েছে, আদতে তারা পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) উত্তর দিনাজপুরের ইটাহারের বাসিন্দা। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মঙ্গলবার তিনি বিধানসভায় দাঁড়িয়ে এ বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

মঙ্গলবার বিধানসভায় রাজস্থানের ঘটনা প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা যদি বন্ধ না হয়, বাংলার মানুষের প্রতি এই অন্যায় যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা কড়া আন্দোলনে নামব। বাংলাকে হেয় করার কোনও চেষ্টাই বরদাস্ত করব না।’রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান প্রশ্ন তোলেন, ‘বাংলা ভাষায় কথা বললেই কি অপরাধ? তাহলে বলে দেওয়া হোক, বাংলা ভাষা নিষিদ্ধ। রাজস্থানে যাঁরা আটক হয়েছেন, তাঁরা কারও বাবা, কারও ভাই, কারও সন্তান। তাঁরা কেউ বাংলাদেশি নন- তাঁরা উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার এলাকার বাসিন্দা, ভারতের নাগরিক।’

ভিন রাজ্যে আটকে রাখা শ্রমিকদের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থকে নির্দেশ দেন আটকে থাকা শ্রমিকদের সাহায্য করার জন্য। পাশাপাশি এদিন হুঁশিয়ারির সুরে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই ঘটনা যদি বন্ধ না হয়, বাংলার মানুষের প্রতি এই অন্যায় যদি চলতেই থাকে, তাহলে আমরা কড়া আন্দোলনে নামব। বাংলাকে হেয় করার কোনও চেষ্টাই বরদাস্ত করব না।’

Kaliganj By-election: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ, কালীগঞ্জে মৃত্যু নাবালিকার

এই দিনকাল: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিজয় উল্লাসের বলি হলেন এক নাবালিকা। সোমবার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Kaliganj By-election) ফল ঘোষণা হয়েছে। এদিন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। অভিযোগ, সেই জয় উপলক্ষে জোড়াফুল শিবিরের বিজয়োল্লাস থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। আর যার জেরে মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণীর এক পড়ুয়ার।

স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত ছাত্রীর নাম তামান্না খাতুন। ১০ বছর বয়স তার। এদিন উপনির্বাচনে জয় এক প্রকার নিশ্চিত হতেই বিজয়মিছিল বের করেন কালীগঞ্জের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, কালীগঞ্জের মেলেন্দি এলাকায় সেই মিছিল থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। সেই বোমায় গুরুতর জখম হয় তামান্না। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। মৃত নাবালিকার মা সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বোমা ছুঁড়েছে।

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনায় সরব হয়েছে সিপিআইএম। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী গোটা বিষয়টি নিয়ে জোড়াফুল শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চা মেয়েটা খুন হয়ে গেল। ৯ বছর বয়স। কুৎসিত, বীভৎসতার জয় হয়েছে। জয় হয়ে লাফাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতী এবং বীভৎসতা মিলিয়ে মিশিয়ে তৃণমূল। তৃণমূলের জয় মানে দুষ্কৃতীদের পিছনে পুলিশ, প্রশাসন; তার পিছনে পুলিশমন্ত্রী। পুলিশমন্ত্রী জানেন না তৃণমূলের বিজয় মিছিলে কী হয়?’

অন্য দিকে এই ঘটনায় পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার বারোচাঁদগরে বিস্ফোরণে এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের মুহূর্তে আমার প্রার্থনা এবং ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূল ৫৫.১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ২৮.২৯ শতাংশ ভোট আর বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ১৫.২১ শতাংশ ভোট।

Road Accident: বিয়ে বাড়ি থেকে ফেরার পথে পুরুলিয়ায় গাড়ি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষ, মৃত্যু ৯ জনের

এই দিনকাল: মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা (Road Accident) পুরুলিয়ায়। ১৮ নম্বর জাতীয় সড়কের নামশোল এলাকায় শুক্রবার সকালে গাড়ি ও ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে মৃত্যু হল অন্তত ৯ জনের। নিহতরা ভিন রাজ্যের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে।

পুলিশ সূত্রে খবর, নিহতরা ঝাড়খণ্ডের নিমডি এলাকার বাসিন্দা। বিয়েবাড়ি থেকে ফিরছিলেন তাঁরা। বোলেরো গাড়িতে চেপে তাঁরা এদিন সকালে পুরুলিয়া থেকে বলরামপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারায়। নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে উল্টো দিক থেকে আসা একটি ট্রাকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় গাড়িটির। দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রাকটিও নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার ধারের জলা জমিতে উল্টে যায়।

ভয়বহ এই দুর্ঘটনার খবর দেওয়া হয় বলরামপুর থানায়। খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। বোলেরো গাড়ির ভেতর থেকে সকলকে উদ্ধার করা হয়। নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় বাঁশগড় ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে। সেখানে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক সকলকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন।

Kaliganj Assembly By-election: কালীগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন: বৃষ্টি উপেক্ষা করে ভোটকেন্দ্রে মানুষ

এই দিনকাল: চলছে বৃষ্টি। তবুও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করতে ভোটের লাইনে দাঁড়ালেন কালীগঞ্জ বিধানসভা (Kaliganj Assembly By-election) কেন্দ্রের মানুষজন। বৃহস্পতিবার সকাল ৭টা থেকে এই বিধানসভায় উপনির্বাচনের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। চলবে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত। বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে এই ভোট কার্যত ‘পরীক্ষা’ রাজ্যের শাদকদল তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে। ত্রিমুখী এই লড়াইয়ে শেষ হাসি কে হাসে সেদিকেই তাকিয়ে বঙ্গের রাজনৈতিক মহল।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে কালীগঞ্জের বিধায়ক নাসিরউদ্দিন আহমেদের মৃত্যু হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের টিকিটে তিনি বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন। বিধায়কের প্রয়াণের পর এই কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে এই কেন্দ্রে প্রার্থী করা হয়েছে প্রয়াত নাসিরউদ্দিনের মেয়ে আলিফা আহমেদকে। বিজেপি এখানে প্রার্থী করেছে আশিস ঘোষকে। বামেদের সমর্থনে কংগ্রেস কালীগঞ্জে প্রার্থী করেছে কাবিলউদ্দিন শেখকে। তিন দলের প্রার্থীই এদিন সকাল সকাল ভোট দিয়েছেন। 

নির্বাচন কমিশন সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে ১০.৮৩ শতাংশ ভোট পড়েছে। উপনির্বাচন ঘিরে নির্বাচন কমিশনও সতর্ক। কোথাও কোনও বিধি লঙ্ঘন হচ্ছে কি না সেদিকে নজর রেখেছে কমিশন। এদিনের ভোটে একাধিক বুথ চত্বর থেকে রাজনৈতিক দলের ফ্ল্যাগ, ফেস্টুন সরিয়ে দিয়েছে কমিশনের আধিকারিকরা। প্রতিটি বুথে মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তারক্ষী। লাগানো হয়েছে সিসিটিভি। ভোটের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে ১৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। রাজ্য পুলিশও পরিস্থিতির উপর নজর রাখছে।