Category Archives: মধ্যপ্রাচ্য

Israel-Gaza War: প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে যে দেশগুলি, ভারত কবে দিয়েছে?

এই দিনকাল: (Israel-Gaza War) প্যালেস্টাইনকে রবিবার রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে ব্রিটেন, কানাডা এবং অস্ট্রেলিয়া। এরপর একই পথে হেঁটেছে পর্তুগালও। এই আবহে চর্চায় রয়েছে ফ্রান্স। খুব শীঘ্রই দেশটি প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিতে চলেছে। তার আগে গত ২০ মার্চ মেক্সিকো প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এখনও পর্যন্ত জাতিসঙ্ঘের ১৯৩ সদস্যের মধ্যে ১৫১টি দেশ প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। 

২০২৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পর্তুগাল, ব্রিটেন, কানাডা, অস্ট্রেলিয়া, মেক্সিকো।

২০২৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আর্মেনিয়া, স্লোভেনিয়া, আয়ারল্যান্ড, নরওয়ে, স্পেন, বাহামা, ত্রিনিদাদ অ্যান্ড টোবাগো, জ্যামাইকা, বার্বাডোজ।

২০১৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিস।

২০১৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কলম্বিয়া।

২০১৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সেন্ট লুসিয়া, হলি সি।

২০১৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

সুইডেন।

২০১৩ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

হাইতি, গুয়াতেমালা।

২০১২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

থাইল্যান্ড।

২০১১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইসল্যান্ড, ব্রাজিল, গ্রেনাডা, এন্টিগুয়া অ্যান্ড বারবুডা, ডমিনিকা, বেলিজ, সেন্ট ভিনসেন্ট, হন্ডুরাস, এল সালভাদর, সিরিয়া, দক্ষিণ সুদান, লাইবেরিয়া, লেসোথো, উরুগুয়ে, প্যারাগুয়ে, সুরিনাম, পেরু, গায়ানা, চিলি।

২০১০ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইকুয়েডর, বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা।

২০০৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ডমিনিকান প্রজাতন্ত্র, ভেনেজুয়েলা।

২০০৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

আইভরি কোস্ট, লেবানন, কোস্টারিকা।

২০০৬ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মন্টেনেগ্রো।

২০০৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

পূর্ব তিমুর।

১৯৯৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

মালাউয়ি।

১৯৯৫ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

কিরগিজস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা, পাপুয়া নিউগিনি।

১৯৯৪ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

উজবেকিস্তান, তাজিকিস্তান।

১৯৯২ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বসনিয়া অ্যান্ড হার্জেগোভিনা, জর্জিয়া, তুর্কমেনিস্তান, আজারবাইজান, কাজাখস্তান।

১৯৯১ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ইসওয়াতিনি

১৯৮৯ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

ফিলিপাইন, ভানুয়াতু, বেনিন, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, কেনিয়া, ইথিওপিয়া, রুয়ান্ডা।

১৯৮৮ সালে যে দেশ স্বীকৃতি দিয়েছে

বাংলাদেশ, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, ভুটান, বুরুন্ডি, বতসোয়ানা, নেপাল, গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গো, পোল্যান্ড, ওমান, গ্যাবন, সাও তোমে অ্যান্ড প্রিন্সেপ, মোজাম্বিক, অ্যাঙ্গোলা, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র, সিয়েরা লিওন, উগান্ডা, লাওস, চাদ, ঘানা, টোগো, জিম্বাবুয়ে, মালদ্বীপ, বুলগেরিয়া, কেপ ভার্দে, উত্তর কোরিয়া, নাইজার, রোমানিয়া, তানজানিয়া, হাঙ্গেরি, মঙ্গোলিয়া, সেনেগাল, বুরকিনা ফাসো, কম্বোডিয়া, কমোরোস, গিনি, মালি, গিনি বিসাউ, চীন, বেলারুশ, নামিবিয়া, রাশিয়া, ইউক্রেন, ভিয়েতনাম।

একই বছর প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয় সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, মিশর, গাম্বিয়া, নাইজেরিয়া, সিশেলস, স্লোভাকিয়া, শ্রীলঙ্কা, আলবেনিয়া, ব্রুনেই, জিবুতি, মরিশাস, সুদান, আফগানিস্তান, কিউবা, জর্ডান, মাদাগাস্কার, নিকারাগুয়া, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, সার্বিয়া, সংযুক্ত আরব আমিরাত, জাম্বিয়া, আলজেরিয়া, বাহরাইন, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, কুয়েত, লিবিয়া, মালয়েশিয়া, মৌরিতানিয়া, সোমালিয়া, তিউনিসিয়া, তুরস্ক, ইয়েমেন, মরক্কো, ইরান।

উল্লেখ্য, জি-৭-গোষ্ঠীর সদস্যভুক্ত দেশগুলির মধ্যে প্রথম প্যালেস্টাইনকে স্বীকৃতি দিল ব্রিটেন ও কানাডা।

প্যালেস্টাইনকে রাষ্ট্র হিসেবে ভারত কবে স্বীকৃতি দিয়েছে?

১৯৮৮ সালে প্যালেস্টাইন রাষ্ট্র হিসেবে জন্ম নেওয়ার পর প্রথম যে দেশগুলি স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত তার মধ্যে অন্যতম। ১৯৮৮ সালেই নয়াদিল্লি প্যালেস্টাইন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। এর আগে, ১৯৭৪ সালে, ভারত প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশনকে প্যালেস্টাইনবাসীর একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছিল।

প্যালেস্টাইন সমস্যার শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি এবং দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের উপর জাতিসঙ্ঘে উচ্চ-পর্যায়ের সম্মেলন হতে চলেছে। ভারত সেই সম্মেলনে অংশ নিতে চলেছে বলে খবর। সোমবার থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের এই সম্মেলনে এখনও পর্যন্ত ১২৩টি দেশ এবং সংস্থা স্বাক্ষর করেছে। এই অনুষ্ঠানে যৌথ ভাবে সভাপতিত্ব করবে ফ্রান্স এবং সৌদি আরব।

উল্লেখ্য, গাজায় প্রায় দুই বছর ধরে জাতিগত নিধন চালাচ্ছে ইজরায়েল। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় নতুন করে নির্বিচার হামলা শুরু করে বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বাহিনী। প্যালেস্টাইনে নিহতের সংখ্যা ইতিমধ্যে ৬৫ হাজার ছাড়িয়েছে।

Islamic State: দামেস্কে গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা আইএস জঙ্গির, নিহত ১৫

এই দিনকাল: প্রার্থনা চলাকালীন ভরা গির্জায় আত্মঘাতী বোমা হামলা চালাল আইএস (Islamic State) জঙ্গি। সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কে সেন্ট ইলিয়াস চার্চে রবিবার এই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে এখনও পর্যন্ত জানা যাচ্ছে। আহত হয়েছেন আরও বেশ কয়েকজন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। নিহতদের মধ্যে শিশুও রয়েছে বলে খবর।

সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, গির্জায় হামলার পেছনে ইসলামিক স্টেট গ্রুপের একজন সদস্য জড়িত। এই হামলায় কম করে ১৫ জন নিহত হয়েছে। গত ডিসেম্বরে বিদ্রোহীরা স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদকে উৎখাত করার পর সিরিয়ার রাজধানীতে এটিই প্রথম আক্রমণ। দেশের নতুন কর্তৃপক্ষের জন্য নিরাপত্তা এখনও সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জগুলির মধ্যে একটি।

বিস্ফোরণের পর তড়িঘড়ি মানুষজনকে সরিয়ে নিতে দেখা যায়। গির্জা কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। এক বিবৃতিতে সিরিয়ার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, ‘রাজধানী দামেস্কের ডোয়েলা এলাকায় সেন্ট ইলিয়াস গির্জায় আইএস সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত একজন আত্মঘাতী হামলাকারী প্রবেশ করে গুলি চালায় এবং তারপর একটি বিস্ফোরক বেল্ট দিয়ে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।’

সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে এই হামলায় ১৫ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বাইরে থেকে কেউ একজন অস্ত্র নিয়ে গির্জার ভেতরে প্রবেশ করে গুলি চালাতে শুরু করে। লোকজন তাকে থামানোর চেষ্টা করলে সে নিজেকে উড়িয়ে দেয়।

Iran Israel Conflict: ‘বন্ধু’ রাশিয়ার সঙ্গে গোপন পরামর্শ করতে চলেছে ইরান, মার্কিন হামলার জবাব দেবে তেহরান?

এই দিনকাল: মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (USA) ইজরায়েলের (Israel) পক্ষ নিয়ে ২২ জুন ভোরে ইরানের (Iran) তিনটি পরমাণুঘাঁটিতে আঘাত হেনেছে। যার ফলে এই সংঘাত নতুন মোড় নিয়েছে। ক্রমশ উত্তেজনার পারদ চড়ছে মধ্যপ্রাচ্যে। এই আবহে রাশিয়া (Russia) সফর করতে চলেছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি। আন্তর্জাতিক মহলে রাশিয়া ইরানের ‘বন্ধু’ দেশ হিসেবে পরিচিত। তাই এই সঙ্কটকালে আব্বাসের রাশিয়া সফর তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন ইরানের বিদেশমন্ত্রী।

আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ইরানের বিদেশমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি জানিয়েছেন, তিনি রবিবার রাশিয়া যাচ্ছেন। সোমবার পুতিনের সঙ্গে মস্কোয় তাঁর বৈঠক রয়েছে। সংবাদ মাধ্যমকে আরাগচি বলেন, ‘রাশিয়া ইরানের বন্ধু। আমরা একটা কৌশলগত অংশীদারত্ব উপভোগ করছি। সব সময় আমরা পরস্পরের সঙ্গে পরামর্শ করি এবং সমন্বয় রেখে চলি।’

উল্লেখ্য, গত ১৩ জুন ইজরায়েল প্রথম ইরানের অভ্যন্তরে হামলা করে। সেই হামলার পর থেকে দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত চলমান। তারই মাঝে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালায় রবিবার। এর আগে ট্রাম্প ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে হুমকি দিয়েছেন। তেহরানের তরফেও পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হয়েছে ওয়াশিংটন যদি এই সংঘাতে জড়ায় তাহলে ইরানের নাগালে থাকা মধ্যপ্রাচ্যের একাধিক মার্কিন সামরিক ঘাঁটিতে প্রত্যাঘাত করা হবে। ট্রাম্পের সেই হুমকি অনুযায়ী এদিন মার্কিন সেনাবাহিনী ইরানের ফোরদো, নাতাঞ্জ ও ইস্পাহান—তিনটি পারমাণবিক ঘাঁটিতে হামলা চালাল। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, ট্রাম্প বাহিনীর এই হামলার পাল্টা দিতে পারে ইরান। ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে সেই সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা হতে পারে আব্বাসের।

Iran-Israel Conflict: ইরান-ইজরায়েল সংঘাত থামাতে মধ্যস্থতায় রাজি রাশিয়া

এই দিনকাল: ইরান ও ইজরায়েলের (Iran-Israel Conflict) মধ্যে সংঘাত পাঁচ দিন ধরে চলমান। এই সংঘর্ষ থামাতে এবার মধ্যস্থতা করতে রাজি হল রাশিয়া। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ রাশিয়ার এই অবস্থানের কথা জানিয়েছেন।

পেসকভ বলেন, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেছেন, ইরান ও ইজরায়েলের মধ্যে সংঘাত বন্ধে প্রয়োজনে রাশিয়া মধ্যস্থতা করতে রাজি। সেই সঙ্গে তিনি বলেন, ইজরায়েলের তরফে আমরা অন্তত কোনও ধরনের মধ্যস্থতা গ্রহণ বা শান্তিপূর্ণ সমাধানের পথ অবলম্বন করার আগ্রহ দেখছি না। প্রসঙ্গত, ইরান রাশিয়ার পুরাতন ঘনিষ্ঠ মিত্র। তবে ইজরায়েলের সঙ্গেও ভাল সম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে মস্কো। 

অন্য দিকে পশ্চিম এশিয়ার দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইরানের বন্ধু রাষ্ট্র চিন। দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। চিনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘অন্য কোনো দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা লঙ্ঘনকারী যেকোনো কর্মকাণ্ডের’ বিরোধী চিন। দুই দেশের মধ্যে সামরিক সংঘাত কোনও সমস্যার সমাধান করবে না বলে জানিয়েছে বেজিং। ইরান ও ইজরায়েল যাতে শীঘ্রই সংঘাত থামায় সেই লক্ষ্যে দুপক্ষকেই কাজ করতে হবে বলে আবেদন জানিয়েছেন চিনের প্রেসিডেন্ট। তিনি আরও বলেন, শান্তি ফিরিয়ে আনতে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে সব পক্ষের সঙ্গে কাজ করতে বেজিং প্রস্তুত।

iranian israeli conflict: তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাসের কাছে হামলা তেহরানের, ইরান-ইজরায়েল সংঘাতে মৃত্যু বেড়ে ২৪৪

এই দিনকাল: ইরান ও ইজরায়েলের সংঘাত (iranian israeli conflict) ক্রমশ চরম আকার নিচ্ছে। দুই দেশের মধ্যে আঘাত ও পাল্টা প্রত্যাঘাতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ২৪৪। সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, এই সংঘাতে ইরানের ২২৪ এবং ইজরায়েলের ৮ জন নিহত হয়েছেন।

ইরানের উপর ইজরায়েলি হামলায় মার্কিন মদত রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছিল তেহরান। নিজেদের নাগালে থাকা মার্কিন ঘাঁটিতে আক্রমণ চালানো হবে বলে আগেই হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছিল। এ বার ইজরায়েলের তেল আবিবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের কাছাকাছি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালাল খানেইনির দেশ। ইজরায়েলে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি এক্স হ্যান্ডেলে এক পোস্টে এই তথ্য জানিয়েছেন। পোস্টে হাকাবি লিখেছেন, ইরান থেকে নিক্ষেপ করা ক্ষেপণাস্ত্র তেল আবিবে মার্কিন দূতাবাস ভবনের কাছে আঘাত হেনেছে। এতে দূতাবাস ভবনে সামান্য ক্ষতি হয়েছে। তিনি আরও জানান, এই ঘটনায় মার্কিন কর্মীদের কেউ হতাহত হননি।

উল্লেখ্য, ১৩ জুন রাতে ইজরায়েলি বাহিনী বিনা উসকানিতে ইরানের ভিতরে হামলা চালায়। একাধিক পরমাণু ঘাঁটিতে হামলায় ইরানের নয় জন পরমাণু বিজ্ঞানী নিহত হন। নিহতরা হলেন, নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিং বিশেষজ্ঞ ফেরেদুন আব্বাসি, আহমেদ রেজা জোলফাঘরি দোরিয়ানি, পদার্থবিদ্যার বিশেষজ্ঞ মহম্মদ মেহদি তেহরানচি, আমির হাসান ফাখাহি, মনসুর আসগারি, কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ আকবর মোতালেবি জাদেহ, মেটেরিয়াল্স ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের বিশেষজ্ঞ সইদ বর্জি, রিয়্যাক্টর ফিজিক্সের বিশেষজ্ঞ আব্দুল আলহামিদ মিনৌশেহর এবং মেকানিক্সের বিশেষজ্ঞ বখৌয়েই কাতিরিমি।

অন্য দিকে দেশে ঢুকে নাশকতার ছক কষায় ইজরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে ইরান পুলিশ। ধৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ বিস্ফোরক উদ্ধার হয়েছে। ইরানের ইসলামি প্রজাতন্ত্রের পুলিশ কমান্ডের মুখপাত্র সাইদ মনতাজের আল-মাহদি জানান, দুজনের কাছ থেকে ২০০ কেজির বেশি বিস্ফোরক, ড্রোন চালানোর ২৩টি সরঞ্জাম, লঞ্চার এবং আরও অনেক সামরিক সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। তেহরানের রে কাউন্টির ফাশাফুয়েহ এলাকা থেকে দুই মোসাদ সদস্যকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

পরমাণু কেন্দ্রে হামলা হলে গুঁড়িয়ে দেওয়া হবে মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি, ট্রাম্পকে হুঁশিয়ারি ইরানের

এই দিনকাল: ট্রাম্পের দাদাগিরি মানবে না ইরান (Iran)! ফের এক বার ওয়াশিংটনকে হুঁশিয়ারি দিল তেহরান। ইরানের পরমাণু কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি কোনও সামরিক পদক্ষেপ নেয় তাহলে ইরান ছেড়ে কথা বলবে না বলে সাফ জানালেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী। প্রয়োজনে মধ্যপ্রাচ্যে থাকা সমস্ত মার্কিন ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র।

বুধবার তেহরানে মন্ত্রিসভার বৈঠক হয়। সেই বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ইরানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আজিজ নাসিরজাদেহ। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র যদি যুদ্ধ চাপিয়ে দেয়, তাহলে তার মূল্য তারা চড়াভাবে দেবে। মধ্যপ্রাচ্যের সব মার্কিন ঘাঁটি আমাদের রেঞ্জের মধ্যেই রয়েছে, প্রয়োজনে একযোগে আঘাত হানতে আমাদের সেনাবাহিনী সম্পূর্ণ প্রস্তুত।’

উল্লেখ্য, সম্প্রতি মার্কিন সেনাবাহিনীর কেন্দ্রীয় কমান্ডের (সেন্টকম)- প্রধান জেনারেল মাইকেল কুরিল্লা জানান, তেহরানের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে গেলে ইরানকে পরমাণু কর্মসূচি থেকে বিরত রাখার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে রয়েছে ‘বিকল্প সামরিক ব্যবস্থা’। এই আবহে ইরানের তরফে পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলা হল তারাও যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।

প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে তেহরান ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের কাজ চালাচ্ছে। দেশটি ৬০ শতাংশ পর্যন্ত উচ্চমাত্রায় ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করেছে। যা ৯০ শতাংশ হলে সরাসরি পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির উপযোগী হয়। রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরমাণু পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ’র তথ্য অনুযায়ী, যে পরিমাণ ইউরেনিয়াম ইরান সমৃদ্ধকরণ করেছে তা দিয়ে অন্তত ৬টি পারমাণবিক বোমা তৈরি করতে পারে।