Temple ‘Cleansed’ After Prashant Kishor, Muslim Candidate Offer Prayers
এই দিনকাল: ভোটমুখী বিহারে নির্বাচনী প্রচার জোর কদমে শুরু করেছে সমস্ত রাজনৈতিক দল। পিছিয়ে নেই প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) জন সুরজ পার্টিও। বিহারের মধুবনীতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে তাঁরই দলের এক মুসলিম প্রার্থী মন্দিরে প্রবেশ করায়, ধর্মস্থানকে পঞ্চগব্য এবং গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধিকরণ করলেন পুরোহিতরা। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ঘটনা ঘটলেও, এটি প্রকাশ্যে এসেছে বৃহস্পতিবার। ইতিমধ্যে এই ঘটনা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, জন সুরাজ পার্টির প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের মুসলিম প্রার্থী পারভেজ আলম মঙ্গলবার মধুবনীর কপিলেশ্বর নাথ মহাদেব মন্দিরে যান। বেনীপট্টি বিধানসভা কেন্দ্রে নির্বাচনী প্রচার শুরু করার আগে মন্দিরের গর্ভগৃহ পরিদর্শন করে ভগবান শিব এবং অন্যান্য দেবতাদের কাছে প্রার্থনা করেন জন সুরজ পার্টির দুই নেতা। তাঁদের চলে যাওয়ার পরেই, মন্দিরের পুরোহিতরা পঞ্চগব্য (দুধ, দই, ঘি, গোমূত্র এবং গোবরের মিশ্রণ) এবং গঙ্গাজল ব্যবহার করে ধর্মস্থান ‘শুদ্ধিকরণ’ করেন।
শ্রাবণ কুমার নামের এক পুরোহিত বলেন, তাঁকে আগে থেকেই জানানো হয়েছিল প্রশান্ত কিশোর মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসবেন। তাঁর কথায়, ‘আমি সম্মতি জানিয়েছিলাম এবং পুজোর জন্য সমস্ত উপকরণ প্রস্তুত করে রেখেছিলাম। কিন্তু তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এখানে এসে পৌঁছাননি। আমাদের ঐতিহ্য অনুসারে, মন্দিরটি রাত ৮ টায় দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। পরে, প্রশান্ত কিশোর এবং তাঁর দলের প্রার্থী এসে গর্ভগৃহে প্রার্থনা করেন।’
ওই পুরোহিত আরও বলেন, পরে তিনি বুঝতে পারেন যে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে এক জন মুসলিম প্রার্থী ছিলেন। শ্রাবণ বলেন, ‘আমরা প্রথমে তাঁকে চিনতে পারিনি কারণ তিনি ঐতিহ্যবাহী মিথিলা পোশাক পরেছিলেন।’ অন্য দিকে, মুসলিম হয়ে মন্দিরে প্রবেশের বিরোধিতা করেন বেশ কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দা। এটি মন্দিরের রীতিনীতির পরিপন্থী বলে দাবি তাঁদের। যদিও এই ঘটনার পর মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফে এখনও পর্যন্ত কোনও আনুষ্ঠানিক বিবৃতি জারি করা হয়নি। বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেনি জন সুরজ পার্টির নেতৃত্বও।