Tag Archives: Odisha

Rape: ওড়িশায় ২ আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণ, আটক ৩ অভিযুক্ত

এই দিনকাল: দুই আদিবাসী নাবালিকাকে গণধর্ষণের (gang rape) অভিযোগ উঠল ওড়িশায়। সে রাজ্যের ময়ূরভঞ্জ জেলায় পাঁচ জন পুরুষ মিলে দুই কিশোরীকে গণধর্ষণ করেছে। ইতিমধ্যে ঘটনার তদন্তে নেমে তিন অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে। কিন্তু বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে শুক্রবার। দুই নির্যাতিতার বাবা-মা রাসগোবিন্দপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’জন ছেলের সঙ্গে ১৩ ও ১৪ বছর বয়সী দুই কিশোরী যাত্রা দেখতে গিয়েছিল পাশের গ্রামে। সেখান থেকে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন যুবক তাদের বাইক আটকায়। অভিযোগ, দুই কিশোরীর সঙ্গে থাকা ছেলে দুজনকে মারধর করে তারা। এর পর দুই নাবালিকাকে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। দুই কিশোরী যথাক্রমে অষ্টম ও নবম শ্রেণীর ছাত্রী। অভিযোগ, পাঁচ জন পুরুষ মিলে তাদেরকে ধর্ষণ করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ইতিমধ্যে তিন জনকে আটক করা হয়েছে। বাকি দু জনের খোঁজ চলছে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিএনএস এবং পকসো আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। 

অন্য দিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে ওড়িশার বিরোধী দল বিজেডি। তাদের দাবি, গত ১৬ মাসে ওড়িশায় ৫,০০০ এরও বেশি নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন।বিজেডি মুখপাত্র লেনিন মোহান্তি বলেন, ‘ভয়াবহ এই পরিসংখ্যান রাজ্যের বর্তমান বিজেপি সরকারের অধীনে নারীদের অধোগামী অবস্থার প্রতিফলন।’

Rape: ওড়িশায় দুই ভাই মিলে নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ! কুকর্ম ঢাকতে জীবন্ত কবর দেওয়ার চেষ্টা

এই দিনকাল: দুই ভাই মিলে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ (Rape)। আর তার জেরে নির্যাতিতা কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তাকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলায়। ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের নাম ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস। বনশবারা গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় টুলু নামের তৃতীয় আরেক সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।

অভিযোগ, দুই ভাই ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস দীর্ঘ দিন ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছে। নির্যাতিতা কিশোরী এক সময় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। যখন সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী তখন নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে নির্যাতিতাকে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয় সে জন্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগানোরও কথা বলে তারা। ওই নাবালিকাকে অভিযুক্তরা ডেকে পাঠায় একটি জায়গায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পর দেখা যায় অভিযুক্তরা একটি খাদ খনন করে রেখেছে। গর্ভপাত না করালে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুই ভাই।

পুলিশ জানিয়েছে, নিজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বুঝতে পেরে এর পর নির্যাতিতা কোনও রকমে অভিযুক্তের হাত থেকে পালিয়ে আসে। গোটা ঘটনার কথা তার বাবাকে জানায়। মেয়ের মুখে পাশবিক অত্যাচারের কথা শুনে নির্যাতিতার বাবা কুজং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জেলা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়। পাশাপাশি দু জনকে গ্রেফতারও করেন তদন্তকারীরা।