CPDRS: ক্ষুদিরামকে সামনে রেখে বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে সরব মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস

এই দিনকাল: শহিদ ক্ষুদিরাম বসুর আত্মোৎসর্গ দিবসে বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে গর্জে উঠল মানবাধিকার সংগঠন সিপিডিআরএস (CPDRS)। সোমবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার মথুরাপুর স্টেশন চত্বরে একটি পথসভা করে সেন্টার ফর প্রটেকশন অফ ডেমোক্রেটিক রাইটস অ্যান্ড সেকুলারিজম (সিপিডিআরএস)। সংগঠনের ডায়মন্ড হারবার মহকুমা কমিটির তরফে আয়োজন করা এই অনুষ্ঠানে গান, কবিতা ও বক্তৃতার মাধ্যমে শহিদ ক্ষুদিরাম বসুকে স্মরণ করা হয়। এদিন এই পথসভা থেকে বর্তমান সময়ে ঘটে চলা অন্যায় ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে সরব হন বক্তারা।

উল্লেখ্য রাজধানী দিল্লি-সহ বিজেপিশাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। শুধু তাই নয় আদতে পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা এমন বহু বাঙালিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ সামনে এসেছে। সোমবার সিপিডিআরএস-এর ডায়মন্ড হারবার মহকুমা কমিটির সম্পাদক শেরিফ হোসেন পুরকাইত এই দিনকাল এর মুখোমুখি হয়ে এই প্রবণতার তীব্র বিরোধিতা করেন। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই প্রত্যেক মানুষ যাঁরা এ দেশে জন্মেছেন তাঁদেরকে ভারতের নাগরিকত্ব দিতে হবে। বাঙালি বলে কাউকে কোনও রাজ্য থেকে বের করে দেওয়া বা অপমান করা মানবাধিকার লঙ্ঘনের সামিল। আজকে আমরা যাঁর আত্মোৎসর্গ দিবস পালন করছি, সেই ক্ষুদিরাম বসু-সহ ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে অংশ নিয়ে সবচেয়ে বেশি শহিদ হয়েছেন বাঙালি।’ তাঁর আরও সংযোজন, ব্রিটিশ আমলে ভারতীয়রা ভারতীয় হওয়ার কারণে ঘৃণার পাত্র হতেন। এখন বাঙালি হওয়ার কারণে অন্য রাজ্যে অপমানিত হতে হচ্ছে। তাই ক্ষুদিরাম বসুর লড়াই বর্তমান সময়ে ভীষণ প্রাসঙ্গিক বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পাশাপাশি কর্মসূচির উদ্দেশ্য নিয়ে শেরিফ বলেন, ‘বর্তমানে যে অন্যায়, অত্যাচার এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটছে সেগুলি প্রতিহত করার চেষ্টা জারি রাখার জন্য ক্ষুদিরাম বসুর ১১৮ তম আত্মোৎসর্গ দিবসকে স্মরণ করছি আমরা। ক্ষুদিরাম আমাদের কাছে আলোকবর্তিকার মতো, যাঁরা আমাদের পথ দেখিয়ে গিয়েছেন।’ আরজি কর কাণ্ডে নিহত তরুণীর বিচারের দাবিতেও এদিন আওয়াজ তোলেন সিপিডিআরএস নেতৃত্ব। 

Murder: ভয়াবহ! নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে খুন ডায়মন্ড হারবারের যুবকের

এই দিনকাল: ভয়াবহ ঘটনা ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার শুকদেবপুর গ্রামে। নেশা করার জন্য বৃদ্ধ বাবার কাছে টাকা চেয়েছিল ২৭ বছরের যুবক। কিন্তু বাবা তা না-দেওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বৃদ্ধের নাম হরেন্দ্রনাথ বৈদ্য। ৬৫ বছর বয়স তাঁর। অভিযুক্ত ছেলের নাম সুপ্রিয় বৈদ্য (২৭)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার শুকদেবপুর গ্রামের বাদিন্দা তাঁরা। শনিবার সুপ্রিয় তাঁর বাবা হরেন্দ্রনাথের কাছে টাকা চান। কিন্তু ছেলে নেশা করে টাকা ওড়াবে বলে হরেন্দ্রনাথ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। আর বাবার থেকে টাকা না পেয়ে রেগে যান সুপ্রিয়৷ বাবার সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর। অভিযোগ, তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র এনে বাবাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হরেন্দ্রনাথ। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ হরেন্দ্রনাথকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য হরেন্দ্রনাথের দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত সুপ্রিয় বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হবে সুপ্রিয়কে।’

Triple Talaq: যৌতুক না দেওয়ায় স্ত্রীর উপর নির্যাতন, হোয়াটসঅ্যাপে তিন তালাক স্বামীর, দায়ের অভিযোগ

এই দিনকাল: পণের দাবিতে স্ত্রীর উপর চলত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। আর শ্বশুরবাড়ি থেকে তা না দেওয়ায় শেষমেশ গুণধর স্বামী তিন তালাক (Triple Talaq) দিলেন স্ত্রীকে। তাও আবার হোয়াটসঅ্যাপে। ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের উদুপিতে। ইতিমধ্যে ওই মহিলা বিষয়টি জানিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযোগকারী মহিলা কাউপ তালুকের থেনকা গ্রামের বাসিন্দা। ২৮ বছর বয়স তাঁর।পাদুবিদ্রি পুলিশের কাছে দায়ের করা অভিযোগে ওই মহিলা উল্লেখ করেছেন, গত বছর অর্থাৎ ২০২৪ সালের ২১ অক্টোবর কাউপ তালুকের কোপ্পালঙ্গাড়ি কমিউনিটি হলে মুবীন শেখের সঙ্গে তিনি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। বিয়ের সময় পাত্র পক্ষের পরিবার বিশাল অঙ্কের টাকার পণ দাবি করে। অভিযোগ, সেই দাবির প্রেক্ষিতে ১০০ গ্রাম সোনার গয়না এবং নগদ ২০ লক্ষ টাকা যৌতুক হিসেবে দিয়েছিল ওই মহিলার পরিবার। মহিলার অভিযোগ, বিয়ের পর ইয়েরমালে তাঁরা একসঙ্গে থাকতে শুরু করেন। মাত্র মাস খানেক তাঁর স্বামী তাঁর সঙ্গে ভাল আচরণ করেন। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ শুরু করেন অভিযুক্ত। শুধু তাই নয় অভিযুক্তের পরিবারের সদস্যরাও ওই মহিলাকে মানসিক এবং শারীরিক নির্যাতন শুরু করে। 

বিয়ের পর একদিন মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে যান তাঁর বাবা। অভিযোগ, সেখানে তাঁর ননদ অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করেন বাবাকে। এমন আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তোলা হলে, অভিযোগকারিণীকে মারধর করা হয়। অভিযোগ পত্রে ওই মহিলা আরও লিখেছেন, ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর তাঁর স্বামী বিদেশে চলে যান। এর পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন আরও সোনা ও টাকা দাবি করতে শুরু করে। এমনকি হুমকি দেওয়া হয়, বাড়িতে থাকতে গেলে তাকে অতিরিক্ত যৌতুক আনতে হবে। অভিযোগ তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়। তার মাঝে গত ১৫ জুলাই তাঁর স্বামী তাঁকে হোয়াটসঅ্যাপ বার্তার মাধ্যমে তিন তালাক দেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পাদুবিদ্রি থানার পুলিশ ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৮৫, ১১৫(২), ৩৫২, ৩৫১(৩)-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে।

India-Pakistan conflict: ভারত-পাক সংঘাত থামাতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন, ফের দাবি ওয়াশিংটনের

এই দিনকাল: তাঁর মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan conflict) বন্ধ হয়েছিল বলে আগে একাধিক বার দাবি করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই একই দাবি করলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও। তাঁর দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং সংঘাত থামাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ভূমিকা নিয়েছিল। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই পারমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ থামিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুবিও। সেখানে তিনি বলেন, শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ট্রাম্প অঙ্গীকারবদ্ধ। আর ‘সে কারণে আমরা দেখেছি যখন ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে সামিল হল, আমরা সরাসরি সংঘাত বন্ধ করতে সামিল হয়েছি এবং প্রেসিডেন্ট সেই শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন’, তিনি বলেন। তবে নয়াদিল্লির তরফে ওয়াশিংটনের এই দাবিকে আগেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বলে ভারতের দাবি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত-পাক সংঘাত বন্ধ হয়নি বলে সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলে। জঙ্গিরা বেছে বেছে পর্যটকদের খুন করে। যে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে দায় স্বীকার করেছিল লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। যদিও পরে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী দায় অস্বীকার করে। ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই গোটা ঘটনায় পাকিস্তানের হাত ছিল। সে কারণে গত ৭ মে ভারতের সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। তার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। চার দিনের মাথায় ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি হয়।

Flood: বন্যায় ভেসে গেছে গ্রাম, যোগী রাজ্যের মন্ত্রী বললেন ‘গঙ্গা মাইয়ার’ আশীর্বাদ!

এই দিনকাল: বন্যা (Flood) কবলিত গ্রাম পরিদর্শনে গিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন উত্তরপ্রদেশের মৎস্য মন্ত্রী সঞ্জয় নিষাদ। দুর্ভোগে পড়া মানুষজনকে তিনি বলেন, আপনাদের দরজায় ‘গঙ্গা মাইয়া’ পৌঁছে গিয়েছে, এটি আশীর্বাদ! এক জন দায়িত্বশীল মন্ত্রী হয়ে তিনি কী ভাবে এমন অবিবেচকের মত কথা বললেন তা নিয়ে শুরু হয়েছে জোর শোরগোল।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের কানপুর দেহাত এলাকার বন্যা কবলিত একটি গ্রাম পরিদর্শনে গিয়েছিলেন রাজ্যের মৎস্যমন্ত্রী এবং নিষাদ দলের প্রধান সঞ্জয় নিশাদ। সেই সময় তিনি গ্রামবাসীদের বলেন, গঙ্গা নদী ‘তাঁদের পা পরিষ্কার করার জন্য’ দুয়ারে পৌঁছেছে। কানপুর দেহাত এলাকায় নিষাদের সফরের একটি ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যাতে দেখা গিয়েছে, মন্ত্রীকে একদল লোক ঘিরে ধরে তাঁদের অভাব অভিযোগের কথা জানাচ্ছেন। সেই সময় এক জন তাঁর বাড়ির ভিতরে কতটা গভীরে জল পৌঁছে গিয়েছে তা নিয়ে কথা বলেন। তার জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘গঙ্গা মাইয়া আপনার পা পরিষ্কার করার জন্য আপনার দরজায় পৌঁছে গিয়েছে, এটি আপনাকে সরাসরি স্বর্গে নিয়ে যাবে।’ মন্ত্রীর এমন মন্তব্যের পর সচেতন গ্রামবাসীরা পাল্টা জবাব দিতে ছাড়েননি। দুর্ভোগে পড়া মানুষজন নিষাদকে বলেন, গঙ্গা মায়ের আশীর্বাদ পেতে তিনি তাঁদের বাড়িতে থাকুন!

উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন জায়গা যখন বন্যার কবলে এবং গঙ্গা ও যমুনা নদীর জলস্তর ক্রমশ বৃদ্ধির ফলে বিভিন্ন অংশে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, সেই সময় নিষাদের মন্তব্যে বিস্মিত অনেকে। এই মন্তব্যকে অসংবেদনশীল হিসেবে দেখছে বিরোধীরা। এক্স হ্যান্ডেলে ভিডিও ক্লিপটি শেয়ার করে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেসের পক্ষ থেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলা হয়, ‘মন্ত্রী নিজে লখনউয়ের একটি অভিজাত এলাকায় থাকেন; গঙ্গা ভুলে যান, তাঁর দরজা দিয়ে একটি ড্রেনও বয়ে যায় না। তাহলে, এর অর্থ কি এটা অনুমান করা উচিত যে মন্ত্রী সোজা… সেখানে যাবেন?’

ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমালোচনার মুখে পড়ে নিষাদের ব্যাখ্যা, ‘আমি একটি বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে গিয়েছিলাম যেখানে মানুষজনের সঙ্গে কথা বলার সময় আমি বলেছিলাম যে, মুক্তির জন্য, দূরদূরান্ত থেকে অনেকে গঙ্গায় পবিত্র স্নান করতে আসে – এবং এখানে, গঙ্গা মাইয়া তাদের দরজায় চলে এসেছেন।’ এখানে না থেমে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নিষাদরা নদীকে পুজো করি – আমাদের জীবন ও জীবিকার উৎস। তাই এই মন্তব্যের নিজস্ব প্রেক্ষাপট আছে।’

Cloudburst: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে মেঘভাঙা বৃষ্টিতে বিপর্যয়, মৃত্যু ৪ জনের, নিখোঁজ ৫০ জনের বেশি

এই দিনকাল: মেঘভাঙা বৃষ্টির (Cloudburst) ফলে ভূমিধস উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায়। যার জেরে মৃত্যু হল চার জনের। এখনও পর্যন্ত নিখোঁজ ৫০ জনের বেশি। মঙ্গলবার বিকেলের এই ঘটনায় বহু মানুষ কাদায় চাপা পড়ে রয়েছেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

উত্তরকাশী জেলার ধরলি গ্রামের ভয়াবহ দৃশ্য সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। যেখানে দেখা গেছে ক্ষীরগঙ্গা নদীর জলাভূমিতে মেঘভাঙা বৃষ্টির পর স্থানীয় বাসিন্দারা আতঙ্কে চিৎকার করছেন। বহু বাড়ি ও দোকানপাট তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়েছে ভূমিধসের ফলে। ইতিমধ্যে ঘটনা পর্যালোচনা করতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন। সব রকমের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহও মুখ্যমন্ত্রী ধামির সঙ্গে কথা বলেছেন। ইন্দো-তিব্বত সীমান্ত পুলিশ এবং জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীকে উদ্ধার কাজে নামানো হয়েছে। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়াদের উদ্ধারের জন্য অভিযান জারি রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

মুখ্যমন্ত্রী ধামি বলেছেন, জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, এনডিআরএফ এবং রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। তিনি জানান, প্রশাসন সম্পূর্ণ সতর্ক রয়েছে এবং ক্ষতিগ্রস্ত নাগরিকদের সব ধরণের সাহায্য করা হচ্ছে। সেনাবাহিনী সূত্রে খবর, দুপুর ১টা ৪৫ মিনিট নাগাদ ধরালিতে ভূমিধস হয়। এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে সেনার তরফে বলা হয়েছে, ‘হরশীলের কাছে খীরগড় এলাকার ধরালি গ্রামে একটি বিশাল ভূমিধসের ফলে হঠাৎ বাড়িঘর ভেঙে ভেসে যায়।’ এতে আরও বলা হয়েছে, সেনারা ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণ করা হচ্ছে। এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে সেনাবাহিনী সাধারণ নাগরিকদের পাশে আছে বলে সেনার তরফে জানানো হয়েছে।

একটি নিরালোক সংস্কার

অনন্যা মান্না

সময় নির্ধারিত শব্দে ছিনিয়ে নেয় অনাড়ম্বর প্রয়াগ।

দুয়ারে অবনত বসন্ত, 

কনকাঞ্জলি হয় জারজ অভিজ্ঞানে।

অথৈ সন্ধির পর একটি শুষ্ক বিরান কথাসাহিত্য!

অংসল ক্ষতে ইন্ধন দেয় এক একটি শীতের গান্ধর্ব,

কিভাবে যেন ধীয় জ্ঞানে নিয়মিত হয়ে আসে হাঁড়ি কড়াইয়ের কলহ,

মায়া হয়,অন্ধকার ঘরের গোপনাঙ্গ মনে করে।

কিভাবে সূর্যালোক অধিগ্ৰহণ করার পর থেকে সেজে ওঠে ঘর,অভিশপ্ত হয়ে যায় সেই থেকে।

Muslim: মুসলিম হেডমাস্টারকে সরাতে পানীয় জলের ট্যাঙ্কে বিষ পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রের, গ্রেফতার ৩

এই দিনকাল: সরকারি স্কুলের হেডমাস্টার মুসলিম (Muslim), তাই তাঁকে সরানোর জন্য উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের প্ররোচনায় স্কুলের পানীয় জলের ট্যাঙ্কে বিষ মেশাল পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র। সেই বিষাক্ত জল পান করার ফলে অসুস্থ হয়ে পড়েছে ১২ জন পড়ুয়া। ১৪ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে কর্নাটকের বেলগাভি জেলার একটি স্কুলে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃতদের মধ্যে শ্রী রাম সেনা নামক একটি উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীর  স্থানীয় নেতাও রয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, প্রধান শিক্ষক সুলেমান গোরিনায়েক মুসলিম হওয়ায় তাঁর সুনাম নষ্ট করতে এবং তাঁর প্রতি মানুষের আতঙ্ক ও সন্দেহ তৈরি করতে ষড়যন্ত্র করেছিল অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয় তাঁকে বদলি করানোরও উদ্দেশ্য ছিল তাদের। আর সেই লক্ষ্য পূরণে এই ভয়ঙ্কর ঘটনাটি ঘটায় অভিযুক্তরা। সুলেমান গত ১৩ বছর ধরে বেলগাভি জেলার হুলিকাট্টির সরকারি নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। স্কুলের পানীয় জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল পান করার জেরে একে একে অসুস্থ হতে শুরু করে পড়ুয়ারা। সব মিলিয়ে ১২ জন অসুস্থ হয়ে পড়ে। কারোর মৃত্যু না হলেও এই অসুস্থতার ঘটনা ঘটতে থাকায় উদ্বেগ তৈরি হয় স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং অভিভাবকদের মধ্যে। দ্রুত চিকিৎসার ফলে অসুস্থ পড়ুয়ারা সুস্থ হয়ে ওঠে। কিন্তু সব মিলিয়ে পড়ুয়াদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। এদিকে ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে পানীয় জলের ট্যাঙ্কে বিষ দিয়েছিল পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্র। জিজ্ঞাসাবাদের পর ছেলেটি জানায়, বিষাক্ত পদার্থের একটি বোতল তাকে দেওয়া হয়েছিল এবং বলা হয়েছিল তা জলের ট্যাঙ্কে ঢেলে দেওয়ার জন্য। যে ব্যক্তি তাকে বোতলটি দিয়েছিল তার নাম কৃষ্ণ মাদার।

তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে কৃষ্ণকে চাপ দিয়ে এই কাজ করানো হয়েছিল। কারণ সে ভিন জাতের তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে ছিল। আর যা সমাজে ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিত সাগর পাতিল এবং নাগনাগৌড়া পাতিল। কৃষ্ণকে ব্ল্যাকমেইল করে এই কাজ করানো হয়েছিল। পুলিশ জানিয়েছে, এই গোটা ঘটনা ঘটেছে শ্রী রাম সেনা নামের ডানপন্থী সংগঠনের তালুক-স্তরের সভাপতি সাগর পাতিলের পরিকল্পনায়। পুলিশি জেরায় পাতিল স্বীকার করেছে, সরকারি স্কুলে প্রধান শিক্ষকের পদে একজন মুসলিম বসে রয়েছে, এটা কোনও ভাবেই সে মেনে নিতে পারছিল না। তিন অভিযুক্ত – সাগর পাতিল, নাগনাগৌড়া পাতিল এবং কৃষ্ণ মাদার – কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

এই ঘটনার নিন্দা জানিয়েছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। ‘ধর্মীয় ঘৃণা এবং মৌলবাদীদের দ্বারা পরিচালিত জঘন্য কাজ’ বলে গোটা বিষয়টিকে অভিহিত করেছেন তিনি। এই অপরাধ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য মারাত্মক হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘বেলাগাভি জেলার সাভাদত্তি তালুকের হুলিকট্টি গ্রামের সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক মুসলিম সম্প্রদায়ের। তাঁকে অন্যত্র বদলি করার খারাপ উদ্দেশ্য নিয়ে, শ্রীরাম সেনার তালুক সভাপতি সাগর পাতিল এবং আরও দুজন স্কুলের শিশুদের পানীয় জলে বিষ মিশিয়ে দিয়েছিল। তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৫ দিন আগে ঘটে যাওয়া এই ঘটনায় বেশ কয়েকজন শিশু অসুস্থ হয়ে পড়েছিল, কিন্তু সৌভাগ্যবশত, কোনও প্রাণহানি ঘটেনি।’

Sealdah Railway Station: যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য বাড়াতে বড় সিদ্ধান্ত! শিয়ালদহে নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে এই লোকালগুলি

এই দিনকাল: যাত্রীদের কথা মাথায় রেখে বড় সিদ্ধান্ত নিল রেল। শিয়ালদহ স্টেশনে (Sealdah Railway Station) কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন ট্রেন ছাড়বে তা ঠিক করে ফেলল রেল কর্তৃপক্ষ। যতক্ষণ না অ্যানাউন্স করা হয়, বা ডিসপ্লে বোর্ডে লেখা দেখানো না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত যাত্রীরা জানতে পারেন না কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে কোন লোকাল ছাড়বে। দেশের অন্যতম ব্যস্ত এই রেল স্টেশনে ভিড়ের মধ্যে ট্রেন ধরতে গিয়ে যাত্রীরা যার ফলে সমস্যায় পড়েন। এ সব বিষয় মাথায় রেখে কোন লোকাল কোন প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে তা নির্দিষ্ট করে দিল রেল।

রেল সূত্রের খবর, ১ থেকে ৫ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে কৃষ্ণনগর, গেদে, রানাঘাট, শান্তিপুর, নৈহাটি, কল্যাণী সীমান্ত এবং ব্যারাকপুর লোকাল৷ 

এ ছাড়া ৫ থেকে ৮ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে ডানকুনি এবং বারুইপাড়া লোকাল৷ 

৬ থেকে ১০ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে বনগাঁ, বারাসত, হাবরা, দত্তপুকুর, গোবরডাঙা, ঠাকুরনগর, হাসনাবাদ, দমদম ক্যান্টনমেন্ট এবং মধ্যমগ্রাম লোকাল৷ 

পাশাপাশি ৯, ১১ এবং ১৪ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে মেল এবং এক্সপ্রেস ট্রেনগুলি ছাড়বে৷ 

অন্যদিকে ১৫ থেকে ২১ নম্বর প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাড়বে শিয়ালদহ দক্ষিণ শাখার ট্রেনগুলি অর্থাৎ সোনারপুর, বারুইপুর, ক্যানিং, নামখানা, লক্ষ্মীকান্তপুর, ডায়মন্ড হারবার লোকাল।

উল্লেখ্য, শিয়ালদহ ভারতের অন্যতম ব্যস্ততম রেল স্টেশন। শহরের এই রেল স্টেশনে প্রতিদিন ১৫ থেকে ১৮ লক্ষ যাত্রী যাতায়াত করেন। প্রতিদিন এই বিভাগে ৯১৫টি লোকাল ট্রেন চলাচল করে।

Malegaon blasts: মালেগাঁও বিস্ফোরণ কাণ্ডে বেকসুর খালাস সাধ্বী-সহ সাত অভিযুক্ত, ‘কারা মারল ৬ নামাজিকে?’ প্রশ্ন ওয়েইসির

এই দিনকাল: মহারাষ্ট্রের মালেগাঁওয়ে ২০০৮ সালের বিস্ফোরণের (Malegaon blasts) ঘটনায় এনআইএ এর বিশেষ আদালত বেকসুর খালাস দিয়েছে সাধ্বী প্রজ্ঞা ওরফে প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর-সহ সাত অভিযুক্তকে। বৃহস্পতিবার আদালতের এই রায়ের পর হতাশা প্রকাশ করেছেন অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন তথা আইমিম দলের প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। তাঁর প্রশ্ন, ছয় নামাজিকে কারা মারল?

বৃহস্পতিবার আসাদউদ্দিন ওয়েইসি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে পাঁচটি প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি লিখেছেন, ‘মালেগাঁও বিস্ফোরণ মামলার রায় হতাশাজনক। বিস্ফোরণে ছয়জন নামাজি নিহত হন এবং প্রায় ১০০ জন আহত হন। তাদের ধর্মের জন্য লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। ইচ্ছাকৃতভাবে দুর্বল তদন্ত/প্রসিকিউশনের কারণে অভিযুক্তরা খালাস পেয়েছেন।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিস্ফোরণের ১৭ বছর পর, আদালত প্রমাণের অভাবে সকল অভিযুক্তকে খালাস করে দিয়েছে। মুম্বই ট্রেন বিস্ফোরণের মামলায় আসামিদের খালাসের পরেই যেভাবে রায়ে স্থগিতাদেশ চেয়েছিল মোদি ও ফড়ণবিস সরকার, এই রায়ের বিরুদ্ধেও কি তেমন আপিল করা হবে? মহারাষ্ট্রের ‘ধর্মনিরপেক্ষ’ রাজনৈতিক দলগুলি কি জবাব চাইবে, ৬ জন মানুষকে কে হত্যা করল?’

‘তৃতীয়ত, মনে রাখবেন, ২০১৬ সালে মামলার তৎকালীন প্রসিকিউটর রোহিণী সালিয়ান রেকর্ডে বলেছিলেন যে এনআইএ তাকে অভিযুক্তদের প্রতি ‘নরম’ হতে বলেছিল। ২০১৭ সালে, এনআইএ সাধ্বী প্রজ্ঞাকে খালাস দেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ২০১৯ সালেও একই ব্যক্তি বিজেপির সাংসদ হয়েছিলেন। চতুর্থত, মালেগাঁওয়ের ষড়যন্ত্র উন্মোচন করেছিলেন কারকারে এবং দুর্ভাগ্যবশত ২৬/১১ হামলায় পাকিস্তানি সন্ত্রাসীদের হাতে নিহত হন। বিজেপি সাংসদ বলেছিলেন যে তিনি তাঁকে অভিশাপ দিয়েছিলেন এবং তাঁর মৃত্যু তাঁর অভিশাপের ফল। পঞ্চমত, ত্রুটিপূর্ণ তদন্তের জন্য কি এনআইএ বা এটিএস আধিকারিকদের জবাবদিহি করা হবে? আমার মনে হয় আমরা এর উত্তর জানি। এটাই ‘সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর’ মোদী সরকার। বিশ্ব মনে রাখবে যে তারা একজন সন্ত্রাসীকে সংসদ সদস্য করেছিল।’

উল্লেখ্য, ২০০৮ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর রমজান মাস চলাকালীন উত্তর মহারাষ্ট্রের মালেগাঁও শহরে একটি মসজিদের কাছে ভয়াবহ বিস্ফোরণ ঘটে। একটি মোটরসাইকেলে রাখা বোমা থেকে বিস্ফোরণ ঘটে সেদিন। এই বিস্ফোরণের ফলে ছয় জন নিহত হন এবং ১০০ জনেরও বেশি আহত হন। সেই ঘটনায় নাম জড়ায় সাধ্বী প্রজ্ঞা-সহ সাত জনের। তদন্তে উঠে আসে যে এই বিস্ফোরণের পিছনে ছিল একটি একটি হিন্দুত্ববাদী সংগঠন। পরে গ্রেফতার হন সাধ্বী প্রজ্ঞা এবং প্রাক্তন সেনা আধিকারিক লেফটেন্যান্ট কর্নেল প্রসাদশ্রীকান্ত পুরোহিত। যদিও পরে দু’জনেই জামিন পান। বৃহস্পতিবার এনআইএ বিশেষ আদালত জানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যে তথ্যপ্রমাণ দাখিল করা হয়েছে, তা সন্দেহের ঊর্ধ্বে নয়। 

প্রসঙ্গত, ২০১৯ সালে সন্ত্রাসে অভিযুক্ত প্রজ্ঞাকে মধ্যপ্রদেশের ভোপাল লোকসভা কেন্দ্রের টিকিট দিয়েছিল বিজেপি। জয়ী হয়ে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। যদিও গত লোকসভা নির্বাচনে অর্থাৎ ২০২৪ সালে তাঁকে আর প্রার্থী করেনি বিজেপি।