Tag Archives: Muslim

RSS: মুসলিমরা কী আরএসএস-এ যুক্ত হতে পারেন? কী বললেন মোহন ভাগবত?

এই দিনকাল: স্বাধীনতার আগে জন্ম নেওয়া রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ (RSS) শতবর্ষ পূরণ করেছে। বর্তমান কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির (BJP) ‘মেন্টর’ এই সংগঠন। অতীতে নানা সময়ে বিরোধীরা অভিযোগ করেছে, আরএসএস হিন্দুত্ববাদী সংগঠন বলে। এই ধরনের সংগঠন সংখ্যালঘুদের কোন দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখে তা বিভিন্ন সময়ে আলোচনার বিষয়বস্তু হয়েছে। মুসলিমরা (Muslim) এই সংগঠনে যুক্ত হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল সরসঙ্ঘচালক মোহন ভাগবতকে (Mohan Bhagwat)। কর্নাটকের বেঙ্গালুরুতে সঙ্ঘের শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে রবিবার ভাগবত এই বিষয়ে সঙ্ঘের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন।

মুসলিমরা রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘে সামিল হতে পারবেন কিনা, এই বিষয়ে জানতে চাইলে মোহন ভাগবত বলেন, ‘সঙ্ঘে কোনও ব্রাহ্মণকে নেওয়া হয় না, কোনও বর্ণের কাউকে প্রবেশাধিকার দেওয়া হয় না, কোনও মুসলিমকে, কোনও খ্রিস্টানকে নেওয়া হয় না… বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ, মুসলিম বা খ্রিস্টান, তাদের ভিন্নতাকে সরিয়ে রেখে সঙ্ঘে আসতে পারেন। যখন আপনি শাখায় আসেন, তখন আপনি ভারত মাতার সন্তান হিসেবে আসেন। মুসলিম এবং খ্রিস্টান শাখায় আসেন, কিন্তু আমরা তাদের সেই হিসাবে দেখি না, আমরা জানতে চাই না, তারা কারা।’

রবিবার সরসঙ্ঘচালক আরও বলেন, রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘ নীতি সমর্থন করে, কোনও ব্যক্তি বা রাজনৈতিক দলকে নয়। তিনি বলেন, অযোধ্যায় রাম মন্দিরের দাবি যদি কংগ্রেস সমর্থন করত, তাহলে হাত শিবিরকে সমর্থন করতেন আরএসএস কর্মীরা। তাঁর কথায়, ‘আমরা কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করি না। আমরা নির্বাচনের রাজনীতিতে অংশগ্রহণ করি না। সঙ্ঘ সমাজকে ঐক্যবদ্ধ করার জন্য কাজ করে। অন্য দিকে, রাজনীতি বিভাজনমূলক। আমরা নীতি সমর্থন করি। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আমরা অযোধ্যায় রাম মন্দির চেয়েছিলাম, তাই আমাদের স্বয়ংসেবকরা এটি নির্মাণের পক্ষে ছিলেন।’ ভাগবত বলেন, ‘আমাদের কোনও দলের প্রতি বিশেষ আকর্ষণ নেই। কোনও সঙ্ঘ পার্টি নেই; কোনও দল আমাদের নয়। এবং সমস্ত দলই আমাদের কারণ তারা ভারতীয় দল। আমরা রাষ্ট্রনীতি সমর্থন করি, রাজনীতি নয়। আমাদের নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গি আছে, আমরা চাই এই দেশটি একটি নির্দিষ্ট দিকে এগিয়ে যাক। যারা দেশকে সেই দিকে পরিচালিত করে, আমরা তাদের সমর্থন করব।’

Muslim: গো হত্যাকারী সন্দেহে ৭ মুসলিম ব্যক্তিকে বেধড়ক মার মহারাষ্ট্রে

এই দিনকাল: গাড়িতে গরু নিয়ে যাওয়ার সময় গো হত্যাকারী সন্দেহে সাত মুসলিম (Muslim) ব্যক্তিকে বেধড়ক মারধরের অভিযোগ দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের জালনা জেলায়। আক্রান্তদের মধ্যে রয়েছেন ৬২ বছর বয়সী এক বৃদ্ধও। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের একটি দল কাঠ দিয়ে নির্মমভাবে মারধর করে ওই ব্যক্তিদের। আক্রান্তদের দাবি, ৬ অক্টোবর, সোমবার, ২১টি ষাঁড় নিয়ে তাঁরা লাতুরে যাচ্ছিলেন, তখন এই হামলার ঘটনা ঘটে। ঘটনার পরের দিন পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন তাঁরা।

আক্রান্তদের নাম নিসার প্যাটেল, আসিফ শেখ, রিয়াজ কুরেশি, সাজিদ পাশা, আসিফ সাদিক, জাভেদ কুরেশি এবং সৈয়দ পারভেজ। নিসার প্যাটেলের দায়ের করা অভিযোগ অনুসারে, তাঁরা ছত্রপতি সম্ভাজিনগর জেলার ওয়াদোদ বাজার থেকে বৈধ ভাবে গরু কিনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। মূলত কৃষিকাজের জন্য তাঁরা প্রাণীগুলিকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। 

অভিযোগ, জালনা তহসিলের লোন্ডেওয়াড়ি গ্রামের কাছে তাঁদের দুটি গাড়ি পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে প্রায় ২০ জন অচেনা হামলাকারী তাঁদের উপর আক্রমণ করে।প্যাটেল বলেন, ‘আমরা তাঁদের সমস্ত নথি দেখিয়েছিলাম, ষাঁড়গুলি কৃষিকাজের জন্য আনা হচ্ছিল, কিন্তু হামলাকারীরা আমাদের গো হত্যার অভিযোগ এনে নির্মমভাবে মারধর শুরু করে।’ তিনি আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ আসার পরেও হামলাকারীরা তাঁদের উপর আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছিল। সংবাদ মাধ্যমকে প্যাটেল বলেন, ‘পুলিশ কীভাবে ‘অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি’ হিসেবে উল্লেখ করতে পারে যখন তাঁদের সামনেই আমাদেরকে আক্রমণ করা হয়েছিল?’ তিনি আরও বলেন, পুলিশ আধিকারিকরা প্রথমে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে। শুধু তাই নয়, অভিযোগ রিপোর্ট দায়ের করার আগে প্রায় ১২ ঘন্টা ধরে আক্রান্তদের আটকে রেখেছিল পুলিশ। অন্য দিকে প্যাটেলের অভিযোগ অস্বীকার করে পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে ঘটনাটি ‘অভ্যন্তরীণ দলীয় বিরোধ’। এক ঊর্ধ্বতন কর্তা এই ঘটনা নিয়ে বলেন, ‘আমরা বিষয়টি তদন্ত করছি।’

Muslim: হায়দরাবাদে ধর্ম জিজ্ঞেস করে ডেলিভারি বয়কে মার, দায়ের অভিযোগ

এই দিনকাল: ধর্ম পরিচয় জিজ্ঞেস করে এক ডেলিভারি বয়কে মারধরের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে হায়দরাবাদের পুরাতন শহরে। মঙ্গলবার রাতে মোগলপুরায় একটি পার্সেল পৌঁছে দেওয়ার সময় তাঁর উপর আক্রমণ করা হয়।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, আক্রান্ত ডেলিভারি বয়ের নাম মহম্মদ নাদিম। তালাব কাট্টার বাসিন্দা তিনি। অভিযোগ, আক্রমণকারীরা তাঁর নাম এবং ধর্মীয় পরিচয় জিজ্ঞেস করে, এর পর তাঁকে মারধর করে। তবে যারা এই আক্রমণ করেছে তাদেরকে এখনও চিহ্নিত করতে পারেনি পুলিশ। মারধরের পর গুরুতর আহত হন ওই ডেলিভারি বয়। তাঁর চিকিৎসার জন্য প্রাথমিকভাবে ওসমানিয়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এর পর তিনি অভিযোগ দায়ের করতে মোগলপুরা থানায় যাওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর জখম শারীরিক অবস্থার কারণে তিনি পড়ে যান এবং তাঁকে পুনরায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

অন্য দিকে হায়দরাবাদের মতো শহরে এমন ঘটনায় সরব হয়েছেন মজলিস বাঁচাও তেহরিক। সংঠনের মুখপাত্র আমজাদুল্লাহ খান আক্রান্ত ডেলিভারি বয় নাদিমকে দেখতে যান। সেই সঙ্গে অপরাধীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান। এই ঘটনায় মোগলপুরা পুলিশ ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা (বিএনএস) আইনের ১১৭(২) এবং ৩(৫) ধারার অধীনে মামলা দায়ের করেছে।

Muslim: উত্তর প্রদেশে মুসলিম রোগীর প্রতি ‘বৈষম্য’ প্রকাশ্যে আনা সেই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে এফআইআর যোগীর পুলিশের

এই দিনকাল: উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে মুসলিম (Muslim) রোগীকে চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করায় চিকিৎসকের সংকীর্ণ ও ঘৃণ্য মানসিকতা সংবাদ শিরোনামে উঠে এসেছিল। যা নিয়ে জোর চর্চা শুরু হয়, কী ভাবে এক জন চিকিৎসক ধর্মীয় কারণে রোগীর পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। এ বার সেই খবর প্রকাশ্যে আনায় দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করল যোগী আদিত্যনাথের পুলিশ।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভিডিওটি প্রচার করার কারণে দুই স্থানীয় সাংবাদিক মায়াঙ্ক শ্রীবাস্তব এবং মহম্মদ উসমানের বিরুদ্ধে উত্তর প্রদেশের পুলিশ এফআইআর দায়ের করেছে। চিফ মেডিকেল সুপারিন্টেন্ডেন্ট মহেন্দ্র গুপ্ত কোতোয়ালি থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, সাংবাদিকরা ‘জোর করে’ লেবার রুমে প্রবেশ করে ভিডিও করেছেন এবং হাসপাতালের সম্পত্তির ক্ষতি করেছেন।

উল্লেখ্য, শামা পারভিন (Shama Parveen) নামে এক মুসলিম মহিলা অভিযোগ করেন, জৌনপুরের জেলা হাসপাতালের এক জন ডাক্তার ধর্মীয় কারণে প্রসবকালীন সময়ে তাঁর চিকিৎসা করতে অস্বীকার করেছেন। ১ অক্টোবর, সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে যেখানে শামা দাবি করেন, ডাক্তার তাঁকে বলেছেন, ‘আমি এক জন মুসলিম মহিলার চিকিৎসা করব না।’ অভিযোগ, শুধু তাই নয়, উপস্থিত নার্সকে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে না নিয়ে যাওয়ারও নির্দেশ দেন ওই চিকিৎসক। শামার পরিবারকে অন্য কোথাও চিকিৎসার জন্য তাঁকে নিয়ে যেতে বলেন অভিযুক্ত ডাক্তার।

বিষয়টি নিয়ে চিফ মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট মহেন্দ্র গুপ্ত বলেন, তিনি অভিযোগ শুনে বিস্মিত হয়েছেন এবং ডাক্তারের কাছ থেকে ব্যাখ্যা চেয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘ডাক্তার ধর্মের ভিত্তিতে এমন কোনও মন্তব্য করার কথা অস্বীকার করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করা হয়েছে এবং উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।’

অন্য দিকে, এই ঘটনা তীব্র রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া তৈরি করেছে। উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টির বিধায়ক রাগিনী সোনকার এই ঘটনাকে লজ্জাজনক বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘এটি রাজ্যজুড়ে ছড়িয়ে পড়া সাম্প্রদায়িক উত্তেজনার ফল। প্রসববেদনায় ভোগা কোনও মহিলা চিকিৎসা না পাওয়ার কথা মিথ্যা বলবেন না।’ ডাক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়েরের পরিবর্তে সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করায় তিনি যোগী আদিত্যনাথ সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। ওই বিধায়ক বলেন, তিনি জেলা শাসকের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রয়োজনে বিধানসভায় বিষয়টি তুলবেন।

কংগ্রেস নেতা বিকাশ উপাধ্যায় ভিক্কি এই ঘটনার নিন্দা জানিয়ে বলেন, ‘এটা অত্যন্ত লজ্জাজনক যে একজন চিকিৎসক, যিনি সমাজের সকল শ্রেণীর সেবা করার শপথ নিয়েছেন, তিনি ধর্মীয় কারণে চিকিৎসা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এই পরিস্থিতিতে ভুক্তভোগীর কোনও জাতি বা ধর্ম নেই। কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’ 

তবে বিজেপি মুখপাত্র অবনীশ ত্যাগী অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ এবং সমাজে বিভেদ ছড়ানোর জন্য। বিজেপি নেতার কথায়, ‘সরকারের ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নীতির আদলে সমাজের সকল শ্রেণীর মধ্যে জনকল্যাণমূলক প্রকল্প পৌঁছে দেওয়া হয়েছে। যোগী আদিত্যনাথের নেতৃত্বাধীন সরকারে কোনও বৈষম্য নেই।’

Muslim: যোগীরাজ্যে মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা করতে অস্বীকার ডাক্তারের

এই দিনকাল: পড়াশোনা শেষ করে যখন কেউ চিকিৎসকের পেশায় পা রাখেন তখন ধর্ম, জাত, ভাষা, সমস্ত বৈষম্যকে দূরে রেখে কর্তব্য পালন করতে হয়, এটাই চিকিৎসকের নৈতিক দায়। কিন্তু বর্তমান ভারতবর্ষে যেখানে প্রতিনিয়ত ঘৃণার চাষাবাদ বাড়ছে সেই আবহে এবার মুসলিম (Muslim) রোগীদের চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করলেন এক মহিলা ডাক্তার। মঙ্গলবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের জৌনপুরে।

এক গর্ভবতী মুসলিম মহিলার অভিযোগ, জৌনপুরের জেলা হাসপাতালের এক মহিলা ডাক্তার তাঁর ধর্ম পরিচয়ের কারণে তাঁর সন্তান প্রসব করাতে অস্বীকার করেছেন। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, অভিযোগকারী রোগীর নাম শামা পারভিন। তাঁর অভিযোগ, ‘ডাক্তার বলেন তিনি মুসলিম রোগীদের চিকিৎসা করবেন না। আমাকে সকাল ৯টার দিকে ভর্তি করা হয়েছিল, কিন্তু এখনও পর্যন্ত আমার প্রসব হয়নি। আমি বিছানায় শুয়ে ছিলাম, কিন্তু ডাক্তার আমার চিকিৎসা করতে রাজি হননি। এমনকি অন্যদেরও বলেন, আমাকে যেন অপারেশন থিয়েটারে না পাঠানো হয়।’ এমন পরিস্থিতিতে স্বাভাবিক ভাবে হতভম্ব হয়ে যান ওই মহিলা। পারভিন জানান, তিনি ডাক্তারকে বলেন যে তিনি হিন্দু-মুসলিম করে রোগীদের মধ্যে বৈষম্য করছেন। কিন্তু গুণবতী চিকিৎসক সে কথায় কর্ণপাত করেও নিজের অবস্থানে অনড় থাকেন। পারভিন আরও বলেন, ‘তবুও, তিনি আমাকে উপেক্ষা করেছেন।’

পারভিনের অভিযোগকে সমর্থন করেছেন তাঁর স্বামী আরমান। আরমানের দাবি, ডাক্তার কেবল তাঁর স্ত্রীকে নয়, সেদিন ভর্তি হওয়া অন্য একজন মুসলিম মহিলাকেও চিকিৎসা পরিষেবা দিতে অস্বীকার করেন।আরমান বলেন, ‘তিনি সমস্ত রোগীদের পরীক্ষা নিরীক্ষা করেছিলেন, কিন্তু যখন আমার স্ত্রী এবং অন্য একজন মুসলিম মহিলার প্রসঙ্গ আসে, তখন তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।’ পরিবারটি হাসপাতালের কর্মীদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক বৈষম্যের অভিযোগ তুলে অভিযুক্ত ডাক্তারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে এই বিষয়ে কোনও বিবৃতি জারি করা হয়নি।

Muslim: যোগীরাজ্যে ৭ বছরের মুসলিম শিশুকে নৃশংস খুন, গ্রেফতার দুই প্রতিবেশী

এই দিনকাল: এক মুসলিম (Muslim) শিশুকে নৃশংস ভাবে খুন করার অভিযোগ উত্তরপ্রদেশের আজমগড়ের সিধারি শহরে। বৃহস্পতিবারের এই ঘটনায় তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দু জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। কোন উদ্দেশে নাবালককে খুন তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত শিশুর নাম শাহজেব। ৭ বছর বয়সী শিশুটি বুধবার টিউশন ক্লাসে পড়তে যায়। তার পর থেকে নিখোঁজ সে। শেষ বার তাকে দেখা গিয়েছে শৈলেন্দ্র কুমার নিগম ওরফে মান্টু নামের এক অভিযুক্তের সঙ্গে। পুলিশ জানতে পেরেছে, শিশুটিকে বাইরে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে মান্টু। সে যখন খেলছিল তখন তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু অনেক খোঁজাখুঁজির পরেও তার হদিশ না মেলায় বুধবার সন্ধ্যায় শিশুটির পরিবার সিধারি থানায় একটি নিখোঁজ হওয়ার অভিযোগ দায়ের করে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৩৭(২) ধারায় মামলা দায়ের করে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানান, বৃহস্পতিবার সকালে পাঠানি টোলায় প্রতিবেশীর বাড়ির গেটের সামনে একটি ব্যাগ উদ্ধার হয়। সেটির ভেতরে ছেলেটির বিকৃত দেহ পাওয়া যায়।

বৃহস্পতিবার সিদ্ধার্থ ও মুবারকপুর পুলিশের যৌথ অভিযানে ইটোরার ডেন্টাল কলেজের কাছ থেকে শৈলেন্দ্র কুমার নিগম এবং রাজা নিগম নামে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পালানোর চেষ্টা করার সময় পুলিশের হাতে ধরা পড়ে দুজন। অভিযোগ, তারা দুজনেই পুলিশ আধিকারিকদের লক্ষ্য করে গুলি চাল্য। তার জবাবে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। দুই অভিযুক্তই জখম হয়েছে বলে খবর।

শৈলেন্দ্র কুমার নিগমের কাছ থেকে পুলিশ একটি পিস্তল, দুটি তাজা কার্তুজ এবং দুটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করেছে। পাশাপাশি আরেক অভিযুক্ত রাজা নিগমের কাছ থেকে একটি পিস্তল, একটি তাজা কার্তুজ এবং একটি খালি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন তদন্তকারীরা। শিশুটির পরিবারের অভিযোগ, শৈলেন্দ্র কুমার নিগমের সঙ্গে হার্ডওয়্যারের দোকান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পুরনো শত্রুতা ছিল। তার জেরে ছেলেটিকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে, পুলিশ এই নৃশংস হত্যার কারণ খতিয়ে দেখছে। নিহত শিশুটির বাবার দাবি, নিগমের পরিবারের সঙ্গে তারা সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিল।

I Love Muhammad: ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে জমায়েত থেকে উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশে, লাঠিচার্জ পুলিশের

এই দিনকাল: ‘আই লাভ মহম্মদ’ (I Love Muhammad) স্লোগানের সমর্থনে জমায়েত ঘিরে উত্তেজনা উত্তরপ্রদেশের বেরিলিতে। শুক্রবার নামাজের পর এই স্লোগানের সমর্থনে জড়ো হয়েছিলেন বিক্ষোভকারীরা। অভিযোগ, সেই জমায়েত থেকে পাথর ছোঁড়া হয়। এর পর পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করলে বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানোকে কেন্দ্র করে উত্তরপ্রদেশের কানপুরে যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল, এদিনের ঘটনা সেই তালিকায় নবতম সংযোজন।

স্থানীয় ধর্মগুরু ও ইত্তেহাদ-ই-মিল্লাত কাউন্সিলের প্রধান মাওলানা তৌকির রাজা ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে বিক্ষোভের ডাক দিয়েছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে শুক্রবার নামাজের পর বেরিলির ইসলামিয়া মাঠে বিশাল জনতা জড়ো হয়েছিল। প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর কানপুরে ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানো একটি তাঁবু সরিয়ে ফেলার পর ৯ জনের নামে এবং ১৫ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ। সেই ঘটনার পর দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন বিভিন্ন মুসলিম সংগঠন ও ব্যক্তি।

জুম্মার নামাজের পর, বিশাল পুলিশ বাহিনীর উপস্থিতিতে বিক্ষুব্ধ জনতা জড়ো হয়। সেই বিক্ষোভ থেকে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের দিকে পাথর ছোঁড়ে বলে অভিযোগ। এর পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জ শুরু করে। গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্তারা। যারা স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করেছে, সেই বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বরেলির স্থানীয় প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উপর মহল থেকে। বরেলির ইন্সপেক্টর জেনারেল অজয় ​​সাহনি বিষয়টি নিয়ে জানান, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে সংঘর্ষে ১০ জন পুলিশ কর্মী আহত হয়েছেন। তাঁর কথায়, ‘পুলিশ ফ্ল্যাগ মার্চ করছিল এবং লোকজনকে নামাজ পড়ে বাড়ি ফিরে যেতে বলেছিল। পরে, জনতার মধ্যে থেকে কেউ কেউ পাথর ছোঁড়ে এবং গুলি চালায়। কিছু অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এই হামলা পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র বলে মনে হচ্ছে।’ 

অন্য দিকে পুলিশের লাঠিচার্জকে নিন্দা জানিয়েছে সমাজবাদী পার্টি। সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব বলেন, লাঠিচার্জ সরকারের দুর্বলতার লক্ষণ। তাঁর কথায়, ‘সরকার লাঠিচার্জ নয়, সম্প্রীতি ও সদিচ্ছার সঙ্গে কাজ করে। অত্যন্ত নিন্দনীয়!’

কেন ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগান ঘিরে বিতর্ক? শুরুটা কী ভাবে হল?

গত ৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের কানপুরে ঈদ-এ-মিলাদ-উন-নবী মিছিলের সময় পথের ধারে একটি তাঁবুতে ‘আই লাভ মহম্মদ’ পোস্টার লাগানো নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। স্থানীয় হিন্দু গোষ্ঠীগুলির তরফে আপত্তি জানিয়ে বলা হয়, এটি ইচ্ছাকৃতভাবে একটি মিশ্র সংস্কৃতির পাড়ায় লাগানো হয়েছে, যেখানে কিনা ঐতিহ্যগতভাবে রাম নবমীর মতো হিন্দু উৎসব পালন করা হয়।

গোটা পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যখন উভয় সম্প্রদায় একে অপরের বিরুদ্ধে উস্কানির অভিযোগ করে। হিন্দু পক্ষের অভিযোগ, তাদের পোস্টার নষ্ট করা হয়েছে। অন্য দিকে, মুসলিম পক্ষ দাবি করে শুধুমাত্র নবী মহম্মদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করার জন্য তাদেরকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে। এই ঘটনার পর শীঘ্রই, সমাজ মাধ্যমে #ILoveMuhammad হ্যাশট্যাগটি ব্যাপকভাবে ট্রেন্ডিং হয়।

ঐতিহ্যবাহী তাঁবুটি সরিয়ে নতুন জায়গায় বসানোর কথা উল্লেখ করে কানপুর পুলিশ গত ৯ সেপ্টেম্বর ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশের তরফে জানানো হয়, রাস্তায় তাঁবু বসানোর কারণে এফআইআরটি করা হয়েছে, পোস্টারের বিরুদ্ধে নয়।হায়দরাবাদের সাংসদ এবং আইমিম প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি এই বিতর্ক প্রসঙ্গে বলেন, ‘যদি কেউ বলে, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’, তাহলে সমস্যা কী? ‘ভালবাসা’ লেখায় সমস্যা কোথায়? এর মাধ্যমে আপনি বিশ্বের মুসলিম দেশগুলিকে কী বার্তা দিতে চান? ‘আমি মহাদেবকে ভালোবাসি’ লিখলে সমস্যা কোথায়? এটা করা উচিত, এটা তাদের বিশ্বাস।’ প্রসঙ্গত, ‘আই লাভ মহম্মদ’ স্লোগানের সমর্থনে যখন দেশের বিভিন্ন রাজ্যে মিছিল ও জমায়েত হচ্ছে, সেই আবহে বারাণসীতে একটি পাল্টা প্রচারণা শুরু হয়। যেখানে হিন্দু পক্ষের ধর্মীয় নেতারা ‘আই লাভ মহাদেব’ স্লোগান লেখা প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাস্তায় নামেন।

Muslim: ‘মুসলিম-মুক্ত ভারত স্বপ্ন’: অসম বিজেপির এআই ভিডিও প্রসঙ্গে তীব্র প্রতিক্রিয়া ওয়েইসির

এই দিনকাল: সমাজ মাধ্যমে অসম বিজেপির (BJP) তরফে মুসলিম (Muslim) বিদ্বেষে পূর্ণ এআই ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক। অভিযোগ, পদ্ম শিবির মুসলিমদের অপমান করতে এবং সাম্প্রদায়িক ঘৃণা উস্কে দিতে এ কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন আইমিম প্রধান তথা সাংসদ আসাদউদ্দিন ওয়েইসি।

ঠিক কী অভিযোগ? নিজেদের এক্স হ্যান্ডেলে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই দিয়ে তৈরি ভিডিও প্রকাশ করেছে অসম বিজেপি। ‘বিজেপি ছাড়া অসম’ শিরোনামের ভিডিওটিতে রাজ্যের বিভিন্ন অংশের মুসলমানদের অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখানো হয়েছে। যারা কিনা সরকারি জমি দখল করছে বলে দাবি বিজেপির। ভিডিওটিতে একটি ক্লিপ রয়েছে যেখানে কংগ্রেস নেতা গৌরব গগৈ এবং রাহুল গান্ধীকে দেখানো হয়েছে কংগ্রেস দলের পাকিস্তান যোগ রয়েছে দাবি করে।

এই ভিডিও সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর নিন্দায় সরব হয়েছেন রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে নেটাগরিকরা। তাঁদের প্রশ্ন অসমে মুসলিম বিদ্বেষ উস্কে দেওয়ার লক্ষ্যে কি এটা করা হয়েছে? কংগ্রেস নেতা মনসুর খান এটিকে ‘সামাজিক সম্প্রীতির উপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ এবং অংশীদারি মূল্যবোধের অপমান’ বলে অভিহিত করেছেন। নিজের এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘সাম্প্রদায়িক ঘৃণা উস্কে দেওয়ার জন্য অসমকে মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ হিসেবে দেখিয়ে একটি ভুয়ো, এআই-ভিত্তিক ভিডিও ছড়িয়ে রাজনৈতিক প্রচারণার সর্বনিম্ন স্তরে পৌঁছেছে অসম বিজেপি। এটি সামাজিক সম্প্রীতির উপর ইচ্ছাকৃত আক্রমণ, আমাদের অংশীদারি মূল্যবোধের অপমান। অসমের মানুষ এই বিষাক্ত প্রচারণার সঠিক জবাব দেবে।’

আইমিম সভাপতি আসাদউদ্দিন ওয়েইসি ভিডিওটির নিন্দা করে এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘বিজেপির স্বপ্ন মুসলিম মুক্ত ভারত।’ তাঁর কথায়, ‘বিজেপি না থাকলে অসম মুসলিম প্রধান হবে এমন একটি জঘন্য এআই ভিডিও পোস্ট করেছে অসম বিজেপি। তারা কেবল ভোটের জন্য ভয় দেখাচ্ছে না, এটিই প্রকৃত রূপে ঘৃণ্য হিন্দুত্ববাদী আদর্শ। ভারতে মুসলমানদের অস্তিত্বই তাদের কাছে একটি সমস্যা, তাদের স্বপ্ন মুসলিম-মুক্ত ভারত। এই ক্রমাগত ঘ্যানঘ্যানানি ছাড়া, ভারতের জন্য তাদের কোনও দৃষ্টিভঙ্গি নেই।’

Waqf Act: ওয়াকফ আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অন্তর্বর্তী নির্দেশ ও পর্যবেক্ষণ: যা জানা দরকার 

এই দিনকাল: ওয়াকফ (সংশোধন) আইন, ২০২৫-এর কিছু অংশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এবং বিচারপতি এজি মসিহের একটি বেঞ্চ পুরো আইনটি স্থগিত করতে রাজি হয়নি। বিচারপতিদের পর্যবেক্ষণ, সংসদে পাস হওয়া আইনের সাংবিধানিক বৈধতার পক্ষে সর্বদা একটি সম্ভাবনা থাকে এবং কেবলমাত্র বিরলতম ক্ষেত্রেই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়। এদিন অন্তর্বর্তী রায় ঘোষণার সময় প্রধান বিচারপতি জানান, আইনটি সম্পূর্ণভাবে স্থগিত করার জন্য কোনও মামলা দায়ের করা হয়নি ৷

সংশোধিত নয়া ওয়াকফ আইন অনুযায়ী, কোনও ব্যক্তিকে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠা করতে হলে তাঁকে অন্তত পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম অনুসরণ করতে হবে। আইনের এই অংশের উপর এদিন সর্বোচ্চ আদালত স্থগিতাদেশ দিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, কোনও ব্যক্তি পাঁচ বছর ধরে ইসলাম ধর্ম পালন করছেন কি না, তা বিচার করার জন্য রাজ্য সরকারগুলিকে একটি নিয়ম তৈরি করতে হবে ৷ যত দিন না সেই নিয়ম তৈরি হচ্ছে ততদিন পর্যন্ত এই শর্তটিও স্থগিত করা হয়েছে৷ আদালত মনে করে, নিয়ম না-থাকলে এই শর্তের কারণে ক্ষমতার অপব্যবহার হতে পারে৷

ওয়াকফ বোর্ডে অমুসলিম সদস্য রাখা নিয়েও পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, ওয়াকফ বোর্ডে সর্বোচ্চ ৪ জন অমুসলিম সদস্য থাকতে পারবেন। তবে রাজ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ৩ জন৷ সেই সঙ্গে, রেজিস্ট্রেশন বাধ্যতামূলক করার যে নিয়ম করা হয়েছে, তাতে হস্তক্ষেপ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত।

এ ছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তি নির্ধারণ করা প্রসঙ্গে জেলাশাসককে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে সুপ্রিম কোর্ট৷ আদালতের পর্যবেক্ষণ, জেলাশাসক সাধারণ মানুষের ব্যক্তিগত অধিকার নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না।

Premanand Govind Sharan: হিন্দু সন্ন্যাসীর জন্য নিজের কিডনি দান করতে চান মুসলিম যুবক

এই দিনকাল: মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু সন্ন্যাসীর জন্য নিজের কিডনি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এক মুসলিম যুবক। মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরম জেলার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী আরিফ খান চিশতি (Arif Khan Chishti) নামের ওই মুসলিম যুবক হিন্দু সন্ন্যাসী প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ (Premanand Govind Sharan)-কে তাঁর একটি কিডনি দান করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

রাধা বল্লভ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত বৃন্দাবন-ভিত্তিক সাধক প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ প্রায় দুই দশক ধরে পলিসিস্টিক কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রায় ১৮-১৯ বছর আগে তাঁর দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে যায়। তখন থেকেই তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হয়। তবুও, ৫৬ বছর বয়সে, তিনি দৈনন্দিন আধ্যাত্মিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণের জীবন এবং বাণীর প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইটারসির অনলাইন পরামর্শদাতা এবং আইনি ডকুমেন্টার আরিফ খান চিশতি গত ২০ আগস্ট জেলাশাসককে এবং সন্ন্যাসীকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি নিজের কিডনি দান করার প্রস্তাব দেন। চিশতি বলেন, ‘আমি একটি রিল দেখেছি যেখানে মহারাজজি খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমেরী এবং আমির খসরুর কথা ভীষণ শ্রদ্ধার সঙ্গে বলেছেন। আমার মনে হয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের জন্য কাজ করছেন যখন সহজেই ঘৃণা উস্কে দেওয়া হয়। সেই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁর দীর্ঘ জীবন অপরিহার্য।’

উল্লেখ্য, আরিফ খান চিশতি সুফি ঐতিহ্য অনুসরণ করেন। কিডনি দানের বিষয়ে তিনি প্রথমে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি জানান, তাঁর জীবন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর জীবনের চেয়ে বড় নয়। তাঁর কথায়, ‘আমি ২০২৩ সালে আমার মাকে হারিয়েছি, যা আমাকে প্রায় প্রাণহীন করে তুলেছিল। এক বছর আগে আমার বিয়ে হয়েছে। প্রশাসনকে চিঠি লেখার আগে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম, হিন্দু সন্ন্যাসীর দীর্ঘ জীবন এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য আমার কিডনি দান করার প্রস্তাব দিয়েছি। আমার জীবন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর জীবনের চেয়ে বড় নয়। যিনি দেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য এবং ঐক্য প্রচারে কাজ করছেন।’