Tag Archives: India

Operation Sindoor:‘অপারেশন সিঁদুরের’ পরেও জম্মুকাশ্মীরে জঙ্গি অনুপ্রবেশের চেষ্টা অব্যাহত

এই দিনকাল:গত মে মাসে ‘অপারেশন সিঁদুর’ (Operation Sindoor) অভিযান চালিয়ে সীমান্ত পেরিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে একাধিক সন্ত্রাসী কাঠামো ধ্বংস করেছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। তা সত্ত্বেও পাকিস্তান থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ বন্ধ হয়নি। বরং, নিরাপত্তা সংস্থাগুলি জানিয়েছে, সাম্প্রতিক কালে এই অনুপ্রবেশের চেষ্টা বৃদ্ধি পেয়েছে।

গোয়েন্দাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, সন্দেহ করা হচ্ছে গত চার মাসে ৭০ থেকে ৮০ জন জঙ্গি ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছে। উত্তর কাশ্মীরের উরি, কুপওয়ারা, গুরেজ এবং জম্মু বিভাগের সাম্বার হীরানগর এবং সুন্দরবানীতে ঐতিহ্যবাহী রুট দিয়ে এই অনুপ্রবেশ ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। এমনকি সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদীও এ কথা মেনে নিয়েছেন গত সপ্তাহে। তিনি বলেছিলেন, ‘জম্মু ও কাশ্মীরে নিয়ন্র্ওণ রেখা বরাবর অনুপ্রবেশের চেষ্টায় কোনও বিরাম নেই। জঙ্গিঘাঁটিতে হামলা সত্ত্বেও, অনুপ্রবেশের চেষ্টা এখনও অব্যাহত।’ অনুপ্রবেশের এই বৃদ্ধির পিছনে পাকিস্তানের হাত রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। ভারতের অভ্যন্তরে সন্ত্রাসী কাজকর্ম জারি রাখার জন্য ইসলামাবাদ জঙ্গিদের ভারতের ভূখণ্ডে ঠেলে দিচ্ছে। উল্লেখ্য, পহেলগাঁও কাণ্ডের পর সতর্কতার সঙ্গে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালাচ্ছে ভারতের বাহিনী। সে কারণে উপত্যকায় জঙ্গি শিবিরে নিয়োগের হার কমে গিয়েছে।

শীতের মাসগুলিতে ভারী তুষারপাতের ফলে উঁচু পাহাড়ি পথ বন্ধ হয়ে যায় এবং চলাচলে ব্যাঘাত ঘটে। ফলে শীত শুরু হওয়ার আগেই জঙ্গিরা অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে। নিরাপত্তা সংস্থাগুলির মতে, এটি জম্মুকাশ্মীরের অভ্যন্তরে জঙ্গিদের সংখ্যা বৃদ্ধির জন্য একটি মরসুমি প্রচেষ্টার অংশ। নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং আন্তর্জাতিক সীমান্তে অনুপ্রবেশ রুখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় টহলদারিও বাড়ানো হয়েছে।

Modi government: বাংলাদেশ, পাকিস্তান, আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিমদের জন্য বড় ঘোষণা মোদী সরকারের

এই দিনকাল: ধর্মীয় নিপীড়নের শিকার হয়ে বা ধর্মীয় নিপীড়নের ভয়ে বাংলাদেশ, পাকিস্তান এবং আফগানিস্তান থেকে ভারতে আসা অমুসলিম ব্যক্তিদের জন্য বড় ঘোষণা করল কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার (Modi government)।এই তিন দেশ থেকে হিন্দু, শিখ, বৌদ্ধ, জৈন, পার্সি এবং খ্রিস্টান যারা ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে উপরোক্ত কারণে ভারতে এসেছেন তাঁদেরকে কেন্দ্রীয় সরকার তাড়িয়ে দেবে না। বৈধ নথি না থাকলেও তাঁরা শরণার্থীর মর্যাদা পাবেন এ দেশে।

সোমবার অর্থাৎ ১ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ৪ এপ্রিল কার্যকর হওয়া অভিবাসন এবং বিদেশি আইনের ৩৩ ধারা অনুযায়ী এই বিজ্ঞপ্তি। উল্লেখ্য, বর্তমানে বিজেপি শাসিত বিভিন্ন রাজ্যে বাঙালি পরিযায়ী শ্রমিকদের উপর নিপীড়ন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সামনে আসছে। শুধু তাই নয় জোর করে তাঁদের মধ্যে কাউকে কাউকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানো হয়েছে। বস্তুত হিন্দু মুসলমান নির্বিশেষে বিজেপি সরকারের নিশানায় পড়েছেন বাঙালিরা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, আগামী বছর যেহেতু অসম এবং পশ্চিমবঙ্গে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে উদ্বাস্তু বাঙালি হিন্দুদের মধ্যে বিজেপি শাসিত রাজ্যে ‘বাঙালি হেনস্থা’ নিয়ে যে উদ্বেগ ও আতঙ্ক তৈরি হয়েছে তা দূর করার চেষ্টা করছে মোদী সরকার। তাঁদেরকে যে ভারত থেকে তাড়িয়ে দেওয়া হবে না সেই আশ্বাস দিতে এই বিজ্ঞপ্তি। ভোটকে সামনে রেখে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হলেও আদতে কার্যক্ষেত্রে কতটা সহায়ক হয় তা দেখার। 

অন্য দিকে এই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর কেন্দ্রীয় সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিজেপি নেরা শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদার।

Amir Shaikh: ভুল হয়েছিল! বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়া সেই বাঙালি যুবক আমিরকে দেশে ফেরাল মোদী সরকার 

এই দিনকাল: আদতে পশ্চিমবঙ্গের মালদহের বাসিন্দা আমির শেখকে (Amir Shaikh) রাজস্থান থেকে গ্রেফতার করে বাংলাদেশে পাঠিয় দিয়েছিল পুলিশ ও বিএসএফ। অবশেষে নিজেদের ভুল মেনে নিয়ে ওই যুবককে ভারতে ফেরত নিয়ে এল কেন্দ্রীয় সরকার৷ আমিরকে দেশে ফেরানোর খবর মঙ্গলবার জানিয়েছেন মালদহ দক্ষিণ কেন্দ্রের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী৷

মালদহের কালিয়াচকের জালালপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের নারায়ণপুর গ্রামের বাসিন্দা আমির শেখ। ২১ বছর বয়স তাঁর৷ গত ২৫ জুলাই সমাজ মাধ্যমে একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হয়৷ সেখানে আমির শেখ দাবি করেন, তিনি বর্তমানে বাংলাদেশে। বিএসএফ তাঁকে সে দেশে ঠেলে পাঠিয়েছে। প্রকৃত পক্ষে আমির পরিযায়ী শ্রমিক। মাস দুয়েক আগে তিনি নির্মাণ শ্রমিক হিসাবে রাজস্থানের ভিলওয়াড়ায় কাজে যান৷ এলাকার কয়েক জনের সঙ্গে তিনি ভিন রাজ্যে কাজে গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখানে স্থানীয় থানার পুলিশ তাঁর ভারতীয় নাগরিকত্ব নিয়ে প্রশ্ন তোলে। শুধু তাই নয় পরিচয় জানতে চায়। অভিযোগ, সেই সময় আমির শেখ তাঁর কাছে থাকা আধার ও ভোটার কার্ড দেখায়। কিন্তু তাতেও পুলিশ সন্তুষ্ট হয়নি৷ তাঁকে বাংলাদেশি তকমা দিয়ে থানায় দু তিন দিন আটকে রাখা হয়। পরে আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়৷ অভিযোগ, এর পর তাঁকে বিএসএফ এর হাতে তুলে দেয় রাজস্থান পুলিশ। সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা কাঁটাতারের বেড়ার ওপারে তাঁকে পে লোডারে চাপিয়ে ফেলে দেয়। তার পর থেকেই বাংলাদেশে ছিলেন আমির।

অন্য দিকে পশ্চিমবঙ্গের ভূমিপুত্র বাঙালি আমিরকে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দেওয়ায় সরব হয় বিভিন্ন ব্যক্তি এবং সংগঠন। বাংলা পক্ষের নেতা গর্গ চট্টোপাধ্যায় আমিরের বাড়িতে গিয়ে তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলেন। পাশাপাশি তিনি গোটা ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন। বিষয়টি নিয়ে তৎপরতা শুরু করেন মালদহ দক্ষিণের সাংসদ ইশা খান চৌধুরী৷ তিনি বিএসএফ-এর ডিরেক্টর জেনারেল দলজিৎ সিং চৌধুরীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে গোটা বিষয়টি জানান৷ আমিরকে দ্রুত দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য লিখিত ভাবে বিএসএফ-এর শীর্ষকর্তার কাছে আবেদন করেন। বিষয়টি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নজরেও আনেন ইশা। শাহের পরামর্শে ৬ আগস্ট তিনি দেখা করেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব গোবিন্দ মোহনের সঙ্গে৷ তিনি সাংসদকে আশ্বস্ত করেন আমিরকে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে। এদিন ইশা খান বলেন, ‘আমিরকে বাংলাদেশের একটি থানা থেকে ভারতে ফিরিয়ে আনা হয়েছে৷ সম্ভবত আজই তাঁকে বিএসএফ ছেড়ে দেবে৷’

India-Pakistan conflict: ভারত-পাক সংঘাত থামাতে ট্রাম্প মধ্যস্থতা করেছেন, ফের দাবি ওয়াশিংটনের

এই দিনকাল: তাঁর মধ্যস্ততায় ভারত-পাকিস্তান সংঘাত (India-Pakistan conflict) বন্ধ হয়েছিল বলে আগে একাধিক বার দাবি করেছেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এ বার সেই একই দাবি করলেন মার্কিন বিদেশ মন্ত্রী মার্কো রুবিও। তাঁর দাবি, ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা কমাতে এবং সংঘাত থামাতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ভূমিকা নিয়েছিল। তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প দুই পারমাণু শক্তিধর দেশের মধ্যে সংঘর্ষ থামিয়েছিলেন।

বৃহস্পতিবার এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন রুবিও। সেখানে তিনি বলেন, শান্তি রক্ষার ক্ষেত্রে ট্রাম্প অঙ্গীকারবদ্ধ। আর ‘সে কারণে আমরা দেখেছি যখন ভারত ও পাকিস্তান যুদ্ধে সামিল হল, আমরা সরাসরি সংঘাত বন্ধ করতে সামিল হয়েছি এবং প্রেসিডেন্ট সেই শান্তি নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন’, তিনি বলেন। তবে নয়াদিল্লির তরফে ওয়াশিংটনের এই দাবিকে আগেই প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে। ভারত ও পাকিস্তানের সামরিক বাহিনীর মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে যুদ্ধ বন্ধ হয়েছে বলে ভারতের দাবি। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় ভারত-পাক সংঘাত বন্ধ হয়নি বলে সাফ জানিয়েছে নয়াদিল্লি।

উল্লেখ্য, গত ২২ এপ্রিল জম্মুকাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে নারকীয় হত্যাকাণ্ড চলে। জঙ্গিরা বেছে বেছে পর্যটকদের খুন করে। যে হামলায় ২৬ জনের মৃত্যু হয়। এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রথমে দায় স্বীকার করেছিল লস্কর ই তৈবার ছায়া সংগঠন টিআরএফ। যদিও পরে ওই জঙ্গিগোষ্ঠী দায় অস্বীকার করে। ভারতের তরফে অভিযোগ করা হয়, এই গোটা ঘটনায় পাকিস্তানের হাত ছিল। সে কারণে গত ৭ মে ভারতের সেনাবাহিনী অপারেশন সিঁদুর অভিযান চালিয়ে পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে নয়টি জায়গায় জঙ্গিঘাঁটি ধ্বংস করে দেয়। তার পর থেকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সামরিক সংঘাত শুরু হয়। চার দিনের মাথায় ১০ মে দুই দেশ সংঘর্ষ বন্ধ করতে রাজি হয়।

Kidnapped: মালিতে আল-কায়েদা ঘনিষ্ঠ জঙ্গিগোষ্ঠীর হামলার মাঝে অপহৃত ৩ ভারতীয়

এই দিনকাল: পশ্চিম আফ্রিকার দেশ মালিতে তিন ভারতীয়কে অপহরণ (Kidnapped) করা হয়েছে। এই ঘটনায় বুধবার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ভারত। অপহৃতদের ‘নিরাপদ এবং দ্রুত’ মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য এদিন নয়াদিল্লির তরফে মালি সরকারের কাছে আহ্বান জানানো হয়েছে।

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, যে তিন ভারতীয়কে অপহরণ করা হয়েছে, তাঁরা কায়েসের ডায়মন্ড সিমেন্ট কারখানায় কর্মরত ছিলেন। ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ঘটনাটি ঘটেছে ১ জুলাই। একদল সশস্ত্র হামলাকারী কারখানা প্রাঙ্গণে আক্রমণ চালায় এবং তিন জন ভারতীয় নাগরিককে জোর করে জিম্মি করে। এখনও পর্যন্ত কেউ অপহরণের দায় স্বীকার করেনি। তবে আল-কায়েদার সহযোগী জামাত নুসরাত আল-ইসলাম ওয়াল-মুসলিমিন (জেএনআইএম) মঙ্গলবার মালিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, বামাকোতে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাস সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ, স্থানীয় প্রশাসন এবং ডায়মন্ড সিমেন্ট কারখানার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিবিড় এবং ধারাবাহিক ভাবে যোগাযোগ রাখছে। পাশাপাশি অপহৃতদের পরিবারের সঙ্গেও যোগাযোগ রাখছে বিদেশ মন্ত্রক।

একটি বিবৃতিতে বিদেশ মন্ত্রক বলেছে, ‘ভারত সরকার দ্ব্যর্থহীনভাবে এই নিন্দনীয় সহিংসতার নিন্দা জানায় এবং মালি প্রজাতন্ত্রের সরকারকে অপহৃত ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদ এবং দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানায়।’ বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘মন্ত্রকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং ভারতীয় নাগরিকদের নিরাপদ এবং দ্রুত মুক্তি নিশ্চিত করার জন্য বিভিন্ন স্তরে নিয়োজিত রয়েছেন।’

ভারতে অতি দারিদ্র্যের হার ২৭.১% থেকে কমে ৫.৩% হয়েছে: রিপোর্ট

এই দিনকাল: দেশে অতি দারিদ্র‍্যের হার উল্লেখযোগ্য ভাবে কমেছে বলে রিপোর্টে দাবি। ২০১১-১২ সালে ভারতে অতি দারিদ্যের হার ছিল ২৭.১%। ২০২২-২৩ সালে যা কমে হয়েছে ৫.৩% হয়েছে। বিশ্বব্যাঙ্কের রিপোর্টে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

২০২২-২৩ সালে ভারতে প্রায় ৭৫.২৪ মিলিয়ন মানুষ অতি দারিদ্র‍্য সীমার মধ্যে বসবাস করতেন। ২০১১-১২ সালে যে সংখ্যাটা ছিল ৩৪৪.৪৭ মিলিয়ন। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুসারে, গত ১১ বছরে প্রায় ২৬৯ মিলিয়ন ব্যক্তিকে চরম দারিদ্র্য থেকে মুক্ত করা হয়েছে। ২০১১-১২ সালে ভারতের অতি দরিদ্র জনগোষ্ঠীর ৬৫ শতাংশ ছিল উত্তর প্রদেশ, মহারাষ্ট্র, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ এবং মধ্যপ্রদেশে। ২০২২-২৩ সাল নাগাদ এই সমস্ত রাজ্যগুলিতে অতি দারিদ্র‍্যের হার কমেছে। বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য অনুযায়ী, ‘সামগ্রিক ভাবে অতি দারিদ্র্যের মধ্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যা ৩৪৪.৪৭ মিলিয়ন থেকে কমে মাত্র ৭৫.২৪ মিলিয়নে দাঁড়িয়েছে।’

উল্লেখ্য, চলতি মাসেই তৃতীয় মোদী সরকারের প্রথম বর্ষপূর্তি। তার আগেই বিশ্বব্যাঙ্কের এই রিপোর্টে উচ্ছ্বসিত বিজেপি। গেরুয়া শিবির এই রিপোর্টকে ঢাল করে নরেন্দ্র মোদী সরকারের কৃতিত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করতে পারে। দেশে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, প্রধানমন্ত্রী উজ্জ্বলা যোজনা, জন ধন যোজনা এবং আয়ুষ্মান ভারত এর মতো উদ্যোগগুলি আবাসন, রান্নার জ্বালানি, ব্যাঙ্কিং এবং স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে সাধারণ মানুষের সুযোগ বৃদ্ধি করেছে।