Shahi Idgah Mosque: শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি ও শাহি ঈদগাহ মসজিদ মামলায় বড় নির্দেশ এলাহাবাদ হাইকোর্টের

এই দিনকাল: মথুরার শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি (Krishna Janmabhoomi) এবং শাহি ঈদগাহ মসজিদ (Shahi Idgah Mosque) নিয়ে চলমান আইনি লড়াইয়ে বড় নির্দেশ দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট (Allahabad HC)। শ্রীকৃষ্ণ জন্মভূমি প্রাঙ্গণে অবস্থিত শাহি ঈদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছিল হিন্দু পক্ষ। শুক্রবার এলাহাবাদ হাইকোর্ট সেই আর্জি খারিজ করে দিয়েছে।

বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্রের সিঙ্গল বেঞ্চ এদিন মৌখিকভাবে হিন্দু পক্ষের আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে বলেছে, হিন্দু পক্ষের এই আবেদনটি ‘এই পর্যায়ে’ খারিজ করা হচ্ছে। আদালতের এদিনের মন্তব্য দীর্ঘ দিনের আইনি লড়াইয়ে মামলাকারী মুসলিম পক্ষকে স্বস্তি দিয়েছে। উল্লেখ্য, হিন্দু পক্ষের হয়ে আদালতে মামলা করেছিলেন আইনজীবী মহেন্দ্র প্রতাপ সিং। চলতি বছরের ৫ মার্চ একটি আবেদন করেছিলেন তিনি, সেই আবেদনে শাহি ঈদগাহ মসজিদকে ‘বিতর্কিত কাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছিলেন। আবেদনকারীর যুক্তি ছিল, মসজিদটি জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে। শুধু তাই নয় মালিকানা প্রমাণের জন্য বা ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রমাণের জন্য আইনি নথিপত্রের অভাব রয়েছে।

হিন্দু পক্ষ দাবি করেছিল যে জমির মালিকানার নথি, পৌর রেকর্ড বা কর দাখিলের নথি নেই। তাই কাঠামোটিকে মসজিদ বলা যাবে না। এখনও পর্যন্ত সিঙ্গল বেঞ্চে চারটি শুনানি হয়েছে। এই আবেদন ছাড়াও, হিন্দু পক্ষের দায়ের করা আরও ১৮টি এই সংক্রান্ত আবেদন হাইকোর্ট একত্রিত করেছে। সেগুলি বর্তমানে আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সমস্ত আবেদনই মূলত শ্রী কৃষ্ণ জন্মভূমি মন্দিরের প্রাঙ্গণ থেকে শাহী ঈদগাহ মসজিদকে অপসারণ করার দাবিতে।

হিন্দু আবেদনকারীদের অভিযোগ, মসজিদটি যেখানে অবস্থিত সেই জমিটি মূলত কৃষ্ণ মন্দিরের জায়গা ছিল।অযোধ্যা বিরোধের সঙ্গে এর মিল থাকায় তারা এই মসজিদটিকে বাবরি মসজিদের মতো ‘বিতর্কিত কাঠামো’ হিসেবে ঘোষণা করার আর্জি জানিয়েছিল। অন্য দিকে, মুসলিম পক্ষ হিন্দু হিন্দু পক্ষের আবেদনটিকে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে দাবি করে। তারা জোর দিয়ে বলে যে শাহি ঈদগাহ গত ৪০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বিদ্যমান।

Leave a Comment