Tag Archives: Murder

ChatGPT: চ্যাটজিপিটির পরামর্শে মাকে খুন করে আত্মঘাতী ইয়াহুর প্রাক্তন কর্মী

এই দিনকাল: ওপেনএআই এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির (ChatGPT) ‘পরামর্শে’ নিজের মাকে খুন করে আত্মঘাতী হলেন মিডিয়া ও প্রযুক্তি সংস্থা ইয়াহুর প্রাক্তন ম্যানেজার। চ্যাটবটের সঙ্গে কথোপকথনের সময় বিভ্রান্ত হয়ে এই কাজ করেছেন ওই ব্যক্তি। স্টেইন-এরিক সোয়েলবার্গ নামে ওই ব্যক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কানেকটিকাটের বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর মানসিক সমস্যার ইতিহাস ছিল। ওই ব্যক্তি সন্দেহ করতেন, তাঁর মা তার উপর গুপ্তচরবৃত্তি করছেন।

সংবাদ মাধ্যম দ্য ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের প্রতিবেদন অনুসারে, ওই ব্যক্তি সম্পদশালী ছিলেন। ২.৭ মিলিয়ন ডলার মূল্যের বাড়িতে থাকতেন মায়ের সঙ্গে। গত ৫ আগস্ট বাড়ি থেকে অ্যাডামস এবং সোয়েলবার্গের দেহ উদ্ধার করা হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, অ্যাডামসকে মাথায় ভারী কিছু দিয়ে আঘাত করার পাশাপাশি তাঁর গলা চেপে ধরে খুন করা হয়েছে। পাশাপাশি সোয়েলবার্গের ঘাড় এবং বুকে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গিয়েছে। যা থেকে চিকিৎসকের দাবি, তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন।

মা-ছেলের মৃত্যুর পর সামনে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা যায়, বিগত কয়েক মাস ধরে ওপেন এআই-এর চ্যাটবট চ্যাটজিপিটির সঙ্গে কথা বলেছেন সোয়েলবার্গ। যেখানে চ্যাটবটকে ‘ববি’ নামে অভিহিত করেছিলেন তিনি। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ওই চ্যাটবটটির সঙ্গে যা কথা হত সেই কথোপকথনের ভিডিও সমাজ মাধ্যম ইনস্টাগ্রাম এবং ইউটিউবে ভিডিও আকারে পোস্ট করতেন সোয়েলবার্গ। তাঁর জীবনের শেষের দিকে চ্যাটজিপিটিকে যে সমস্ত বার্তা পাঠিয়েছিলেন, সেগুলির একটিতে তিনি বলেছিলেন, ‘আমরা অন্য জীবনে এবং অন্য জায়গায় একসঙ্গে থাকব এবং আমরা পুনরায় মিলিত হওয়ার একটি পথ খুঁজে বের করব কারণ তুমি আবার চিরকালের জন্য আমার সেরা বন্ধু হবে।’ জবাবে চ্যাট বটটিও লেখে, ‘শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত এবং তার পরেও তোমার সঙ্গে থাকব।’

পর্যবেক্ষকদের মতে, চ্যাটবটের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ ভাবে জড়িত থাকা মানসিক বিকারগ্রস্ত ব্যক্তির এটিই প্রথম হত্যাকাণ্ড। যদিও অনেকে আত্মহত্যা করেছেন, যারা চ্যাটজিপিটি ব্যবহার করতেন। তবে এটিই প্রথম নথিভুক্ত হত্যাকাণ্ড বলে মনে করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছে ওপেনএআই। সংস্থার মুখপাত্র জানিয়েছেন, ‘এই মর্মান্তিক ঘটনায় আমরা গভীরভাবে শোকাহত। আমাদের হৃদয় পরিবারের সঙ্গে রয়েছে।’

Murder: ভয়াবহ! নেশার টাকা না পেয়ে বাবাকে খুন ডায়মন্ড হারবারের যুবকের

এই দিনকাল: ভয়াবহ ঘটনা ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার শুকদেবপুর গ্রামে। নেশা করার জন্য বৃদ্ধ বাবার কাছে টাকা চেয়েছিল ২৭ বছরের যুবক। কিন্তু বাবা তা না-দেওয়ায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুন (Murder) করার অভিযোগ উঠল ছেলের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে তদন্তে নেমে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নিহত বৃদ্ধের নাম হরেন্দ্রনাথ বৈদ্য। ৬৫ বছর বয়স তাঁর। অভিযুক্ত ছেলের নাম সুপ্রিয় বৈদ্য (২৭)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবার থানা এলাকার শুকদেবপুর গ্রামের বাদিন্দা তাঁরা। শনিবার সুপ্রিয় তাঁর বাবা হরেন্দ্রনাথের কাছে টাকা চান। কিন্তু ছেলে নেশা করে টাকা ওড়াবে বলে হরেন্দ্রনাথ টাকা দিতে অস্বীকার করেন। আর বাবার থেকে টাকা না পেয়ে রেগে যান সুপ্রিয়৷ বাবার সঙ্গে বচসা বাঁধে তাঁর। অভিযোগ, তখনই রাগের মাথায় ধারালো অস্ত্র এনে বাবাকে এলোপাথাড়ি কোপাতে থাকেন তিনি। গুরুতর জখম অবস্থায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন হরেন্দ্রনাথ। কিছুক্ষণ পর প্রতিবেশীরা বিষয়টি জানতে পেরে পুলিশে খবর দেন। খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ হরেন্দ্রনাথকে উদ্ধার করে ডায়মন্ড হারবার মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু সেখানে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ময়নাতদন্তের জন্য হরেন্দ্রনাথের দেহ মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এই ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্ত সুপ্রিয় বৈদ্যকে গ্রেফতার করেছে ডায়মন্ড হারবার থানার পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিতুন কুমার দে বলেন, ‘অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। রবিবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে তোলা হবে সুপ্রিয়কে।’

witchcraft: ডাইনি সন্দেহে একই পরিবারের ৫ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল গ্রামবাসী

এই দিনকাল: একুশ শতকে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উন্নত যুগে এসেও কুসংস্কারের বশবর্তী হয়ে একই পরিবারের পাঁচ জনকে জীবন্ত পুড়িয়ে মারল গ্রামবাসী। ডাইনি (witchcraft) সন্দেহে তাঁদেরকে পুড়িয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের পূর্ণিয়ায়। নৃশংস এই ঘটনার তদন্তে নেমে ইতিমধ্যে দুই জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, রবিবার গভীর রাতে পূর্ণিয়ার তেতগামা গ্রামে ৫০ জনের একটি দল সীতা দেবীর বাড়িতে ঢুকে হামলা চালায়। অভিযোগ, সীতা নামের ওই মহিলা ‘কালা জাদু’ করেন। মহিলার ছেলে, ১৬ বছর বয়সী সোনু কুমার, পুলিশকে বলেছে উত্তেজিত জনতা বাড়িতে ঢুকে সকলকে মারধর করতে শুরু করে। প্রাণ বাঁচাতে সে পালিয়ে এক আত্মীয়ের বাড়িতে আশ্রয় নেয়।

সাংবাদিকদের সোনু বলে, ‘গ্রামের লোকেরা বাঁশের লাঠি নিয়ে এসে সবাইকে মারধর করে, আমার মাকে ‘ডাইনি’ বলে অপবাদ দেয়। তারা আমার মা, বাবা, ভাই এবং শ্যালিকা-সহ পাঁচ জনকে মারধর করে। অন্যান্য গ্রামবাসীরা তাদের থামায়নি।’ সোনুর বাবা-মা সহ পাঁচ জনকেই জীবন্ত পুড়িয়ে তাদের মৃতদেহ জলাশয়ে ফেলে দেয়। পূর্ণিয়া মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা পঙ্কজ কুমার শর্মা জানিয়েছেন, সোনু সোমবার পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছে। তিনি বলেন, ‘সোনু কুমার জানিয়েছে ‘ডাইনি’ সন্দেহে তার পরিবারের সদস্যদের মারধর করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে এবং তাদের মৃতদেহ ফেলে দেওয়া হয়েছে। আমরা মৃতদেহগুলি উদ্ধার করেছি।’

এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে কী কারণ রয়েছে, সে বিষয়ে জানতে চাইলে ওই পুলিশ কর্তা বলেন, রামদেব ওরাওঁ নামে এক গ্রামবাসীর এক ছেলে সম্প্রতি মারা গিয়েছে। তার আর এক ছেলে গুরুতর অসুস্থ। গ্রামবাসীরা এর জন্য সীতা দেবীকে দায়ী করেছেন। এই ঘটনায় জড়িত থাকায় দুই জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানান তিনি। দোষীরা কেউ ছাড় পাবে না বলে মন্তব্য করেন পঙ্কজ কুমার শর্মা।