Tag Archives: IIM Calcutta Case

IIM-Calcutta: আইআইএম-এ ধর্ষণকাণ্ডে অন্তর্বর্তী জামিন পেল অভিযুক্ত

এই দিনকাল: ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট-কলকাতার (IIM-Calcutta) ক্যাম্পাসে এক মনোবিদকে ধর্ষণের ঘটনায় অন্তর্বর্তীকালীন জামিন পেল অভিযুক্ত ছাত্র। শনিবার আলিপুর কোর্ট অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করেছে।

আলিপুর আদালতের অ্যাডিশনাল চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অভিযুক্ত ছাত্রকে ৫০,০০০ টাকার বন্ডে জামিন মঞ্জুর করেছেন। পাশাপাশি অভিযুক্তকে পাসপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। রাজ্যের অনুমতি ছাড়া রাজ্য ছেড়ে না যাওয়ারও নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। উল্লেখ্য, ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিস্ট ওই মহিলা এফআইআরে অভিযোগ করেছেন, অভিযুক্ত ছাত্র তাঁকে কাউন্সেলিং এর জন্য হোস্টেলে ডেকেছিলেন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে তিনি হস্টেলে এসেছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, সেখানে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়।

সরকারি আইনজীবী এদিন জুডিশিয়াল রিমান্ডের জন্য আবেদন করেন। আদালতে তিনি যুক্তি দেন, প্রাথমিক পর্যায়ে অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া হলে মামলার তদন্ত বিঘ্নিত হবে। প্রসঙ্গত, গত ১১ জুলাই হরিদেবপুর থানায় মহিলার দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। তখন থেকেই লি পড়ুয়া পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। এদিন অভিযুক্তের জামিনের আবেদন করে তার আইনজীবী আদালতে বলেন, অভিযোগকারী তার বয়ান রেকর্ড করার জন্য ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থিত হননি। শুধু তাই নয়, অভিযোগকারীর মেডিকো-লিগ্যাল পরীক্ষা করা হয়নি বলে তিনি আদালতে জানান।

IIM Calcutta case: ‘ধর্ষণের’ অভিযোগ করছেন তরুণী, বাবা বলছেন দুর্ঘটনা! নাটকীয় মোড় আইআইএম-কাণ্ডে

এই দিনকাল: জোকা আইআইএম-এ (IIM Calcutta case) ‘ধর্ষণকাণ্ডে’ নাটকীয় মোড়! শুক্রবার সন্ধ্যায় পেশায় মনোবিদ এক তরুণী ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেছেন পুলিশের কাছে। তবে তার ২৪ ঘন্টার মধ্যে ভিন্ন সুর ‘নির্যাতিতা’র বাবার। তরুণীর বাবা শনিবার সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবি করেছেন ধর্ষণের কোনও ঘটনাই ঘটেনি! তাঁর দাবি, মেয়েকে চাপ দিয়ে অভিযোগ লেখানো হয়েছে। আর এর পর থেকে এই ঘটনায় উঠে আসছে একাধিক প্রশ্ন। কে চাপ দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ লেখাল? কোন উদ্দেশ্যে এমন গুরুতর অভিযোগ আনা হল? যদিও এসবের কোনও জবাব তরুণীর বাবা দেননি।

পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণীর অভিযোগের পর এমবিএ দ্বিতীয় বর্ষের এক ছাত্রকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির বয়েজ হোস্টেলের ভেতরে তাঁকে ধর্ষণ করা হয়েছে। পেশায় মনোবিদ ওই তরুণী শুক্রবার সন্ধ্যায় হরিদেবপুর থানায় গিয়ে হাতে লিখে একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। তাঁর অভিযোগ, ওই দিন দুপুরে খাবারের সময় তাঁকে পিৎজা এবং জল দেওয়া হয়েছিল এবং সেগুলি খাওয়ার পরপরই তিনি অসুস্থ বোধ করেন।অভিযোগকারীর দাবি, তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন এবং ঘুম থেকে ওঠার পর বুঝতে পারেন যে তাঁকে ধর্ষণ ও নির্যাতন করা হয়েছে।

তরুণীর অভিযোগের পর, কলকাতা পুলিশ কর্ণাটকের বাসিন্দা অভিযুক্ত ছাত্রের বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪ (ধর্ষণ) এবং ১২৩ (মাদকদ্রব্য বা বিষ প্রয়োগ) এর অধীনে এফআইআর দায়ের করে তাকে গ্রেফতার করেছে। শনিবার বিকেলে এই ঘটনায় নয়া মোড় নেয় তরুণীর বাবার মন্তব্যের পর। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, ‘নির্যাতিতা’র বাবা তাঁর মেয়ের করা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, কেউ তরুণীর সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেনি, কোনও যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেনি। এমনকি ওই তরুণী অভিযুক্ত ছাত্রকে চেনেন না। তিনি বলেন, ‘সে সম্পূর্ণ সুস্থ রয়েছে এবং এখন ঘুমাচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার রাত ৯টা ৩৪ নাগাদ তিনি একটি ফোন পান যেখানে তাঁকে জানানো হয় যে তাঁর মেয়ে একটি অটো থেকে পড়ে অজ্ঞান হয়ে গেছেন। পরে এসএসকেএম হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগে যান ‘নির্যাতিতার’ বাবা। সেখানে পুলিশ তরুণীকে নিয়ে গিয়েছিল।

অন্য দিকে কলকাতা পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, ‘নির্যাতিতা’ তরুণীর লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, তরুণী প্রথমে ঠাকুরপুকুর থানায় ঘটনাটি জানাতে যান। কিন্তু আইআইএম কলকাতা ক্যাম্পাস হরিদেবপুর থানার অধীনে পড়ে। তাই এক জন মহিলা অফিসার-সহ পুলিশ তাঁকে সেখানে নিয়ে যান। এর পর তরুণী নিজেই হাতে লিখে অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু শনিবার নির্যাতিতার বাবার প্রকাশ্য বিবৃতির পর গোটা ঘটনা অন্য দিকে বাঁক নিয়েছে। তরুণীর বাবার বক্তব্য খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।

এদিকে, অভিযুক্তকে আলিপুর আদালতে হাজির করা হলে তাকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।