Kaliganj By-election: তৃণমূলের বিজয় মিছিল থেকে বোমা ছোঁড়ার অভিযোগ, কালীগঞ্জে মৃত্যু নাবালিকার

এই দিনকাল: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের (TMC) বিজয় উল্লাসের বলি হলেন এক নাবালিকা। সোমবার কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের (Kaliganj By-election) ফল ঘোষণা হয়েছে। এদিন বিপুল ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী আলিফা আহমেদ। অভিযোগ, সেই জয় উপলক্ষে জোড়াফুল শিবিরের বিজয়োল্লাস থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। আর যার জেরে মৃত্যু হয় চতুর্থ শ্রেণীর এক পড়ুয়ার।

স্থানীয় সূত্রের খবর, নিহত ছাত্রীর নাম তামান্না খাতুন। ১০ বছর বয়স তার। এদিন উপনির্বাচনে জয় এক প্রকার নিশ্চিত হতেই বিজয়মিছিল বের করেন কালীগঞ্জের স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। অভিযোগ, কালীগঞ্জের মেলেন্দি এলাকায় সেই মিছিল থেকে বোমা ছোঁড়া হয়। সেই বোমায় গুরুতর জখম হয় তামান্না। তড়িঘড়ি চিকিৎসার জন্য রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যে সেখানেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। মৃত নাবালিকার মা সাবিনা ইয়াসমিনের অভিযোগ, তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা বোমা ছুঁড়েছে।

তামান্না খাতুন খুনের ঘটনায় সরব হয়েছে সিপিআইএম। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী গোটা বিষয়টি নিয়ে জোড়াফুল শিবিরকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেন, ‘বাচ্চা মেয়েটা খুন হয়ে গেল। ৯ বছর বয়স। কুৎসিত, বীভৎসতার জয় হয়েছে। জয় হয়ে লাফাচ্ছে দুষ্কৃতীরা। দুষ্কৃতী এবং বীভৎসতা মিলিয়ে মিশিয়ে তৃণমূল। তৃণমূলের জয় মানে দুষ্কৃতীদের পিছনে পুলিশ, প্রশাসন; তার পিছনে পুলিশমন্ত্রী। পুলিশমন্ত্রী জানেন না তৃণমূলের বিজয় মিছিলে কী হয়?’

অন্য দিকে এই ঘটনায় পুলিশ আইনি পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, ‘কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার বারোচাঁদগরে বিস্ফোরণে এক নাবালিকার মৃত্যুর ঘটনায় আমি মর্মাহত এবং গভীরভাবে শোকাহত। এই শোকের মুহূর্তে আমার প্রার্থনা এবং ভাবনা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে রয়েছে। পুলিশ যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনি ব্যবস্থা নেবে।’

উল্লেখ্য, কালীগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনে তৃণমূল ৫৫.১৫ শতাংশ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছে। বিজেপি প্রার্থী পেয়েছেন ২৮.২৯ শতাংশ ভোট আর বাম সমর্থিত কংগ্রেস প্রার্থী পেয়েছেন ১৫.২১ শতাংশ ভোট।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *