Category Archives: দেশ

Umar Khalid: দিল্লি হিংসা মামলায় জামিন মিলল না উমর, শারজিল-সহ ৯ জনের

এই দিনকাল: রাজধানী দিল্লিতে ২০২০ সালের হিংসার ঘটনায় গ্রেফতার হওয়া উমর খালিদ (Umar Khalid), শারজিল ইমাম-সহ নয় জনের জামিনের আর্জি খারিজ করে দিল দিল্লি হাইকোর্ট। উমর, শারজিল ছাড়াও এই মামলায় যাদের জামিন খারিজ হয়েছে তাঁরা হলেন আতহার খান, খালিদ সাইফি, মোহাম্মদ সেলিম খান, শিফা উর রহমান, মিরান হায়দার, গুলফিশা ফাতিমা এবং শাদাব আহমেদ।

২০২০ সালে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে গোটা দেশে প্রতিবাদ হয়েছিল। সে সময় দিল্লিতে বিক্ষোভ চলাকালীন হিংসার ঘটনা ঘটে। যাতে নাম জড়ায় উমর, শারজিলদের। তাঁদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনা হয়। বেআইনি কার্যকলাপ প্রতিরোধ আইন অর্থাৎ ইউএপিএ ধারায় মামলা দায়ের করে দিল্লি পুলিশ। উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের মে মাসে দিল্লির করকরডুমা আদালত উমরদের জামিনের আর্জি নাকচ করেছিল এই মামলায়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে অভিযুক্তেরা বিচারপতি নবীন চাওলা এবং বিচারপতি শালিন্দর কৌরের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

বস্তুত, সিএএ বিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ২০২০ সালে হিংসার ঘটনায় ৫৩ জনের মৃত্যু হয়েছিল। আহত হয়েছিলেন ৭০০ জনেরও বেশি। ওই বছরেই ১৪ সেপ্টেম্বর উমরকে গ্রেফতার করা হয়। দিল্লি পুলিশের দাবি, হিংসার ঘটনায় ষড়যন্ত্রকারী ছিলেন উমর।

Puri Rathyatra Chariot Wheel: স্পিকার ওম বিড়লার সম্মতিতে সংসদে জায়গা পাচ্ছে পুরীর রথের চাকা

এই দিনকাল: দেশের সংসদে এ বার জায়গা পেতে চলেছে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের রথের চাকা (Puri Rathyatra Chariot Wheel)। বিশেষ ধর্মীয় এই উপাদান রাখার ক্ষেত্রে ইতিমধ্যে সম্মতি দিয়েছেন লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা। শুক্রবার পুরীর জগন্নাথ মন্দির দর্শনে গিয়েছিলেন লোকসভার স্পিকার। সেই সময় মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে এই প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সংসদে রথের চাকা রাখার বিষয়টি নিয়ে শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বা এসজিটিএ-র তরফে একটি বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, শুক্রবার লোকসভার স্পিকার পুরীর মন্দির দর্শন করতে আসার পর মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে প্রস্তাব দেওয়া হয়, পুরীর রথযাত্রায় ব্যবহৃত রথের চাকা সংসদে রাখার জন্য। স্পিকার জানান, এই প্রস্তাবে তাঁর আপত্তি নেই৷ তবে কবে সংসদে রথের চাকা রাখা হবে, কী ভাবে এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে তা এখনও স্পষ্ট নয়৷

শ্রী জগন্নাথ টেম্পেল অ্যাডমিনিস্ট্রেশন এর মুখ্য প্রশাসক অরবিন্দ পাধি এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্ট করে এই বিষয়ে লিখেছেন, ‘শুক্রবার লোকসভার স্পিকার- সহ অন্য বিশিষ্টরা জগন্নাথ মন্দির দর্শন করে মহাপ্রভুর আশীর্বাদ নিয়েছেন৷ স্পিকারকে অনুরোধ করা হয় যাতে রথের চাকা সংসদে রাখা সম্ভব হয় ৷ এই প্রস্তাবে তিনি রাজি হয়েছেন৷’ উল্লেখ্য, শুক্রবার স্পিকার ওম বিড়লার পাশাপাশি মন্দির দর্শন করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এবং বিজেপি সাংসদ সম্বিত পাত্র।

Prime Minister Narendra Modi: মোদীর ডিগ্রি প্রকাশ করা যাবে না, বড় নির্দেশ আদালতের

এই দিনকাল: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Prime Minister Narendra Modi) শিক্ষাগত যোগ্যতা সংক্রান্ত ডিগ্রির নথি প্রকাশ করা যাবে না। সোমবার এমনই রায় দিল দিল্লি হাইকোর্ট। এদিন দিল্লি হাইকোর্টের সিঙ্গল বিচারপতির বেঞ্চ এই নির্দেশ দিয়েছে। উল্লেখ্য, ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক পরীক্ষায় পাশ করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী৷ সেই সংক্রান্ত নথি দেখতে চেয়ে তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় মামলা হয়েছিল। সেইরকমই একটি মামলার প্রেক্ষিত সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। 

সম্প্রতি জাতীয় তথ্য কমিশন নির্দেশ দিয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়কে, সেখানে বলা হয়েছিল, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্নাতক ডিগ্রি সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করতে হবে। কমিশনের সেই নির্দেশের বিরোধিতা করে আদালতে গিয়েছিল দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। সোমবার জাতীয় তথ্য কমিশনের সেই নির্দেশ বাতিল করল দিল্লি হাইকোর্ট৷ সোমবার দিল্লি হাইকোর্টের বিচারপতি সচিন দত্তা জানিয়েছেন, কোনও ব্যক্তির শিক্ষা সংক্রান্ত নথি, তাঁর ডিগ্রির রেজাল্ট তথ্যের অধিকার আইনের ৮(১)(জে) ধারা অনুযায়ী ‘ব্যক্তিগত তথ্যে’র আওতায় পড়ে৷ ফলে সেটি প্রকাশ করা যাবে না। বিচারপতি জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুসারে রেজাল্ট/মার্কশিট পড়ুয়া ছাড়া জনসাধারণের কাছে প্রকাশ করা উচিত নয়।

বস্তুত, তথ্যের অধিকার আইনের আওতায় নীরজ নামে এক ব্যক্তি ১৯৭৮ সালে দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতকের পড়ুয়াদের তথ্য জানতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেই আবেদনে সাড়া দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অবশেষে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের কাছে আবেদন জানান ওই ব্যক্তি। সেই আবেদনের প্রেক্ষিতে ২০১৬ সালের ২১ ডিসেম্বর, ১৯৭৮ সালে বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ সকল পড়ুয়ার তথ্য প্রকাশের নির্দেশ দেয় কমিশন। প্রসঙ্গত, ওই বছরেই প্রধানমন্ত্রী মোদিও বিএ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছিলেন। কমিশনের নির্দেশেরবিরোধিতা করে ২০১৭ সালে আদালতের দ্বারস্থ হয় দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়। হাইকোর্ট ২০১৭ সালের ২৩ জানুয়ারি সিআইসির নির্দেশে স্থগিতাদেশ দেয়।

Premanand Govind Sharan: হিন্দু সন্ন্যাসীর জন্য নিজের কিডনি দান করতে চান মুসলিম যুবক

এই দিনকাল: মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত। হিন্দু সন্ন্যাসীর জন্য নিজের কিডনি দান করার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন এক মুসলিম যুবক। মধ্যপ্রদেশের নর্মদাপুরম জেলার বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী আরিফ খান চিশতি (Arif Khan Chishti) নামের ওই মুসলিম যুবক হিন্দু সন্ন্যাসী প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ (Premanand Govind Sharan)-কে তাঁর একটি কিডনি দান করার প্রস্তাব দিয়েছেন।

রাধা বল্লভ সম্প্রদায়ের অন্তর্গত বৃন্দাবন-ভিত্তিক সাধক প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণ প্রায় দুই দশক ধরে পলিসিস্টিক কিডনি রোগে ভুগছেন। প্রায় ১৮-১৯ বছর আগে তাঁর দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে যায়। তখন থেকেই তাঁকে নিয়মিত ডায়ালিসিস করতে হয়। তবুও, ৫৬ বছর বয়সে, তিনি দৈনন্দিন আধ্যাত্মিক কাজকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রেমানন্দ গোবিন্দ শরণের জীবন এবং বাণীর প্রতি মুগ্ধ হয়ে ইটারসির অনলাইন পরামর্শদাতা এবং আইনি ডকুমেন্টার আরিফ খান চিশতি গত ২০ আগস্ট জেলাশাসককে এবং সন্ন্যাসীকে চিঠি লেখেন। সেই চিঠিতে তিনি নিজের কিডনি দান করার প্রস্তাব দেন। চিশতি বলেন, ‘আমি একটি রিল দেখেছি যেখানে মহারাজজি খাজা মইনুদ্দিন চিশতি আজমেরী এবং আমির খসরুর কথা ভীষণ শ্রদ্ধার সঙ্গে বলেছেন। আমার মনে হয়েছে, তিনি এমন এক সময়ে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনের জন্য কাজ করছেন যখন সহজেই ঘৃণা উস্কে দেওয়া হয়। সেই চেতনাকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য তাঁর দীর্ঘ জীবন অপরিহার্য।’

উল্লেখ্য, আরিফ খান চিশতি সুফি ঐতিহ্য অনুসরণ করেন। কিডনি দানের বিষয়ে তিনি প্রথমে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেন। তিনি জানান, তাঁর জীবন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর জীবনের চেয়ে বড় নয়। তাঁর কথায়, ‘আমি ২০২৩ সালে আমার মাকে হারিয়েছি, যা আমাকে প্রায় প্রাণহীন করে তুলেছিল। এক বছর আগে আমার বিয়ে হয়েছে। প্রশাসনকে চিঠি লেখার আগে আমি আমার স্ত্রীর সঙ্গে পরামর্শ করেছিলাম, হিন্দু সন্ন্যাসীর দীর্ঘ জীবন এবং সুস্থতা নিশ্চিত করার জন্য আমার কিডনি দান করার প্রস্তাব দিয়েছি। আমার জীবন একজন আধ্যাত্মিক গুরুর জীবনের চেয়ে বড় নয়। যিনি দেশে সাম্প্রদায়িক সৌহার্দ্য এবং ঐক্য প্রচারে কাজ করছেন।’

Bengali People: মারাঠি না জানায় মহারাষ্ট্রে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিককে মারধর

এই দিনকাল: ফের বাঙালি (Bengali People) পরিযায়ী শ্রমিককে আক্রমণের অভিযোগ। এ বার মহারাষ্ট্রে। অভিযোগ, মারাঠি ভাষা না জানায় ওই বাঙালি শ্রমিককে মারধর করা হয়। এই গোটা ঘটনায় অভিযোগের তীর রাজ ঠাকরের মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার সদস্যদের দিকে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ওই পরিযায়ী শ্রমিকের নাম বৈদ্যনাথ পণ্ডিত। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাসিকে গাড়ি চালানো শিখছিলেন তিনি। সেই সময় ভুল করে এক প্রতিবেশীর গাড়িতে ধাক্কা মারেন। তার পর গাড়ির মালিকের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। অভিযোগ, ঘটনার পরদিনই ওই প্রতিবেশী মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনাকে খবর দেয়। এর পর রাজ ঠাকরের দলের সদস্যরা বৈদ্যনাথের উপরে চড়াও হন বলে অভিযোগ। অভিযোগ, তাঁর স্ত্রীর গায়েও অভিযুক্ত হাত তুলেছে। 

ঘটনার ভিডিওটি ইতিমধ্যে সমাজ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি এই দিনকাল। যেখানে দেখা গিয়েছে, রাজ ঠাকরের অনুগামীরা এবং ওই অভিযুক্ত একসঙ্গে বৈদ্যনাথ পণ্ডিতকে ঘেরাও করে রেখেছেন। এক জন তাঁকে জিজ্ঞেস করছেন, মারাঠি ভাষা বলতে পারেন কি না। তার পর বলেন, মারাঠি ভাষা না জানলে তাঁকে শিখতে হবে। এর মাঝে অন্য আরেক জন তাঁকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। সংবাদমাধ্যমকে ওই আক্রান্ত বাঙালি শ্রমিক জানিয়েছেন, আমাদের মহারাষ্ট্র থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

Band: মুসলিম হয়ে হিন্দু দেবদেবীর নাম ব্যবহার কেন? ব্যান্ড মালিকদের ডেকে পাঠাল যোগী রাজ্যের পুলিশ

এই দিনকাল: মুসলিম ব্যান্ড (Band) মালিকদের একাংশ নিজের সংস্থার নাম রেখেছিল হিন্দু দেবদেবীর নামে। আর তাতেই আপত্তি যোগী রাজ্যের পুলিশের। ব্যান্ড মালিকদের ডেকে পাঠাল উত্তরপ্রদেশের মোরাদাবাদ জেলার পুলিশ। তাদেরকে হিন্দু নাম ব্যবহার করতে নিষেধ করা হয়েছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শাবি শর্মা নামের একজন আইনজীবী গত ৯ জুলাই মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে একটি অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। যেখানে তিনি দাবি করেন জেলার প্রায় ১৫ থেকে ২০ জন মুসলিম ব্যান্ড মালিক নিজেদের ব্যবসার নাম রেখেছেন হিন্দু দেবদেবীর নামে। অভিযোগ পাওয়ার পর, তৎপরতা শুরু করে পুলিশ। মোরাদাবাদের এসপি (শহর) কুমার রণবিজয় সিং বেশ কয়েকজন ব্যান্ড অপারেটরকে ডেকে পাঠান, যাদের মধ্যে বেশিরভাগ ছিলেন মুসলিম। এসপি তাদের নির্দেশ দেন, ব্যান্ড হিন্দু দেবদেবীর নামে না রাখার জন্য। পুলিশের নির্দেশ মেনে চলবেন বলে জানিয়েছেন ব্যান্ড মালিকরা।

পুলিশের মতে, অভিযোগকারী দাবি করেছিলেন, এই প্রবণতা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করছে। সিং বলেন, ‘মঙ্গলবার, তাদের তলব করে এমন নাম মুছে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তারা সকলেই তা মেনে চলতে রাজি হয়েছেন।’ প্রসঙ্গত, একজন মুসলিম ব্যান্ড মালিক যদি তার ব্যান্ডের নাম হিন্দু দেবতার নামে রাখে, সেক্ষেত্রে বেআইনি কিছু নেই।

অভিযোগকারীর বক্তব্য, মোরাদাবাদের ব্যান্ড শিল্প মূলত মুসলিমদের নিয়ন্ত্রণে। এই প্রতিষ্ঠানগুলির অনেকগুলি হিন্দু নামে পরিচালিত হয়, যার মধ্যে হিন্দু দেব-দেবীর নামও রয়েছে। তাঁর দাবি, ‘এটি পরিচয় বিকৃত করার চেষ্টা। মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই ধরণের প্রথার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন।’ বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমি মুখ্যমন্ত্রীর পোর্টালে একটি অভিযোগ জমা দিয়েছিলাম। এখন পুলিশ ব্যবস্থা নিয়েছে। এটি বৈষম্য নয়, এটি আইনি ব্যবস্থা।’

Bill: টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকলে হাতছাড়া হবে মন্ত্রিত্ব, বিল আনল কেন্দ্র, বিরোধিতায় তৃণমূল

এই দিনকাল: প্রধানমন্ত্রী হোন বা কোনও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কিংবা অন্য কোনও মন্ত্রী, যদি টানা ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তাহলে হাতছাড়া হবে তাঁর মন্ত্রিত্ব। বুধবার লোকসভায় এই মর্মে বিল (Bill) পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। কেন্দ্রের তরফে ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী এই বিল পেশ করার পর সরব হয়েছে তৃণমূল-সহ (TMC) বিরোধীরা। বিরোধীদের দমন করতে এই বিল আনা হয়েছে বলে দাবি জোড়াফুল শিবিরের।

অমিত শাহের পেশ করা বিলে প্রধানমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, মুখ্যমন্ত্রী এবং রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের মন্ত্রীদের অপসারণ করার কথা বলা হয়েছে। অভিযুক্ত মন্ত্রীরা যদি কোনও গুরুতর অপরাধের অভিযোগে গ্রেফতার হয়ে ধারাবাহিকভাবে ৩০ দিন হেফাজতে থাকেন, তাহলে এই নিয়ম তাঁদের উপর প্রযোজ্য হবে। পাশাপাশি মন্ত্রীর পদ থেকে অপসারণ করা হবে। বুধবার লোকসভায় ১৩০তম সংবিধান সংশোধনী বিল পেশ করার পাশাপাশি আরও দুটি বিল পেশ করা হয়। সে দুটির মধ্যে রয়েছে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সরকার (সংশোধনী) বিল, জম্মু ও কাশ্মীর পুনর্গঠন (সংশোধনী) বিল। তিন বিলেরই বিরোধিতা করে তৃণমূল, কংগ্রেস-সহ বিরোধীরা। বিলের কপি ছিঁড়ে অমিত শাহের দিকে ছোঁড়েন বিরোধী সাংসদরা। সংসদের ওয়েলে নেমে বিক্ষোভ দেখান অনেক সাংসদ। 

কেন্দ্রীয় সরকারকে নিশানা করে বুধবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ বলেন, ‘ওরা বলছে ৩০ দিন, আমি শাহকে বলছি, ৩০ নয়, ১৫ দিন সময় নিন। লোকসভায় আপনাদের আনা বিলকে তৃণমূলও সমর্থন করবে। কিন্তু নতুন বিলে এই নিয়ম রাখতে হবে যে যাকে অপরাধী সন্দেহে জেলে রাখা হবে তার অপরাধ প্রমাণ করতে না পারলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদেরও দ্বিগুণ সময় জেলে থাকতে হবে।’

Supreme Court: ‘প্রেম অপরাধ?’, মুসলিম নাবালিকার বিয়ে সংক্রান্ত মামলায় বড় পর্যবেক্ষণ শীর্ষ আদালতের

এই দিনকাল: জাতীয় শিশু অধিকার সুরক্ষা কমিশন বা এনসিপিসিআর- (NCPCR)এর একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট (Supreme Court)। ২০২২ সালে পাঞ্জাব ও হরিয়ানা হাইকোর্ট ১৬ বছর বয়সী এক মুসলিম মেয়ে এবং তার ৩০ বছর বয়সী স্বামীকে সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল। হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল কমিশন।

সর্বোচ্চ আদালত হাইকোর্টের রায়কে বহাল রেখেছে, যেখানে বলা হয়েছে, মুসলিম পার্সোনাল আইনের আওতায় বয়ঃসন্ধিকালে পৌঁছালে বা ১৫ বছরের বেশি বয়সী কোনও মেয়ে নিজের পছন্দের সঙ্গীকে বিয়ে করার জন্য ‘যোগ্য’। এ ক্ষেত্রে পকসো আইন প্রযোজ্য হবে না। জাভেদ এবং আশিয়ানা নামের ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানকে – সুরক্ষা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল হাইকোর্ট। মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্ট এনসিপিসিআর-কে ভর্ৎসনা করেছে হাইকোর্টের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ করার জন্য। প্রসঙ্গত, কমিশন দাবি করেছে, এ ক্ষেত্রে পকসো আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি বিভি নাগরত্না এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ এদিন বলে, ‘আপনার চ্যালেঞ্জ করার কোনও অধিকার নেই… যদি দুটি নাবালক হাইকোর্ট কর্তৃক সুরক্ষিত থাকে, তাহলে আপনি কীভাবে এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করতে পারেন?’ আদালত আরও বলে, ‘আমরা দেখতে পাই না যে একজন নাবালককে সুরক্ষা দেওয়া হলে এনসিপিসিআর কীভাবে ক্ষুব্ধ হতে পারে’। 

এদিন কমিশনের তরফে আদালতে সওয়াল করেন অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাট্টি। তিনি বলেন, ‘আদালত সুরক্ষা দেওয়া অব্যাহত রাখতে পারে, তবে আইনের বিষয়টি উন্মুক্ত রাখতে পারে। অর্থাৎ, একজন ১৫ বছর বয়সী মেয়ের কি ব্যক্তিগত আইনের ভিত্তিতে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হওয়ার আইনি এবং মানসিক ক্ষমতা থাকতে পারে?’ তবে সুপ্রিম কোর্ট এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত হয়নি।  আদালতের পর্যবেক্ষণ, শিশুদের জীবনের সুরক্ষা প্রদানের আদেশের ক্ষেত্রে ‘আইনের প্রশ্ন’ নিয়ে কোনও আলোচনা হতে পারে না। কমিশনকে সর্বোচ্চ আদালতের পরামর্শ, ‘আপনি যদি এই প্রশ্নটি তুলতে চান.. তাহলে উপযুক্ত মামলায় আবেদন করুন।’

সর্বোচ্চ আদালত বলে, ‘এখানে আইনের কোনও প্রশ্নই ওঠে না… যদি হাইকোর্ট, সংবিধানের ২২৬ অনুচ্ছেদের অধীনে, লিখিত নির্দেশ জারি করার ক্ষমতা প্রয়োগ করে, তাহলে আপনি কীভাবে এটিকে চ্যালেঞ্জ করছেন?’ বিচারপতি এনসিপিসিআরকে বলেন, ‘মেয়েটি তাঁর স্বামীর সঙ্গে থাকে! এবং তাঁর একটি সন্তান রয়েছে। আপনার সমস্যা কী?’ উল্লেখ্য, এদিন আদালত একই ধরণের মামলায় আরও তিনটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। কমিশনকে ভর্ৎসনা করে বিচারপতি বিভি নাগরত্না বলেছেন, ‘আমরা এই রোমান্টিক মামলাগুলিকে আলাদা রাখতে চাই… এগুলি আমাদের বাদ দিতে হবে।’

Two Nation Theory: ‘দ্বি-জাতি তত্ত্ব প্রথম প্রচার করেছিলেন সাভারকর’, আম্বেদকরের উদ্ধৃতি দিয়ে দাবি কর্নাটকের মন্ত্রীর

এই দিনকাল: ধর্মের ভিত্তিতে (Two Nation Theory) ভাগ হয়েছিল ভারতবর্ষ। দেশভাগের জন্য অনেকে মহম্মদ আলি জিন্নাহকে দায়ী করেন। তবে এ বিষয়ে ভিন্ন মত কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে-র পুত্র তথা কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়ঙ্ক খাড়গের (Priyank Kharge)। তাঁর দাবি, ভারতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের ধারণাটি প্রথম তুলেছিলেন বিনায়ক দামোদর সাভারকর। এমনকি মহম্মদ আলি জিন্নাহ এবং মুসলিম লীগ কর্তৃক তা গৃহীত হওয়ার অনেক আগে সাভারকর ধর্মের ভিত্তিতে দ্বি-জাতি তত্ত্বের প্রচার করেন।

রবিবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে লেখেন, ‘দ্বি-জাতির ধারণাটি প্রথম ‘বীর’ সাভারকর উত্থাপন করেছিলেন এবং তাঁর ‘টুকড়ে টুকড়ে গ্যাং’ সেই তত্ত্বকে সমর্থন করেছিল।’ কর্নাটকের তথ্য প্রযুক্তি এবং বায়োটেকনলোজি মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে সাভারকরের লেখা এবং বক্তৃতা উল্লেখ করে ঘটনার ধারাবাহিকতা তুলে ধরেন। তিনি লেখেন, ‘১৯২২ সালে লেখা ‘এসেন্সিয়াল অফ হিন্দুত্ব’ বইতে, সাভারকর হিন্দুত্বকে ধর্ম দিয়ে নয়, হোমল্যান্ড দ্বারা সংজ্ঞায়িত করেছিলেন, ভারতকে ‘পিতৃভূমি এবং পবিত্রভূমি’ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন তিনি।’ খাড়গে উল্লেখ করেন, ১৯৩৭ সালে আহমেদাবাদে হিন্দু মহাসভার ১৯তম অধিবেশনে সাভারকর বলেছিলেন, ‘ভারতে পাশাপাশি দুটি বিরোধী জাতি বসবাস করছে। আজ ভারতকে একটি ঐক্যবদ্ধ এবং সমজাতীয় জাতি হিসেবে ধরে নেওয়া যায় না। বিপরীতে, ভারতে প্রধানত দুটি জাতি রয়েছে: হিন্দু এবং মুসলিম।’ তিনি আরও উল্লেখ করেন ১৯৪৩ সালে নাগপুরে সাভারকরের মন্তব্য ছিল: ‘মিস্টার জিন্নাহর দ্বি-জাতি তত্ত্বের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। আমরা, হিন্দুরা, আমরা নিজেরাই একটি জাতি, এবং এটি একটি ঐতিহাসিক সত্য যে হিন্দু এবং মুসলিম দুটি জাতি।’

এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে প্রিয়ঙ্ক খাড়গে প্রশ্ন তোলেন বিজেপি কি এই ইতিহাস অস্বীকার করে? পাশাপাশি বি আর আম্বেদকরের পর্যবেক্ষণ উদ্ধৃত করেছেন তিনি। লিখেছেন, ‘অদ্ভুত মনে হলেও, এক জাতি বনাম দ্বি-জাতি ইস্যুতে মিস্টার সাভারকর এবং মিস্টার জিন্নাহ একে অপরের বিরোধী হওয়ার পরিবর্তে সম্পূর্ণ একমত। উভয়েই কেবল একমত নন, বরং জোর দিয়ে বলেন যে ভারতে দুটি জাতি রয়েছে – একটি মুসলিম জাতি এবং অন্যটি হিন্দু জাতি। তারা কেবল দুটি জাতি কোন শর্তে জীবন যাপন করবে সেই বিষয়ে ভিন্নমত পোষণ করেছেন।’

Humayun’s Tomb Collapses: মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কাছে দরগার ছাদ ভেঙে মৃত্যু ৬ জনের

এই দিনকাল: দ্বিতীয় মুঘল সম্রাট হুমায়ুনের সমাধির কাছে (Humayun’s Tomb Collapses) একটি দরগার ছাদ ভেঙে মৃত্যু হল ৬ জনের। ধ্বংসস্তূপের মধ্যে বেশ কয়েক জনের আটকে থাকার আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় দিল্লির নিজামুদ্দিন এলাকায় এই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, দুর্ঘটনার ফলে আহত হয়েছেন কমপক্ষে ১১ জন। যাদের মধ্যে নয় জনকে চিকিৎসার জন্য দিল্লির এইমস ট্রমা সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে। আধিকারিকরা জানিয়েছেন, শুক্রবারের নামাজের জন্য মানুষজন দরগায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় আচমকা ভেঙে পড়ে সেটির একাংশের ছাদ। দরগা শরীফ পাট্টে শাহ নিজামুদ্দিন পূর্বের হুমায়ুনের সমাধির কাছে অবস্থিত। ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ভিডিওতে দেখা গিয়েছে, একটি খোলা প্রাঙ্গণের চারপাশে একটি ছোট সবুজ ভবন রয়েছে। সেটির এক পাশের ছাদ ভেঙে পড়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দিল্লির দমকল বাহিনী, দিল্লি পুলিশ, এনডিআরএফ এবং দিল্লি বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী-সহ একাধিক উদ্ধারকারী সংস্থা। তারা উদ্ধারকাজ চালাচ্ছে। অসমর্থিত সূত্রে খবর, প্রায় ২৫ থেকে ৩০ বছরের পুরনো ছিল ভেঙে পড়া ছাদটি। শুক্রবার যখন সেটি ভেঙে পড়ে, সেই সময় দরগার ভেতরে ছিল ১৫ থেকে ২০ জন লোক। যাদের মধ্যে ইমামও ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে পুলিশ। দুর্ঘটনাস্থলটি বর্তমানে ঘিরে রাখা হয়েছে।