Tag Archives: CPIM

SIR: এসআইআর নিয়ে ডাকা সর্বদল বৈঠকে প্রশ্নের মুখে কমিশন

এই দিনকাল: ভোটার তালিকায় স্পেশাল ইন্টেন্সিভ রিভিশন (SIR) বা বিশেষ নিবিড় সমীক্ষা চালু হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ-সহ ১২ রাজ্যে। সোমবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার এসআইআর এর নির্ঘন্ট ঘোষণার পর মঙ্গলবার বিকেল ৪টেয় সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছিলেন রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল। কলকাতায় কমিশনের রাজ্য দফতরে সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল, বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা। সেখানেই বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির প্রশ্নের মুখে পড়ে কমিশন।

রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন। কমিশনকে বিঁধে তিনি বলেন, এসআইআর নিয়ে প্রচুর মানুষ আতঙ্কিত। অনেকে আত্মহত্যা করছেন। এই মৃত্যুর দায় কমিশনকেই নিতে হবে বলে সরব হয়েছেন তিনি। তাঁর অভিযোগ, এসআইআর এনআরসি-র পূর্বপরিকল্পিত। কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমও বৈঠকে ছিলেন। তিনি হুঁশিয়ারি দেন, বাংলার এক জন বৈধ ভোটারের নাম তালিকা থেকে বাদ গেলেই প্রতিবাদ করবে তৃণমূল। 

সর্বদল বৈঠকে সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী প্রশ্ন তোলেন, এসআইআর এর ক্ষেত্রে কমিশন থেকে যে নথিগুলির কথা বলা হচ্ছে, সেগুলি নাগরিকত্বের প্রমাণ, এটা কী ভাবে বলা হচ্ছে? নাগরিকত্ব ঠিক করার অধিকার কমিশনকে কে দিয়েছে? এদিনের বৈঠকে এসআইআর প্রক্রিয়া নিয়ে তৃণমূল ও বামেদের তরফে প্রশ্ন তোলা হলেও বিজেপির তরফে কমিশনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানানো হয়েছে।

অন্য দিকে এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক মনোজকুমার আগরওয়াল বলেন, ‘এসআইআর আজ থেকে চালু হয়েছে। ৩ নভেম্বর পর্যন্ত বিএলও প্রশিক্ষণ হবে। প্রত্যেক ভোটারের একটি কিউআর কোড হবে। ওটা নিয়ে ফর্ম প্রিন্টিং হবে। এর পরে বাড়ি বাড়ি গিয়ে ৪ নভেম্বর থেকে ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত গণনা হবে।’ তিনি আরও বলেন, সোমবার মধ্যরাতে ভোটার তালিকা ফ্রিজ হয়েছে। ওই সময়সীমা পর্যন্ত রাজ্যে ভোটার রয়েছেন ৭ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩৭ হাজার ৫২৯ জন।

North Bengal: ধসবিধ্বস্ত উত্তরবঙ্গে বিপর্যস্ত মানুষের পাশে রেড ভলান্টিয়ার, হেল্পলাইন চালু করল সিপিএম

এই দিনকাল: টানা বৃষ্টি এবং ধসের ফলে বিপর্যস্ত পাহাড়। দার্জিলিং, কালিম্পং, মিরিক-সহ পার্বত্য এলাকায় দুর্ভোগে মানুষ ও বন্যপ্রাণী। ইতিমধ্যে মৃত্যু হয়েছে ২০ জনের। অনেকে বিভিন্ন জায়গায় আটকে পড়েছেন। এই আবহে যে কোনও প্রয়োজনে মানুষের পাশে দাঁড়াতে রেড ভলান্টিয়ারদের হেল্পলাইন নম্বর প্রকাশ করল সিপিআইএম।

রবিবার নিজেদের সমাজ মাধ্যমে রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন নম্বর প্রকাশ করেছে বাম দলটি। দার্জিলিং জেলায় যাঁরা সাহায্যের হাত বাড়াতে প্রস্তুত সিপিএমের তরফে তাঁদের নাম ও ফোন নম্বরের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। এই জেলায় রেড ভলান্টিয়াররা হলেন, শচীন খাতি -9907070824, সাগর শর্মা -7908981149, নান্টু কুন্ডু-7001313766, অঙ্কিত দে- 9064551177, তন্ময় অধিকারী- 7679918840, বুলেট সিং- 9641487529, অভিজিৎ চন্দ -7001331214, গৌরব ঘোষ- 7584819639, বাবুসোনা সুত্রধর- 9832322763, সম্রাট সাহা -8918749146, লক্ষণ সাহানি- 9474026640, দীপঙ্কর সরকার -7811071313।

এ ছাড়া জলপাইগুড়ি জেলার বন্যা কবলিত এলাকায়

যে কোনও প্রয়োজনে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে

8918540563 এবং 9749612896 নম্বরে।আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা কবলিত এলাকায় রেড ভলান্টিয়ারদের ফোন নম্বর 9064234866, 9735221810। কোচবিহার জেলায় রেড ভলান্টিয়ারদের যোগাযোগ নম্বর 7001763075, 8759634005, 6294020076 এবং 7319589085।

উল্লেখ্য, শনিবার সন্ধ্যা থেকে টানা বৃষ্টির ফলে উত্তরবঙ্গের বহু জায়গায় ধস নেমেছে। যার ফলে একাধিক রাস্তা বন্ধ। তিস্তা নদীর জল উঠে এসেছে জাতীয় সড়কের উপরেও। সোমবার (৬ অক্টোবর) বিধ্বস্ত পার্বত্য এলাকা পরিদর্শনে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Md Salim: ‘বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় সেলিম

এই দিনকাল: বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। বুধবার ধর্মতলা থেকে মৌলালী রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে বিভিন্ন বামপন্থী দল। সেই মিছিলে পা মেলান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। মিছিল থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেলিম।

বুধবার মিছিল শুরুর আগে ভাষণ দেন মহম্মদ সেলিম। সেই ভাষণে তিনি বলেন, ‘হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ক্ষমা চাইতে হবে, তিনি বাংলা ভাষাকে অপমান করেছেন। আর অন্য রাজ্যে আমাদের রাজ্যের মানুষ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে এখানে বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না। মানুষকে ভাগ করলে হবে না। ঐক্য তৈরি করতে হবে সেই কাজ বামপন্থীরা করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী এই দেশের নাগরিক যে কোন রাজ্যে যেতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে একাধিক রাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো বিজেপি শাসিত যেই যেই রাজ্য আছে সেখানে বাঙালিরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’

সেলিমের অভিযোগ, এই বিষয়টি নিয়ে কাজের কাজ কিছু না করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করছে। তিবি বলেন, ‘যেই রাজ্যে আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন চিঠি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই নিয়ে রাজনীতি করছেন। বলছেন ভাষা আন্দোলন করবেন। বুঝতে হবে মমতা এবং আরএসএস এক। এরা মানুষের মধ্যে ভয় ধরাতে চাইছে। মমতা বলছে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। তার মানে রাজনীতির স্বার্থে গোটা বিষয়টাকে ব্যবহার করছে। এই ভয় থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেতে হবে বলতে হবে মানুষকে।’

West Bengal BJP : তৃণমূলকে সরাতে বাম কংগ্রেসের হাত ধরতে চায় বঙ্গ বিজেপি! কটাক্ষ শতরূপ, অধীরের

এই দিনকাল: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) ক্ষমতা থেকে সরাতে বাম ও কংগ্রেসের হাত ধরতে চায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)! রবিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমন বার্তা দেন রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

রবিবার শমীক ভট্টাচার্য সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের মতাদর্শ সরিয়ে রেখে শ্যামাপ্রসাদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। এটা পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার লড়াই। ইন্দিরা গান্ধীর হাতে সব অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী। আজকের লড়াইটাও রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার লড়াই। জ্যোতি বসুকে সম্মান করলে তাঁর গড়া পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।’ বিজেপি সভাপতির এমন মন্তব্যের স্বাভাবিক ভাবে বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপি হিন্দুরাষ্ট্র গঠন করতে চায়। কিন্তু বাংলায় না পেরে উঠে জোট বাঁধার কথা বলছে। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শমীক ভট্টাচার্যের কথার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তিনি বলেন, জ্যোতি বসু বিজেপিকে অসভ্য ও বর্বরদের দল বলতেন। প্রয়াত বর্ষীয়াণ মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই অসাম্প্রদায়িক বাংলা রক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তরুণ বাম নেতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু ভোট এক করার লক্ষ্যে হিন্দুদের জোট বাঁধার বার্তা আগে থেকেই দিয়ে আসছেন। শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হয়ে হিন্দু ও মুসলিম ভোট পদ্ম শিবিরের দিকে টানার চেষ্টা করছেন।

Kaliganj Tamanna News: তামান্না খুনের প্রতিবাদে ২৮ জুন সিপিএমের বিক্ষোভ সমাবেশ, থাকবেন সেলিম, মীনাক্ষীরা

এই দিনকাল: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে ছোঁড়া বোমায় খুন হয়েছে নাবালিকা তামান্না খাতুন (Kaliganj Tamanna News)। এই ঘটনায় বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিল সিপিএম (CPIM)। আগামী ২৮ জুন কালীগঞ্জে এই বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিয়েছে বাম দলটি। এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকবেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম, যুবনেত্রী মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়।

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে সিপিএম। ঘটনার দিন নিহত তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করেছেন সিপিএমের যুব শাখা ডিওয়াইএফআই এর নেতা কর্মীরা। এবার ২৮ জুন বিক্ষোভ সমাবেশের ডাক দিলেন মহম্মদ সেলিমরা। উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভার উপনির্বাচনে জয়ী হয় শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার সেই জয় উদযাপনে বিজয় মিছিল বের করে তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, সেই মিছিল থেকে মেলেন্দি এলাকায় বোমা ছোঁড়া হয়। সেই বোমায় গুরুতর জখম হয় তামান্না। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার।  

অন্য দিকে বুধবার দুপুরে তামান্নার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে মোলান্দি গ্রামে যান ডেবরার তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবির। তিনি নাবালিকার মা-বাবার সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন। আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা বললে তা প্রত্যাখ্যান করে তামান্নার পরিবার।