SIR: এসআইআর ফর্ম ভরা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কড়া অবস্থান, না ভরলেও ক্ষতি নেই, বলছে কমিশনের নিয়ম

এই দিনকাল: রাজ্যে স্পেশাল ইনটেনসিভ রিভিশন বা এসআইআর (SIR)এর কাজ জোর কদমে শুরু হয়ে গিয়েছে। এসআইআর আতঙ্কের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট ভাবে ঘোষণা করেছেন, পশ্চিমবঙ্গের প্রত্যেক মানুষ যতক্ষণ না এনুমারেশন ফর্ম পূরণ করছেন, ততক্ষণ পর্যন্ত তিনিও ফর্ম ভরবেন না। তবে কমিশনের নিয়ম বলছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর এসআইআর ফর্ম না ভরলেও চলবে। কেন না পদাধিকার বলে তিনি আগে থেকেই নির্বাচন কমিশনের কাছে চিহ্নিত ভোটার।

কমিশনের নিয়ম অনুযায়ী, শুধু মুখ্যমন্ত্রী নন, দেশের প্রধানমন্ত্রীরও এনুমারেশন ফর্ম ভরা আবশ্যিক নয়। সব রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, দেশের প্রধানমন্ত্রী ছাড়াও হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রীরাও এই তালিকায় থাকেন। কারণ তাঁদের সম্পর্কে তথ্য কমিশনের কাছে আলাদা করে রাখা থাকে। কমিশন সূত্রের দাবি, প্রধানমন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রীদের নাম নির্বাচন কমিশনের ভোটার তালিকায় স্বয়ংক্রিয় ভাবেই নথিভুক্ত করা হয়। বিশেষ ভাবে এনুমারেশন ফর্ম পূরণের প্রয়োজন নেই।

উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার সমাজ মাধ্যম ফেসবুকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছিলেন, ‘গতকাল দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএলও আমাদের পাড়ায় এসেছিলেন তাঁদের নির্দিষ্ট কাজ করতে। কর্মসূত্রে, আমার রেসিডেন্স অফিসে এসে – রেসিডেন্সের ক’জন ভোটার জেনেছেন এবং ফর্ম দিয়ে গেছেন। যতক্ষণ না বাংলার প্রতিটি মানুষ ফর্ম পূরণ করছেন, আমি নিজে কোনও ফর্ম পূরণ করিনি এবং করবও না। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম ও সংবাদপত্র প্রকাশ করেছে যে, ‘আমি বাসভবন থেকে বেরিয়ে এসে নিজের হাতে বিএলও-এর কাছ থেকে এনুমারেশন ফর্ম গ্রহণ করেছি!’ এই খবর সম্পূর্ণ মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিত অপপ্রচার।’

কমিশন সূত্রের খবর, বুধবার ভবানীপুরে ৩০বি হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে এনুমারেশন ফর্ম দিয়ে এসেছেন বিএলও। মোট ৪০টি ফর্ম মুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে দেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক আধিকারিক ফর্মগুলি রিসিভ করে নেন বলে সূত্রের দাবি।

Leave a Comment