Dalit: ‘দলিত হয়ে মন্দিরে যাওয়ার ইচ্ছা কেন?’ গুজরাটে শ্রমিককে বেধড়ক মার

এই দিনকাল: মন্দিরে যাওয়ার কথা বলায় এক দলিত (Dalit) শ্রমিককে বেধড়ক মারধর করার অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাটের হিমতনগরে। শুধু মারধর নয়, ওই শ্রমিককে জাত তুলে অপমান করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এই ঘটনায় ইতিমধ্যে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন আক্রান্ত শ্রমিক।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আক্রান্ত শ্রমিকের নাম শৈলেশ সোলাঙ্কি। তিনি হিমতনগরের খেদাওয়াড়া লক্ষ্মীপুরা গ্রামের বাসিন্দা। ৩৮ বছর বয়সী সোলাঙ্কি পেশায় দিনমজুর। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঘটনাটি ঘটে। সোলাঙ্কি বালুচপুরের একটি রাস্তার কাছে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলেন, সেই সময়, একটি স্কুটারে চেপে আসেন ভরত প্যাটেল নামের এক ব্যক্তি। তিনি ধনপুরার বাসিন্দা। ভরত সোলাঙ্কির কাছে গিয়ে জানতে চান তিনি কেন ঘোরাঘুরি করছেন? তাঁর পরিচয় জানতে চান ওই স্কুটার আরোহী। সোলাঙ্কি তাঁকে বলেন, তিনি কাল ভৈরব মন্দিরে যাচ্ছেন। কিন্তু প্যাটেল তাঁর কথা অবিশ্বাস করেন, সেই সঙ্গে প্রমাণ চান। সোলাঙ্কি বলেন, ‘আমি তাঁকে আমার আধার কার্ড দেখাই। আমার পদবি দেখে তিনি জানতে চান, আমি এসসি কি না। আমি যখন তাঁকে বললাম যে আমি দলিত, তখন আমাকে গালিগালাজ শুরু করে। আমাকে জিজ্ঞাসা করেন, কেন আমি দলিত হয়ে রাতে মন্দিরে ঘুরতে এসেছি। তারপর জাত তুলে অপমান করার সময় আমাকে বেশ কয়েক বার চড় মেরেছেন।’

এই পরিস্থিতিতে তিতপুর গ্রামের দুই ব্যক্তি, নরেন্দ্রসিংহ পারমার এবং জগৎসিংহ পারমার, বাইকে করে ঘটনাস্থলে আসেন। তাঁরা দুজনে এসে সোলাঙ্কির উপর চলা অত্যাচার বন্ধ করেন। কিন্তু অভিযোগ প্যাটেল সোলাঙ্কিকে জোর করে তাঁর স্কুটারে তুলে নিয়ে যান, তাঁকে ঘোরওয়াড়ার কাছে অন্য একটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে নামিয়ে দেন। সেই সঙ্গে হুমকি দেন, ফিরে আসলে তাঁর পরিণতি খারাপ হবে। পরে সোলাঙ্কি বিষয়টি তাঁর পরিবারকে জানান। সেই সঙ্গে যারা জুলুম বন্ধ করেছিলেন সেই দুই ব্যক্তির সঙ্গেও দেখা করেন, ওই দু’জন সাক্ষী হতেও রাজি হন। হিমতনগর গ্রামীণ পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছেন সোলাঙ্কি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ এসসি এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইন-সহ একাধিক ধারায় মামলা দায়ের করেছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *