Category Archives: বিনোদন

Shefali Jariwala: ‘কাঁটা লাগা’ খ্যাত অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালার মৃত্যু

এই দিনকাল: জনপ্রিয় ‘কাঁটা লাগা’ গানের মুখ অভিনেত্রী শেফালি জারিওয়ালা (Shefali Jariwala) প্রয়াত। শুক্রবার গভীর রাতে মুম্বইয়ে প্রয়াত হন তিনি। তবে ঠিক কী কারণে অভিনেত্রীর মৃত্যু তা এখনও স্পষ্ট নয়। তাঁর বয়স হয়েছিল ৪২ বছর। 

সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, শেফালির স্বামী তাঁকে বেলভিউ মাল্টিস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যান এদিন। কিন্তু হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। অভিনেত্রীর পরিবারের সদস্যরা এখনও মৃত্যুর কারণ নিয়ে কোনও বিবৃতি দেয়নি। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুপার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অস্বাভাবিক ভাবে অভিনেত্রীর মৃত্যু হয়েছে কি না তা জানতে পুলিশ শেফালির বাড়িতে রাঁধুনি এবং গৃহকর্মীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে।

উল্লেখ্য, ২০০২ সালে ‘কাঁটা লাগা’ গান বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করেছিল। সেই মিউজিক ভিডিওতে অভিনয়ের পর শেফালি জারিওয়ালা খ্যাতি অর্জন করেন। পরবর্তীতে বিগ বস ১৩-তে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তিনি ঘরে ঘরে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০০৪ সালে সলমন খান, অক্ষয় কুমার এবং প্রিয়াঙ্কা চোপড়া অভিনীত ‘মুঝসে শাদি কারোগি’ ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন শেফালি।

স্বামী পরাগ ত্যাগীর সঙ্গে শেফালি ‘নাচ বালিয়ে’ সিজন ৫ এবং ৭-এও অংশ নিয়েছিলেন। পরাগের সঙ্গে ২০১৫ সালে বিয়ে করেছিলেন শেফালি। অভিনেত্রীর আকস্মিক মৃত্যুতে বিনোদন জগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। শেফালির মৃত্যুতে শোকপ্রকাশ করেছেন মিকা সিং। সমাজ মাধ্যমে তিনি লিখেছেন, ‘আমি গভীরভাবে মর্মাহত, শোকাহত এবং ভারাক্রান্ত… আমাদের প্রিয় তারকা এবং আমার প্রিয় বন্ধু শেফালি জারিওয়ালা আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। এখনও বিশ্বাস করতে পারছি না। তোমার অনুগ্রহ, হাসি এবং চেতনার জন্য তুমি সর্বদা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। ওম শান্তি।’

Panchayat Season 4: ‘পঞ্চায়েত’, একটি সাবালকত্ব অর্জনের নাম

আকাশ রায়

কয়েকদিন ফেসবুক স্ক্রোল করতে ভয় পাচ্ছি,খুব ভুল করেও যদি স্পয়লারে চোখ পড়ে যায়! তাই আগের রাতের ঘুম কে অনেকটা অগ্রাহ্য করে দেখলাম পঞ্চায়েত সিজন ৪ (Panchayat Season 4)। জিতু ভাইয়া ওরফে সচিবজী ওরফে জিতেন্দ্র কুমার কে বরাবরই ভালো লাগে তার সাবলীল অভিনয়ের জন্য। তাই বাড়তি উৎসাহ সেখান থেকেই পাওয়া।

বাকি সিজনগুলোর মতো এবারেও সিরিজটার একটা স্থিতধী ভঙ্গিমা রয়েছে। তবে সবচেয়ে আকর্ষণ হলো এই সিরিজের চরিত্রেরা, বিশেষত নেগেটিভ চরিত্ররা। আপনি তাদের সেই মাথায় রক্ত ওঠা অভিনয় দেখে রেগে যেতে পারেন, প্রয়োজনে মনে মনে (একা থাকলে,অথবা কমফোর্ট জোনে থাকলে) দুটো অশ্রাব্য গালিগালাজও করতে পারেন কিন্তু ঘৃণা করতে পারবেন না। এরা হয়তো কিছুটা সরল, কিছুটা নিজের স্বার্থের প্রতি অপ্রতিরোধ্য কিন্তু সেই অর্থে ক্ষতিকারক নয়। ভূষণ অথবা মাধবের কথা আলাদা না বললেও বিনোদ চরিত্রটি এই সিজনে টুপি খুলে রাখতে বাধ্য করায়। আমি ব্যক্তিগতভাবে চোখের খেলায় ডুবতে ভালোবাসি, তাই মুখের কথার চেয়ে চোখ আমাকে বেশি টানে সবদিন। বিনোদ যখন ‘গদ্দার’ হতে আপত্তি জানায় তার চোখে আশ্চর্য উদাসীনতা ছিল আর ছিল সাবলীলতা। 

সচিব আর রিঙ্কির কেমিষ্ট্রি এই সিরিজে সবচেয়ে ওয়েটেড অংশ। সেখানে তারা রীতিমতো প্রশংসার দাবি রাখে। একটা গ্রাম্য প্রেমের জেনুইন দৃশ্যতে যেটুকু প্রয়োজন তার একচুলও বেশি হয়নি। পরিচালক এখানে মুন্সিয়ানার পাশাপাশি ভীষণরকমের প্রোফেশনাল, কারণ দর্শকদের প্রতীক্ষিত দৃশ্যের ক্ষেত্রেও তিনি কোনোভাবেই আবেগপ্রবণ নন। এটি আসলেই একটা স্লো এবং গভীর প্রেমের পরিণতি।

আমরা নিজেদের জীবনযুদ্ধে কখনও জিতি,বেশিরভাগ হারি। এখানের চরিত্ররা কেউ Larger than Life নয়। জীবনের পাশাপাশি এই সিরিজেও সেই বার্তা খুব স্পষ্ট। রিয়েলিস্টিক মানে অবশ্যই জিতে যাওয়া নয়, এই কনসেপ্ট চিরদিন মনে থেকে যাবে। দিনযাপনের পাশাপাশি পঞ্চায়েতও সাবালক হচ্ছে ধীরে ধীরে। সচিবের গ্রামে এসে স্ট্রাগল থেকে শুরু হওয়া এই সিরিজ এখন বিভিন্ন সামাজিকতার নিদর্শন হয়ে উঠছে।

আসলে ফুলেরা একটি গোলকধাঁধা, চক্রবূহ্য। আর সচিব এখানে অভিমণ্যু, যে এসে তো পড়েছে আর দিনের পর দিন জড়িয়ে যাচ্ছে এর মায়ায়। এই মায়ার বাঁধনের প্রেমে যে পড়েছে সে জানে, এর থেকে বেরোনোর পথ তার নেই, অথবা চায়ও না। আবার অপেক্ষা, পঞ্চায়েত ফিরুক আবার, আমরাও জীবন যুদ্ধে ছুটে বেড়াই। মাঝে ক্লান্ত হতে পারি, কিন্তু আবার ফিরব, সেই পরিচিত লিপ্সায়, সেই ফুলেরা তে, সেখানে সচিব আর রিঙ্কির প্রেম, প্রল্লাদের অভিমান, প্রধানের বুক ভাঙা কষ্ট আর বিকাশের সারল্য- সবটা রাখা আছে।

বিমান দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছিলেন, কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রয়াত হলেন কারিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর

এই দিনকাল: আহমেদাবাদের ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেছিলেন তিনি। তার কয়েক ঘন্টার মধ্যে প্রয়াত হলেন কারিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী সঞ্জয় কাপুর (Sunjay Kapur)। বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ডে প্রয়াত হয়েছেন সঞ্জয়। প্রয়াণকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৫৩ বছর। সংবাদ মাধ্যম সুত্রে খবর, একটি পোলো ম্যাচ খেলার সময় তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। সঙ্গে সঙ্গে মাঠ ছেড়ে গেলেও কিছুক্ষণ পর হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

সূত্রের খবর, ম্যাচ চলাকালীন একটি মৌমাছি সঞ্জয় কাপুরের মুখে ঢুকে গিয়েছিল, যার ফলে গলা ফুলে গিয়েছিল এবং তারপরে হার্ট অ্যাটাক হয় তাঁর। উল্লেখ্য, সঞ্জয় কাপুর ছিলেন অভিনেত্রী কারিশ্মা কাপুরের প্রাক্তন স্বামী। ২০০৩ সালে তাঁরা বিয়ে করেন। তাঁদের এক মেয়ে সামাইরা ও ছেলে কিয়ান রয়েছে। ২০১৪ সালে, উভয়েই পারস্পরিক সম্মতিতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন এবং ২০১৬ সালে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়। এর পরে, ২০১৭ সালে, সঞ্জয় মডেল প্রিয়া সচদেবকে বিয়ে করেন। প্রিয়া এবং সঞ্জয়ের একটি ছেলে রয়েছে।

সঞ্জয়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর বলিউডের অনেক তারকাই কারিশ্মার বাড়িতে গিয়ে দেখা করেন। করিনা কাপুর ও তার স্বামী সইফ আলী খানকেও কারিশ্মার বাড়িতে দেখা গেছে। এছাড়াও মালাইকা অরোরা এবং অমৃতা অরোরা গভীর রাতে কারিশ্মার বাড়িতে পৌঁছন।সঞ্জয় কাপুর দুন স্কুলের পড়ুয়া ছিলেন। পোলো খেলতেন সঞ্জয়। তাঁর একটি পোলো টিম ছিল, যেটির নাম ‘অরিয়াস’। মৃত্যুর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে, সঞ্জয় কাপুর সোশ্যাল মিডিয়ায় আহমেদাবাদ বিমান দুর্ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছিলেন। এক্স হ্যান্ডেলে তার শেষ পোস্ট ছিল, ‘আহমেদাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান দুর্ঘটনার খবরটি দুঃখজনক। আমার সমবেদনা এবং প্রার্থনা সমস্ত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে। ঈশ্বর তাঁদের এই কঠিন সময়ে শক্তি দিন।’ এই পোস্টের পর, সঞ্জয় কাপুরের আকস্মিক প্রয়াণের খবর সমাজ মাধ্যমে আলোড়ন ফেলে। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘জীবন সত্যিই খুব অনিশ্চিত।’