এই দিনকাল: দুই ভাই মিলে ১৫ বছর বয়সী নাবালিকাকে লাগাতার ধর্ষণ (Rape)। আর তার জেরে নির্যাতিতা কিশোরী গর্ভবতী হয়ে পড়ায় তাকে জীবিত অবস্থায় কবর দেওয়ার চেষ্টার অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে ওড়িশার জগৎসিংহপুর জেলায়। ইতিমধ্যে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত দুই ভাইয়ের নাম ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস। বনশবারা গ্রাম থেকে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই ঘটনায় টুলু নামের তৃতীয় আরেক সন্দেহভাজনের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
অভিযোগ, দুই ভাই ভাগ্যধর দাস এবং পঞ্চানন দাস দীর্ঘ দিন ধরে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে আসছে। নির্যাতিতা কিশোরী এক সময় অন্তঃসত্তা হয়ে পড়ে। যখন সে পাঁচ মাসের গর্ভবতী তখন নিজেদের কুকর্ম ঢাকতে নির্যাতিতাকে জীবিত কবর দেওয়ার চেষ্টা করে। পুলিশ জানায়, নির্যাতিতাকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিতে থাকে অভিযুক্তরা। শুধু তাই নয় সে জন্য প্রয়োজনীয় খরচ জোগানোরও কথা বলে তারা। ওই নাবালিকাকে অভিযুক্তরা ডেকে পাঠায় একটি জায়গায়। নির্যাতিতার অভিযোগ, সেখানে যাওয়ার পর দেখা যায় অভিযুক্তরা একটি খাদ খনন করে রেখেছে। গর্ভপাত না করালে তাকে জীবন্ত কবর দেওয়া হবে বলে হুমকি দেয় দুই ভাই।
পুলিশ জানিয়েছে, নিজের প্রাণ সংশয় হতে পারে বুঝতে পেরে এর পর নির্যাতিতা কোনও রকমে অভিযুক্তের হাত থেকে পালিয়ে আসে। গোটা ঘটনার কথা তার বাবাকে জানায়। মেয়ের মুখে পাশবিক অত্যাচারের কথা শুনে নির্যাতিতার বাবা কুজং থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ পেয়ে গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। জেলা সদর হাসপাতালে নির্যাতিতা কিশোরীর ডাক্তারি পরীক্ষাও করা হয়। পাশাপাশি দু জনকে গ্রেফতারও করেন তদন্তকারীরা।