Islam: তীর্থযাত্রায় পাকিস্তানে গিয়ে ইসলাম গ্রহণ, সে দেশের নাগরিককে বিয়ে ভারতীয় শিখ মহিলার

এই দিনকাল: গুরু নানকের (Guru Nanak) জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিতে পাকিস্তানে গিয়েছিল ভারতীয় শিখ সম্প্রদায়ের একটি দল। প্রতিবেশী দেশে সেই তীর্থযাত্রায় গিয়ে ইসলাম (Islam) ধর্ম গ্রহণ করলেন এক ভারতীয় শিখ মহিলা। শুধু তাই নয় ধর্মান্তরিত হওয়ার পাশাপাশি এক পাক নাগরিকের সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন তিনি। প্রসঙ্গত, ভারতীয় তীর্থযাত্রীদের ওই দলটির সকলে দেশে ফিরলেও ওই মহিলা ভারতে ফেরেননি। আর যা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছিল তাঁর পরিজনদের মধ্যে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভিন দেশে গিয়ে ধর্মান্তরিত হওয়া ওই মহিলার নাম সরবজিৎ কৌর। তিনি পাঞ্জাবের কাপুরথালার বাসিন্দা। ৫২ বছর বয়সী সরবজিৎ অন্যান্য শিখ তীর্থযাত্রীর সঙ্গে দুই দেশের সরকারের অনুমতিতে গত ৪ নভেম্বর ওয়াঘা-আটারি সীমান্ত দিয়ে পাকিস্তানে গিয়েছিলেন। চলতি বছরে গুরু নানক দেবের ৫৫৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সামিল হতে তাঁরা সীমান্তের ওপারে গিয়েছিলেন। পাকিস্তানে প্রায় ১০ দিন কাটানোর পর ১৩ নভেম্বর ১৯৯২ জন শিখ তীর্থযাত্রীর দল ভারতে ফিরে আসে। কিন্তু সেই দলে ছিলেন না সরবজিৎ।

সম্প্রতি উর্দুতে একটি ‘নিকাহনামা’ (ইসলামিক বিয়ের চুক্তি) প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও তার সত্যতা এই দিনকাল যাচাই করেনি। সেখানে দাবি করা হয়েছে সরবজিৎ পাক নাগরিক নাসির হুসেনকে বিয়ে করেছেন। নাসির লাহোর থেকে প্রায় ৫৬ কিলোমিটার দূরে শেখুপুরার বাসিন্দা। রিপোর্ট অনুসারে, ভারতীয় ওই মহিলা বিয়ের আগে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। পাশাপাশি তাঁর নামও পরিবর্তন করেছেন। তিনি নতুন নাম নিয়েছেন নূর। সূত্রের খবর, সরবজিৎ বিবাহবিচ্ছিন্না ছিলেন। তাঁর প্রাক্তন স্বামী কর্নাইল সিং ৩০ বছর ধরে ইংল্যান্ডে বসবাস করছেন। তাঁদের দুই ছেলে রয়েছে।

পুলিশ সূত্রের দাবি, সরবজিতের পাসপোর্ট ইস্যু করা হয়েছিল পাঞ্জাবের মুক্তসর জেলায়। তদন্তে জানা গিয়েছে, তিনি পাকিস্তানে নিখোঁজ হয়েছিলেন।পাকিস্তান থেকে ভারতে প্রবেশের জন্য ইমিগ্রেশন রেকর্ডেও তাঁর নাম পাওয়া যায়নি। সবাই ফিরে এলেও তিনি পাকিস্তান থেকে না ফেরায় ভারতের ইমিগ্রেশন বিভাগ দ্রুততার সঙ্গে পাঞ্জাব পুলিশকে বিষয়টি জানায়।  এর পর ভারতের তরফে পাকিস্তানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।

উল্লেখ্য শিখদের শীর্ষ সংস্থা শিরোমণি গুরুদ্বার প্রবন্ধক কমিটি (এসজিপিসি) প্রতি বছর ঐতিহাসিক গুরুদ্বারগুলিতে শ্রদ্ধা জানাতে, বিশেষ করে গুরু নানকের প্রকাশ পর্বে তীর্থযাত্রীদের একটি প্রতিনিধিদল পাকিস্তানে পাঠায়। গত মাসে, সরকার নিরাপত্তাজনিত কারণে ভ্রমণের অনুমতি প্রত্যাখ্যান করার প্রায় দুই সপ্তাহ পরে, সীমান্তের ওপারে নানকানা সাহিব গুরুদ্বারে শিখ ভক্তদের ১০ দিনের তীর্থযাত্রা করার অনুমতি দেয়।

Bihar Assembly Elections Result: বিহারে জোটে নেয়নি রাহুল-তেজস্বীরা, একলা লড়ে ৫ আসনে জয় পেল ওয়েইসির মিম

এই দিনকাল: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে একক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও কার্যত সফল হল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম। যেখানে আরজেডি এবং কংগ্রেস আশানুরূপ ফল পায়নি, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাঁচটি আসনে জয় ছিনিয়ে আনল ওয়েইসির দল। 

বিহারে (Bihar Assembly Elections Result) নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে থেকেই মহাজোটে সামিল হতে চেয়ে একাধিকবার আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে চিঠি লিখেছিলেন বিহার মিমের নেতৃত্ব, এমনই দাবি করেছিলেন খোদ আসাদ উদ্দিন ওয়েইসি। কিন্তু অভিযোগ, ইন্ডিয়া জোটে ওয়েইসির দলকে নিতে আগ্রহ দেখাননি রাহুল-তেজস্বীরা। ইন্ডিয়া ব্লক না সঙ্গে নেওয়ায় একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় অল ইন্ডিয়া মজলিস এ ইত্তেহাদুল মুসলেমিন। আর সেই সিদ্ধান্তে ভর করে নির্বাচনী ময়দানে লড়াইয়ে সাফল্য পেল দলটি। শুক্রবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল, বিহারের জোকিহাট, বাহাদুরগঞ্জ, কোচাধামান, আমৌর এবং বাইসি— পাঁচ আসনে জয়লাভ করেছেন মিমের প্রার্থীরা।

শুক্রবার ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এদিন গণনার ফল অনুযায়ী জোকিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ২৮৮০৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন মিম প্রার্থী মহম্মদ মুর্শিদ আলম, তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৩৭৩৭টি। ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন জেডিইউ এর মনজার আলম, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৪৯৩৪টি। বাহাদুরগঞ্জ কেন্দ্রে ২৮৭২৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন মিম প্রার্থী মহম্মদ তৌসিফ আলম, তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৭৩১৫টি। দ্বিতীয় হয়েছেন কংগ্রেসের মহম্মদ মাসওয়ার আলম, তিনি পেয়েছেন ৫৮৫৮৯টি ভোট। 

Oplus_131072

কোচাধামান কেন্দ্রে ২৩০২১ ভোটে জয় পেয়েছেন মিমের মহম্মদ সারওয়ার আলম, তিনি ভোট পেয়েছেন ৮১৮৬০টি। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন আরজেডির মুজাহিদ আলম, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৮৮৩৯টি। আমৌরে মিমের আখতারুল ইমান জয়ী হয়েছেন ৩৮৯২৮ ভোটে, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০০৮৩৬টি। এই কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেডিইউ এর সাবা জাফর, তিনি পেয়েছেন ৬১৯০৮ ভোট। বাইসি কেন্দ্রে মিমের গোলাম সারওয়ার জয় পেয়েছেন ২৭২৫১ ভোটে, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯২৭৬৬টি। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপির বিনোদ কুমার, তিনি পেয়েছেন ৬৫৫১৫টি ভোট।

উল্লেখ্য, বিহারে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ তুলে বিরোধীরা মিমকে নিশানা করেছে বহু বার। সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দলটির প্রধান আসাদ উদ্দিন ওয়েইসি গত সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়া জোটে সামিল হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিলে ইন্ডিয়া ব্লকে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। ওয়েইসি বলেছিলেন, ‘আমার দলের বিহার ইউনিটের প্রধান তেজস্বী যাদবকে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেছেন। শেষ চিঠিতে, ২৪৩-শক্তিশালী বিধানসভার নির্বাচনে এআইএমআইএমকে ছয়টি আসন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ পরবর্তীতে মিমের সঙ্গে জোট করতে রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবরা কোনও আগ্রহ দেখাননি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মিম ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার মধ্যে পাঁচ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল দলটি। যদিও দু বছর পর বিহার ইউনিটের সভাপতি আখতারুল ইমান ছাড়া, মিম-এর টিকিটে নির্বাচিত সকল বিধায়ক আরজেডিতে যোগ দেন।

Bihar Assembly Election Result: বিহারে মোদী-নীতিশ জুটির প্রত্যাবর্তন, ভরাডুবি ইন্ডিয়া জোটের

এই দিনকাল: বিহারে ইন্ডিয়া জোটের বিপর্যয় (Bihar Assembly Election Result)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং জেডিইউ নেতা নীতিশের উপর আস্থা রাখলেন সে রাজ্যের মানুষ। বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে আরও এক বার ক্ষমতা দখলের পথে এনডিএ জোট। শুক্রবার নির্বাচনের ঘোষিত ফল অনুসারে এনডিএ জোট জয়ী হয়েছে ২০২টি আসনে, আর রাহুল-তেজস্বীদের ইন্ডিয়া জোট পেয়েছে মাত্র ৩৫টি আসন। অন্যান্যরা পেয়েছেন ৬টি আসন।

ভারত জোড়ো যাত্রা থেকে শুরু করে ভোট চুরির অভিযোগ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী দেশের রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন এই দুটি কর্মসূচিতে। বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের আগে প্রচারেও ঝড় তুলেছিলেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা। তেজস্বী যাদবকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচনী জনসভাও করেছিলেন তিনি। সেখান থেকে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দেগেছিলেন। কিন্তু ইভিএমে জনতার মন টানতে কার্যত ব্যর্থ হলেন রাহুল-তেজস্বীরা। শুক্রবার সকাল থেকে ভোট গণনা শুরু হতে প্রাথমিক প্রবণতায় এনডিএ জোট এগিয়ে থাকে। সময় যত গড়াতে থাকে তত ঝড়ের বেগে এনডিএ জোটের সঙ্গে ইন্ডিয়া জোটের ব্যবধান বাড়তে থাকে। এদিন গণনার চূড়ান্ত ফল অনুসারে ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে বিজেপি। পদ্ম শিবির পেয়েছে ৮৯টি আসন। নীতিশ কুমারের জেডিইউ পেয়েছে ৮৫ আসন। বিজেপি, জেডিইউ এবং আরও সহযোগী দলগুলি মিলিয়ে এনডিএ জোটের মোট আসন সংখ্যা ২০২। অন্যদিকে কংগ্রেস পেয়েছে ৬টি আসন, আরজেডি পেয়েছে ২৫ আসন। 

উল্লেখ্য, গত ৬ ও ১১ নভেম্বর দু দফায় সম্পন্ন হয়েছে বিহারে বিধানসভা নির্বাচন। হাইভোল্টেজ নির্বাচনে এনডিএ জোটের হয়ে প্রচার করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী থেকে শুরু করে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও। ১১ নভেম্বর একাধিক বুথ ফেরত সমীক্ষার রিপোর্টে দাবি করা হয় এনডিএ জোট ক্ষমতায় আসছে বলে, অবশেষে সেই সম্ভাবনাই মিলে গেল প্রকৃত ফলাফলে।

Omar Abdullah: ‘জম্মুকাশ্মীরের প্রত্যেক বাসিন্দা জঙ্গি নয়’: মুখ্যমন্ত্রী ওমর

এই দিনকাল: দিল্লি গাড়ি বিস্ফোরণের ঘটনায় তদন্ত জারি রেখেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা এনআইএ। ইতিমধ্যে একাধিক চিকিৎসককে গ্রেফতার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালাচ্ছেন গোয়েন্দারা। এই আবহে সংবাদ মাধ্যমে এই প্রসঙ্গে মন্তব্য করলেন জম্মুকাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লা (Omar Abdullah)। ঘটনার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দিল্লি বিস্ফোরণের নিন্দা যতই জানানো হোক না কেন, তা যথেষ্ট নয়। পাশাপাশি তিনি বলেন, জম্মুকাশ্মীরের প্রত্যেক বাসিন্দা সন্ত্রাসী নয় বা জঙ্গিদের সঙ্গে জড়িত নয়।

বৃহস্পতিবার জম্মুতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওমর আব্দুল্লা বলেন, ‘এই ঘটনার নিন্দা যতই করা হোক, তা যথেষ্ট নয়। নিরপরাধ মানুষদের এভাবে হত্যা করা মেনে নেওয়া যায় না এবং কোনও ধর্ম এমন কাজকে অনুমোদন দেয় না। তদন্ত চলছে, এবং দোষীদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রাজ্যের প্রতিটি বাসিন্দা সন্ত্রাসী নয়, বরং কেবলমাত্র কয়েকজন ‘সর্বদা এখানকার শান্তি ও সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা করে।’ ওমর বলেন, ‘যখন আমরা জম্মুকাশ্মীরের প্রত্যেক বাসিন্দা এবং প্রত্যেক কাশ্মীরি মুসলমানকে একই মানসিকতার মানুষ হিসেবে দেখি এবং মনে করি যে প্রত্যেকেই সন্ত্রাসী, তখন মানুষকে সঠিক পথে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’ তিনি জোর দিয়ে বলেন, বিস্ফোরণের জন্য যারা দায়ী তাদের শনাক্ত করে শাস্তি দেওয়া দরকার। পাশাপাশি যারা নির্দোষ, সেই সব মানুষদের হেনস্থা করা উচিত নয়।

উল্লেখ্য, ১০ নভেম্বর দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়িতে বিস্ফোরণের জেরে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। সূত্রের খবর, গাড়িটি চালাচ্ছিলেন উমর নবি নামের এক চিকিৎসক। নিহত চিকিৎসকের দেহাংশের ডিএনএ এর সঙ্গে তাঁর মায়ের এবং ভাইয়ের ডিএনএ মিলিয়ে তদন্তকারীরা ১০০ শতাংশ নিশ্চিত হয়েছেন। গাড়িটিতে চালকের আসনে ছিলেন উমরই। পেশায় চিকিৎসক ও অধ্যাপক হয়েও কী ভাবে সন্ত্রাসী কাজকর্মের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন উমর তা নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে ওমর বলেন, ‘আমরা কি আগেও বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকদের জড়িত থাকতে দেখিনি? কে বলে যে শিক্ষিত মানুষ এসব কাজে জড়ায় না?’

Mehbooba Mufti: ‘নির্দোষদের হয়রানি করবেন না’: দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে তদন্তের মধ্যে আর্জি মেহবুবা মুফতির

এই দিনকাল: ‘কোনও নির্দোষ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়’, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে চলমান তদন্তের মাঝে এমনই আর্জি জানালেন জম্মুকাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। বুধবার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে আবেদন জানিয়ে মুফতি বলেছেন, দিল্লি বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তারদের বাবা মাকে হয়রানি যেন না করা হয়।

বুধবার শ্রীনগরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পিডিপি নেত্রী। সেখানে তিনি দিল্লির লালকেল্লার কাছে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের নিন্দা জানান, যে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং জখম হয়েছেন ২০ জন। এই ঘটনায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়ে মুফতি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিত ডাক্তাররা দুর্ভোগে পড়েছেন। আমি দিল্লি বিস্ফোরণের সম্পূর্ণ ও সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ডাক্তাররা যদি এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে এটা আমাদের সবার জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমি দিল্লি সরকারের কাছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবেদন করছি।’ অভিযুক্তদের পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু না করার আর্জি জানিয়ে পিডিপি প্রধান আরও বলেন, ‘তারা জড়িত নয়। এটা ভালো নয়। জড়িতদের শাস্তি দেওয়া উচিত, কিন্তু নির্দোষদের হয়রানি করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের পার্থক্য বজায় রাখা উচিত। এর সঙ্গে জড়িত, যারা অপরাধী, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। কিন্তু তাদের আত্মীয়দের কোন সন্দেহ ছাড়াই গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করা উচিত… শুধু এই তদন্তটিকে তদন্ত হিসাবে বিবেচনা করুন… এমনকি যদি এখনও কারও অপরাধ প্রমাণিত না হয়, আপনি সন্দেহের ভিত্তিতে মা, বাবা, ভাই ও বোনদের গ্রেফতার করছেন। আপনি তাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনটা হওয়া উচিত নয়।’ 

উল্লেখ্য, ফরিদাবাদে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তার মুজাম্মিলের মা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। সেই দাবির পর মুফতি এই মন্তব্য করলেন। তাঁর আরও দাবি, গ্রেফতারের পর থেকে পরিবারকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, তিন ডাক্তার – শাহীন সাঈদ, মুজাম্মিল শাকিল গণালে এবং আদিল রাথার – বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন। উমর নবী নামে আরেক ডাক্তার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বলে অনুমান করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় উমরের।

Suicide Blast: পাকিস্তানে আদালত চত্বরে আত্মঘাতী বিস্ফোরণ, মৃত্যু ১২ জনের, আহত অন্তত ২৫

এই দিনকাল: আত্মঘাতী বিস্ফোরণে (Suicide Blast) কেঁপে উঠল পাকিস্তানের ইসলামাবাদ। প্রাণঘাতী বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১২ জনের। জখম হয়েছেন ২৫ জনের বেশি। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, মঙ্গলবার বিকেলে ইসলামাবাদে আদালত চত্বরে পার্ক করা একটি গাড়িতে শক্তিশালী এই বিস্ফোরণ ঘটে। আহত এবং নিহতদের মধ্যে বেশিরভাগই আইনজীবী বলে জানা গিয়েছে। 

সূত্রের খবর, আর পাঁচটা দিনের মত মঙ্গলবার দুপুরেও ব্যস্ততা ছিল ইসলামাবাদ জেলা আদালত চত্বরে। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আদালতের প্রবেশপথের কাছে পার্ক করা একটি গাড়ির ভিতরে এই বিস্ফোরণ ঘটে। তদন্তকারীদের অনুমান এটি আত্মঘাতী বিস্ফোরণ। বিকট শব্দে বিস্ফোরণের পর ব্যাপক আতঙ্ক ছড়ায় এলাকায়। ছোটাছুটি শুরু করেন স্থানীয়রা। বিস্ফোরণের শব্দ এতটা তীব্র ছিল যে, ছয় কিলোমিটার দূর পর্যন্ত তার আওয়াজ শোনা গেছে।

এই ঘটনায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি বলেন, এই হামলার পর দেশ ‘যুদ্ধাবস্থার’ মধ্যে রয়েছে। নিরাপত্তা বাহিনী দ্রুত এলাকাটি ঘিরে দেয় এবং তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় চিকিৎসার জন্য। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিস্ফোরণের পর ধোঁয়ায় ঢেকে যায় এলাকা। মানুষ জন চিৎকার করতে শুরু করেন। প্রাণ বাঁচাতে অনেকেই দৌড়াতে শুরু করেন। পুলিশ আত্মঘাতী হামলার তদন্ত শুরু করেছে। এর পেছনে কারা রয়েছে তা জানার চেষ্টা চালাচ্ছে তদন্তকারীরা। তবে এখনও কোনও গোষ্ঠী হামলার দায় স্বীকার করেনি।

Explosion: দিল্লির লাল কেল্লার কাছে বিস্ফোরণ, ৮ জনের মৃত্যু, হাই অ্যালার্ট জারি মুম্বই, জয়পুর, উত্তরপ্রদেশে

এই দিনকাল: ভয়াবহ বিস্ফোরণে (Explosion) কেঁপে উঠল রাজধানী শহর দিল্লি। সোমবার সন্ধ্যায় দিল্লির লাল কেল্লার কাছে একটি গাড়িতে এই বিস্ফোরণের ফলে আট জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন অন্তত ২৪ জন। বিস্ফোরণের পর আশেপাশে থাকা আরও তিন থেকে চারটি গাড়িতে আগুন ধরে যায়। দিল্লি পুলিশের এক আধিকারিক বলেন, ‘এটি অত্যন্ত শক্তিশালী বিস্ফোরণ ছিল।’

দিল্লির লোক নায়ক হাসপাতালের তরফে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করা হয়েছে। যেখানে বিস্ফোরণের পর আহতদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এদিন এই বিস্ফোরণের পর উচ্চ সতর্কতা জারি করা হয়েছে মুম্বই, জয়পুর, উত্তরপ্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডে। ঘটনার পর দেখা গিয়েছে, একটি গাড়ির দরজা উড়ে গেছে। আরেকটি গাড়ি কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। মাটিতে মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখা গিয়েছে। ঘটনার খবর পেয়ে বিস্ফোরণ স্থলে পৌঁছেছে প্রায় ২০টি দমকলের ইঞ্জিন। গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ।তবে বিস্ফোরণের ধরণ সম্পর্কে এখনও বিশেষ কিছু জানা যায়নি।

ফরেনসিক এবং প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞরা বিস্ফোরণের পর ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। কী ভাবে এবং কী ধরনের এই বিস্ফোরণ তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা। উল্লেখ্য লাল কেল্লা পুরাতন দিল্লি এলাকায় অবস্থিত। এটি দিল্লির অন্যতম জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। প্রত্যক্ষদর্শীদের মতে, একটি সুইফট ডিজায়ার গাড়িতে বিস্ফোরণটি ঘটেছিল। বিস্ফোরণে আহত হয়েছেন জিশান নামের এক জন অটোচালক। তিনি বলেন, ‘আমার সামনে গাড়িটি প্রায় দুই ফুট দূরে ছিল। আমি জানি না এতে বোমা ছিল নাকি অন্য কিছু, তবে এটি বিস্ফোরিত হয়েছিল। এটি একটি সুইফট ডিজায়ার গাড়ি ছিল।’

RSS: মুসলিমরা কী আরএসএস-এ যুক্ত হতে পারেন? কী বললেন মোহন ভাগবত?

এই দিনকাল: স্বাধীনতার আগে জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) শতবর্ষ পূরণ করেছে। বর্তমান কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির (BJP) ‘মেন্টর’ এই সংগঠন। অতীতে নানা সময়ে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, আরএসএস হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বলে। এই ধরনের সংগঠন সংখ্যালঘুদের কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে তা বিভিন্ন সময়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে। মুসলিমরা (Muslim) এই সংগঠনে যুক্ত হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat)। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রবিবার ভাগবত এই বিষয়ে সঙ্ঘের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

মুসলিমরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে সামিল হতে পারবেন কিনা, এই বিষয়ে জানতে চাইলে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সঙ্ঘে কোনও ব্রাহ্মণকে নেওয়া হয় না, কোনও বর্ণের কাউকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয় না, কোনও মুসলিমকে, কোনও খ্রিস্টানকে নেওয়া হয় না… বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ, মুসলিম বা খ্রিস্টান, তাদের ভিন্নতাকে সরিয়ে রেখে সঙ্ঘে আসতে পারেন। যখন আপনি শাখায় আসেন, তখন আপনি ভারত মাতার সন্তান হিসেবে আসেন। মুসলিম এবং খ্রিস্টান শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাদের সেই হিসাবে দেখি না, আমরা জানতে চাই না, তারা কারা।’

রবিবার সরসঙ্ঘচালক আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ নীতি সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়। তিনি বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দাবি যদি কংগ্রেস সমর্থন করত, তাহলে হাত শিবিরকে সমর্থন করতেন আরএসএস কর্মীরা। তাঁর কথায়, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা নির্বাচনের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি না। সঙ্ঘ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করে। অন্য দিকে, রাজনীতি বিভাজনমূলক। আমরা নীতি সমর্থন করি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির চেয়েছিলাম, তাই আমাদের স্বয়ংসেবকরা এটি নির্মাণের পক্ষে ছিলেন।’ ভাগবত বলেন, ‘আমাদের কোনও দলের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ নেই। কোনও সঙ্ঘ পার্টি নেই; কোনও দল আমাদের নয়। এবং সমস্ত দলই আমাদের কারণ তারা ভারতীয় দল। আমরা রাষ্ট্রনীতি সমর্থন করি, রাজনীতি নয়। আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে, আমরা চাই এই দেশটি একটি নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যাক। যারা দেশকে সেই দিকে পরিচালিত করে, আমরা তাদের সমর্থন করব।’

I Love Mohammad: ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার ঘিরে হিংসার ঘটনায় জামিন মিলল না তৌকির রেজা-সহ ৬ জনের

এই দিনকাল: উত্তরপ্রদেশে ‘আই লাভ মহম্মদ’ (I Love Mohammad) পোস্টার ঘিরে বিতর্ক এবং তার জেরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান মাওলানা তৌকির রেজা খান (Tauqeer Raza) এবং আরও পাঁচ জনের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিয়েছে বেরেলির একটি আদালত। তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, পুলিশ কর্মীদের উপর হামলার ঘটনায় ধৃতরা জড়িত ছিলেন।

অতিরিক্ত জেলা সরকারি আইনজীবী (এডিজিসি) মহেশ পাঠক জানিয়েছেন, নিষেধাজ্ঞা জারি থাকা সত্ত্বেও ঘটনার দিন ইসলামিয়া ময়দানে মুসলিম সমাজের লোকজনকে জড়ো হওয়ার জন্য ডাক দিয়েছিলেন রেজা। পুলিশ যখন জমায়েতে সামিল হওয়া জনতাকে ছত্রভঙ্গ করার চেষ্টা করে, তখন হিংসা ছড়িয়ে পড়ে। ভিড় থেকে নিরাপত্তা বাহিনীকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়ে মারা হয়।

সংবাদ সংস্থাকে পাঠক বলেন, ‘দাঙ্গাকারীরা পুলিশ সুপার (শহর) এর বন্দুকধারীর কাছ থেকে একটি রাইফেল এবং পুলিশের গাড়ি থেকে একটি ওয়্যারলেস সেটও ছিনিয়ে নেয়।’ যে ঘটনার পর কোতোয়ালি, বরাদারি, প্রেমনগর, ক্যান্ট এবং কিলা থানায় দশটি এফআইআর দায়ের করা হয়। অভিযোগে ১২৫ জনেরও বেশি নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি ২,৫০০ জনেরও বেশি অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

শ্যামগঞ্জ এলাকায় হিংসার ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত মামলায় রেজার জামিনের আর্জি জানানো হয়েছিল। যে মামলাটি বরাদারি থানার অধীনে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ অমৃতা শুক্লা সেই আবেদনের শুনানি করেন। বিচারক রেজা-সহ ছয় জনের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। বাকিদের মধ্যে রয়েছেন ফয়জান সাকালানি, তাকিম, মুনির ইদ্রিশি (সবাই বেরেলির বাসিন্দা), হারমান ও নেমাতুল্লাহ (বিহারের পূর্ণিয়া জেলার বাসিন্দা)।

উল্লেখ্য, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে হেফাজতে রয়েছেন রেজা। হিংসার ঘটনার পর দিন থেকে। রেজা বর্তমানে ফতেহগড় জেলে বন্দি, অন্য অভিযুক্তরা বন্দি রয়েছেন বরেলি জেলে। পুলিশের অভিযোগ, সমাবেশে জড়ো হওয়া জনতা হিংসাত্মক হয়ে আধিকারিকদের উপর আক্রমণ করে। আইএমসি প্রধানের নাম দশটি এফআইআর-এর সবকটিতেই রয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ২০১৯ সালে সিএএ-এনআরসি বিরোধী বিক্ষোভে রেজা সামিল ছিলেন বলেও অভিযোগ।

SIR: এসআইআর ফর্ম ভরা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থান, না ভরলেও ক্ষতি নেই, বলছে কমিশনের নিয়ম

এই দিনকাল: রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR)এর কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। এসআইআর আতঙ্কের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মানুষ যতক্ষণ না এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনিও ফর্ম ভরবেন না। তবে কমিশনের নিয়ম বলছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এসআইআর ফর্ম না ভরলেও চলবে। কেন না পদাধিকার বলে তিনি আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিহ্নিত ভোটার।

কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, দেশের প্রধানমন্ত্রীরও এনুমারেশন ফর্ম ভরা আবশ্যিক নয়। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরাও এই তালিকায় থাকেন। কারণ তাঁদের সম্পর্কে তথ্য কমিশনের কাছে আলাদা করে রাখা থাকে। কমিশন সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের নাম নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় স্বয়ংক্রিয় ভাবেই নথিভুক্ত করা হয়। বিশেষ ভাবে এনুমারেশন ফর্ম পূরণের প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সমাজ মাধ্যম ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করতে। কর্মসূত্রে, আমার রেসিডেন্স অফিসে এসে – রেসিডেন্সের ক’জন ভোটার জেনেছেন এবং ফর্ম দিয়ে গেছেন। যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবও না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে, ‘আমি বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের হাতে বিএলও-এর কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছি!’ এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।’

কমিশন সূত্রের খবর, বুধবার ভবানীপুরে ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে এসেছেন বিএলও। মোট ৪০টি ফর্ম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক ফর্মগুলি রিসিভ করে নেন বলে সূত্রের দাবি।