এই দিনকাল: ভারত সফরে এসেছেন মিশরের বিদেশমন্ত্রী বদর আবদেলাত্তি (Egypt’s Foreign Minister Dr Badr Abdelatty)। শুক্রবার নয়াদিল্লিতে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। গাজায় শান্তি চুক্তিতে সহায়তা করার জন্য এদিন মিশরের প্রেসিডেন্ট আবদেল ফাত্তাহ আল-সিসির ভূমিকার প্রশংসা করেছেন মোদী।
দীর্ঘ দিন ধরে প্যালেস্টাইনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে সংঘাত চলেছে ইজরায়েলের। বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এর ফলে। অবশেষে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় হামাস ও ইজরায়েল যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়েছে। যদিও এই শান্তিচুক্তিতে উভয় পক্ষকে রাজি করানোর ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল মিশরের। এদিন তাই প্রধানমন্ত্রী মোদী যুদ্ধবিরতিতে মিশরের ‘গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা’ পালনের জন্য প্রেসিডেন্ট সিসিকে অভিনন্দন জানান। সেই সঙ্গে তিনি আশা প্রকাশ করেন, এই চুক্তি এই অঞ্চলে স্থায়ী শান্তি ও স্থিতিশীলতার পথ প্রশস্ত করবে। মিশরের বিদেশমন্ত্রী আবদেলাত্তি তাঁর সফরকালে অনুষ্ঠিত প্রথম ভারত-মিশর কৌশলগত আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী মোদীকে জানান।
ভারত-মিশর অংশীদারিত্বের মজবুতিকরণকে স্বাগত জানান মোদী। পাশাপাশি বাণিজ্য, প্রযুক্তি, জ্বালানি, প্রতিরক্ষা এবং দুই দেশের মানুষের মধ্যে সম্পর্ক-সহ সহযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রগুলিতে অগ্রগতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে এক্স হ্যান্ডেলে প্রধানমন্ত্রী মোদী লেখেন, ‘মিশরের বিদেশমন্ত্রী ডঃ বদর আবদেলাত্তিকে স্বাগত জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। গাজা শান্তি চুক্তিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার জন্য আমার বন্ধু প্রেসিডেন্ট সিসির প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। আমাদের জনগণ, আমাদের ভাগ করা অঞ্চল এবং মানবতার কল্যাণে ভারত-মিশর কৌশলগত অংশীদারিত্ব আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে।’
উল্লেখ্য, গত সপ্তাহে মিশরের শার্ম এল শেখে অনুষ্ঠিত হয় গাজা শান্তি সম্মেলন। এই সম্মেলনে যোগদানের জন্য মিশরের প্রেসিডেন্ট সিসি আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। যদিও মোদী ওই সম্মেলনে অংশ নেননি। তাঁর জায়গায় নয়াদিল্লির তরফে পাঠানো হয়েছিল প্রতিমন্ত্রী কীর্তি বর্ধন সিংকে। শান্তি সম্মেলনে আঞ্চলিক ও বিশ্ব নেতারা মিলিত হয়েছিলেন। উদ্দেশ্য ছিল, গাজায় কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা সংঘাতের পর ইজরায়েল ও হামাসের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর ও পর্যবেক্ষণের পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা।
