Tag Archives: AIMIM

Bihar Assembly Elections Result: বিহারে জোটে নেয়নি রাহুল-তেজস্বীরা, একলা লড়ে ৫ আসনে জয় পেল ওয়েইসির মিম

এই দিনকাল: বিহারে বিধানসভা নির্বাচনে একক ভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেও কার্যত সফল হল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির মিম। যেখানে আরজেডি এবং কংগ্রেস আশানুরূপ ফল পায়নি, সেই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে পাঁচটি আসনে জয় ছিনিয়ে আনল ওয়েইসির দল। 

বিহারে (Bihar Assembly Elections Result) নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণার আগে থেকেই মহাজোটে সামিল হতে চেয়ে একাধিকবার আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবকে চিঠি লিখেছিলেন বিহার মিমের নেতৃত্ব, এমনই দাবি করেছিলেন খোদ আসাদ উদ্দিন ওয়েইসি। কিন্তু অভিযোগ, ইন্ডিয়া জোটে ওয়েইসির দলকে নিতে আগ্রহ দেখাননি রাহুল-তেজস্বীরা। ইন্ডিয়া ব্লক না সঙ্গে নেওয়ায় একলা লড়ার সিদ্ধান্ত নেয় অল ইন্ডিয়া মজলিস এ ইত্তেহাদুল মুসলেমিন। আর সেই সিদ্ধান্তে ভর করে নির্বাচনী ময়দানে লড়াইয়ে সাফল্য পেল দলটি। শুক্রবার ফল ঘোষণার পর দেখা গেল, বিহারের জোকিহাট, বাহাদুরগঞ্জ, কোচাধামান, আমৌর এবং বাইসি— পাঁচ আসনে জয়লাভ করেছেন মিমের প্রার্থীরা।

শুক্রবার ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিহার বিধানসভা নির্বাচনের ফল ঘোষণা করেছে ভারতের নির্বাচন কমিশন। এদিন গণনার ফল অনুযায়ী জোকিহাট বিধানসভা কেন্দ্রে ২৮৮০৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন মিম প্রার্থী মহম্মদ মুর্শিদ আলম, তিনি ভোট পেয়েছেন ৮৩৭৩৭টি। ওই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন জেডিইউ এর মনজার আলম, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৪৯৩৪টি। বাহাদুরগঞ্জ কেন্দ্রে ২৮৭২৬ ভোটে জয়ী হয়েছেন মিম প্রার্থী মহম্মদ তৌসিফ আলম, তিনি মোট ভোট পেয়েছেন ৮৭৩১৫টি। দ্বিতীয় হয়েছেন কংগ্রেসের মহম্মদ মাসওয়ার আলম, তিনি পেয়েছেন ৫৮৫৮৯টি ভোট। 

Oplus_131072

কোচাধামান কেন্দ্রে ২৩০২১ ভোটে জয় পেয়েছেন মিমের মহম্মদ সারওয়ার আলম, তিনি ভোট পেয়েছেন ৮১৮৬০টি। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন আরজেডির মুজাহিদ আলম, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৫৮৮৩৯টি। আমৌরে মিমের আখতারুল ইমান জয়ী হয়েছেন ৩৮৯২৮ ভোটে, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ১০০৮৩৬টি। এই কেন্দ্রে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জেডিইউ এর সাবা জাফর, তিনি পেয়েছেন ৬১৯০৮ ভোট। বাইসি কেন্দ্রে মিমের গোলাম সারওয়ার জয় পেয়েছেন ২৭২৫১ ভোটে, তাঁর প্রাপ্ত ভোট ৯২৭৬৬টি। এই কেন্দ্রে দ্বিতীয় হয়েছেন বিজেপির বিনোদ কুমার, তিনি পেয়েছেন ৬৫৫১৫টি ভোট।

উল্লেখ্য, বিহারে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ তুলে বিরোধীরা মিমকে নিশানা করেছে বহু বার। সেই অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে দলটির প্রধান আসাদ উদ্দিন ওয়েইসি গত সেপ্টেম্বরে ইন্ডিয়া জোটে সামিল হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন। বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ দিলে ইন্ডিয়া ব্লকে যোগ দেওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন তিনি। ওয়েইসি বলেছিলেন, ‘আমার দলের বিহার ইউনিটের প্রধান তেজস্বী যাদবকে বেশ কয়েকটি চিঠি লিখেছেন। শেষ চিঠিতে, ২৪৩-শক্তিশালী বিধানসভার নির্বাচনে এআইএমআইএমকে ছয়টি আসন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ পরবর্তীতে মিমের সঙ্গে জোট করতে রাহুল গান্ধী, তেজস্বী যাদবরা কোনও আগ্রহ দেখাননি।

প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে মিম ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল, যার মধ্যে পাঁচ কেন্দ্রে জয়ী হয়েছিল দলটি। যদিও দু বছর পর বিহার ইউনিটের সভাপতি আখতারুল ইমান ছাড়া, মিম-এর টিকিটে নির্বাচিত সকল বিধায়ক আরজেডিতে যোগ দেন।

AIMIM: ‘বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ৬টি আসনে লড়ার সুযোগ দিলে ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেব’: ওয়েইসি

এই দিনকাল: বিহারে ‘বিজেপিকে সাহায্য করার’ অভিযোগ ওঠে তাঁর দলের বিরুদ্ধে। এ বিষয়ে এ বার অসন্তোষ প্রকাশ করলেন আইমিম (AIMIM) -এর প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসি। বুধবার তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পূর্ব ভারতের এই রাজ্যের ছয়টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারলে মিম ইন্ডিয়া জোটে যোগ দেবে।

প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ মুসলিম জনসংখ্যার উত্তর বিহারের কিষাণগঞ্জে তিন দিনের ‘সীমাঞ্চল ন্যায় যাত্রা’ শুরু করেছেন হায়দরাবাদের সাংসদ। সেখানে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ওয়েইসি বলেন, ‘আমার দলের বিহার ইউনিটের প্রধান বিহার বিধানসভার বিরোধী দলনেতা তেজস্বী যাদবকে একাধিক চিঠি লিখেছেন। শেষ চিঠিতে, ২৪৩ আসন বিশিষ্ট বিধানসভার নির্বাচনে আইমিমকে ছয়টি আসন দেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘বল এখন ইন্ডিয়া জোটের কোর্টে। বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগ আমাদের বিরুদ্ধে যাতে না আসে, সেকারণে আমরা এই পদক্ষেপ নিয়েছি। ইন্ডিয়া ব্লকের পক্ষ থেকে যথাযথ প্রতিক্রিয়া না পাওয়ায় স্পষ্ট হয়ে যাবে কে আসলে পদ্ম শিবিরকে সাহায্য করছে।’

উল্লেখ্য, বিহারে ২০২০ সালের বিধানসভা নির্বাচনে আইমিম ২০টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। যার মধ্যে পাঁচটিতে জয়লাভ করেছিল। যদিও, বিহার ইউনিটের সভাপতি আখতারুল ইমান ছাড়া, আইমিম-এর টিকিটে নির্বাচিত সকল বিধায়ক নির্বাচনের দুই বছর পর আরজেডি-তে যোগ দিয়েছিলেন।

AIMIM: ‘পশ্চিমবঙ্গের অপমান মানে দেশের অপমান’, বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে সোচ্চার ইমরান

এই দিনকাল: বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে ধারাবাহিক ভাবে বাঙালি নির্যাতনের প্রতিবাদে পথে নামল আসাদউদ্দিন ওয়েইসির দল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন (AIMIM)। মঙ্গলবার শিয়ালদহ থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত মিছিল করে দলটির কর্মী সমর্থক ও নেতৃত্ব। এদিন মিছিলে পা মেলান মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। মিছিল থেকে তিনি বিজেপিকে আক্রমণ শানান।

মঙ্গলবার মিছিলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বাঙালিদের উপর অত্যাচার প্রসঙ্গে ইমরান সোলাঙ্কি বলেন, ‘বাংলাদেশিদের দেশ থেকে বের করে দিতে চাইলে আমরা পাশে আছি। কিন্তু মালদা, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-সহ পশ্চিমবঙ্গের লোককে বাংলাদেশি দাগিয়ে দিয়ে আপনি বের করে দেবেন, তা হবে না।’ তাঁর আরও সংযোজন, ‘বিজেপি শাসিত রাজ্যে বাঙালিকে মারা হচ্ছে। বিজেপি এখানে ক্ষমতায় এলে আমাদের সবার উপরে আক্রমণ নামিয়ে আনবে। ওরা বাঙালিকে চায় না। বাংলা ভাষা, বাঙালি সংস্কৃতি আমাদের অহঙ্কার। পশ্চিমবঙ্গের মানুষের অপমান মানে দেশের অপমান, ভারতের অপমান।’

মঙ্গলবার মিছিলে পা মেলান মিমের কলকাতা জেলা সভাপতি নাফিস আনসারি, মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আসাদুল শেখ-সহ রাজ্য স্তরের বহু নেতা। পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে বাঙালি ইস্যুতে যে ভাবে মিম পথে নেমেছে তা তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা। কারণ বিভিন্ন সময়ে ‘বিজেপির বি টিম’ বলে মিমকে কটাক্ষ করে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু শাসকদল যতই এমন তকমা দিক না কেন, বিজেপিশাসিত রাজ্যে বাঙালিদের উপর নিপীড়ন যে অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন সহ্য করবে না, কার্যত পথে নেমে তা বুঝিয়ে দিলেন ইমরান সোলাঙ্কিরা।

AIMIM: বিধানসভার আগে বাংলায় মজবুত হচ্ছে মিম, তৃণমূল-সহ বিভিন্ন দল থেকে ৭০০ জন ওয়েইসির দলে

এই দিনকাল: রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আর এক বছরও বাকি নেই। ভোটের ময়দানে জমি প্রস্তুত করতে ইতিমধ্যে ঝাঁপিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। এই আবহে পিছিয়ে নেই ব্যারিস্টার আসাদউদ্দিনের দল মিম (AIMIM)। বাংলায় সংগঠন মজবুত করতে ও জনভিত্তি বাড়াতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগরে রবিবার প্রকাশ্য জনসভা করল অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন। আর এই জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল থেকে প্রায় ৭০০ জন কর্মী যোগ দিলেন মিম পার্টিতে।

রবিবার জয়নগরের বাংলার মোড়ে জনসভায় উপস্থিত ছিলেন মিমের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সভাপতি ইমরান সোলাঙ্কি। এছাড়াও ছিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতি সুজাউদ্দিন মণ্ডল, দক্ষিণ জোনের প্রেসিডেন্ট নিজাম উদ্দিন কাসেমি। অল ইন্ডিয়া মজলিস ই ইত্তেহাদুল মুসলিমিন দলের রাজ্য সভাপতি এদিন মঞ্চ থেকে তৃণমূল ও বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হন।  জয়নগরের অনুন্নয়ন নিয়ে তিনি শাসকদলকে নিশানা করেন। এ ছাড়া বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে বাঙালিদের উপর নির্যাতনের বিরুদ্ধেও আওয়াজ তোলেন ইমরান সোলাঙ্কি। বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকরা ভিন রাজ্যে গিয়ে মার খাচ্ছে, সে ক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন সোলাঙ্কি। তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশি বলে, রোহিঙ্গা বলে বাঙালিদের উপর অত্যাচার করা হচ্ছে। বাঙালিরা দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গুজরাট, ওড়িশার মতো ভিন রাজ্যে গিয়ে রাজমিস্ত্রী, জরির কাজ করেন। বাঙালি নির্যাতনের বিরুদ্ধে রাজ্য সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে?’

দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এদিন মিমের কর্মী সমর্থকরা সমাবেশে যোগ দেন। বাংলায় এত রাজনৈতিক দল থাকতে কেন মিমের পতাকা কাঁধে তুলে নিয়েছেন? এই প্রশ্নের জবাবে সমাবেশে আসা মগরাহাট পশ্চিম কেন্দ্রের কোর কমিটির নেতা সাহিদ হোসেন মোল্লা ‘এই দিনকাল’কে বলেন, ‘ভারতবর্ষের নিপীড়িত, লাঞ্ছিত, বঞ্চিত, অবহেলিত, দলিত, আদিবাসী, ওবিসিদের জন্য যিনি সংসদে আওয়াজ তুলছেন সেই আসাদ উদ্দিন ওয়েইসির হাত শক্ত করার জন্য মিমে যোগ দিয়েছি। শুধু তাই নয় ওয়াকফ ইস্যুতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাও আমরা দেখেছি।’ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বাংলার রাজনৈতিক অঙ্গনে মিমের উত্থান বিপাকে ফেলতে পারে শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসকে। বিশেষ করে সংখ্যালঘু ভোট হাত ছাড়া হতে পারে জোড়াফুল শিবিরের।