এই দিনকাল: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) আর এক মাসও বাকি নেই। গত ৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করার পর রাজনীতির ময়দানে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। এই আবহে রবিবার চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় পৌঁছল ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ কথা জানিয়েছেন।
এনডিএ এর আসন সমঝোতার মধ্যে সামিল রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। লোক জনশক্তি পার্টি ২৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) আসন্ন নির্বাচনে ছয়টি করে আসনে লড়াই করবে। গত বছর হরিয়ানায় বিজেপিকে টানা তৃতীয় জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রধান। বিহারের নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই রাজনীতিবিদ বলেন, বিহারের এনডিএ জোটের সদস্যরা আসন বণ্টনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘এনডিএ জোটের সদস্যরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে। এনডিএ দলের সকল কর্মী এবং নেতারা এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিহার প্রস্তুত এবং আবারও এনডিএ সরকার তৈরি হবে।’
প্রধানের এই ঘোষণা আপাতত এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছিল তার অবসান ঘটিয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন এইচএএম এবং আরএলএম-এর মধ্যে আসন বণ্টন সংক্রান্ত সংঘাতের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। আরএলএম বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুমকি দিয়েছিল।
উল্লেখ্য, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু দফায় হবে নির্বাচন। আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফা এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর।
