এই দিনকাল: প্রধানমন্ত্রী হোন বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনও মন্ত্রী, যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তাহলে হাতছাড়া হবে তাঁর মন্ত্রিত্ব। বুধবার লোকসভায় এই মর্মে বিল (Bill) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী এই বিল পেশ করার পর সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ (TMC) বিরোধীরা। বিরোধীদের দমন করতে এই বিল আনা হয়েছে বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের।
অমিত শাহের পেশ করা বিলে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের অপসারণ করার কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্ত মন্ত্রীরা যদি কোনও গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তাহলে এই নিয়ম তাঁদের উপর প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে। বুধবার লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার পাশাপাশি আরও দুটি বিল পেশ করা হয়। সে দুটির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল। তিন বিলেরই বিরোধিতা করে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বিলের কপি ছিঁড়ে অমিত শাহের দিকে ছোঁড়েন বিরোধী সাংসদরা। সংসদের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান অনেক সাংসদ।
কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘ওরা বলছে ৩০ দিন, আমি শাহকে বলছি, ৩০ নয়, ১৫ দিন সময় নিন। লোকসভায় আপনাদের আনা বিলকে তৃণমূলও সমর্থন করবে। কিন্তু নতুন বিলে এই নিয়ম রাখতে হবে যে যাকে অপরাধী সন্দেহে জেলে রাখা হবে তার অপরাধ প্রমাণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদেরও দ্বিগুণ সময় জেলে থাকতে হবে।’