Category Archives: কলকাতা

Kolkata Rain: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৯ জনের

এই দিনকাল: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি। সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে মহানগর কলকাতা কার্যত জলের তলায়। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সড়ক পথ থেকে রেলপথ—- যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। জলমগ্ন কলকাতায় স্তব্ধ জনজীবন। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে কম করে ৯ জনের।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, গত তিন সপ্তাহে অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ১৭৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ ২৪৭.৪ মিলিমিটার। গত ৩৯ বছর পর এক দিনে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হল কলকাতা শহরে। প্রসঙ্গত, যখন ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হয় তখন সেই অবস্থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা হয়। কলকাতায় রাত ৩টে থেকে ভোর ৪টের মধ্যে, এক ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আর ২ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টি হলে একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যেত।

অন্য দিকে, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে কলকাতার নেতাজিনগরে। এই এলাকায় ভোরে সাইকেলে নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন ফল বিক্রেতা বাবু কুণ্ডু। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই প্রাণ হারান। কালিকাপুর মোড়ে মৃত্যু হয় একই ভাবে এক ব্যক্তির। বালিগঞ্জ প্লেস, ইকবালপুরের হোসেন শাহ রোড, বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। আর এই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঠগড়ায় তুলেছেন বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে। মৃত্যুর দায় তাদের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকি বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা যাতে নিহতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেয়, তার দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সিইএসসি-র বক্তব্য, ‘রাস্তার আলোর খুঁটি এবং ট্র্যাফিক লাইটগুলি আমাদের মালিকানাধীন, রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিচালনার বিষয় নয়। এগুলি নিয়ে আমরা কাজ করি না।’ 

উল্লেখ্য, সোমবারের পর মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

Milad-un-Nabi: নবী দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মোদী, মমতা, রাহুল

এই দিনকাল: গোটা বিশ্বে পালিত হচ্ছে মহানবী হজরত মহম্মদের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে শুক্রবার সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মিলাদ উন নবী উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা। এই পবিত্র দিনটি আমাদের সমাজে শান্তি ও মঙ্গল বয়ে আনুক। করুণা, সেবা এবং ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ সর্বদা আমাদের পথ দেখাক। ঈদ মোবারক!’ 

নবী মহম্মদের জন্মদিন উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘মানবকল্যাণের পথপ্রদর্শক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিবস ‘ঈদ-এ-মিলাদুন-নবী’ উপলক্ষে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ।’

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালনীয় এই বিশেষ দিনে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা সমাজ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,’ঈদ এ মিলাদ উন নবী মুবারক! এই শুভ দিন সকলের জন্য সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’

Oplus_131072

উল্লেখ্য, হিজরি সালের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে এই রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন নবী মহম্মদ। ৬৩ বছর বয়সে ওই মাসের ১২ তারিখেই তিনি আবার প্রয়াত হন। নবী মহম্মদের জন্মদিন ‘ফাতিহায়ে দোয়াজ–দাহম’ বা ঈদ এ মিলাদ উন নবী বা নবী দিবস হিসেবে পরিচিত। ‘ফাতিহায়ে দোয়াজ-দাহম’ শব্দবন্ধটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। ‘ফাতিহা’ অর্থ প্রার্থনা করা আর ‘দোয়াজ-দাহম’ অর্থ বারো। অর্থাৎ ফাতিহায়ে দোয়াজ-দাহম বলতে বারো তারিখের প্রার্থনাকে বোঝায়।

Jadavpur University: স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে দেশের মধ্যে সেরা যাদবপুর, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর


এই দিনকাল:সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বাম রাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত রাজ্যের নামী এই বিশ্ববিদ্যালয় সর্বভারতীয় স্তরে স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে একেবারে শীর্ষ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা র্যা ঙ্কিং তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জনে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব আবারও স্বীকৃতি পেল জেনে আনন্দিত! ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক আজ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যা ঙ্কিং ঘোষণা করেছে, যার নাম ইন্ডিয়া র্যাtঙ্কিং ২০২৫ (এনআইআরএফ)। এই বছর, স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম এবং দেশের সকল বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে। এটিই একমাত্র স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় যা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার শীর্ষ ১০-এ জায়গা পেয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের গর্বিত করার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, পড়ুয়া, গবেষক এবং কর্মচারীদের আমার অভিনন্দন!’ এদিন শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে যে বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে যাদবপুর জায়গা করে নিয়েছে নবম স্থানে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলন ও সমকালীন রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলনে সামিল হন, তেমনই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও রাস্তায় নেমেছে পড়ুয়ারা। আন্দোলনের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও যে এগিয়ে তা দেখিয়ে দিল যাদবপুর।

Mamata Banerjee: ‘জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না’: মমতা

এই দিনকাল: বিহারের পর বাংলায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি এর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

নিজের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বলছি জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না। এক দিকে বিজেপি অন্য দিকে তার বন্ধু বাম। সমস্ত এজেন্সি আর ইলেকশন কমিশনের চেয়ারটাকে সম্মান করি। কিন্তু জানেন তো বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায় কিন্তু বড়রা কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে ললিপপ খেলে সেটা মানায় না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘মনে রাখবেন, আমরা ললিপপ বাচ্চাদের দিই। ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের ললিপপ দিই না। আমরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান করি। তাই আপনাদের জোর জুলুম বাংলা মানছে না, মানবে না।’ বিবেক অগ্নিহোত্রির বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এদিন নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার সিনেমা বানাচ্ছে টাকা দিয়ে। বাংলার বদনাম করার জন্য, বাংলার অসম্মান করার জন্য।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু হিংসুটে লোক আছে দেখলে জ্বলে আর লুচির মত ফোলে। ১০০ দিনের কাজে আমরা পর পর চার বছর পাঁচ বছর আমরা এক নম্বরে ছিলাম। গ্রামীণ আবাস যোজনায় এক নম্বরে ছিলাম। রাস্তা তৈরিতে এক নম্বরে ছিলাম। তাই সেলফিস জায়ান্টরা যারা হাই লোডেড ভাইরাস তারা হিংসা করে আমাদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।’ বৃহস্পতিবার ছাত্রদের সমাবেশ মঞ্চের ভাষণে তৃণমূল সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের আয় বেড়েছে সাড়ে পাঁচ গুন। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে এসেছি আমরা।’

Sealdah Railway Station: যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বড় সিদ্ধান্ত! শিয়ালদহে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে এই লোকালগুলি

এই দিনকাল: যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল। শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Railway Station) কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন ট্রেন ছাড়বে তা ঠিক করে ফেলল রেল কর্তৃপক্ষ। যতক্ষণ না অ্যানাউন্স করা হয়, বা ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা দেখানো না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীরা জানতে পারেন না কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন লোকাল ছাড়বে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই রেল স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে ট্রেন ধরতে গিয়ে যাত্রীরা যার ফলে সমস্যায় পড়েন। এ সব বিষয় মাথায় রেখে কোন লোকাল কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে তা নির্দিষ্ট করে দিল রেল।

রেল সূত্রের খবর, ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে কৃষ্ণনগর, গেদে, রানাঘাট, শান্তিপুর, নৈহাটি, কল্যাণী সীমান্ত এবং ব্যারাকপুর লোকাল৷ 

এ ছাড়া ৫ থেকে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে ডানকুনি এবং বারুইপাড়া লোকাল৷ 

৬ থেকে ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে বনগাঁ, বারাসত, হাবরা, দত্তপুকুর, গোবরডাঙা, ঠাকুরনগর, হাসনাবাদ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং মধ্যমগ্রাম লোকাল৷ 

পাশাপাশি ৯, ১১ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ছাড়বে৷ 

অন্যদিকে ১৫ থেকে ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনগুলি অর্থাৎ সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার লোকাল।

উল্লেখ্য, শিয়ালদহ ভারতের অন্যতম ব্যস্ততম রেল স্টেশন। শহরের এই রেল স্টেশনে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতিদিন এই বিভাগে ৯১৫টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।

AIMIM: ‘পশ্চিমবঙ্গের অপমান মানে দেশের অপমান’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার ইমরান

এই দিনকাল: বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)। মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করে দলটির কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্ব। এদিন মিছিলে পা মেলান মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। মিছিল থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ শানান।

মঙ্গলবার মিছিলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঙালিদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে ইমরান সোলাঙ্কি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের দেশ থেকে বের করে দিতে চাইলে আমরা পাশে আছি। কিন্তু মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ পশ্চিমবঙ্গের লোককে বাংলাদেশি দাগিয়ে দিয়ে আপনি বের করে দেবেন, তা হবে না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে মারা হচ্ছে। বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এলে আমাদের সবার উপরে আক্রমণ নামিয়ে আনবে। ওরা বাঙালিকে চায় না। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের অহঙ্কার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অপমান মানে দেশের অপমান, ভারতের অপমান।’

মঙ্গলবার মিছিলে পা মেলান মিমের কলকাতা জেলা সভাপতি নাফিস আনসারি, মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আসাদুল শেখ-সহ রাজ্য স্তরের বহু নেতা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি ইস্যুতে যে ভাবে মিম পথে নেমেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ বিভিন্ন সময়ে ‘বিজেপির বি টিম’ বলে মিমকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শাসকদল যতই এমন তকমা দিক না কেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর নিপীড়ন যে অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সহ্য করবে না, কার্যত পথে নেমে তা বুঝিয়ে দিলেন ইমরান সোলাঙ্কিরা।

History: ইতিহাস রক্ষায় বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের আয়োজন

এই দিনকাল: বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের উদ্যোগে রবিবার কলকাতার আশুতোষ মুখার্জি মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কৃষ্ণকালী মণ্ডল স্মারক বক্তৃতা’। এটি ছিল সংস্থার দ্বিতীয় বর্ষের আলোচনা। বিষয় ছিল, ‘বাংলার ইসলামি স্থাপত্যে সমন্বয়ী ধারা: সুলতানি থেকে ঔপনিবেশিক পর্ব’। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়, রঙ্গনকান্তি জানা লিখিত  ‘পুরাকীর্তির আলোকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানবসংস্কৃতির ধারা’ নামক একটি স্মারক গ্রন্থ। প্রকাশিত হয় তথাগত সেন ও রাজীব বনু সম্পাদিত গবেষণামূলক পুরাতত্ত্ব বিষয়ক পত্রিকা ‘রক্তমৃত্তিকা’র তৃতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যা।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ভাবে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। বাদ যায় না আঞ্চলিক ইতিহাসও। তবে পুরাতত্ত্ববিদ কৃষ্ণকালী মণ্ডল ছিলেন এই বিষয়ে ভীষণ সচেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। তাঁর পথ অনুসরণ করে চলেছে বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র। 

রবিবার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। প্রধান বক্তা ছিলেন ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী। উপস্থিত শ্রোতাদের জন্য ছিল বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্বও। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব প্রেমী বেশ কিছু মানুষ, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী অনুপ মতিলাল, শ্রী গৌতম বসুমল্লিক, শ্রী অমিতাভ কারকুন, শ্রী সুতনু ঘোষ, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক তথাগত সেন ও সম্পাদক রাজীব বনু জানান, বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের এবারের আয়োজন সফল। এবার থেকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুরাতত্ত্বে।

Mamata Banerjee: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালির উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠলেন মমতা

এই দিনকাল: বাঙালিদের উপর অত্যাচার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বেড়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আর এগুলি ঘটছে মূলত অসম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশার মত বিজেপি-শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে। বাঙালিদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা কিংবা জোর করে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আগেই এই নিপীড়নের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ বার এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী।

শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন এবং নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বহু-দেশীয় এনজিও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এখন বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকার কর্তৃক ভারতের বাংলাভাষী মানুষদের হয়রানি, নিপীড়ন এবং অবৈধভাবে নির্বাসনের বিষয়টি তুলে ধরেছে। মানবাধিকার সংগঠনটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যা আমরা বলে আসছি: বিজেপি সরকার কর্তৃক বাংলাভাষী ভারতীয়দের বিভিন্ন বর্ণ এবং সম্প্রদায় নির্বিশেষে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এশিয়া পরিচালক এলেন পিয়ারসন বলেছেন, বিজেপি নির্বিচারে ভারতীয় নাগরিক-সহ বাঙালিদের দেশ থেকে বের করে দিয়ে বৈষম্যকে উস্কে দিচ্ছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে যে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসম, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা এবং দিল্লিতে এটি ঘটছে। লজ্জার বিষয়!! এখন, এমনকি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিও ভারতে ভাষাগত সন্ত্রাসবাদের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত!!’

Md Salim: ‘বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় সেলিম

এই দিনকাল: বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। বুধবার ধর্মতলা থেকে মৌলালী রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে বিভিন্ন বামপন্থী দল। সেই মিছিলে পা মেলান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। মিছিল থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেলিম।

বুধবার মিছিল শুরুর আগে ভাষণ দেন মহম্মদ সেলিম। সেই ভাষণে তিনি বলেন, ‘হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ক্ষমা চাইতে হবে, তিনি বাংলা ভাষাকে অপমান করেছেন। আর অন্য রাজ্যে আমাদের রাজ্যের মানুষ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে এখানে বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না। মানুষকে ভাগ করলে হবে না। ঐক্য তৈরি করতে হবে সেই কাজ বামপন্থীরা করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী এই দেশের নাগরিক যে কোন রাজ্যে যেতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে একাধিক রাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো বিজেপি শাসিত যেই যেই রাজ্য আছে সেখানে বাঙালিরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’

সেলিমের অভিযোগ, এই বিষয়টি নিয়ে কাজের কাজ কিছু না করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করছে। তিবি বলেন, ‘যেই রাজ্যে আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন চিঠি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই নিয়ে রাজনীতি করছেন। বলছেন ভাষা আন্দোলন করবেন। বুঝতে হবে মমতা এবং আরএসএস এক। এরা মানুষের মধ্যে ভয় ধরাতে চাইছে। মমতা বলছে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। তার মানে রাজনীতির স্বার্থে গোটা বিষয়টাকে ব্যবহার করছে। এই ভয় থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেতে হবে বলতে হবে মানুষকে।’

Azizul Haque: প্রয়াত নকশাল নেতা আজিজুল হক, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: প্রয়াত হলেন নকশাল নেতা আজিজুল হক (Azizul Haque)। সোমবার দুপুর ২ টো বেজে ২৮ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ বাম নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ভুগছিলেন। আজিজুল হকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণে অসুখে ভুগছিলেন আজিজুল হক। তার মাঝে বাড়িতে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায় তাঁর। এর পর বামপন্থী চিন্তক, প্রাবন্ধিককে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতেও নেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রবীণ বাম নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রবীণ রাজনীতিক আজিজুল হক’এর প্রয়াণে আমি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। আজিজুল হক একজন লড়াকু, সংগ্রামী নেতা ছিলেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনও মাথা নত করেননি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহযোগীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।’

উল্লেখ্য, ভারতের নকশাল আন্দোলেনর অন্যতম মুখ আজিজুল হক একাধিক গ্রন্থের লেখক। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কারাগারে ১৮ বছর’, ‘মনু মহম্মদ হিটলার’, ‘লাশগুলো সব কথা বলে’, ‘রক্তের টানে তিন পুরুষ’। সিপিএম জমানার অবসানের সময়পর্বে বামফ্রন্ট সরকারের নীতির বিরোধিতা করলেও পরিবর্তন চেয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করেননি আজিজুল।