Tag Archives: Mohua Moitra

Kasba Rape Case: ‘মহুয়াকে ঘৃণা করি’, সুর চড়ালেন কল্যাণ, কসবা ধর্ষণকাণ্ড ক্রমশ কোন্দল বাড়াচ্ছে তৃণমূলে

এই দিনকাল: কসবার ল কলেজে ছাত্রীকে ধর্ষণের (Kasba Rape Case) ঘটনায় সরব হচ্ছে বিরোধীরা। এই আবহে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব ক্রমশ বেআব্রু হয়ে পড়ছে এই ঘটনাকে কেন্দ্রে করে। তৃণমূল কংগ্রেসের শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় (Kalyan Banerjee) কৃষ্ণনগরের সাংসদ মহুয়া মৈত্রকে (Mohua Moitra) ‘ঘৃণা করি’ বলে মন্তব্য করলেন। যা নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে শুরু হয়েছে চর্চা।

কী নিয়ে দ্বন্দ্ব তৃণমূলের দুই সাংসদের মধ্যে?

গত ২৫ জুন কসবার সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করা হয়। এই ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে যারা ধরা পড়েছে সেই তিন অভিযুক্তই তৃণমূলের ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এননকি নির্যাতিতা তরুণীও শাসকদলের ছাত্র সংগঠনের কর্মী। ২৬ জুন নির্যাতিতা তরুণী অভিযোগ জানানোর পর ঘটনার কথা প্রকাশ্যে আসে। বিরোধীরা শাসকদলকে নিশানা করতে শুরু করে। সেই আবহে ২৮ জুন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিতর্কিত মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, ‘একজন বন্ধু যদি বান্ধবীকে ধর্ষণ করে, তবে নিরাপত্তা কী ভাবে দেবে।’ কল্যাণের এই মন্তব্যের পর দল দূরত্ব বাড়ায়। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে নতুন করে বিতর্ক তৈরি করেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র। তিনি বলেন, ‘মেয়েটি যদি ওখানে না যেত তাহলে এরকম ঘটনা ঘটত না। গেছিল যখন অন্তত কয়েকজন বন্ধুকে বলে বা সঙ্গে করে নিয়ে যেতে পারত। তাহলে এমন হত না। অভিযুক্তরা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়েছে।’

কল্যাণ এবং মদনের বক্তব্য জোড়াফুল শিবির সমর্থন করে না বলে স্পষ্ট জানানো হয়েছে বিবৃতি দিয়ে। শনিবার তৃণমূল কংগ্রেসের তরফে সমাজ মাধ্যমে প্রকাশ করা বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘সাউথ ক্যালকাটা ল’ কলেজে ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনা প্রসঙ্গে সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিধায়ক মদন মিত্র যে মন্তব্য করেছেন, তা তাঁদের ব্যক্তিগত মতামত। দল তাঁদের বক্তব্যের সঙ্গে কোনোভাবেই একমত নয় এবং এই মন্তব্যগুলিকে কড়াভাবে নিন্দা করছে। এই ধরনের বক্তব্য কোনওভাবেই দলের অবস্থানকে প্রতিফলিত করে না। আমাদের অবস্থান স্পষ্ট—মহিলাদের ওপর অপরাধের ক্ষেত্রে বরাবরই জিরো টলারেন্স নীতি অনুসরণ করা হয়েছে এবং ভবিষ্যতেও করা হবে। যারা এই নৃশংস ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে যেন কঠোরতম শাস্তির ব্যবস্থা করা হয়।’

দলের এই বিবৃতি নিজের এক্স হ্যান্ডেলে শেয়ার করেছিলেন মহুয়া। সেই সঙ্গে তিনি লেখেন, ‘ভারতে নারীবিদ্বেষ দলের গণ্ডিতে আটকে নেই। কিন্তু তৃণমূলকে অন্যদের থেকে আলাদা করে একটাই বিষয়, আমরা এই ধরনের বিরক্তিকর মন্তব্যের প্রতিবাদ করি, তা সে যে-ই করুন না কেন।’ আর এর পরেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে কল্যাণ জানান তিনি মহুয়াকে ঘৃণা করেন তবে তিনি নারী বিদ্বেষী নন।