witchcraft: ডাইনি সন্দেহে একই পরিবারের ৫ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল গ্রামবাসী

এই দিনকাল: একুশ শতকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নত যুগে এসেও কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে একই পরিবারের পাঁচ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল গ্রামবাসী। ডাইনি (witchcraft) সন্দেহে তাঁদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়ায়। নৃশংস এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে পূর্ণিয়ার তেতগামা গ্রামে ৫০ জনের একটি দল সীতা দেবীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। অভিযোগ, সীতা নামের ওই মহিলা ‘কালা জাদু’ করেন। মহিলার ছেলে, ১৬ বছর বয়সী সোনু কুমার, পুলিশকে বলেছে উত্তেজিত জনতা বাড়িতে ঢুকে সকলকে মারধর করতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

সাংবাদিকদের সোনু বলে, ‘গ্রামের লোকেরা বাঁশের লাঠি নিয়ে এসে সবাইকে মারধর করে, আমার মাকে ‘ডাইনি’ বলে অপবাদ দেয়। তারা আমার মা, বাবা, ভাই এবং শ্যালিকা-সহ পাঁচ জনকে মারধর করে। অন্যান্য গ্রামবাসীরা তাদের থামায়নি।’ সোনুর বাবা-মা সহ পাঁচ জনকেই জীবন্ত পুড়িয়ে তাদের মৃতদেহ জলাশয়ে ফেলে দেয়। পূর্ণিয়া মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, সোনু সোমবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি বলেন, ‘সোনু কুমার জানিয়েছে ‘ডাইনি’ সন্দেহে তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেছি।’

এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কী কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্তা বলেন, রামদেব ওরাওঁ নামে এক গ্রামবাসীর এক ছেলে সম্প্রতি মারা গিয়েছে। তার আর এক ছেলে গুরুতর অসুস্থ। গ্রামবাসীরা এর জন্য সীতা দেবীকে দায়ী করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য করেন পঙ্কজ কুমার শর্মা।

Leave a Comment