Tag Archives: Bihar Assembly Election

Tejashwi Yadav: বিহারে পরবর্তী সরকার গড়ার দাবি তেজস্বীর, শপথ গ্রহণের তারিখ জানালেন লালুপুত্র

এই দিনকাল: আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফার এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় অর্থাৎ শেষ দফার বিধানসভা নির্বাচন বিহারে। তার আগে আত্মবিশ্বাসী তেজস্বী যাদবের (Tejashwi Yadav) দাবি, পরবর্তী সরকার তাঁরাই গঠন করতে চলেছেন। শুধু তাই নয়, রবিবার আগামী দিনের সরকারের মন্ত্রীদের শপথের দিনও ঘোষণা করে দিয়েছেন ইন্ডিয়া জোটের মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী। 

তেজস্বী যাদব বলেন, ‘আগামী ১৪ নভেম্বর বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা হবে। ১৮ নভেম্বর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।’ প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টির সমর্থক দুলার চাঁদ যাদবের হত্যার ঘটনায় মোকামার প্রাক্তন বিধায়ক এবং জেডিইউ প্রার্থী অনন্ত সিংকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সেই আবহে তেজস্বী এই মন্তব্য করলেন। খুনের ঘটনাটি ‘ঘটতে বাধ্য’ বলে দাবি করে তেজস্বী বলেন ইন্ডিয়া জোট ক্ষমতায় এলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে জাতি এবং ধর্ম নির্বিশেষে সমস্ত অপরাধীকে কারাগারে বন্দি করা হবে। তিনি বলেন, ‘২৬ নভেম্বর থেকে ২৬ জানুয়ারির মধ্যে তেজস্বী নিশ্চিত করবেন যে সমস্ত অপরাধী, তাদের বর্ণ ও ধর্ম নির্বিশেষে, কারাগারে থাকবে এবং তাদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’ 

এক্স হ্যান্ডেলে একটি পোস্টে তেজস্বী লিখেছেন, ন্যাশনাল ক্রাইম রেকর্ড ব্যুরোর রিপোর্ট অনুসারে, অপরাধপ্রবণ রাজ্যগুলির মধ্যে শীর্ষে রয়েছে বিহার। রবিবার এনডিএ জোটের সমর্থনে বিহারে নির্বাচনী জনসভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আরজেডি নেতা এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদীকে বিহারের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছেন।

তেজস্বী বলেন, ‘আজ, প্রধানমন্ত্রী বিহার সফর করছেন। তাঁর উচিত রাজ্যের পরিস্থিতির দিকে নজর দেওয়া যেখানে এমন একটি দিনও যায় না যেখানে কোনও জঘন্য অপরাধ হয় না। কিন্তু ইন্ডিয়া জোট সরকার গঠন করার সঙ্গে সঙ্গেই এই পরিস্থিতির বদল হবে।’ অন্য দিকে, তেজস্বীর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন লোক জনশক্তি পার্টির (আরভি) প্রধান চিরাগ পাসওয়ান। তাঁর দাবি, এনডিএ সরকার কখনও অপরাধীদের রক্ষা করেনি। তিনি বলেন, ‘সরকার যদি অপরাধীদের রক্ষা করত, তাহলে গত রাতে ওই পদক্ষেপ নেওয়া হত না। আমাদের সরকার একটি বিষয়ে স্পষ্ট, যেমন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার বলেছেন, আমরা কখনও কাউকে ফাঁসাই না বা রক্ষা করি না।’

Bihar Assembly Election: বিহারে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করল এনডিএ, বিজেপি এবং জেডিইউ লড়বে ১০১টি করে আসনে

এই দিনকাল: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) আর এক মাসও বাকি নেই। গত ৬ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনের তরফে ভোটের নির্ঘন্ট ঘোষণা করার পর রাজনীতির ময়দানে জোর কদমে প্রস্তুতি শুরু করেছে শাসক ও বিরোধী পক্ষ। এই আবহে রবিবার চূড়ান্ত আসন সমঝোতায় পৌঁছল ক্ষমতাসীন এনডিএ জোট। ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভায় বিজেপি এবং জনতা দল (ইউনাইটেড) ১০১টি করে আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হল। এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান এ কথা জানিয়েছেন। 

এনডিএ এর আসন সমঝোতার মধ্যে সামিল রয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী চিরাগ পাসওয়ানের লোক জনশক্তি পার্টি (রাম বিলাস)। লোক জনশক্তি পার্টি ২৯টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে বলে জানানো হয়েছে। এ ছাড়া রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) এবং হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা (এইচএএম) আসন্ন নির্বাচনে ছয়টি করে আসনে লড়াই করবে। গত বছর হরিয়ানায় বিজেপিকে টানা তৃতীয় জয় এনে দেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রধান। বিহারের নির্বাচনের দায়িত্বে রয়েছেন তিনি। এই রাজনীতিবিদ বলেন, বিহারের এনডিএ জোটের সদস্যরা আসন বণ্টনকে স্বাগত জানিয়েছে এবং আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে সম্পন্ন হয়েছে। এক্স হ্যান্ডেলে তিনি লিখেছেন, ‘এনডিএ জোটের সদস্যরা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে আসন বণ্টন সম্পন্ন করেছে। এনডিএ দলের সকল কর্মী এবং নেতারা এটিকে স্বাগত জানিয়েছেন। বিহার প্রস্তুত এবং আবারও এনডিএ সরকার তৈরি হবে।’

প্রধানের এই ঘোষণা আপাতত এনডিএ-র শরিক দলগুলির মধ্যে আসন নিয়ে যে দ্বন্দ্ব চলছিল তার অবসান ঘটিয়েছে। বিশেষ করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী জিতন রাম মাঝির নেতৃত্বাধীন এইচএএম এবং আরএলএম-এর মধ্যে আসন বণ্টন সংক্রান্ত সংঘাতের সমাপ্তি ঘোষণা করেছে। আরএলএম বিহার বিধানসভা নির্বাচনে এককভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার হুমকি দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনে দু দফায় হবে নির্বাচন। আগামী ৬ নভেম্বর প্রথম দফা এবং ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় দফার ভোট গ্রহণ হবে। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর।

Bihar Assembly Election: ৬ এবং ১১ নভেম্বর দু দফায় বিহারে বিধানসভা ভোট, ঘোষণা কমিশনের

এই দিনকাল: বেজে গেল বিহার বিধানসভা নির্বাচনের (Bihar Assembly Election) দামামা। আগামী ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর দু দফায় সে রাজ্যে হবে ভোট গ্রহণ, সোমবার নির্বাচন কমিশনের তরফে জানানো হল এমনটাই। এদিন মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার সাংবাদিক বৈঠক করে বিহারের নির্বাচনের নির্ঘন্ট প্রকাশ করেন।

সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে জ্ঞানেশ কুমার জানান, আসন্ন বিহার বিধানসভা নির্বাচন হবে দু দফায়। আগামী ৬ নভেম্বর এবং ১১ নভেম্বর ভোট গ্রহণ হবে। ২৪৩ আসনের মধ্যে প্রথম দফায় ভোট হবে ১২১টিতে, বাকিগুলিতে ভোট গ্রহণ হবে দ্বিতীয় দফায়। ভোট গণনা এবং ফল ঘোষণা হবে ১৪ নভেম্বর। প্রথম দফার ভোটের জন্য নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত। প্রথম দফায় প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ অক্টোবর। অন্য দিকে, দ্বিতীয় দফার জন্য নমিনেশন জমা দেওয়া যাবে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ক্ষেত্রে প্রার্থীপদ প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৩ অক্টোবর।

উল্লেখ্য, কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি গত শনিবার দাবি জানিয়েছিল বিহারে বিধানসভা নির্বাচন এক বা দু দফায় সম্পন্ন করার জন্য। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, পদ্ম শিবিরের সেই দাবি কার্যত মেনে নিল কমিশন। অন্য দিকে, মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমার আগেই জানিয়েছিলেন বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের ভোটগ্রহণ আগামী ২২ নভেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন করা হবে। কারণ ওই সময়ে বর্তমান বিধানসভার মেয়াদ শেষ হবে। 

গত বিধানসভা নির্বাচন অর্থাৎ ২০২০ সালে বিহারে ভোট হয়েছিল তিন দফায়। যদিও সে সময় করোনা মহামারী চলছিল। বিজেপি-সহ এনডিএ জোট ১২৫ আসন পেয়ে খুব কম ব্যবধানে জয়ী হয়েছিল সে বার। (২৪৩ আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৭৪, জেডিইউ জয়ী হয়েছিল ৪৩ এবং অন্যান্যরা পেয়েছিল ৮টি আসন)। অন্য দিকে বিরোধী শিবির পেয়েছিল ১১০ আসন (আরজেডি ৭৫, কংগ্রেস ১৯, অন্যান্যরা ১৬)।