Category Archives: কলকাতা

SIR: এসআইআর ফর্ম ভরা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থান, না ভরলেও ক্ষতি নেই, বলছে কমিশনের নিয়ম

এই দিনকাল: রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR)এর কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। এসআইআর আতঙ্কের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মানুষ যতক্ষণ না এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনিও ফর্ম ভরবেন না। তবে কমিশনের নিয়ম বলছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এসআইআর ফর্ম না ভরলেও চলবে। কেন না পদাধিকার বলে তিনি আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিহ্নিত ভোটার।

কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, দেশের প্রধানমন্ত্রীরও এনুমারেশন ফর্ম ভরা আবশ্যিক নয়। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরাও এই তালিকায় থাকেন। কারণ তাঁদের সম্পর্কে তথ্য কমিশনের কাছে আলাদা করে রাখা থাকে। কমিশন সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের নাম নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় স্বয়ংক্রিয় ভাবেই নথিভুক্ত করা হয়। বিশেষ ভাবে এনুমারেশন ফর্ম পূরণের প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সমাজ মাধ্যম ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করতে। কর্মসূত্রে, আমার রেসিডেন্স অফিসে এসে – রেসিডেন্সের ক’জন ভোটার জেনেছেন এবং ফর্ম দিয়ে গেছেন। যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবও না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে, ‘আমি বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের হাতে বিএলও-এর কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছি!’ এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।’

কমিশন সূত্রের খবর, বুধবার ভবানীপুরে ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে এসেছেন বিএলও। মোট ৪০টি ফর্ম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক ফর্মগুলি রিসিভ করে নেন বলে সূত্রের দাবি।

Tejashwi Yadav: বিহারে পরবর্তী সরকার গড়ার দাবি তেজস্বীর, শপথ গ্রহণের তারিখ জানালেন লালুপুত্র

এই দিনকাল: আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফার এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দফার বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। তার আগে আত্মবিশ্বাসী তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) দাবি, পরবর্তী সরকার তাঁরাই গঠন করতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, রবিবার আগামী দিনের সরকারের মন্ত্রীদের শপথের দিনও ঘোষণা করে দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। 

তেজস্বী যাদব বলেন, ‘আগামী ১৪ নভেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে। ১৮ নভেম্বর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টির সমর্থক দুলার চাঁদ যাদবের হত্যার ঘটনায় মোকামার প্রাক্তন বিধায়ক এবং জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই আবহে তেজস্বী এই মন্তব্য করলেন। খুনের ঘটনাটি ‘ঘটতে বাধ্য’ বলে দাবি করে তেজস্বী বলেন ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জাতি এবং ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত অপরাধীকে কারাগারে বন্দি করা হবে। তিনি বলেন, ‘২৬ নভেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তেজস্বী নিশ্চিত করবেন যে সমস্ত অপরাধী, তাদের বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে, কারাগারে থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তেজস্বী লিখেছেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুসারে, অপরাধপ্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিহার। রবিবার এনডিএ জোটের সমর্থনে বিহারে নির্বাচনী জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরজেডি নেতা এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিহারের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

তেজস্বী বলেন, ‘আজ, প্রধানমন্ত্রী বিহার সফর করছেন। তাঁর উচিত রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া যেখানে এমন একটি দিনও যায় না যেখানে কোনও জঘন্য অপরাধ হয় না। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করার সঙ্গে সঙ্গেই এই পরিস্থিতির বদল হবে।’ অন্য দিকে, তেজস্বীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির (আরভি) প্রধান চিরাগ পাসওয়ান। তাঁর দাবি, এনডিএ সরকার কখনও অপরাধীদের রক্ষা করেনি। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি অপরাধীদের রক্ষা করত, তাহলে গত রাতে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হত না। আমাদের সরকার একটি বিষয়ে স্পষ্ট, যেমন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন, আমরা কখনও কাউকে ফাঁসাই না বা রক্ষা করি না।’

SIR: এসআইআর নিয়ে ডাকা সর্বদল বৈঠকে প্রশ্নের মুখে কমিশন

এই দিনকাল: ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে। সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এসআইআর এর নির্ঘন্ট ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল। কলকাতায় কমিশনের রাজ্য দফতরে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন।

রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। কমিশনকে বিঁধে তিনি বলেন, এসআইআর নিয়ে প্রচুর মানুষ আতঙ্কিত। অনেকে আত্মহত্যা করছেন। এই মৃত্যুর দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এসআইআর এনআরসি-র পূর্বপরিকল্পিত। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বৈঠকে ছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বাংলার এক জন বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ গেলেই প্রতিবাদ করবে তৃণমূল। 

সর্বদল বৈঠকে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, এসআইআর এর ক্ষেত্রে কমিশন থেকে যে নথিগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি নাগরিকত্বের প্রমাণ, এটা কী ভাবে বলা হচ্ছে? নাগরিকত্ব ঠিক করার অধিকার কমিশনকে কে দিয়েছে? এদিনের বৈঠকে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল ও বামেদের তরফে প্রশ্ন তোলা হলেও বিজেপির তরফে কমিশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘এসআইআর আজ থেকে চালু হয়েছে। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএলও প্রশিক্ষণ হবে। প্রত্যেক ভোটারের একটি কিউআর কোড হবে। ওটা নিয়ে ফর্ম প্রিন্টিং হবে। এর পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সোমবার মধ্যরাতে ভোটার তালিকা ফ্রিজ হয়েছে। ওই সময়সীমা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯ জন।

Glitterist Magazine: ফ্যাশন ও গ্ল্যামার ম্যাগাজিন গ্লিটারিস্টের ৪১তম সংখ্যা প্রকাশ

এই দিনকাল: ফ্যাশন ম্যাগাজিন গ্লিটারিস্টের (Glitterist Magazine) ৪১ তম সংখ্যার আনুষ্ঠানিক প্রকাশ হল ১৫ অক্টোবর। ওই দিন সন্ধ্যায় দক্ষিণ কলকাতার গড়িয়ার ‘হ্যাঙ্গআউটজ – দ্য বুটিক ক্যাফে’তে এই ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন করা হয়। ফ্যাশন এবং সঙ্গীতের মনমোহিনী পরিবেশে ম্যাগাজিনটি প্রকাশ করার পাশাপাশি ‘গ্লিটারিস্ট – সেট দ্য ওয়ার্ল্ড অ্যাবলেজ’ (Glitterist – Set The World Ablaze) শিরোনামে একটি গানও প্রকাশ করা হয় এদিন। 

এদিনের অনুষ্ঠানে ফ্যাশন এবং বিনোদন জগতের বেশ কয়েকজন বিখ্যাত ব্যক্তিত্ব উপস্থিত ছিলেন। গ্লিটারিস্টের ৪১ তম সংখ্যার প্রচ্ছদ মডেল ত্রিপর্ণা গুহ এদিন অংশ নিয়েছিলেন। ছিলেন তেজস গান্ধী, মডেল ঈশান মজুমদার, রূপালী ভট্টাচার্য এবং প্রিয়ঞ্জলি কুণ্ডু। উপস্থিত ছিলেন গ্লিটারিস্ট ম্যাগাজিনের অফিসিয়াল ফটোগ্রাফার প্রসেনজিৎ বিশ্বাস, সেলিব্রিটি মেক-আপ শিল্পী বন্দনা সাউ রক্ষিত এবং ঝুমেন্দু কয়াল, অভিনেত্রী বর্ণ রাহা ব্যানার্জি, আলোকচিত্রী সৌরভ অধিকারী এবং ম্যাগাজিনের সম্পাদক শুভজিত বর্মন।

কবে থেকে গ্লিটারিস্টের পথচলা শুরু হয়েছে, এই বিষয়ে জানতে চাইলে ম্যাগাজিনের সম্পাদক শুভজিত বর্মন বলেন, ‘২০২২ এর এপ্রিল মাস থেকে আমাদের ম্যাগাজিন শুরু হয়। এটা সর্বপ্রথম আমরা একটি ফটোবুক হিসেবে লঞ্চ করেছিলাম। আস্তে আস্তে জনপ্রিয়তা বাড়ার পর থেকে এটাকে আমরা ম্যাগাজিনের আকার দিই। আমাদের ম্যাগাজিনের মাসিক সার্কুলেশন এক লক্ষের বেশি, অ্যামাজন থেকে সার্কুলেশন তিন হাজারের বেশি, ইনফ্লুয়েন্সার মার্কেটিং এবং সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম থেকে বাকিটা। ৫১ পার্সেন্ট ভারতে সার্কুলেশন, ২৭ পার্সেন্ট জাপানে, ৪ পার্সেন্ট কানাডায়, ৫ পার্সেন্ট মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এবং ৩ পার্সেন্ট জার্মানিতে সার্কুলেশন হয়।’ 

ম্যাগাজিন প্রকাশের লক্ষ্য কী? এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘গ্ল্যামার এবং ফ্যাশনের দুনিয়ায় যারা উচ্চ প্রোফাইল সম্পন্ন যারা প্রতিষ্ঠিত, তাদেরকে লক্ষ্য করে প্রোমোশন করা হয়। কিন্তু আমাদের ম্যাগাজিন প্রকাশের লক্ষ্য হচ্ছে, আমাদের এটি এমন একটা প্ল্যাটফর্ম, যেখানে উঠতি তারকাদের আমরা তুলে ধরি।’

Kolkata Rain: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টিতে বানভাসি কলকাতা, বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু ৯ জনের

এই দিনকাল: ৩৯ বছর পর রেকর্ড বৃষ্টি। সোমবার রাতভর বৃষ্টিতে মহানগর কলকাতা কার্যত জলের তলায়। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, সড়ক পথ থেকে রেলপথ—- যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন। জলমগ্ন কলকাতায় স্তব্ধ জনজীবন। জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট (Electrocution) হয়ে মৃত্যু হয়েছে ইতিমধ্যে কম করে ৯ জনের।

মৌসম ভবন সূত্রে খবর, গত তিন সপ্তাহে অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত কলকাতায় ১৭৮.৯ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। সোমবার সকাল ৮টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় বৃষ্টির পরিমাণ ২৪৭.৪ মিলিমিটার। গত ৩৯ বছর পর এক দিনে এমন রেকর্ড বৃষ্টি হল কলকাতা শহরে। প্রসঙ্গত, যখন ঘণ্টায় ১০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হয় তখন সেই অবস্থাকে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা হয়। কলকাতায় রাত ৩টে থেকে ভোর ৪টের মধ্যে, এক ঘণ্টায় ৯৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ফলে আর ২ মিলিমিটার বেশি বৃষ্টি হলে একে মেঘভাঙা বৃষ্টি বলা যেত।

অন্য দিকে, জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রথম মৃত্যুর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে কলকাতার নেতাজিনগরে। এই এলাকায় ভোরে সাইকেলে নিয়ে ব্যবসার উদ্দেশে বের হয়েছিলেন ফল বিক্রেতা বাবু কুণ্ডু। ৭০ বছর বয়সী বৃদ্ধ বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দিতেই প্রাণ হারান। কালিকাপুর মোড়ে মৃত্যু হয় একই ভাবে এক ব্যক্তির। বালিগঞ্জ প্লেস, ইকবালপুরের হোসেন শাহ রোড, বেনিয়াপুকুরেও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়। আর এই একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঠগড়ায় তুলেছেন বিদ্যুৎ বণ্টনকারী সংস্থা সিইএসসিকে। মৃত্যুর দায় তাদের বলে মন্তব্য করেছেন তিনি। এমনকি বিদ্যুৎ বন্টনকারী সংস্থা যাতে নিহতদের পরিবারের সদস্যকে চাকরি দেয়, তার দাবি করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও সিইএসসি-র বক্তব্য, ‘রাস্তার আলোর খুঁটি এবং ট্র্যাফিক লাইটগুলি আমাদের মালিকানাধীন, রক্ষণাবেক্ষণ বা পরিচালনার বিষয় নয়। এগুলি নিয়ে আমরা কাজ করি না।’ 

উল্লেখ্য, সোমবারের পর মঙ্গলবারও ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, কলকাতা, হুগলি, পুরুলিয়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বিভিন্ন অংশে। বুধবার ভারী বৃষ্টি হতে পারে বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার বিভিন্ন জায়গায়।

Milad-un-Nabi: নবী দিবসে শুভেচ্ছা জানালেন মোদী, মমতা, রাহুল

এই দিনকাল: গোটা বিশ্বে পালিত হচ্ছে মহানবী হজরত মহম্মদের জন্মদিন। বিশেষ এই দিনে শুক্রবার সকলকে শুভেচ্ছা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। 

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এদিন নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্ট করে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মিলাদ উন নবী উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা। এই পবিত্র দিনটি আমাদের সমাজে শান্তি ও মঙ্গল বয়ে আনুক। করুণা, সেবা এবং ন্যায়বিচারের মূল্যবোধ সর্বদা আমাদের পথ দেখাক। ঈদ মোবারক!’ 

নবী মহম্মদের জন্মদিন উপলক্ষে সবাইকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘মানবকল্যাণের পথপ্রদর্শক মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর জন্মদিবস ‘ঈদ-এ-মিলাদুন-নবী’ উপলক্ষে সকলকে জানাই আন্তরিক শুভেচ্ছা ও মুবারকবাদ।’

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের পালনীয় এই বিশেষ দিনে সবার জন্য সুস্বাস্থ্য ও শান্তি কামনা করেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। লোকসভার বিরোধী দলনেতা সমাজ মাধ্যম এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন,’ঈদ এ মিলাদ উন নবী মুবারক! এই শুভ দিন সকলের জন্য সুখ, শান্তি, সুস্বাস্থ্য এবং সমৃদ্ধি বয়ে আনুক।’

Oplus_131072

উল্লেখ্য, হিজরি সালের তৃতীয় মাস রবিউল আউয়াল। ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দে এই রবিউল আউয়াল মাসের ১২ তারিখে সৌদি আরবের মক্কা নগরীতে জন্মগ্রহণ করেন নবী মহম্মদ। ৬৩ বছর বয়সে ওই মাসের ১২ তারিখেই তিনি আবার প্রয়াত হন। নবী মহম্মদের জন্মদিন ‘ফাতিহায়ে দোয়াজ–দাহম’ বা ঈদ এ মিলাদ উন নবী বা নবী দিবস হিসেবে পরিচিত। ‘ফাতিহায়ে দোয়াজ-দাহম’ শব্দবন্ধটি ফারসি ভাষা থেকে এসেছে। ‘ফাতিহা’ অর্থ প্রার্থনা করা আর ‘দোয়াজ-দাহম’ অর্থ বারো। অর্থাৎ ফাতিহায়ে দোয়াজ-দাহম বলতে বারো তারিখের প্রার্থনাকে বোঝায়।

Jadavpur University: স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে দেশের মধ্যে সেরা যাদবপুর, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর


এই দিনকাল:সেরার শিরোপা ছিনিয়ে নিল যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (Jadavpur University)। বাম রাজনীতির আঁতুড়ঘর হিসেবে পরিচিত রাজ্যের নামী এই বিশ্ববিদ্যালয় সর্বভারতীয় স্তরে স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে একেবারে শীর্ষ স্থানে জায়গা করে নিয়েছে। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে প্রকাশ করা র্যা ঙ্কিং তালিকায় যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের এই অর্জনে শিক্ষক এবং ছাত্রছাত্রীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

বৃহস্পতিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, ‘শিক্ষাক্ষেত্রে আমাদের শ্রেষ্ঠত্ব আবারও স্বীকৃতি পেল জেনে আনন্দিত! ভারত সরকারের শিক্ষা মন্ত্রক আজ দেশের উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের র্যা ঙ্কিং ঘোষণা করেছে, যার নাম ইন্ডিয়া র্যাtঙ্কিং ২০২৫ (এনআইআরএফ)। এই বছর, স্টেট পাবলিক ইউনিভার্সিটি বিভাগে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় দেশের মধ্যে প্রথম এবং দেশের সকল বিভাগের বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে নবম স্থানে রয়েছে। এটিই একমাত্র স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় যা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকার শীর্ষ ১০-এ জায়গা পেয়েছে।’ বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া এবং শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিনন্দন জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি লিখেছেন, ‘আমাদের গর্বিত করার জন্য যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষক, পড়ুয়া, গবেষক এবং কর্মচারীদের আমার অভিনন্দন!’ এদিন শিক্ষা মন্ত্রকের তরফে যে বিশ্ববিদ্যালয় বিভাগের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, সেখানে যাদবপুর জায়গা করে নিয়েছে নবম স্থানে।

প্রসঙ্গত, বিভিন্ন সময়ে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সংবাদ শিরোনামে উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়াদের আন্দোলন ও সমকালীন রাজনৈতিক কর্মসূচির জন্য। কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের একাংশ আন্দোলনে সামিল হন, তেমনই রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধেও রাস্তায় নেমেছে পড়ুয়ারা। আন্দোলনের পাশাপাশি পড়াশোনাতেও যে এগিয়ে তা দেখিয়ে দিল যাদবপুর।

Mamata Banerjee: ‘জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না’: মমতা

এই দিনকাল: বিহারের পর বাংলায় ভোটার তালিকায় বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা হতে পারে বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। এই আবহে নির্বাচন কমিশনকে নিশানা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না বলে মন্তব্য করলেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। বৃহস্পতিবার তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি এর প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে মেয়ো রোডের মঞ্চ থেকে এই মন্তব্য করেন মুখ্যমন্ত্রী। 

নিজের ভাষণে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘আমরা বলছি জীবন থাকতে কারোর ভোটাধিকার কাড়তে দেব না। এক দিকে বিজেপি অন্য দিকে তার বন্ধু বাম। সমস্ত এজেন্সি আর ইলেকশন কমিশনের চেয়ারটাকে সম্মান করি। কিন্তু জানেন তো বাচ্চারা ললিপপ খেলে মানায় কিন্তু বড়রা কোনও রাজনৈতিক দলের হয়ে ললিপপ খেলে সেটা মানায় না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘মনে রাখবেন, আমরা ললিপপ বাচ্চাদের দিই। ১৮ বছরের নতুন ভোটারদের ললিপপ দিই না। আমরা তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রদান করি। তাই আপনাদের জোর জুলুম বাংলা মানছে না, মানবে না।’ বিবেক অগ্নিহোত্রির বেঙ্গল ফাইলস সিনেমা নিয়ে বিতর্ক চলছে। এদিন নাম না করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এখন আবার সিনেমা বানাচ্ছে টাকা দিয়ে। বাংলার বদনাম করার জন্য, বাংলার অসম্মান করার জন্য।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘কিছু হিংসুটে লোক আছে দেখলে জ্বলে আর লুচির মত ফোলে। ১০০ দিনের কাজে আমরা পর পর চার বছর পাঁচ বছর আমরা এক নম্বরে ছিলাম। গ্রামীণ আবাস যোজনায় এক নম্বরে ছিলাম। রাস্তা তৈরিতে এক নম্বরে ছিলাম। তাই সেলফিস জায়ান্টরা যারা হাই লোডেড ভাইরাস তারা হিংসা করে আমাদের টাকা বন্ধ করে দিয়েছে।’ বৃহস্পতিবার ছাত্রদের সমাবেশ মঞ্চের ভাষণে তৃণমূল সরকারের সাফল্যের খতিয়ান তুলে ধরেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ‘২০১১ সালের পর থেকে রাজ্যের আয় বেড়েছে সাড়ে পাঁচ গুন। ২০১৩ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ১ কোটি ৭২ লক্ষ মানুষকে দারিদ্রসীমার উপরে নিয়ে এসেছি আমরা।’

Sealdah Railway Station: যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বড় সিদ্ধান্ত! শিয়ালদহে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে এই লোকালগুলি

এই দিনকাল: যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল। শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Railway Station) কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন ট্রেন ছাড়বে তা ঠিক করে ফেলল রেল কর্তৃপক্ষ। যতক্ষণ না অ্যানাউন্স করা হয়, বা ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা দেখানো না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীরা জানতে পারেন না কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন লোকাল ছাড়বে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই রেল স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে ট্রেন ধরতে গিয়ে যাত্রীরা যার ফলে সমস্যায় পড়েন। এ সব বিষয় মাথায় রেখে কোন লোকাল কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে তা নির্দিষ্ট করে দিল রেল।

রেল সূত্রের খবর, ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে কৃষ্ণনগর, গেদে, রানাঘাট, শান্তিপুর, নৈহাটি, কল্যাণী সীমান্ত এবং ব্যারাকপুর লোকাল৷ 

এ ছাড়া ৫ থেকে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে ডানকুনি এবং বারুইপাড়া লোকাল৷ 

৬ থেকে ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে বনগাঁ, বারাসত, হাবরা, দত্তপুকুর, গোবরডাঙা, ঠাকুরনগর, হাসনাবাদ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং মধ্যমগ্রাম লোকাল৷ 

পাশাপাশি ৯, ১১ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ছাড়বে৷ 

অন্যদিকে ১৫ থেকে ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনগুলি অর্থাৎ সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার লোকাল।

উল্লেখ্য, শিয়ালদহ ভারতের অন্যতম ব্যস্ততম রেল স্টেশন। শহরের এই রেল স্টেশনে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতিদিন এই বিভাগে ৯১৫টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।

AIMIM: ‘পশ্চিমবঙ্গের অপমান মানে দেশের অপমান’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার ইমরান

এই দিনকাল: বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)। মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করে দলটির কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্ব। এদিন মিছিলে পা মেলান মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। মিছিল থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ শানান।

মঙ্গলবার মিছিলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঙালিদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে ইমরান সোলাঙ্কি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের দেশ থেকে বের করে দিতে চাইলে আমরা পাশে আছি। কিন্তু মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ পশ্চিমবঙ্গের লোককে বাংলাদেশি দাগিয়ে দিয়ে আপনি বের করে দেবেন, তা হবে না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে মারা হচ্ছে। বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এলে আমাদের সবার উপরে আক্রমণ নামিয়ে আনবে। ওরা বাঙালিকে চায় না। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের অহঙ্কার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অপমান মানে দেশের অপমান, ভারতের অপমান।’

মঙ্গলবার মিছিলে পা মেলান মিমের কলকাতা জেলা সভাপতি নাফিস আনসারি, মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আসাদুল শেখ-সহ রাজ্য স্তরের বহু নেতা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি ইস্যুতে যে ভাবে মিম পথে নেমেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ বিভিন্ন সময়ে ‘বিজেপির বি টিম’ বলে মিমকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শাসকদল যতই এমন তকমা দিক না কেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর নিপীড়ন যে অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সহ্য করবে না, কার্যত পথে নেমে তা বুঝিয়ে দিলেন ইমরান সোলাঙ্কিরা।