Category Archives: কলকাতা

Sealdah Railway Station: যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বড় সিদ্ধান্ত! শিয়ালদহে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে এই লোকালগুলি

এই দিনকাল: যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল। শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Railway Station) কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন ট্রেন ছাড়বে তা ঠিক করে ফেলল রেল কর্তৃপক্ষ। যতক্ষণ না অ্যানাউন্স করা হয়, বা ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা দেখানো না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীরা জানতে পারেন না কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন লোকাল ছাড়বে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই রেল স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে ট্রেন ধরতে গিয়ে যাত্রীরা যার ফলে সমস্যায় পড়েন। এ সব বিষয় মাথায় রেখে কোন লোকাল কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে তা নির্দিষ্ট করে দিল রেল।

রেল সূত্রের খবর, ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে কৃষ্ণনগর, গেদে, রানাঘাট, শান্তিপুর, নৈহাটি, কল্যাণী সীমান্ত এবং ব্যারাকপুর লোকাল৷ 

এ ছাড়া ৫ থেকে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে ডানকুনি এবং বারুইপাড়া লোকাল৷ 

৬ থেকে ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে বনগাঁ, বারাসত, হাবরা, দত্তপুকুর, গোবরডাঙা, ঠাকুরনগর, হাসনাবাদ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং মধ্যমগ্রাম লোকাল৷ 

পাশাপাশি ৯, ১১ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ছাড়বে৷ 

অন্যদিকে ১৫ থেকে ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনগুলি অর্থাৎ সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার লোকাল।

উল্লেখ্য, শিয়ালদহ ভারতের অন্যতম ব্যস্ততম রেল স্টেশন। শহরের এই রেল স্টেশনে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতিদিন এই বিভাগে ৯১৫টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।

AIMIM: ‘পশ্চিমবঙ্গের অপমান মানে দেশের অপমান’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার ইমরান

এই দিনকাল: বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)। মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করে দলটির কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্ব। এদিন মিছিলে পা মেলান মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। মিছিল থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ শানান।

মঙ্গলবার মিছিলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঙালিদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে ইমরান সোলাঙ্কি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের দেশ থেকে বের করে দিতে চাইলে আমরা পাশে আছি। কিন্তু মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ পশ্চিমবঙ্গের লোককে বাংলাদেশি দাগিয়ে দিয়ে আপনি বের করে দেবেন, তা হবে না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে মারা হচ্ছে। বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এলে আমাদের সবার উপরে আক্রমণ নামিয়ে আনবে। ওরা বাঙালিকে চায় না। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের অহঙ্কার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অপমান মানে দেশের অপমান, ভারতের অপমান।’

মঙ্গলবার মিছিলে পা মেলান মিমের কলকাতা জেলা সভাপতি নাফিস আনসারি, মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আসাদুল শেখ-সহ রাজ্য স্তরের বহু নেতা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি ইস্যুতে যে ভাবে মিম পথে নেমেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ বিভিন্ন সময়ে ‘বিজেপির বি টিম’ বলে মিমকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শাসকদল যতই এমন তকমা দিক না কেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর নিপীড়ন যে অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সহ্য করবে না, কার্যত পথে নেমে তা বুঝিয়ে দিলেন ইমরান সোলাঙ্কিরা।

History: ইতিহাস রক্ষায় বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের আয়োজন

এই দিনকাল: বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের উদ্যোগে রবিবার কলকাতার আশুতোষ মুখার্জি মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কৃষ্ণকালী মণ্ডল স্মারক বক্তৃতা’। এটি ছিল সংস্থার দ্বিতীয় বর্ষের আলোচনা। বিষয় ছিল, ‘বাংলার ইসলামি স্থাপত্যে সমন্বয়ী ধারা: সুলতানি থেকে ঔপনিবেশিক পর্ব’। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়, রঙ্গনকান্তি জানা লিখিত  ‘পুরাকীর্তির আলোকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানবসংস্কৃতির ধারা’ নামক একটি স্মারক গ্রন্থ। প্রকাশিত হয় তথাগত সেন ও রাজীব বনু সম্পাদিত গবেষণামূলক পুরাতত্ত্ব বিষয়ক পত্রিকা ‘রক্তমৃত্তিকা’র তৃতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যা।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ভাবে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। বাদ যায় না আঞ্চলিক ইতিহাসও। তবে পুরাতত্ত্ববিদ কৃষ্ণকালী মণ্ডল ছিলেন এই বিষয়ে ভীষণ সচেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। তাঁর পথ অনুসরণ করে চলেছে বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র। 

রবিবার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। প্রধান বক্তা ছিলেন ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী। উপস্থিত শ্রোতাদের জন্য ছিল বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্বও। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব প্রেমী বেশ কিছু মানুষ, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী অনুপ মতিলাল, শ্রী গৌতম বসুমল্লিক, শ্রী অমিতাভ কারকুন, শ্রী সুতনু ঘোষ, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক তথাগত সেন ও সম্পাদক রাজীব বনু জানান, বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের এবারের আয়োজন সফল। এবার থেকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুরাতত্ত্বে।

Mamata Banerjee: বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালির উপর অত্যাচারের প্রতিবাদে ফের গর্জে উঠলেন মমতা

এই দিনকাল: বাঙালিদের উপর অত্যাচার বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বেড়েছে বলে অভিযোগ। অভিযোগ উঠেছে, বাংলা ভাষায় কথা বলার কারণে পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। আর এগুলি ঘটছে মূলত অসম, দিল্লি, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশার মত বিজেপি-শাসনাধীন রাজ্যগুলিতে। বাঙালিদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করে ডিটেনশন ক্যাম্পে রাখা কিংবা জোর করে সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ার মতো ঘটনাও ঘটছে। আগেই এই নিপীড়নের প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এ বার এ বিষয়ে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থার রিপোর্টের প্রসঙ্গ তুলে বিজেপিকে আক্রমণ করলেন তৃণমূল নেত্রী।

শনিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতিসম্পন্ন এবং নিউইয়র্ক-ভিত্তিক বহু-দেশীয় এনজিও হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) এখন বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি সরকার কর্তৃক ভারতের বাংলাভাষী মানুষদের হয়রানি, নিপীড়ন এবং অবৈধভাবে নির্বাসনের বিষয়টি তুলে ধরেছে। মানবাধিকার সংগঠনটি একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছে যা আমরা বলে আসছি: বিজেপি সরকার কর্তৃক বাংলাভাষী ভারতীয়দের বিভিন্ন বর্ণ এবং সম্প্রদায় নির্বিশেষে নির্যাতন করা হচ্ছে এবং দেশ থেকে বের করে দেওয়া হচ্ছে।’

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও লিখেছেন, ‘হিউম্যান রাইটস ওয়াচ-এর এশিয়া পরিচালক এলেন পিয়ারসন বলেছেন, বিজেপি নির্বিচারে ভারতীয় নাগরিক-সহ বাঙালিদের দেশ থেকে বের করে দিয়ে বৈষম্যকে উস্কে দিচ্ছে।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘এইচআরডব্লিউ জানিয়েছে যে ভারত সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের নির্দেশ অনুসারে বিজেপি শাসিত রাজ্য অসম, গুজরাট, মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, উত্তরপ্রদেশ, ওড়িশা এবং দিল্লিতে এটি ঘটছে। লজ্জার বিষয়!! এখন, এমনকি আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাগুলিও ভারতে ভাষাগত সন্ত্রাসবাদের দিকে নজর দিতে শুরু করেছে। এটি অবিলম্বে বন্ধ করা উচিত!!’

Md Salim: ‘বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় সেলিম

এই দিনকাল: বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। বুধবার ধর্মতলা থেকে মৌলালী রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে বিভিন্ন বামপন্থী দল। সেই মিছিলে পা মেলান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। মিছিল থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেলিম।

বুধবার মিছিল শুরুর আগে ভাষণ দেন মহম্মদ সেলিম। সেই ভাষণে তিনি বলেন, ‘হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ক্ষমা চাইতে হবে, তিনি বাংলা ভাষাকে অপমান করেছেন। আর অন্য রাজ্যে আমাদের রাজ্যের মানুষ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে এখানে বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না। মানুষকে ভাগ করলে হবে না। ঐক্য তৈরি করতে হবে সেই কাজ বামপন্থীরা করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী এই দেশের নাগরিক যে কোন রাজ্যে যেতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে একাধিক রাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো বিজেপি শাসিত যেই যেই রাজ্য আছে সেখানে বাঙালিরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’

সেলিমের অভিযোগ, এই বিষয়টি নিয়ে কাজের কাজ কিছু না করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করছে। তিবি বলেন, ‘যেই রাজ্যে আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন চিঠি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই নিয়ে রাজনীতি করছেন। বলছেন ভাষা আন্দোলন করবেন। বুঝতে হবে মমতা এবং আরএসএস এক। এরা মানুষের মধ্যে ভয় ধরাতে চাইছে। মমতা বলছে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। তার মানে রাজনীতির স্বার্থে গোটা বিষয়টাকে ব্যবহার করছে। এই ভয় থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেতে হবে বলতে হবে মানুষকে।’

Azizul Haque: প্রয়াত নকশাল নেতা আজিজুল হক, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: প্রয়াত হলেন নকশাল নেতা আজিজুল হক (Azizul Haque)। সোমবার দুপুর ২ টো বেজে ২৮ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ বাম নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ভুগছিলেন। আজিজুল হকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণে অসুখে ভুগছিলেন আজিজুল হক। তার মাঝে বাড়িতে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায় তাঁর। এর পর বামপন্থী চিন্তক, প্রাবন্ধিককে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতেও নেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রবীণ বাম নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রবীণ রাজনীতিক আজিজুল হক’এর প্রয়াণে আমি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। আজিজুল হক একজন লড়াকু, সংগ্রামী নেতা ছিলেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনও মাথা নত করেননি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহযোগীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।’

উল্লেখ্য, ভারতের নকশাল আন্দোলেনর অন্যতম মুখ আজিজুল হক একাধিক গ্রন্থের লেখক। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কারাগারে ১৮ বছর’, ‘মনু মহম্মদ হিটলার’, ‘লাশগুলো সব কথা বলে’, ‘রক্তের টানে তিন পুরুষ’। সিপিএম জমানার অবসানের সময়পর্বে বামফ্রন্ট সরকারের নীতির বিরোধিতা করলেও পরিবর্তন চেয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করেননি আজিজুল।

IIM-Calcutta: আইআইএম-এ ধর্ষণকাণ্ডে অন্তর্বর্তী জামিন পেল অভিযুক্ত

এই দিনকাল: ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট-কলকাতার (IIM-Calcutta) ক্যাম্পাসে এক মনোবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেল অভিযুক্ত ছাত্র। শনিবার আলিপুর কোর্ট অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে।

আলিপুর আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত ছাত্রকে ৫০,০০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্যের অনুমতি ছাড়া রাজ্য ছেড়ে না যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ওই মহিলা এফআইআরে অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত ছাত্র তাঁকে কাউন্সেলিং এর জন্য হোস্টেলে ডেকেছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি হস্টেলে এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

সরকারি আইনজীবী এদিন জুডিশিয়াল রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। আদালতে তিনি যুক্তি দেন, প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হবে। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই হরিদেবপুর থানায় মহিলার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন থেকেই লি পড়ুয়া পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এদিন অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করে তার আইনজীবী আদালতে বলেন, অভিযোগকারী তার বয়ান রেকর্ড করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থিত হননি। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষা করা হয়নি বলে তিনি আদালতে জানান।

Mamata Banerjee: বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে মিছিলে হাঁটলেন মমতা, সঙ্গে অভিষেক, ফিরহাদও

এই দিনকাল: দেশের একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে আটক করার প্রতিবাদে মিছিলে হাঁটলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বুধবার কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল করেন তৃণমূল নেত্রী। এদিন তাঁর সঙ্গে মিছিলে পা মেলান দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। মিছিলের সামনের সারিতে দেখা যায় রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস এবং চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যকে।

বুধবার মিছিল শেষে বক্তৃতা দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ভাষণে বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়ান তিনি। পাশাপাশি সম্প্রীতি ও ঐক্যের বার্তা দেওয়া হয় মিছিল থেকে। বাংলা থেকে যেমন পরিযায়ী শ্রমিক অন্য রাজ্যে কাজে যান, তেমনই ভিন রাজ্য থেকেও অনেকে বাংলায় কর্মসূত্রে আসেন। রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান এদিন সেই বিষয়টি তুলে ধরেন। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, তাঁদের সঙ্গে কোনও খারাপ আচরণ করা হয় না। 

এদিন ভাষণে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন,  কেন্দ্রীয় সরকার গোপনে একটি বিজ্ঞপ্তি বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে পাঠিয়েছে, যার ফলে বাঙালিদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘ভারত সরকার একটি নোটিফিকেশন করেছে। সেই নোটিফিকেশনটা আমরা চ্যালেঞ্জ করব। লুকিয়ে লুকিয়ে করেছে এবং যেখানে যেখানে বিজেপি আছে, সেখানে পাঠিয়েছে। তাতে পরিষ্কার বলা হয়েছে, যাকেই সন্দেহ হবে, বাংলায় কথা বলে, অ্যারেস্ট করবে, ডিটেনশন ক্যাম্পে রেখে দেবে।’

বুধবারের মিছল শেষে নিজের ফেসবুক পেজেও একটি পোস্ট করেছেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে তিনি লিখেছেন, ”বাংলা ভাষার অপমান – বাংলার অপমান’ তা স্মরণে রাখতে হবে বাংলা-বিরোধীদের। বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে বাংলাভাষী শ্রমিকদের উপর অমানবিক অত্যাচার, নিপীড়ন এবং ‘বাংলাদেশি’ আখ্যা দিয়ে তাঁদের আটক করা হচ্ছে। বৈধ নথি থাকা সত্ত্বেও বাংলার শ্রমিকদের হয়রানি করা হচ্ছে।’

তাঁর আরও সংযোজন, ‘বাংলা-বিদ্বেষ এই মনোভাবের বিরুদ্ধে আজ, কলেজ স্কোয়ার থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মহামিছিলে এবং প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলাম। এরই সঙ্গে ‘শহিদ স্মরণে’ একুশে জুলাই-এর আমন্ত্রণ জানালাম বাংলার আপামর জনগণকে। আমি চুপ থাকব না, যতক্ষণ না বিজেপি এই বিভাজনের রাজনীতি বন্ধ না করবে। তাদের অপপ্রচার-কুৎসার বিরুদ্ধে জবাব দেওয়ার সময় এসেছে। বাংলার ভূমিতে জন্ম নিয়েছেন হাজার বিপ্লবী – মনীষী। স্বাধীনতা সংগ্রামে শহিদ হয়েছেন হাজার হাজার বাঙালি। তাঁদের মহান কর্মের মাধ্যমে ভারতবর্ষকে তুলে ধরেছেন  বিশ্বের আঙিনায়, সেই বাংলার মাটিকে অপমান আমি মেনে নেব না। আমরা সব ভাষাকে শ্রদ্ধা এবং সম্মান করি, তবুও বারবার আঘাত নেমে আসে বাংলার উপর। বাংলাকে আঘাত করলে, বাংলা-বিরোধীদের বিরুদ্ধে শোনা যাবে বাংলার গর্জন! কৃষক-বিরোধী, দলিত-বিরোধী, নারী-বিরোধী, ভাষা-বিরোধী শক্তিকে বাংলা থেকে আগেও পরাজিত করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আগামী ২৬-এর নির্বাচনেও একই অবস্থা করবে বাংলার মানুষ।’

Durbar: দুর্বারের ৩০ বছর, যৌনকর্মীদের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গি বদলের ডাক বিশিষ্টদের

এই দিনকাল: সমাজ এখনও মুখ বাঁকায় তাঁদের দেখলে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এখনও বঞ্চনার শিকার হন তাঁরা। কিন্তু অদম্য লড়াইয়ের মাধ্যমে ছিনিয়ে নিতে চান নিজেদের অধিকার। যৌনকর্মীরাও যে শ্রমিক এবং শ্রমিকের অধিকার তাঁদের প্রাপ্য, সেই দাবি আরও এক বার সোচ্চারে তুলে ধরল যৌনকর্মীদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন ‘দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতি'(Durbar)। সমিতির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলছে নানান অনুষ্ঠান। সেই অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে বিশিষ্ট মানুষজনও যৌনকর্মীদের অধিকারের পক্ষে জোরালো সওয়াল করেন।

সমিতির ৩০ বছর পূর্তি উপলক্ষে উত্তর কলকাতার রবীন্দ্র সরণির রবীন্দ্র কানন পার্কে চলছে বিভিন্ন অনুষ্ঠান। ১২ জুলাই থেকে শুরু হওয়া এই উদযাপন চলবে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। সোমবার এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেত্রী দেবলীনা দত্ত, ছিলেন শ্রমিক সংগঠনের একাধিক নেতা। অভিনেত্রী দেবলীনা সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি বদলের আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘আমার যে অধিকার তা নিয়ে আমাকে লড়াই করতে হয় না। আমার যৌনকর্মী দিদি বোনেদের অধিকার নিয়ে আমাদের মঞ্চে বসে আলোচনা করতে হচ্ছে। এইটা যতদিন চলবে ততদিন হাজার আইন, হাজার নিয়ম, হাজার কানুন, কিছু করেই কিছু হবে না। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি যতক্ষণ না বদলাচ্ছে।’

oplus_0

আলোচনায় প্রত্যেকেই যৌনকর্মীদের শ্রমিক হিসেবে মর্যাদা ও অধিকারের দাবিতে সরব হন। এদিন সন্ধ্যায় আলোচনার পরেই ছিল ট্রান্সজেন্ডারদের ফ্যাশন শো। অনেকে অংশ নেন সেই শো’তে। অন্যদের মতো তাঁরাও যে সুযোগ পেলে নিজেদের প্রতিভা ও মেধার বিকাশ ঘটাতে পারেন, তা বুঝিয়ে দেন মঞ্চে। এছাড়াও অনুষ্ঠান প্রাঙ্গণে ছিল একাধিক নামী প্রকাশনীর বইয়ের স্টল। যৌনকর্মীরা ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে দর্শকের আসনে ছিলেন বহু সাধারণ মানুষ। যৌনকর্মীদের প্রতি যে তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিভঙ্গি এখনও চারপাশে বিদ্যমান, তা কাটাতে ভাবনা বদলের ডাক দেন বিশিষ্টরা।

Mamata Banerjee: বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের হেনস্থা, প্রতিবাদে ১৬ জুলাই পথে নামবেন মমতা

এই দিনকাল: দেশের একাধিক রাজ্যে বাঙালিদের (Bengali People) উপর নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এই পরিস্থিতি বন্ধ না হলে আওয়াজ তোলার হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এবার রাস্তায় নামার দিনক্ষণ জানিয়ে দিল রাজ্যের শাসকদল। ভিন রাজ্যে বাঙালিদের উপর নিপীড়নের প্রতিবাদে আগামী ১৬ জুলাই পথে নামবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

তৃণমূল সূত্রের খবর, আগামী ১৬ জুলাই, মঙ্গলবার, কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিলে নেতৃত্ব দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই দিন মিছিলটি কলেজ স্কোয়ার থেকে শুরু হয়ে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত যাবে। প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু হওয়ার কথা বেলা ১টা নাগাদ। শুধু মহানগর কলকাতায় নয়, প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হবে রাজ্যের জেলাগুলিতেও। রবিবার সাংবাদিক বৈঠক করে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বিজেপিকে নিশানা করে বলেন, ‘আজ বাংলা ভাষায় কথা বললেই ভিনরাজ্যে হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। বাংলা ভাষা বললেই অপমান, ডিটেনশন ক্যাম্পে পাঠানোর হুমকি! এটা কি ভারত?’ এ ছাড়া, সম্প্রতি অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বাঙালি বিরোধী মন্তব্য করে বিতর্ক তৈরি করেছেন। তিনি বলেছিলেন, আদমশুমারিতে যারা নিজেদের মাতৃভাষা বাংলা বলছেন, তাঁরা নাকি ‘বাংলাদেশি’। যা ইতিমধ্যে দেশজুড়ে শোরগোল ফেলে দিয়েছে।

উল্লেখ্য, দিল্লিতে বাঙালি বসতিতে জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ায় সরব হয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছিলেন, ‘এই দেশেই বাংলার মানুষ যদি অনাহূত অতিথির মতো আচরণের শিকার হন, তাহলে আমরা চুপ করে থাকব না। বাংলা সমস্ত নির্যাতিত কণ্ঠের পাশে দাঁড়াবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সর্বত্র আওয়াজ তুলব।’