এই দিনকাল: ছেলেবেলার শখের খেলনা দেখে স্মৃতির সাগরে ডুব দেন অনেকে। প্রিয় সেই বস্তু দেখে মনের আঙিনায় ফিরে আসে ফেলে আসা শৈশবের নানান মুহূর্ত। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের শৈশবের এমন খেলনা জমিয়ে আস্ত একটি জাদুঘর (Museum) গড়ে তুলেছেন ৪৬ বছর বয়সী আজাদেহ বায়াত। ইরানের রাজধানী তেহরানে একটি বাড়ি সংস্কার করে সেটিকে খেলনার জাদুঘরে পরিণত করেছেন তিনি।
সংবাদ মাধ্যমকে আজাদেহ বায়াত জানিয়েছেন, তাঁর নির্মিত জাদুঘরে যেমন রয়েছে প্রাচীন পারস্যের খেলনা, তেমনই জায়গা করে নিয়েছে সোভিয়েত রাশিয়া ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সময়ের শিশুদের খেলনা। মিউজিয়ামটি গড়ে তুলতে ছয় বছর ধরে সংস্কারের কাজ হয়েছে। ২০২৪ সালে জাদুঘরটি সাধারণ দর্শনার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। আজাদেহের কথায়, ‘সর্বদা আমার মনে হত, হয়ত শিশু ও কিশোররা জাদুঘর দেখতে আসবে। কিন্তু বর্তমানে বড়রাও নিয়মিত ঢুঁ মারেন।’
মিউজিয়ামটির প্রতিষ্ঠাতা আজাদেহ শিশুশিক্ষাবিষয়ক গবেষক। এই জাদুঘরের জন্য তিনি বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে দুই হাজারের বেশি খেলনা সংগ্রহ করেছেন বলে জানিয়েছেন। কিন্তু কেন এমন সিদ্ধান্ত? এই প্রশ্নের জবাবে আজাদেহ বলেন, ‘নিজেদের মা–বাবা ও ঠাকুমা, ঠাকুরদার খেলনা দেখে শিশুরা প্রবীণদের সম্পর্কে আরও ভাল ভাবে বুঝতে পারবে। পাশাপাশি তাঁদের জগতের সঙ্গে নিজেদের জগৎকে আরও ভাল ভাবে যুক্ত করতে শিখতে পারবে।’
জাদুঘরে ঢুকে দেখা যায় পারস্যের প্রাচীন একটি মাটির খেলনা, যেটা কিনা একটা পশুমূর্তি, সেটি প্রদর্শিত হচ্ছে কাচের বাক্সের মধ্যে রেখে। কাছেই একটি জায়গায় কাঠের ‘ম্যাট্রিওশকা’ পুতুলের একটি দল সাজানো রয়েছে। পুতুলগুলোকে রাশিয়ার ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরানো রয়েছে। মিউজিয়ামে রয়েছে মার্কিন বার্বি ডল, সেই সঙ্গে রাখা হয়েছে ২০০০–এর দশকে ইরানের বাজারে আসা ‘সারা ও দারা’ নামের দুই পুতুলকেও। প্রসঙ্গত, ইরানে বার্বি ডল নিষিদ্ধ ছিল সে সময়। এই পুতুলের বিকল্প হিসেবে ‘সারা ও দারা’কে বাজারে আনা হয়েছিল।
