Tag Archives: Congress

RSS: ‘আরএসএস, সঙ্ঘ পরিবার থেকে সতর্ক থাকুন’, জনগণকে বার্তা কংগ্রেস শাসিত কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর

এই দিনকাল: আরএসএস (RSS) ও সঙ্ঘ পরিবার (Sangh Parivar) থেকে মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিলেন কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া (Karnataka Chief Minister Siddaramaiah)। পাশাপাশি তিনি সাধারণ মানুষকে ‘সনাতনীদের’ সঙ্গ এড়িয়ে চলার আর্জি জানিয়েছেন। উগ্র হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠীকে নিশানা করে সিদ্দারামাইয়া বলেন, আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার ঐতিহাসিকভাবে বিআর আম্বেদকর এবং তাঁর তৈরি করা সংবিধানের বিরোধিতা করেছেন।

শনিবার মাইসোর বিশ্ববিদ্যালয়ের রজতজয়ন্তী উদযাপনের সূচনা করেন সিদ্দারামাইয়া। সেই অনুষ্ঠানে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘সঠিক ব্যক্তির সঙ্গে থাকুন। যারা সমাজের পক্ষে দাঁড়ান তাদের সঙ্গে যুক্ত হোন, যারা সমাজ পরিবর্তনের বিরোধিতা করেন তাদের সঙ্গে বা ‘সনাতনীদের’ সঙ্গে নয়।’

সুপ্রিম কোর্টে ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাই এর দিকে জুতো ছোঁড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘একজন ‘সনাতনীর’ প্রধান বিচারপতির দিকে জুতো ছোঁড়া প্রমাণ করে যে ‘সনাতনীরা’ এবং গোঁড়া মানুষজন এখনও সমাজে রয়েছে। কেবল দলিতরা নয়, সকলের নিন্দা করা উচিত এই কাজের। তখনই আমরা বলতে পারি যে সমাজ পরিবর্তনের পথে এগিয়ে চলেছে।’

মানুষকে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, আরএসএস এবং সঙ্ঘ পরিবার আম্বেদকরের সংবিধানের বিরোধিতা করেছিল এবং এখনও করছে।তিনি আরও বলেন, আম্বেদকর এক জন দূরদর্শী ব্যক্তি ছিলেন, যিনি জ্ঞানকে সামাজিক রূপান্তরের জন্য ব্যবহার করেছিলেন। কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘আম্বেদকর সমাজকে বোঝার জন্য জ্ঞান অর্জন করেছিলেন এবং সারা জীবন সমাজ পরিবর্তনের জন্য তা ব্যবহার করেছিলেন।’

বিজেপি এবং সঙ্ঘ পরিবারকে বিঁধে তিনি বলেন, আম্বেদকরের নামে তারা মিথ্যা প্রচারণা চালায়। সিদ্দারামাইয়া অভিযোগ করেন, ‘বিজেপি সঙ্ঘ পরিবার মিথ্যা প্রচার করছে যে কংগ্রেস নির্বাচনে আম্বেদকরকে পরাজিত করেছে। কিন্তু সত্য হল আম্বেদকর নিজেই নিজের হাতে লিখেছিলেন ‘সাভারকর এবং ডাঙ্গে আমাকে পরাজিত করেছেন।’ সঙ্ঘ পরিবারের মিথ্যাচার প্রকাশ করার জন্য এই ধরনের সত্য সমাজের সামনে তুলে ধরতে হবে।’

আম্বেদকর স্কুল অফ ইকোনমিক্স সম্পর্কে বলতে গিয়ে সিদ্দারামাইয়া বলেন, ‘আমি এটি প্রতিষ্ঠা করেছি যাতে যারা আম্বেদকরকে নিয়ে পড়াশোনা করে তারা তাঁর পথে চলতে পারে। আম্বেদকর অতুলনীয়। আর এক জন আম্বেদকর কখনও জন্মগ্রহণ করবেন না, তবে প্রত্যেকেরই তাঁর আদর্শ অনুসরণ করা উচিত এবং তাঁর পদাঙ্ক অনুসরণ করা উচিত।’ দেশের মানুষের প্রতি আম্বেদকরের অবদানের প্রশংসা করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি বিশ্বের সকল সংবিধান অধ্যয়ন ও আত্মস্থ করেছেন এবং ভারতকে সমাজের জন্য উপযুক্ত সেরা সংবিধান দিয়েছেন।’ বুদ্ধ, বাসব (১২ শতকের সমাজ সংস্কারক) এবং আম্বেদকরের চিন্তাভাবনায় তিনি বিশ্বাসী বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর আরও সংযোজন, ‘তাই আমি আশা করি যুক্তিবাদ এবং বিজ্ঞান ভিত্তিক চিন্তাভাবনা বৃদ্ধি পাবে। বিজ্ঞান অধ্যয়ন করেও অন্ধ বিশ্বাস অনুশীলনকারী ব্যক্তি হবেন না।’

Mallikarjun Kharge: ‘দলিত ও আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি সংবিধানের জন্য হুমকি’, আরএসএস-বিজেপিকে বিঁধে বললেন খাড়গে

এই দিনকাল: দেশে মহিলা, দলিত, আদিবাসীদের উপর অত্যাচার বৃদ্ধির জন্য বিজেপি (BJP) ও সঙ্ঘপরিবারকে নিশানা করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। শুক্রবার নিজের এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেস নেতা বিজেপি এবং দলটির মেন্টর রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘকে তীব্র সমালোচনা করেছেন।

ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ডস ব্যুরোর ২০১৩ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত তথ্য উল্লেখ করে খাড়গে লেখেন, দলিতদের বিরুদ্ধে অপরাধ ৪৬% বৃদ্ধি পেয়েছে। যেখানে একই সময়ে আদিবাসীদের বিরুদ্ধে অপরাধ বৃদ্ধি পেয়েছে ৯১%। এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে কংগ্রেস নেতা অভিযোগ করেন, সমাজের প্রান্তিক সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সহিংস ও বৈষম্যমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে প্রকাশিত সামন্ততান্ত্রিক ও বর্ণবাদী মানসিকতাকে বিজেপি সক্রিয় করছে এবং বৈধতা দিচ্ছে।

সম্প্রতি উত্তর প্রদেশের রায়বেরেলিতে দলিত ব্যক্তি হরিওম বাল্মীকিকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে, ভারতের প্রধান বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের উপর জুতো ছুঁড়ে মারার চেষ্টা হয়েছে, হরিয়ানার এক জন দলিত আইপিএস অফিসার মানসিক হেনস্থার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন, এই সমস্ত ঘটনার কথা খাড়গে উল্লেখ করেছেন। তাঁর মতে, ‘এগুলি বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়’। বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা বলেন, ‘এগুলি আরএসএস-বিজেপির সামন্ততান্ত্রিক মানসিকতার একটি বিপজ্জনক প্রকাশ এবং সংবিধান, সামাজিক ন্যায়বিচার এবং সাম্যের নীতির উপর সরাসরি আঘাত।’

দলিত, আদিবাসী, অনগ্রসর শ্রেণী, সংখ্যালঘু এবং অন্যান্য প্রান্তিক গোষ্ঠীকে দমন করার লক্ষ্যে ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতিতে শাসক দল লিপ্ত বলে অভিযোগ করেন খাড়গে। তিনি বলেন, এই ধরনের রাজনীতি ভারতের গণতান্ত্রিক কাঠামোর জন্য মারাত্মক হুমকি। তাঁর কথায়, ‘ভারত সংবিধান দ্বারা পরিচালিত হবে, কোনও চরমপন্থী মতাদর্শের ডিক্রি দ্বারা নয়।’

Congress: মোদীর রাজ্যে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগান নিয়ে বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে কংগ্রেস

এই দিনকাল: ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে নির্বাচনী অস্ত্র করে এ বার বাড়ি বাড়ি পৌঁছবে গুজরাট কংগ্রেস (Congress)। সেই সঙ্গে এই প্রচারণার সমর্থনে পাঁচ কোটি স্বাক্ষর সংগ্রহ করবে হাত শিবির। লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী দেশব্যাপী নির্বাচনী জালিয়াতির বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। সেই অভিযোগের পর গুজরাট কংগ্রেস ৩ অক্টোবর থেকে রাজ্যব্যাপী ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানকে সামনে রেখে প্রচারণা শুরু করতে চলেছে।

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চুরি’ নিয়ে বড় ঝড় বইতে চলেছে। কংগ্রেস এই অভিযোগকে একটি গণ রাজনৈতিক আন্দোলনে রূপান্তরিত করার লক্ষ্য নিয়ে ঝাঁপিয়েছে। লোকসভা, মহারাষ্ট্র এবং হরিয়ানা নির্বাচনে ক্ষমতাসীন বিজেপির বিরুদ্ধে নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচনী জালিয়াতির অভিযোগ এনেছেন রাহুল গান্ধী। এ বার, গুজরাট কংগ্রেস এই বিষয়টিকে সরাসরি সুরাটের রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর, কংগ্রেস সুরাট থেকে রাজকোট, আহমেদাবাদ থেকে ভদোদরা, এবং সমগ্র গুজরাট জুড়ে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ স্লোগানে ভর করে রাজ্যব্যাপী বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করবে। ভোট চুরি বন্ধ করতে এবং ভোটার তালিকা স্বচ্ছ করার দাবিতে মানুষের স্বাক্ষর চাইবেন তাঁরা। 

বুধবার আহমেদাবাদে এক সাংবাদিক বৈঠকে গুজরাট কংগ্রেসের সভাপতি অমিত চাভড়া বলেন, ‘গণতন্ত্রে, প্রতিটি নাগরিকের ভোটের সমান মূল্য, সে প্রধানমন্ত্রী হোন, রাষ্ট্রপতি হোন বা সাধারণ মানুষ। কিন্তু বিজেপির শাসনকালে, একসময়ের স্বশাসিত নির্বাচন কমিশন, পুতুলে পরিণত হয়েছে। গুজরাট কংগ্রেস ইতিমধ্যেই মাত্র একটি নির্বাচনী এলাকায় ৩০,০০০ ভুয়ো এবং নকল নাম প্রকাশ করেছে।’ তাঁর দাবি, নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে রাহুল গান্ধীর সতর্কীকরণ বাগাড়ম্বর নয়, বাস্তবতা। অমিতের আরও সংযোজন, ‘গণতন্ত্র বাঁচাতে, আমরা গুজরাটে ‘ভোট চোর, গদি ছোড়’ প্রচারণা শুরু করছি। ৩ থেকে ১০ অক্টোবরের মধ্যে, আমরা সারা দেশে পাঁচ কোটিরও বেশি স্বাক্ষর সংগ্রহ করব। ভোট চোরদের প্রকাশ্যে আনতে এবং সাংবিধানিক অধিকার রক্ষা করতে আমরা প্রতিটি নাগরিককে এই লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানাই।’

এই আন্দোলনের কেন্দ্রস্থল হিসেবে সুরাটকে বেছে নেওয়া হয়েছে, বিশেষ করে বরাছা বেল্ট, যেখানে একসময় বিজেপির আধিপত্য ছিল, বর্তমানে আপের শক্ত ঘাঁটি। এখানে আক্রমণাত্মক প্রচার চালিয়ে কংগ্রেস কেবল বিজেপিকে কোণঠাসা করতে চাইছে না, শহরাঞ্চলীয় সুরাটে আপের ক্রমবর্ধমান ভিত্তিকেও ভেঙে ফেলার চেষ্টা করছে। সূত্রের খবর, ভোটার জালিয়াতির উপর চারটি প্রশ্ন সম্বলিত বিশেষ পুস্তিকা তৈরি করেছে হাত শিবির। ভোটারদের সেগুলির উত্তরে টিক দিতে হবে এবং তারপর প্রচারণার সমর্থনে স্বাক্ষর করতে হবে।

Rahul Gandhi: ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’: বিজেপি নেতার হুমকির পর শাহকে চিঠি লিখল কংগ্রেস

এই দিনকাল: লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধীকে (Rahul Gandhi) খুনের হুমকি দেওয়ার পর সোমবার বিজেপির বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস (Congress)। সম্প্রতি কেরল বিজেপির মুখপাত্র প্রিন্টু মহাদেব (Printu Mahadev) রাহুলকে নিশানা করে বিতর্কিত মন্তব্য করেন। এক টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘রাহুল গান্ধীর বুকে গুলি করা হবে’। এই মন্তব্যের পর ওই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে (Home Minister Amit Shah) চিঠি দিল হাত শিবির।

কংগ্রেসের তরফে বলা হয়েছে, ‘বিজেপি সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছে। এটি কোনও অযৌক্তিক মন্তব্য বা অতিরঞ্জন নয়। ন্যায়বিচারের লড়াইয়ে প্রত্যেক ভারতবাসীর পাশে দাঁড়ানো একজন নেতার জন্য এটি একটি ঠান্ডা এবং পরিকল্পিত খুনের হুমকি।’ এক্স হ্যান্ডেলে কংগ্রেসের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছে, এটি কি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে ‘বৃহত্তর, ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের’ অংশ? পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ‘বিজেপি কি অপরাধমূলক ভয় দেখানো, হিংসা এমনকি মৃত্যুর হুমকির রাজনীতি সমর্থন করে?’

নিউজ ১৮ মালায়ালম চ্যানেলের বিতর্ক সভায়, বিজেপির প্রিন্টু মহাদেব মালায়ালম ভাষায় বক্তব্য রাখেন। যার একটি ক্লিপ কংগ্রেস নেতা কেসি ভেনুগোপাল শেয়ার করেছেন। যেখানে প্রিন্টু বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ তাদের (সরকারের) সঙ্গে ছিল না। এখানে, ভারতে, জনগণ নরেন্দ্র মোদী সরকারের সঙ্গে আছে। অতএব, যদি রাহুল গান্ধী এমন ইচ্ছা বা স্বপ্ন নিয়ে বের হন, তাহলে রাহুল গান্ধীর বুকেও একটি গুলি লাগবে।’ 

ভেনুগোপাল এক্স হ্যান্ডেলে লিখেছেন, ‘রাজনৈতিক ক্ষেত্রে মতবিরোধ সাংবিধানিক কাঠামোর মধ্যে রাজনৈতিকভাবে সমাধান করতে হবে। তবে বিজেপি নেতৃত্ব সরাসরি টিভিতে তাদের রাজনৈতিক বিরোধীদের খুনের হুমকি দিচ্ছেন। অবশ্যই, আরএসএস-বিজেপির মতাদর্শের বিরুদ্ধে রাহুল গান্ধীজির তীব্র লড়াই তাদের বিচলিত করেছে।’

এই হুমকিকে ‘শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার’ বলে অভিহিত করে হাত শিবির জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছে। কংগ্রেসের দাবি, ‘এটি ‘স্লিপ অফ টাং’ নয়, বা অসাবধানতামূলক অতিরঞ্জনও নয়। এটি বিরোধী দলনেতা এবং ভারতের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে একটি শান্ত, পরিকল্পিত এবং ঠাণ্ডা মাথার খুনের হুমকি।’ চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে এর আগে রাহুল গান্ধীকে সমাজ মাধ্যমে যে সমস্ত হুমকি দেওয়া হয়েছিল, সে সব বিষয়ে। যার মধ্যে কিছু হুমকির সঙ্গে বিজেপির যোগ রয়েছে। এ ছাড়াও উল্লেখ করা হয়েছে রাজীব গান্ধী এবং ইন্দিরা গান্ধীকে হত্যার কথা।

চিঠিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে তাৎক্ষণিকভাবে এবং দৃঢ়ভাবে পদক্ষেপ নেওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে। কংগ্রেস জানিয়েছে, যদি অভিযুক্ত বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ না করা হয় তাহলে ধরে নেওয়া হবে রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে হিংসায় বৈধতা দেওয়া হচ্ছে।

অন্য দিকে, রাহুলকে খুনের হুমকি দেওয়ায় সোমবার পুলিশ প্রিন্টু মহাদেবনের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছে। কেরল প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির সম্পাদক শ্রীকুমার সিসি-এর অভিযোগের ভিত্তিতে পেরামঙ্গলম পুলিশ এই এফআইআর দায়ের করেছে। ভারতীয় ন্যায় সংহিতার – ধারা ১৯২, ধারা ৩৫৩ এবং ধারা ৩৫১(২) এর অধীনে অভিযোগ আনা হয়েছে।

Rahul Gandhi: কর্নাটকের অলন্দে ৬০০০ এর বেশি ভোট চুরি হয়েছে!’ ‘তথ্য প্রমাণ’ দিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ রাহুলের

এই দিনকাল: ভোট চুরির (Vote Chori) অভিযোগে দেশের নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে সুর চড়ালেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার দিল্লিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা। সেই মঞ্চ থেকে কমিশনের বিরুদ্ধে ভোট চুরির অভিযোগ আনেন তিনি। রাহুল বলেন কর্নাটকের অলন্দ বিধানসভা এলাকায় ২০২৩ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ৬,০০০ এরও বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে।

রাহুল গান্ধীর অভিযোগ, অনেক বেশি ভোট চুরি করা হয়েছে, কিন্তু শুধুমাত্র ৬,০১৮টি ভোট চুরির ঘটনা ধরা পড়েছে। কংগ্রেস নেতা নির্বাচন কমিশন, বিশেষ করে প্রধান নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারের সমালোচনা করেন। তাঁর অভিযোগ, গণতন্ত্রকে যারা হরণ করছে, তাদেরকে রক্ষা করছে নির্বাচন কমিশন। একটি নিরপেক্ষ সাংবিধানিক কর্তৃপক্ষ হওয়ার পরিবর্তে কমিশন ‘গণতন্ত্রের ধ্বংসকারী’ হয়ে উঠেছে বলে অভিযোগ করেন রাহুল।

লোকসভার বিরোধী দলনেতার দাবি, কংগ্রেস দলের শক্তি বেশি সেই রকম একাধিক জায়গায় হাত শিবিরকে দুর্বল করার জন্য ভোটার তালিকা থেকে হাজার হাজার ভোটারের নাম ইচ্ছাকৃতভাবে বাদ দেওয়া হচ্ছে। তিনি এই অভিযানকে ‘পরিকল্পিত’ বলে অভিহিত করেছেন। রাহুল গান্ধীর মতে, এই ভোটার মুছে ফেলার অভিযান প্রযুক্তির সাহায্যে করা হয়েছে। অভিযোগ, ভোটারদের কোনও কিছু না জানিয়ে তাদের অজান্তেই আবেদনপত্র জমা দেওয়া হয়েছে অন্য ভোটারদের নাম বাদ দেওয়ার জন্য।

যদিও রাহুলের অভিযোগ অস্বীকার করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। বৃহস্পতিবার সমাজ মাধ্যমে কমিশনের তরফে লেখা হয়েছে, ‘রাহুল গান্ধীর করা অভিযোগগুলি মিথ্যা ও ভিত্তিহীন৷ অনলাইনে কোনও সাধারণ নাগরিক ভোটারদের নাম বাদ দেওয়া যায় না৷’

West Bengal BJP : তৃণমূলকে সরাতে বাম কংগ্রেসের হাত ধরতে চায় বঙ্গ বিজেপি! কটাক্ষ শতরূপ, অধীরের

এই দিনকাল: রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে (TMC) ক্ষমতা থেকে সরাতে বাম ও কংগ্রেসের হাত ধরতে চায় পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি (West Bengal BJP)! রবিবার শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের জন্মদিবস উপলক্ষে কলকাতার রেড রোডে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে এমন বার্তা দেন রাজ্য বিজেপির নয়া সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য।

রবিবার শমীক ভট্টাচার্য সিপিএম ও কংগ্রেস নেতৃত্বের উদ্দেশে বলেন, ‘নিজের মতাদর্শ সরিয়ে রেখে শ্যামাপ্রসাদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছিলেন জ্যোতি বসু। এটা পশ্চিমবঙ্গ রক্ষার লড়াই। ইন্দিরা গান্ধীর হাতে সব অস্ত্র তুলে দিয়েছিলেন অটল বিহারি বাজপেয়ী। আজকের লড়াইটাও রাজনীতির উর্ধ্বে ওঠার লড়াই। জ্যোতি বসুকে সম্মান করলে তাঁর গড়া পশ্চিমবঙ্গকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসুন।’ বিজেপি সভাপতির এমন মন্তব্যের স্বাভাবিক ভাবে বিরোধিতা করেছে কংগ্রেস ও সিপিএম। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেন, বিজেপি হিন্দুরাষ্ট্র গঠন করতে চায়। কিন্তু বাংলায় না পেরে উঠে জোট বাঁধার কথা বলছে। বরং বিজেপির বিরুদ্ধে সবার ঐক্যবদ্ধ হওয়া উচিৎ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

শমীক ভট্টাচার্যের কথার প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন সিপিএম নেতা শতরূপ ঘোষ। তিনি বলেন, জ্যোতি বসু বিজেপিকে অসভ্য ও বর্বরদের দল বলতেন। প্রয়াত বর্ষীয়াণ মুখ্যমন্ত্রীর দেখানো পথেই অসাম্প্রদায়িক বাংলা রক্ষা করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তরুণ বাম নেতা। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী হিন্দু ভোট এক করার লক্ষ্যে হিন্দুদের জোট বাঁধার বার্তা আগে থেকেই দিয়ে আসছেন। শমীক ভট্টাচার্য সভাপতি হয়ে হিন্দু ও মুসলিম ভোট পদ্ম শিবিরের দিকে টানার চেষ্টা করছেন।