Tag Archives: History

RSS: ছোটদের মনে ‘হিন্দুত্ববাদী’ চেতনার চাষ? দিল্লির স্কুলে পড়ানো হবে আরএসএস-এর ইতিহাস

এই দিনকাল: ছোট ছোট পড়ুয়াদের মনে এ বার গেরুয়া ইতিহাসের থাবা! দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে পড়ানো হবে আরএসএস (RSS) এর কাজকর্ম ও ইতিহাস। ‘হিন্দু বীর’ হিসেবে পরিচিত শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় এবং বীর সাভারকরদের সম্পর্কে পাঠদান করা হবে। শেখানো হবে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের জীবনীও।

মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষামন্ত্রী আশীষ সুদ জানিয়েছেন, ‘শিক্ষার্থীদের মধ্যে নাগরিক ও সামাজিক চেতনা জাগ্রত করার জন্য এবং মৌলিক কর্তব্যগুলিকে কেন্দ্রবিন্দুতে আনার জন্য ‘রাষ্ট্রনীতি’ কর্মসূচির আওতায় আরএসএস-এর অধ্যায় যুক্ত করা হচ্ছে।’ কোর্সের অংশ হিসেবে, পড়ুয়াদের শিখতে হবে আরএসএসের উৎপত্তি ও ইতিহাস; এর মতাদর্শ। যদিও ইতিমধ্যে বিরোধীরা সরব হয়েছে, শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করা হচ্ছে বলে। যদিও প্রশাসনের দাবি, প্রথম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়াদের মধ্যে নাগরিক সচেতনতা, নীতিশাস্ত্র পরিচালনা এবং জাতীয় গর্ব প্রচারের জন্য অধ্যায়টি তৈরি করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ১৯২৫ সালে মহারাষ্ট্রের নাগপুরে কেশব বলিরাম হেডগেওয়ার আরএসএসের প্রতিষ্ঠা করেন। সঙ্ঘের সেই ইতিহাস তুলে ধরা হবে। বিজেপির ‘মেন্টর’ আরএসএস এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ভারতের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যুক্ত ছিলেন প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীও। তাঁদের কথাও থাকবে পাঠ্যসূচিতে। এক আধিকারিক এই বিষয়ে বলেন, সঙ্ঘের সম্পর্কে অনেকের মনে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে, তা দূর করতে এই পদক্ষেপ।

History: ইতিহাস রক্ষায় বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের আয়োজন

এই দিনকাল: বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের উদ্যোগে রবিবার কলকাতার আশুতোষ মুখার্জি মেমোরিয়াল ইনস্টিটিউটে অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘কৃষ্ণকালী মণ্ডল স্মারক বক্তৃতা’। এটি ছিল সংস্থার দ্বিতীয় বর্ষের আলোচনা। বিষয় ছিল, ‘বাংলার ইসলামি স্থাপত্যে সমন্বয়ী ধারা: সুলতানি থেকে ঔপনিবেশিক পর্ব’। এদিনের অনুষ্ঠানে প্রকাশিত হয়, রঙ্গনকান্তি জানা লিখিত  ‘পুরাকীর্তির আলোকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানবসংস্কৃতির ধারা’ নামক একটি স্মারক গ্রন্থ। প্রকাশিত হয় তথাগত সেন ও রাজীব বনু সম্পাদিত গবেষণামূলক পুরাতত্ত্ব বিষয়ক পত্রিকা ‘রক্তমৃত্তিকা’র তৃতীয় বর্ষের প্রথম সংখ্যা।

বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ভাবে ইতিহাস বিকৃত করার অভিযোগ ওঠে। বাদ যায় না আঞ্চলিক ইতিহাসও। তবে পুরাতত্ত্ববিদ কৃষ্ণকালী মণ্ডল ছিলেন এই বিষয়ে ভীষণ সচেতন। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব চর্চার অন্যতম পথিকৃৎ ছিলেন তিনি। তাঁর পথ অনুসরণ করে চলেছে বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্র। 

রবিবার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন অধ্যাপক রূপেন্দ্রকুমার চট্টোপাধ্যায়। প্রধান বক্তা ছিলেন ইন্দ্রজিৎ চৌধুরী। উপস্থিত শ্রোতাদের জন্য ছিল বিশেষ প্রশ্নোত্তর পর্বও। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন ইতিহাস ও পুরাতত্ত্ব প্রেমী বেশ কিছু মানুষ, তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন শ্রী অনুপ মতিলাল, শ্রী গৌতম বসুমল্লিক, শ্রী অমিতাভ কারকুন, শ্রী সুতনু ঘোষ, প্রমুখ। অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক তথাগত সেন ও সম্পাদক রাজীব বনু জানান, বাংলার পুরাতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের এবারের আয়োজন সফল। এবার থেকে বিশেষ জোর দেওয়া হবে রাজ্যের বিভিন্ন জেলার পুরাতত্ত্বে।