এই দিনকাল: ‘কোনও নির্দোষ মানুষকে যেন হয়রানি না করা হয়’, দিল্লি বিস্ফোরণ কাণ্ডে চলমান তদন্তের মাঝে এমনই আর্জি জানালেন জম্মুকাশ্মীর পিপলস ডেমোক্রেটিক পার্টির (পিডিপি) নেত্রী মেহবুবা মুফতি (Mehbooba Mufti)। বুধবার তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে আবেদন জানিয়ে মুফতি বলেছেন, দিল্লি বিস্ফোরণে জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তারদের বাবা মাকে হয়রানি যেন না করা হয়।
বুধবার শ্রীনগরে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন পিডিপি নেত্রী। সেখানে তিনি দিল্লির লালকেল্লার কাছে প্রাণঘাতী বিস্ফোরণের নিন্দা জানান, যে বিস্ফোরণে ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং জখম হয়েছেন ২০ জন। এই ঘটনায় সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ তদন্তের দাবি জানিয়ে মুফতি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষিত ডাক্তাররা দুর্ভোগে পড়েছেন। আমি দিল্লি বিস্ফোরণের সম্পূর্ণ ও সুষ্ঠু তদন্ত চাই। ডাক্তাররা যদি এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকেন, তাহলে এটা আমাদের সবার জন্য খুবই ক্ষতিকর। আমি দিল্লি সরকারের কাছে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু তদন্তের জন্য আবেদন করছি।’ অভিযুক্তদের পরিবারকে লক্ষ্যবস্তু না করার আর্জি জানিয়ে পিডিপি প্রধান আরও বলেন, ‘তারা জড়িত নয়। এটা ভালো নয়। জড়িতদের শাস্তি দেওয়া উচিত, কিন্তু নির্দোষদের হয়রানি করবেন না।’ তিনি বলেন, ‘সরকারের পার্থক্য বজায় রাখা উচিত। এর সঙ্গে জড়িত, যারা অপরাধী, তাদের কঠোর শাস্তি দেওয়া উচিত। কিন্তু তাদের আত্মীয়দের কোন সন্দেহ ছাড়াই গ্রেফতার করা হচ্ছে, তাদের সঙ্গে যথাযথ আচরণ করা উচিত… শুধু এই তদন্তটিকে তদন্ত হিসাবে বিবেচনা করুন… এমনকি যদি এখনও কারও অপরাধ প্রমাণিত না হয়, আপনি সন্দেহের ভিত্তিতে মা, বাবা, ভাই ও বোনদের গ্রেফতার করছেন। আপনি তাদের টেনে নিয়ে যাচ্ছেন। এমনটা হওয়া উচিত নয়।’
উল্লেখ্য, ফরিদাবাদে গ্রেফতার হওয়া ডাক্তার মুজাম্মিলের মা দাবি করেছেন, তাঁর ছেলে নির্দোষ। সেই দাবির পর মুফতি এই মন্তব্য করলেন। তাঁর আরও দাবি, গ্রেফতারের পর থেকে পরিবারকে তার সঙ্গে দেখা করতে দেওয়া হয়নি। প্রসঙ্গত, তিন ডাক্তার – শাহীন সাঈদ, মুজাম্মিল শাকিল গণালে এবং আদিল রাথার – বর্তমানে হেফাজতে রয়েছেন। উমর নবী নামে আরেক ডাক্তার আত্মঘাতী বোমা হামলাকারী বলে অনুমান করা হচ্ছে। ১০ নভেম্বর বিস্ফোরণে মৃত্যু হয় উমরের।