School Building Collapse: রাজস্থানের ঝালাওয়ারে ভেঙে পড়ল স্কুলের ছাদ, মৃত্যু ৪ শিশুর, আহত ১৭

এই দিনকাল: স্কুলের ভবন ভেঙে (school building collapse) পড়ে মর্মান্তিক বিপর্যয় রাজস্থানের ঝালাওয়ার জেলায়। শুক্রবার সকালে একটি সরকারি স্কুল ভবন ভেঙে পড়ে মৃত্যু হল চার শিশুর, এই ঘটনায় আহত হয়েছে আরও ১৭ জন। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা জানতে উচ্চ পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শুক্তবার সকালে ঝালাওয়ার জেলার মনোহরথানা ব্লকের পিপলোদি সরকারি স্কুলে শিশুরা সকালে প্রার্থনার প্রস্তুতি নিচ্ছিল। সেই সময় আচমকা ভবনটি ভেঙে পড়ে। ঝালাওয়ারের পুলিশ সুপার অমিত কুমার সংবাদ সংস্থাকে জানিয়েছেন, ‘চার শিশুর মৃত্যু হয়েছে এবং ১৭ জন আহত হয়েছে। দশ শিশুকে ঝালাওয়ারে পাঠানো হয়েছে, যার মধ্যে তিন থেকে চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।’ পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, শিক্ষক এবং স্থানীয়দের সহায়তায় ধ্বংসস্তূপ থেকে শিশুদের উদ্ধার করা হয়েছে। রাজস্থানের শিক্ষামন্ত্রী মদন দিলওয়ার জানিয়েছেন, ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত করা হবে। তিনি প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুদের যথাযথ চিকিৎসা নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

মদন দিলওয়ার বলেন, ‘ঝালাওয়ারের পিপলোদি গ্রামে একটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা ঘটেছে যেখানে একটি স্কুলের ছাদ ভেঙে পড়েছে। আমি জেলাশাসক এবং শিক্ষা কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছি চিকিৎসার জন্য সকল ধরণের ব্যবস্থা করার। জেলাশাসক এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এই ঘটনা কেন ঘটল তা জানতে একটি উচ্চ-পর্যায়ের তদন্ত করা হবে।’ ঝালাওয়ারের মানহোরেথানা থানার আধিকারিক নন্দকিশোর বলেন, গুরুতর আহত দুই শিক্ষার্থীকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছে এমন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে স্থানান্তর করা হয়েছে এবং ছয় জনকে এসআরজি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

Mohan Bhagwat: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে বিভেদ ঘোচাতে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে ভাগবত

এই দিনকাল: দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটাতে এবং পরস্পরকে জানার চেষ্টা জোরদার করার লক্ষ্যে মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত (Mohan Bhagwat)। বৃহস্পতিবার দিল্লির হরিয়ানা ভবনে প্রায় তিন ঘন্টা ধরে অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশনের প্রধান-সহ বর্ষীয়ান মুসলিম ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন ভাগবত।

ইমাম উমর আহমেদ ইলিয়াসি সংবাদ মাধ্যমকে বলেন, অল ইন্ডিয়া ইমাম অর্গানাইজেশন এর তরফে সংগঠনের ৫০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই বৈঠকের আয়োজন করা হয়। অন্য দিকে রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সঙ্ঘও অক্টোবরে ১০০ বছর পূর্ণ করেছে। ইমাম সংগঠনের প্রধান এদিন আরও বলেন, উভয় পক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দুই সম্প্রদায়ের মধ্যে ‘ভুল বোঝাবুঝি’ দূর করার লক্ষ্যে নিয়মিতভাবে আরও এই ধরনের বৈঠক আয়োজন করা হবে। তাঁর কথায়, ‘বৈঠকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে যে মন্দির ও মসজিদ, ইমাম ও পূজারী, গুরুকুল ও মাদ্রাসার মধ্যে আলোচনা শুরু করা উচিত। আমরা এখন এটিকে এগিয়ে নিয়ে যাব। বৈঠকে ভুল বোঝাবুঝি দূর করা, ঘৃণার অবসান ঘটানো এবং খোলা আলোচনার মাধ্যমে আস্থা বৃদ্ধির উপর আলোকপাত করা হয়েছে। সংলাপই প্রতিটি সমস্যার সমাধান। উপাসনা বা বর্ণের পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও, আমাদের জাতি সর্বোচ্চ।’ এ ছাড়া তিনি এটিকে একটি ‘যুগান্তকারী বৈঠক’ বলে অভিহিত করেন।

৬০ জনেরও বেশি মুসলিম ধর্মীয় নেতা, বুদ্ধিজীবী, মাওলানা এবং পণ্ডিতরা এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। আরএসএসের জাতীয় প্রচার ও গণমাধ্যম বিভাগের প্রধান সুনীল আম্বেকর বলেন, ‘এটি সমাজের সকল শ্রেণীর সঙ্গে বিস্তৃত সংলাপের একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া। মূল উদ্দেশ্য হল কী ভাবে দেশের স্বার্থে সবাই একসঙ্গে কাজ করতে পারে। আজকের আলোচনাও ইতিবাচক ছিল।’

Md Salim: ‘বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে রাস্তায় সেলিম

এই দিনকাল: বিভিন্ন রাজ্যে বাংলা ভাষী পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম (Md Salim)। বুধবার ধর্মতলা থেকে মৌলালী রামলীলা ময়দান পর্যন্ত মিছিল করে বিভিন্ন বামপন্থী দল। সেই মিছিলে পা মেলান সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক। মিছিল থেকে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তিনি। সেই সঙ্গে অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মার বাঙালি বিদ্বেষী মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাওয়ার দাবি জানিয়েছেন সেলিম।

বুধবার মিছিল শুরুর আগে ভাষণ দেন মহম্মদ সেলিম। সেই ভাষণে তিনি বলেন, ‘হিমন্ত বিশ্বশর্মাকে ক্ষমা চাইতে হবে, তিনি বাংলা ভাষাকে অপমান করেছেন। আর অন্য রাজ্যে আমাদের রাজ্যের মানুষ যদি আক্রান্ত হয় তাহলে এখানে বিজেপিকে শান্তিতে থাকতে দেব না। মানুষকে ভাগ করলে হবে না। ঐক্য তৈরি করতে হবে সেই কাজ বামপন্থীরা করবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সংবিধান অনুযায়ী এই দেশের নাগরিক যে কোন রাজ্যে যেতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে একাধিক রাজ্যে বাঙালিদের ওপর অত্যাচার হচ্ছে। হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থানের মতো বিজেপি শাসিত যেই যেই রাজ্য আছে সেখানে বাঙালিরা আক্রান্ত হচ্ছেন।’

সেলিমের অভিযোগ, এই বিষয়টি নিয়ে কাজের কাজ কিছু না করে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতি করছে। তিবি বলেন, ‘যেই রাজ্যে আমাদের পরিযায়ী শ্রমিকরা আক্রান্ত হচ্ছেন সেই রাজ্যের মুখ্যসচিবকে কেন চিঠি দিচ্ছে না রাজ্য সরকার। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাস্তায় দাঁড়িয়ে এই নিয়ে রাজনীতি করছেন। বলছেন ভাষা আন্দোলন করবেন। বুঝতে হবে মমতা এবং আরএসএস এক। এরা মানুষের মধ্যে ভয় ধরাতে চাইছে। মমতা বলছে বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত এই আন্দোলন চলবে। তার মানে রাজনীতির স্বার্থে গোটা বিষয়টাকে ব্যবহার করছে। এই ভয় থেকে মানুষকে মুক্ত করতে হবে। পাড়ায় পাড়ায় যেতে হবে বলতে হবে মানুষকে।’

Mamata Banerjee: প্রতি বুথে ১০ লক্ষ টাকা, নতুন কর্মসূচি ঘোষণা মমতার

এই দিনকাল: নতুন সরকারি কর্মসূচির কথা ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata banerjee)। রাস্তা, নলকূপ বা ছোট খাটো উন্নয়ন কাজের জন্য রাজ্যের বুথপিছু ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দের ঘোষণা করলেন তিনি। মঙ্গলবার নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে এই কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। নয়া এই কর্মসূচির নাম দেওয়া হয়েছে, ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’।

সাংবাদিক বৈঠকে এদিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ভারতে বাংলায় এই প্রথম ‘আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান’ এর মত কর্মসূচি শুরু হতে চলেছে। রাজ্যজুড়ে আগামী ২ অগাস্ট থেকে এই কর্মসূচির সূচনা হবে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, গোটা রাজ্যে মোট ৮০ হাজার বুথ রয়েছে। তিনটে করে বুথ নিয়ে একটা কেন্দ্র হবে। প্রত্যেক কেন্দ্রে একদিন করে ক্যাম্প হবে। আগামী ২ অগাস্ট থেকে শুরু হবে। এই কর্মসূচি সম্পন্ন করতে ২ মাস সময় লাগবে বলে জানান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে পুজোর সময় উৎসবের জন্য ১৫দিন কর্মসূচি বন্ধ থাকবে। বদলে পরবর্তী অন্যদিনগুলিতে কাজ হবে। প্রতি বুথের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ করা হয়েছে। সবমিলিয়ে রাজ্যকে ৮ হাজার কোটি টাকার বেশি খরচ করতে হবে।

মঙ্গলবার সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘ছোট ছোট কাজের জন্য আমাদের নতুন প্রকল্প – আমাদের পাড়া, আমাদের সমাধান। মানুষের প্রকল্প নিয়ে সরকার এবার পথে নামছে। এটা ছোট্ট প্রোগ্রাম। কিন্তু পরে বিস্তৃত হবে। সারা দেশে এধরনের উদ্যোগ এই প্রথম। মানুষ নিজেদের বুথ, নিজেদের গ্রামের সমস্যার সমাধান পাবে।’ মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ক্যাম্পগুলিতে সারাদিন থাকবেন সরকারি অফিসাররা। বুথে মানুষজন এসে গ্রামের সমস্যার কথা জানাবেন। তাঁদের সঙ্গে আলোচনা করে অফিসাররা ঠিক করবেন, কতটুকু কাজ করা যাবে। স্বচ্ছতা বজায় রেখে, অনলাইন পোর্টালে কাজ হবে।’ এই কর্মসূচির জন্য রাজ্যস্তরে মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে টাস্ক ফোর্স গঠন করা হবে। জেলাস্তরেও টাস্ক ফোর্স তৈরি করা হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আর কয়েক মাস পরেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে বুথ স্তরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজ পৌঁছে দিতে এমন উদ্যোগ তৃণমূল সরকারের। এর ফলে বুথ স্তরে জোড়াফুল শিবিরের জনভিত্তিও মজবুত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Azizul Haque: প্রয়াত নকশাল নেতা আজিজুল হক, শোকপ্রকাশ মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: প্রয়াত হলেন নকশাল নেতা আজিজুল হক (Azizul Haque)। সোমবার দুপুর ২ টো বেজে ২৮ মিনিট নাগাদ সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন প্রবীণ বাম নেতা। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে ভুগছিলেন। আজিজুল হকের প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

জানা গিয়েছে, বার্ধক্যজনিত কারণে অসুখে ভুগছিলেন আজিজুল হক। তার মাঝে বাড়িতে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায় তাঁর। এর পর বামপন্থী চিন্তক, প্রাবন্ধিককে সল্টলেকের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে আইসিইউতেও নেওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। সোমবার দুপুরে তাঁর মৃত্যু হয়। প্রবীণ বাম নেতার প্রয়াণে শোকপ্রকাশ করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘প্রবীণ রাজনীতিক আজিজুল হক’এর প্রয়াণে আমি গভীর শোক জ্ঞাপন করছি। আজিজুল হক একজন লড়াকু, সংগ্রামী নেতা ছিলেন। তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে তিনি কখনও মাথা নত করেননি। তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবার ও সহযোগীদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা জানাই।’

উল্লেখ্য, ভারতের নকশাল আন্দোলেনর অন্যতম মুখ আজিজুল হক একাধিক গ্রন্থের লেখক। তাঁর লেখা বইগুলির মধ্যে রয়েছে ‘কারাগারে ১৮ বছর’, ‘মনু মহম্মদ হিটলার’, ‘লাশগুলো সব কথা বলে’, ‘রক্তের টানে তিন পুরুষ’। সিপিএম জমানার অবসানের সময়পর্বে বামফ্রন্ট সরকারের নীতির বিরোধিতা করলেও পরিবর্তন চেয়ে তৃণমূলকে সমর্থন করেননি আজিজুল।

sexual assault: উত্তর প্রদেশে ১৫ বছরের নাবালককে যৌন নির্যাতন, চাটানো হল থুতু

এই দিনকাল: জঘন্য ঘটনা উত্তরপ্রদেশে। ১৫ বছর বয়সী এক নাবালক ছেলেকে যৌন নির্যাতন (sexual assault) করে থুতু চাটতে বাধ্য করা হল। ঘটনাটি ঘটেছে আমেঠির বাজার শুকুল থানা এলাকায়। গোটা বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত নাবালকের বাবা। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধৃত দুই যুবকের নাম নীতিন (২৩) এবং রোহিত (২৪)। নির্যাতিত যে গ্রামে থাকত, অভিযুক্ত দুজনেই সেই একই গ্রামের বাসিন্দা। অভিযোগ, গত ১৮ জুলাই সন্ধ্যায় নীতিন এবং রোহিত ১৫ বছর বয়সী ওই ছেলেটিকে বাইকে করে তুলে নিয়ে যায়। গ্রামের ওই নাবালককে ডেকে নিয়ে গিয়ে দুই জন মিলে যৌন নির্যাতন করে, সেই সঙ্গে চলে বেদম মারধর। এ ছাড়া ওই কিশোরকে থুতু চাটতে বাধ্য করে অভিযুক্তরা।

পুলিশ জানিয়েছে, অভিযুক্তরা নাবালককে বারসান্ডা গ্রামে নিয়ে যায়। এর পর তারা তাকে সিংনামাউ গ্রামের একটি বাগানে নিয়ে যায় ওই কিশোরকে। সেখানে নিয়ে তাকে অপকর্ম করতে বাধ্য করা হয়। বাজার শুকুল থানার আধিকারিক অভিনেশ কুমার জানিয়েছেন, অভিযুক্ত দুজনকেই গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এই ঘটনায় পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।

Vidyasagar University: পাঠ্যসূচিতে বিপ্লবীদের অবদান অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে নাগরিক কনভেনশন মেদিনীপুরে

এই দিনকাল: সম্প্রতি মেদিনীপুরের বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Vidyasagar University) স্নাতক স্তরে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়া হয়েছিল। যা নিয়ে তুমুল বিতর্ক তৈরি হয় শিক্ষা জগত এবং রাজনৈতিক মহলে। এই ঘটনার প্রতিবাদে এবং দোষী অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখেছিলেন মেদিনীপুরের আইনজীবীরা। এ বার নাগরিক কনভেনশন ডেকে বিপ্লবীদের অবদান পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানালেন তাঁরা। রবিবার বিকেলে মেদিনীপুরে কলেজ স্কোয়ারে এই গণকনভেনশন আয়োজিত হয়।

রবিবার বিপ্লবী অনাথ বন্ধু পাঁজা, নির্মল জীবন ঘোষ, বিমল দাশগুপ্ত-সহ বিপ্লবীদের শ্রদ্ধা জানাতে তাঁদের মূর্তিতে মাল্য দান করা হয়। মেদিনীপুর শহরের গোলকুঁয়াচক ও কলেজ স্কোয়ারে বিপ্লবীদের মূর্তিতে মাল্যদানের পাশাপাশি তাঁদের অবদানের কথা তুলে ধরেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত বক্তারা। শহরের রাজপথে করা হয় পদযাত্রাও। অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জকে খুন করেছিলেন যে বিপ্লবীরা তাঁদের অবদানের কথা পাঠ্যসূচিতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানান এদিন কনভেনশনের মূল উদ্যোক্তা আইনজীবী তীর্থঙ্কর ভকত। এ ছাড়াও এদিন বিপ্লবীদের লড়াইয়ের কথা উঠে আসে পুরপিতা সৌমেন খান, ইতিহাসবিদ অভিজিৎ গুহ প্রমুখের বক্তৃতায়।

ঠিক কী নিয়ে বিতর্কের সূত্রপাত?  

সম্প্রতি বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরে তৃতীয় বর্ষের ষষ্ঠ সেমেস্টার ইতিহাস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রকাশ্যে আসে। সেখানে লেখা হয়, ‘মেদিনীপুরের তিনজন জেলা ম্যাজিস্ট্রেট এর নাম কর, যারা সন্ত্রাসবাদীদের দ্বারা নিহত হন?’ ইতিহাস অনার্সের ‘মর্ডান ন্যাশনালিজম ইন ইন্ডিয়া’ পেপার থেকে এই প্রশ্নটি করা হয়। আদতে প্রশ্নপত্রে যাঁদেরকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবে আখ্যা দেওয়া হয়েছে, তাঁরা ছিলেন বিপ্লবী। আর যে জেলাশাসকরা নিহত হয়েছিলেন তারা হলেন, অত্যাচারী ডিস্ট্রিক্ট ম্যাজিস্ট্রেট জেমস প্যাডি, ডগলাস ও বার্জ। বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত, বিপ্লবী জ্যোতিজীবন ঘোষ, বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্য, অনাথবন্ধু পাঁজা, মৃগেন দত্তরা তিন অত্যাচারী জেলাশাসককে খুন করেছিলেন। মেদিনীপুরের মাটি যেখানে স্বাধীনতা সংগ্রামে এক উজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছিল। সেখানকার বিশ্ববিদ্যালয়ে বিপ্লবীদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ আখ্যা দেওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে বিতর্ক তৈরি হয়। যার রেশ এখনও চলছে।

IIM-Calcutta: আইআইএম-এ ধর্ষণকাণ্ডে অন্তর্বর্তী জামিন পেল অভিযুক্ত

এই দিনকাল: ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট-কলকাতার (IIM-Calcutta) ক্যাম্পাসে এক মনোবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেল অভিযুক্ত ছাত্র। শনিবার আলিপুর কোর্ট অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে।

আলিপুর আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত ছাত্রকে ৫০,০০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্যের অনুমতি ছাড়া রাজ্য ছেড়ে না যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ওই মহিলা এফআইআরে অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত ছাত্র তাঁকে কাউন্সেলিং এর জন্য হোস্টেলে ডেকেছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি হস্টেলে এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

সরকারি আইনজীবী এদিন জুডিশিয়াল রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। আদালতে তিনি যুক্তি দেন, প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হবে। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই হরিদেবপুর থানায় মহিলার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন থেকেই লি পড়ুয়া পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এদিন অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করে তার আইনজীবী আদালতে বলেন, অভিযোগকারী তার বয়ান রেকর্ড করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থিত হননি। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষা করা হয়নি বলে তিনি আদালতে জানান।

Illegal Migrants: অবৈধ ভাবে থাকা বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের ধরতে টাস্ক ফোর্স গঠন বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায়

এই দিনকাল: দেশে নতুন করে মাথাচড়া দিচ্ছে (Illegal Migrants) অনুপ্রবেশ ইস্যু। এমনিতে বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি শ্রমিকদের বাংলাদেশি সন্দেহে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে বিগত কয়েক দিন ধরে অভিযোগ উঠছে। ইতিমধ্যে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে বাংলার শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস এবং অন্যতম বিরোধী দল সিপিএম। বাংলা ভাষায় কথা বলা মানে যে বাংলাদেশি নয়, তা নিয়ে আওয়াজ তুলেছে জোড়াফুল শিবির ও বামেরা। এই আবহে শুক্রবার রাজ্যে এসে দুর্গাপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী অনুপ্রবেশ প্রসঙ্গে সরব হয়েছেন। বাংলায় এসে মোদী বলেছেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তার ২৪ ঘন্টা যেতে না যেতে এবার সামনে এল বিজেপিশাসিত ত্রিপুরা সরকার  কর্তৃক অবৈধ বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের চিহ্নিত করতে বিশেষ টাস্ক ফোর্স গঠনের খবর।

সূত্রের খবর, ১৫ জন সদস্যকে নিয়ে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় পুলিশের টাস্ক ফোর্স গঠন করা হয়েছে। যাদের কাজ হবে মূলত বাংলাদেশ এবং মায়ানমার থেকে অবৈধ ভাবে যারা এসে ভারতে রয়েছে তাদেরকে চিহ্নিত করা। শুধু তাই নয় ভারত থেকে তাদেরকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর লক্ষ্যে ওই দল কাজ করবে। এই টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার পুলিশ সুপার কিরণ কুমার। ত্রিপুরার ওই জেলার ১৫টি থানার ওসিকে নিয়ে এই বিশেষ দল গঠন করা হয়েছে। এই টিমের মাথায় রয়েছেন জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ডেপুটি সুপার দেবাশিস সাহা।

কী ভাবে কাজ করবে এই বিশেষ দল?

সূত্রের খবর, অবৈধ ভাবে কোনও বাংলাদেশি বা রোহিঙ্গা ভারতে রয়েছে, প্রথমে তাদেরকে শনাক্ত করবে এই দল। এর পর তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হবে। পরবর্তী ধাপে সেই তথ্য ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের বিদেশি শনাক্তকরণ পোর্টালে তুলে দেওয়া হবে। সব শেষে তাঁরা যে দেশ থেকে ভারতে অনুপ্রবেশ করেছে, সেই দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য বিএসএফ-এর হাতে তুলে দেওয়া হবে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভারতীয় বাঙালিদের হেনস্থার প্রতিবাদে কলকাতায় পদযাত্রা করেছেন। বাঙালিদের উপর নির্যাতন বন্ধ না হলে কড়া আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বছর ঘুরলেই যেহেতু রাজ্যে বিধানসভা ভোট। তাই বাঙালি অস্মিতাকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেস রাজনীতির ময়দানে ঝাঁপাতে চাইছে। অন্যদিকে বিজেপিও অনুপ্রবেশ ইস্যুতে সরব হলেও বাঙালি অস্মিতাকে দূরে ঠেলতে চাইছে না। তা শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভাষণ থেকেও স্পষ্ট। কারণ তিনি বক্তৃতা শুরু করেছিলেন ‘জয় মা কালী’ ‘জয় মা দুর্গা’ বলে। শুধু তাই নয় বাঙালি অস্মিতার প্রশ্নে বিজেপি যে কোনও আপোস করবে না তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মোদী।

Narendra Modi: ‘অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে’: মোদী

এই দিনকাল: বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে শুক্রবার দুর্গাপুরে সভা করে কার্যত ভোট প্রচারের দামামা বাজিয়ে গেলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এদিন রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মোদী এমন সময় এই মন্তব্য করলেন, যখন ভারতের ওড়িশা-সহ একাধিক বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের নিপীড়ন করা হচ্ছে শুধু বাংলা ভাষায় কথা বলার জন্য। আদতে তাঁরা পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা।

শুক্রবার দুর্গাপুরের সভা থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, ‘যে ভারতের নাগরিক নয়, অনুপ্রবেশ করেছে, তার বিরুদ্ধে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।বাঙালি অস্মিতার বিরুদ্ধে যে কোনও ষড়যন্ত্রকে বিজেপি সফল হতে দেবে না। এটা মোদীর গ্যারান্টি।’ উল্লেখ্য, বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে গত বুধবার পথে নেমেছিলেন তৃণমূলের সর্বোচ্চ নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মিছিলে পা মিলিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যরা। কলেজ স্কোয়্যার থেকে মিছিল শেষ হয়েছে ডোরিনা ক্রসিংয়ে। মিছিল শেষে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দেন তৃণমূল নেত্রী। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে বাঙালি অস্মিতায় শান দিতে সচেষ্ট হয়েছে জোড়াফুল শিবির। বিজেপিকে বাঙালি বিরোধী তকমা দিয়ে আওয়াজ তুলেছে তৃণমূল।

যদিও শুক্রবার মোদীর সভা মঞ্চের পটভূমিতে ছিল বাংলা লেখার ছোঁয়া। জয় মা কালী, জয় মা দুর্গা বলে ভাষণ শুরু করে মোদী বাংলার মাটিতে দাঁড়িয়ে বলে গেলেন বাঙালি অস্মিতা বিজেপির কাছে সবার উপরে। ভাষণে তুলেছেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গও।