Category Archives: কলকাতা

IIM Calcutta case: ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ করছেন তরুণী, বাবা বলছেন দুর্ঘটনা! নাটকীয় মোড় আইআইএম-কাণ্ডে

এই দিনকাল: জোকা আইআইএম-এ (IIM Calcutta case) ‘ধর্ষণকাণ্ডে’ নাটকীয় মোড়! শুক্রবার সন্ধ্যায় পেশায় মনোবিদ এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। তবে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিন্ন সুর ‘নির্যাতিতা’র বাবার। তরুণীর বাবা শনিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি! তাঁর দাবি, মেয়েকে চাপ দিয়ে অভিযোগ লেখানো হয়েছে। আর এর পর থেকে এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। কে চাপ দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ লেখাল? কোন উদ্দেশ্যে এমন গুরুতর অভিযোগ আনা হল? যদিও এসবের কোনও জবাব তরুণীর বাবা দেননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর অভিযোগের পর এমবিএ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বয়েজ হোস্টেলের ভেতরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পেশায় মনোবিদ ওই তরুণী শুক্রবার সন্ধ্যায় হরিদেবপুর থানায় গিয়ে হাতে লিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওই দিন দুপুরে খাবারের সময় তাঁকে পিৎজা এবং জল দেওয়া হয়েছিল এবং সেগুলি খাওয়ার পরপরই তিনি অসুস্থ বোধ করেন।অভিযোগকারীর দাবি, তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং ঘুম থেকে ওঠার পর বুঝতে পারেন যে তাঁকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে।

তরুণীর অভিযোগের পর, কলকাতা পুলিশ কর্ণাটকের বাসিন্দা অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) এবং ১২৩ (মাদকদ্রব্য বা বিষ প্রয়োগ) এর অধীনে এফআইআর দায়ের করে তাকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার বিকেলে এই ঘটনায় নয়া মোড় নেয় তরুণীর বাবার মন্তব্যের পর। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, ‘নির্যাতিতা’র বাবা তাঁর মেয়ের করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কেউ তরুণীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি, কোনও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ওই তরুণী অভিযুক্ত ছাত্রকে চেনেন না। তিনি বলেন, ‘সে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে এবং এখন ঘুমাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা ৩৪ নাগাদ তিনি একটি ফোন পান যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে তাঁর মেয়ে একটি অটো থেকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছেন। পরে এসএসকেএম হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে যান ‘নির্যাতিতার’ বাবা। সেখানে পুলিশ তরুণীকে নিয়ে গিয়েছিল।

অন্য দিকে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণী প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় ঘটনাটি জানাতে যান। কিন্তু আইআইএম কলকাতা ক্যাম্পাস হরিদেবপুর থানার অধীনে পড়ে। তাই এক জন মহিলা অফিসার-সহ পুলিশ তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। এর পর তরুণী নিজেই হাতে লিখে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু শনিবার নির্যাতিতার বাবার প্রকাশ্য বিবৃতির পর গোটা ঘটনা অন্য দিকে বাঁক নিয়েছে। তরুণীর বাবার বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

এদিকে, অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে তাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

Mamata Banerjee: দিল্লিতে বাঙালি বসতিতে জল ও বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল বিজেপি সরকার, উদ্বেগ মমতার

এই দিনকাল: ওড়িশা-সহ দেশের বিভিন্ন বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের ধরপাকড় করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছিল আগেই। এই আবহে রাজধানী দিল্লিতে বাঙালি বসতিতে জল ও বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার অভিযোগ উঠল। এ বিষয়ে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। গোটা ঘটনায় তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

বৃহস্পতিবার নিজের ফেসবুক পেজে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘নয়াদিল্লির বসন্তকুঞ্জের জয় হিন্দ কলোনি থেকে উঠে আসা একের পর এক ভয়ঙ্কর হেনস্তার ঘটনার খবর শুনে আমি গভীরভাবে মর্মাহত ও বিচলিত। এই বসতি মূলত সেই বাংলাভাষী মানুষেরা তৈরি করেছেন, যাঁরা দিল্লিকে গঠন করার অসংগঠিত শ্রমশক্তির গুরুত্বপূর্ণ এক অংশ। শোনা যাচ্ছে, বিজেপি পরিচালিত সরকারের নির্দেশে তাঁদের জল সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। দিন কয়েক আগে হঠাৎ বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে এবং ইলেকট্রিসিটি মিটার তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বাসিন্দারা অভিযোগ করেছেন, তাঁরা নিজেদের টাকায় যে প্রাইভেট জলের ট্যাঙ্কারের ব্যবস্থা করেছিলেন, তা দিল্লি পুলিশ এবং আরএএফ-এর সহায়তায় আটকে দেওয়া হয়েছে।’

পশ্চিমবঙ্গেও দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা কাজের জন্য আসেন। সে বিষয়টি উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে ১.৫ কোটিরও বেশি পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন, যারা সম্মানের সঙ্গে বসবাস করেন। কিন্তু বিজেপি-শাসিত রাজ্যগুলিতে সেই কথা জোরের সঙ্গে বলা যায় না, যেখানে বাংলাভাষীদের নিজের দেশেই অনুপ্রবেশকারী হিসেবে দেখা হচ্ছে। কেউ বাংলায় কথা বললে, তিনি বাংলাদেশি হয়ে যান না। ভাষা নির্বিশেষে তাঁরা ভারতেরই নাগরিক, যেকোনো ভারতীয় নাগরিকের মতোই সমান অধিকারসম্পন্ন।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিদের অধিকার কেড়ে নেওয়ার যেসব চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে, এবার সেই বাংলা-বিরোধী অপচেষ্টাকে দেশের অন্যান্য প্রান্তে শুরু করার কৌশল নিয়েছে বিজেপি। গুজরাট, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা ও মধ্যপ্রদেশ থেকেও বাংলাভাষীদের উপর নিপীড়ন করার খবর পাওয়া যাচ্ছে। এখন সেই বিদ্বেষের ছায়া এসে পড়েছে দেশের রাজধানীতেও।’

তবে এই পরিস্থিতি বন্ধ না হলে, তৃণমূল যে বসে থাকবে না, তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি লিখেছেন, ‘এই দেশেই বাংলার মানুষ যদি অনাহূত অতিথির মতো আচরণের শিকার হন, তাহলে আমরা চুপ করে থাকব না। বাংলা সমস্ত নির্যাতিত কণ্ঠের পাশে দাঁড়াবে। এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে আমরা সর্বত্র আওয়াজ তুলব।’

West Bengal BJP : তৃণমূলকে সরাতে বাম কংগ্রেসের হাত ধরতে চায় বঙ্গ বিজেপি! কটাক্ষ শতরূপ, অধীরের

এই দিনকাল: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) ক্ষমতা থেকে সরাতে বাম ও কংগ্রেসের হাত ধরতে চায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)! রবিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমন বার্তা দেন রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

রবিবার শমীক ভট্টাচার্য সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের মতাদর্শ সরিয়ে রেখে শ্যামাপ্রসাদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। এটা পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার লড়াই। ইন্দিরা গান্ধীর হাতে সব অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী। আজকের লড়াইটাও রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার লড়াই। জ্যোতি বসুকে সম্মান করলে তাঁর গড়া পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।’ বিজেপি সভাপতির এমন মন্তব্যের স্বাভাবিক ভাবে বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপি হিন্দুরাষ্ট্র গঠন করতে চায়। কিন্তু বাংলায় না পেরে উঠে জোট বাঁধার কথা বলছে। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শমীক ভট্টাচার্যের কথার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তিনি বলেন, জ্যোতি বসু বিজেপিকে অসভ্য ও বর্বরদের দল বলতেন। প্রয়াত বর্ষীয়াণ মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই অসাম্প্রদায়িক বাংলা রক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তরুণ বাম নেতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু ভোট এক করার লক্ষ্যে হিন্দুদের জোট বাঁধার বার্তা আগে থেকেই দিয়ে আসছেন। শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হয়ে হিন্দু ও মুসলিম ভোট পদ্ম শিবিরের দিকে টানার চেষ্টা করছেন।

Samik Bhattacharya: ‘বিজেপির কাছে মুসলিমরা অচ্ছুৎ নয়’, দায়িত্ব নিয়েই বার্তা শমীকের

এই দিনকাল: পশ্চিমবঙ্গ বিজেপির (BJP) রাজ্য সভাপতি হয়ে ছক ভাঙা বার্তা শমীক ভট্টাচার্যের (Samik Bhattacharya)। বৃহস্পতিবার রাজ্য সভাপতি (West Bengal State President) হিসেবে শমীক ভট্টাচার্যের নাম ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিক ভাবে। নয়া দায়িত্ব পাওয়ার পর তাঁর প্রথম ভাষণে তাৎপর্যপূর্ণ বার্তা দিলেন বিজেপি নেতা। এদিন বক্তৃতায় হিন্দু-মুসলিম ঐক্যের বার্তা দেন তিনি। গেরুয়া শিবিরে যা কার্যত অভাবনীয় বলে মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।

বঙ্গ বিজেপিতে সুবক্তা হিসাবে সুপরিচিত শমীক ভট্টাচার্য। রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সঙ্গে তিনি দীর্ঘ দিন ধরে যুক্ত। অথচ কেবলই হিন্দু ঐক্যের বার্তা না দিয়ে তিনি হিন্দু-মুসলমান সসম্প্রীতির বার্তা দিয়ে গেরুয়া শিবিরের রাজনীতিতে নতুন ভাষ্য তৈরি করতে চাইছেন বলে মত পর্যবেক্ষকদের। প্রসঙ্গত সাম্প্রতিক কালে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী একাধিক বার হিন্দুদের জোট বাঁধার বার্তা দিয়েছেন। সেই পথে না হেঁটে সংখ্যালঘুদের নিয়ে চলার বার্তা দিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে তাৎপর্যপূর্ণ ইঙ্গিত নয়া রাজ্য সভাপতির। 

মুসলিমরা যে বিজেপির কাছে অচ্ছ্যুৎ নয়, এদিন সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর তাঁর প্রথম ভাষণে বুঝিয়ে দিয়েছেন শমীক ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘দিনের পর দিন একটা সাম্প্রদায়িক বিভাজন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে রাজ্যের মাটিতে। আজকে সংখ্যালঘুদের বুঝতে হবে। যে বিজেপির লড়াই সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে নয়। বিজেপির লড়াই কোনও মুসলমানের বিরুদ্ধে নয়। আমাদের লড়াই হল আপনাদের বাড়ির ছেলেরা যারা পাথর হাতে নিয়ে ঘুরছে আমরা ওই পাথরটাকে কেড়ে নিয়ে ওখানে বই ধরিয়ে দিতে চাই। যারা তলোয়ার নিয়ে নেমেছে আমরা ওই তলোয়ার কেড়ে নিয়ে তাদের হাতে কলম ধরিয়ে দিতে চাই। এটা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি করে দেখাবে। আমরা চাই দুর্গাপুজোর বিসর্জন আর মহরমের মিছিল একই সময় একই রাস্তা দিয়ে একই সময় হেঁটে যাবে। কোনও সংঘর্ষ নেই, কোনও দাঙ্গা নেই। কোনও রাজনৈতিক সম্প্রীতির বিভাজন নেই। পশ্চিমবঙ্গকে বাঁচাতে হবে, এর বহুত্ববাদকে বাঁচাতে হবে। এই মাটিকে রক্ষা করতে হবে।’

এদিন শমীক ভট্টাচার্য সংখ্যালঘু সমাজের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন করেন, ‘বাংলার সংখ্যালঘু ভাই বোনেরা সৈয়দ মুস্তাফা সিরাজ, সৈয়দ মুজতবা আলি, এস ওয়াজেদ আলি, নজরুলের কথা শুনবে, না কোনও উগ্রপন্থীর ভাষা শুনবে। হুমায়ুন কবিরের বক্তব্যকে গ্রহণ করবে?’

তাঁর আরও সংযোজন, ‘দেখুন রাজ্যের দিকে তাকিয়ে। মরছে মুসলমান, মারছে মুসলমান, কারা এই অবস্থা তৈরি করল? আপনারা মনে করলে বিজেপিকে ভোট দেবেন না, কিন্তু আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজেকে প্রশ্ন করুন, গত ৩ বছরে পশ্চিমবঙ্গে যত খুন হয়েছে তার মধ্যে মুসলমানের সংখ্যা কত। ৯০ শতাংশ মুসলমান খুন। মরছে মুসলমান, মারছে মুসলমান। আর তাদের পরিবার বলছে সিবিআই তদন্ত চাই।’

Kasba Rape Case: ধর্ষণ কাণ্ডের পর অনির্দিষ্ট কালের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হল কসবার ল কলেজ!

এই দিনকাল: গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক‍্যালকাটা ল কলেজে ধর্ষণের (Kasba Rape Case) ঘটনা ঘটেছে। অভিযুক্তরা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। ইতিমধ্যে রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছে কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের এই ঘটনা। এই আবহে এবার কলেজ কর্তৃপক্ষ অনির্দিষ্ট কালের জন‍্য বন্ধ করে দিলেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি। রবিবার এক বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এমনটাই জানানো হয়েছে। 

সাউথ ক‍্যালকাটা ল কলেজের তরফে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানানো হয়েছে আপাতত কলেজ বন্ধ থাকবে। গভর্নিং বডির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সমস্ত বিএ.এলএলবি ও এলএল.এম ক্লাস বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজ চত্বরে পড়ুয়াদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত এই সিদ্ধান্ত বহাল থাকবে।

উল্লেখ্য, নিরাপত্তার দাবি নিয়ে সোমবার কলেজ ক্যাম্পাসে এসেছিল পড়ুয়াদের একাংশ। উপাচার্যের সঙ্গে দেখা করতে চেয়ে চেয়েছিল তারা। কিন্তু অভিযোগ, উপাচার্য তাদের সঙ্গে দেখা করেনি। এদিনই শহর কলকাতার একাধিক ল কলেজের পড়ুয়া এবং প্রাক্তনীরা কসবায় জমায়েত করেছিল। তারা দুষ্কৃতীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে কসবা থানা থেকে সাউথ ক্যালকাটা ল কলেজ পর্যন্ত মিছিল করে বিক্ষোভকারীরা।

Rape: ‘আইনের ছাত্রী হয়ে আজ আমি নিজেই নির্যাতিতা’, অভিযোগপত্রে লিখলেন কসবা কাণ্ডের তরুণী

এই দিনকাল: কসবার ল কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ (Rape) করা হয়েছে বলে অভিযোগ। অভিযুক্ত এবং অপরাধের সময় তার সহযোগীরা রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যে মূল অভিযুক্ত-সহ তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। শুক্রবারই ধৃতদের আদালতে পেশ করা হয়। অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতে নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

ঠিক কী ঘটেছিল?

পুলিশ সূত্রে খবর, গত ২৫ জুন ধর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ। ওই দিন সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ১০টা ৫০ মিনিটের মধ্যে তরুণীর উপর নৃশংস ভাবে শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার করা হয়। পরদিন অর্থাৎ ২৬ জুন গোটা ঘটনার কথা জানিয়ে কসবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন তরুণী। সেই অভিযোগপত্রে তিনি লিখেছেন, ‘আইনের ছাত্রী হয়ে আজ আমি নিজেই নির্যাতিতা। আমি নিজের জন্য বিচার চাইছি। দয়া করে তিন জনের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিন।’

উল্লেখ্য গত বছর আগস্ট মাসে কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুন করা হয়। যে ঘটনা রাজ্য রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিল৷ কসবা কাণ্ডের পর অনেকে এই ঘটনাকে আরজি কর কাণ্ডের সঙ্গে তুলনা করছেন। ইতিমধ্যে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি এই ঘটনায় সরব হয়েছে।

১৭ জুন কলেজে ভর্তির পোর্টালের সূচনা করবেন শিক্ষামন্ত্রী, আবেদন কবে থেকে?

এই দিনকাল: আগামী ১৭ জুন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক স্তরে ভর্তির (College Admission) জন্য পোর্টালের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হবে। সূচনা করবেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Education Minister Bratya Basu)। আনুষ্ঠানিক ভাবে পোর্টালের সূচনা হওয়ার পর দিন থেকেই আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাবে। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

উচ্চ শিক্ষা দফতরের তরফে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে বলা হয়েছে, চলতি জুন মাসের ১৭ তারিখে কেন্দ্রীয়ভাবে অ্যাডমিশন পোর্টালের আনুষ্ঠানিক সূচনা করবেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। এর পর ১৮ জুন দুপুর ২টো থেকে রেজিস্ট্রেশন ও আবেদন প্রক্রিয়া করা যাবে। যা চলবে ১ জুলাই পর্যন্ত। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ জুলাই মেধা তালিকা ও কলেজ ভিত্তিক বিভিন্ন কোর্স-এর তালিকা প্রকাশ করা হবে। তার পর ৬ থেকে ১২ জুলাই যে আসন গুলি অ্যালার্ট করা হবে তার ওপর নির্ভর করে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। আর নতুন সেমেস্টারে ক্লাস শুরু হবে ১ আগস্ট থেকে।

তবে রাজ্যের একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ভাবে ভর্তি প্রক্রিয়া প্রযোজ্য হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। এই তালিকায় রয়েছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার জন্য ছাত্র ছাত্রীরা বাংলা সহায়তা কেন্দ্রগুলি থেকে সহযোগিতা পাবে বলে জানানো হয়েছে। এক জন পড়ুয়া সর্বোচ্চ ২৫ টি কোর্সের জন্য আবেদন করতে পারবে।